Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    অহং কিন্তু যায় না—“বজ্জাৎ আমি”—“দাস আমি” 

    যে আমিতে সংসারী করে, কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্ত করে, সেই আমি খারাপ। জীব ও আত্মার প্রভেদ হয়েছে, এই আমি মাঝখানে আছে বলে। জলের উপর যদি একটা লাঠি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে দুটো ভাগ দেখায়। বস্তুত, এক জল; লাঠিটার দরুন দুটো দেখাচ্ছে।

    অহং-ই এই লাঠি। লাঠি তুলে লও, সেই এক জলই থাকবে।

    বজ্জাৎ আমি কে? যে আমি বলে (Kathamrita), আমায় জানে না? আমার এত টাকা, আমার চেয়ে কে বড়লোক আছে? যদি চোরে দশ টাকা চুরি করে থাকে, প্রথমে টাকা কেড়ে লয়, তারপর চোরকে খুব মারে; তাতেও ছাড়ে না, পাহারাওয়ালাকে ডেকে পুলিসে দেয় ও ম্যাদ খাটায়, বজ্জাৎ আমি বলে, জানে না—আমার দশ টাকা নিয়েছে! এত বড় আস্পর্ধা!

    বিজয়—যদি অহং না গেলে সংসারে আসক্তি যাবে না, সমাধি হবে না, তাহলে ব্রহ্মজ্ঞানের পথ অবলম্বন করাই ভাল, যাতে সমাধি হয়। আর ভক্তিযোগে যদি অহং থাকে তবে জ্ঞানযোগই ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুই-একটি লোকের সমাধি হয়ে ‘অহং’ যায় বটে, কিন্তু প্রায় যায় না। হাজার বিচার কর, ‘অহং’ ফিরে ঘুরে এসে উপস্থিত। আজ অশ্বত্থগাছ কেটে দাও, কাল আবার সকালে দেখ ফেঁকড়ি বেরিয়েছে। একান্ত যদি ‘আমি’ যাবে না, থাক শালা ‘দাস আমি’ হয়ে। ‘হে ঈশ্বর! তুমি প্রভু, আমি দাস’ এইভাবে থাক। ‘আমি দাস’, ‘আমি ভক্ত’ এরূপ ‘আমিতে’ দোষ নাই; মিষ্ট খেলে অম্বল হয়, কিন্তু মিছরি মিষ্টির (Kathamrita) মধ্যে নয়।

    জ্ঞানযোগ ভারী কঠিন। দেহাত্মবুদ্ধি না গেলে জ্ঞান হয় না। কলিযুগে অন্নগতপ্রাণ—দেহাত্মবুদ্ধি, অহংবুদ্ধি যায় না। তাই কলিযুগের পক্ষে ভক্তিযোগ। ভক্তিপথ সহজ পথ। আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে (Ramakrishna) লাভ করবে, কোন সন্দেহ নাই।

    যেমন জলরাশির উপর বাঁশ না রেখে একটি রেখা কাটা হয়েছে। যেন দুই ভাগ জল। আর রেখা অনেকক্ষণ থাকে না। দাস আমি, কি ভক্তের আমি, কি বালকের আমি—এরা যেন আমির রেখা মাত্র।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    Ramakrishna 129: “লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

     সপ্তভূমি—অহংকার কখন যায়— ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা 

    জ্ঞানলাভ হলে অহংকার যেতে পারে। জ্ঞানলাভ হলে সমাধিস্থ হয় (Kathamrita)। সমাধিস্থ হলে তবে অহং যায়। সে জ্ঞানলাভ (Ramakrishna) বড় কঠিন।

    বেদে আছে (Kathamrita) যে, সপ্তমভূমিতে মন গেলে তবে সমাধি হয়। সমাধি হলেই তবে অহং চলে যেতে পারে। মনের সচরাচর বাস কোথায়? প্রথম তিনভূমিতে। লিঙ্গ, গুহ্য, নাভি—সেই তিনভূমি, তখন মনের আসক্তি কেবল সংসারে—কামিনী-কাঞ্চনে। হৃদয়ে যখন মনের বাস হয়, তখন ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) জ্যোতিঃদর্শন হয়। সে ব্যক্তি জ্যোতিঃদর্শন করে বলে একি! একি! তারপর কণ্ঠ। সেখানে যখন মনের বাস হয়, তখন কেবল ঈশ্বরীয় কথা কহিতে ও শুনিতে ইচ্ছা হয়। কপালে—ভ্রূমধ্যে—মন গেলে তখন সচ্চিদানন্দরূপে দর্শন হয়, সেই রূপের সঙ্গে আলিঙ্গন স্পর্শন করতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু পারে না। লণ্ঠনের ভিতর আলো দর্শন হয় কিন্তু স্পর্শ হয় না; ছুঁই ছুঁই বোধ হয়, কিন্তু ছোঁয়া যায় না। সপ্তমভূমিতে মন যখন যায়, তখন অহং আর থাকে না—সমাধি হয়।”

