Tag: madhyom news

madhyom news

  • ISSA: সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণে মোদি সরকারকে বিশেষ সম্মাননা আইএসএসএ-র

    ISSA: সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণে মোদি সরকারকে বিশেষ সম্মাননা আইএসএসএ-র

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: এবার মোদি সরকারের (PM Modi) সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে সম্প্রসারণের কাজের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব। ভারতের এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা (ISSA) পুরষ্কার ২০২৫- সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে ভারতকে। এই পুরস্কারকে বলা হয় সামাজিক সুরক্ষায় অসামান্য সাফল্য অর্জন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়  মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা ফোরাম (WSSF) ২০২৫-এ যোগদান করে ভারতের পক্ষে এই পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী ১৬৩টি দেশের ১,২০০ জনেরও বেশি নীতিনির্ধারক এবং বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। মোদির নেতৃত্বে ভারতের মুকুটে আরও এক পালক।

    বিশ্বে পঞ্চম স্থান দখল ভারতের (ISSA)

    এই সম্মাননা হল ত্রিবার্ষিক পুরস্কার। ভারতের সামাজিক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতকে ২০১৫ সালে ১৯% থেকে ২০২৫ সালে ৬৪.৩%-এ সম্প্রসারণ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের ৯৪ কোটিরও বেশি নাগরিককে উপকৃত করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের মতো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) কর্তৃক এই মূল্যায়নকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখার পক্ষপাতী বিশেজ্ঞরা। এই খেতাব অর্জন করে ভারত এখন বিশ্বে পঞ্চমস্থান দখল করে নিয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন অগ্রগণ্য।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় বলেন, “গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ভারত ২০২৫ সালে সামাজিক নিরাপত্তায় অসাধারণ সাফল্যের জন্য মর্যাদাপূর্ণ আইএসএসএ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। মোদিজি প্রতিটি নাগরিকের জন্য সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার এই প্রমাণ প্রকৃষ্ট প্রমাণ। গত দশকে, ভারত বিশ্বের দ্রুততম সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণনীতির সাক্ষী হয়েছে।  যা ২০১৫ সালে ১৯% থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৬৪.৩% হয়েছে, যা ৯৪ কোটিরও বেশি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”

    পিছিয়ে থাকা বর্গের শেষ ব্যক্তিকে ক্ষমতায়ন

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় (PM Modi) এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর অন্ত্যোদয়ের দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক অংশের ক্ষমতায়নে সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই পুরস্কার (ISSA) আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবনা চিন্তার ফসল। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাবনাই আমাদের পথপ্রদর্শক নীতি। সমাজের একদম পিছিয়ে থাকা শ্রেণির শেষ ব্যক্তিকে ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে নিয়ে আসায় বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। আর এটি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার মন্ত্রই আমাদের যাত্রাকে একটি বিশেষ রূপ দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানাই।”

    ৩১ কোটিরও বেশি শ্রমিককে নিবন্ধন করেছেন

    সামাজিক সুরক্ষাকে সম্প্রসারণের একটি মূল চালিকাশক্তি হল ই-শ্রম পোর্টাল (ISSA)। এটি  ২০২১ সালে চালু হওয়া একটি জাতীয় ডিজিটাল ডাটাবেস। মাত্র চার বছরে ৩১ কোটিরও বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিককে নিবন্ধিত করেছে। এই পোর্টালটি বহুভাষিক ইন্টারফেসের মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে শ্রমিকদের সংযুক্ত করার জন্য “ওয়ান-স্টপ সমাধান” রূপে কাজ করে আসছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস (এনসিএস) পোর্টালের কাজের বিষয়ে বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা ভেবে বিশ্বব্যাপী সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য ই-শ্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের সামগ্রিক পরিসরকে আরও জোরদার করতে হবে। আর্থিক বিলগ্নীকরণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং একটি শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরির জন্য এই ডিজিটাল পোর্টাল বিশেষ ভাবে কাজ করবে।”

