Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    রামালাল (Ramakrishna) আবার গাইলেন:

    ভবদারা ভয়হরা নাম শুনেছি তোমার,
    তাইতে এবার দিয়েছি ভার তারো তারো না তারো মা।
    তুমি মা ব্রহ্মাণ্ডধারী ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিকে,
    কে জানে তোমারে তুমি কালী কি রাধিকে,
    ঘটে ঘটে তুমি ঘটে আছ গো জননী,
    মূলাধার কমলে থাক মা কুলকুণ্ডলিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নামে স্বাধিষ্ঠান,
    চতুর্দল পদ্মে তথায় আছ অধিষ্ঠান,
    চর্তুদলে থাক তুমি কুলকুণ্ডলিনী,
    ষড়দল বজ্রাসনে বস মা আপনি।
    তদূর্ধ্বেতে নাভিস্থান মা মণিপুর কয়,
    নীলবর্ণের দশদল পদ্ম যে তথায়,
    সুষুম্নার পথ দিয়ে এস গো জননী,
    কমলে কমলে থাক কমলে কামিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো সুধা সরোবর,
    রক্তবর্ণের দ্বাদশদল পদ্ম মনোহর,
    পাদপদ্মে দিয়ে যদি এ পদ্ম প্রকাশ।
    (মা), হৃদে আছে বিভাবরী তিমির বিনাশ।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।
    তদূর্ধ্বে ললাটে স্থান মা আছে দ্বিদল পদ্ম,
    সদায় আছয়ে মন হইয়ে আবদ্ধ।
    মন যে মানে না আমার মন ভাল নয়,
    দ্বিদলে বসিয়া রঙ্গ দেখয়ে সদায়।
    তদূর্ধ্বে মস্তকে স্থান মা অতি মনোহর,
    সহস্রদল পদ্ম আছে তাহার ভিতর।
    তথায় পরম শিব আছেন আপনি,
    সেই শিবের কাছে বস শিবে মা আপনি।
    তুমি আদ্যাশক্তি মা জিতেন্দ্রিয় নারী,
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ভাবে নগেন্দ্র কুমারী।
    হর শক্তি হর শক্তি সুদনের এবার,
    যেন না আসিতে হয় মা ভব পারাবার।
    তুমি আদ্যাশক্তি মাগো তুমি পঞ্চতত্ত্ব,
    কে জানে তোমারে তুমি তুমিই তত্ত্বাতীত।
    ওমা ভক্ত জন্য চরাচরে তুমি সে সাকার,
    পঞ্চে পঞ্চ লয় হলে তুমি নিরাকার।

    নিরাকার সচ্চিদানন্দ দর্শন—ষট্‌চক্রভেদ—নাদভেদ ও সমাধি 

    শ্রীযুক্ত রামলাল যখন গাহিতেছেন (Kathamrita):

    “তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।”

    তখন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে বলিতেছেন—

    “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন। বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ।”

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এই মায়া-জীব-জগৎ পার হয়ে গেলে তবে নিত্যতে পৌঁছানো যায়। নাদ ভেদ হলে তবে সমাধি হয়। ওঁকার সাধন করতে করতে নাদ ভেদ হয়, আর সমাধি হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অধরের বাড়ি আসিয়াছেন। রামলাল, মাস্টার, অধর আর অন্য অন্য ভক্ত তাঁহার কাছে অধরের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। পাড়ার দু-চারিটি লোক ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন (Kathamrita)। রাখালের পিতা কলিকাতায় আছেন—রাখাল সেইখানেই আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—কই রাখালকে খবর দাও নাই?

    অধর—আজ্ঞে হাঁ, তাঁকে খবর দিয়াছি।

    রাখালের জন্য ঠাকুরকে ব্যস্ত দেখিয়া অধর দ্বিরুক্তি না করিয়া রাখালকে আনিতে একটি লোক সঙ্গে নিজের গাড়ি পাঠাইয়া দিলেন।

    অধর ঠাকুরের কাছে বসিলেন। আজ ঠাকুরকে দর্শনজন্য অধর ব্যাকুল হইয়াছেন। ঠাকুরের এখানে আসিবার কথা পূর্বে কিছু ঠিক ছিল না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় তিনি আসিয়া পড়িয়াছেন।

    অধর—আপনি অনেকদিন আসেন নাই। আমি আজ ডেকেছিলাম(Kathamrita),—এমন কি চোখ দিয়ে জল পড়েছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)(প্রসন্ন হইয়া, সহাস্যে)—বল কি গো!

