Tag: madhyom news

madhyom news

  • Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    Justice Sanjiv Khanna: দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna)। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ঠিক এর পরের দিনই, ১১ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গতকাল বৃহস্পতিবারই, তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।

    আইনমন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়

    আগেই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Justice Sanjiv Khanna) নাম প্রস্তাব করেছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে পাঠান তিনি। সেই সময়ই জানা যায়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আগামী বছরের ১৩ মে অবসর নেবেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না 

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে অবশ্য তিনি কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। এবার তিনিই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তবে তাঁর কাজের মেয়াদ হবে ছ’মাস। আগামী বছরের ১৩ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। ৩৭০ ধারা বিলোপ, নির্বাচনী বণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তিনি।

    বিচারপতি খান্না (Justice Sanjiv Khanna) আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে

    জানা যায়, ফৌজদারি আইন বিষয়ে খুবই অভিজ্ঞ বিচারপতি খান্না দীর্ঘদিন আয়কর বিভাগ এবং দিল্লি সরকারের স্থায়ী আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। বিচারপতি খান্না আইন পেশায় যোগদান করেন ১৯৮৩ সালে। প্রথমে, দিল্লির নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বিচারপতি খান্নার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো। তাঁর পিতা দেবরাজ খান্না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ওড়িশায় ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাচ্ছে দানা, তুমুল ঝড়বৃষ্টি, রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য

    Cyclone Dana: ওড়িশায় ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাচ্ছে দানা, তুমুল ঝড়বৃষ্টি, রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতের কিছুটা আগে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ওড়িশায় (Odisha) চলছে তীব্র বেগে ঝড়। তার সঙ্গে, পাল্লা দিয়ে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়ছে। ‘দানা’-র (Cyclone Dana) ব্যাপক তাণ্ডবে রাস্তাঘাট একেবারেই জনমানব শূন্য। সবমিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ওড়িশায়।

    ‘দানা’-র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন

    বৃহস্পতিবার রাত সওয়া এগারোটা নাগাদ ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড়ের। শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘দানা’-র টেল বা লেজের অংশ এখনও স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ, (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পথে। যা জানা যাচ্ছে, ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছ থেকে স্থলভাগ অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ অংশ। ঝড় বইছে ১০০ কিলোমিটার বেগে। ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের অভিমুখে এগোবে এই ঝড়। ‘দানা’-র প্রভাবে ভদ্রক, বালেশ্বর, পুরীসহ ওড়িশার বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, বলে জানা গিয়েছে। ধামারাতে প্রথমেই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে ‘দানা’। ভিতরকণিকার পরিস্থিতিও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঝড় (Cyclone Dana) বইছে ১০০-১১০ কিমি বেগে

    ‘দানা’-র তাণ্ডবে (Cyclone Dana) ওড়িশার একাধিক জায়গাতে গাছ উপড়ে পড়তে দেখা যায়। এর ফলে রাস্তায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িশাতে বর্তমানে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ওড়িশার বিজেপি সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছিলেন, দশটি এমন জেলা রয়েছে যেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেখানকার স্থানীয় মানুষজনদেরকে ইতিমধ্যে সরানো হয়ে গিয়েছে।

    দানা (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছে ৭,৩৬৭ ত্রাণ শিবির 

    জানা গিয়েছে, ‘দানা’-র (Cyclone Dana) প্রভাব পড়তে চলেছে ওড়িশার ৬০টি ব্লক, ২১৩১ গ্রাম এবং ১২টি পুরসভার ৫৫টি ওয়ার্ডে। বুধবার থেকেই সেখানকার মানুষজনকে সরানোর বন্দোবস্ত শুরু করে ওড়িশা (Odisha) সরকার। দানা মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছে ৭,৩৬৭ ত্রাণ শিবির। মানুষ ছাড়াও ত্রাণ শিবিরগুলিতে এখনও পর্যন্ত রাখা হয়েছে ৬,৪৫৪টি পশুকে। দানা মোকাবিলায় কাজ করছে ২১৩টি বিভিন্ন মেডিক্যাল দল। বৃহস্পতিবারই পরিস্থিতির খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘চোখ’ না থাকলেও বাংলা-ওড়িশার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা

    Cyclone Dana: ‘চোখ’ না থাকলেও বাংলা-ওড়িশার উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার উপকূলে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana)। শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত চলতে পারে তাণ্ডব। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও চোখ থাকবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ভালোই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসুম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, চোখ না থাকলেও ব্যাপক তাণ্ডব চালাবে দানা এবং এর বেশিরভাগই হবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। উপকূলে ভারী বৃষ্টি এবং প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কবার্তার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের পরে দানা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে শুরু করবে এবং ধীরে ধীরে তা শক্তি হারাবে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

    তাণ্ডব চালাবে দানা (Cyclone Dana)

    মৌসুম ভবনের তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৯৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে সমুদ্রে রয়েছে এবং সেখানেই এই বেগে বইছে হাওয়া। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে বর্তমানে ঝড়ের গতি রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। রাত যত বাড়বে ঝড়ে তীব্রতার ততই বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

    দানার (Cyclone Dana) কোনও চোখ থাকবে না 

    দানার (Cyclone Dana) কোনও চোখ থাকবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। এর কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় ঘুরতে ঘুরতে যখন স্থলভাগের দিকে এগোতে থাকে, তখন তার কেন্দ্রে একটি আপাত, শান্ত অঞ্চল তৈরি হয়ে যায়। সেখানে হাওয়ার গতিবেগ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম থাকে। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের ঐ কেন্দ্র যখন স্থলভাগে প্রবেশ করে, তখন ওই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সব থেকে বেশি হয়। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই চোখ তৈরি হয় না ঘূর্ণিঝড়ের। দানার ক্ষেত্রেও সেরকম কোনও চোখ থাকছে না। অন্যদিকে দানার তাণ্ডবে, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    বাংলা-ওড়িশা ছাড়াও ৫ রাজ্যে জারি সতর্কতা

    এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের কর্তারা আরও জানিয়েছেন, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও পাঁচ রাজ্যে প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana)। সেই রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মৌসমভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দানার তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। ইতিমধ্যেই বিহারের ১২ জেলায় সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই ১২ জেলার মধ্যে রয়েছে ভাগলপুর, বাঁকা, জামুই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, জেহানাবাদ, লখিসরাই, নওয়াদা, গয়া, কাটিহার, পুর্ণিয়া এবং কিসানগঞ্জ। জানা গিয়েছে, এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তামিলনাড়ুতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওড়িশার মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলা’’, তোপ শুভেন্দুর, নিজেই খুললেন ত্রাণ শিবির

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওড়িশার মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলা’’, তোপ শুভেন্দুর, নিজেই খুললেন ত্রাণ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানার। এনিয়ে ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ‘‘ওড়িশা সরকার যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে সেইরকমভাবে প্রস্তুতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার নিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে আসেন সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে দলীয় জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে (Cyclone Dana) হাজির ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল সাহু এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল।

    নিজের উদ্যোগে আশ্রয় শিবির শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অর্থ নেই। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেভাবে অর্থ বরাদ্দ করেনি রাজ্য। পর্যাপ্ত খাবার, রেসকিউ সেন্টারগুলির প্রস্তুতি, গবাদি পশুদের সংরক্ষণ এসব অ্যারেঞ্জমেন্ট এর মধ্যে নেই।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-সহ উপকূল (Cyclone Dana) জুড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে রেসকিউ সেন্টার চালু করেছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছ কাটার মেশিন, ব্যাটারি চালিত টর্চ, ত্রিপল, ৫০০ জনের রেস্কিউ টিম রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন, ‘‘এনডিআরএফ চাইলে তাদের নির্দেশ মতো কর্মীরা সহযোগিতা করবে।’’ শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধে উঠে সকলকে বলব, দানার মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।’’

    সহযোগিতা করছে না প্রশাসন, তোপ বিজেপি নেতার

    অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করতে। কিন্তু প্রশাসন আর্থিক সাহায্য করছে না। তাই বিজেপির তরফে দলীয়ভাবে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। বিধায়কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই শিবিরে এলাকাবাসীকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাচূড়া শহিদ মিনার, কালীচরণপুরে একটি স্কুলে এবং ভেকুটিয়ার কমিউনিটি হলে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: শাহের দরবারে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর, রাজ্যের তকমা ফেরানো নিয়ে কথা

