Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 177: “বাঘ যেমন জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি ‘অনুরাগ বাঘ’ কাম ক্রোধ খেয়ে ফেলে”

    Ramakrishna 177: “বাঘ যেমন জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি ‘অনুরাগ বাঘ’ কাম ক্রোধ খেয়ে ফেলে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামলাল প্রভৃতির গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গান গাহিতে বলিলেন। রামলাল ও কালীবাড়ির একটি ব্রাহ্মণ কর্মচারী গাহিতেছেন। সঙ্গতের মধ্যে একটি বাঁয়ার ঠেকা—

    (১)—হৃদি-বৃন্দাবনে বাস যদি কর কমলাপতি ৷
    ওহে ভক্তিপ্রিয়, আমার ভক্তি হবে রাধাসতী ॥
    মুক্তি কামনা আমারি, হবে বৃন্দে গোপনারী,
    দেহ হবে নন্দের পুরী, স্নেহ হবে মা যশোমতী ॥
    আমার ধর ধর জনার্দন, পাপভার গোবর্ধন,
    কামাদি ছয় কংসচরে ধ্বংস কর সম্প্রতি ॥
    বাজায়ে কৃপা বাঁশরি, মনধেনুকে বশ করি,
    তিষ্ঠ হৃদিগোষ্ঠে পুরাও ইষ্ট এই মিনতি ॥
    আমার প্রেমরূপ যমুনাকুলে, আশাবংশীবটমূলে,
    স্বদাস ভেবে সদয়ভাবে, সতত কর বসতি ॥
    যদি বল রাখাল-প্রেমে, বন্দী থাকি ব্রজধামে,
    জ্ঞানহীন রাখাল তোমার, দাস হবে হে দাশরথি ॥

    (২)—নবনীরদবরণ কিসে গণ্য শ্যামচাঁদ রূপ হেরে,
    করেতে বাঁশি অধরে হাসি, রূপে ভুবন আলো রে ॥
    জড়িত পীতবসন, তড়িত জিনি ঝলমল,
    আন্দোলিত চরণাবধি হৃদিসরোজে বনমাল,
    নিতে যুবতী-জাতিকুল, আলো করে যমুনাকুল,
    নন্দকুল চন্দ্র যত চন্দ্র জিনি বিহরে ॥
    শ্যামগুণধাম পশি, হাম হদিমন্দিরে,
    প্রাণ মন জ্ঞান সখি হরে নিল বাঁশির স্বরে,
    গঙ্গানারায়ণের যে দুঃখ সে-কথা বলিব কারে,
    জানতে যদি যেতে গো সখী যমুনায় জল আনিবারে ॥

    (৩)—শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল;
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল।

    ঈশ্বরলাভের উপায় অনুরাগ—গোপীপ্রেম—অনুরাগ বাঘ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—বাঘ যেমন কপকপ করে জানোয়ার খেয়ে ফেলে, তেমনি “অনুরাগ বাঘ” কাম ক্রোধ এই সব রিপুদের খেয়ে ফেলে। ঈশ্বরে একবার অনুরাগ হলে কামক্রোধাদি থাকে না। গোপীদের ওই অবস্থা হয়েছিল। কৃষ্ণে অনুরাগ (Ramakrishna)।

    “আবার আছে ‘অনুরাগ অঞ্জন’। শ্রীমতী বলছেন, ‘সখি, চতুর্দিক কৃষ্ণময় দেখছি!’ তারা বললে (Kathamrita), ‘সখি, অনুরাগ-অঞ্জন চোখে দিয়েছ তাই ওইরূপ দেখছ।’ এরূপ আছে যে, ব্যাঙের মুণ্ডু পুড়িয়ে কাজল তৈয়ার করে, সেই কাজল চোখে দিলে চারিদিক সর্পময় দেখে!

