Tag: Madhyam

Madhyam

  • Howrah: জাতীয় কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে তাক লাগালেন হাওড়ার নিখাত পারভিন

    Howrah: জাতীয় কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে তাক লাগালেন হাওড়ার নিখাত পারভিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনা জয় করে নতুন বছর শুরু করলেন হাওড়ার (Howrah) মেয়ে নিখত পারভিন। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি) সদস্যা নিখাত পারভিন এবছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সিনিয়র জাতীয় কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার শিরোপা পেয়েছেন। নয়াদিল্লিতে ২-৬ জানুয়ারি কিকবক্সিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেই তাঁর এই সাফল্য। হাওড়ার মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা জেলা।  পরিবারের পাশাপাশি নিখাতকে নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কী বলেন পারভিন (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) বেলুড়ের টিএইচ উর্দু হাইস্কুলের প্রাক্তনী হলেন নিখাত পারভিন। তবে, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। নিখাত বলেন, “এখানেই আমি থেমে থাকতে চাই না। আমার পরবর্তী লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা।” এখন তিনি কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন। একই সঙ্গে তিনি এনসিসির ২ নম্বর বেঙ্গল ব্যাটালিয়নেরও সদস্য। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার মা, এনসিসি প্রশিক্ষক ও কিকবক্সিংয়ের কোচ-এই তিনজনের জন্যই আমি আজ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিবির থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সেই অভিজ্ঞতা সুবিধা দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আশা করি আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে এবার প্রতিষ্ঠা করে লিঙ্গ বৈষম্যকে ভাঙতে সচেষ্ট হব।” তাঁকে নিয়ে গর্বিত পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের এনসিসি ডিরেক্টরেট। এই তরুণীর প্রতিভাময়ীকে বিশেষ সম্মান জানাতে চায় বলে এনসিসি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।

    জেলা স্তরেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন

    জেলাস্তরে (Howrah) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময়েই পারভিন সকলের নজর কেড়েছিলেন। তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখা গিয়েছিল রাজ্যস্তরের খেলায়। তখন থেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন বলে মনে করেছিলেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় স্তরে সোনা পাওয়ায় তাঁরা একটুও অবাক হননি বলে জানা গিয়েছে। মাত্র সাত বছর বয়সে খেলা শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ৭৫টি পদক জিতে নিয়েছেন তিনি। ক্রীড়াবিদদের মতে, এমন বিস্ময়কর প্রতিভা সচরাচর দেখা যায় না।

    নারীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন

    মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী পরিবারের (Howrah) মেয়ে হিসাবে পারভিন নিজে বিশ্বাস করেন নারীদের ক্ষমতায়নে। এনসিসিতে যোগদান তাঁকে আরও পরিণত ও আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে। এনসিসি থেকে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন। প্রত্যেক নারীর মধ্যে যে সম্ভাবনা থাকে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই তা বিকশিত হয় এবং সেটিই নারী স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে বলে তিনি মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মানতে হবে এই নিয়মগুলি

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মানতে হবে এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিনের প্রতীক্ষা মাত্র, আগামী ২২ তারিখে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওই দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যে মন্দিরের সুরক্ষার কথা ভেবে স্থানীয় প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। উল্লেখ্য রাম মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের দিনে মন্দির চত্বরে সাধারণ ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরাই প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে নিমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে প্রবেশাধিকার পাবেন। ট্রাস্টের আমন্ত্রণপত্র ছাড়া প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    মন্দির চত্বরে একাই প্রেবশ করতে হবে অতিথিদের

    রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে প্রবেশের জন্য বেশ কিছু নিয়ম নির্ধারিত করা হয়েছে। সকাল ১১টার মধ্যে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। ওই দিন আমন্ত্রিত নন এমন সাধু-সন্তদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অতিথিরা কোনও প্রকার পরিচারিকা বা সাহায্যকারীদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্দির চত্বরে একাই প্রেবশ করতে হবে অতিথিদের। প্রধানমন্ত্রী বের হওয়ার পর গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি দর্শন করা যাবে। তার আগে কোনও ভাবেই গর্ভগৃহে প্রবেশ করা যাবে না।

    আর কী কী নিয়ম রয়েছে?

    মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের দিনে মন্দিরে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা ভেবে বেশ কিছু নির্দেশিকা, নিয়ম জারি করা করা হয়েছে। অতিথিদের মোবাইল, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, ল্যাপটপ বা ক্যামেরার মতো জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। একই ভাবে রিমোট চালিত চাবি, বড় ছাতা, কম্বল, ব্যাগ, পুজোর সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না। কোনও রকম খাবার জিনিস নিয়ে মন্দিরের প্রবেশ করা যাবে না। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। মন্দিরের ভিতরে পুজোর উপকরণ যেমন সিঁদুর, ফুল, পাতা, জল, ধূপকাঠি, প্রদীপ সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না। কোনও রকম জিনিস বহন করলে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না।

    কী পোশাক পরতে পারবেন অতিথিরা?

    মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ঠিক সেই ভাবে পোশাকের কথা জানিয়ে কোনও ড্রেস কোডের উল্লেখ করা হয়নি। তবে প্রভু রামের মন্দিরে আমন্ত্রিত অতিথিরা ধুতি, গামছা, কুর্তা, পাজামা এবং মহিলারা সালোয়ার, স্যুট, শাড়ি পরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির নির্মাণের বিপুল অর্থ সংগ্রহ হয়েছে কীভাবে? জানাল ট্রাস্ট

    Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির নির্মাণের বিপুল অর্থ সংগ্রহ হয়েছে কীভাবে? জানাল ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। আগামী ২২ জানুয়ারিতে হবে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধন। দেশব্যাপী রাম ভক্তদের মধ্যে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। গোট অযোধ্যা নগরীর সঙ্গে সারা ভারত এখন রামময়। তবে, এই সুন্দর রাম মন্দিরের জন্য কত টাকা খরচ হল? কোথা থেকে এই টাকা সংগ্রহ হল সেটাও ভক্তদের জানা প্রয়োজন।

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মন্দিরের জন্য মোট অনুদান এসেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। রাম মন্দির জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এই অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা। একই ভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশের প্রায় ৪ লক্ষ গ্রাম থেকে নিধিসংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ১১ কোটি দেশবাসী নিজেদের অনুদান অর্পণ করেছেন মন্দির নির্মাণের জন্য। বিদেশে বসবাসকারী রাম ভক্তরাও নিজেদের অনুদান পাঠিয়েছেন।

    কী জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ?

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র অভিযানের সাপেক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই মন্দির (Ayodhya Ram Temple) পুনরায় উদ্ধারের জন্য সারা দেশের মানুষের যোগদান রয়েছে। প্রয়াগরাজের ভিক্ষুকরাও রাম মন্দিরের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দান করেছে। ভারতের বাইরে থেকেও প্রচুর অনুদান এসেছে। রাম মন্দির ট্রাস্টে প্রতিমাসে ১ কোটি টাকা করে জমা পড়েছে। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, অযোধ্যায় তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই মন্দিরের জন্য অনুদান জমা করা হয়েছে।

    অনুদান এসেছে নিধি সমর্পণ অভিযানে

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আয়োজিত নিধি সমর্পণ অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়রি মাসে। শ্রীরাম সেনার সভাপতি দেবেন্দ্র দাস বলেছেন, “একজন ব্যক্তির অর্থে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়নি। মন্দির (Ayodhya Ram Temple) নির্মাণের পর যাতে প্রত্যেক ভারতীয় মানুষ দাবি করতে পারেন যে মন্দিরের প্রত্যেক দেওয়ালে ভারতীয়দের নাম গাঁথা রয়েছে সেই ভাবনাও এই দান-সংগ্রহ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে।”

    তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অনুদান দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা

    তৎকালীন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজে মন্দির নির্মাণের (Ayodhya Ram Temple) জন্য ৫ লক্ষ ১০০ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। গুজরাটের ধর্মগুরু মোরারি বাউ ১১ কোটি অনুদান দিয়েছেন। গৌতম গম্ভীর ১ কোটি টাকা দিয়েছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডার প্রবাসী ভারতীয়রা প্রায় ৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। আবার গুজরাটের শ্রীরামকৃষ্ণ এক্সপোর্টসের মালিক গোবিন্দ ভাই ঢালাকিয়া মন্দিরের জন্য ১১ কোটি টাকা দান করেছেন। বিশ্বহিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক সচিন্দ্রনাথ সিং জানিয়েছেন, “এই মন্দির নির্মাণের কর্মযজ্ঞে পরিষদের সঙ্গে গোটা সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা যোগদান করেছেন। বাংলার সর্বত্র রামভক্তরা পৌঁছে গিয়েছেন। আমাদের যে নির্ধারিত লক্ষ্য ছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাম লালার অভিষেকের সময় শুরু ১২টা ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে।  অভিষেকের সময়ের স্থায়িত্ব হল ৮৪ সেকেন্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Lakshadweep Tourism: লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ-ঝড়, গুগলে সার্চ বৃদ্ধি ৩৪০০ শতাংশ!

