Tag: madhyom news

madhyom news

  • Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড! শুক্রবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ভিডিও পর্যন্ত। এনিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ অনেকেই।

    ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন 

    কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এটা ছোটখোটো ঘটনা নয়, হতে পারে পরিকল্পিত। কারণ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) আবহেই এমন ঘটনা ঘটল। শুধু তাই নয়, আরজি করের শুনানির (Supreme Court) ভিডিও পর্যন্ত উধাও হয়ে গেল।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শেষ শুনানির দিন লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে রাজ্য আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীকে সেই সময় বলেন, ‘‘আমরা শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটি জনস্বার্থ মামলা। ‘ওপেন কোর্ট’-এ শুনানি হচ্ছে। আপনাদের বিষয়টি আমরা দেখব।’’ এই আবহে ভিডিও গায়েব হয়ে গেল আরজি করে শুনানির।

    খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত (Supreme Court)

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) বিচার প্রক্রিয়া যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, সেই চ্যানেলই হ্যাক হওয়ায়, তা নিরাপত্তায় বড়সড় ত্রুটি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বদলে উল্টো-পাল্টা নানা ভিডিও সেখানে দেখা যাচ্ছে। কখনও ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কেউ আবার সার্চ করেও সুপ্রিম কোর্টের চ্যানেলটিই খুঁজে পাচ্ছেন না। শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক আপাপতত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির যে ভিডিও রেকর্ডিং ছিল, তা হ্যাকাররা প্রাইভেট করে দিয়েছে। ওই সংক্রান্ত ভিডিও সার্চ করলেই, তার বদলে আসছে ‘Brad Garlinghouse: Ripple Responds To The SEC’s $2 Billion Fine! XRP PRICE PREDICTION’ নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও। এখানেই বাড়ছে সন্দেহ…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Mandir: ধর্মান্তকরণ ঠেকাতে ৩১১ হনুমান মন্দির গড়ে তোলা হল গুজরাটের এই জেলায়

    Hanuman Mandir: ধর্মান্তকরণ ঠেকাতে ৩১১ হনুমান মন্দির গড়ে তোলা হল গুজরাটের এই জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মান্তকরণ রুখতে গুজরাটে গড়ে তোলা হল ৩১১টি হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir)। 

    গুজরাট (Gujarat) রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ধর্মান্তকরণের ঘটনা বেড়েই চলছিল। এরমধ্যে ব্যাপকভাবে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ চলতে থাকে সে রাজ্যের ডাঙ জেলায়। অভিযোগ এই জেলার ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকেই হিন্দু থেকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। সংখ্যায় যা ১ লাখেরও বেশি। এমন ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধে সেখানকার বাসিন্দারা অভিনব কৌশল নিলেন। সনাতন ধর্ম রক্ষা ও প্রচারের জন্য শুরু করা হল হনুমান যজ্ঞ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি, ডাঙ জেলার যে গ্রামগুলিতে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটছে, সেই রকম ৩১১টি গ্রামে গড়া হয়েছে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir)। এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা প্রখ্যাত হীরা ব্যবসায়ী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া।

    কীভাবে শুরু হল এই কর্মসূচি (Gujarat)?

    জানা গিয়েছে, ধর্মান্তকরণ প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে রামকৃষ্ণ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের এক সংগঠন। এই সংগঠনের তরফ থেকে ২০২২ সালেই ১২টি হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া। কিন্তু কীভাবে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir) তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন ঢোলাকিয়া? তাও ব্যাখা দিয়েছেন তিনি। ঢোলাকিয়া বলেন, ‘‘আমরা গত ৩০ বছর ধরে ডাঙ জেলার আহওয়াতে (Gujarat) মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করি। ২০১৭ সালে আমি এবং এক স্বামীজি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। তখনই একটি গ্রামে দেখতে পাই গাছের নীচে পড়েছিল হনুমানজি মহারাজের একটি মূর্তি (Hanuman Mandir)। এরপর আমি স্বামীজিকে বললাম, আমাদের ভগবান এইভাবে ঘর ছাড়া হয়ে থাকবেন আর আমরা ঘরে থাকব? এর উত্তরে স্বামীজি বললেন, এমন গ্রাম এখানে ৩০০-এরও বেশি রয়েছে। সব গ্রামে গড়তে হবে। এরপরেই আমরা উদ্যোগ নেওয়া শুরু করি।’’ 

