Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    Ramakrishna 229: “‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের উপর টান”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    বেলঘরের ভক্ত—আপনি আমাদের কৃপা করুন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সকলের ভিতরই তিনি রয়েছেন। তবে গ্যাস কোম্পানিকে আর্জি কর। তোমার ঘরের সঙ্গে যোগ হয়ে যাবে।

    “তবে ব্যাকুল হয়ে আর্জি (Prayer) করতে হয়। এমনি আছে, তিন টান একসঙ্গে হলে ঈশ্বরদর্শন হয়। ‘সন্তানের উপর মায়ের টান, সতী স্ত্রীর স্বামীর উপর টান, আর বিষয়ীর বিষয়ের (Kathamrita) উপর টান।’

    “ঠিক ভক্তের (Ramakrishna) লক্ষণ আছে। গুরুর উপদেশ শুনে স্থির হয়ে থাকে। বেহুলার কাছে জাতসাপ স্থির হয়ে শুনে, কিন্তু কেউটে নয়। আর-একটি লক্ষণ—ঠিক ভক্তের ধারণা শক্তি হয়। শুধু কাচের উপর ছবির দাগ পড়ে না, কিন্তু কালি মাখানো কাচের উপর ছবি উঠে, যেমন ফটোগ্রাফ; ভক্তিরূপ কালি।

    “আর-একটি লক্ষণ। ঠিক ভক্ত জিতেন্দ্রিয় হয়, কামজয়ী হয়। গোপীদের কাম হত না।

    “তা তোমরা সংসারে আছ তাহলেই বা; এতে সাধনের আরও সুবিধা, যেমন কেল্লা থেকে যুদ্ধ করা। যখন শবসাধন করে, মাঝে মাঝে শবটা হাঁ করে ভয় দেখায়। তাই চাল, ছোলাভাজা রাখতে হয়। তার মুখে মাঝে মাঝে দিতে হয়। শবটা ঠাণ্ডা হলে, তবে নিশ্চিন্ত হয়ে জপ করতে পারবে। তাই পরিবারদের ঠাণ্ডা রাখতে হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়ার যোগাড় করে দিতে হয়, তবে সাধন-ভজনের (Kathamrita) সুবিধা হয়।

    “যাদের ভোগ একটু বাকী আছে, তারা সংসারে থেকেই তাঁকে ডাকবে। নিতাই-এর ব্যবস্থা ছিল, মাগুর মাছের ঝোল, ঘোর যুবতীর কোল, বোল হরি বোল।

    “ঠিক ঠিক ত্যাগীর আলাদা কথা; মৌমাছি ফুল বই আর কিছুতেই বসবে না। চাতকের কাছে ‘সব জল ধুর’; কোন জল খাবে না কেবল স্বাতী-নক্ষত্রের বৃষ্টির জন্য হাঁ করে আছে। ঠিক ঠিক ত্যাগী অন্য কোন আনন্দ নেবে না, কেবল ঈশ্বরের আনন্দ। মৌমাছি কেবল ফুলে বসে। ঠিক ঠিক ত্যাগী সাধু যেন মৌমাছি। গৃহীভক্ত (Ramakrishna) যেন এই সব মাছি—সন্দেশেও বসে, আবার পচা ঘায়েও বসে।

    আরও পড়ুনঃ “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “ষড় চক্র ভেদ হলে মায়ার রাজ্য ছাড়িয়ে জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে এক হয়ে যায়, এরই নাম ঈশ্বরদর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “গোপীদের কি ভালবাসা, কি প্রেম, শ্রীমতী স্বহস্তে শ্রীকৃষ্ণের চিত্র এঁকেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists: যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম ৩ খালিস্তানি জঙ্গি

    Khalistani Terrorists: যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম ৩ খালিস্তানি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগীরাজ্যে এনকাউন্টারে খতম তিন খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorists)। সোমবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও পাঞ্জাব পুলিশের যৌথ অপারেশনে যোগী রাজ্যের পিলভিটে এনকাউন্টারে খতম করা হয় তিন জঙ্গিকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অপারেশনে জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একে সিরিজের একটি রাইফেল এবং দুটি পিস্তল।