     Lakshadweep Tourism: লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ-ঝড়, গুগলে সার্চ বৃদ্ধি ৩৪০০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পড়েছে  ‘লাক্ষাদ্বীপ ট্যুরিজম’ ও ‘ভিজিট লাক্ষাদ্বীপ’ ঝড়। গত এক সপ্তাহে, ভ্রমণ সংক্রান্ত অনলাইন সার্চে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছে একটাই নাম— লাক্ষাদ্বীপ।

    গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপে (Lakshadweep Tourism) গিয়েছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে। সেইসঙ্গে এই দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে স্নরকেলিং করেছেন। সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক মনোরম ছবি বিনিময় করে পর্যটকদের ছুটি কাটানোর জন্য উৎসাহ দেন তিনি। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন মলদ্বীপের ৩ মন্ত্রী। অভিযোগ করে বলা হয়, মলদ্বীপের পর্যটন থেকে নজর ঘোরাতে লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনকে প্রচার করছেন মোদি।

    এরপর থেকেই ভারতের বহু পর্যটক মলদ্বীপের ভ্রমণসূচি বাতিল করছেন। বাতিল হয়েছে হাজার-হাজার বিমান টিকিট। বাতিল হয়েছে শয়ে-শয়ে রুমের বুকিং। শুধু সাধারণ পর্যটক নন, ভারতের পর্যটন ব্যবসায় জড়িত একটি ভ্রমণ সংস্থাও মালদ্বীপের ট্যুর বাতিল করেছেন। সমাজিক মাধ্যমে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ এবং ‘লাক্ষাদ্বীপ ট্যুরিজম’ লিখে ব্যাপাক প্রচার চলছে। সেই প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন বলি তারকা থেকে শুরু করে ভারতের ক্রিকেটাররা। সমাজমাধ্যমে লাক্ষাদ্বীপের ছবি ভাইরাল হতেই সেখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের ঝোঁক হু হু করে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে সার্চ করার আগ্রহও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।

    কী বলছে মেক মাইট্রিপ (Lakshadweep Tourism)?

    অনলাইনে ট্র্যাভেল এজেন্সি মেক মাইট্রিপ পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, এই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep Tourism) নিয়ে অনলাইনে সার্চ বেড়ে গিয়েছে ৩৪০০ শতাংশ। সামজিক মাধ্যমে একাধিক ট্রেন্ড এবং হ্যাশট্যাগ চলছে প্রচুর পরিমাণে। মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে শুধু ভারতেই নয় এশিয়া, ইউরোপ, অ্যামেরিকা থেকেও বাড়ছে সার্চের পরিমাণ। লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের চাহিদা এখন পর্যটকদের কাছে প্রচুর।

    ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপের সমূহ লাক্ষাদ্বীপ

    লাক্ষা, আমিনদিভি, মনিকয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ৩২ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep Tourism)। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে মত ৩৬টি দ্বীপ রয়েছে। লাক্ষা পর্যটন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে এই দ্বীপে বেড়াতে যেতে হয়। বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় হল ভ্রমণ করার আদর্শ সময়। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ ভীষণ ভাবে পর্যটকদের মনকে মুগ্ধ করবে। এখানে ঘুরে দেখার সুন্দর জায়গাগুলি হল-

    আগাত্তি দ্বীপপুঞ্জ

    লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep Tourism) প্রবেশদ্বার হল এই আগাত্তি দ্বীপ। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লেগুন (নোনা জলের উপহ্রদ) রয়েছে এখানে। এখানে সুইমিং, স্বরকেলিং, কায়াকিংয়ের মতো ওয়াটার স্পোর্টস করার সুযোগ রয়েছে।

