Tag: madhyom news

madhyom news

  • Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    Unified Lending Interface: সহজেই মিলবে ঋণ! ইউপিআইয়ের পর আসছে ইউএলআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছে। দুনিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এখন ইউপিআইয়ের সুবিধা মেলে। এই সিস্টেমের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ে আসছে ইউএলআই (Unified Lending Interface)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নিজে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে এই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। এই নতুন পরিষেবায় সহজেই মিলবে ঋণ।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (Unified Lending Interface) আসলে কী?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বেঙ্গালুরুতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ইমার্জিং টেকনোলজিস সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কী, তা খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ভাষণ অনুযায়ী, আরবিআই সমস্যামুক্ত ঋণের জন্য ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের একটি পাইলট প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী ঋণ অনুমোদন ব্যবস্থাকে সুবিন্যস্ত করা হবে যাতে খুব অল্প সময়ে মানুষকে ঋণ দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে স্বল্প পরিমাণের ঋণগ্রহীতাদের অনেক উপকার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস  (Unified Lending Interface) কবে আসছে বাজারে

    আরবিআই গভর্নর ইউনিফাইড লেন্ডিং ইন্টারফেস চালু হওয়ার বিষয়ে বলেন, শীঘ্রই সারা দেশে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস (ইউএলআই) চালু করা হবে। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ইউপিআই পেমেন্ট সিস্টেম যেভাবে পুরো ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, একইভাবে ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস ভারতের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন 

    শক্তিকান্ত দাস আরও জানিয়েছেন- এই প্ল্যাটফর্মে একাধিক ডেটা প্রদানকারীর সঙ্গে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও বিভিন্ন রাজ্যের জমির রেকর্ড থাকবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও গ্রামীণ এলাকায় সহজে এবং কম সময়ে ঋণ দেওয়া যাবে। ঋণগ্রহীতারা ক্রেডিট নির্বিঘ্নে ডেলিভারি পাবেন এবং বেশি ডকুমেন্টেশন বা অন্যান্য জটিল প্রক্রিয়া  থেকে মুক্তি পাবেন। আরবিআই গভর্নর বলেছেন, ‘‘ইউনিফায়েড লেন্ডিং ইন্টারফেস সেই সব সেক্টরকে উপকৃত করবে যেখানে এখনও ঋণের চাহিদা মেটানো হয়নি। বিশেষ করে কৃষি ও এমএসএসই সেক্টরের যাঁরা ঋণ নিতে চান তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল। আর ঠিক তার পরেই রাতের ভেজানো ছোলা। এই খাবার খেয়েই কি দিন শুরু করেন? তাহলে কিন্তু একাধিক রোগকে সহজেই কাবু করা সম্ভব! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার উপরে খালি পেটে ভেজা ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত ভিজে ছোলা খেলে কোন রোগকে কাবু করা সম্ভব?

    স্থূলতা কাবু সহজেই (Chickpeas Benefits)

    সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা খেলে স্থূলতা সহজেই কাবু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। পাশপাশি ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই অল্প পরিমাণ ছোলা খেলেও পেট ভরে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে (Empty Stomach)। স্থূলতার সমস্যাকেও সহজেই এড়ানো যায়।

    কাবু ডায়াবেটিসও

    ছোলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এর জেরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর জেরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ যেমন কমে, তেমনি ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে তাঁদের সহজেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মহিলাদের আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়‌। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আয়রনের ঘাটতির জেরে কার্যক্ষমতাও কমে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে (Empty Stomach) আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্যোজাতের মায়েরা নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন‌। অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Chickpeas Benefits)

    ভেজানো ছোলা সকালে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হজমের গোলমালের জেরেই অধিকাংশের চুল ও ত্বকের সমস্যা হয়। শরীরে নানান রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। তার ফলেই ত্বকে নানান সমস্যা হয়‌। চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে এই ধরনের সমস্যা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 114: “পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে, মুখে করে খাবার নিয়ে যায়”

    Ramakrishna 114: “পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে, মুখে করে খাবার নিয়ে যায়”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার বলিতেছে, জীব যেন ডাল, জাঁতার ভিতর পড়েছে; পিষে যাবে। তবে যে কটি ডাল খুঁটি ধরে থাকে, তারা পিষে যায় না। তাই খুঁটি অর্থাৎ ঈশ্বরের শরণাগত হতে হয়। তাঁকে ডাক, তাঁর নাম কর তবে মুক্তি। তা না হলে কালরূপ জাঁতায় পিষে যাবে। ঠাকুর আবার গান গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    পাড়িয়ে ভবসাগরে ডুবে মা তনুর তরী।