    Jammu and Kashmir: শাহের দরবারে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর, রাজ্যের তকমা ফেরানো নিয়ে কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন ওমর আবদুল্লা। জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা, উপত্যকাকে (Jammu and Kashmir) রাজ্যের তকমা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাশ করে ফেলেছে। এর পরেই গতকাল বুধবার দিল্লি গিয়ে ওমর আবদুল্লা দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। ২০১৯ সালেই জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বদলে দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে চলতি বছরেই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স। তার পরেই গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মন্ত্রিসভা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে একটি রেজোলিউশন পাশ করেছে।

    আধ ঘণ্টার বৈঠক 

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সরকারকে রাজ্যের তকমা ফেরাবার উদ্যোগে সম্পূর্ণরূপে সমর্থনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, আধঘণ্টার এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে এই আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেবে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসবাদী হানার আবহে, এমন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ 

    সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফ্টন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, ‘‘রাজ্যের তকমা ফিরে পাওয়াটা ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার মতো প্রক্রিয়া। সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধার করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের পরিচয় রক্ষা করার জন্য এই প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।’’ প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে, গত ১ সপ্তাহের মধ্যে পর পর জঙ্গি হামলার খবর সামনে এসেছে। গান্দেরবালের পর ত্রালেও ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ওপর গুলি চালনা হয়েছে কাশ্মীরে। তারপরই দিল্লি ছুটে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সঙ্গে ওমর আবদুল্লার বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ওমর আবদুল্লা এনিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Krishna Janmabhoomi case: কৃষ্ণজন্মভূমি মামলা, শাহি ইদগাহের আর্জি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi case) মামলার ওপর গত ১১ জানুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। বুধবার শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সেই আর্জি খারিজ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, ওই দিনে (১১ জানুয়ারি) ১৫টি আলাদা আলাদা মামলাকে একত্রিত করে শুনানির নির্দেশ জারি করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ময়ঙ্ক কুমার জৈন, তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, মামলাগুলিকে বিচারের (Krishna Janmabhoomi case) স্বার্থে একত্রিত করা হয়েছে।

    কী বললেন শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান? 

    এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির সম্পাদক আইনজীবী তনভির খান ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার আর্জি খারিজ হওয়ার পরে তনভির বলেন, ‘‘এমন আদেশ জারির পর, আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই এই আবেদন প্রত্যাহারের আর্জি জানাই। আমাদের যুক্তি ছিল, প্রতিটি মামলায় আলাদা আলাদা পার্টি (Krishna Janmabhoomi case) রয়েছে, তাই আলাদা আলাদা ভাবেই তার শুনানি হোক। তবে বুধবার আদালত এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।’’ বুধবার, হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনও মসজিদ কমিটি আর্জি খারিজের বিষয়টি সামনে এনেছেন।

    কী বলল আদালত (Krishna Janmabhoomi case)? 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিন্দুপক্ষের তরফ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে, আদালত ১৫টি মামলাকে একত্রিত করেছিল। শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ কমিটির বিবাদমান ১৩.৩৭ একর জায়গা থেকে মসজিদকে সরানোর জন্য হিন্দুরা আবেদন জানিয়েছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি ছিল, ওই জায়গা কাটরা কেশব দেব মন্দিরের (Allahabad High Court)। এনিয়েই চলছে মামলা। বুধবারের নির্দেশে আদালত বলে, ‘‘সমস্ত মামলাগুলি একই ধরনের ও একই প্রকৃতির। তাই এই মামলাগুলির ক্ষেত্রে একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’’ আদালতের সময় বাঁচানোর (Krishna Janmabhoomi case) জন্য, এই মামলাগুলিকে একত্রিত করা সঠিক কাজ বলেই মনে করছে কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল শুক্রবার মথুরায় (Mathura) শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বঞ্চিত শ্রেণির কাছে পৌঁছানো, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ইস্যু, জম্মু-কাশ্মীরের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ— এই সমস্ত কিছুই আলোচিত হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে আরএসএস-এর (RSS) শতবর্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা নানা কর্মসূচি নিয়েও।