    বাঙ্গারাম দ্বীপপুঞ্জ

    আগাত্তি দ্বীপের খুব কাছেই হল বাঙ্গারাম দ্বীপ। এখানে মানুষ বসবাস করে না। ফসফোরেসেন্ট প্লাঙ্কটনের জন্য বাঙ্গারাম দ্বীপ আসেন পর্যটকরা। এই সৈকত রাতে নীলাভ হয়। ডলফিন, অক্টোপাস, ফ্রগফিস দেখা যায়।

    মিনিকয় দ্বীপ

    উত্তর দ্বীপপুঞ্জের ২০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপ। এই দ্বীপ অন্যতম বড় লেগুন। এখানে ১১ গ্রামের ক্লাস্টার রয়েছে। এইগুলিকে আভাহ নামে পরিচিত।

    কালপেনি দ্বীপপুঞ্জ

    স্বচ্ছ এবং নীল জলের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপ। এখানে সুইমিং, স্নরকেরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।

    কাভারাত্তি দ্বীপপুঞ্জ

    এই দ্বীপ পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় জায়গা। স্থানীয় বাজার বেশ দর্শনীয় স্থান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধলতা নেওয়ার অভিযোগে কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মালদা (Malda) নালাগোলা রাজ্য সড়কের মোটর কালী মোড়ে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি। এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে সরব হয়েছেন এলাকার চাষিরা। দিন কতক আগে এই একই অভিযোগে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ি এবং বর্ধমানের চাষিদের। ধানের ওজনে কারচুপি করে, দামে কম দিয়ে কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ (Malda)

    এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্য ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগের কথা তুলে পথ অবরোধ করলেন করলেন কৃষকেরা। এদিন কৃষকেরা বেলা ২টোর সময় ধান বোঝায় ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি ১৫% ভেজা থাকার ফলে তাঁদের কাছ থেকে কেন ধলতা চাওয়া হচ্ছে? কিছুতেই ধলতা দেবেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ধলতা দেওয়া মানেই হল, ধানের মূল ওজন থেকে অনেকটা পরিমাণ ধানের ওজন বাদ দেওয়া এবং মূল্যও কম দেওয়া। এরপর প্রতিবাদে প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলে সড়কে। খবর পেয়ে লালগোলা (Malda) আউট পোস্টের ওসি সিদ্ধার্থ রায়ের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

    কৃষকদের বক্তব্য

    ধলতার প্রতিবাদে চাষি প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সকাল ১০ থেকে আমরা ধান নিয়ে আমরা ক্রয় কেন্দ্রে বসে রয়েছি। কিন্তু সরকারি অফিসারার এসেছেন বেলা ২ টোর সময়। অথচ তাঁদের আসার সময় সকাল ১১ টায়। এরপর ধান মাপা হলে মসচার এসেছে ১৫.২  শতাংশ, তাই ধানের ওজন থেকে ৪ কেজি ধালতা হিসাবে বাদ দিয়ে দাম ধরা হচ্ছে। এখন সমস্যা হল যদি এভাবে চলে তাহলে কুইন্টাল প্রতি ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি বাদ দেওয়া হবে। তাই এই ভাবে আমাদের ধানের দাম কম দিলে আমরা মানব না। তাই প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মোটরকালী মোড়ে (Malda) সড়ক অবরোধ করলাম। সরকারি কোনও আধিকারিক আমাদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি ধানে কোনও চুরি মানবো না।” এছাড়াও ফজিরুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, “আগেও তো ধান বিক্রি করেছি, কিন্তু তখন ধলতা দিতে হয় নি। এবার আমরা ধলতা দেবো না।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন আসানসোলের করসেবক অভয়

    Asansol: অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন আসানসোলের করসেবক অভয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯০ সালে রাম মন্দির আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন আসানসোলের (Asansol) অভয় বাড়ানোওয়াল। এবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক পেয়ছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে এসেছে বিশেষ নিমন্ত্রণপত্র। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান হবে। ওই দিন বেলা ১১ থেকে ১ টা পর্যন্ত সময়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হবে রাম লালার মূর্তি। ওই মূর্তিতেই করা হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় অভয়বাবু আমন্ত্রণ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।

    পায়ে গুলি লেগেছিল (Asansol)