    গ্রামগুলির আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হনুমান মন্দির (Hanuman Mandir) 

    ৩০০-এর বেশি হনুমান মন্দির স্থাপনের কারণে শুধুমাত্র যে ওই গ্রামগুলিতে ধর্মান্তকরণ কমেছে, এমনটাই নয়। এর পাশাপাশি, উপজাতি পরিবারগুলি নেশা করার প্রবণতাও কমেছে বলে জানিয়েছেন ঢোলাকিয়া। বর্তমানেই মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করেই হোলি, গণেশ চতুর্থী পালন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে শান্তিও বিরাজ করছে গ্রামগুলিতে। হনুমান মন্দিরগুলি ঘুচিয়ে (Gujarat) দিয়েছে জাতপাতের বেড়াজালও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৫০ হাজার যুবার কর্মসংস্থান, ছাত্রীদের স্কুটি, হরিয়ানায় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির

    BJP: ৫০ হাজার যুবার কর্মসংস্থান, ছাত্রীদের স্কুটি, হরিয়ানায় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন হরিয়ানার বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। প্রসঙ্গত, বুধবারই প্রকাশিত হয়েছিল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার। যাকে এদিন ভাঁওতা বলে তোপ দাগেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি মোহনলাল বাদলি।

    মহিলাদের মাসে ২,১০০ টাকা (BJP)

    সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয় হরিয়ানা রাজ্যের রোহতকে। ভারতীয় জনতা পার্টি আশ্বাস দিয়েছে, যুবকদের চাকরির ব্য়বস্থা যেমন করা হবে, তেমনই প্রতি মাসে ‘লাডো লক্ষ্মী যোজনা’র মাধ্যমে মহিলাদের ২,১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে ভারতীয় জনতা পার্টি ঘোষণা করেছে যে সে রাজ্যে একাধিক শিল্প শহর প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান (BJP) হবে।

    কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি

    বিজেপি (BJP) আরও ঘোষণা করেছে যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ‘চিরায়ু আয়ুষ্মান যোজনা’ আনা হবে, যার মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করবে হরিয়ানার নাগরিকদের। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত এই ব্যবস্থার মাধ্যমে হরিয়ানার নাগরিকদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হত। এর পাশাপাশি, বিজেপি আরও আশ্বাস দিয়েছে যে, ক্ষমতায় এলে তারা কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটার বিতরণ করবে ‘আওয়াল বালিকা যোজনা’র মাধ্যমে। গৃহস্থ মহিলাদের এলপিজি সিলিন্ডারে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে সরকার।

    এটা কোনও ইস্তাহার নয়, এটা আমাদের সংকল্পপত্র

    এদিনের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে (BJP) জেপি নাড্ডা কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান এবং জনগণকে প্রতারণা করার অনুষ্ঠান।’’ তিনি আরও উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘‘দশ বছর আগে ঠিক কী চলত হরিয়ানাতে! সরকারি চাকরি পেতে গেলে যুবকদেরকে ঘুষ দিতে হতো।’’ হরিয়ানায় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’’ তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘এটা কোনও ইস্তাহার নয় এটা আমাদের সংকল্পপত্র। এটা মনে রাখতে হবে হরিয়ানা কখনও থামবে না।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo-Bangla Ties: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    Indo-Bangla Ties: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের অত্যন্ত সুসম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) ছিল। তবে, সেই সম্পর্কে অনেকটাই তিক্ততা আসে গত অগাস্ট মাসে হাসিনার পদত্যাগের পরেই। জামাত-বিএনপির সাহায্যে গণভবন দখল করা হয়। ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন ইউনূস। ঠিক এই আবহে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চাইছে, তা নিয়ে মন্তব্য করলেন এস জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী ভারত (Indo-Bangla Ties)। এর পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফায় মোদি সরকারের ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। সেই উপলক্ষে, মঙ্গলবার জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাক্ষাৎকার দেন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। সেখানেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, এই প্রথম সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিতভাবে মত জানান জয়শঙ্কর।