    বিজয়—সেখানে পৌঁছিবার পর যখন ব্রহ্মজ্ঞান হয়, মানুষ কি দেখে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সপ্তমভূমিতে মন পৌঁছিলে কি হয় মুখে বলা যায় না।

    জাহাজ একবার কালাপানিতে গেলে আর ফিরে না। জাহাজের খপর পাওয়া যায় না। সমুদ্রের খপরও জাহাজের কাছে পাওয়া যায় না।

    নুনের ছবি সমুদ্র মাপতে গিছিল। কিন্তু যাই নেমেছে, অমনি গলে গেছে! সমুদ্র কত গভীর কে খপর দিবেক? যে দিবে, সে মিশে গেছে। সপ্তমভূমিতে মনের নাশ হয়, সমাধি হয়। কি বোধ হয়, মুখে বলা (Kathamrita) যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘উৎসব মন্তব্য’-এর তীব্র বিরোধিতা (RG Kar) করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। গতকালই মমতার এমন মন্তব্যের জেরে ফুঁসছে রাজ্যের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। এবার এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের নেতাদের (West Bengal BJP) গলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ কি ওঁর দলের চাকর বাকর নাকি! উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবে?’’

    উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে উৎসব পালন করবেন

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্তর বক্তব্য, ‘‘গোটা বাংলা ভারাক্রান্ত (RG Kar)। জীবনে কখনও যে মা মিছিলে হাঁটেননি, তিনিও পথে। নির্যাতিতাকে সকলে কন্যা, মা, সহোদরা মনে করে আন্দোলনে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমব্যথী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সমবেদনা জানানোর। তা না করে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে তিনি মানুষকে পুজোর আনন্দে মাততে বলছেন! এটা নিন্দনীয়।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘বাংলার মানুষ এই উৎসব মন খারাপ নিয়েই পালন করবে। দেবী দুর্গা আসেন, উমাকে নিজের ঘরের মেয়ের মত বরণ করি আমরা। এবার বাঙালি মন খারাপ করেই পালন করবেন পুজো। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আনন্দ উচ্ছ্বাস হয়েছে। উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে পালন করবেন কোনও অসুবিধা নেই।’’

    মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শমীক ভট্টাচার্যের

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির (West Bengal BJP) রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এই কথায় স্বৈরাচারীর স্বর রয়েছে। উৎসব তো হয় মনের আনন্দে। মনে আনন্দ থাকলে (RG Kar) তবেই তো উৎসব। উনি তো মানুষের আনন্দটাই কেড়ে নিয়েছেন। তাই মানুষই মানুষের পথ ঠিক করবে।’’ শমীক ভট্টাচার্যের আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দলের নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরাও বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন।

    মমতার মন্তব্যকে ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের একজনের কথায়, ‘‘আমরা সেদিনই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করব, সেদিনই দেবী দুর্গাকে আহ্বান করতে পারব যেদিন আমাদের অভয়া বিচার পাবে। তাঁর আগে আমাদের কোনও উচ্ছ্বাস নেই।’’ আরেক আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘খুবই দুঃখজনক। আমরা এই বক্তব্যকে ধিক্কার জানাই। যেখানে সারা বিশ্ব জাস্টিসের দাবিতে কথা বলছে, আর উনি খেলা-মেলা-উৎসব দিয়ে মানুষকে ভোলাতে চাইছেন। আর কিছু বলার ভাষা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) ইসুতে ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্য আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ঠিক এই আবহে আজ মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত অভিযানের (Swasthya Bhawan Rally) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত ৯ অগাস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তীব্র আন্দোলন তৈরি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচারের দাবিতে তাঁরা পথে নেমেছেন। এর আগে লালবাজারের অভিযানও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সামনে ১ মাস ধরেই চলছে লাগাতার অবস্থান।

    মমতা সরকার দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা (RG Kar) 

