Tag: madhyom news

madhyom news

  • CJI Chandrachud: ‘‘এত সাহস হয় কী করে?’’ আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতির ধমক আইনজীবীকে

    CJI Chandrachud: ‘‘এত সাহস হয় কী করে?’’ আদালত কক্ষে প্রধান বিচারপতির ধমক আইনজীবীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির (CJI Chandrachud) রোষের মুখে পড়লেন। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আইনজীবীদের মনে হয় সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে জানান যে একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের রায় তিনি ক্রস চেক করেছেন অর্থাৎ মিলিয়ে দেখে নিয়েছেন কোর্ট মাস্টারের কাছে। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রধান বিচারপতি (CJI Chandrachud) এবং আদালত কক্ষে আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি এখন আদালতের ইনচার্জ। এইসব কাজ আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করবেন না। আমি এসব বরদাস্ত করব না।’’

    আমি এসব বরদাস্ত করব না (CJI Chandrachud) 

    এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ওই আইনজীবীকে আরও মনে করিয়ে দেন যে সময় কম হলেও দায়িত্বে তিনি এখনও রয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও আচরণ যাতে ওই আইনজীবী না করেন, সে বিষয়ে তিনি সতর্ক করে দেন। প্রধান বিচারপতির ভাষায়, ‘‘অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি এখন আদালতের ইনচার্জ। এইসব কাজ আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করবেন না। আমি এসব বরদাস্ত করব না।’’

    এত সাহস হয় কী করে? মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (CJI Chandrachud)

    আদালত কক্ষে আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এত সাহস হয় কী করে? আমি কী নির্দেশ দিয়েছি, তা কোর্ট মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলেন কী করে? কাল তো আমার বাড়িতে চলে আসবেন, আর আমার ব্যক্তিগত সচিব (পার্সোনাল সেক্রেটারি)-কে জিজ্ঞেস করবেন, আমি কী করছি!’’ আইনজীবীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীরা কি সব বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন!’

    ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের

    প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। সুতরাং আর ২ মাসের কম সময়ের জন্যই তিনি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদে রয়েছেন। দিন কয়েক আগেই কোনও এক জনস্বার্থ মামলায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য শুনে এক আইনজীবী বলেন ওঠেন, ‘ইয়া…ইয়া’। তা শুনেই প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে কার্যত ধমক দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘আপনি কি এটাকে কফি শপ ভেবে নিয়েছেন? ইয়া…ইয়া আবার কী? ইয়া…ইয়া শব্দের ওপর আমার অ্যালার্জি আছে। এসব চলতে দেওয়া হবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rupa Ganguly: অধরা অভিযুক্তরা! বাঁশদ্রোণী কাণ্ডের প্রতিবাদ করে গ্রেফতার বিজেপির রূপা

    Rupa Ganguly: অধরা অভিযুক্তরা! বাঁশদ্রোণী কাণ্ডের প্রতিবাদ করে গ্রেফতার বিজেপির রূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারারাত বাঁশদ্রোণী (Bansdroni) থানায় ধর্নায় বসে ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, বুধবার নবম শ্রেণীর এক ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। এরপরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশকে সে জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি স্থানীয়রা আরও অভিযোগ তুলেছেন, তৃণমূল এবং পুলিশ- এই দুই পক্ষ মিলেই অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। গতকাল বুধবার বিকাল থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। এক বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পরপরই ধর্নায় বসে ছিলেন নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে।

    এভাবে বিরোধী কণ্ঠ আটকানো যায়! প্রশ্ন রূপার (Rupa Ganguly)

    সাংবাদিকদের রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly) বলেন, ‘‘বাচ্চাটাকে মেরে গাড়িটা চলে গেল। পুলিশ আটকাল না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলেছিলাম, বলেছিলাম, সাধারণ মানুষদের কেন ধরছেন? ওদের কেন পালাতে সময় দিলেন? গ্রেফতার করুন। কিন্তু তাঁরা গ্রেফতার করার বিষয়ে কোনও আশ্বাসই দেননি। বললেন, আইন আইনের পথে চলবে ৷ এরা দোষীকে ধরে না। বিরোধীদের ধরে। এভাবে বিরোধী কণ্ঠ আটকানো যায়?’’