    মায়া-ঝড় মোহ-তুফান ক্রমে বাড়ে গো শঙ্করী।।

    একে মন-মাঝি আনাড়ি, তাহে ছজন গোঁয়াড় দাঁড়ি;

    কুবাতাসে দিয়ে পাড়ি, হাবুডুবু খেয়ে মরি।

    ভেঙে গেল ভক্তির হাল; ছিঁড়ে পড়ল শ্রদ্ধার পাল,

    তরী হল বানচাল, উপায় কি করি;

    উপায় না দেখি আর, অকিঞ্চন ভেবে সার;

    তরঙ্গে দিয়ে সাঁতার, শ্রীদুর্গানামের ভেলা ধরি।।

    বিশ্বাসবাবু অনেকক্ষুণ বাসিয়াছিলেন, এখন উঠিয়া গেলেন। তাঁহার অনেক টাকা ছিল, কিন্তু চরিত্র মলিন হওয়াতে সমস্ত উড়িয়া গিয়েছে। এখন পরিবার, কন্যা প্রভৃতি কাহাকেও দেখেন না। বলরাম তাঁহার কথা পাড়াতে ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন (Kathamrita), ওটা লক্ষ্মীছাড়া দারিদ্দির। গৃহস্থের কর্তব্য আছে, ঋণ আছে, দেব-ঋণ, পিতৃ-ঋণ, ঋষি-ঋণ আবার পরিবারদের সমন্ধে ঋণ আছে। সতী স্ত্রী হলে তাকে প্রতিপালন; সন্তানদিগকে প্রতিপালন যতদিন না লায়েক হয়।

    সাধুই কেবল সঞ্চয় করবে না। পঞ্জি আউর দরবেশ সঞ্চয় করে না। কিন্তু পাখির ছানা হলে সঞ্চয় করে। ছানার জন্যে মুখে করে খাবার নিয়ে যায়।

    বলরাম—এখন বিশ্বাসের সাধুসঙ্গ করবার ইচ্ছা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—সাধুর কমণ্ডলু চারধামে ঘুরে আসে, কিন্তু যেমন তেতো তেমনি তেতো থাকে। মলয়ের হাওয়া যে গাছে লাগে, সে—সব চন্দন হয়ে যায়! শিমুল, অশ্বথ, আমড়া এরা চন্দন হয় না। কেউ কেউ সাধুসঙ্গ করে গাঁজা খাবার জন্য। (হাস্য) সাধুরা গাঁজা খায় কিনা, তাই তাদের কাছে এসে বসে গাঁজা সেজে দেয় আর প্রসাদ পায়। (সকলের হাস্য)

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    VHP: ৬০ বছর আগে জন্মাষ্টমীতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জানুন এই সংগঠনের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের কোটি কোটি হিন্দুর আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আপামর হিন্দু সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছে এই সংগঠন। আজ জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট তিথি ছিল জন্মাষ্টমীর (Janmasthami)। সেই দিনই মুম্বইতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিবরাও গোলওয়ালকরের প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)।

    ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এই সংগঠন

    বর্তমানে এই সংগঠন ভারত ছাড়াও বিদেশেও কাজ করছে হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার জন্য। জানা যায়, ৫০টিরও বেশি দেশে রয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা (VHP)। রাম মন্দির আন্দোলনে বিপুল সফলতা লাভ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এরপর থেকেই এই সংগঠন গোহত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, লাভ জিহাদ- এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়। হিন্দু সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করতে আন্দোলনও গড়ে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখনও পর্যন্ত ৬৩ লাখ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছে এবং সনাতন ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে চলে গিয়েছিলেন সেই রকম ৯ লাখ ব্যক্তিকে তাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন।

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)