    প্রসঙ্গত, সোমবার জেনারেল বডির বৈঠকের পরে রাত ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar) জানিয়ে দেন, তাঁরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেই দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদি আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার (সুপ্রিম কোর্ট সেই ডেডলাইন দিয়েছে) মধ্যে রাজ্য সরকার তাঁদের (জুনিয়র ডাক্তারদের) দাবি মেনে নেয়, তবেই কর্মবিরতি (Swasthya Bhawan Rally) তোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। প্রসঙ্গত আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চাইলেন তাঁরা।

    জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথম থেকে যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন

    পাঁচ দফা দাবিগুলি হল— 

    ১) আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

    ২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যাঁরা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। 

    ৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। 

    ৪) রাজ্যের (RG Kar) সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    ৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘টাকার কথা বলিনি’ মন্তব্য মমতার, ‘মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী,’ প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘টাকার কথা বলিনি’ মন্তব্য মমতার, ‘মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী,’ প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার না চেয়ে উৎসবে ফিরতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় ফুঁসছে রাজ্য। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন পুজোর অনুদান দেন বলে মুখ্যমন্ত্রী এমন ঔদ্ধত্যের কথা বলতে পারেন না। অন্যদিকে টাকার কথা বলিনি, মমতার এমন মন্তব্যে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যাবাদী বলে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন দুটি ভিডিও। একটিতে মমতা দাবি করছেন ১০ লাখ টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে চেয়েছিলাম। অন্যটিতে মমতার দাবি, কোনও টাকার কথা বলেননি তিনি। এই দুটো ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘বাঙালির দুর্ভাগ্য, আপনার মতো একজন মিথ্যাবাদী, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন। আর কতো মিথ্যে কথা বলবেন আপনি, এবার থামুন।’’

    নিজের আগের বক্তব্যই অস্বীকার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখে বোঝাই যাচ্ছে পুরোপুরি নিজের আগের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের আগের বক্তব্যই অস্বীকার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    আপনি কি জনগণকে হাতের (RG kar Issue) পুতুল পেয়েছেন?

    সোমবার এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘মাননীয়া, আপনি কি জনগণকে হাতের পুতুল পেয়েছেন? আপনি উঠতে বললে উঠবে, বসতে বললে বসবে, উৎসবে মেতে উঠতে বললে মেতে উঠবে, আন্দোলন বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেবে। এখনও তো দেবী পক্ষের সূচনা হয়নি, অসুরের বিনাশ বাকি রয়েছে। একটু ধৈর্য ধরুন, মাতৃশক্তি জাগ্রত (RG kar Issue) হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে স্বচ্ছ করেই ছাড়বেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নির্যাতিতার গবেষণাপত্র। এই গবেষণার বিষয়ে জানতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মৃতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতার ওই গবেষণাপত্র জোর করে অন্যজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তদন্তকারীরা জানতে চেষ্টা করছেন সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত! প্রসঙ্গত নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাঁদের জমা (RG Kar) দিতে হয়। ওই পেপারটি জমা দেওয়ার নিয়ম থার্ড ইয়ারে। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সহকারী অধ্যাপককে জানাতে হয় থিসিস লেখার বিষয়টি এবং লিখিত আকারে তা এথিক্স কমিটিতে পাঠানো হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুরু করা যায় মূল গবেষণা। নির্যাতিতার এক বন্ধু ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার থিসিস পেপারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তা হাত বদল করে দেওয়া হয় এবং জোর করে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    ওই অধ্যাপক ও জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়

    ওই থিসিস পেপার অন্য একজনকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক। যাঁকে ওই থিসিস পেপার দেওয়া হয়েছিল এবং ওই অধ্যাপক- দুজনেই এখন সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় (CBI)। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এখানেই বারবার সন্দেহ দানা বাঁধছে যে জোর করে থিসিস পেপার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হল সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত? মৃতার এক বিশেষ বন্ধুর বলছেন, ‘‘প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। নানা দিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, সেটা তদন্ত করে বার করা হোক।’’

    কী বলছেন মৃতার বাবা

    মৃতার বাবা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সন্দেহজনক কিছু দেখেছি কি না। মেয়ে কিছু বলত কি না। একটাই বিষয় আমাদের ভাবাচ্ছে। মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার (RG Kar) অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজিটিং প্রফেসর)। মেয়েকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। প্রথমে কিছু মনে হয়নি। আমার মেয়ে পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিল, তাতে নতুন পেপার করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হতে পারে? তবে কি কারও নিশানায় পড়ে গিয়েছিল মেয়ে?’’

    ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা (RG Kar)

    নির্যাতিতার অন্য এক বন্ধুর দাবি, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ওর গবেষণাপত্রের। এর মধ্যে হঠাৎ ওকে (মৃতাকে) ডেকে বলা হয়, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। এই বিষয়টা ভালো, ওকে (মৃতা যে বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, সেই বর্ষেরই আর এক জনের নাম করে) দিয়ে দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিল ও (মৃতা)।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিনিয়রদের অনেক গবেষণাপত্র নিয়ে একটু অদলবদল করে কাজ চালিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এক জনের নিজস্ব ভাবনা অন্য এক জনকে দিয়ে দেওয়ার এই ব্যাপার আগে দেখিনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    Manipur Violence: উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তি ফেরাতে হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। সেপ্টেম্বর মাসে এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এই আবহে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা (ইউনিফায়েড কমান্ড) দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। এদিনই সব বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি, সেখানেই এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন 

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শান্তি ফেরাতে এই রাজ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীই মণিপুরে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছে। গতকাল রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তারপরেই বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান তিনি। তাঁর যুক্তি, কুকিরা মেইতেইদের উপরে যে আক্রমণ গত কয়েক দিন ধরে চালাচ্ছে, তা শক্ত হাতে দমন করা প্রয়োজন।

    সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা অশান্ত হয়ে ওঠে

    অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি ডেরার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে মণিপুর (Manipur Violence) পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গা। এই দুই জায়গাতেই ড্রোন হামলার অভিযোগ ওঠে কুকিদের বিরুদ্ধে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী (Manipur Violence) অধ্যুষিত এলাকায়।

    মেইতেইরা দাবি করছে কুকিরা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর পাশাপাশি কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে মণিপুরের পুলিশ। অন্যদিকে, কুকিদের পাল্টা দাবি, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে। শনিবারই জিরিবামে গুলির লড়াইয়ে মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। 

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: বিকেলের মধ্যে সিআইএসএফ-এর থাকার সমস্যা মেটাতে হবে, রাজ্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল আরজি করে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো করেনি রাজ্য, এমন অভিযোগ তোলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবারই আরজি কর মামলার শুনানিতে, বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে সিআইএসএফ জওয়ানদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন এও জানিয়েছে, সিআইএসএফের আরও যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগবে তা রাত্রি ন’টার মধ্যে বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে রাজ্যকে এবং রাজ্যের দুজন অফিসার এই গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন।

    সম্প্রীতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দাখিল করে

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে জানায় যে, সিআইএসএফের জওয়ানদের নানা অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে আরজি করে। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা সঠিকভাবে করছে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এও জানায়, শীর্ষ আদালতে নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের এমন আচরণ আসলে আদালত অবমাননা। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Mpox in India: দেশে বাড়ছে উদ্বেগ! এমপক্স নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ৮ তারিখে ভারতে প্রথম সন্দেহভাজন এমপক্স আক্রান্তের হদিশ (Mpox in India) মিলেছে। এর পরেই রাজ্যগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা (Centre Issues Advisory) জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যকে তা পালন করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যদিও কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ যথাযথ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে আছে দেশে এমপক্সের মোকাবিলায়। সম্প্রতি সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স (Mpox in India) সংক্রমণের শিকার হয়ে এক পুরুষ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখনও তবে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি (Centre Issues Advisory) যে ওই রোগী কোন দেশ থেকে এসেছেন বা কীভাবে তিনি সংক্রমণিত  হয়েছেন!

    ১২০টি দেশে মিলেছে ভাইরাসের সন্ধান (Suspected Mpox Case)

    এমপক্স-এর (Mpox in India) নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘ক্লেড ১বি’, প্রথম কঙ্গোতে হদিশ মেলে এই ভ্যারিয়েন্টের। গত ১৪ অগাস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বজুড়ে। ১২০টিরও বেশি দেশে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের অগাস্ট পর্যন্ত  এমপক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলিছে। জানা গিয়েছে, ১ লাখের বেশি রোগীর (Mpox in India) শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের, একথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Centre Issues Advisory)।

    কীভাবে ছড়ায় সংক্রমণ (Suspected Mpox Case)

    ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়

    সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ বা গলা থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস

    সংক্রামিত কোনও প্রাণীর সংস্পর্শে এলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

    সংক্রামিত রোগীর পোশাকের মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।

    কেন মাঙ্কিপক্সকে (Mpox in India) এমপক্স বলা হয়?

