Tag: madhyom news

madhyom news

  • Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। সেপ্টেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এই আবহে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা (ইউনিফায়েড কমান্ড) দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। এদিনই সব বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি, সেখানেই এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন 

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শান্তি ফেরাতে এই রাজ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছে। গতকাল রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তারপরেই বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, কুকিরা মেইতেইদের উপরে যে আক্রমণ গত কয়েক দিন ধরে চালাচ্ছে, তা শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন।

    সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা অশান্ত হয়ে ওঠে

    অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি ডেরার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে মণিপুর (Manipur Violence) পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা। এই দুই জায়গাতেই ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে কুকিদের বিরুদ্ধে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী (Manipur Violence) অধ্যুষিত এলাকায়।

    মেইতেইরা দাবি করছে কুকিরা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর পাশাপাশি কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে মণিপুরের পুলিশ। অন্যদিকে, কুকিদের পাল্টা দাবি, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে। শনিবারই জিরিবামে গুলির লড়াইয়ে মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। 

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল আরজি করে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো করেনি রাজ্য, এমন অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবারই আরজি কর মামলার শুনানিতে, বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে সিআইএসএফ জওয়ানদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন এও জানিয়েছে, সিআইএসএফের আরও যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগবে তা রাত্রি ন’টার মধ্যে বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে এবং রাজ্যের দুজন অফিসার এই গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন।

    সম্প্রীতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দাখিল করে

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে জানায় যে, সিআইএসএফের জওয়ানদের নানা অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে আরজি করে। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা সঠিকভাবে করছে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এও জানায়, শীর্ষ আদালতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের এমন আচরণ আসলে আদালত অবমাননা। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে ভারতে প্রথম সন্দেহভাজন এমপক্স আক্রান্তের হদিশ (Mpox in India) মিলেছে। এর পরেই রাজ্যগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা (Centre Issues Advisory) জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যকে তা পালন করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যদিও কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ যথাযথ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে আছে দেশে এমপক্সের মোকাবিলায়। সম্প্রতি সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স (Mpox in India) সংক্রমণের শিকার হয়ে এক পুরুষ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনও তবে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি (Centre Issues Advisory) যে ওই রোগী কোন দেশ থেকে এসেছেন বা কীভাবে তিনি সংক্রমণিত  হয়েছেন!

    ১২০টি দেশে মিলেছে ভাইরাসের সন্ধান (Suspected Mpox Case)

    এমপক্স-এর (Mpox in India) নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘ক্লেড ১বি’, প্রথম কঙ্গোতে হদিশ মেলে এই ভ্যারিয়েন্টের। গত ১৪ অগাস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বজুড়ে। ১২০টিরও বেশি দেশে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত  এমপক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলিছে। জানা গিয়েছে, ১ লাখের বেশি রোগীর (Mpox in India) শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের, একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Centre Issues Advisory)।

    কীভাবে ছড়ায় সংক্রমণ (Suspected Mpox Case)

    ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়

    সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ বা গলা থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস

    সংক্রামিত কোনও প্রাণীর সংস্পর্শে এলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

    সংক্রামিত রোগীর পোশাকের মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।

    কেন মাঙ্কিপক্সকে (Mpox in India) এমপক্স বলা হয়?

    এই অসুখের কথা বিজ্ঞানীরা প্রথম বলেন ১৯৫৮ সালে। সেই বছর গবেষণাগারে বাঁদরের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ক্রমে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বাঁদরের মধ্যে এই রোগ প্রথম চিহ্নিত হওয়ার নাম দেওয়া হয় ‘মাঙ্কিপক্স’ (Mpox in India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    মায়া বা অহং-আবরণ গেলেই মুক্তি বা ঈশ্বরলাভ

    বিজয়—মহাশয়! কেন আমরা এরূপ বদ্ধ হয়ে আছি? কেন ঈশ্বরকে (Kathamrita) দেখতে পাই না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীবের অহংকারই মায়া। এই অহংকার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল। যদি ঈশ্বরের কৃপায় আমি অকর্তা এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।

