Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 526: “ঈশ্বরীয় রূপ কত যে দর্শন হয়েছে, তা বলা যায় না। সেই সময়ে বড় পেটের ব্যামো”

    Ramakrishna 526: “ঈশ্বরীয় রূপ কত যে দর্শন হয়েছে, তা বলা যায় না। সেই সময়ে বড় পেটের ব্যামো”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই
    শ্রীরামকৃষ্ণের কুষ্ঠি — পূর্বকথা — ঠাকুরের ঈশ্বরদর্শন
    রাম, লক্ষ্মণ ও পার্থসারথি-দর্শন—ন্যাংটা পরমহংসমূর্তি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে সেই ছোট ঘরে কথা কহিতেছেন। মহেন্দ্র মুখুজ্জে, বলরাম, তুলসী, হরিপদ, গিরিশ প্রভৃতি ভক্তেরা বসিয়া আছেন। গিরিশ ঠাকুরের কৃপা পাইয়া সাত-আট মাস যাতায়াত করিতেছেন। মাস্টার ইতিমধ্যে গঙ্গাস্নান করিয়া ফিরিয়াছেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া তাঁহার কাছে বসিয়াছেন। ঠাকুর তাঁহার অদ্ভুত ঈশ্বর-দর্শনকথা একটু একটু বলিতেছেন (Kathamrita)।

    “কালীঘরে একদিন ন্যাংটা আর হলধারী অধ্যাত্ম (রামায়ণ) পড়ছে। হঠাৎ দেখলাম নদী, তার পাশে বন, সবুজ রঙ গাছপালা,—রাম লক্ষ্মণ জাঙ্গিয়া পরা, চলে যাচ্ছেন। একদিন কুঠির সম্মুখে অর্জুনের রথ দেখলাম।—সারথির বেশে ঠাকুর বসে আছেন। সে এখনও মনে আছে।

    “আর একদিন, দেশে কীর্তন হচ্ছে,—সম্মুখে গৌরাঙ্গমূর্তি।

    “একজন ন্যাংটা সঙ্গে সঙ্গে থাকত—তার ধনে হাত দিয়ে ফচকিমি করতুম। তখন খুব হাসতুম। এ ন্যাংটোমূর্তি আমারই ভিতর থেকে বেরুত। পরমহংসমূর্তি,—বালকের ন্যায়।

    “ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) রূপ কত যে দর্শন হয়েছে, তা বলা যায় না। সেই সময়ে বড় পেটের ব্যামো। ওই সকল অবস্থায় পেটের ব্যামো বড় বেড়ে যেত। তাই রূপ দেখলে শেষে থু-থু করতুম—কিন্তু পেছেনে গিয়ে ভূত পাওয়ার মতো আবার আমায় ধরত! ভাবে বিভোর হয়ে থাকতাম, দিনরাত কোথা দিয়ে যেত! তার পরদিন পেট ধুয়ে ভাব বেরুত!” (হাস্য)

    গিরিশ (সহাস্যে)—আপনার কুষ্ঠি দেখছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দ্বিতীয়ার চাঁদে জন্ম। আর রবি, চন্দ্র, বুধ—এছাড়া আর কিছু বড় একটা নাই।

    গিরিশ—কুম্ভরাশি। কর্কট আর বৃষে রাম আর কৃষ্ণ;—সিংহে চৈতন্যদেব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দুটি সাধ ছিল (Kathamrita)। প্রথম—ভক্তের রাজা হব, দ্বিতীয় শুঁটকে সাধু হবো না।

  • Murshidabad: “মমতার নির্দেশেই উগ্র রাজনীতি করছেন ভরতপুরের বিধায়ক”, বহিষ্কৃত হুমায়ূনকে তোপ শুভেন্দুর

    Murshidabad: “মমতার নির্দেশেই উগ্র রাজনীতি করছেন ভরতপুরের বিধায়ক”, বহিষ্কৃত হুমায়ূনকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৬ ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) ভিত্তি স্থাপনা ঘোষণা করে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন  তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। একদিকে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা, অপর দিকে সভার ময়দানে হাজির হয়ে জানতে পারলেন তিনি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। ঘটনার দিন ঠিক সভার আগেই কলকাতার তৃণমূল ভবনে যিনি সাংবাদিক সম্মলেন করে এই কথা ঘোষণা করেছেন তিনি আর কেউ নন কলকাতা মেয়র ববি হাকিম। এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের নির্দেশেই উগ্র রাজনীত করছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর।” তবে হুমায়ূনের নিশানা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। তিনি তোপ দেগে বলেন, “আগামীতে এই আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক আমি স্বাগত জানাব।”

    আলাদা দল হলে তৃণমূলের ভোট কাটবে (Murshidabad)