    তিন জঙ্গির পরিচয়

    ইতিমধ্যে ওই তিন খালিস্থানি জঙ্গিকে (Khalistani Terrorists) শনাক্ত করা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির নাম যথাক্রমে, গুরুবিন্দর সিং (২৫) বীরেন্দর সিং (২৩) এবং প্রতাপ সিং (১৮)। প্রত্যেকেরই বাড়ি পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে দুইজন কনস্টেবলও এতে আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের পুলিশ পোস্টে হামলা চালানোর।

    ঘটনার বর্ণনা পিলভিটের এসপির মুখে

    এই বিষয় নিয়ে পিলভিটের এসপি অবিনাশ পাণ্ডে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাঞ্জাব পুলিশের একটি বিশেষ দল, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে জানতে পারে যে কিছু সন্ত্রাসবাদী পাঞ্জাব থেকে এসে পুরানপুর এরিয়াতে লুকিয়ে রয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পাঞ্জাবের একটি পুলিশ আউট পোস্টে হামলা চালানোর (Khalistani Terrorists)। পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া মাত্রই গোটা জেলার বিভিন্ন রাস্তাতে আমরা ব্যারিকেড তৈরি করে ফেলি। এই সময়ে একটি পুলিশ পিকেট টিম খামারিয়া পয়েন্ট থেকে তথ্য পাঠায় যে তিনজন সন্দেহজনক যুবক রয়েছে একটি বাইকে। তখনই পিলভিট এবং পাঞ্জাবের পুলিশ তাদেরকে তাড়া করতে শুরু করে। তিন সন্দেহভাজনই বাইক থেকে গুলি চালাতে থাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পাল্টা পুলিশও গুলি চালায় তাদের ওপর। গুলি চালানোর (Encounter) ঘটনায় তিনজনই জখম হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে থাকবে ১৩ আখড়া, রবিবার প্রয়াগরাজে উপস্থিত হল শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে থাকবে ১৩ আখড়া, রবিবার প্রয়াগরাজে উপস্থিত হল শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর কদমে চলছে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) এবার ভক্তদের বার্তা দিতে থাকছে ১৩টি বড় বড় আখড়া। গত রবিবার মহাকুম্ভস্থলে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হাজির হয়। এই আখড়া সন্ন্যাসীরা যখন মহাকুম্ভর স্থলে আসেন, তখন তাঁদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভক্তরা। বিভিন্ন আখড়াগুলির সনাতন ধর্মে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অবস্থান রয়েছে এবং এই আখড়াগুলির মধ্যে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবহনা আখড়া হল প্রথম, যারা মহাকুম্ভস্থলে প্রবেশ করল। এই আখড়ার নেতৃত্বে ছিলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি।

    শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে পুরনো আখড়া

    জানা গিয়েছে, এই আখড়ার (Mahakumbh 2025) স্থানীয় আশ্রম অবস্থিত রয়েছে মাদৌকাতে। স্বামী অরুণ গিরি এরপরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে শ্রী পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে পুরনো আখড়া এবং এখনও পর্যন্ত তাঁরা ১২২টি মহাকুম্ভ ও ১২৩টি কুম্ভ প্রয়াগ্ররাজে সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে, এই আখড়ার অন্যতম মহন্ত গোপাল গিরি বলেন যে আখড়ার শোভাযাত্রায় এক ডজনেরও বেশি মহামণ্ডলেশ্বর, একান্ন মহন্ত ও প্রচুর সংখ্যায় নাগা সন্ন্যাসী অংশগ্রহণ করেন। এই পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়া যখন মহাকুম্ভস্থলে (Mahakumbh 2025) প্রবেশ করছিল, তখন মহামণ্ডলেশ্বররা রথের ওপরে সওয়ার ছিলেন। নাগা সন্ন্যাসীরা ঘোড়া ও উটের পিঠে সওয়ার ছিলেন (Shri Panch Dashnam Avahan Akhara)। এই আখড়াতে ভগবান গজাননকে দেবতা মানা হয়। সর্বপ্রথম রথে সেই ভগবানকেই রাখা হয়েছিল। তারপরের রথগুলিতে সওয়ার ছিলেন আখড়ার আচার্য এবং মহামণ্ডলেশ্বরেরা।