    মার খেয়ে তো ব্রেন হ্যামারেজ সহ্য করে নিয়েছি

    তিনি (Rupa Ganguly) আরও বলেন, ‘‘আমি চুপ করে থানায় কোনও আওয়াজ না করে, কোনও ঝগড়া, তাঁদের সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার না করে এক কোণায় বসেছিলাম। একটাও তর্ক করিনি ৷ তাও ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার আগে আমি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। একবার ওয়াশরুমে যেতে চেয়েছিলাম। আমাকে সেটুকু পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি ৷ যাতে আমি মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে কষ্ট পাই (Bansdroni)। আর কত কষ্ট দেবে? মার খেয়ে তো ব্রেন হ্যামারেজ সহ্য করে নিয়েছি। আর কী চাই ? সব সহ্য করতে হবে শুধু বিজেপি করি বলে?’’

    কী বলছেন শমীক ভট্টাচার্য?

    রূপার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় অবস্থানে বসেছিলেন। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। আর সেই কারণেই রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা হল।’’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: দিল্লির হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন চিকিৎসক! ফের প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা

    Delhi: দিল্লির হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন চিকিৎসক! ফের প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে গুলি করে খুন করার ঘটনা ঘটল খাস দিল্লির (Delhi) বুকে। বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লির জইতপুরের কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকায় নিমা হাসপাতালে নিজের চেম্বারে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক জাভেদ।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল? (Delhi)

    হাসপাতালের কর্মীরা (Delhi) জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাতে ১৬ বছর বয়সি দুই যুবক হাসপাতালে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন জানায়, পায়ের আঙুলে ক্ষতস্থান রয়েছে এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ছে। তাই পরিষ্কার করে নতুন করে ব্যান্ডেজের প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো হাসপাতালের কর্মীরা নতুন করে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন। এর পরে প্রেসক্রিপশন লাগবে বলে জাভেদের চেম্বারে যেতে চায় ওই দুই অভিযুক্ত। চেম্বারে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির শব্দ শুনতে পান হাসপাতালে দুই নার্সিং স্টাফ। পরবর্তীকালে ওই দুই নার্স নিহত চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে দেখেন, জাভেদের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অবশ্য অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে খুনের (Doctor) পরেই চম্পট দেয় ওই দুই অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুন: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে সজলের পুজোয় মাকে আবাহন

    প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা (Delhi)

    ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগাম পরিকল্পনা করেই ওই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের পর থেকে গোটা দেশেই চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে যে ১০ দফা দাবির কথা তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেখানেও রয়েছে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকাও জারি করেছে। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই দিল্লির হাসপাতালে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    RG Kar: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) আন্দোলনের উত্তাপ এখনও রয়েছে রাজপথে। ন্যায়বিচারের দাবিতে দিকে দিকে রাস্তায় নামছেন মানুষজন। নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে আরজি কর মেডিক্যালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের এক মহিলা পিজিটিকে (Lady Doctor) প্রাণনাশ ও মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ওই মহিলা পিজিটি-র ওপর চড়াও হন। এনিয়ে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

    ঠিক কী ঘটনা? (RG Kar)

    সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ এক যুবককে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল আরজি করে। এরপর দ্রুততার সঙ্গেই ওই মহিলা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় ওই যুবকের হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু তখনই তাঁর হাত দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। এর জেরে অন্য যে যুবকরা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। এরপর তাঁরাই মহিলা চিকিৎসককে (Lady Doctor) অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তারা হাসপাতাল (RG Kar) থেকে চলে যান। জানা গিয়েছে, পরে ওই আহতকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই গোটা ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় সত্যরঞ্জন মহাপাত্র নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    হাসপাতালগুলিতে হুমকি ও মারধরের পরিবেশ বিন্দুমাত্র বদলায়নি