    সন্ধ্যা হইয়াছে। বৈঠকখানায় আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর জোড় হস্তে জগন্মাতাকে প্রণাম করিয়া নিঃশব্দে বুঝি মূলমন্ত্র করিলেন। তৎপরে মধুর স্বরে নাম করিতেছেন। বলিতেছেন, গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে। ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া সেই নাম-সুধা পান করিতেছেন। শ্রীযুক্ত রামলাল (Ramakrishna) এইবার গান গাইতেছেন:

    ভুবন ভুলাইলি মা, হরমোহিনী।
    মূলাধারে মহোৎপলে, বীণাবাদ্য-বিনোদিনী।
    শরীর শারীর যন্ত্রে সুষুম্নাদি ত্রয় তন্ত্রে,
    গুণভেদ মহামন্ত্রে গুণত্রয়বিভাগিনী ॥
    আধারে ভৈরবাকার ষড়দলে শ্রীরাগ আর,
    মণিপুরেতে মহ্লার, বসন্তে হৃৎপ্রকাশিনী
    বিশুদ্ধ হিল্লোল সুরে, কর্ণাটক আজ্ঞাপুরে,
    তান লয় মান সুরে, তিন গ্রাম-সঞ্চারিণী।
    মহামায়া মোহপাশে, বদ্ধ কর অনায়াসে,
    তত্ত্ব লয়ে তত্ত্বাকাশে স্থির আছে সৌদামিনী।
    শ্রীনন্দকুমারে কয়, তত্ত্ব না নিশ্চয় হয়,
    তব তত্ত্ব গুণত্রয়, কাকীমুখ-আচ্ছাদিনী।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। প্রশাসনের অনুমান, মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি ভক্তের সমাবেশ হতে পারে। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। মুসলিম দেশগুলির মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং চলছে মহাকুম্ভ সার্চে। সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে পাকিস্তানে, এরপর কাতার। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভারতবর্ষের সনাতন পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শাহি স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার দিনে সম্পন্ন হয়েছে প্রথম শাহি স্নান। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিনে সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় শাহি স্নান (Maha kumbh 2025)। পরবর্তী শাহি স্নান সম্পন্ন হবে ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার দিন। মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের (Mauni Amavasya) এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং এক আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কেন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান এত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য ঠিক কী রয়েছে , এই নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।

    আভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণ ও পবিত্রতা (Maha kumbh 2025)

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী শব্দটি এসেছে মৌনতা থেকে। যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় নীরবতা। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার দিন (Maha kumbh 2025) নীরবতা পালন করলে মানসিক স্বচ্ছতা এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি বিরাজ করে ব্যক্তির মধ্যে। একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, গঙ্গা যমুনা ও সরস্বতীর নদীর যে সঙ্গমস্থল, যা প্রয়াগরাজ নামে পরিচিত, সেখানে মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র স্নান করলে আত্মা শুদ্ধ হয় এবং অতীতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।

    মোক্ষলাভ করা যায় মৌনী অমাবস্যা স্নানে

    অনেক শাস্ত্র বিশেষজ্ঞের মতে, মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র নদীর জলে আধ্যাত্মিক শক্তি বিরাজ করে এবং জল ঐশ্বরিক হয়ে ওঠে। তাই এই দিনে যদি কেউ স্নান করে তাহলে তাঁর মোক্ষলাভ (Maha kumbh 2025) হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এই সময়ে স্নান করলে মোক্ষলাভ করতে পারেন ভক্তরা।

    জৈনগুরু ঋষভদেবের কাহিনি

    জানা যায়, মৌনী আমাবস্যার (Maha kumbh 2025) অন্য আরেকটি গুরুত্ব রয়েছে। এই হল সেই পবিত্র মুহূর্ত যে সময়ে জৈন ধর্মের একজন তীর্থঙ্কর ঋষভদেব তিনি নদীতে স্নান করে, তাঁর নীরবতার ব্রত শেষ করেছিলেন। জানা যায়, পরবর্তীকালে ঋষভদেবের পথকেই অনুসরণ করেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাঁর দেখানো পথই অনুসরণ করে আজও মৌনী ব্রত পালন করে থাকেন অনেক জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ।