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯০ সালে রাম মন্দির আন্দোলনে যোগ দিয়ে ছিলেন আসানসোলের বাসিন্দা অভয়বাবু। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  ১৯৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাম মন্দির আন্দোলনে করসেবক হিসেবে যোগদান করে ছিলেন তিনি। আন্দোলনে যোগদান করার ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ৩০ অক্টোবর তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এরপর তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ফৈজাবাদ সদর হাসপাতালে। সেখানে তারপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বর্তমানে আগামী ২২ জানুয়ারিত রাম লালার মন্দির আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন অভয়।

    অভয়বাবুর বক্তব্য

    আসানসোলের (Asansol) বাসিন্দা অভয়বাবু বলেন, “আমন্ত্রণ পেয়ে অত্যন্ত অভিভূত। শব্দ দিয়ে প্রকাশ করতে পারব না। জীবনের সব থেকে বড় প্রাপ্তি আমার কাছে। ১৯৯০ সালে করসেবক হিসাবে গিয়েছিলাম। গত ৫০০ বছর ধরে এই দেশের মধ্যে সনাতনী হিন্দু সমাজের অনেক মানুষ রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার এবং মন্দির নির্মাণের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। আমিও একজন রাম ভক্ত এবং মন্দির নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার অন্যতম বানর সেনা। আমি ২১ অক্টোবর আমরা আসানসোল থেকে যাত্রা শুরু করি। পরের দিন বারাণসীতে পৌঁছাই। স্টেশন চত্বরে প্রচুর পুলিশ ছিল। উত্তরপ্রদেশের সরকার ছিল মুলায়ম সিং যাদবের। প্রচুর মানুষকে গ্রেফতার করে তাঁর সমাজবাদী সরকারের পুলিশ। এরপর পায়ে হেঁটে ৩৫০ কিমি অতিক্রম করে অবশেষে ২৮ অক্টোবর অযোধ্যায় পৌঁছাই। ৩০ অক্টোবর পুলিশ ব্যাপক গুলি করেছিল ঘটনাস্থলে। এরপর ঘটনাস্থলেই অনেক রামভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। আমার পায়ে গুলি লেগেছিল। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭২ ঘণ্টা পর আমার জ্ঞান ফেরে। আমি গর্বিত আমার দেশের জন্য আমার ধর্মের জন্য।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান!

    Ram Mandir: নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে এখন সাজো সাজো রব গোটা অযোধ্যায়। তবে, রাম মন্দিরের প্রভাব কেবলমাত্র দেশের সীমান্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তা ছড়িয়ে পড়েছে সুদূর মার্কিন মুলুকেও। রাম মন্দিরের উদ্বোধন এখন সেখানেও বহুচর্চিত বিষয়। এতটাই যে, আমেরিকার সর্ববৃহৎ শহরের মেয়রও রাম মন্দিরের উদ্বোধনের প্রতীক্ষায়। ইতিমধ্য়েই জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান নিউইয়র্ক শহরের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন ভারতীয় দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

    মাতা কী চৌকিতে যোগ দেন অ্যাডামস

    নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস (NYC Mayor) শনিবার গীতা মন্দিরের মাতা কী চৌকিতে হিন্দু সমাজের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ডেপুটি কমিশনার দিলীপ চৌহান। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের পুরোহিত স্বামী সত্যানন্দ। মূলত ধর্মীয় ভাবনা, আস্থা, বিশ্বাস এবং উপাসনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। একই ভাবে তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও।

    কী বললেন এরিক অ্যাডামস?

    এই প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘‘আমরা যদি নিউইয়র্কে হিন্দু সম্প্রদায়ের দিকে লক্ষ্য রাখি তাহলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিউইয়র্কে শুধু ভারতীয় হিন্দু নন, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের হিন্দু সমাজের মানুষ বসবাস করেন। এটা তাদেরকে একটা উদযাপনের সুযোগ দেয় এবং তাঁদের আধ্যাত্মিকতা আরও তুলে ধরে।” অ্যাডামসের মতে, ‘‘রাম মন্দিরের মাধ্যমে তাঁদের (হিন্দুদের) ধর্মীয় আস্থা, বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মবোধ অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রীরাম এবং সীতার আধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারা আমারা উজ্জীবিত হই। তাঁদের আত্মত্যাগ, নিবেদন এবং কর্তব্যবোধ আমাদের জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেক কিছু শেখায়। তাই শ্রী রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্তকে এই শহরে উদযাপন করা হবে।”