    ভরতপুরের (Murshidabad) সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো হুমায়ুন কবীরকে বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) নির্মাণের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন কিনা কিংবা তাঁর পিছনে রয়েছেন কিনা, সেটাও তো জানতে হবে। আমরা কারোর ভরসায় বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আনতে চাই না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জাতীয়তাবাদী, বিকাশবাদী, সুশাসন, সুরক্ষা, পেটে ভাত, হাতে কাজ, মাথায় ছাদ, নারীর সম্মান, নারীর সুরক্ষা। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একুশটি রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে এবং বিহারেও দল বিপুল জয় পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির ক্ষমতায় আসা দরকার।” অপর দিকে মমতা নিজের সভায় নাম না করে হুমায়ূনকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ভোটের আগে কেউ কেউ টাকা খেয়ে বিজেপির তাবেদারি করছে।” তবে শুভেন্দু সরাসরি না বললেও ইঙ্গিত দেন, হুমায়ূন যদি আলাদা দল গড়েন তাহলে তৃণমূলের ভোট কাটলে বিজেপির কিছুটা সুবিধা হলেও হতে পারে।

    আইএসআই কী সাহায্য করছে?

    উল্লেখ্য ২০২৪ সালের যখন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেই সময় মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ূন। তিনি সাফ বলেছিলেন, “আমি হুমায়ূন, বাবরের ছেলে তাই আমাকে এই কাজ করতেই হবে। ৬ ডিসেম্বর, রেজিনগর (Murshidabad) থেকে বেলডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করব। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথ অবরুদ্ধ করবে। মসজিদ গড়বই।” সম্প্রতি ওয়াকফের নামে সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ হয়েছে। চলেছে খুন-ধর্ষণ। ঘরা ছাড়া হয়েছেন শয়ে শয়ে পরিবার। ঠিক তার পরে পরেই হুমায়ূন ইউনূসের বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশের হিন্দুরা খুব ভালো আছেন বলে মন্তব্যও করেছিলেন। বাংলাদেশ এখন আইএসআই-এর খপ্পড়ে, একথা সবাই জানেন। আর তারপরেই বাবরি মসজিদ নিয়ে তোড়জোড়। রাজনৈতিক একাংশের মত হুমায়ূনকে পাকিস্তান মদত করছে।

    হিন্দুদেরকে কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ায়ে দেবেন

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেবেন।” তখন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ব্যবস্থা নেননি। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম প্রকাশ্যে ‘দাওয়াত-ইসলাম’-এর প্রচার করে বলেছিলেন “যাদের জন্ম মুসলমান ঘরে হয়নি তারা দুর্ভাগা”। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা এক মুসলিম ধর্মের সমাবেশে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্ম গান্ধা ধর্ম।” কোনও মন্তব্যের জন্য কেউ ক্ষমা চাননি, সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিরুদ্ধে কোনও রকম আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ হয়নি।

    বহিষ্কার আইওয়াশ?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের অঙ্কে মুসলিম ভোট একটি বড় বিষয়। তাই মুসলমানকে খুশি করতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তোষণের রাজনীতি করেন। এমনটাই বিজেপি বার বার অভিযোগ করে সরব হয়েছে রাজ্যে। উল্লেখ্য রাজ্যে ৬ ডিসেম্বর রামমন্দিরের ৫০০ বছরের জন-গণ আন্দোলনকে ছোট করতে সংহতি দিবস পালন করে ভোটের অঙ্ককে ঠিক রাখবেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। ২০২৪ সালে অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং উদ্বোধন নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না মমতা। নিমন্ত্রণ পর্যন্ত স্বীকারও করেননি। একই ভাবে হিন্দুধর্মের মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। ফলে যে মুখ্যমন্ত্রী ধুলিয়ানে (Murshidabad) মৌলবাদীরা ওয়াকফের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে কোনও অ্যাকশেন নেননি, তিনি হুমায়ূনকে বাবরি ইস্যুতে (Babri Masjid) বহিস্কার করে কি আইওয়াশ করলেন? রাজনীতির একাংশের মানুষ অবশ্য এমনটাই মনে করছেন।

  • SIR: তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করলে বিএলওদের কড়া শাস্তি! চিঠিতে নির্দেশ সিইও মনোজ আগরওয়ালের

    SIR: তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করলে বিএলওদের কড়া শাস্তি! চিঠিতে নির্দেশ সিইও মনোজ আগরওয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এর (SIR) কাজে তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল হলে কোনও ভাবেই রেয়াত করা যাবে না। বিএলওদের কড়া বার্তা দিল মুখ্য নির্বাচনী দফতরের আধিকারিক সিইও। রাজ্যের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাতিল প্রসঙ্গে আর কোনও আপস নয়। তাই কমিশনের তরফে তোড়জোড় নির্দেশ। বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর থেকেই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের কাজ শুরু হয়েছে। ইআরওদের নতুন সফটঅয়্যার দিয়েছে কমিশন (Eelection Commission)। বিএলও উদ্দেশে চিঠি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত সপ্তাহে কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দফতরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

    মনোজ আগরওয়ালের চিঠি (SIR)  