    এই মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ। সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না—মেঘ সরে গেলেই সূর্যকে দেখা যায়। যদি গুরুর কৃপায় একবার অহংবুদ্ধি যায়, তাহলে ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আড়াই হাত দূরে শ্রীরামচন্দ্র, যিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর (Ramakrishna); মধ্যে সীতারূপিণী মায়া ব্যবধান আছে বলে লক্ষ্মণরূপ জীব সেই ঈশ্বরকে দেখতে পান নাই। এই দেখ, আমি এই গামছাখানা দিয়ে মুখের সামনে আড়াল করছি আর আমায় দেখতে পাচ্ছ না। তবু আমি এত কাছে। সেইরূপ ভগবান সকলের চেয়ে কাছে, তবু এই মায়া-আবরণের দরুন তাঁকে দেখতে পারছ না।

    জীব তো সচ্চিদানন্দস্বরূপ। কিন্তু এই মায়া বা অহংকারে তাদের সব নানা উপাধি হয়ে পড়েছে, আর তারা আপনার স্বরূপ ভুলে গেছে।

    এক-একটি উপাধি হয়, আর জীবের স্বভাব বদলে যায়। যে কালোপেড়ে কাপড় পরে আছে, অমনি দেখবে, তার নিধুর টপ্পার তান এসে জোটে; আর তাস খেলা, বেড়াতে যাবার সময় হাতে ছড়ি (stick) এইসব এসে জোটে। রোগা লোকও যদি বুট জুতা পরে সে অমনি শিস দিতে আরম্ভ করে, সিঁড়ি উঠবার সময় সাহেবদের মতো লাফিয়ে উঠতে থাকে। মানুষের হাতে যদি কলম থাকে, এমনি কলমের গুণ যে, সে অমনি একটা কাগজ-টাগজ পেলেই তার উপর ফ্যাসফ্যাস করে টান দিতে থাকবে।

    টাকাও একটি বিলক্ষণ উপাধি। টাকা হলেই মানুষ আর-একরকম হয়ে যায়, সে মানুষ থাকে না।

    এখানে একজন ব্রাহ্মণ আসা-যাওয়া করত। সে বাহিরে বেশ বিনয়ী ছিল। কিছুদিন পরে আমরা কোন্নগরে গেছলুম। হৃদে সঙ্গে ছিল। নৌকা থেকে যাই নামছি, দেখি সেই ব্রাহ্মণ গঙ্গার ধারে বসে আছে। বোধ হয়, হাওয়া খাচ্ছিল। আমাদের দেখে বলছে, কি ঠাকুর (Ramakrishna)! বলি—আছ কেমন? তার কথার স্বর শুনে আমি হৃদেকে বললাম, ওরে হৃদে! এ লোকটার টাকা হয়েছে, তাই এইরকম কথা। হৃদে হাসতে লাগল।

    একটা ব্যাঙের একটা টাকা ছিল। গর্তে তার টাকাটা ছিল। একটা হাতি সেই গর্ত ডিঙিয়ে গিছিল। তখন ব্যাঙটা বেরিয়ে এসে খুব রাগ করে হাতিকে লাথি দেখাতে লাগল। আর বললে (Kathamrita), তোর এত বড় সাধ্য যে, আমায় ডিঙিয়ে যাস! টাকার এত অহংকার।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার একমাস পূর্ণ হল। এদিনই এই মামলার শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম শুনানির (Supreme Court) দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, শুনানি হওয়ার কথা ছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় তা পিছিয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিকে সামনে রেখে ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচি করেন নাগরিকরা।