    সারা দেশ থেকে যোগ দেবেন ৩৯৩ জন পদাধিকারী

    জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পদাধিকারী, এই বৈঠকে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর ভাষণেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিবিধ ইস্যু স্থির করে দিয়েছিলেন, সে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

    কী জানালেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে যে সমাজকে কিভাবে সংঘটিত করা যায়, একসঙ্গে সমাজে কীভাবে থাকা যায়, যে কোনও ধরনের গুজবের মোকাবিলা করে। এর পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির কন্টেন্টগুলি শিশুদের মনে যেভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে, সে নিয়েও আলোচনা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েও হবে আলোচনা। একই সঙ্গে সুনীল আম্বেকর আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভারতের মহান সন্তানদের জীবনী ও সে বিষয়ে সঙ্ঘের কর্মসূচি (Mathura) নিয়েও। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, বিরসা মুণ্ডা, অহল্যাবাঈ হোলকার, রানি দুর্গাবতীদের নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, সঙ্ঘের এই বৈঠকেই আগামী বছরের বিজয়া দশমী কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে নিয়েও আলোচনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: পারাদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিমি দূরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা! উদ্বেগ দক্ষিণবঙ্গ, ওড়িশায়

    Cyclone Dana: পারাদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিমি দূরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা! উদ্বেগ দক্ষিণবঙ্গ, ওড়িশায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতটা গতিতে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘দানা’ (Dana)? এ নিয়েই আশঙ্কার প্রহর গুণছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ৬ ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও ৯০ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে দানা, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে দানার দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কিলোমিটার। ধামারা থেকে ‘দানা’র দূরত্ব ৩৬০ কিমি। বাংলার সাগরদ্বীপ থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে ওড়িশায় ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে ওড়িশায় সাড়ে দশ লাখেরও ওপর মানুষকে সরিয়েছে বিজেপি সরকার (Odisha BJP Govt)।

    দানা (Dana) মোকাবিলায় ওড়িশাতে প্রস্তুত বিজেপির মোহন চরণ মাঝির সরকার

    দানা (Dana) মোকাবিলায় ওড়িশাতে প্রস্তুত বিজেপির মোহন চরণ মাঝির সরকার। সমস্ত জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সকাল ১১টার মধ্যে ল্যান্ডফলের জায়গা সম্পূর্ণভাবে খালি করানোর। সাংবাদিক সম্মেলনে মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। ওড়িশার (Odisha Bjp Govt) মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরা যেন উদ্বিগ্ন না হন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩ হাজার গ্রামকে চিহ্নিত করেছে ওড়িশা সরকার (Odisha BJP Govt)। সেখান থেকেই ১০ সাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে দানার আগে সরানো হয়েছে।

    কোথায় আছড়ে পড়বে দানা (Dana)?

    পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মধ্যরাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে ওড়িশায় ল্যান্ডফল। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Dana)। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। সরাসরি আঘাত না হানলেও, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে লন্ডভন্ড হতে পারে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাও। আগাম সতর্কতা হিসেবে খালি করে দেওয়া হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি-সহ পর্যটনস্থলগুলো। বাংলায় ঝড়ের মোকাবিলায় তৎপর মোদি সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এর ৯টি দল। দুর্যোগের মোকাবিলা করতে তৈরি রেলও। দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ১৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূর পাল্লার ট্রেনও। বন্ধ রাখা হচ্ছে উড়ান পরিষেবাও। বৃহস্পতিবার ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে বিমান চলাচল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    কিয়ৎক্ষণ পরে কলিকাতা হইতে কয়েকটি পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তন্মধ্যে একজন—শ্রীযুক্ত ঠাকুরদাস (Ramakrishna) সেন। ঘরে অনেকগুলি ভক্তের সমাগম হইয়াছে। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। সহাস্যবদন, বালকমূর্তি। উত্তরাস্য হইয়া বসিয়াছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে আনন্দে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—তোমরা ‘প্যাম’ ‘প্যাম’ কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা? চৈতন্যদেবের ‘প্রেম’ হয়েছিল। প্রেমের দুটি লক্ষণ। প্রথম—জগৎ ভুল হয়ে যাবে (Kathamrita)। এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশূন্য! চৈতন্যদেব “বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে, সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে।”