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল সমস্ত বিএলওদের (SIR) স্পষ্ট ভাবে  নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “এসআইআর-এর দায়িত্ব পুরোপুরি বিএলও-দের। ইচ্ছাকৃত ভুল ধরা পড়লে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তি হল ভোটার তালিকা। এই তালিকার নিবিড় সংশোধন একান্ত প্রয়োজন। খসড়া এবং চূড়ান্ত তালিকা নির্মাণে একচুল পরিমাণ ঢিলেমি মেনে নেওয়া চলবে না।”

    বিএলও-দের পাঠানো চিঠিতে কমিশনের (Eelection Commission) তরফে বক্তব্য ছিল— কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। একইসঙ্গে কমিশনের তরফে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন যেসব বিএলওরা। পাশাপাশি স্পষ্ট বার্তা কমিশনের যে কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের সুরক্ষা এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত।

    বিএলওরা বিএলএদের সঙ্গে এলাকায় বৈঠক করবেন

    নির্বাচন কমিশন (Eelection Commission) দফতরে খবর কোনও ভোটার একের বেশি এনুমারেশন ফর্ম (SIR) জমা দিলে এই প্রযুক্তিতে তথ্য ধরা পড়বে। এরপর শুরু হবে চিহ্নিত করণের কাজ। ইআরও-রা বৃহস্পতিবার থেকে এই প্রযুক্তিতে কাজ করবেন। এর পরে জাল ভোটার পাকড়াও করতে ডিইও, সিইও এবং কমিশন এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। বিএলওরা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা এবং মতামত গ্রহণ করা হবে। তবে কমিশনের সাফ নির্দেশ এলাকা বা বুথের বাইরে কোনও বৈঠক করা যাবে না।

    খসড়ায় নেই ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৬৩ জন

    কমিশন (Eelection Commission) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR)  কারণে বাদ যেতে চলেছে প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। শেষ পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৬৩ জনের নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না। তার মধ্যে রয়েছে মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে এমন, ঠিকানা বদল হয়েছে এমন নাম এবং জাল ভোটারদের নাম। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা হল ২৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫ জন, এক ঠিকানা থেকে অন্য ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছেন ১৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০২ জন। বি এলওরা খুঁজে পাননি এমন সংখ্যাটাও ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ১৬২ জন।

    জ্ঞানেশ কুমারকে আসতে হবে

    বিহারের পর বাংলা সহ দেশজুড়ে ১৩ টি রাজ্যে নিবিড় সংশোধনের (Eelection Commission) কাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিএলওদের মৃত্যু এবং আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুর অজুহাত খাড়া করে বারবার কমিশনকে নিশানা করেছেন। অপর দিকে এসআইআর শুরু হতেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা নিউটাউন, মধ্যমগ্রামের, গুলশান কলোনীর বস্তিগুলিকে খালি করে সীমান্তের বর্ডারে ভিড় করছে। পাশাপাশি এসআইআর-এর কাজ ফাঁকি দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর তাই রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য তালিকার কাজ সরেজমিনে দেখার জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে খোদ বাংলায় এসে কাজের সমীক্ষা করার দাবি করেছেন। এখন কমিশন কতটা পরিমাণে এসআইআর নির্ভুল করে তাই এখন দেখার।

  • Illegal Loan Apps Banned: প্রতারণা এবং দুর্নীতি রোধে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    Illegal Loan Apps Banned: প্রতারণা এবং দুর্নীতি রোধে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা এবং দুর্নীতি রুখতে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপকে (Bans 87 Loan Apps) নিষিদ্ধ করল মোদি সরকার (Modi Sarkar)। কেন্দ্রীয় সরকারের (Government of India) ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৯এ-এর ধারার উল্লেখ করে এবং বিধিবদ্ধ ক্ষমতার প্রয়োগ করে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা এই নির্দেশিকাটি একটি রিপোর্ট আকারে পেশ করেছেন লোকসভায়। আর্থিক প্রতারণা এবং দুর্নীতি রুখতে সরকারের এই পদক্ষেপ বিরাট কার্যকারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঋণের ফাঁদে ফেলার চক্র কাজ করত (Bans 87 Loan Apps)

    লোকসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা (India Government) জানিয়েছেন, ভারত সরকার অবৈধ ঋণ অ্যাপগুলিকে (Bans 87 Loan Apps) বাতিল ঘোষণা করেছে। এর মূল কারণ হল, বহু মানুষ বা গ্রাহক অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। প্রলোভন দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ঋণের ফাঁদে ফেলার চক্র কাজ করছিল। অল্প পরিমাণে ঋণ দিয়ে বিপুল পরিমাণ সুদ আদায় করে থাকে এই অ্যাপগুলি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, এই সন্দেহজনক অ্যাপগুলি থেকে ব্যবহারকারীদের বিরত রাখা যাবে। সারা দেশে এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে হয়রানি, তথ্যের অপব্যবহার এবং এমনকি জালিয়াতির জন্য অনেক অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে। বিপুল পরিমাণে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার এই অ্যাপগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনলাইন অ্যাপের এই প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারকারীদের মানসিকভাবে নির্যাতন করে অনৈতিক উপায় বিব্রত করার ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