    যাত্রাপথে সামাজিক বার্তা (Mahakumbh 2025) 

    এই যাত্রাপথে সমাজকে বার্তা দিতে থাকেন মহামণ্ডলেশ্বরেরা। তাঁরা বলেন যে গাছ লাগান এবং সারা বিশ্বকে রক্ষা করুন। আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে সনাতন ধর্মের প্রচার এবং হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করাই আমাদের কাজ। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যক্তিগতভাবে অরুণ গিরি ৫১ হাজার ফল গাছ ভক্তদের বিতরণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    Delhi Assembly Election: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, কেন মসনদ দখল করতে পারে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Delhi Assembly Election) দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এখানে মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকলেও বর্তমানে দিল্লি প্রদেশে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে কংগ্রেস। বিগত ২০১৩ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসকে পরাস্ত করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি (BJP), কিন্তু আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের পরিকল্পনায় ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে ৬৭ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আম আদমি পার্টি। ২০২০ সালেও প্রায় একই সংখ্যা দেখা যায় এবং তারা ৬২টি আসনে জয়লাভ করে।

    দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে

    অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির (Delhi Assembly Election) লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রতিবার ভরাডুবি হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে ভালোমতো জিতছে। অন্যদিকে বিজেপি লোকসভাতে জিতলেও দিল্লি প্রদেশের বিধানসভায় জিততে পারছে না। কিন্তু বর্তমান সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লি প্রদেশের ক্ষমতা দখল করার। তার কারণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে।

    বিজেপির অসম ও হরিয়ানা জয়

    যদি আমরা অসমের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে বিজেপি (Delhi Assembly Election) জিতেছিল পাঁচটি আসনে। কিন্তু ২০১৬ সালের বিজেপি যেতে ৬০ আসনে অন্যদিকে হরিয়ানার ক্ষেত্রে যদি তাকাই তখন আমরা দেখব বিজেপি ৪৭ টি আসনে যেতে ২০১৪ সালে এবং সেখানে সরকার তৈরি করে বিধানসভার আসন রয়েছে হরিয়ানাতে ৯০টি। ২০১৪ আগের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় হরিয়ানাতে ২০০৯ সালে। সেবার বিজেপির চারটি আসনে সমর্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালের ক্ষমতা মসনদে বসার আগে মসনদে বছর আগে পর্যন্ত বিজেপির সব থেকে বড় জয় ছিল ১৬টি আসন।

    বিজেপির ত্রিপুরা জয়

    অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অপর আরেক রাজ্য ত্রিপুরার দিকেও যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখব সেখানে বিধানসভায় আসন রয়েছে মোট ৬০ আসন। যার মধ্যে বিজেপি (Delhi Assembly Election) ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পর্যন্ত কোনও আসনেই জেতেনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিজেপির ইতিহাসে একমাত্র কদমতলা-কুর্তি নামক আসনে নিজেদের জামানতকে তারা ধরে রাখতে পেরেছিল। এটাই ছিল বড় সাফল্য। কিন্তু ২০১৮ সালে ৬০ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৩৬টি আসনের জয়লাভ করে বিজেপি এবং সেখানে সরকার তৈরি করে। ২০২৩ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। তাই এই সমস্ত রাজ্যগুলির মতো ফলাফল দিল্লিতেও হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 228: “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    Ramakrishna 228: “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা, ওই অষ্টপাশ-গুরু না খুলে দিলে হয় না”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তসঙ্গে