    স্থিতিশীল সম্পর্ককে (Indo-Bangla Ties) আগ্রহী ভারত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, তাঁরাও ভারতের সঙ্গে আগের মতোই ভালো সম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) বজায় রাখতে চান। সেই সম্পর্কের শর্ত হিসেবে ইউনূস জানান, সম্পর্ক হতে হবে ‘স্বচ্ছতা এবং সমতার’ ভিত্তিতে। এই আবহে জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে (Bangladesh) নিয়ে ভারতের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিলেন। সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি সেই দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন নয়। কিন্তু প্রতিবেশী হিসেবে সেই দেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক জারি রাখতে ভারত আগ্রহী (Indo-Bangla Ties)। দুই দেশের সম্পর্ককে ভারত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।’’

    ভারত সম্পর্ক রক্ষা করে চলে

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আরও বলেন, ‘‘প্রতিবেশীরা একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে বাংলাদেশের ঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) রয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক এবং যোগাযোগকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।’’ তিনি বলেন, ‘‘সব সময় সবকিছু ঠিক থাকবে তা হয় না। সব সময় সবকিছু অনুকূলও থাকে না। বাংলাদেশে যা হয়েছে তা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যাপার। এটা একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেটা নিয়ে মন্তব্য করা অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে, ভারত সব সময় বিদ্যমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা (Indo-Bangla Ties) করে চলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bombay High Court: ইদ-ই-মিলাদের মিছিলে তারস্বরে মাইক! বড় পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের

    Bombay High Court: ইদ-ই-মিলাদের মিছিলে তারস্বরে মাইক! বড় পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবে মাইক বাজানো নিয়ে বুধবার বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে। আদালতের মতে, ‘‘গণেশ উৎসবের (Ganesh Chaturthi) সময় তার স্বরে মাইক বাজানো যদি ক্ষতিকারক হয়, তবে ঈদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলের সময়ও তা সমান ক্ষতিকারক।’’ প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমিত বোরকারের ডিভিশন বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন।

    মামলাকারীদের দাবি (Bombay High Court) 

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলে ডিজে নাচ এবং লেজার শো- এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার দাবি জানান মামলাকারীরা (Bombay High Court)। এর পাশাপাশি, পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিতেও আর্জি জানান আবেদনকারীরা। যুক্তি হিসেবে তাঁরা তুলে ধরেন যে কোরান বা হাদিস কোনও বইতেই ডিজে সিস্টেমের ব্যবহার এবং লেজার লাইট ব্যবহার করে ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবী পালন করতে হবে এমন কথা বলা নেই।

    হাইকোর্ট (Bombay High Court) তার আগের আদেশের উল্লেখ করে

    প্রসঙ্গত, এর আগে গণেশ উৎসবের (Ganesh Chaturthi) সময় আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছিল। বুধবার এই মামলার শুনানির সময়, আদালত সেই আদেশের কথা উল্লেখ করে। সেই আদেশে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাউন্ড সিস্টেম এবং লাউড স্পিকারের ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞায় জোর দিয়েছিল। সেই নির্দেশ উল্লেখ করে হাইকোর্ট জানায়, গণেশ পুজোর মাইক ক্ষতিকারক হলে ইদ-ই-মিলাদ-উন-নবীর মিছিলের সময়ও তা সমান ক্ষতিকারক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তার স্বরে মাইক বাজানো বেআইনি।