    নিরাপত্তার দাবিতে বারবার চিকিৎসকরা সরব হলেও হাসপাতালগুলিতে হুমকি ও মারধরের পরিবেশ যে বিন্দুমাত্র বদলায়নি তা বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। গত শুক্রবারই রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৩ জুনিয়র ডাক্তার, নার্স-সহ ৩ স্বাস্থ্যকর্মী ও এক পুলিশকর্মী। বছর ছত্রিশের রঞ্জনা সাউ নামে এক মহিলাকে শুক্রবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিজনদের দাবি, হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা হয়নি রোগীর। এর ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। যখন অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, সেই সময় স্বাস্থ্যকর্মী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, রোগীর পরিজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও আহত হন।

    আরও কিছু ঘটনা

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    সাগর দত্ত মেডিক্যালের পর এবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে  ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর পরিবারের গুন্ডামি করার অভিযোগ ওঠে গত রবিবারই।

    মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পর মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে হুমকির মুখে পড়তে হয় চিকিৎসক এবং নার্সদের।

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ভিতরেই এক রোগীর আত্মীয়ের হুমকির মুখে পড়তে হয় এক মহিলা পিজিটি-কে (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bansdroni: বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যু, স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের মুখে শাসক দল, থানায় রাতভর ধর্না রূপার

    Bansdroni: বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যু, স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের মুখে শাসক দল, থানায় রাতভর ধর্না রূপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু, আর তাতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁশদ্রোণী (Bansdroni Agitation)। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। অবশ্য বিরোধীদের দাবি, ঘটনাস্থলে না এলেও তিনি নাকি থানায় ‘পুলিশি নিরাপত্তায়’ রয়েছেন। রাস্তার বেহাল দশা নিয়েও সরব স্থানীয়রা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে দফায় দফায়। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই সময় তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয়দের ধাক্কা দিয়ে পুলিশকে সরায় বলে অভিযোগ। এরপর বিকালে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে শুরু হয় ধরপাকড়। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনায় পাটুলি থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বলছেন  বিজেপি (BJP) নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়? (Bansdroni Agitation)

    বুধবার রাতে বাঁশদ্রোণী থানায় (Bansdroni Agitation) পৌঁছান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। থানার ভিতরে প্রবেশ করেন রূপা। বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘‘কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডলকে আটক করে বাঁশদ্রোণী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।’’ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘(বুধবার) সকাল থেকে ওঁরা ধরতে পারেননি অভিযুক্তদের। তবে আমি আশা করছি ওঁরা ধরে ফেলবেন। যতদিন না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ আমি বসে থাকব এখানে।’’ তিনি জানান, রাতে এক বার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু, অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি পুলিশ।

    মৃত পড়ুয়া ১১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা

    জানা গিয়েছে, মৃত ওই পড়ুয়া কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওই এলাকার রাস্তায় (Bansdroni Agitation) খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময়ই ছাত্রকে ধাক্কা মারে জেসিবি। গাছের সঙ্গে তাকে পিষে দেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি তৈরির রীতি নেই! কেন মানা হয় এই প্রথা?