    অসাধারণ সাফল্য অর্জন

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডবীয় (PM Modi) নিবন্ধন করা সকল শ্রমিক-কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা, বীমা, পেনশন প্রকল্প প্রদান এবং ভবিষ্যতের তহবিল সংস্থা (EPFO) এবং রাজ্য বীমা কর্পোরেশন (ESIC) এর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভারত একটি সামগ্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন আয়ের সুযোগ এবং সামাজিক সুরক্ষার একটি বড় পরিসর তৈরি করতে প্রযুক্তিও ব্যবহার করার কাজ শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা আরও প্রস্তুত।” আইএসএসএ তার অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, “২০২৫ সালে সামাজিক নিরাপত্তায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। আইএসএসএ (ISSA) পুরস্কার জেতার জন্য ভারত সরকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন।”

  • Ramakrishna 479: “‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌”

    Ramakrishna 479: “‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সত্যকথা কলির তপস্যা — ঈশ্বরকোটি ও জীবকোটি

    একজন ভক্ত—মহাশয়, নব-হুল্লোল বলে এক মত বেরিয়েছে। শ্রীযুক্ত ললিত চাটুজ্যে তার ভিতর আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—নানা মত আছে। মত পথ। কিন্তু সব্বাই মনে করে, আমার মতই ঠিক — আমার ঘড়ি ঠিক চলছে।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি)—পোপ কি বলেন? It is with our judgements ইত্যাদি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—এর মানে কি গা?

    মাস্টার—সব্বাই মনে করে, আমার ঘড়ি ঠিক যাচ্ছে, কিন্তু ঘড়িগুলো পরস্পর মেলে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে অন্য ঘড়ি যত ভুল হউক না, সূর্য কিন্তু ঠিক যাচ্ছে। সেই সূর্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হয়।

    একজন ভক্ত—অমুকবাবু বড় মিথ্যা কথা কয় (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সত্যকথা কলির তপস্যা। কলিতে অন্য তপস্যা কঠিন। সত্যে থাকলে ভগবানকে পাওয়া যায়। তুলসীদাস বলেছে, ‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌।’

    “কেশব সেন বাপের ধার মেনেছিল, অন্য লোক হলে কখনও মানতো না, একে লেখাপড়া নাই। জোড়াসাঁকোর দেবেন্দ্রের সমাজে গিয়ে দেখলাম, কেশব সেন বেদীতে বসে ধ্যান করছে। তখন ছোকরা বয়েস। আমি সেজোবাবুকে বললাম, যতগুলি ধ্যান করছে এই ছোকরার ফতা (ফাত্‌না) ডুবেছে,—বড়শির কাছে মাছ এসে ঘুরছে।

    “একজন—তার নাম করবো না—সে দশহাজার টাকার জন্য আদালতে মিথ্যা কথা কয়েছিল। জিতবে বলে আমাকে দিয়ে মা-কালীকে অর্ঘ্য দেওয়ালে। আমি বালকবুদ্ধিতে অর্ঘ্য দিলুম! বলে, বাবা এই অর্ঘটি মাকে দাও তো!”

    ভক্ত—আচ্ছা লোক!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কিন্তু এমনি বিশ্বাস আমি দিলেই মা শুনবেন!

    ললিতবাবুর কথায় ঠাকুর বলিতেছেন —

    “অহংকার কি যায় গা! দুই-এক জনের দেখতে পাওয়া যায় না। বলরামের অহংকার নাই। আর এঁর নাই!—অন্য লোক হলে কত টেরী, তমো হত—বিদ্যার অহংকার হতো। মোটা বামুনের এখনও একটু একটু আছে! (মাস্টারের প্রতি) মহিম চক্রবর্তী অনেক পড়েছে, না?”

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ, অনেক বই পড়েছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—তার সঙ্গে গিরিশ ঘোষের একবার আলাপ হয়। তাহলে একটু বিচার হয়।

    গিরিশ (সহাস্যে)—তিনি বুঝি বলেন (Kathamrita) সাধনা করলে শ্রীকৃষ্ণের মতো সব্বাই হতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক তা নয়,—তবে আভাসটা ওইরকম।

    ভক্ত—আজ্ঞা, শ্রীকৃষ্ণের মতো সব্বাই কি হতে পারে?

  • RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) শতবর্ষ উদযাপনে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। বিশ্বে আরএসএসের মতো আরও সামাজিক সংগঠন থাকা প্রয়োজন। এই পাক ক্রিকেটারের সাফ কথা, হিন্দু হওয়ার জন্য পাকিস্তানে তাঁকে নানা রকম ভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিজয় দশমীর দিন শতবর্ষে পদার্পণ করেছে আরএসএস। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনেই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার সংঘকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    ‘‘সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা’’ (RSS at 100)

    পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ (Danish Kaneria) বলেন, “নিজেদের পক্ষে কোনও রকম কৃতিত্ব বা স্বীকৃতি না চেয়ে আরএসএস সমাজে সেবামূলক কাজ করে যায়। এই ধরনের সংগঠন সমাজে আরও প্রয়োজন। আমি বিশ্বজুড়ে আরএসএস-এর কাজ দেখেছি। যে কোনও দুর্যোগের কাজে তারা কাজ করে, সমাজ সেবায় তারা সব সময় নিবেদিতপ্রাণ। দুর্গতদের ত্রাণ, অসহায় ও পিছিয়ে থাকাদের মধ্যে ক্ষমতায়ন করা এবং তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করা এই সংগঠনের প্রধান কাজ। জাতি, বর্ণ, ধর্মের সীমায় আবদ্ধ নয় কেবলমাত্র মানব সেবায় স্বয়ং সেবকরা কাজ করে চলেন। এই সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।”

    ‘‘পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ’’

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এই স্পিনার বারবার বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের কথা বলে সরব হয়েছিলেন। পাকিস্তানে কীভাবে ধর্মীয় বৈষম্যের স্বীকার হন হিন্দুরা, সেই কথাই বলেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর জীবনের কেরিয়ারকে শেষ করে দিয়েছে এই ইসলামপ্রধান রাষ্ট্র। অগত্যা দেশ ত্যাগ করে এখন আমেরিকায় বসবাস করছেন দানিশ। তিনি (Danish Kaneria) বলেছিলেন, “বর্তমানে পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ। পহেলগাঁওতে হামলার পর পাকিস্তানের উপর প্রত্যঘাতে অভিনন্দন মোদিকে। জঙ্গি হামলায় যদি পাকিস্তানের হাত না থাকে তাহলে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেন নিন্দা জানাননি? আপনি সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। আপনার লজ্জা থাকা উচিত।” পাকিস্তানে হিন্দুদের কীভাবে জোর করে ধর্মান্তর করা হয় তা নিয়েও তোপ দেগেছিলেন দানিশ। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল শহিদ আফ্রিদি নানা ভাবে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিতেন। হিন্দুদেবদেবীদের গালাগালি এবং অবমাননাকর যুক্ত মন্তব্যও করেছিলেন মুসলিম ক্রিকেটাররা।

  • UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ইউপিআই (UPI) লেনদেন বিনামূল্যই থাকবে। লেনদেনে লাগবে না কোনও রকম অতিরিক্ত চার্জ। এমনটাই সুনিশ্চিত করে জানালেন ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। নতুন চার্জের একটা ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টে মডেলের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো গুজব রটে গিয়েছিল, তাই এবার গভর্নরের সিদ্ধান্তে কাটলো ধোঁয়াশা।

    ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ে প্ল্যাটফর্ম (UPI)

    গত বুধবার আরবিআই-এর (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটেল পেমেন্ট ইন্টারফেস লেনদেন (UPI) ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে থাকবে। কোনও রকম চার্জ স্বরূপ টাকা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উভয়েই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখা হবে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা

    তবে ভারতের ইউপিআই (UPI) লেনদেন এখন বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিল পরিশোধ, কেনাকাটায় এখন একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হল এই ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা। তবে ইউপিআই পরিষেবায় একটা বিশেষ খরচ আছে। এখন গ্রাহকদের দিতে না হলেও আগামীদিনে এইম খরচ তো বহন করতেই হবে। তবে গ্রাহক নিজে বহন করবেন নাকি সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তাও একবার ভালো করে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবে কোনও কিছু কার্যকর হচ্ছে না।

    পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেণ্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট অবশ্য নিজের আইনের বলে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রহক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যেই হন না কেন অতরিক্ত কর চাপানোর অনুমতি দেয় না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ গ্রহকদের বেশি বেশি পরিমাণে ডিজিটাল পরিষেবায় যাতে অংশগ্রহণ বাড়ে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার।

  • Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাব—ব্রাহ্মণীর সেবা

    “কামিনী-কাঞ্চনই সংসার—ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।”

    গিরিশ—কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ে কই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, বিবেকের জন্য প্রার্থনা কর। ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য—এরই নাম বিবেক! জল-ছাঁকা দিয়ে জল ছেঁকে নিতে হয়। ময়লাটা একদিকে পড়ে-ভাল জল একদিকে পড়ে, বিবেকরূপ জল-ছাঁকা আরোপ করো। তোমরা তাঁকে জেনে সংসার করো। এরই নাম বিদ্যার সংসার।

    “দেখ না, মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের। পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়। যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে বসে আছে, তখন বলি (Kathamrita), আহা! এরা গেছে। (মাস্টারের দিকে তাকাইয়া)—হারু এমন সুন্দর ছেলে, তাকে পেতনীতে পেয়েছে! — ‘ওরে হারু কোথা গেল’, ‘ওরে হারু কোথা গেল’। সব্বাই গিয়ে দেখে হারু বটতলায় চুপ করে বসে আছে। সে রূপ নাই, সে তেজ নাই, সে আনন্দ নাই! বটগাছের পেতনীতে হারুকে পেয়েছে।

    “স্ত্রী যদি বলে ‘যাও তো একবার’—অমনি উঠে দাঁড়ায়, ‘বসো তো’—আমনি বসে পড়ে।

    “একজন উমেদার বড়বাবুর কাছে আনাগোনা করে হায়রান হয়েছে। কর্ম আর হয় না। আফিসের বড়বাবু। তিনি বলেন, এখন খালি নাই, মাঝে মাঝে এসে দেখা করো। এইরূপে কতকাল কেটে গেল-উমেদার হতাশ হয়ে গেল। সে একজন বন্ধুর কাছে দুঃখ করছে। বন্ধু বললে তোর যেমন বুদ্ধি।—ওটার কাছে আনাগোনা করে পায়ের বাঁধন ছেঁড়া কেন? তুই গোলাপকে ধর, কালই তোর কর্ম হবে। উমেদার বললে, বটে!—আমি এক্ষণি চললুম। গোলাপ বড়বাবুর রাঁড়। উমেদার দেখা করে বললে, মা, তুমি এটি না করলে হবে না—আমি মহাবিপদে পড়েছি। ব্রাহ্মণের ছেলে (Kathamrita) আর কোথায় যাই! মা, অনেকদিন কাজকর্ম নাই, ছেলেপুলে না খেতে পেয়ে মারা যায়। তুমি একটি কথা বলে দিলেই আমার একটি কাজ হয়। গোলাপ ব্রাহ্মণের ছেলেকে বললে, বাছা, কাকে বললে হয়? আর ভাবতে লাগল, আহা, ব্রাহ্মণের ছেলে বড় কষ্ট পাচ্ছে! উমেদার বললে, বড়বাবুকে একটি কথা বললে আমার নিশ্চয় একটা কর্ম হয়। গোলাপ বললে, আমি আজই বড়বাবুকে বলে ঠিক করে রাখব। তার পরদিন সকালে উমেদারের কাছে একটি লোক গিয়ে উপস্থিত; সে বললে, তুমি আজ থেকেই বড়বাবুর আফিসে বেরুবে। বড়বাবু সাহেবকে বললে, ‘এ ব্যক্তি বড় উপযুক্ত লোক। একে নিযুক্ত করা হয়েছে, এর দ্বারা আফিসের বিশেষ উপকার হবে।’

    “এই কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে সকলে ভুলে আছে। আমার কিন্তু ও-সব ভাল লাগে না—মাইরি বলছি, ঈশ্বর (Ramakrishna) বই আর কিছুই জানি না।”

  • BJP: দশমী থেকেই শুরু বিজেপির ভোটের প্রস্তুতি, কলকাতায় এলেন দলের ২ ভোট পর্যবেক্ষক