    “যারা কেবল কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে আছে—ঈশ্বরকে (Kathamrita) একবারও ভাবে না, তারা বদ্ধজীব। তাদের নিয়ে কি মহৎ কাজ হবে? যেমন কাকে ঠোকরানো আম, ঠাকুর সেবায় লাগে না, নিজের খেতেও সন্দেহ।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    Ramakrishna 176: পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে, বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি (Ramakrishna) ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    গরুগুলো হাম্‌মা হাম্‌মা করে, আর ছাগলগুলো ম্যা ম্যা করে। তাই ওদের কত যন্ত্রণা। কসায়ে কাটে; জুতো, ঢোলের চামড়া তৈয়ার করে। যন্ত্রণার শেষ নাই। হিন্দিতে ‘হাম্‌’ মানে আমি, আর ‘ম্যায়’ মানেও আমি। ‘আমি’ ‘আমি’ করে বলে কত কর্মভোগ। শেষে নাড়ীভুঁড়ি থেকে ধুনুরীর তাঁত তৈয়ার করে। তখন ধুনুরীর হাতে ‘তুঁহু তুঁহু’ বলে, অর্থাৎ ‘তুমি তুমি’। তুমি তুমি বলার পর তবে নিস্তার! আর ভুগতে হয় না।

    হে ঈশ্বর (Ramakrishna), তুমি কর্তা আর আমি অকর্তা, এরই নাম জ্ঞান।

    নিচু হলে তবে উঁচু হওয়া যায়। চাতক পাখির বাসা নিচে, কিন্তু ওঠে খুব উঁচুতে। উঁচু জমিতে চাষ হয় না। খাল জমি চাই, তবে জল জমে! তবে চাষ হয়!

    গৃহস্থলোকের সাধুসঙ্গ প্রয়োজন—যথার্থ দরিদ্র কে? 

    একটু কষ্ট করে সৎসঙ্গ করতে হয়। বাড়িতে কেবল বিষয়ের কথা। রোগ লেগেই আছে। পাখি দাঁড়ে বসে তবে রাম রাম বলে। বনে উড়ে গেলে আবার ক্যাঁ ক্যাঁ করবে।

    টাকা থাকলেই বড় মানুষ হয় না। বড় মানুষের বাড়ির একটি লক্ষণ যে, সব ঘরে আলো থাকে। গরিবেরা তেল খরচ করতে পারে না, তাই তত আলো বন্দোবস্ত করে না। এই দেহমন্দির অন্ধকারে রাখতে নাই, জ্ঞানদীপ জ্বেলে দিতে হয়।

    জ্ঞানদীপ জ্বেলে ঘরে ব্রহ্মময়ীর (Kathamrita) মুখ দেখ না।

    প্রার্থনাতত্ত্ব—চৈতন্যের লক্ষণ 

    সকলেরই জ্ঞান হতে পারে। জীবাত্মা আর পরমাত্মা। প্রার্থনা কর—সেই পরমাত্মার সঙ্গে সব জীবেরই যোগ হতে পারে। গ্যাসের নল সব বাড়িতেই খাটানো আছে। গ্যাস কোম্পানির কাছে গ্যাস পাওয়া যায়। আরজি কর, করলেই গ্যাস বন্দোবস্ত করে দেবে—ঘরেতে আলো জ্বলবে। শিয়ালদহে আপিস আছে। (সকলের হাস্য)

    কারুর চৈতন্য (Ramakrishna) হয়েছে। তার কিন্তু লক্ষণ আছে। ঈশ্বরীয় কথা (Kathamrita) বই আর কিছু শুনতে ভাল লাগে না। আর ঈশ্বরীয় কথা বই আর কিছু বলতে ভাল লাগে না। যেমন সাত সমুদ্র, গঙ্গা, যমুনা, নদী—সব তাতে জল রয়েছে, কিন্তু চাতক বৃষ্টির জল চাচ্ছে। তৃষ্ণাতে ছাতি ফেটে যাচ্ছে, তবু অন্য জল খাবে না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    Yogi Adityanath: পাকিস্তানের কথা বললে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে, মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রচারে এসে উগ্র মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দেশে থেকে পাকিস্তানের কথা বললে, তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কীভাবে উত্তরপ্রদেশ বর্তমানে একটি মডেল রাজ্যে পরিণত হয়েছে, সে কথাও শোনান তিনি। নিজের বক্তব্যে (Maharashtra Polls) যোগী আদিত্যনাথ অনেক কিছুই টেনে আনেন, যার মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির প্রসঙ্গও। কীভাবে রাজ্য প্রশাসন অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত উত্তরপ্রদেশ করেছে, সে কথাও নিজের ভাষণে শোনান যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়, ‘‘একসময় উত্তরপ্রদেশ ছিল মাফিয়াদের দখলে এবং অপরাধীদের কাজকর্ম চলত সেখানে।’’ নিজের বক্তব্যে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, তাঁর আমলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

    উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় কেউ নমাজ পড়ে না

    যোগী (Yogi Adityanath) নিজের বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে নামাজকে কেউ অপব্যবহারও করতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজ্যে রাস্তাতে আর কেউ নামাজ পড়ে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, জনগণের অসুবিধা করে, ট্রাফিক যানজট তৈরি করে, এমন কোনও রকমের আচার অনুষ্ঠান করা হয় না সেখানে। এর পাশাপাশি তিনি গর্বের সঙ্গে একথাও জানিয়েছেন, মসজিদগুলি থেকে মাইকও খুলে নেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘আগামী পাঁচ বছর পরে আমরা সেই সমাজে থাকব, যেখানে লাউডস্পিকার ছাড়াই নামাজ পড়া হবে।’’

    বিরোধী জোটের তুলনা ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে (Yogi Adityanath)

    এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি (Maharashtra Polls) দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের কথা যারা বলবে তাদের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরানো হবে।’’ কারণ তাদের মতো বোঝাকে ভারতে রাখা হবে না। এর পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভারতের উন্নয়ন সমেত ঐতিহাসিক পটভূমি। তিনি ঔরঙ্গজেবের ইস্যু টেনে বলেন, ‘‘সেই জোটকে কখনও ক্ষমতায় আসতে দেবেন না, যাদের মধ্যে ঔরঙ্গজেবের ভাবাদর্শ কাজ করছে।’’ যোগী আদিত্যনাথ ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নামও করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘ শিবাজি ছিলেন এমন একজন মারাঠা, যিনি ঔরঙ্গজেবকে পরাস্ত করতে পেরেছিলেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    BJP: “মনোনয়নে তথ্য লুকিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা! গান্ধী পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবার”, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মনোনয়ন জমা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন বিজেপি (BJP) নেতা গৌরব ভাটিয়া। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি (Gaurav Bhatia) অভিযোগ করেন, ‘‘যে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া দরকার ছিল মনোনয়নপত্রে, তা দেননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।’’ এর পাশাপাশি গান্ধী পরিবারকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক পরিবার বলেও মন্তব্য করেন গৌরব।

    কী বললেন বিজেপি নেতা (BJP)

    গৌরব ভাটিয়া (BJP) বলেন,‘‘ভারত সরকার বনাম এডিআর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হয়, তাঁর যাবতীয় তথ্য। তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন মামলা চলছে তাও উল্লেখ করতে হয়। তাঁর সম্পত্তির বিবরণ ও প্রার্থীর ওপর যাঁরা নির্ভরশীল, তাঁদেরও বিশদ বর্ণনা দিতে হয়। কিন্তু ওয়েনাড়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কোনওভাবেই মানা হয়নি। যদি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কোনও রাজনৈতিক পরিবার থাকে, তবে সেটা হল গান্ধী পরিবার।’’

    আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    সরাসরি চ্যালেঞ্জ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (BJP)

    একইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি (Gaurav Bhatia) জানান, সাহস থাকলে জনগণের সামনে এই ইস্যুতে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করুন কংগ্রেস নেত্রী। প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সময় হাজির ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কংগ্রেসের হাইকমান্ড প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মনোনয়ন দেয় ওয়েনাড় আসন থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলি এবং ওয়েনাড়-এই দুই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাহুল গান্ধী। পরবর্তীকালে ওয়েনাড় আসনটি তিনি ছেড়ে দেন। ওয়েনাড়ের ভোট হবে আগামী ১৩ নভেম্বর, গণনা হবে ২৩ নভেম্বর। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) সেখানে নামিয়েছে যুব প্রার্থী নব্যা হরিদাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে শুরু হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg)। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আরএসএসের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি জানিয়েছেন, প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg) শুরু হবে দীপাবলির দিন থেকে এবং চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৫৫৪ জন প্রচারক এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, প্রচারক বর্গ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চার-পাঁচ বছর অন্তর। ২০২৫ সালেই আরএসএস শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। তার আগে এমন প্রচারক বর্গ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং অন্যান্য সহকার্যবাহ ও সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় স্তরের পদাধিকারীরা এই বৈঠকে যোগদান করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা (RSS Pracharak Varg)?