    রবির রাত জাগল বাংলা

    এদিকে, সোমবার সুপ্রিম শুনানির আগেও বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা। যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেকটাউন, সোদপুর, বারাকপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কোচবিহার সহ সারা রাজ্যে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার শিলিগুড়িতে করা হয় ভোর দখল কর্মসূচি। মর্মান্তিক ঘটনার (Supreme Court) একমাস অতিক্রান্ত হলেও জনগণের প্রতিবাদ যে এতটুকু কমেনি তা এই কর্মসূচিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। কোথাও মশাল, কোথাও মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট, গানে-কবিতায়-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলকাতা থেকে জেলা। বিকেলে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা দুজনে বক্তব্য রাখেন। এখানেই নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই) আর নয়। এ বার স্লোগান হোক ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ (বিচার আমাদের দাবি)।

    সুপ্রিম শুনানির আগের দিন রবিবারের কর্মসূচিগুলি (RG Kar) এক ঝলকে

    কালো বেলুনে প্রতিবাদ

    এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান ডাক্তাররা। এই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মা।

    রিকশা চালকদের প্রতিবাদ

    আরজি করের (RG Kar) বিচার চেয়ে হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত রবিবার মিছিল করেছেন উত্তর কলকাতার টানা রিকশা চালকেরা।

    মৃৎশিল্পীদের প্রতিবাদ

    কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীরাও রঙ তুলি হাতে রবিবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা হেঁটেছেন উত্তর কলকাতার রাস্তায়।

    ১৫ কিমির মানববন্ধন

    সোদপুর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রবিবার রাতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন।

    ফুটবলপ্রেমীদের মিছিল

    ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকেরা উত্তর কলকাতার সিমলা পল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছেন।

    রাস্তায় রঙের মেলা

    নানা রঙে রাস্তায় নানা ছবি এঁকেছেন চিত্রকরেরা। তাঁদের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। এই কর্মসূচি ছিল মূলত দক্ষিণ কলকাতায়।

    রাত ‘দখল’

    রবিবার রাত ১১টার পর থেকে রাতদখল কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছিল। তাতেও বহু সাধারণ মানুষ শামিল হয়েছেন। রাত যত বেড়েছে, প্রতিবাদ তত জোরালো হয়েছে।

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    আমেরিকার আটলান্টা, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া-সহ নানা শহরে প্রতিবাদ হয়েছে। ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টার-সহ নানা শহর ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও পালিত হয়েছে কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরের আদেশ প্রাপ্ত হলে তবে ঠিক আচার্য

    বিজয়—ব্রাহ্মসমাজের কাজ করতে হয়, তাই সদা-সর্বদা আসতে পারি না; সুবিধা হলে আসব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—দেখ, আচার্যের কাজ বড় কঠিন, ঈশ্বরের (Ramakrishna) সাক্ষাৎ আদেশ ব্যতিরেকে লোকশিক্ষা দেওয়া যায় না।

    যদি আদেশ না পেয়ে উপদেশ দাও (Kathamrita), লোকে শুনবে না। সে উপদেশের কোন শক্তি নাই। আগে সাধন করে, বা যে কোনরূপে হোক ঈশ্বরলাভ করতে হয়। তাঁর আদেশ পেয়ে লেকচার দিতে হয়। ও-দেশে একটি পুকুর আছে, নাম হালদার-পুকুর। তার পাড়ে রোজ লোকে বাহ্যে করে রাখত। সকালে যারা ঘাটে আসত তারা তাদের গালাগালি দিয়ে খুব গোলমাল করত। গালাগালে কোন কাজ হত না—আবার তার পরদিন পাড়েতেই বাহ্যে। শেষে কোম্পানীর চাপরাসী এসে নোটিশ টাঙিয়ে দিল যে, এখানে কেউ ওরূপ কাজ করতে পারবে না। যদি করে, শাস্তি হবে। এই নোটিশের পর আর কেউ পাড়ে বাহ্য করত না।

    তাঁর আদেশের পর যেখানে সেখানে আচার্য হওয়া যায় ও লেকচার দেওয়া যায়। যে তাঁর আদেশ পায় (Kathamrita), সে তাঁর কাছ থেকে শক্তি পায়। তখন এই কঠিন আচার্যের কর্ম করতে পারে।

    এক বড় জমিদারের সঙ্গে একজন সামান্য প্রজা বড় আদালতে মোকদ্দমা করেছিল। তখন লোকে বুঝেছিল যে, ওই প্রজার পেছনে একজন বলবান লোক আছে। হয়তো আর-একজন বড় জমিদার তার পেছনে থেকে মোকদ্দমা চালাচ্ছে। মানুষ সামান্য জীব, ঈশ্বরের সাক্ষাৎ শক্তি না পেলে আচার্যের এমন কঠিন কাজ করতে পারে না।

    বিজয়— মহাশয়! ব্রাহ্মসমাজে যে উপদেশাদি হয়, তাতে কি লোকের পরিত্রাণ হয় না?