    BJP: দশমী থেকেই শুরু বিজেপির ভোটের প্রস্তুতি, কলকাতায় এলেন দলের ২ ভোট পর্যবেক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দশমী অতিক্রম করে উমা এখন কৈলাশের পথে। বঙ্গের আকাশে বাতাসে এখন দেবী উমা স্বামী গৃহে ফিরে যাওয়ায় বিষাদের সুর। দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই বঙ্গ বিজেপি ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে পুজোর আগেই বঙ্গ নির্বাচনের দুই পর্যবেক্ষক (Election Observers) নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি (BJP)। এবার ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তেই কলকাতায় এসেছেন ভুপেন্দ্র যাদব এবং বিপ্লব দেব। জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মাজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই সঙ্গে দলের একাধিক সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংও করবেন। তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগে ভাগেই ময়দানে তৎপর।

    সোনার বাংলা গড়ার ডাক বিজেপির (BJP)

    মাত্র আর সাত মাস পরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিজেপির বেশ সক্রিয় হয়ে উঠছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এই রাজ্যের ভোটে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং যাদব এবং রাজ্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনকেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আনতে যান রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। যদিও রাজ্য বিজেপি আগেই জানিয়েছে পুজোর পর থেকেই কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে আসতে শুরু করবেন। দুর্গাপুজোয় উদ্বোধন করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী নির্বাচনে (Election Observers) জয়ী হয়ে বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তাই বিজেপির (BJP) কর্মী সমর্থককের মধ্যে এখন রাজনৈতিক উত্তেজনা চরম তুঙ্গে।

    নির্বাচনী প্রভারীদের কাজ নতুন নয়

    রাজ্যের ভোটে কোনও সর্ব ভারতীয় স্তরের নেতাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক (Election Observers) হিসেবে নিয়োগ করার ঘটনা বিজেপিতে নতুন ঘটনা নয়। ২০০৬  এবং ২০১১ সালে বঙ্গ নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ছিলেন অরুণ জেটলি। ২০১৬ সালে এই দায়িত্বে এসেছিলেন নির্মলা সীতারামন। ২০২১ সালে এই দায়িত্বে কাউকে না দিলেও সংগঠনের কাজ দেখেছিলেন শিব প্রকাশ আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেই সময়েও ভুপেন্দ্র যাদব নির্বাচনী কাজ দেখার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যেহেতু তৃণমূল নিজের দুর্নীতির দায়েই জর্জরিত তাই এই অবস্থায় তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ময়দানে আরও সক্রিয় ভাবে নেমে পড়েছে বিজেপি। সাধারণ জনমানুষের মধ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে বিজেপির (BJP) লড়াই এখন কোন কোন স্তরে হয় তাই দেখার। তবে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মনে বিপুল উৎসাহ।

  • RSS at 100: “সংঘ রাষ্ট্র সেবায় নিবেদিতপ্রাণ”, শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অমিত শাহ

    RSS at 100: “সংঘ রাষ্ট্র সেবায় নিবেদিতপ্রাণ”, শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিজয় দশমীর দিনে নাগপুর সদর দফতরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) শতবর্ষ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। পরাধীন ভারতে পাঠান, মুঘল, ব্রিটিশদের অত্যাচারে ভারতীয় হিন্দু সমাজকে খণ্ড খণ্ড করে বিভাজিত করে রাখার চক্র চরম সীমায় ছিল। দেশ স্বাধীন হলে হিন্দু সমাজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোন স্রোতে বইবে, তাই সমগ্র ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজে জাগরণ এবং সমাজপরিবর্তন করে রাষ্ট্রকে পুনঃনির্মাণ করতে সংঘের কাজ শুরু হয়। এবার শতবর্ষে পদার্পণ করার পর আরএসএসকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তিনি বলেন, “সংঘের স্বয়ংসেবকরা রাষ্ট্র এবং ভারতীয় সমাজের জন্য সেবা-সুরক্ষায় সবরকম ভাবে নিবেদিতপ্রাণ।”

    সংঘের যাত্রাপথ মহাযাত্রাপথ (RSS at 100)