    ১৯৬৪ সালের ২৯ অগাস্ট মুম্বইয়ে অবস্থিত স্বামী চিন্ময়ানন্দ মহারাজের আশ্রমে একটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ, স্বামী তুকডোজি মহারাজ, শিখ নেতা মাস্টার তারা সিং, জৈন নেতা সুশীল মুনি, গীতা প্রেসের হনুমান প্রসাদ পোদ্দার এবং শ্রী গুরুজি (দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক)। জানা যায়, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রতিনিধিও।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) প্রথম বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালের কুম্ভ মেলাতে। সংগঠনের পুরনো নেতারা বলেন, সে বছর কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানুয়ারি মাসের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। জানা যায়, ওই সম্মেলনে ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু ভারত থেকেই নয়,  অন্যান্য ১২টি দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে তিনশোর বেশি খ্যাতনামা সন্ন্যাসীও ছিলেন। ওই সম্মেলনের মাধ্যমেই ‘ঘর ওয়াপসি’ ভাবনাও গ্রহণ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে যাঁরা অন্য ধর্মে গিয়েছেন, তাঁদেরকে পুনরায় সনাতনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার যে প্রক্রিয়া, তা গ্রহণ করা হয় ১৯৬৬ সালেই। এর পাশাপাশি ধর্মান্তকরণ রোধের বিরুদ্ধেও ওই সম্মেলনে সরব হন সাধুসন্তরা। ১৯৬৬ সালের ওই সম্মেলনেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদের নীতিবাক্য স্থির করে, ‘ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ’। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র থেকে নেওয়া এই সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ হল, ধর্মকে যিনি রক্ষা করেন, ধর্ম তাঁকে রক্ষা করে।

    ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ

    চলতি বছরে জন্মাষ্টমীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ৬০ বছরে পা দিল। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য সফল আন্দোলন তারা দেশ জুড়ে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। হিন্দু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অবদান উল্লেখযোগ্য। হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ প্রথা রোধ করার জন্যও অনেক আন্দোলনই করেছে বা এখনও করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের উদুপিতে বসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ এবং সেখানেই প্রস্তাব নেওয়া হয়, ‘হিন্দবঃ সোদরা সর্বে, ন হিন্দু পতিত ভবেত মম দীক্ষা হিন্দু রক্ষা, মম মন্ত্র সমানতা’- এই মন্ত্রের। অর্থাৎ, সব হিন্দু আমার ভাই, কোনও হিন্দু কখনও পতিত হতে পারে না। হিন্দুকে রক্ষা করাই আমার ধর্ম, সমানতাই আমার মন্ত্র। ওই ধর্ম সংসদে জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। হিন্দু সমাজে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়।

    ১৯৮৪ সালেই রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা, ওই বছরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বজরঙ দল

    ১৯৮২ সালেই অশোক সিঙ্ঘল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে আসেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন সারা দেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ১৯৮৩ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একতা যাত্রা করে, যার লক্ষ্য ছিল গোটা হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা। দেশের হাজার হাজার গ্রামে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রায় ৬ কোটি হিন্দু প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই কর্মসূচিতে। 

    ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে ধর্ম সংসদের আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সেখানে ১২৫টি সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন সাধুরা অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরেরই ৮ অক্টোবর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির আন্দোলনের ঘোষণা করে এবং সেদিনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরঙ দল স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। এক লাখেরও বেশি প্রকল্প চলছে সারা দেশ জুড়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নামে। যার মধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১,৮০০-এর বেশি স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং দেড় হাজারেরও বেশি আত্মনির্ভর কেন্দ্র চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Bengal BJP: দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, আরজি কর ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG kar Issue) প্রতিবাদে প্রথম থেকেই আন্দোলনে রয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিক্ষোভ-ধর্নার পাশাপাশি গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা বিধাননগর। শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্না তো চলছেই। সেখান থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের পর এবার ধর্মতলায় ধর্না কর্মসূচি চালাবে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের কথায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না চলবে।’’

    মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে 

    রবিবার বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করেন, ২৮ অগাস্ট মহিলা কমিশনের অফিসে দুপুর ২টো নাগাদ তালা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মহিলারাই নেতৃত্বে থাকবেন তাতে। সুকান্ত মজুমদার এবিষয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছি। না দিলে আদালতে যাব। মহিলা কমিশনে তালা লাগানো হবে।’’ এর পাশাপাশি, ২৯ অগাস্ট সব জেলার জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ব্লকে ব্লকে অবস্থান, পথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা

    এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে একদিনের অবস্থান বিক্ষোভ করবেন বিজেপির (Bengal BJP) কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি মণ্ডলে (বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয়, একটি জেলাপরিষদের আসন অনুযায়ী মণ্ডল গঠিত হয়) এক ঘণ্টা ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলবে আরজি কর ইস্যুতে। জানা যাচ্ছে, এই এক ঘণ্টা একটি গাড়িও বিজেপি চলতে দেবে না। একইসঙ্গে, আজ সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অভয়ার বিচার (RG kar Issue) প্রার্থনায় প্রত্যেক বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে, রাস্তার সামনে সাধারণ মানুষকে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিয়েছে বিজেপি (Bengal BJP)।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের আবহে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে (Crimes Against Women) কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘নারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি আবার সব রাজ্য সরকারকে বলব নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। যারাই দোষী তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে মহিলাদের অত্যাচার করে এবং যে তাকে বাঁচায়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। হাসপাতাল হোক বা থানা, যেখানেই গাফিলতি, সেখানেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে

    এদিন ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘নাবালকদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনায় নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজার জায়গা রয়েছে। এর আগে বিয়ের নাম করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলেও এই অপরাধের জন্য আলাদা করে কোনও আইন ছিল না। এখন বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে।’’

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের অপরাধগুলি মোকাবিলা করতে বিএনএস-এ অনেক সংশোধনী এনেছে।’’ মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘‘সমাজ এবং প্রতিটি সরকারের কর্তব্যই হল মহিলাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করা। আমরা কঠোর আইন এনেছি। মহিলাদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ (Crimes Against Women) করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    ই-এফআইআর চালু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু হওয়াতে বিচার ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। এখন সহজেই অভিযোগ দায়ের করা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রায় অভিযোগ আসত যে এফআইআর দায়ের হয়নি কিন্তু আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এনেছি এবং আগের ব্যবস্থার অনেকটাই সংশোধন করেছি। এখন কোনও মহিলা যদি থানায় নাও যেতে চান তবে তিনি ই-এফআইআর দায়ের করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি ই-এফআইআর বদলাতে পারেন না।’’

    তাঁর সরকারের লক্ষ্য মহিলা সশক্তিকরণ

    বিগত ১০ বছর ধরে তাঁর সরকার মহিলাদের উন্নতি ও সশক্তিকরণে নানা কাজ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে আগের যে সমস্ত সরকার মহিলাদের জন্য যা কাজ করেছে গত ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়েছে।’’ এ বিষয়ের রীতিমত তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোদি এবং তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে তাতে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম ঋণ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিগত ১০ বছরে সরকার ঋণ দিয়েছে ৯ লাখ কোটি টাকা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    Israel: আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইরান সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লার (Hezbollah) কয়েক ডজন ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালাল ইজরায়েলের (Israel) সেনা। জানা গিয়েছে, রবিবার ১০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান লেবাননে এই অপারেশন চালিয়েছে। পাল্টা হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে ৩২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবর। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে যে তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা। প্রসঙ্গত এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে নেতানিয়াহুর সরকার সে দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।

    আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি, বিবৃতি নেতানিয়াহুর (Israel)

    এর পাশাপাশি সে দেশের (Israel) রাষ্ট্রপ্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত কিছু পদক্ষেপ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইজরায়েলের উত্তর দিকের বাসিন্দাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের যারা ক্ষতি করে, আমরা তাদেরও ক্ষতি করি।’’ অন্যদিকে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি হাজার হাজার হিজবুল্লার রকেট লঞ্চারকে ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।

    ইজরায়েলের (Israel) আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

    অন্যদিকে ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার জঙ্গিগোষ্ঠীর এই সংঘাতের মাঝে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও সামনে এসেছে। মার্কিন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইজরায়েল-লেবাননের সংঘাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন। স্যাভেট আরও জানিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সর্বক্ষণ জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এর পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ইজরায়েলের প্রতিপক্ষ হিজবুল্লার (Hezbollah) সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট আরও জানিয়েছে যে ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে তারা সর্বদাই সমর্থন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করের ঘটনাকে ছোট করে দেখানোর অভিযোগ, সিব্বলের বিরুদ্ধে খেপে লাল আইনজীবীরা

    RG Kar: আরজি করের ঘটনাকে ছোট করে দেখানোর অভিযোগ, সিব্বলের বিরুদ্ধে খেপে লাল আইনজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাতে এবার আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সিব্বলকে (Kapil Sibal)। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিব্বল এবার অনাস্থার মুখোমুখিও হতে পারেন, এমনটাই মনে করছেন কেউ কেউ। তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের লেটার হেড ব্যবহার করে তিনি নিজের ব্যক্তিগত মন্তব্য লিখেছেন বলে অভিযোগ। আরজি কর কাণ্ডকে (RG Kar) ছোট ঘটনা হিসেবে দেখানোর অভিযোগও উঠেছে সিব্বলের বিরুদ্ধে।