    Durga Puja 2024: যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি তৈরির রীতি নেই! কেন মানা হয় এই প্রথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতিতাপল্লিকে নিষিদ্ধপল্লি বলা হয়। যৌনপল্লির রাস্তা দিয়ে হাঁটাও অনেকের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথচ কী আশ্চর্য্য নিয়ম! পতিতাপল্লির মাটি ছাড়া অসম্পূর্ণ বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। যৌনপল্লির মাটি ছাড়া উমার মূর্তি (Durga Idol) তৈরির রীতি নেই। যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে এই নিয়ম। জানা যায়, এক সময় ব্রাহ্মণরা নিজে গিয়ে মন্ত্রপাঠ করে মাতৃ নির্মাণের জন্য নিয়ে আসতেন পতিতাপল্লির মাটি। কিন্তু কেন এই প্রথা? এই প্রথার পিছনে নানা যুক্তি রয়েছে শাস্ত্রবিদদের। অনেকেই মনে করেন, একবার কোনও পুরুষ পতিতালয়ে গেলে যৌনকর্মীর বাড়ির দরজায় নিজের সারা জীবনের সঞ্চিত সব পুণ্য বিসর্জন দিয়ে আসেন। শাস্ত্রমতে, সেই কারণেই যৌনপল্লির মাটি হয়ে ওঠে অত্য়ন্ত পবিত্র। আর সেই পবিত্র মাটি দিয়েই গড়া হয় উমাকে।

    মহামায়া ৯ রূপে পূজিত হন এই বিশ্বে (Durga Puja 2024)

    আবার হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, অসুরদলনী দুর্গাকে (Durga Puja 2024) আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরেক রূপ বলে মনে করা হয়। মহামায়া ৯ রূপে পূজিত হন এই বিশ্বে। এই ৯ রূপ হল নর্তকী, কাপালিকা, ধোপানী, নাপিতানী, ব্রাহ্মণী, শূদ্রাণী, গোয়ালিনী, মালিনী ও পতিতা। মহামায়ার এই ৯ রূপ সমাজের নানা জাত, বর্ণের প্রতীক। ঠিকঠাক ভাবে পাঠক যদি এই ৯ রূপ লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, উচ্চ থেকে নিম্ন-সব বর্ণই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই ৯ রূপে। এঁদের মধ্যে মায়ের নবম রূপ ‘পতিতা’, যৌনপল্লির মহিলাদেরই প্রতীক (Durga Idol)। এই কারণেই এমন প্রথার শুরু বলে মনে করেন অনেকে।

    সমগ্র নারীশক্তির প্রতিনিধি দেবী দুর্গা 

    আসলে সমগ্র নারীশক্তির প্রতিনিধি দেবী দুর্গা (Durga Puja 2024। জাতি, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে হিন্দু শক্তির প্রতীক তিনি। যিনি সমাজের অসুর দমন করেন, তিনিই দেবী দুর্গা। তাই অনেকের মতে সকল স্তরের নারী শক্তিকে সম্মান জানাতেই এই প্রথার শুরু হয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক, সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান!

    Durga Puja 2024: নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক, সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীর (Durga Puja 2024) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার প্রতীক নবপত্রিকাকে (Nabapatrika)। শাস্ত্রবিদদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল (Durga Puja 2024)

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের (Durga Puja 2024) জল। সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান। এই সপ্তসিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরী। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজনা বাজানোর রীতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, যেহেতু নবপত্রিকা মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নানজল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর (Nabapatrika) স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    নবপত্রিকার ৯ গাছ (Durga Puja 2024)  

    নবপত্রিকা হল নবদুর্গার (Durga Puja 2024) প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা-দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু-দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ-দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী-দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল-শিবের প্রতীক, বেদানা-রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক-শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা-চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান-লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে একসঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ
    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব

    প্রভাতে ভক্তসঙ্গে 

    কালীবাড়িতে আজ শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) জন্মমহোৎসব—ফাল্গুন শুক্লা দ্বিতীয়া, রবিবার, ১১ই মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। আজ ঠাকুরের অন্তরঙ্গ ভক্তগণ সাক্ষাৎ তাঁহাকে লইয়া জন্মোৎসব করিবেন।