    “যতক্ষণ ‘আমি’ বোধ তিনি রেখেছেন ততক্ষণ সবই আছে। আর স্বপ্নবৎ বলবার জো নাই। নিচে আগুন জ্বালা আছে, তাই হাঁড়ির ভিতরে ডাল, ভাত, আলু, পটোল সব টগ্‌বগ্‌ করছে। লাফাচ্ছে, আর যেন বলছে (Kathamrita), ‘আমি আছি, আমি লাফাচ্ছি।’ শরীরটা যেন হাঁড়ি; মন বুদ্ধি—জল ইন্দ্রিয়ের বিষয়গুলি যেন—ডাল, ভাত, আলু পটোল। অহং যেন তাদের অভিমান, আমি টগ্‌বগ্‌ করছি! আর সচ্চিদানন্দ (Ramakrishna) অগ্নি।

    “তাই ভক্তিশাস্ত্রে, এই সংসারকেই ‘মজার কুটি’ বলেছে। রামপ্রসাদের গানে আছে ‘এই সংসার ধোঁকার টাটি’। তারই একজন জবাব দিয়েছিল, ‘এই সংসার মজার কুটি’। ‘কালীর ভক্ত জীবন্মুক্ত নিত্যানন্দময়।’ ভক্ত দেখে, যিনিই ঈশ্বর তিনিই মায়া হয়েছেন। তিনিই জীবজগৎ হয়েছেন। ইশ্বর-মায়া-জীব-জগৎ এক দেখে। কোন কোন ভক্ত সমস্ত রামময় দেখে। রামই সব রয়েছেন। কেউ রাধাকৃষ্ণময় (Ramakrishna) দেখে। কৃষ্ণই এই চতুর্বিংশতি তত্ত্ব (Kathamrita) হয়ে রয়েছেন। সবুজ চশমা পরলে যেমন সব সবুজ দেখে।

    “তবে ভক্তিমতে শক্তিবিশেষ। রামই (Ramakrishna) সব হয়ে রয়েছেন, কিন্তু কোনখানে বেশি শক্তি, আর কোনখানে কম শক্তি। অবতারেতে তিনি একরকম প্রকাশ, আবার জীবেতে একরকম। অবতারেরও (Kathamrita) দেহবুদ্ধি আছে। শরীরধারণে মায়া। সীতার জন্য রাম কেঁদেছিলেন। তবে অবতার ইচ্ছা করে নিজের চোখে কাপড় বাঁধে। যেমন ছেলেরা কানামাছি খেলে। কিন্তু মা ডাকলেই খেলা থামায়। জীবের আলাদা কথা। যে-কাপড়ে চোখ বাঁধা সেই কাপড়ের পিঠে আটটা ইস্কুরূপ দিয়ে বাঁধা। অষ্টপাশ। লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, জাতি, কুল, শীল, শোক, জুগুপ্সা (নিন্দা)—ওই অষ্টপাশ। গুরু না খুলে দিলে হয় না।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ একাদশ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই বাংলাদেশ জুড়ে (Bangladesh Crisis 11) ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। হিন্দু সমাজের সদস্যরা দলে দলে রাস্তায় নামতে থাকেন এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তোলেন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত সহ বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন সনাতনীরা। বাংলাদেশের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা যায় চট্টগ্রামে। এর পাশাপাশি, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী- এসমস্ত জায়গাতেও হিন্দু সমাজের মানুষেরা রাস্তায় নামেন এবং ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবি তোলেন। অনেক জায়গায় হিন্দু সমাজের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে হিন্দু সমাজের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। গ্রেফতারির পরে চিন্ময়প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে, এমনটাই অভিযোগ সেসময় সামনে আসে বাংলাদেশের একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে।

    নিন্দা জানায় ইসকন (Bangladesh Crisis 11)

    চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার (Bangladesh Crisis 11) পরেই বাংলাদেশের ইসকনের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানো হয় এবং এ ধরনের হিন্দু বিরোধী (Targeting Minority) কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে ইসকন জানায়, তারা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তাই সেই ধর্মীয় সংগঠনের একজন সন্ন্যাসীর মৌলিক অধিকার রয়েছে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাঁচার অধিকার।

