Tag: madhyom news

madhyom news

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার একমাস পূর্ণ হল। এদিনই এই মামলার শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম শুনানির (Supreme Court) দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, শুনানি হওয়ার কথা ছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় তা পিছিয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিকে সামনে রেখে ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচি করেন নাগরিকরা।

    রবির রাত জাগল বাংলা

    এদিকে, সোমবার সুপ্রিম শুনানির আগেও বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা। যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেকটাউন, সোদপুর, বারাকপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কোচবিহার সহ সারা রাজ্যে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার শিলিগুড়িতে করা হয় ভোর দখল কর্মসূচি। মর্মান্তিক ঘটনার (Supreme Court) একমাস অতিক্রান্ত হলেও জনগণের প্রতিবাদ যে এতটুকু কমেনি তা এই কর্মসূচিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। কোথাও মশাল, কোথাও মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট, গানে-কবিতায়-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলকাতা থেকে জেলা। বিকেলে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা দুজনে বক্তব্য রাখেন। এখানেই নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই) আর নয়। এ বার স্লোগান হোক ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ (বিচার আমাদের দাবি)।

    সুপ্রিম শুনানির আগের দিন রবিবারের কর্মসূচিগুলি (RG Kar) এক ঝলকে

    কালো বেলুনে প্রতিবাদ

    এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান ডাক্তাররা। এই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মা।

    রিকশা চালকদের প্রতিবাদ

    আরজি করের (RG Kar) বিচার চেয়ে হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত রবিবার মিছিল করেছেন উত্তর কলকাতার টানা রিকশা চালকেরা।

    মৃৎশিল্পীদের প্রতিবাদ

    কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীরাও রঙ তুলি হাতে রবিবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা হেঁটেছেন উত্তর কলকাতার রাস্তায়।

    ১৫ কিমির মানববন্ধন

    সোদপুর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রবিবার রাতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন।

    ফুটবলপ্রেমীদের মিছিল

    ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকেরা উত্তর কলকাতার সিমলা পল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছেন।

    রাস্তায় রঙের মেলা

    নানা রঙে রাস্তায় নানা ছবি এঁকেছেন চিত্রকরেরা। তাঁদের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। এই কর্মসূচি ছিল মূলত দক্ষিণ কলকাতায়।

    রাত ‘দখল’

    রবিবার রাত ১১টার পর থেকে রাতদখল কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছিল। তাতেও বহু সাধারণ মানুষ শামিল হয়েছেন। রাত যত বেড়েছে, প্রতিবাদ তত জোরালো হয়েছে।

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    আমেরিকার আটলান্টা, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া-সহ নানা শহরে প্রতিবাদ হয়েছে। ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টার-সহ নানা শহর ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও পালিত হয়েছে কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরের আদেশ প্রাপ্ত হলে তবে ঠিক আচার্য

    বিজয়—ব্রাহ্মসমাজের কাজ করতে হয়, তাই সদা-সর্বদা আসতে পারি না; সুবিধা হলে আসব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—দেখ, আচার্যের কাজ বড় কঠিন, ঈশ্বরের (Ramakrishna) সাক্ষাৎ আদেশ ব্যতিরেকে লোকশিক্ষা দেওয়া যায় না।

    যদি আদেশ না পেয়ে উপদেশ দাও (Kathamrita), লোকে শুনবে না। সে উপদেশের কোন শক্তি নাই। আগে সাধন করে, বা যে কোনরূপে হোক ঈশ্বরলাভ করতে হয়। তাঁর আদেশ পেয়ে লেকচার দিতে হয়। ও-দেশে একটি পুকুর আছে, নাম হালদার-পুকুর। তার পাড়ে রোজ লোকে বাহ্যে করে রাখত। সকালে যারা ঘাটে আসত তারা তাদের গালাগালি দিয়ে খুব গোলমাল করত। গালাগালে কোন কাজ হত না—আবার তার পরদিন পাড়েতেই বাহ্যে। শেষে কোম্পানীর চাপরাসী এসে নোটিশ টাঙিয়ে দিল যে, এখানে কেউ ওরূপ কাজ করতে পারবে না। যদি করে, শাস্তি হবে। এই নোটিশের পর আর কেউ পাড়ে বাহ্য করত না।

    তাঁর আদেশের পর যেখানে সেখানে আচার্য হওয়া যায় ও লেকচার দেওয়া যায়। যে তাঁর আদেশ পায় (Kathamrita), সে তাঁর কাছ থেকে শক্তি পায়। তখন এই কঠিন আচার্যের কর্ম করতে পারে।

    এক বড় জমিদারের সঙ্গে একজন সামান্য প্রজা বড় আদালতে মোকদ্দমা করেছিল। তখন লোকে বুঝেছিল যে, ওই প্রজার পেছনে একজন বলবান লোক আছে। হয়তো আর-একজন বড় জমিদার তার পেছনে থেকে মোকদ্দমা চালাচ্ছে। মানুষ সামান্য জীব, ঈশ্বরের সাক্ষাৎ শক্তি না পেলে আচার্যের এমন কঠিন কাজ করতে পারে না।

    বিজয়— মহাশয়! ব্রাহ্মসমাজে যে উপদেশাদি হয়, তাতে কি লোকের পরিত্রাণ হয় না?