    বৈঠকে শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রদের বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, গ্রামীণ সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জাতীয় স্তরের নানা ইস্যু এবং সামাজিক ইস্যুও বৈঠকে উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে (RSS Pracharak Varg) আলোচনা হবে আত্মনির্ভরতা, দেশের নিরাপত্তা, জৈব কৃষি, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা সমেত আরও অন্যান্য ইসুতে।

    মথুরায় সঙ্ঘের কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার 

    মথুরায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের দুদিনের বৈঠক সমাপ্ত হয় গতকাল শনিবার ২৬ অক্টোবর। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর এই বৈঠকের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত। মথুরার পারখম গ্রামের দীনদয়াল গাভী বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নবধা অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্ঘের ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রদেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন এই বৈঠকে অংশ নেন। জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল, মণিপুর, ত্রিপুরা থেকেও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয় বৈঠকে। সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং সহ সরকার্যবাহ ডক্টর কৃষ্ণ গোপাল, শ্রী মুকুন্দ, অরুণ কুমার, রামদত্ত চক্রধর, অলোক কুমার, অতুল লিমায়ে হাজির ছিলেন বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শনিবার রাতেই কলকাতায় শাহ, আজ সূচনা করবেন বিজেপি’র ‘সদস্যতা অভিযান’-এর

    Amit Shah: শনিবার রাতেই কলকাতায় শাহ, আজ সূচনা করবেন বিজেপি’র ‘সদস্যতা অভিযান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই কলকাতায় পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ রবিবার সকালে কল্যাণীতে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এরপর দুপুরে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারা দেশে বিজেপির সদস্যতা ১০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। বাংলাতে রবিবার সদস্যতার শুরু করতেই হাজির হয়েছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক কারণেই পশ্চিমবঙ্গে সদস্যতা অভিযান দেরিতে শুরু হচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, সমস্ত কর্মসূচি শেষ করে রাজারহাটের হোটেলে ফিরে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন শাহ। এরপর ফের কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।

    রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছবে শাহের (Amit Shah) বিমান

    রবিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছবে শাহের (Amit Shah) বিমান। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ২৪ অক্টোবর, রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল শাহের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে তাঁর সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়। রাজ্য বিজেপি (WB Bjp) সেই সময় জানিয়েছিল, অমিত শাহের সফর বাতিল হয়নি। কিছু দিনের জন্য স্থগিত হয়েছে মাত্র।

    সাক্ষাৎ হতে পারে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে

    অন্যদিকে, শাহের (Amit Shah) সঙ্গে এদিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাক্ষাৎ হতে পারেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কখন-কোথায় এই সাক্ষাৎ হবে , তা নিয়ে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। সম্প্রতি, অমিত শাহের সাক্ষাৎ চেয়ে তাঁকে ইমেইল করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তার পর বিজেপির (WB Bjp) শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে এগোতে থাকে। বরাবরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে, সিবিআইয়ের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাকে। সেই আবহে আজ রবিবার যদি শাহের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়, আলোচনায় কী কী ইস্যু উঠে আসবে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