    মুক্তি হয় পূর্বপুরুষদেরও

    শাহিস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভে। এই সময়ে সাধু সন্তরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন শোভাযাত্রা বের করেন এবং পবিত্র জলে স্নান করে তারপরেই তাঁদের দিনের শুরু করেন। সমস্ত সাংসারিক মানুষকে এই আচার পালন করার জন্য তাঁরা অনুপ্রাণিত করেন। মনে করা হয় এই দিনে যে সমস্ত মানুষ স্নান করেন, তাঁরা শুধুমাত্র নিজের কর্মকে শুদ্ধ করেন না, তাঁরা তাঁদের পূর্ব পুরুষদেরও উদ্ধার করেন এবং তাঁদের মুক্তির পথে নিয়ে যান।

    ধুয়ে যায় সমস্ত অহঙ্কার

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার ব্রত পালন এবং পবিত্র নদীতে স্নান করলে পরে নিজের সমস্ত অহংকার ধুয়ে যায় এবং মানুষজন নিজেদের পার্থিব আসক্তি ত্যাগ করতে সক্ষম হন। নিজেদের আধ্যাত্মিক উন্নতিতে মৌনী অমাবস্যা স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

    ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ

    মহাকুম্ভমেলা হল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয়, সামজিক এবং সাংস্কৃতিক মহামিলন মেলা। প্রতি ১২ বছর এক যোগে পূর্ণকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর যে মেলা হয়, তাকে বলা হয় কুম্ভ। ছয় বছরে একবার কুম্ভকে বলা হয় অর্ধকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে অনুষ্ঠিত কুম্ভকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভমেলা। আবার ১২টি পূর্ণকুম্ভ অতিক্রান্ত হয়ে বা ১৪৪ বছর পর যে পূর্ণকুম্ভমেলা আসে, তাকে বলা হয় মহাকুম্ভ মেলা। এই কুম্ভ মূলত চারটি জায়গায় চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাগুলি হল, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতী নদী সঙ্গমে প্রয়াগরাজ (Triveni Sangam), উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা নদীর তীরে হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনী এবং মহারাষ্ট্রের গোদাবরীর তীরে নাসিকে। সব জায়গায় মূলত নদী সঙ্গমে মেলা বসে এবং পুণ্যস্নান সম্পন্ন হয়। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত উপেক্ষা করেই ভক্তদের ভিড় পূর্ণকুম্ভের প্রয়াগরাজে। উত্তরপ্রদেশের  প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকালে ১০টা পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ (Maha kumbh 2025) ‘পুণ্যস্নান’ করেছেন প্রয়াগরাজে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। তাই বেলা বাড়লে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৩ কোটি ছুঁয়ে যেতে পারে সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সহ প্রায় ৯৮ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করেন।

    ১৩ আখড়ার অমৃত স্নান (Maha kumbh 2025) 

    মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির (Maha kumbh 2025) পবিত্র মুহূর্তে প্রথম অমৃত স্নানে ১৩টি আখড়া অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ১৩টি আখড়া তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত। এগুলি হল সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়ার মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চ দশনম জুনা আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া, নিরঞ্জনী, শ্রী শম্ভু পঞ্চায়েতি অটল আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহানির্বাণী, শ্রী শম্ভু পঞ্চাগ্নি আখড়া, শ্রী পঞ্চদশনাম আবাহন আখড়া, এবং তপোনিধি আখড়া। বৈষ্ণব আখড়ায় রয়েছে শ্রী পঞ্চ নির্মোহি আনি আখড়া, শ্রী পঞ্চ দিগম্বর আনি আখড়া, এবং শ্রী পঞ্চ নির্বাণী আনি আখড়া নিয়ে গঠিত। এদিকে উদাসীন আখাদের মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া বড় উদাসীন, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া নয়া উদাসীন এবং পঞ্চায়েতি আখড়া নির্মল।

    প্রথমে স্নান কোন আখড়ার (Maha kumbh 2025) 

    রবীন্দ্র পুরী আরও জানিয়েছেন, জুনা আখড়া প্রথম অমৃত স্নানে যাওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল, কারণ তাদের সদস্য সংখ্যা বিপুল ছিল। তবে, আখড়া পরিষদ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অমৃত স্নানের রীতি মেনেই প্রতিটি আখড়াকে পর পর পাঠানো হয়। রীতি অনুযায়ী সাতটি সন্ন্যাসী আখড়া পবিত্র স্নানের নেতৃত্ব দেয়। এরপরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তিনটি বৈরাগী আখড়া। সবশেষে যায়, তিনটি উদাসীন আখড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, ইসলামি দেশগুলিতে মহাকুম্ভ নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে। সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে পাকিস্তানে।

    শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha kumbh 2025)। সোমবারই প্রথম শাহি স্নান সম্পন্ন করেন ভক্তরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিনেই ডুব দিয়েছেন ৫০ লক্ষ ভক্ত (Maha kumbh)। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে চলছে অমৃত স্নান। আশা, এদিন কয়েক কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্য-স্নান সারবেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শুধুমাত্র ভারতীয়রাই যে হাজির হচ্ছেন এমনটা নয়। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সমাবেশে পরিণত হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ কোটি ভক্ত সামিল হতে পারেন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে।

    সবচেয়ে বেশি সার্চ (Maha kumbh 2025) করছেন পাকিস্তানিরা  

    এই মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ব্রাজিল, জার্মানি, জাপান, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, স্পেন – এই সমস্ত দেশের ভক্তরাও হাজির হয়েছেন। তাঁরা ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্জনের আশায়, মোক্ষলাভের আশায়। এই সময়ে মহাকুম্ভকে ইন্টারনেটে সার্চ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশে। প্রথমেই নাম আসছে পাকিস্তানের। অর্থাৎ পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক দেশ, তারাও মহাকুম্ভের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করছে।

    পাকিস্তানের পরে সব চেয়ে বেশি সার্চ কাতারের

    পাকিস্তানের পরে অন্য আরেকটি দেশের নাম উঠে এসেছে, যারা ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) সার্চ করছে। সেটি হল কাতার। তালিকায় রয়েছে আমিরশাহি, বাহরিনও। এর পাশাপাশি নেপাল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, তাইল্যান্ডল আমেরিকা— এই সমস্ত দেশগুলি মহাকুম্ভকে সার্চ করছে ইন্টারনেটে। অর্থাৎ প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভকে নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা, চর্চা চলছে সারা বিশ্বে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    Maha Kumbh 2025: মাইনাস তাপমাত্রাতেও বস্ত্রহীন থাকেন নাগা সাধুরা, কোন আধ্যাত্মিক শক্তিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ব্যাপক ভিড় নাগা সাধুদের। প্রবল শীতেও তাঁরা বস্ত্র ধারণ করেন না। সাম্প্রতিক, ৮ বছরের নাগা সাধু গোপাল গিরির একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ঈশ্বরই তাঁর জ্যাকেট। এই কারণে তাঁর ঠান্ডা লাগে না। নাগা সাধুরা (Naga Sadhu) শূন্য কিংবা মাইনাস তাপমাত্রাও সহ্য করতে সক্ষম। কীভাবে সম্ভব হয় এটি? চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মানুসারে, মানুষ পোশাক ছাড়া মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে নাগা সাধুরা একথা একেবারেই মানেন না। তাঁরা মনে করেন, আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে চরম ঠান্ডা সহ্য করা যায়।  ঠিক এই কারণে তাঁরা তিন ধরনের সাধনা করেন।

    নাগা সাধুদের তিন ধরনের সাধনা (Maha Kumbh 2025)

    অগ্নি সাধনা: নাগা সাধুরা (Naga Sadhu)  একধরনের ধ্যান অনুশীলন করেন। এই অনুশীলনের মাধ্যমে তাঁদের শরীরের মধ্যে আগুনের উপাদান জমতে থাকে। এভাবেই প্রবল শীতেও তাঁদের শরীর উষ্ণ থাকে।
     
    নাড়ি শোধন: নাড়ি শোধন প্রাণায়ামের মাধ্যমে, নাগা সাধুরা তাঁদের শরীরের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। এভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত এবং উষ্ণ থাকে। 

    মন্ত্রোচ্চারণ: অন্যদিকে নাগা সাধুদের মতে, মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেও তাঁদের শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়, যা শরীরে তাপ তৈরি করে। প্রবল ঠান্ডার তাপমাত্রা এভাবেই সহ্য করতে পারেন তাঁরা।

    ছাই দিয়ে ঢাকা থাকে শরীর, কাজ করে অন্তরকের  (Maha Kumbh 2025)