    প্রতি মাসে ২৫% পর্যন্ত সুদ নেয়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, কোম্পানি আইন ২০১৩-এর অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপটিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং কোম্পানি আইনের দিকগুলিকেও সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার (India Government) চেষ্টা করছে ডিজিটাল উপায়ে ভারতে ঘটমান যে কোনও ধরণের আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।

    একাধিক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতে তাৎক্ষণিক ঋণ অ্যাপগুলিতে (Bans 87 Loan Apps) প্রতি মাসে গৃহীত সুদের পরিমাণ হল ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর যখন ব্যবহারকারী এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের ঘন ঘন কল এবং আরও অনেক কিছুর বিকৃত ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এই ধরণের অ্যাপগুলি যদি নতুন ব্র্যান্ডিংও করে, তাহলে ভবিষ্যতে সরকার আইনের মাধ্যমে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Ramakrishna 525: “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল, আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!”

    Ramakrishna 525: “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল, আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই

    ভক্তিযোগের গূঢ় রহস্য—জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়
    মুখুজ্জে, হরিবাবু, পূর্ণ, নিরঞ্জন, মাস্টার, বলরাম 

    দুই সমাধি-সমাধি প্রতিবন্ধক—কামিনী-কাঞ্চন 

    “সমাধি মোটামুটি দুইরকম।—জ্ঞানের পথে, বিচার করতে করতে অহং নাশের পর যে সমাধি, তাকে স্থিতসমাধি বা জড়সমাধি (নির্বিকল্পসমাধি) বলে। ভক্তিপথের সমাধিকে ভাবসমাধি বলে। এতে সম্ভোগের জন্য, আস্বাদনের জন্য, রেখার মতো একটু অহং থাকে। কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্তি থাকলে এ-সব ধারণা হয় না।

    “কেদারকে বললুম, কামিনী-কাঞ্চনে মন থাকলে হবে না। ইচ্ছা হল, একবার তার বুকে হাত বুলিয়ে দি,— কিন্তু পারলাম না। ভিতরে অঙ্কট-বঙ্কট। ঘরে বিষ্ঠার গন্ধ, ঢুকতে পারলাম না। যেমন স্বয়ম্ভু লিঙ্গ কাশী পর্যন্ত জড়। সংসারে আসক্তি,—কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি,—থাকলে হবে না।

    “ছোকরাদের ভিতর এখনও কামিনী-কাঞ্চন ঢোকে নাই; তাইতো ওদের অত ভালবাসি। হাজরা বলে, ‘ধনীর ছেলে দেখে, সুন্দর ছেলে দেখে,—তুমি ভালবাস’। তা যদি হয়, হরিশ, নোটো, নরেন্দ্র—এদের ভালবাসি কেন? নরেন্দ্রের ভাত নুন দে খাবার পয়সা জোটে না (Kathamrita)।

    “ছোকরাদের ভিতর বিষয়বুদ্ধি এখনও ঢোকে নাই। তাই অন্তর অত শুদ্ধ।

    “আর অনেকেই নিত্যসিদ্ধ। জন্ম থেকেই ঈশ্বরের দিকে টান। যেমন বাগান একটা কিনেছ। পরিষ্কার করতে করতে এক জায়গায় বসানো জলের কল পাওয়া গেল। একবারে জল কলকল করে বেরুচ্ছে।”

    পূর্ণ ও নিরঞ্জন—মাতৃসেবা—বৈষ্ণবদের মহোৎসবের ভাব

    বলরাম—মহাশয়, সংসার মিথ্যা, একবারে জ্ঞান, পূর্ণের কেমন করে হল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—জন্মান্তরীণ। পূর্ব পূর্ব জন্মে সব করা আছে। শরীরটাই ছোট হয়ে আবার বৃদ্ধ হয়—আত্মা সেইরূপ নয়।

    “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল। আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!

    “নিরঞ্জনকে দেখ(Kathamrita)— লেনাদেনা নাই।—যখন ডাক পড়বে যেতে পারবে। তবে যতক্ষণ মা আছে, মাকে দেখতে হবে। আমি মাকে ফুল চন্দন দিয়ে পূজা করতাম। সেই জগতের মা-ই মা হয়ে এসেছেন। তাই কারু শ্রাদ্ধ,—শেষে ঈষ্টের পূজা হয়ে পড়ে। কেউ মরে গেলে বৈষ্ণবদের মহোৎসব হয়, তারও এই ভাব।

    “যতক্ষণ নিজের শরীরের খপর আছে ততক্ষণ মার খপর নিতে হবে। তাই হাজরাকে বলি, নিজের কাশি হলে মিছরি মরিচ করতে হয়, মরিচ-লবণের যোগাড় করতে হয়; যতক্ষণ এ-সব করতে হয়, ততক্ষণ মার খপরও নিতে হয়।