    লেজার লাইট কী ক্ষতি করতে পারে তা মামলাকারীদেরই জানাতে হবে

    এর পাশাপাশি, লেজার লাইটের ব্যবহারে মানুষের কী কী ক্ষতি হয়, সে নিয়েও বিজ্ঞানসম্মত রিপোর্ট বোম্বে হাইকোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Bombay High Court)। এদিনই বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, আমরা কেউ বিশেষজ্ঞ নই, তাই লেজার লাইট কী ক্ষতি করতে পারে তা মামলাকারীদেরই জানাতে হবে। মামলা করার আগে এবিষয়ে মামলাকারীদের লেজার লাইটের ক্ষতিকারক দিকগুলি খুঁজে রাখা উচিত ছিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 138: “ভাব-ভক্তির দ্বারা তাঁর সেই অতুলনীয় রূপ দর্শন করা যায়, মা নানারূপে দর্শন দেন”

    Ramakrishna 138: “ভাব-ভক্তির দ্বারা তাঁর সেই অতুলনীয় রূপ দর্শন করা যায়, মা নানারূপে দর্শন দেন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ভাবরাজ্য ও রূপদর্শন

    ঠাকুর (Ramakrishna) সমাধিস্থ—অনেকক্ষণ ভাবাবিষ্ট হইয়া বসিয়া আছেন (Kathamrita)। দেহ নড়িতেছে না—চক্ষু স্পন্দহীন—নিঃশ্বাস পড়িতেছে কিনা—বুঝা যায় না।

    অনেকক্ষণ পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিলেন—যেন ইন্দ্রিয়ের রাজ্যে আবার ফিরিয়া আসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—তিনি শুধু নিরাকার নন, তিনি আবার সাকার। তাঁর রূপ দর্শন করা যায়। ভাব-ভক্তির দ্বারা তাঁর সেই অতুলনীয় রূপ দর্শন করা যায়। মা নানারূপে দর্শন দেন।

    গৌরাঙ্গদর্শন—রতির মা বেশে মা 

    কাল মাকে দেখলাম। গেরুয়া জামা পরা, মুড়ি সেলাই নাই। আমার সঙ্গে কথা কচ্ছেন।

    আর-একদিন মুসলমানের মেয়েরূপে আমার কাছে এসেছিলেন। মাথায় তিলক কিন্তু দিগম্বরী। ছয় সাত বছরের মেয়ে—আমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়াতে লাগল ও ফচকিমি করতে লাগল।

    হৃদের বাড়িতে যখন ছিলাম—গৌরাঙ্গদর্শন হয়েছিল—কালোপেড়ে কাপড় পরা।

    হলধারী বলত তিনি ভাব-অভাবের অতীত। আমি মাকে গিয়ে বললাম, মা, হলধারী এ-কথা বলছে, তাহলে রূপ-টুপ কি সব মিথ্যা? মা রতির মার বেশে আমার কাছে এসে বললে, ‘তুই ভাবেই থাক।’ আমিও হলধারীকে তাই বললাম।

    এক-একবার ও-কথা ভুলে যাই বলে কষ্ট হয়। ভাবে না থেকে দাঁত ভেঙে গেল। তাই দৈববাণী বা প্রতক্ষ্য না হলে ভাবেই থাকব—ভক্তি নিয়ে থাকব। কি বল?

    প্রাণকৃষ্ণ—আজ্ঞা।

    ভক্তির অবতার কেন? রামের ইচ্ছা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আর তোমাকেই বা কেন জিজ্ঞাসা করি। এর ভিতরে কে একটা আছে। সেই আমাকে নিয়ে এইরূপ কচ্ছে। মাঝে মাঝে দেবভাব প্রায় হত—আমি পুজো না করলে শান্ত হতুম না।

    আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। তিনি যেমন করান, তেমনি করি। যেমন বলান, তেমনি বলি (Kathamrita)।

    প্রসাদ বলে ভবসাগরে, বসে আছি ভাসিয়ে ভেলা।
    জোয়ার এলে উজিয়ে যাব, ভাটিয়ে যাব ভাটার বেলা॥