    দীপাবলির প্রথম ছুটি চালু করেছিলেন অ্যাডামস

    উল্লেখ্য এই মেয়র (NYC Mayor) নিউইয়র্ক শহরের মধ্যে স্কুলগুলিকে দীপাবলি উৎসব পালনের জন্য ২০২১-২২ সালে প্রথম ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ভারতীয় হিন্দু উৎসবকে (Ram Mandir) ঘিরে তাঁর একটা বিশেষ আনুগত্য রয়েছে। তাই দিলীপ চৌহান মেয়রের উদ্দেশে বলেন, “মেয়র নিজে ভারতীয় হিন্দুধর্মকে খুব ভালোবাসেন এবং তাই নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম দীপাবলির জন্য ছুটির ঘোষণা করেছিলেন।” সূত্রে জানা গিয়েছে এই শহরে এশিয়ার ভারতীয় জনসংখ্যার পরিমাণ ছিল ১৯৯০ সালে ছিল ৯৪,০০০ এবং ২০২১ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২,১৩,০০০। হিন্দু সমাজের সংস্কৃতি ও ধর্মবোধের গুরুত্ব যে অ্যামেরিকার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: খোদ পুলিশের বাড়িতেই ডাকাতি, ভোজালির কোপ, নিরাপত্তা কোথায়?

    Purba Bardhaman: খোদ পুলিশের বাড়িতেই ডাকাতি, ভোজালির কোপ, নিরাপত্তা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর দুইবার ডাকতির ঘটনা ঘটল এলাকায়। এবার ঘটেছে খোদ পুলিশের বাড়িতেই। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউস গ্রামে। পাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা ভোজালি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোড়া কলোনিতে (Purba Bardhaman) ওই পুলিশ কর্মীর বাড়ি। নাম সুশান্ত বিশ্বাস, হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় কাজ করেন তিনি। গতকাল শনিবার রাত আড়াইটার সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হানা দেয় একদল ডাকাত। বাড়তে ঢুকে বাড়ির লোকজনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর চলে লুটপাট। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের মানুষেরা ছুটে আসেন। এরপর দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলে পাশের এক প্রতিবেশী যুবককে ভোজালি দিয়ে কোপ মেরে চম্পট দেয়। এরপর জখম যুবককে সঙ্কট জনক অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে আজ রবিবার সকালে ছুটে আসে আউস গ্রামের পুলিশ। জেলা পুলিশ আমিনদীপও ঘটনা স্থলে পৌঁছান। তবে ডাকাতির কিনারা বিষয়ে কোনও তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।

    পরিবারের বক্তব্য

    পুলিশ কর্মী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী জয়ন্তী বিশ্বাস বলেন, “রাত তখন অনেক দেড়টা বাজে, বাড়ির (Purba Bardhaman) দরজায় বাইরে থেকে শব্দ এল কিন্তু তখন দরজা খুলিনি। এরপর আবার রাত্রি ২ টোর সময় শব্দ হয়। এবার স্বামী দরজা খুলতেই বেশ কিছু মুখঢাকা লোক আচমকা ঘরে ঢুকে পড়ে। ওদের হাতে অনেক অস্ত্র ছিল। সকলকে হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর সোনা-গয়না বের করার কথা বলে। নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং তিন ভরি সোনার গহনা লুট করে নেয়। আমাদের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির নরোত্তম বিশ্বাস ছুটে আসেন। কিন্তু আচমকা এলো পাথাড়ি অস্ত্র চালানোর জন্য মারাত্মক আহত হন তিনি। এরপর ডাকতেরা জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায়।”

    আগেও হয়েছে ডাকতি!