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে খুন আইনজীবী

    ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে, তারপর থেকে (Targeting Minority) এখনও পর্যন্ত (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ২৬ নভেম্বর তাঁকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। সেদিন তাঁর মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে কোর্ট চত্বরে। এই সংঘর্ষের সময় একদল আইনজীবীর সঙ্গে হিন্দু সমাজের সংঘর্ষ শুরু হলে, তার মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীর। আইনজীবীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নানা রকমের মতামত উঠে আসে। একটি সূত্র দাবি করে, ইসকন সমর্থকদের (Bangladesh Crisis 11) বাঁচাতে গিয়েই মরতে হয় সাইফুলকে। এখনও পর্যন্ত সাইফুলের মৃত্যু তদন্ত সাপেক্ষ।

    কী বলেছিল ইউনূস ঘনিষ্ঠ মিডিয়া? 

    তবে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একাধিক মিডিয়া খবর করেছে যে সাইফুল ইসলাম হল একজন পাবলিক প্রসিকিউটার এবং সে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে ডিফেন্ড করতে সেখানে যায়নি। যদিও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রতিনিধি সুমন রায় দাবি করেছেন যে সাইফুলকে হিন্দু ভেবেই হত্যা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সেদিনকার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অজস্র হিন্দু জখম হন।  বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী (Bangladesh Crisis 11), চট্টগ্রাম আদালতে সেদিন শ্রীবাস দাস ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল- এই নামের হিন্দুরা গুরুতর ভাবে জখম হন। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ২৬ নভেম্বর। বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে সওয়াল করেন ৫১ জন আইনজীবী।

    ইউনূস সরকারের টার্গেট চিন্ময়প্রভু

    সাইফুলের মৃত্যু হতেই ইউনুস সরকার তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে। তারা জানায়, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চরমতম শাস্তি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী দাবি করেন, সাইফুলের খুনিদের খুনের ঘটনায় অনেকেই যুক্ত হয়ে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দাবি করেন,যাঁরা এই খুনের ঘটনায় যুক্ত বা জড়িত আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে তিনি বলেন যে ওই হিন্দু সন্ন্যাসী বাংলাদেশ সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছেন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন তিনি।

    চট্টগ্রামে নামানো হয় সেনা, হয়রানির শিকার হিন্দুরা

    এরপরেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সেনা নামানো হয়। এই সেনা নামার পরেই চট্টগ্রামের একাধিক অঞ্চলে তারা তল্লাশি অভিযান চালাতে থাকে। তল্লাশির নামে হিন্দুদের ওপর আবারও অত্যাচার নেমে আসে এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩০ হিন্দুকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের সেনা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় আইনজীবী খুনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    Swami Shraddhananda: ২৩ ডিসেম্বর ১৯২৬, মৌলবাদীর হাতে খুন হন আর্য সমাজের সন্ন্যাসী শ্রদ্ধানন্দ, জানুন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ ডিসেম্বর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আত্ম বলিদান দিবস। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী (Swami Shraddhananda) ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আর্য সমাজের সন্ন্যাসী। আর্য সমাজের (Arya Samaj) প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর বাণীকে তিনি প্রচার করেছিলেন। ১৯২৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে আব্দুর রশিদ নামের এক আততায়ী। শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি অ-হিন্দুদেরকে পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আনতেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। তাঁর নিজের লেখা, ‘পাকিস্তান অর দ্য পার্টিশন অফ ইন্ডিয়া-১৯৪৬’, এই বইতে আম্বেদকর বলেন, ‘‘ধর্মান্ধ মুসলমান স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করেছে, শুদ্ধি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।’’