    প্রভাত হইতে ভক্তেরা একে একে আসিয়া জুটিতেছেন। সম্মুখে মা ভবতারিণীর মন্দির। মঙ্গলারতির পরই প্রভাতী রাগে নহবতখানায় মধুর তানে রোশনচৌকি বাজিতেছে। একে বসন্তকাল, বৃক্ষলতা সকলই নূতন বেশ পরিধান করিয়াছে; তাহাতে ভক্তহৃদয় ঠাকুরের জন্মদিন স্মরণ করিয়া নৃত্য করিতেছে। চতুর্দিকে আনন্দের সমীরণ বহিতেছে। মাস্টার গিয়া দেখিতেছেন; ভবনাথ, রাখাল, ভবনাথের বন্ধু কালীকৃষ্ণ বসিয়া সহাস্যে আলাপ করিতেছেন। মাস্টার পৌঁছিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি এসেছ। (ভক্তদিগকে) লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়। আজ কত আনন্দ হবে। কিন্তু যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না। ঈশ্বরের (Kathamrita) কথায় লজ্জা কি, ভয় কি? নে, এখন তোরা গা।

    ভবনাথ ও কালীকৃষ্ণ (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    ধন্য ধন্য ধন্য আজি দিন আনন্দকারী,
    সব মিলে তব সত্যধর্ম ভারতে প্রচারি।
    হৃদয়ে হৃদয়ে তোমারি ধাম, দিশি দিশি তব পুণ্য নাম;
    ভক্তজনসমাজ আজি স্তুতি করে তোমারি।
    নাহি চাহি প্রভু ধন জন মান, নাহি প্রভু অন্য কাম;
    প্রার্থনা করে তোমারে আকুল নরনারী।
    তব পদে প্রভু লইনু শরণ, কি ভয় বিপদে কি ভয় মরণ,
    অমৃতের খনি পাইনু যখন জয় জয় তোমারি।

    ঠাকুর বদ্ধাঞ্জলি হইয়া বসিয়া একমনে গান শুনিতেছেন। গান শুনিতে শুনিতে মন একেবারে ভাবরাজ্যে চলিয়া গিয়াছে। ঠাকুরের মন শুষ্ক দিয়াশলাই—একবার ঘষিলেই উদ্দীপন। প্রাকৃত লোকের মন ভিজে দিয়াশলাইয়ের ন্যায়, যত ঘষো জ্বলে না—কেন না মন বিষয়াসক্ত। ঠাকুর অনেকক্ষণ ধ্যানে নিমগ্ন। কিয়ৎক্ষণ পরে কালীকৃষ্ণ ভবনাথের কানে কানে কি বলিতেছেন।

    আগে হরিনাম না শ্রমজীবীদের শিক্ষা? 

    কালীকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া গাত্রোত্থান করিলেন। ঠাকুর বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় যাবে?”

    ভবনাথ—আজ্ঞা (Kathamrita), একটু প্রয়োজন আছে, তাই যাবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি দরকার?

    ভবনাথ—আজ্ঞা, শ্রমজীবীদের শিক্ষালয়ে (Baranagore Workingmen’s Institute) যাবে। কালীকৃষ্ণের প্রস্থান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ওর কপালে নাই। আজ হরিনামে কত আনন্দ হবে দেখত (Kathamrita)? ওর কপালে নাই!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    অবস্থা ও অহিংসা 

    অধর (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়, আমার একটি জিজ্ঞাস্য (Kathamrit) আছে; বলিদান করা কি ভাল? এতে তো জীবহিংসা করা হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বিশেষ বিশেষ অবস্থায় শাস্ত্রে আছে, বলি দেওয়া যেতে পারে। ‘বিধিবাদীয়’ বলিতে দোষ নাই। যেমন অষ্টমীতে একটি পাঁঠা। কিন্তু সকল অবস্থাতে হয় না। আমার এখন এমন অবস্থা, দাঁড়িয়ে বলি দেখতে পারি না। মার প্রসাদী মাংস, এ-অবস্থায় খেতে পারি না। তাই আঙুলে করে একটু ছুঁয়ে মাথায় ফোঁটা কাটি; পাছে মা রাগ করেন।