    এই অসুখের কথা বিজ্ঞানীরা প্রথম বলেন ১৯৫৮ সালে। সেই বছর গবেষণাগারে বাঁদরের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল বলে জানা যায়। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ক্রমে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বাঁদরের মধ্যে এই রোগ প্রথম চিহ্নিত হওয়ার নাম দেওয়া হয় ‘মাঙ্কিপক্স’ (Mpox in India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    মায়া বা অহং-আবরণ গেলেই মুক্তি বা ঈশ্বরলাভ

    বিজয়—মহাশয়! কেন আমরা এরূপ বদ্ধ হয়ে আছি? কেন ঈশ্বরকে (Kathamrita) দেখতে পাই না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীবের অহংকারই মায়া। এই অহংকার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল। যদি ঈশ্বরের কৃপায় আমি অকর্তা এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।

    এই মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ। সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না—মেঘ সরে গেলেই সূর্যকে দেখা যায়। যদি গুরুর কৃপায় একবার অহংবুদ্ধি যায়, তাহলে ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আড়াই হাত দূরে শ্রীরামচন্দ্র, যিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর (Ramakrishna); মধ্যে সীতারূপিণী মায়া ব্যবধান আছে বলে লক্ষ্মণরূপ জীব সেই ঈশ্বরকে দেখতে পান নাই। এই দেখ, আমি এই গামছাখানা দিয়ে মুখের সামনে আড়াল করছি আর আমায় দেখতে পাচ্ছ না। তবু আমি এত কাছে। সেইরূপ ভগবান সকলের চেয়ে কাছে, তবু এই মায়া-আবরণের দরুন তাঁকে দেখতে পারছ না।

    জীব তো সচ্চিদানন্দস্বরূপ। কিন্তু এই মায়া বা অহংকারে তাদের সব নানা উপাধি হয়ে পড়েছে, আর তারা আপনার স্বরূপ ভুলে গেছে।

    এক-একটি উপাধি হয়, আর জীবের স্বভাব বদলে যায়। যে কালোপেড়ে কাপড় পরে আছে, অমনি দেখবে, তার নিধুর টপ্পার তান এসে জোটে; আর তাস খেলা, বেড়াতে যাবার সময় হাতে ছড়ি (stick) এইসব এসে জোটে। রোগা লোকও যদি বুট জুতা পরে সে অমনি শিস দিতে আরম্ভ করে, সিঁড়ি উঠবার সময় সাহেবদের মতো লাফিয়ে উঠতে থাকে। মানুষের হাতে যদি কলম থাকে, এমনি কলমের গুণ যে, সে অমনি একটা কাগজ-টাগজ পেলেই তার উপর ফ্যাসফ্যাস করে টান দিতে থাকবে।

    টাকাও একটি বিলক্ষণ উপাধি। টাকা হলেই মানুষ আর-একরকম হয়ে যায়, সে মানুষ থাকে না।

    এখানে একজন ব্রাহ্মণ আসা-যাওয়া করত। সে বাহিরে বেশ বিনয়ী ছিল। কিছুদিন পরে আমরা কোন্নগরে গেছলুম। হৃদে সঙ্গে ছিল। নৌকা থেকে যাই নামছি, দেখি সেই ব্রাহ্মণ গঙ্গার ধারে বসে আছে। বোধ হয়, হাওয়া খাচ্ছিল। আমাদের দেখে বলছে, কি ঠাকুর (Ramakrishna)! বলি—আছ কেমন? তার কথার স্বর শুনে আমি হৃদেকে বললাম, ওরে হৃদে! এ লোকটার টাকা হয়েছে, তাই এইরকম কথা। হৃদে হাসতে লাগল।

    একটা ব্যাঙের একটা টাকা ছিল। গর্তে তার টাকাটা ছিল। একটা হাতি সেই গর্ত ডিঙিয়ে গিছিল। তখন ব্যাঙটা বেরিয়ে এসে খুব রাগ করে হাতিকে লাথি দেখাতে লাগল। আর বললে (Kathamrita), তোর এত বড় সাধ্য যে, আমায় ডিঙিয়ে যাস! টাকার এত অহংকার।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share