    সংঘের শতবর্ষ পদার্পণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমিত শাহ (Amit shah) বলেন, “আমি একজন গর্বিত স্বয়ং সেবক। সংঘ গত ১০০ বর্ষে অসংখ্য নেতা তৈরি করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS at 100)। সংঘের শতবর্ষ পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাদের এই মহাযাত্রাপথে আরএসএসের নিবেদিতপ্রাণকে প্রণাম জানাই। ভারতমাতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত কাজে নিযুক্ত করায় প্রত্যেকের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।”

    অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলনেও সংঘ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ংসেবকদের (RSS at 100) ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “দেশের জন্য সেবা করতে স্বয়ং সেবকরা সমস্ত অবসর জীবন ও আরামকে ত্যাগ করে থাকেন। সংঘের প্রচারকরা সব কিছু ত্যাগ করে দেশের জন্য সর্বস্ব নিয়োগ করেন। গত ১০০ বছর ধরে এইভাবেই কাজ চলছে সংঘের। আমি নিজেও একজন সামান্য স্বয়ংসেবক হয়ে গর্বিত। এতো পুরাতন একটি সংগঠনের উত্তরসূরী আমরাও। দেশের জন্য সংঘকাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যেমন- হায়দ্রাবাদ ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণ, জরুরি অবস্থার সময় আন্দোলন করা, গোয়ার জন্য আন্দোলন, এককথায় সকল ক্ষেত্রেই সংঘ সামাজিক আন্দোলন করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যেকোন যুদ্ধ বা দুর্যোগের পরিস্থিতিতে সংঘ সব সময় ভারতীয় সেনাকে সমর্থন করে নানা কাজ করেছে। ধারা ৩৭০ অবলুপ্তি, উত্তর-পূর্বে অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘের ভূমিকাও প্রশংসনীয় ছিল।”

  • RSS at 100: ‘‘বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত’’, সংঘের শতবর্ষে বললেন রাধাকৃষ্ণণ

    RSS at 100: ‘‘বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত’’, সংঘের শতবর্ষে বললেন রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত। বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) ভূমিকা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।’’ আরএসএস-এর শতবর্ষ পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে মত প্রকাশ করেছেন দেশের নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “নিঃস্বার্থ সেবা বলতে যা বোঝায় তাই করে আরএসএস। শুক্রবার বিজয়দশমীতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। নাগপুরের মুখ্যকার্যালয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত শুভ সূচনা করেছেন। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।

    অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরায়ণ (RSS at 100)

    উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan) নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ভারতে নানাবিধ সামাজিক সংগঠনের মধ্যে সর্বাধিক রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের ভূমিকা পালন করছে আরএসএস (RSS at 100)। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছে। ব্যক্তি নির্মাণ, চরিত্র গঠন, দেশাত্মবোধ এই সংগঠনের প্রধান আদর্শ। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরায়ণ এবং দায়িত্বশীল হয়ে সমাজে সব সময় কাজ করে চলে আসছে আরএসএস। সকল ভাবনায় দেশের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে এই সংগঠন।”

    বৈচিত্রের মধ্যে একতার খোঁজ করে

    উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan) আরও বলেন, “১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসকে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যুব সমাজকে শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দানের কাজ করে আসছে আরএসএস (RSS at 100)। যুব সমাজকে শক্তিশালী এবং অভ্যন্তরীণ চরিত্র গঠন করে স্বেচ্ছায় সেবা প্রদানের কাজ করে আসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সেবার পরম ধর্মকেই নীতিবাক্য মনে করে সংঘ। বন্যা, দুর্বিক্ষ, ভূমিকম্প এবং দুর্যোগে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে স্বয়ংসেবকরা। সংঘ জাতি-বর্ণ-ভাষার বৈচিত্রের মধ্যে একতার খোঁজ করে। ভারত বিশ্বে তাই দ্রুত সর্ব শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে।”

  • Ramakrishna 477: “মহাভাব ঈশ্বরের ভাব এই দেহ-মনকে তোলপাড় করে দেয়”