    শ্রদ্ধানন্দের হত্যা সম্পর্কে কী লিখেছিলেন রমেশচন্দ্র মজুমদার

    প্রসঙ্গত, পরাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু আন্দোলনের সূচনা হয় আর্য সমাজের হাত ধরেই। রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর লেখা, ‘দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড দ্য কালচার অফ ইন্ডিয়ান পিপল’ গ্রন্থের ৪৩৫ নম্বর পাতায় লিখছেন, ‘‘তাবলীগী জামাত প্রথম ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে (Swami Shraddhananda) কারণ তিনি শুদ্ধি আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত ছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, বাবাসাহেব আম্বেদকর ১৯২২ সালেই বলেছিলেন যে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হলেন অস্পৃশ্যদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সত্যিকারের মহান মানব।

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতীর (Swami Shraddhananda) আসল নাম ছিল মুন্সিরাম বীজ। ১৮৫৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার তালোয়ান নামক একটি গ্রামে। জানা যায় জাতিতে তিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়। তাঁর জন্মতিথি ছিল ফাল্গুনের কৃষ্ণ ত্রয়োদশী। তাঁর পিতার নাম ছিল শ্রী নানকচাঁদ বীজ এবং তিনি ছিলেন তৎকালীন ইউনাইটেড প্রদেশ বা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের একজন পুলিশ অফিসার। জানা যায়, একবার স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী বৈদিক ধর্মের প্রচারের জন্য উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে পৌঁছান, সেখানেই পুলিশ অফিসার নানকচাঁদ তাঁর পুত্র মুন্সিরাম বীজকে নিয়ে দয়ানন্দ সরস্বতীর বক্তব্য শুনতে আসেন। কিশোর মুন্সিরাম দয়ানন্দ সরস্বতীর যুক্তিবাদী বক্তব্যে আকৃষ্ট হন এবং আর্য সমাজের সদস্য হন।

    গান্ধীজীর উদ্দেশে টাকা পাঠিয়েছিলেন

    জানা যায়, যে সময়ে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকাতে আন্দোলন করছিলেন, সে সময় ভারত থেকে গুরুকুল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা সংগ্রহ করে গান্ধীজীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন মুন্সিরাম বীজ। জানা যায়, পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধী আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে এই অবদানকে স্বীকার করেছিলেন। স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda) সাংবাদিক হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক বিষয়ে তিনি লেখালেখি করতেন। পরবর্তীকালে দয়ানন্দ সরস্বতীকে অনুসরণ করে তিনি দেবনাগরি লিপিতে রচিত হিন্দি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেন। জানা যায়, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ হিন্দিতে অর্জুন এবং উর্দু ভাষায় তেজ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে ১৯১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের ৩৬তম অধিবেশন বসে অমৃতসরে। সেখানে স্বাগত কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এবং তিনি হিন্দিতে নিজের বক্তব্য রাখেন। একইসঙ্গে হিন্দিকে জাতীয় ভাষা ঘোষণা করারও দাবি তোলেন তিনি।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ

    স্বাধীনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও নিপীড়িতদের মুক্তির জন্য আওয়াজও তুলতেন তিনি। নারী শিক্ষারও প্রচার করেছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ (Swami Shraddhananda)। ১৯১৯ সালে দিল্লির জামে মসজিদ এলাকায় আয়োজিত একটি বিশাল সমাবেশে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাঁর এক বছর চার মাসের কারাগারও হয়েছিল।

    শুদ্ধি আন্দোলন

    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লক্ষ্য করেন যে কংগ্রেসের প্রায় প্রত্যেক নেতাই মুসলিম তুষ্টিকরণ করছেন। তখনই তিনি অনুভব করেছিলেন যে এমন নীতি ভারতবর্ষের পক্ষে একদমই বিপজ্জনক। এই সময় তিনি এগিয়ে নিয়ে যান দয়ানন্দ সরস্বতীর শুদ্ধি আন্দোলনকে। কারণ তৎকালীন ভারতবর্ষে কংগ্রেস যখন একদিকে মুসলিম তোষণের নির্লজ্জ নীতিতে বিশ্বাস রাখছিল, তখনই মৌলবাদী মুসলমান ও খ্রিস্টানরা হিন্দুদেরকে ধর্মান্তরিত করতে ব্যস্ত ছিল। এই সময়ে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ আর্য সমাজের শুদ্ধি আন্দোলনকে ব্যাপক আকারে গড়ে তোলেন এবং বহু ধর্মান্তরিত মানুষকে বৈদিক ধর্মে দীক্ষিত করতে থাকেন। হিন্দুদের পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে আনার নামই ছিল শুদ্ধি আন্দোলন।