    “তবে যখন নিজের শরীরের খপর নিতে পাচ্ছি না,—তখন অন্য কথা। তখন ঈশ্বরই সব ভার লন।

    “নাবালক নিজের ভার নিতে পারে না। তাই তার অছি (Guardian) হয়। নাবালকের অবস্থা—যেমন চৈতন্যদেবের (Ramakrishna) অবস্থা।”

    মাস্টার গঙ্গাস্নান করিতে গেলেন।

  • SSC Scam: মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশনে বাঁচানোর চেষ্টা! সুপার নিউমেরারি পদ বাতিল হাইকোর্টের

    SSC Scam: মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশনে বাঁচানোর চেষ্টা! সুপার নিউমেরারি পদ বাতিল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদ (SSC Scam) তৈরির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চকারি বহাল রাখার রায়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উচ্চ আদালতের অন্য একটি রায়ে বেজায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, রাজ্যের সিদ্ধান্তকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিচারপতি সাফ জানান, নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ করা যায় না।

    ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ খারিজ (SSC Scam)

    শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে শরীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে অতরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৬০০ সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৯ মে এবং ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই দুই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি রায় দান করার সময় বলেন, “আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণে এই অতিরক্ত শুন্যপদগুলি বেআইনি (SSC Scam), মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই পদে কোনও নিয়োগ নয়, ২০১৯ সালের প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তৈরি করা হয়েছে এই শূন্যপদে। কারণ পদগুলি বৈধ নয়। অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হলে শূন্যপদ ঘোষণা করতে হয়।” তবে উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি মামলার বিষয়ে শুনানি হবে আগামী জানুয়ারি মাসে।

    চরম ধাক্কা মমতা সরকারের

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপার নিউমেরারি পদ (SSC Scam) তৈরির উপর অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপার নিউমেরারি সিদ্ধান্ত ছিল, সেখানে অবশ্য হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। তবে রাজ্য সরকার গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের অনুমতি দিক আদালত। কিন্তু ৭ মে হাইকোর্টে এই পদের উপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপর মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গেলে ফের বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চেই পাঠানো হয় মামলা।

  • SSC scam: “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্যদের হাতে বড় অস্ত্র”, ৩২ হাজার বহালে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    SSC scam: “ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্যদের হাতে বড় অস্ত্র”, ৩২ হাজার বহালে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় ৩২০০০ নিয়োগকে মানবিক দৃষ্টিকোণে বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের সাফ কথা, সমস্ত তথ্য এবং প্রমাণের সাপেক্ষে মামলায় ভুক্তভুগিদের পরিবার এবং গত ৯ বছর ধরে চাকরি করার ভিত্তিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার সিদ্ধান্তকে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়কে টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসএসসি নিয়োগ দুর্নিতি মামলায় এক এক বেঞ্চে এক এক বিচারপতির আলাদা আলাদা মত। আমি মনে করি আইন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় সব সময় তথ্য এবং নথি দেখে ন্যায় বিচার দেওয়া উচিত।”

    অভিজিৎ বাবু ঠিক জায়গাটা ধরে ছিলেন (SSC scam)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলা এবং ৩২০০০ চাকরি বহাল প্রসঙ্গে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, “এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে বিচারপতিরা (Calcutta High Court) কি মানবিক আচরণ করেননি? প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৯ বছরের চাকরি এবং পরিবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক-একটি বেঞ্চে বিচারপতিরা এক-এক রকমের মত প্রকাশ করে থাকেন। সিঙ্গেল বেঞ্চে রায় ছিল তথ্য ভিত্তিক। আর ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল মানবিক। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার হলফনামা দিয়ে স্বীকার করা হয়েছে যে ঠিক ভাবে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়নি। ফলে ডিভিশন বেঞ্চের রায় অযোগ্য বা টাকা দিয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা কার্যত তাদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে কোনও নিয়োগ স্বচ্ছভাবে হয়নি। সম্প্রতি পুলিশের যে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে সেখানেও কোনও রকম কার্বন কপি দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে জায়গাটা ধরে ছিলেন সেখানে সেই জায়গায় কোনও বেঠিক হওয়ার প্রশ্ন নেই। টাকার দিয়ে মমতার সরকার চাকরি বিক্রি যে করেছে সেকথা আদালতেও বার বার প্রমাণিত হয়েছে।”

    সমস্ত বঞ্চিতরা এখনও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC scam) মামলার রায়ে (Calcutta High Court) প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, “আদালতের দেওয়া রায়ের কপি বিস্তারিত ভাবে হাতে পেলে আরও বিশ্লেষণ করব। তবে এটাও ঠিক সমস্ত বঞ্চিতরা এখনও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। তবে আজকের রায়ে যারা চাকরি করেছে তাদের উদ্দেশে কিছু বলার নেই। কারণ তারাও পরিস্থিতির স্বীকার। আমার সহানুভূতি তাদের সঙ্গে সবসময় রয়েছে। তবে মানিক ভট্টাচার্য যে কুকর্ম করেছেন তার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে রয়েছেন। পদ্ধতি গত ত্রুটির কথা আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে। ৩২ হাজারে কথা ভেবে মানবিক দৃষ্টিকোণে রায় দিয়েছে। তারা এখন কি করবেন এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়।”

    বঞ্চিত পরিবারের কোনও মূল্য নেই?