    ঝড়ের এঁটো পাতা কখনও উড়ে ভাল জায়গায় গিয়ে পড়ল, কখন বা ঝড়ে নর্দমায় গিয়ে পড়ল—ঝড় যেদিকে লয়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ “তিনি লাউ কুমড়ো ফল দেন না—তিনি অমৃত ফল দেন—জ্ঞান, প্রেম, বিবেক, বৈরাগ্য”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohana Singh: নয়া ইতিহাস! ভারতের প্রথম মহিলা তেজস পাইলট হচ্ছেন মোহনা সিং

    Mohana Singh: নয়া ইতিহাস! ভারতের প্রথম মহিলা তেজস পাইলট হচ্ছেন মোহনা সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খবরের শিরোনামে মোহনা সিং (Mohana Singh)। ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার মোহনা ওড়াবেন লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট তেজস (LCA Tejas)। অর্থাৎ ভারতের প্রথম মহিলা তেজস পাইলট হচ্ছেন মোহনা (Mohana Singh)। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০এমকেআই (Sukhoi-30MKI) ওড়ান মোহনা। প্রসঙ্গত, ৮ বছর আগেই ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেন মোহনা (Woman Fighter Pilot)। দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার জেট পাইলট হিসেবে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান বিভাগে আগেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তিনটি নাম- অবনী চতুর্বেদী, ভাবনা কান্ত ও মোহনা সিং।

    মোদি জমানায় নারী সশক্তিকরণ

    আগে যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমতি ছিল না মহিলাদের। সেই ধারণা পাল্টায় মোদি জমানায়। ২০১৬ সাল থেকে মহিলাদের জন্য যুদ্ধবিমান চালানোর দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি সম্মুখ সমরে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘মোদি জমানায় নারী সশক্তিকরণ (Woman Fighter Pilot) যে অনেকটাই হয়েছে, তা মোহনাদের দেখলেই বোঝা যায়। কংগ্রেস জমানায় মহিলাদের যুদ্ধবিমান চালানো নিষেধ ছিল, মোদি সরকার নারীদের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রও খুলে দিয়েছে।’’

    ‘তরঙ্গ শক্তি’ প্রদর্শনেও যোগ দেন মোহনা (Mohana Singh)

    তরঙ্গ শক্তি হল এক ধরনের সামরিক মহড়া যার প্রথম পর্যায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুঘাঁটিতে। গত মাসের গোড়াতেই অনুষ্ঠিত হয় প্রথম পর্যায়। গত ৬ থেকে ১৪ অগাস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন এবং ব্রিটেন অংশগ্রহণ করে। প্রথম পর্বে যোগদান করেন মোহনা (Mohana Singh)। এরপর ৩ সশস্ত্র বাহিনীর ৩ উপপ্রধানদের সঙ্গে যোধপুরে ‘তরঙ্গ শক্তি’ প্রদর্শনের দ্বিতীয় পর্যায়েও যোগ দেন তিনি। সেটাও মোহনার (Mohana Singh) এক ঐতিহাসিক উড়ান ছিল। ৩০ অগাস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যোধপুরে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই ‘তরঙ্গ শক্তি’ প্রদর্শনে যোগ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বায়ুসেনা হচ্ছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স (IAF)। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনায় আছেন ২০ জন মহিলা ফাইটার পাইলট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 137: “তিনি লাউ কুমড়ো ফল দেন না—তিনি অমৃত ফল দেন—জ্ঞান, প্রেম, বিবেক, বৈরাগ্য”

    Ramakrishna 137: “তিনি লাউ কুমড়ো ফল দেন না—তিনি অমৃত ফল দেন—জ্ঞান, প্রেম, বিবেক, বৈরাগ্য”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    দক্ষিণেশ্বরে প্রাণকৃষ্ণ, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। নিশিদিন হরিপ্রেমে—মার প্রেমে—মাতোয়ারা!