    বৃষ্টির জল জমে মাঠে, বাতিল আরামবাগের অনুষ্ঠান

    আরামবাগে সমবায় কর্মসূচিতে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার একটি অনুষ্ঠান ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Union Home Minister)। ঠিক হয়েছিল আরামবাগেই মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। এরপর আরামবাগ থেকে কলকাতায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে আরামবাগের মাঠে জল জমে গিয়েছে। সেই মাঠে শাহের চপার নামতে পারবে না। তাই আরামবাগের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কল্যাণী থেকে সরাসরি কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তারপর যোগ দেবেন সল্টলেকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে (ইজেডসিসি) দলীয় কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    Kali Puja 2024: মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপাকে! জানুন তারাপীঠের মাহাত্ম্যকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ (Tarapith)। কালীপুজোয় (Kali Puja 2024) জমজমাট থাকে বীরভূমের তারাপীঠ। অনেকে ভাবেন এটি সতীপীঠ কিন্তু তারাপীঠ সতীপীঠ নয়। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ এখানেই তাঁকে মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধপীঠ হিসেবেও পরিচিত। তাই অমাবস্যায় রীতি মেনে পুজো হয় এখানেও।

    কালীপুজোয় কেমন হয় তারামায়ের ভোগ (Kali Puja 2024)?

    সকালে স্নানের পর (Tarapith) দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। পরানো হয় চুনরি। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। এখানে মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়৷ আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তারা। কালীপুজোর দিন ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সন্তানকে না খাইয়ে ভোগ গ্রহণ করেন না তারা মা

    দীপান্বিতা (Kali Puja 2024) অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। এরপর নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ। তারামায়ের যেভাবে ভোগ পুজো হয়, সেই একই ভাবে পুজো করা হয় শ্মশান কালীকে। শ্মশানেই রয়েছে মায়ের আসল শিলা পাদুকা। তার পাশে বামদেবের সমাধি। তারাপীঠের নিয়ম অনুযায়ী, সন্তানকে খাইয়ে তবেই তারা মা ভোগ গ্রহণ করেন। তাই বামদেবের ভোগ আগে দেওয়া হয়। ভোগের তালিকায় রয়েছে প্রেত ভোগও। ডাকিনী-যোগিনীদের উদ্দেশে দেওয়া এই ভোগ শ্মশানেই দেওয়া হয়। রাতে এক বারই এই ভোগের আয়োজন থাকে। বামদেবের খুব প্রিয় কুকুর ছিল শিবা। তার জন্যও থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন।

    তারা মা ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে

    বামাক্ষ্যাপা শৈশবেই গৃহত্যাগ করে কৈলাশপতি বাবা নামে এক সন্ন্যাসীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কৈলাশপতি বাবা তারাপীঠে থাকতেন। বামাক্ষ্যাপা তারাপীঠের (Kali Puja 2024) দ্বারকা নদের তীরে যোগ ও তন্ত্রসাধনা করেন। নিকটবর্তী মল্লরাজাদের মন্দিরময় গ্রাম মালুটি যা ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত, সেখানে যোগ সাধনা করতে যান। একই ভাবে দ্বারকার তীরে মৌলাক্ষী দেবীর মন্দিরে সাধনাকালে প্রায় ১৮ মাস অবস্থান করেন। এরপর নিজে ধর্মীয় গুরু হয়ে ওঠেন। ভক্তরাও বিশ্বাস করেন তিনি অলৌকিক শক্তির অধিকারী। তবে বাঁধাধরা নিয়ম কানুন মানতেন না তিনি। দেবতার নৈবেদ্য থেকে প্রসাদ খেয়ে নিতেন পুজোর আগেই। কথিত আছে নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নে দেবী তারা মা আদেশ দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়, বামাকে যেন আগে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে বামাক্ষ্যাপাকে পুজোর আগেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আরও কথিত হয়, দেবী তারা মা তাঁর ভয়ঙ্কর রূপ দেখান সাধক বামাক্ষ্যাপাকে এবং সেই সময় তাঁকে কোলে তুলে নেন মা। এই তারাপীঠ শ্মশান এবং দুমকা জেলার মালুটি গ্রামে সাধাক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতিমন্দির স্থাপন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: গ্রামের ১২০০ একর জমিই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! কর্নাটক সরকারের নোটিশ ঘিরে বিতর্ক