    এইমামলার (SSC scam) অপর দিকে বঞ্চিতদের পক্ষে আদালতে লড়াই করেছেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি মামলার রায় নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নামক গ্রহণ যতদিন থাকবে, ততদিন আপনাদের খুব একটা কিছু হবে না। যারা এখন পড়াশোনা করছেন তারাও নিশ্চয়ই দেখছেন রাজ্যে কী চলছে। চুরির সময়কালটা বেশি হয়ে গেলে মনে হয় চুরি মান্যতা পেয়ে যায়।। যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের পরিবারের কোনও মূল্য নেই?”

    লড়াই চলবে

    আদালতের (Calcutta High Court) মানবিক যুক্তির কথাকে তুলে ধরে তরুণজ্যোতি আরও বলেন, “মানবিকতা আর ন্যায়বিচার (SSC scam) এক জিনিস নয়। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সেলিব্রেশন সেই পার্থক্যটাই আড়াল করছে। সুপ্রিম কোর্টে এমন বহু রায় আছে, ত্রিপুরা চাকরি বাতিল মামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক এসএসসি মামলার জাজমেন্ট—যেখানে দুর্নীতির চাকরি বাতিলের নীতি স্পষ্ট। আজকের রায়ে বেঞ্চ জানাল, দুর্নীতির তদন্ত আগের মতোই চলবে এবং যাদের বিভিন্ন ইস্যু সহ রিজার্ভেশন নিয়ে যে সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলাগুলি চলছে তাদের কেস সিঙ্গেল বেঞ্চে চলবে। আদালতের রায় শিরোধার্য। লড়াই চলবে। এ রায় যেদিকেই যেত, শেষ কথা তো সুপ্রিম কোর্টেই হত—এখনও হবে। এ লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা আজ সবটাই বুঝতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি চলবে।

  • Ramakrishna 524: “পূর্ণজ্ঞান আর পূর্ণভক্তি একই, ‘নেতি’ ‘নেতি’ করে বিচারের শেষ হলে, ব্রহ্মজ্ঞান”

    Ramakrishna 524: “পূর্ণজ্ঞান আর পূর্ণভক্তি একই, ‘নেতি’ ‘নেতি’ করে বিচারের শেষ হলে, ব্রহ্মজ্ঞান”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই

    ভক্তিযোগের গূঢ় রহস্য—জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়

    মুখুজ্জে, হরিবাবু, পূর্ণ, নিরঞ্জন, মাস্টার, বলরাম 

    মুখুজ্জে—হরি (বাগবাজারের হরিবাবু) আপনার কালকের কথা শুনে অবাক্‌! বলে, ‘সাংখ্যদর্শনে, পাতঞ্জলে, বেদান্তে—ও-সব কথা আছে। ইনি সামান্য নন।’

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কই, আমি সাংখ্য, বেদান্ত পড়ি নাই।

    “পূর্ণজ্ঞান আর পূর্ণভক্তি একই। ‘নেতি’ ‘নেতি’ করে বিচারের শেষ হলে, ব্রহ্মজ্ঞান।—তারপর যা ত্যাগ করে গিছিল, তাই আবার গ্রহণ। ছাদে উঠবার সময় সাবধানে উঠতে হয়। তারপর দেখে যে, ছাদও যে জিনিসে—ইট-চুন-সুরকি—সিঁড়িও সেই জিনিসে তৈয়ারী!

    “যার উচ্চ বোধ আছে, তার নিচু বোধ আছে। জ্ঞানের পর, উপর নিচে এক বোধ হয়।

    “প্রহ্লাদের যখন তত্ত্বজ্ঞান হত, ‘সোঽহম্‌’ হয়ে থাকতেন। যখন দেহবুদ্ধি আসত ‘দাসোঽহম্‌’, ‘আমি তোমার দাস’, এই ভাব আসত।

    “হনুমানের (Kathamrita) কখনও ‘সোঽহম্‌’, কখন ‘দাস আমি’, কখন ‘আমি তোমার অংশ’, এই ভাব আসত।

    “কেন ভক্তি নিয়ে থাকো?—তা না হলে মানুষ কি নিয়ে থাকে! কি নিয়ে দিন কাটায়।

    “‘আমি’ তো যাবার নয়, ‘আমি’ ঘট থাকতে সোঽহম্‌ হয় না। সমাধিস্থ হলে ‘আমি’ পুছে যায়, —তখন যা আছে তাই। রামপ্রসাদ বলে (Kathamrita), তারপর আমি ভাল কি তুমি ভাল, তা তুমিই জানবে।