    শোক প্রস্তাবে গান্ধীর সাম্প্রদায়িক তোষণ

    ১৯২৬ সালে ২৩ ডিসেম্বর তাঁর নিজের বাসভবনে আব্দুর রশিদ নামের একজন মৌলবাদী প্রবেশ করে এবং স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তীকালে আব্দুর রশিদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর শ্রদ্ধানন্দকে হত্যা করার পরে ১৯২৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর কংগ্রেসের অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবা আনা হয় যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল। ওই শোক প্রস্তাবে মহাত্মা গান্ধী বক্তৃতায় বলেন,‘‘আমি আব্দুর রশিদকে ভাই বলে সম্বোধন করেছি। আমি তাঁকে দোষী বলে মনে করি না। দোষীরা আসল তারা, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। আমি শ্রদ্ধানন্দজির মৃত্যুতে শোক করতে পারি না। একজনের অপরাধের কারণে পুরো সম্প্রদায়কে আমি অপরাধী বলতে পারি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sarada Devi: আজ সারদা মায়ের ১৭২তম আবির্ভাব তিথি,জানুন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

    Sarada Devi: আজ সারদা মায়ের ১৭২তম আবির্ভাব তিথি,জানুন তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সারদা মায়ের (Sarada Devi) ১৭২তম জন্মদিন। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর, বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১২৬০ সনের ৮ পৌষ, কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে জন্ম হয় সারদা দেবীর। তাঁর পিতার নাম ছিল রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মায়ের নাম ছিল শ্যামাসুন্দরী দেবী। লোককথা অনুযায়ী, সারদা দেবীর জন্মের আগে রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও শ্যামাসুন্দরী দেবী, উভয়েই দিব্যদর্শন পেয়েছিলেন, মহাশক্তি তাঁদের ঘরে কন্যারূপে জন্ম নিতে চলেছেন। তিনি ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Ramkrishna Dev) ধর্মপত্নী (Sarada Devi)। অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় ধর্ম ও দর্শনের কথা বলে গিয়েছেন সারদাদেবী। সকলের প্রতিই অপার করুণা ও দয়া ছিল সারদা মায়ের। সবাইকে তিনি নিজের সন্তানরূপে জ্ঞান করতেন। ১৮৭২ সালে দক্ষিণেশ্বরে স্বামীর নিকটে থাকতে আসেন সারদা দেবী। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পরামর্শ প্রদান করেছিলেন বলে জানা যায়। শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা দেবী ও দিব্য মাতৃকাকে অভিন্ন জ্ঞান করে তাঁকে দেবীর আসনে বসিয়ে সকল উপাচার দিয়ে পুজো করেন।

    সারদাদেবী (Sarada Devi) নিজেকে সবার মা বলে মনে করতেন

    শ্রীরামকৃষ্ণদেব প্রয়াত হলে তাঁর ধর্ম আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান সারদা দেবী। ১৯২০ সালের ২০ জুলাই কলকাতার উদ্বোধন ভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সারদাদেবী নিজেকে সবার মা বলে মনে করতেন। মায়ের কাছে সন্তানের যেমন ভেদাভেদ থাকে না, সারদা দেবীও তেমন ভক্তদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করতেন না। তাঁর কাছে যারাই আসত, তাদের সবাইকেই তিনি সমান চোখে দেখতেন।

    সারদা মায়ের বাণী (Sarada Devi)

    ‘‘যদি শান্তি চাও, তাহলে কারও দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের। জগৎকে আপনার করে নাও, কেউ পর নয়, এই জগৎ তোমার।’’