    Waqf Board: গ্রামের ১২০০ একর জমিই নাকি ওয়াকফ সম্পত্তি! কর্নাটক সরকারের নোটিশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার ১২০০ একর জমি নাকি ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) অন্তর্গত! এ নিয়েই বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর কর্নাটক সরকার নোটিশ পাঠায় স্থানীয় কৃষকদের, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এমন নোটিশ পাওয়ার পরেই স্থানীয় কৃষকরা কর্নাটক সরকারের মন্ত্রী এমবি পাতিলের কাছে পিটিশন জমা দেন এবং ওই জমি নিজেদের বলেই দাবি করেন চাষীরা (Farmers Protest)। জানা গিয়েছে, জমিগুলির অবস্থান হল কর্নাটকের, বিজয়পুরা জেলার তিকোটা তালুকের হোনওয়াদা গ্রামে। কৃষকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই জমি তাঁদের অধিকারে রয়েছে। এমন নোটিশ পাওয়ার পর তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা আরও দাবি করেছেন যে, ওয়াকফ বোর্ড ওই ১,২০০ একর জমিকে তাদেরই একটি প্রতিষ্ঠান শাহ আমিনুদ্দিন দরগার জমি বলে নোটিশে (Waqf Board) উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস সরকারের তহসিলদার নোটিশে জানিয়েছে যে, পুরনো সরকারি নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ওই জমিগুলি আসলে ওয়াকফ বোর্ডের।

    কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার ও ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বৈঠক  

    কর্নাটক রাজ্যের কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের আবাসন ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী জমির আহমেদ খান, চলতি মাসেই ওয়াকফের জমি নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন, সেই বৈঠকেই নাকি আলোচনা হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের জমি থেকে অবৈধ দখল অপসারণ করা হবে। যার ফলেই এমন বিতর্কিত নোটিশ জারি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    ৪১ জন কৃষককে নোটিশ, হুঁশিয়ারি চাষীদের (Farmers Protest)

    নোটিশ পাওয়ার পরে চাষীরা জানিয়েছেন যে, জমিটি শাহ আমিনুদ্দিন দরগার বলে দাবি করা হচ্ছে বটে। কিন্তু এই দরগার কয়েকশো বছর ধরে অস্তিত্ব নেই এবং কৃষক পরিবারগুলি কয়েক পুরুষ ধরে এই জমির মালিকানা ভোগ করছেন। প্রসঙ্গত, ওই গ্রামের ৪১ জন কৃষককে এই নোটিশ পাঠিয়ে জমির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সরকারি অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকরা বলছেন, ‘‘আমরাই তো জমির আসল মালিক। যদি সরকার এই নোটিশ প্রত্যাহার না করে, তাহলে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন গড়ে উঠবে।’’ হোনওয়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শঙ্করাপ্পা টুডিগাল এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত।

    কী বলছেন ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকরা

    অন্যদিকে, ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকদের দাবি, ১৯৭৪ সালে যে গেজেট ঘোষণা করা হয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই নোটিশগুলি পাঠানো হয়েছে এবং জমিটি রাজ্য সরকার বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। তবে ওয়াকফ বোর্ডের আধিকারিকরা স্বীকার করছেন যে, কিছু নোটিশ ভুলবশত কৃষকদের পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ডের একজন আধিকারিক তাবাসসুম জানিয়েছেন, যদি কৃষকরা তাঁদের জমির বৈধ রেকর্ড দেখাতে পারেন, তবে ওয়াকফ বোর্ড সেই জমির ক্ষেত্রে কোনও রকমের পদক্ষেপ করবে না।

    কৃষকদের শান্ত থাকার আহ্বান কংগ্রেসের মন্ত্রীর

    কিন্তু বিজয়পুরা জেলার স্থানীয় কৃষকরা একেবারেই নাছোড়বান্দা। তাঁরা সরকারকে ক্রমাগত বিক্ষোভ-আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েই চলেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা জোরালো দাবি করছেন, সমস্যার সমাধান খুব দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। শুধু তাই নয়, গ্রামের ওই ৪১ জন কৃষক বাদে অন্যান্য চাষিরাও যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। বাকি চাষীরা আশঙ্কিত যে কোনও সময় তাঁরাও নোটিশ পেতে পারেন এবং একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। হোনওয়াদা গ্রামের কৃষকরা দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল তৈরি হয়েছে যে কর্নাটকের মন্ত্রী এমবি পাতিল নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতায়, বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন, ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে যা সম্পর্কিত নয় এমন কোনও ব্যক্তিগত জমি বা সম্পত্তিকে সরকার অধিগ্রহণ করবে না। এর পাশাপাশি মন্ত্রী ওই পোস্টে আরও বলেছেন, ‘‘যদি কোনও জমি ভুল ভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Board)  হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে, তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন এবং কৃষকদের সমস্যার সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কৃষকদেরকে শান্ত থাকতেও আবেদন করেছেন এমবি পাতিল।