    “যতক্ষণ ‘আমি’ রয়েছে ততক্ষণ ভক্তের মতো থাকাই ভাল! ‘আমি ভগবান’ এটি ভাল না। হে জীব, ভক্তবৎ এটি ভাল না। হে জীব, ভক্তবৎ ন চ কৃষ্ণবৎ!—তবে যদি নিজে টেনে লন, তবে আলাদা কথা। যেমন মনিব চাকরকে ভালবেসে বলছে, আয় আয় কাছে বোস আমিও যা তুইও তা। গঙ্গারই ঢেউ, ঢেউয়ের গঙ্গা হয় না!

    “শিবের (Ramakrishna) দুই অবস্থা। যখন আত্মারাম তখন সোঽহম্‌ অবস্থা, — যোগেতে সব স্থির। যখন ‘আমি’ একটি আলাদা বোধ থাকে তখন ‘রাম! রাম!’ করে নৃত্য।

    “যাঁর অটল আছে, তাঁর টলও আছে।

    “এই তুমি স্থির। আবার তুমিই কিছুক্ষণ পরে কাজ করবে।

    “জ্ঞান আর ভক্তি একই জিনিস। — তবে একজন বলছে ‘জল’, আর-একজন ‘জলের খানিকটা চাপ’।”

  • Delhi Municipal: দিল্লি পুর নিগম উপনির্বাচনে ১২ আসনের মধ্যে ৭টিতে জয় বিজেপির

    Delhi Municipal: দিল্লি পুর নিগম উপনির্বাচনে ১২ আসনের মধ্যে ৭টিতে জয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দিল্লি পুর নিগমের (Delhi Municipal) উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ১২টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয়লাভ করেছে। গত ফেব্রুয়ারির বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে ক্ষমতায় বসেছে বিজেপি। এবারে পুরসভার নির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত রাখল গেরুয়া শিবির। তবে আম আদমি পার্টি তিনটি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। দ্বাদশ আসনটি অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে। তবে এই নির্বাচন বিজেপি এবং আপের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার জন্য এই নির্বাচন ছিল একটি বড় পরীক্ষা। তবে খুব সহজেই উত্তীর্ণ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি প্রদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিজেপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে বিজেপির (BJP Delhi) জয় নিয়ে আগে থেকেই তিনি ভীষণ ভাবে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

    রেখা গুপ্তার সিটে জয়ী বিজেপি (Delhi Municipal)

    দিল্লি পুরসভা (BJP Delhi) উপনির্বাচনে যে যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট হয়েছে, সেগুলি হল, গ্রেটার কৈলাস, শালিমার বাগ বি, অশোক বিহার, চাঁদনি চক, চাঁদনি মহল, দিচাঁও কালান, নারায়ণা, সঙ্গম বিহার এ, দক্ষিণ পুরী, মুন্ডকা, বিনোদ নগর এবং দ্বারকা বি। উল্লেখ্য, গত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কাউন্সিলররা বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর এগারোটি আসন শূন্য হয়ে যায়। তাই জরুরি হয়ে পড়ে উপনির্বাচন।

    দিল্লি পুর নিগমে (Delhi Municipal) এই শূন্যপদগুলির মধ্যে সবচেয়ে একটি ছিল শালিমার বাগ বি। এখান থেকেই বিজেপি নেত্রী রেখা গুপ্তা প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তবে শালিমার বাগ বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলে কাউন্সিলর পদটি ফাঁকা হয়ে যায়। এবারে বিজেপির হয়ে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন অনিতা জৈন। একই ভাবে বিজেপি জয়ী হয়েছে চাঁদনি চক (BJP Delhi), গ্রেটার কৈলাশ এবং অশোক বিহারের ওয়ার্ডগুলিতেও। তবে বীণা আসিজা ৪০৫ ভোটের সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

    দক্ষিণপুরী, মুন্ডকা এবং নারায়ণাতে জয়ী আপ

    দিল্লি পুরনিগমে (Delhi Municipal) কংগ্রেস জয়ী হয়েছে সঙ্গম বিহার এলাকায়। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী সুরেশ চৌধুরী, যিনি ১২,৭৬৬ ভোট পেয়ে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩,৬২৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। অন্যদিকে, আপ দক্ষিণপুরী, মুন্ডকা এবং নারায়ণা এলাকায় জয়ী হয়েছে। দক্ষিণপুরী থেকে জয়ী রাম স্বরূপ কানোজিয়া বলেন, “আমি অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিধায়ক প্রেম চৌহান এবং জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জিতেছি বলে আমি খুব খুশি। আমি প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি।”