    মেঝেতে মাদুর পাতা; তিনি সেই মাদুরে আসিয়া বসিয়াছেন (Kathamrita)। সম্মুখে প্রাণকৃষ্ণ ও মাস্টার। শ্রীযুক্ত রাখালও ঘরে আছেন। হাজরা মহাশয় ঘরের বাহিরে দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। শীতকাল—পৌষ মাস; ঠাকুরের গায়ে মোলস্কিনের র‌্যাপার। সোমবার, বেলা ৮টা। ১৮ই পৌষ, কৃষ্ণা অষ্টমী। ১লা জানুয়ারি, ১৮৮৩।

    এখন অন্তরঙ্গ ভক্তগণ অনেকেই আসিয়া ঠাকুরের সহিত মিলিত হইয়াছেন। ন্যূনাধিক এক বৎসর কাল নরেন্দ্র, রাখাল, ভবনাথ, বলরাম, মাস্টার, বাবুরাম, লাটু প্রভৃতি সর্বদা আসা-যাওয়া করিতেছেন। তাঁহাদের বৎসরাধিক পূর্ব হইতে রাম, মনোমোহন, সুরেন্দ্র, কেদার আসিতেছেন।

    প্রায় পাঁচ মাস হইল, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বিদ্যাসাগরের বাদুড়বাগানের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছিলেন। দুই মাস হইল শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত বিজয়াদি ব্রাহ্মভক্তসঙ্গে নৌযানে (স্টীমার-এ) আনন্দ করিতে করিতে কলিকাতায় গিয়াছিলেন।

    শ্রীযুক্ত প্রাণকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় কলিকাতার শ্যামপুকুর পল্লীতে বাস করেন। তাঁহার আদি নিবাস জনাই গ্রামে। Exchange-এর বড়বাবু। নিলামের কাজ তদারক করেন। প্রথম পরিবারের সন্তান না হওয়াতে, তাঁহার মত লইয়া দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করিয়াছেন। তাঁহারই একমাত্র পুত্রসন্তান হইয়াছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রাণকৃষ্ণ বড় ভক্তি করেন। একটু স্থূলকায়, তাই ঠাকুর মাঝে মাঝে মোটা বামুন বলিতেন (Kathamrita)। অতি সজ্জন ব্যক্তি। প্রায় নয় মাস হইল ঠাকুর তাঁহার বাটীতে ভক্তসঙ্গে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়াছিলেন। প্রাণকৃষ্ণ নানা ব্যঞ্জন ও মিষ্টান্নাদি করিয়া অন্নভোগ দিয়াছিলেন।

    ঠাকুর মেঝেতে বসিয়া আছেন। কাছে এক চ্যাঙড়া জিলিপি—কোন ভক্ত আনিয়াছেন। তিনি একটু জিলিপি ভাঙিয়া খাইলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (প্রাণকৃষ্ণের প্রতি সহাস্যে)—দেখছ আমি মায়ের নাম করি বলে—এই সব জিনিস খেতে পাচ্ছি! (হাস্য) কিন্তু তিনি লাউ কুমড়ো ফল দেন না—তিনি অমৃত ফল দেন—জ্ঞান, প্রেম, বিবেক, বৈরাগ্য।

    ঘরে একটি ছয়-সাত বছরের ছেলে প্রবেশ করিল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) বালকাবস্থা। একজন ছেলে যেমন আর একজন ছেলের কাছ থেকে খাবার লুকিয়ে রাখে—পাছে সে খাইয়া ফেলে, ঠাকুরেরও ঠিক সেই অপূর্ব বালকবৎ অবস্থা হইতেছে। তিনি জিলিপির চ্যাংড়াটি হাত ঢাকা দিয়া লুকাইতেছেন। ক্রমে তিনি চ্যাংড়াটি একপার্শ্বে সরাইয়া রাখিয়া দিলেন।

    প্রাণকৃষ্ণ গৃহস্থ বটেন, কিন্তু তিনি বেদান্তচর্চা করেন—বলেন(Kathamrita), ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা; তিনিই আমি—সোঽহম্‌। ঠাকুর তাঁহাকে বলেন, কলিতে অন্নগত প্রাণ—কলিতে নারদীয় ভক্তি।