    আবার এমন অবস্থা হয় যে, দেখি সর্বভূতে ঈশ্বর, পিঁপড়েতেও তিনি। এ-অবস্থায় হঠাৎ কোন প্রাণী মরলে এই সান্ত্বনা হয় যে, তার দেহমাত্র বিনাশ হল। আত্মার জন্ম মৃত্যু নাই।

    অধরকে উপদেশ—বেশি বিচার করো না

    বেশি বিচার করা ভাল নয়, মার পাদপদ্মে ভক্তি থাকলেই হল। বেশি বিচার করতে গেলে সব গুলিয়ে যায়। এ-দেশে পুকুরের জল উপর উপর খাও, বেশ পরিষ্কার জল পাবে। বেশি নিচে হাত দিয়ে নাড়লে জল ঘুলিয়ে যায়। তাই তাঁর কাছে ভক্তি প্রার্থনা কর। ধ্রুবর ভক্তি সকাম। রাজ্যলাভের জন্য তপস্যা করেছিলেন। প্রহ্লাদের কিন্তু নিষ্কাম অহেতুকী ভক্তি (Kathamrit)।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কিরূপে লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওই ভক্তির দ্বারা। তবে তাঁর কাছে জোর করতে হয়। দেখা দিবিনি, গলায় ছুরি দেব—এর নাম ভক্তির তমঃ।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কি দেখা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, অবশ্য দেখা যায় (Kathamrit)। নিরাকার, সাকার—দুই দেখা যায়। সাকার চিন্ময়রূপ দর্শন হয়। আবার সাকার মানুষ তাতেও তিনি প্রতক্ষ্য। অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা। ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তসঙ্গে গঙ্গায় বানদর্শন 

    ঠাকুর (Ramakrishna) এইভাবে বসিয়া আছেন, এমন সময় একজন আসিয়া সংবাদ দিল যে, বান আসিতেছে। ঠাকুর, রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি সকলে বান দেখিবার জন্য পঞ্চবটী অভিমুখে দৌড়াইতে লাগিলেন। পঞ্চবটীমূলে আসিয়া সকলে বান দেখিতেছেন (Kathamrita) । বেলা প্রায় ১০ টা হইবে। একখানা নৌকার অবস্থা দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, দেখ, দেখ, ওই নৌকাখানার অবস্থা বা কি হয়।

    এইবার ঠাকুর পঞ্চবটীর রাস্তার উপরে মাস্টার, রাখাল প্রভৃতির সহিত বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি—আচ্ছা, বান কি রকম করে হয়?

    মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, মাধ্যাকর্ষণ, জোয়ার, ভাটা; পূর্ণিমা, অমাবস্যা, গ্রহণ ইত্যাদি বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন (Kathamrita) ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বাল্যকালে ও পাঠশালায়—The Yogi is beyond all finite relations of number, quantity, cause, effect

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—ওই যা! বুঝতে পারছি না; মাথা ঘুরে আসছে! টনটন করছে! আচ্ছা, এত দূরের কথা কেমন করে জানলে?

    দেখ, আমি ছেলেবেলায় চিত্র আঁকতে বেশ পারতুম, কিন্তু শুভঙ্করী আঁক ধাঁধা লাগত! গণনা অঙ্ক পারলাম না।

    এইবার ঠাকুর নিজের ঘরে ফিরিয়া আসিয়াছেন। দেওয়ালে টাঙানো যশোদার ছবি দেখিয়া বলিতেছেন, ছবি ভাল হয় নাই, ঠিক যেন মেলেনীমাসী করেছে।

    শ্রীঅধর সেনের প্রথম দর্শন ও বলির কথা 

    মধ্যাহ্ন-সেবার পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিয়াছেন। অধর ও অন্যান্য ভক্তরা ক্রমে ক্রমে আসিয়া জুটিলেন। অধর সেন এই প্রথম ঠাকুরকে দর্শন (Kathamrita) করিতেছেন। অধরের বাড়ি কলিকাতা বেনেটোলায়। তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বয়স ২৯।৩০।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share