  • Delhi Red Fort Blast: ড্রোন-রকেটে হামাস ধাঁচে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ছক! এনআইএ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Delhi Red Fort Blast: ড্রোন-রকেটে হামাস ধাঁচে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ছক! এনআইএ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণের (Delhi Red Fort Blast) তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রকারীরা হামাসের (Hamas Style Attack) মতো সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। অভিযুক্তের মোবাইল থেকে মিলেছে ড্রোন এবং রকেট হামলার ভিডিও। গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে এক বিশাল বিস্ফোরণে জাতীয় রাজধানী কেঁপে ওঠে, যার ফলে ১২ জনের বেশি লোক নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিল। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মোহম্মদের সাথে যুক্ত একটি আন্তঃরাজ্য জঙ্গি মডিউল এই বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার নাশকতা মূলক জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কাজিগুন্ডের বাসিন্দা জসির বিলাল ওয়ানিকে গ্রফতার করেছিল এনআইএ। তার মোবাইল থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    অ্যাপে হামলার ছক (Delhi Red Fort Blast)

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ অভিযুক্ত জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশের ফোন পরীক্ষা করেছে। তাকে গত মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এনআইএ তদন্তের সময় জানতে পেড়েছে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের (Delhi Red Fort Blast) অংশ হিসাবে হামাস (Hamas Style Attack)-ধাঁচের হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অস্ত্রধারী ড্রোন ব্যবহার করার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। জসির বিলাল ওয়ানিওর ফোনের ফোল্ডারে ড্রোন-রকেট লঞ্চারের কয়েক ডজন ছবি এবং ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। যদিও সকল ছবি নিজেই আগে ডিলিট করে দিয়েছিল। তবে মুছে ফেলা ফোল্ডারের তথ্যে ড্রোনে বিস্ফোরক স্থাপনের ভিডিও টিউটোরিয়াল অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওগুলি ওয়ানির কাছে বিদেশি হ্যান্ডলাররা একটি অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে। এনআইএ এই নাশকতা মূলক অ্যাপটিতে বেশ কয়েকটি বিদেশী হ্যান্ডলারদেও খুঁজে পেয়েছে। এখন তাদের কাছ থেকে তথ্য জোগাড়ের কাজ করছে।

    বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পরিকল্পনা

    আবার তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার (Delhi Red Fort Blast) ষড়যন্ত্রকারীরা ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে এমন একটি ড্রোন তৈরির কাজ করছিল। জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারীরা হামাসের (Hamas Style Attack) ব্যবহৃত গ্লাইডিং রকেটের মতো গ্লাইডিং রকেটও বিশেষ ভাবে পড়াশুনা করছিল। ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্দোউইংসের সিইও প্রতিষ্ঠাতা পারস জৈনকেও ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এই রকেটগুলি মাটি থেকে বা এমনকি হাতেও নিক্ষেপ করা যেতে পারে। এগুলি মিসাইলের চেয়ে কম খরচের বিকল্প বিস্ফোরক হিসবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি রকেট দিয়ে হামলা করতে ২০ সেকেন্ড সময় লাগে এবং ৩ মিনিটের মধ্যে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা যায়। ধৃত জানিয়েছে বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে হামাস প্রচুর পরিমাণে রকেট ব্যবহার যে যাবে করেছিল তাদেরও ঠিক একই পরিকল্পনা ছিল।

    ইসালামের নামে শহিদ হতে চেয়েছিল

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ওয়ানি সন্ত্রাসী মডিউলের কারিগরি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি এবং ক্যামেরা দিয়ে ড্রোনগুলিকে পরিবর্তন করার কাজে পারদর্শী হয়ে উঠেছিল। ওয়ানি ড্রোনগুলিতে বিস্ফোরক (Delhi Red Fort Blast) পেলোড সংযুক্ত করার এবং ক্ষুদ্র রকেট তৈরির চেষ্টাও করছিল।

    ২০২৪ সালের অক্টোবরে কুলগামের একটি মসজিদে ওয়ানির সাথে লালকেল্লার বোমা হামলাকারী ডক্টর উমর উন নবীর দেখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বেশ কয়েক মাস ধরে নবী ওয়ানিকে গভীরভাবে জিহাদ বিষয়ে প্রভাবিত করেছিল। আত্মঘাতী বোমা হামলা (Hamas Style Attack) চালানোর জন্য তাকে রাজি করানোর চেষ্টাও করেছিল। তবে, নবী তাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর জন্য বারবার নানাভাবে প্রচেষ্টা চালায়। তা সত্ত্বেও ওয়ানি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তবে ওয়ানি ২০২৫ সালের এপ্রিলে নবীর সঙ্গে সম্পর্কেকে অস্বীকার করে। আর্থিক সমস্যার জন্যই ইসলামের জন্য শহিদ হতে চেয়েছিল। তবে এনআইএ আরও জানিয়েছে, ওয়ানির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে রাজি না হওয়ায় তাকে সন্ত্রাসী মডিউলের প্রযুক্তিগত সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই হামলা যে হামাসের ছকে বড়সড় পরিকল্পনার অংশ ছিল তা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

LinkedIn
Share