    সচ্চিদানন্দই গুরু — মুক্তি তিনিই দেন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মানুষের কি সাধ্য অপরকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে। যাঁর এই ভুবনমোহিনী মায়া, তিনিই সেই মায়া থেকে মুক্ত করতে পারেন। সচ্চিদানন্দগুরু বই আর গতি নাই। যারা ঈশ্বরলাভ করে নাই, তাঁর আদেশ পায় নাই, যারা ঈশ্বরের শক্তিতে শক্তিমান হয় নাই, তাদের কি সাধ্য জীবের ভববন্ধন মোচন করে।

    আমি একদিন পঞ্চবটীর কাছ দিয়ে ঝাউতলায় বাহ্যে যাচ্ছিলাম (Kathamrita)। শুনতে পেলুম যে, একটা কোলা ব্যাঙ খুব ডাকছে। বোধ হল সাপে ধরেছে। অনেকক্ষণ পরে যখন ফিরে আসছি, তখনও দেখি, ব্যাঙটা খুব ডাকছে। একবার উঁকি মেরে দেখলুম কি হয়েছে। দেখি, একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে—ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না—ব্যাঙটার যন্ত্রণা ঘুচছে না। তখন ভাবলাম, ওরে! যদি জাতসাপে ধরত, তিন ডাকের পর ব্যাঙটা চুপ হয়ে যেত। এ-একটা ঢোঁড়ায় ধরেছে কি না, তাই সাপটারও যন্ত্রণা, ব্যাঙটারও যন্ত্রণা!

    যদি সদ্‌গুরু (Ramakrishna) হয়, জীবের অহংকার তিন ডাকে ঘুচে। গুরু কাঁচা হলে গুরুরও যন্ত্রণা, শিষ্যেরও যন্ত্রণা! শিষ্যেরও অহংকার আর ঘুচে না, সংসারবন্ধন আর কাটে না। কাঁচা গুরুর পাল্লায় পড়লে শিষ্য মুক্ত হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনই শিবপুজো ভক্তি সহকারে করা যায়। তবে সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) আরাধনার বিশেষ দিন। শিবপুজোর পাশাপাশি মহাদেবের বিভিন্ন স্তোত্র পাঠ করলেও মেলে বিশেষ ফল, এমনটাই বলছেন পণ্ডিতরা। শিবের বিভিন্ন স্তোত্রের মধ্যে অন্যতম হল শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra), পৌরাণিক মতে যা রচনা করেছিলেন রাবণ। কিংবদন্তি অনুসারে, লঙ্কাধিপতি রাবণ অসুরকুলের হলেও, তিনি ছিলেন প্রচণ্ড জ্ঞানী ও শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত। শিবকে প্রসন্ন করার জন্য তিনিই রচনা করেছিলেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র। ভক্তদের বিশ্বাস, শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠ করা হলে স্বয়ং মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, সোমবার শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়।  শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। জেনে নিন কীভাবে পাঠ করবেন এই মন্ত্র। এই স্তোত্র পাঠে কী কী ফল মেলে, তাও জানুন।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ অনুযায়ী, লঙ্কার রাজা রাবণ শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। শিবের উদ্দেশে একটি বিশেষ স্তুতি স্বরূপ এই শিব তাণ্ডব স্তোত্র রচনা করেন রাবণ। এই স্তোত্রটি বিবিধ অলংকারে সমৃদ্ধ। ছন্দের মালা দিয়েই তৈরি হয়েছে এই মন্ত্র। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রাবণ শিব কৈলাশ পর্বত তুলে লঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিলে, ভগবান শিব নিজের পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে কৈলাশ পর্বতকে চেপে দেন। যার ফলে রাবণের হাত কৈলাশ পর্বতে চাপা পড়ে যায়। তখনই শিবকে প্রসন্ন করার জন্য স্তুতি লেখেন রাবণ। এই স্তুতিটিই শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) নামে প্রসিদ্ধ। আর যে স্থানে রাবণ চাপা পড়েছিল, সেটি রাক্ষস তাল নামে পরিচিত হয়ে রয়েছে। তাণ্ডব শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল তণ্ডুল, সহজ বাংলায় লাফানো। শাস্ত্র মতে, তাণ্ডব নৃত্য শুধুমাত্র পুরুষরাই করতে পারেন। স্ত্রীদের তাণ্ডব নৃত্য করা নিষিদ্ধ। শিব তাণ্ডব স্তোত্র নেচে নেচে পাঠ করা সর্বোত্তম বলেই মনে করেন শাস্ত্র বিশারদরা।