    দ্বিতীয় লক্ষণ—নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে।

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) কতকগুলি লক্ষণ আছে। যার ভিতর অনুরাগের ঐশ্বর্য প্রকাশ হচ্ছে তার ঈশ্বরলাভের আর দেরি নাই।

    অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, সাধুসঙ্গ, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন, সত্যকথা—এই সব।

    এই সকল অনুরাগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায়, ঈশ্বর দর্শনের আর দেরি নাই। বাবু কোন খানসামার বাড়ি যাবেন, এরূপ যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ির অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়! প্রথমে বন-জঙ্গল কাটা হয়, ঝুলঝাড়া হয়; ঝাঁটপাট দেওয়া হয়। বাবু নিজেই সতরঞ্চি, গুড়গুড়ি এই সব পাঁচরকম জিনিস পাঠিয়ে দেন। এই সব আসতে দেখলেই লোকের বুঝতে বাকি থাকে না, বাবু এসে পড়লেন বলে।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞে, আগে বিচার করে কি ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ও এক পথ আছে। বিচারপথ। ভক্তিপথেও অন্তরিন্দ্রিয় নিগ্রহ আপনি হয়। আর সহজে হয়। ঈশ্বরের উপর যত ভালবাসা আসবে, ততই ইন্দ্রিয়সুখ আলুনী লাগবে।

    যেদিন সন্তান মারা গেছে, সেই শোকের উপর স্ত্রী-পুরুষের দেহ-সুখের দিকে কি মন থাকতে পারে?

    একজন ভক্ত—তাঁকে ভালবাসতে (Kathamrita) পারছি কি?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    গৃহস্থ ও কর্মযোগ

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীশ্রীভবতারিণী, শ্রীশ্রীরাধাকান্ত ও দ্বাদশ শিবের পূজা শেষ হইল। ক্রমে ভোগারতির বাজনা বাজিতেছে। চৈত্রমাস দ্বিপ্রহর বেলা। ভারী রৌদ্র। এই মাত্র জোয়ার আরম্ভ হইয়াছে। দক্ষিণদিক হইতে হাওয়া উঠিয়াছে। পূতসলিলা ভাগীরথী এইমাত্র উত্তরবাহিনী হইয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে কক্ষমধ্যে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রাখালের দেশ বসিরহাটের কাছে। দেশে গ্রীষ্মকালে বড় জলকষ্ট।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি মল্লিকের প্রতি)—দেখ রাখাল বলছিল, ওদের দেশে বড় জলকষ্ট (Kathamrita)। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন। তাহলে কত লোকের উপকার হয়। (সহাস্যে) তোমার তো অনেক টাকা আছে, অত টাকা নিয়ে কি করবে? তা শুনেছি, তেলিরা নাকি বড় হিসাবী। (ঠাকুরের ও ভক্তগণের হাস্য)

    মণিলাল মল্লিকের বাড়ি কলিকাতা সিন্দুরিয়াপটি। সিন্দুরিয়াপটির ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে তিনি অনেককে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। উৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। মণিলালের বরাহনগরে একখানি বাগান আছে। সেখানে তিনি প্রায় একাকী আসিয়া থাকেন ও সেই সঙ্গে ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। মণিলাল যথার্থ হিসাবী লোক বটে! সমস্ত গাড়িভাড়া করিয়া বরাহনগরে প্রায় আসেন না; ট্রামে চাপিয়া প্রথমে শোভাবাজারে আসেন, সেখানে শেয়ারের গাড়িতে চাপিয়া বরাহনগরে আসেন। অর্থের অভাব নাই; কয়েক বৎসর পরে গরিব ছাত্রদের ভরণপোষণের জন্য এককালে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন।

    মণিলাল চুপ (Kathamrita) করিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে এ-কথা ও-কথার পর, কথার পিঠে বলিলেন, “মহাশয় পুষ্করিণীর কথা বলছিলেন। তা বললেই হয়, তা আবার তেলি-ফেলি বলা কেন?”

    ভক্তেরা (Ramakrishna) কেহ কেহ মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন। ঠাকুরও হাসিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share