    Ramakrishna 477: “মহাভাব ঈশ্বরের ভাব এই দেহ-মনকে তোলপাড় করে দেয়”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাব—ব্রাহ্মণীর সেবা

    গিরিশ, মাস্টার প্রভৃতিকে সম্বোধন করিয়া ঠাকুর নিজের মহাভাবের অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তদের প্রতি—সে অবস্থার পরে আনন্দও যেমন, আগে যন্ত্রণাও তেমনি। মহাভাব ঈশ্বরের ভাব (Kathamrita)— এই দেহ-মনকে তোলপাড় করে দেয়! যেন একটা বড় হাতি কুঁড়ে ঘরে ঢুকেছে। ঘর তোলপাড়! হয়তো ভেঙেচুড়ে যায়!

    “ঈশ্বরের বিরহ-অগ্নি সামান্য নয়। রূপসনাতন যে গাছের তলায় বসে থাকতেন ওই অবস্থা হলে এইরকম আছে যে, গাছের পাতা ঝলসা-পোড়া হয়ে যেত! আমি এই অবস্থায় তিনদিন অজ্ঞান হয়ে ছিলাম। নড়তে-চড়তে পারতাম না, এক জায়গায় পড়েছিলাম। হুঁশ হলে বামনী আমায় ঘরে স্নান করাতে নিয়ে গেল। কিন্তু হাত দিয়ে গা ছোঁবার জো ছিল না। গা মোটা চাদর দিয়ে ঢাকা। বামনী সেই চাদরের উপর হাত দিয়ে আমায় ধরে নিয়ে গিছল। গায়ে যে সব মাটি লেগেছিল, পুড়ে গিছল!

    “যখন সেই অবস্থা আসত শিরদাঁড়ার ভিতর দিয়ে যেন ফাল চালিয়ে যেত! ‘প্রাণ যায়, প্রাণ যায়’ এই করতাম। কিন্তু তারপরে খুব আনন্দ!”

    ভক্তেরা এই মহাভাবের অবস্থা বর্ণনা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)—এতদূর তোমাদের দরকার নাই। আমার ভাব কেবল নজিরের জন্য। তোমরা পাঁচটা নিয়ে আছ, আমি একটা নিয়ে আছি। আমার ঈশ্বর বই কিছু ভাল লাগে না। তাঁর ইচ্ছে। (সহাস্যে) একডেলে গাছও আছে আবার পাঁচডেলে গাছও আছে। (সহলের হাস্য)

    “আমার অবস্থা নজিরের জন্য। তোমরা সংসার করো, অনাসক্ত হয়ে। গায়ে কাদা লাগবে কিন্তু ঝেড়ে ফেলবে, পাঁকাল মাছের মতো। কলঙ্কসাগরে সাঁতার দেবে—তবু গায়ে কলঙ্ক লাগবে না।”

    গিরিশ (সহাস্যে)—আপনারও তো বিয়ে আছে। (হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সহাস্য—সংস্কারের জন্য বিয়ে করতে হয়, কিন্তু সংসার আর কেমন করে হবে! গলায় পৈতে পরিয়ে দেয় আবার খুলে খুলে পড়ে যায় — সামলাতে পারি নাই। একমতে আছে, শুকদেবের বিয়ে হয়েছিল (Kathamrita)— সংস্কারের জন্য। একটি কন্যাও নাকি হয়েছিল। (সকলের হাস্য)

  • PM Modi: ‘‘সংঘ পুণ্যময় অবতার, শাখা অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল’’, আরএসএসের শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদির

    PM Modi: ‘‘সংঘ পুণ্যময় অবতার, শাখা অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল’’, আরএসএসের শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদির

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: নেশন ফার্স্ট। অর্থাৎ দেশ আগে। ঠিক এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২০২৫ সালের বিজয় দশমীতেই শতবর্ষে পদার্পণ করেছে আরএসএস। এবার এই সামাজিক সংগঠনের হয়ে সমাজমাধ্যমে কলম ধরেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। বুধবার নতুন দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সেখাওয়াত এবং সংঘের (RSS at 100) সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবেলের উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি শতবর্ষ উপলক্ষে ডাকটিকিট এবং মুদ্রা প্রকাশ করেছেন। শতবর্ষের এই পুরাতন সামাজিক সংগঠন কীভাবে ব্যক্তি নির্মাণ করে? ব্যক্তি থেকে পরিবার এবং পরিবার থেকে দেশ তথা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের কথাই বৃহস্পতিবার, বিজয় দশমীর দিন নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরএসএস-এর উপর একটি বিশেষ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। সেই প্রবন্ধে সংঘের কাজ সম্পর্কে নানা দিক তুলে ধরেছেন। এরপর নিজের লেখাটি যে ব্লগে প্রকাশ পেয়েছে তা এক্স হ্যান্ডলের তুলে ধরেছেন। মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সম্পর্কে লিখেছেন, “একশ বছর আগে বিজয়দশমীর দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য স্বয়ং সেবক এই সংকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আমি সংঘের (RSS at 100) প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করছি। গত ১০০ বছর ধরে ভারত নির্মাণ এবং সেবা কাজে আরএসএস ব্যাপক ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।”

    অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল শাখা

    আরএসএস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, সংঘ হল পুণ্যময় অবতার। স্বয়ংসেবকরা সামজসেবা, শিক্ষা, নারীর প্রগতি, জনজাতি সমাজের কল্যাণ, জরুরি সঙ্কটের সময় ত্রাণকাজ, এককথায় সকল স্তরে আরএসএস সামাজিক দায়বদ্ধতায় এগিয়ে থেকে কাজ করে আসছে গত ১০০ বছর ধরে। আরএসএস হল একটি নদীর মতো। তার সঙ্গে স্পর্শে থাকা সব কিছুকেই লালন পালন করে সে। নিজের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে নেয়। দেশপ্রেম, ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরম্পরা, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন এবং ইতিহাসবোধের প্রতি শ্রদ্ধা ভাবকে পুনঃস্মরণ করার কাজ করে সংঘ। সংঘের শাখায় নিয়মিত স্বয়ংসেবকরা এই সব অনুশীলন করেন। মোদির ভাবনায় শাখাই (RSS at 100) হল অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল। আবার এই শাখাই মানুষকে নিঃস্বার্থ করে। এই দুইয়ে সমন্বয়েই ব্যক্তি নির্মাণ হয়।

    শতবর্ষে মাইলফলেক সংঘ

    অপর দিকে ব্রিটিশ ভারত তথা পরাধীন ভারতেও শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সংঘ নিজের মতো করে সমাজ-রাষ্ট্র-দেশ জাগরণের নিরলস ভাবে কাজ করে গিয়েছে। সামাজিক মুক্তি, বৈষম্য এবং অস্পৃশ্যতার বিরদ্ধে আরএসএস লাগাতার অভিযান চালিয়ে হিন্দু সমাজকে এক করার কাজ করে গিয়েছে। জাতিভেদ বর্ণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সংগঠন। সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত এলাকায় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের এক ও অখণ্ডতার বার্তা দেয় সংঘ। সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মান্তরণ, হিন্দুত্ব জাগরণে বিশেষ বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সঙ্ঘ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “আদিবাসী, বনবাসী, তফশিলি জাতিকে মুখ্যধারায় আনার জন্য সামাজিক কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আরএসএস। সংঘ নিপীড়িত মানুষের পাশে বারবার দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে সবার আগে পৌঁছে গিয়েছে। সংঘের স্বয়ংসেবকরা মনে করেন সর্বপরি রাষ্ট্র আগে। তাইতো দেশ ভক্তি, রাষ্ট্রভক্তির সঙ্গে কোনও দিন আপোষ করেনা স্বয়ংসেবকরা।” সংঘ কাজের মধ্যে জনসংখ্যার ভারসাম্য, পারিবারিক মূল্যবোধ, পরিবেশ রক্ষা, আত্মীয়তা বোধ, স্ব-এর বোধ এবং নাগরিক কর্তব্যের মতো বিষয়গুলিকে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাই সংঘ (RSS at 100) কাজের এই দৃষ্টান্তগুলি শতবর্ষে মাইলফলেকের মতো কাজ করবে।

LinkedIn
Share