    সে যে ভাবের বিষয়, ভাব ব্যতীত অভাবে কে ধরতে পারে!—

    বালকের ন্যায় হাত ঢাকিয়া মিষ্টান্ন লুকাইতে লুকাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 136: “ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না, ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে”

    Ramakrishna 136: “ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না, ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮২, ১৪ই ডিসেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মারোয়াড়ী ভক্তগণসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)

    তোমরা তো ব্যবসা কর, ক্রমে ক্রমে উন্নতি করতে হয় জানো (Kathamrita)। কেউ আগে রেড়ির কল করে, আবার বেশি টাকা হলে কাপড়ের দোকান করে। তেমনি ঈশ্বরের পথে এগিয়ে যেতে হয়। হল, মাঝে মাঝে দিন কতক নির্জনে থেকে বেশি করে তাঁকে ডাকলে।

    তবে কি জানো? সময় নাহলে কিছু হয় না। কারু কারু ভোগকর্ম অনেক বাকি থাকে। তাই জন্য দেরিতে হয়। ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়। পেকে মুখ হলে তবে ডাক্তার অস্ত্র করে। ছেলে বলেছিল, মা, এখন আমি ঘুমুই আমার বাহ্যে পেলে তখন তুমি তুল। মা বললে, বাবা, বাহ্যেতেই তোমায় তুলবে, আমায় তুলতে হবে না। (সকলের হাস্য)

    মারোয়াড়ী ভক্ত ও ব্যবসায়ে মিথ্যাকথা—রামনাম কীর্তন 

    মারোয়াড়ী ভক্তেরা মাঝে মাঝে ঠাকুরের সেবার জন্য মিষ্টান্নাদি দ্রব্য আনেন, ফলাদি থাল মিছরি ইত্যাদি। থাল মিছরিতে গোলাপ জলের গন্ধ। ঠাকুর কিন্তু সেই সব জিনিস প্রায় সেবা করেন না। বলেন, ওদের আনেক মিথ্যাকথা কয়ে টাকা রোজগার করতে হয়। তাই উপস্থিত মারোয়াড়ীদের কথাচ্ছলে উপদেশ (Kathamrita) দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—দেখ, ব্যবসা করতে গেলে সত্যকথার আঁট থাকে না। ব্যবসায় তেজী মন্দি আছে। নানকের গল্পে আছে যে তিনি বললেন, অসাধুর দ্রব্য ভোজন করতে গিয়ে দেখলুম যে, সে-সব রক্ত মাখা হয়ে গেছে। সাধুদের শুদ্ধ জিনিস দিতে হয়। মিথ্যা উপায়ে রোজগার করা জিনিস দিতে নাই। সত্যপথে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।

    সর্বদা তাঁর নাম করতে হয়। কাজের সময় মনটা তাঁর কাছে ফেলে রাখতে হয়। যেমন আমার পিঠে ফোঁড়া হয়েছে, সব কাজ করছি, কিন্তু মন ফোঁড়ার দিকে রয়েছে। রামনাম (Ramakrishna) করা বেশ। যে রাম দশরথের ছেলে; আবার জগৎ সৃষ্টি করেছেন; আর সর্বভূতে আছেন। আর অতি নিকটে আছেন। অন্তরে বাহিরে।

    “ওহি রাম দশরথকী বেটা,
    ওহি রাম ঘট ঘটমে লেটা,
       ওহি রাম জগৎ পশেরা,
    ওহি রাম সব সে নিয়ারা।”

     সত্যেন লভ্যস্তপসা হ্যেষ আত্মা, সম্যগ্‌জ্ঞানেন ব্রহ্মর্য্যেণ নিত্যম্‌।    (মুণ্ডকোপনিষদ্‌— ৩/১/৫)

      সত্যমেব জয়তে নানৃতম্‌।                                                            (মুণ্ডকোপনিষদ্‌ — ৩/১/৬)

     

    আরও পড়ুনঃ “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share