    গত দুই সপ্তাহ আগে আউসগ্রাম (Purba Bardhaman) থানার কাছেই পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বেঁধে নগদ কয়েক লক্ষ টাকা, গহনা এবং বিদেশি মুদ্রা লুট করে পালায় ডাকাত দল। সেই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ফের ডাকতি হল এবার পুলিশের বাড়িতেই। এলাকায় মানুষ তীব্র আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলবিল্ডিং! আতঙ্কে ক্লাস চলছে গাছতলাতেই

    Hooghly: যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলবিল্ডিং! আতঙ্কে ক্লাস চলছে গাছতলাতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুহূর্তে স্কুলবিল্ডিং ভেঙে পড়ার আতঙ্কে! গাছতলাতেই চলছে ক্লাস। বাড়ছে আতঙ্ক! স্কুলে কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। যখন তখন ভেঙে পড়ছে দেওয়ালের অংশ বিশেষ। খসে খসে পড়ছে স্কুল ছাদের চাঙর। বিপজ্জনক ও ভগ্নপ্রায় স্কুলবিল্ডিংয়ের জেরে বাড়ছে আতঙ্ক। তাই এবার বাধ্য হয়েই পড়াশোনা চলছে গাছের তলায়। এমনই ছবি হুগলির (Hooghly) আরামবাগের মলয়পুর দক্ষিণপাড়া বামাপদ দত্ত নিম্নবুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

    শিক্ষকদের বক্তব্য (Hooghly)

    জানাগেছে, আরামবাগ (Hooghly) মহকুমার মলয়পুরের এই স্কুল ভবনের একাংশ বহু পুরাতন। বেশ কয়েকবার মেরামতি করার চেষ্টা করা হলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। উল্টে চাঙর খসে আহত হয় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। তারপর থেকেই দুটি শ্রেণির পড়ুয়াদের বাধ্য হয়েই স্কুল মাঠের গাছের তলায় পড়াশোনা চালাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষকেরা বলেন, “বর্ষার সময় অথবা বৃষ্টি হলে বাধ্য হয়ে বিপদজনক সেই স্কুলের ভাঙা ক্লাস রুমের মধ্যেই পড়াশোনা চালাতে হয়।” শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকারা নয়, ছাত্র-ছাত্রীরাও বলে, “প্রতিটা মুহূর্তে আতঙ্কে ও ভয়ে ভয়ে স্কুলে ভাঙা ক্লাস রুমে পড়াশোনা করতে হয়।” শিক্ষক সহ অভিভাবকদের অভিযোগ, বারেবারে সরকারি বিভিন্ন দফতরে জানানো হলেও কোনও ফল হয়নি।

    অভিভাবকের বক্তব্য

    স্থানীয়(Hooghly) স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা বলেছেন, “এই স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পঠন-পাঠন খুবই ভালো হয়। তাই এই স্কুলে অনেক দূর থেকেও ছেলে-মেয়েরা আসে। কিন্তু স্কুলের এমন ভগ্নদশার জেরে একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে বিপদের আশঙ্কা নিয়ে পড়াশোনা করছে, অন্যদিকে আমরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকি।” অনেক অভিভাবকই এই স্কুল থেকে ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে প্রত্যেক বছরই কমে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা।

    স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য

    তবে স্কুলের এমন জীর্ণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নেন স্কুল পরিদর্শক। আরামবাগ (Hooghly) পূর্ব চক্রের স্কুল পরিদর্শক অবন্তি পোড়েল বলেন, “সমস্ত তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবেদন করা হয়েছে তিনটি রুমের নতুন ভবনের জন্য। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে পুলিশের বাধা। কিন্তু নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকে বিজেপি। সড়কে বসে প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জানায় বিজেপি। সেই সঙ্গে চলে ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে হিরণ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু মমতার গুন্ডাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে এখানে পাঠিয়ে অশান্তির চেষ্টা করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ নেই আর এখানে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কোথায় মিছিল চলছিল (Sukanta Majumdar)?

    আজ রবিবার হুগলির ডানকুনি থেকে ১২ কিমি পর্যন্ত হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজপির বাইক মিছিলের মাধ্যমে সংকল্প যাত্রা চলছিল। এই যাত্রা আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। এই যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উল্লেখ্য এই বাইকের মিছিল পুলিশ আটকাবে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে যাত্রা করা হয়েছিল। আর তার ফলেই বাধে গোলমাল। প্রথমে এস এন মুখার্জি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এরপর বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর আবার ডানকুনি হাউজিং মোড়ে পুলিশ আটকালে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এরপর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পুলিশের দুই কর্মী আমার মাথায় আঘাত করেছে। কার্যত পুলিশ এখন তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। আমরা কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চাইনি। কিন্তু পুলিশদের আজ অহেতুক অত্যাচারে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের যে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে এরপর আমরা এবার থানা ঘেরাও করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share