    কখন পাঠ করবেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra)?

    পরিবারের কোনও সদস্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি না-পেলে, সমস্ত ধরনের তন্ত্র-মন্ত্রে বাধা দিলে, শত্রু সমস্যায় ফেললে আবার আর্থিক ও রোজগার সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। এ ছাড়াও বিশেষ মনস্কামনা পূরণ বা গ্রহ দোষ সমাপ্ত করার ইচ্ছা থাকলেও এই স্তোত্র পাঠ করা যেতে পারে।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠের নিয়ম

    শাস্ত্র মতে সকাল বেলা হল আদর্শ সময় শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার ক্ষেত্রে, তবে সন্ধ্যাতেও করা যায়। এই স্তোত্র পাঠ করার আগে শিবকে প্রণাম করুন। তার পর ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য অর্পণ করে তাঁর পুজো করুন। এর পর সুর করে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করবেন। আগেই বলা হয়েছে, নৃত্যরত অবস্থায় এই স্তোত্র পাঠ করা সর্বোত্তম। স্তোত্র পাঠ শেষ হলে শিবের (Lord Shiva) ধ্যান ও প্রার্থনা করুন।

    দেবাদিদেবের শক্তি ও সৌন্দর্যের বর্ণনা রয়েছে পুরো শিব তাণ্ডব স্তোত্রে। ইউটিউবে গেলে বিভিন্ন খ্যাতনামা গায়কের কণ্ঠে শিব তাণ্ডব স্তোত্রের ছন্দময় উচ্চারণ শুনতে পাওয়া যায়। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার রীতিও পাবেন এখানে। মনে করা হয়, কোনও ব্যক্তি যদি শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়মিত পাঠ করেন, তাহলে তিনি অভাবনীয় লাভবান হন। তাঁর জীবন থেকে সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায় এবং সংসার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। 

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের পদ্ধতি

    সকালে বা সন্ধ্যায় পাঠ করতে হবে।

    পরিচ্ছন্ন হয়ে পরিষ্কার কাপড় পরে তবেই পাঠ করবেন।

    ভগবান শিবের ছবি বা মূর্তির সামনে প্রণাম করার পর ভগবান শিবের আরাধনা করবেন।

    বসবেন কুশের আসনে। পরনে সাদা কুর্তা ও ধুতি থাকলে ভালো।

    আপনি উচ্চস্বরে এবং শুদ্ধ উচ্চারণেও এই পাঠটি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি শব্দগুলো ভালো করে বুঝে নিন, তারপর সঠিকভাবে উচ্চারণ করে পাঠ করুন।

    পাঠ শেষ হওয়ার পরে, ভগবান শিবের ধ্যান করুন, তারপর দেবাদিদেবের পুজো করার পরে আরতি করুন।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের উপকারিতা