    ‘‘আমি সত্যিকারের মা, গুরুপত্নী নই, পাতানো মা নই, কথার কথা মা নই, সত্যকারের জননী।’’

    ‘‘ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু হয়, জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না।’’

    ‘‘কাজ করতে হবে সব সময়। কর্ম করতে করতেই কর্মের বন্ধন কেটে যাবে, তবেই নিষ্কাম ভাব আসবে। কাজ ছেড়ে একদণ্ডও থাকা উচিত নয়।’’

    ‘‘ভাঙতে সবাই পারে, কিন্তু গড়তে পারে ক-জনে? নিন্দে ঠাট্টা সবাই করতে পারে। কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা ক-জনে বলতে পারে?’’

    ‘‘এই কলি যুগে শুধু সত্যের আঁট থাকলেই ভগবানকে লাভ করা যায়। ঠাকুর বলতেন, যে সত্যকথাটি ধরে আছে সে ভগবানের কোলে শুয়ে আছে।’’

    ‘‘যত বড় মহাপুরুষই হোন, দেহ ধারণ করে পৃথিবীতে এলে দেহের ভোগটি সবই নিতে হবে। তবে পার্থক্য এই যে সাধারণ লোক যায় কাঁদতে কাঁদতে, আর ওঁরা যান হেসে হেসে, মৃত্যুটা যেন ওঁদের কাছে খেলা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে সৌদি আরবের চিকিৎসকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় মোট সাতজন ভারতীয় আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মান প্রশাসন (Christmas Market Attack)। অন্যদিকে, ভারতীয় দূতাবাস আহত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে ভয়াবহ যে হামলা ঘটেছে তাতে অনেক মূল্যবান জীবন নষ্ট হয়েছে। এই হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আহতদের। আমাদের মিশন হল সেই সমস্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যাঁরা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি আমরা। সমস্ত ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা তাঁদেরকে প্রদান করা হবে।’’ অন্যদিকে এই ঘটনায় ২০৫ জন আহত হয়েছেন (Germany) বলে জানা গিয়েছে। আহতদের ১৫টি আলাদা আলাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন। তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    Mohali Building Collapse: শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল বহুতল, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোহালিতে (Mohali Building Collapse) হঠাৎ ভেঙে পড়ল বহুতল ভবন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতের নাম দৃষ্টি ভার্মা (২০)। তিনি হিমাচলের (Himachal) বাসিন্দা ছিলেন। বহুতলটি ভেঙে পড়ার পর তিনি চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। উদ্ধার করে তাঁকে স্থানীয় সোহানা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন অনেকেই, তাঁদেরকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ মোহালির সোহানা এলাকায় ছয়তলা ভবন হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন তাঁরা। তখনই দেখা যায় ওই বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে (Mohali Building Collapse) পরিণত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ ও দমকলের পাশাপাশি ছুটে আসে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা।

    বহুতলের বর্ণনা (Mohali Building Collapse)

    স্থানীয়দের দাবি, এই বহুতলের একেবারে নীচের তলায় একটি জিম রয়েছে। যেখানে অনেকেই শরীরচর্চা করছিলেন। প্রথম তলায় বাচ্চাদের টিউশন চলছিল। তৃতীয় তলায় পেয়িং গেস্ট থাকতেন বেশ কয়েকজন যুবতী। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরা সকলেই চাপা পড়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, ওই বহুতলটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন পাঁচজন। দ্রুত তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফের সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় সেনার একটি দল। তাঁরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। ইতিমধ্যে বহুতলের (Mohali Building Collapse) মালিক পারউইন্দার সিং ও গগনদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, ধ্বংশাবশেষের নিচে ৭ জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানালেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী?

    এনিয়ে ট্যুইট করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, মোহালির সোহানা এলাকার (Mohali Building Collapse) অজিত সিং নগরে একটি বহুতল ভেঙেছে। প্রশাসনিক কর্তারা রয়েছেন সেখানে। উদ্ধারকারী দলও রয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share