    বিজেপির তোপ কংগ্রসকে

    অন্যদিকে, কর্নাটকের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে এই সরকার কৃষক বিরোধী এবং ওয়াকফ বোর্ডের পদক্ষেপকেই সমর্থন করছে। কন্নড় ভাষায় একটি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘কংগ্রেস সরকারের অনুপ্রেরণায় ওয়াকফ বোর্ড এখন কৃষকদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। এটা তোষণের রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    Ramakrishna 175: “মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল, আমি রামের দাস, রামনাম করেছি, আমি কি না পারি!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    নাম-মাহাত্ম্য—উপায়—মায়ের নাম 

    আন্তরিক ভক্তি ও দেখানো ভক্তি—ঈশ্বর মন দেখেন 

    যেমন ভাব তেমনি লাভ। দুজন বন্ধু পথে যাচ্ছে। এক যায়গায় ভাগবত পাঠ হচ্ছিল। একজন বন্ধু বললে, ‘এস ভাই, একটু ভাগবত শুনি।’ আর-একজন একটু উঁকি মেরে দেখল। তারপর সে সেখান থেকে চলে গিয়ে বেশ্যালয়ে গেল। সেখানে খানিকক্ষণ পরে তার মনে বড় বিরক্তি এল। সে আপনা-আপনি বলতে লাগল, ‘ধিক্‌ আমাকে! বন্ধু আমার হরি কথা শুনছে, আর আমি কোথায় পড়ে আছি!’ এদিকে যে ভাগবত (Ramakrishna) শুনছে, তারও ধিক্কার হয়েছে। সে ভাবছে, ‘আমি কি বোকা! কি ব্যাড় ব্যাড় করে বকছে, আর আমি এখানে বসে আছি! বন্ধু আমার কেমন আমোদ-আহ্লাদ করছে।’ এরা যখন মরে গেল, যে ভাগবত শুনেছিল, তাকে যমদূত নিয়ে গেল; যে বেশ্যালয়ে গিছিল, তাকে বিষ্ণুদূত বৈকুণ্ঠে নিয়ে গেল।

    ভগবান (Kathamrita) মন দেখেন। কে কি কাজে আছে, কে কোথায় পড়ে আছে তা দেখেন না। ভাবগ্রাহী জনার্দন।

    কর্তাভজারা মন্ত্র দিবার সময় বলে এখন ‘মন তোর’। অর্থাৎ এখন সব তোর মনের উপর নির্ভর করছে।

    তারা বলে, যার ঠিক মন, তার ঠিক করণ, তার ঠিক লাভ।

    মনের গুণে হনুমান সমুদ্র পার হয়ে গেল। আমি রামের দাস, আমি রামনাম (Ramakrishna) করেছি, আমি কি না পারি!’ এই বিশ্বাস

    কেন ঈশ্বরদর্শন হয় না? অহংবুদ্ধির জন্য 

    যতক্ষণ অহংকার ততক্ষণ অজ্ঞান। অহংকার থাকতে মুক্তি নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: মা কালী কোথাও পূজিতা হন শ্মশানবাসিনী রূপে, কোথাও চামুণ্ডারূপে! জানুন সেই ৭টি রূপ