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। মনে করা হয়, প্রতিদিন শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে বাকসিদ্ধ হয় ব্যক্তি।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে কখনই সম্পদের অভাব হয় না। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠে শিব প্রসন্ন হন এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এই স্তোত্র পাঠ করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে শনি, রাহু ও কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি নিয়মিত পাঠ করলে ব্যক্তি রাশিতে সর্প যোগ, কালসর্প যোগ দোষ থেকে মুক্তি পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) রবিবারই নয়া দিল্লিতে আয়োজিত ৪৪ তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ (OCA General Assembly) সভায় বক্তব্য রাখেন। এখানে তিনি নিজের ভাষণে বলেন যে দেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করার জন্য বাজেটে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলি রূপায়ণের জন্যই এই বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সভাপতি। এর পাশাপাশি ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

    ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে পরিকল্পনা অর্থাৎ ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্সের আয়োজন, সে নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং ২০৩৬ সালে অলিম্পিক্সের আয়োজন করতে চেয়েছেন দেশের মাটিতে। আমি বিশ্বাস করি যে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়া, নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছাকে পূরণ করতে কাজ করবে।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের ক্রীড়া ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন কাল থেকেই দেখা যায়। ভারতবর্ষে দাবা খেলার রীতি দেখা যেত। সেই ধারা বর্তমানেও বজায় রয়েছে, আধুনিক ভারতেও বিভিন্ন খেলা দেখা যায়।’’ প্রসঙ্গত ৪৪তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে, ভারতের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রীড়াবিরা হাজির রয়েছেন এখানে। প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার (OCA General Assembly) ভারতীয় শাখার প্রথম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

    বাজেটে তিনগুণ বেশি বরাদ্দ

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলিকেকে রূপায়ণ করতে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যেমন এর মধ্যে নেওয়া হয়েছে, ‘টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং কোচিং সবটাই দেওয়া হচ্ছে। নিজের বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন যে ৫ হাজারেরও বেশি পুরুষ এবং ৩ হাজারেরও বেশি মহিলা বর্তমানে ৩৪টি স্পোর্টস কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’’ নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘খেলার মাধ্যমে শুধুমাত্র যে আমাদের শারীরিক বিকাশ হয় এমনটাই নয়। এর ফলে আমাদের মানসিক উন্নতিও ঘটে এবং সামাজিক সম্প্রীতিও বাড়ে।’’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ভারতে আয়োজিত হচ্ছে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা। এই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং। নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা ধন্যবাদ জানান রণধীর সিংকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

    Manipur: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। এই আবহে শনিবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে ছ’জন মানুষের ফের মৃত্যু হয়েছে অশান্ত মণিপুরে। শনিবারও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছড়ায় স্থানীয় জিরিবান জেলাতে। অন্যদিকে গতকাল শনিবারই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। শুক্রবারে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক প্রবীণের। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই এই হামলার অভিযোগ তুলেছে প্রশাসন (Manipur Violence)। প্রসঙ্গত, ওই বোমা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবামের বাড়ি লক্ষ্য করেই ছোড়া হয়। এই ঘটনায় নিহত হন ওই প্রবীণ ও আহত হন ৬ জন।

    প্রশাসনের সাংবাদিক সম্মেলন (Manipur)

    উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের (Manipur) পুলিশ ইন্টেলিজেন্স-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল কে কাবিল সাংবাদিক বৈঠকে মণিপুরের অবস্থা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সকলকে অবগত করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন, ৯টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২১টি বোমা, বেশ কিছু গ্রেনেড, ওয়্যারলেস উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি মণিপুরে (Manipur) কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর। এ নিয়ে কে কাবির জানিয়েছেন, ড্রোন ধ্বংসকারী ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আর্মির হেলিকপ্টারে করে এলাকায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাবিব। কে কাবিব আরও জানিয়েছেন, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা একেবারে বিষ্ণুপুর, জিরিভাম, ইম্ফল প্রভৃতি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে টহল দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে (Manipur Violence) বলেও তিনি জানিয়েছেন। কারণ বিভিন্ন রকমের উস্কানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করছে জঙ্গিরা।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share