    একতরফা এই বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সিব্বল (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, গত ২১ অগাস্ট আরজি করের ঘটনা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন সিব্বল। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট যে পদক্ষেপ করেছে, তা ঐতিহাসিক। তাঁর আরও মত হল, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যা হয়েছে, তা অস্থির পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। আশা করি ন্যায়বিচার পাবেন নির্যাতিতা। শাস্তি হবে অভিযুক্তের।’ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের অভিযোগ, আরজি করের ঘটনা নিয়ে কোনও সদস্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফা এই বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সিব্বল। বার অ্যাসোসিয়েশনের লেটার হেড ব্যবহার করে কেন তিনি নিজের বক্তব্য প্রকাশ করলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    ক্ষমা চাইতে হবে কপিল সিব্বলকে, দাবি আইনজীবীদের

    আইনজীবীদের দাবি, সিব্বলের (Kapil Sibal) ওই বিবৃতিতে আরজি করের (RG Kar) ধর্ষণকাণ্ডকে দেশের অন্যান্য প্রান্তের নারী নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে একই সরলরেখায় রাখা হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের আরও বক্তব্য, আরজি কর কাণ্ড শুধুমাত্র চিকিৎসকদের উদ্বেগের বিষয় নয়, দেশের প্রতিটি বাবা-মা, এমনকী বার অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যেরও উদ্বেগের কারণ। কিন্তু সিব্বলের এই বিবৃতি সেই ঘটনাকে ছোট করেছে বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। একাধিক প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে সিব্বলের অবস্থান নিয়ে। এই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী হিসেবে লড়ছেন সিব্বল, অন্যদিকে বিবৃতি দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিও জানাচ্ছেন তিনি। এতে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. আদিশ সি আগরওয়াল ইতিমধ্যে এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিব্বলকে তাঁর বিবৃতি প্রত্যাহার করতে হবে ও বারের সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে সিব্বলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: ৮ দিন পেরিয়ে ৮ মাস! সুনীতারা পৃথিবীতে ফিরবেন ফেব্রুয়ারিতে, জানাল নাসা

    Sunita Williams: ৮ দিন পেরিয়ে ৮ মাস! সুনীতারা পৃথিবীতে ফিরবেন ফেব্রুয়ারিতে, জানাল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট দিনের মহাকাশ সফরে গিয়েছিলেন বুচ উইলমোর ও সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কিন্তু ৮ দিন এবার বেড়ে দাঁড়াল ৮ মাসে। ফেব্রুয়ারির আগে তাঁরা ফিরতে পারবেন না পৃথিবীতে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেন দুই নভোচর। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে মহাকাশেই আটকে রয়েছেন নাসার (NASA) বুচ উইলমোর ও সুনীতা উইলিয়ামস। গতকাল শনিবারই নাসার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে দুই মহাকাশচারীকে বাদ দিয়েই পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্টারলাইনার স্পেসক্রাফ্ট। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীতে ফিরবেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোর। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে নাসা।

    বিপত্তির কারণ

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যান সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোর। কিন্তু সেখানে গিয়েই ফেঁসে যান তাঁরা। নাসা জানিয়েছে, বোয়িং সংস্থার যে মহাকাশযান স্টারলাইনার পাঠানো হয়েছে, তার প্রপালশনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, এই কারণেই তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সমস্যা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মহাকাশ যাত্রার সময়ই ২৮টি থাস্টারের মধ্যে ৫টি ফেল করে এবং হিলিয়াম গ্যাস লিক করতে থাকে। এই অবস্থায় দুই মহাকাশচারীকে নিয়ে ফেরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কারণেই পৃথিবীতে ফাঁকা মহাকাশযানই ফিরিয়ে আনা হবে।

    এখন কী করবেন মহাকাশচারীরা (Sunita Williams)?

    নাসার (NASA) তরফে জানানো হয়েছে, যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে পাঠানো হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে, আপাতত সেই কাজই করবেন তাঁরা। গবেষণার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ ও সিস্টেম টেস্টিং-ও করবেন। বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হল বোয়িং। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার এই সংস্থার তৈরি বিমানের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংস্থার আশা-ভরসা ছিল এই স্টারলাইনার প্রোগ্রাম নিয়ে, তবে তাও ব্যর্থ হল।

    কী জানালেন নাসার আধিকারিক?

    নাসার অন্যতম আধিকারিক বিল নেলসন বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট মহাকাশযানটি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই বুচ এবং সুনীতাকে রেখে চালক ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে বোয়িং এর স্টারলাইনারকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share