    Kali Puja 2024: মা কালী কোথাও পূজিতা হন শ্মশানবাসিনী রূপে, কোথাও চামুণ্ডারূপে! জানুন সেই ৭টি রূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো-লক্ষ্মীপুজোর পর বাঙালি এবার মেতে উঠবে কালী আরাধনায় (Kali Puja 2024)। সারা বছর ধরেই কালীপুজো বাংলা জুড়ে দেখা যায়। তবে দুর্গাপুজোর পরে অনুষ্ঠিত হওয়া কালীপুজো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। হাতে গোনা আর মাত্র ক’টা দিন। তার পরেই কালীপুজো (Kali Puja)। আচার-উপাচার মেনে দেবী কোথাও পূজিতা হবেন শ্মশানবাসিনী রূপে, কোথাও আবার চামুণ্ডারূপে। কোথাও দেবী শ্যামবর্ণা, কোথাও তাঁর গায়ের রং নীল। আজকে আমাদের প্রতিবেদনে রইল দেবীর ৭ রূপের বর্ণনা।

    দেবী কালীর (Kali Puja 2024) ৭ রূপের বর্ণনা

    শ্মশান কালী-ডাকাতদের কালী (Kali Puja 2024) পুজোর গল্প তো আমরা সকলেই জানি। রঘু ডাকাত থেকে কালু ডাকাত-সকলেই নাকি কালীপুজো করে ডাকাতি করতে যেতেন। দেবীর গায়ের রং হয় একেবারে কালো কুচকুচে। ভয়ঙ্কর হয় চোখ। তবে গৃহস্থের বাড়িতে কালীর এই রূপের পুজো হয় না একেবারেই। দেবীকে অনেকে ডাকাত কালীও বলে থাকেন। মূলত শ্মশানেই দেবীর এই রূপের পুজো করা হয়।

    সিদ্ধকালী-শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, দেবীর (Kali Puja) এই রূপ ভুবনেশ্বরী নামেও পরিচিত। তবে গৃহস্থ বাড়িতে কালীর এই রূপের পুজোর চল একেবারেই নেই। সাধারণত সাধকেরা দেবী কালীর এই রূপের পুজো করে থাকেন। সিদ্ধকালীর দু’টি হাত থাকে, গোটা শরীর গয়নার অলঙ্কারে সাজানো থাকে। দেবীর ডান পা থাকে শিবের বুকে এবং বাঁ পা থাকে তাঁর দু’পায়ের মাঝখানে।

    মহাকালী-দেবীর এই রূপ প্রচলিত কালী মূর্তির থেকে অনেকটাই আলাদা। এই রূপে দশটি মাথা, দশটি হাত এবং দশটি পা থাকে। মহাকালীর প্রতিমার সঙ্গে শিবকে দেখা যায় না। দশভূজা দেবীর প্রতিটি হাতেই থাকে অস্ত্র। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড দেখা যায়। মহাকালীর পুজো গৃহস্থ বাড়িতে করা হয় না।

    শ্রী কালী-দেবী দুর্গা বা পার্বতীর অন্য একটি রূপ হল শ্রী কালী। অনেকে বলেন, দেবী দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন বলেই এমন নামকরণ। পুরাণ অনুয়ায়ী জানা যায়, কালীর এই রূপ মহাদেবের কণ্ঠে প্রবেশ করে ও শিবের কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান। 

    চামুণ্ডা কালী-দেবী চামুণ্ডাকে আদিশক্তি রূপে আরাধনা করা হয়। ভগবতী দুর্গা রূপেও তিনি আরাধিত হন। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন।

    ভদ্রকালী-কালীর এই রূপ সাধারণত বারোয়ারি বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করা হয়। ভদ্রকালী নামে ভদ্র শব্দটি ব্যবহার হয়েছে কল্যাণ অর্থে এবং কালী শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের শেষ সময় বোঝাতে।

    দক্ষিণা কালী-এই রূপেই সবচেয়ে বেশি পূজিতা হন দেবী কালিকা (Kali Puja 2024)। এই রূপে দেবীর সঙ্গে থাকেন মহাদেব স্বয়ং। দেবীর গায়ের রং একেবারে কালচে নীল। গলায় ঝোলানো থাকে মুণ্ডমালা। দেবীর চার হাত। দুই হাতে থাকে খড়্গ আর মুণ্ড। অন্য দুই হাতে দেখা যায় অভয় মুদ্রা ও বরদা মুদ্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share