    এ ছাড়া (Maha Kumbh 2025) নাগা সাধুরা ছাই দিয়ে তাঁদের শরীর ঢেকে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি একটি অন্তরক স্তর হিসেবে কাজ করে। ছাইতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এভাবেই ঠান্ডা থেকে রক্ষা পান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। মেতে ওঠেন উৎসবে। বারবার এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। সোমবারও সেই ছবিই দেখা গেল দিল্লিতে। দিল্লির নারাইনা গ্রামে লোহরি (Lohri) উৎসবে সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে। দুই উৎসবে সামিল হয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান

    বুধবার সন্ধ্যায় নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গ্রামে আসায়, ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও কারও চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। এক নাবালকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর লোহরি উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকলকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর ভারত-সহ বহু জায়গার মানুষের কাছে লোহরির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা আশার প্রতীক। কৃষি ও কৃষকদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই উৎসবের।’’ সবাইকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে

    নারাইনা গ্রামে যাওয়ার আগে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির দিল্লির বাড়িতে পোঙ্গল এবং সংক্রান্তি পালনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়েই তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলাম মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে। এখানে সাক্ষী থাকলাম দূর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সারা দেশে আজকে (সোমবার) পালিত হচ্ছে সংক্রান্তি ও পোঙ্গল উৎসব।’’ সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তিনি প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। পোঙ্গল উৎসবে সামিল হয়ে রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ভোগী অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন। শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলেই মানা হয় লোহরিকে। এটি মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই পালন করা হয়। শীতের শেষের দিকে রবিশস্য কাটার সময় তা পালিত হয়। অন্যদিকে, পোঙ্গল উৎসব সূর্যকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    Maha Kumbh 2025: দিতে হয় ৫ ডুব! আজ মকর সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভের দ্বিতীয় শাহি স্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, পৌষ পূর্ণিমার তিথিতে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। সকাল থেকেই শাহি স্নানে ভক্তদের ভিড় দেখা গিয়েছে। হয়েছে প্রথম শাহি (রাজকীয়) স্নানও। আজ, মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন দ্বিতীয় শাহি স্নান হচ্ছে, যা অনেকক্ষেত্রে অমৃত স্নান বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ শেষ হতে চলেছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রয়েছে মহাশিবরাত্রি এবং ওই দিনেই মহাকুম্ভের সমাপন হবে। হিন্দু ধর্মে মতে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) স্নানকে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মানা হয়। মনে করা হয় মহাকুম্ভে স্নান করলে ভক্তদের সকল প্রকার কষ্ট দূর হয় এবং পাপ থেকে মুক্তিলাভ করা যায়। 

    প্রথম দুটি বাদ দিয়ে শাহি স্নানের অন্যান্য তারিখগুলিও আমরা জেনে নেব

    তৃতীয় শাহি স্নান (Shahi Snan) সম্পন্ন হবে মৌনী অমাবস্যায় দিনটি পড়েছে ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

    চতুর্থ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) সম্পন্ন হবে বসন্ত পঞ্চমীতে বাংলায় যেদিন সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হবে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি

    পঞ্চম শাহি স্নান সম্পন্ন হবে মাঘী পূর্ণিমায় ১২ ফেব্রুয়ারি

    ষষ্ঠ শাহি স্নান (Maha Kumbh 2025) অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মহা শিবরাত্রি

    প্রথম স্নান করবেন নাগা সন্ন্যাসীরা (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভে শাহি স্নানের বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। মহাকুম্ভে প্রথমে স্নান করেন নাগা সন্ন্যাসীরা। বহু শতাব্দী ধরে এই প্রথা চলে আসছে। অন্যদিকে, সাংসারিক মানুষদের জন্য মহাকুম্ভ স্নানের নিয়ম কিছুটা আলাদা। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, নাগা সাধুদের স্নানের পরই গৃহস্থদের স্নান করা উচিত। স্নান করার সময় ৫টি ডুব দিতে বলছেন বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। আবার স্নানের সময় সাবান বা শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের উপাদান জলকে দূষিত করে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভে শাহিস্নান করার পরে দান করতে হয় এবং এর পরেই হনুমানজি ও বাসুকিনাগের দর্শন করা উচিত। মনে করা হয় স্নানের পরে যদি কোনও ভক্ত, এই দুটির মধ্যে একটি মন্দিরেও না যান তাহলে তাঁর স্নানকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    মহাকুম্ভে ভক্তদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত

    মহাকুম্ভে শামিল হওয়া ভক্তদের শুদ্ধ ও পবিত্র থাকা উচিত এবং সাধুদের স্নান করার পরেই সাধারণ মানুষদের স্নানে নামা উচিত।
     
    মহাকুম্ভের স্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেটা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভ মেলায় অহিংসা নীতি মেনে চলা প্রয়োজন।
     
    মহাকুম্ভে যে কোনও মাদকদ্রব্য সেবন করাও নিষেধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    Maha Kumbh 2025: মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মাইকেল, বর্তমানে বাবা মোক্ষপুরী, সামিল মহাকুম্ভে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিতে প্রয়াগরাজে ব্যাপক ভিড় সাধু-সন্তদের। এর মধ্যেই সবার নজর কাড়ছেন বাবা মোক্ষপুরী। বাবা মোক্ষপুরীর (Baba Mokshpuri) আসল নাম মাইকেল। আদতে তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। জানা যায়, এক সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যও ছিলেন তিনি! বর্তমানে নিজের জীবন সনাতন ধর্মের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি জুনা আখারার অন্যতম সদস্য। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মের প্রচারই এখন তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য।

    বাবা মোক্ষপুরী কী বললেন?

    মার্কিন সেনা থেকে একেবারে হিন্দু সাধু (Maha Kumbh 2025)? কীভাবে সম্ভব হল এমন যাত্রা? এনিয়ে বাবা মোক্ষপুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন আমিও আর পাঁচজনের মতো অতি সাধারণ ছিলাম। আমি পরিবারের সঙ্গে, আমার স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতাম। বেড়াতে ভালোবাসতাম। আমি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, তারপর একদিন আমি অনুভব করলাম, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আর তখন থেকেই শুরু হল আমার মুক্তিলাভের পথ অনুসন্ধানের প্রয়াস।’’ জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে প্রথমবার ভারতে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছেলেও।

    ছেলের মৃত্যু ঘুরিয়ে দেয় জীবনের মোড় (Maha Kumbh 2025)

    মাইকেল থেকে বাবা মোক্ষপুরী (Maha Kumbh 2025) হয়ে যাওয়া সাধু বলেন, ‘‘সেই ভারতে আসাটা আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। সেই সময়েই আমি প্রথম যোগাভ্যাস ও ধ্যান সম্পর্কে অবগত হই। প্রথমবার জানতে পারি সনাতন ধর্মের কথা। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। আর এভাবেই আমার জীবনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হয়। এখন আমার মনে হয়, আসলে ওটাই ছিল আমার প্রতি ঈশ্বরের ডাক।’’ তবে মাইকেলের জীবনে ঘটেছিল অতি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তাঁর একমাত্র সন্তানের অকালমৃত্যু হয়। এই ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ওই মর্মান্তিক ঘটনাটাই আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিল, জীবনে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সেই সময়ে আমি যোগাভ্যাস এবং ধ্যান করা শুরু করি। তাতে কঠিন সময়টা পার করতে কিছুটা সুবিধা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Maha Kumbh 2025: ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে পূর্ণ মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের জন্য ঢালাও ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। চলবে দেড় মাস (১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি)। প্রশাসনের অনুমান, ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত ভিড় করতে করতে পারেন মেলাকে কেন্দ্র করে। মহাকুম্ভকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে তাঁবু থেকে অস্থায়ী শৌচালয় এমনকী, মহিলাকে পোশাক পরিবর্তনের জন্য চেঞ্জিং রুমও তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা (Maha Kumbh 2025) 

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট। সেখানেই পবিত্র ডুব দেবেন ভক্তরা। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তাও নির্মাণ করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মহাকুম্ভের ২ লাখ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে (Prayagraj) কোনওরকম সমস্যা না হয়।

    ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি (Maha Kumbh 2025)

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) সর্বাঙ্গসুন্দর করতে থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলিগুলিকেও সংস্কার করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির ওপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে।

    দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয়

    মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসা ভক্তদের জন্য ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম। এরসঙ্গে থাকছে ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন ধরেই কাজ করবেন। মেলা প্রাঙ্গণকে আলোকিত করতে ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে পৌঁছতে কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য ৩ হাজার স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও

    অন্যদিকে, ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share