    সচ্চিদানন্দই গুরু — মুক্তি তিনিই দেন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মানুষের কি সাধ্য অপরকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে। যাঁর এই ভুবনমোহিনী মায়া, তিনিই সেই মায়া থেকে মুক্ত করতে পারেন। সচ্চিদানন্দগুরু বই আর গতি নাই। যারা ঈশ্বরলাভ করে নাই, তাঁর আদেশ পায় নাই, যারা ঈশ্বরের শক্তিতে শক্তিমান হয় নাই, তাদের কি সাধ্য জীবের ভববন্ধন মোচন করে।

    আমি একদিন পঞ্চবটীর কাছ দিয়ে ঝাউতলায় বাহ্যে যাচ্ছিলাম (Kathamrita)। শুনতে পেলুম যে, একটা কোলা ব্যাঙ খুব ডাকছে। বোধ হল সাপে ধরেছে। অনেকক্ষণ পরে যখন ফিরে আসছি, তখনও দেখি, ব্যাঙটা খুব ডাকছে। একবার উঁকি মেরে দেখলুম কি হয়েছে। দেখি, একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে—ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না—ব্যাঙটার যন্ত্রণা ঘুচছে না। তখন ভাবলাম, ওরে! যদি জাতসাপে ধরত, তিন ডাকের পর ব্যাঙটা চুপ হয়ে যেত। এ-একটা ঢোঁড়ায় ধরেছে কি না, তাই সাপটারও যন্ত্রণা, ব্যাঙটারও যন্ত্রণা!

    যদি সদ্‌গুরু (Ramakrishna) হয়, জীবের অহংকার তিন ডাকে ঘুচে। গুরু কাঁচা হলে গুরুরও যন্ত্রণা, শিষ্যেরও যন্ত্রণা! শিষ্যেরও অহংকার আর ঘুচে না, সংসারবন্ধন আর কাটে না। কাঁচা গুরুর পাল্লায় পড়লে শিষ্য মুক্ত হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনই শিবপুজো ভক্তি সহকারে করা যায়। তবে সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) আরাধনার বিশেষ দিন। শিবপুজোর পাশাপাশি মহাদেবের বিভিন্ন স্তোত্র পাঠ করলেও মেলে বিশেষ ফল, এমনটাই বলছেন পণ্ডিতরা। শিবের বিভিন্ন স্তোত্রের মধ্যে অন্যতম হল শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra), পৌরাণিক মতে যা রচনা করেছিলেন রাবণ। কিংবদন্তি অনুসারে, লঙ্কাধিপতি রাবণ অসুরকুলের হলেও, তিনি ছিলেন প্রচণ্ড জ্ঞানী ও শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত। শিবকে প্রসন্ন করার জন্য তিনিই রচনা করেছিলেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র। ভক্তদের বিশ্বাস, শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠ করা হলে স্বয়ং মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, সোমবার শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়।  শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। জেনে নিন কীভাবে পাঠ করবেন এই মন্ত্র। এই স্তোত্র পাঠে কী কী ফল মেলে, তাও জানুন।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ অনুযায়ী, লঙ্কার রাজা রাবণ শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। শিবের উদ্দেশে একটি বিশেষ স্তুতি স্বরূপ এই শিব তাণ্ডব স্তোত্র রচনা করেন রাবণ। এই স্তোত্রটি বিবিধ অলংকারে সমৃদ্ধ। ছন্দের মালা দিয়েই তৈরি হয়েছে এই মন্ত্র। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রাবণ শিব কৈলাশ পর্বত তুলে লঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিলে, ভগবান শিব নিজের পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে কৈলাশ পর্বতকে চেপে দেন। যার ফলে রাবণের হাত কৈলাশ পর্বতে চাপা পড়ে যায়। তখনই শিবকে প্রসন্ন করার জন্য স্তুতি লেখেন রাবণ। এই স্তুতিটিই শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) নামে প্রসিদ্ধ। আর যে স্থানে রাবণ চাপা পড়েছিল, সেটি রাক্ষস তাল নামে পরিচিত হয়ে রয়েছে। তাণ্ডব শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল তণ্ডুল, সহজ বাংলায় লাফানো। শাস্ত্র মতে, তাণ্ডব নৃত্য শুধুমাত্র পুরুষরাই করতে পারেন। স্ত্রীদের তাণ্ডব নৃত্য করা নিষিদ্ধ। শিব তাণ্ডব স্তোত্র নেচে নেচে পাঠ করা সর্বোত্তম বলেই মনে করেন শাস্ত্র বিশারদরা।

    কখন পাঠ করবেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra)?

    পরিবারের কোনও সদস্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি না-পেলে, সমস্ত ধরনের তন্ত্র-মন্ত্রে বাধা দিলে, শত্রু সমস্যায় ফেললে আবার আর্থিক ও রোজগার সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। এ ছাড়াও বিশেষ মনস্কামনা পূরণ বা গ্রহ দোষ সমাপ্ত করার ইচ্ছা থাকলেও এই স্তোত্র পাঠ করা যেতে পারে।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠের নিয়ম

    শাস্ত্র মতে সকাল বেলা হল আদর্শ সময় শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার ক্ষেত্রে, তবে সন্ধ্যাতেও করা যায়। এই স্তোত্র পাঠ করার আগে শিবকে প্রণাম করুন। তার পর ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য অর্পণ করে তাঁর পুজো করুন। এর পর সুর করে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করবেন। আগেই বলা হয়েছে, নৃত্যরত অবস্থায় এই স্তোত্র পাঠ করা সর্বোত্তম। স্তোত্র পাঠ শেষ হলে শিবের (Lord Shiva) ধ্যান ও প্রার্থনা করুন।

    দেবাদিদেবের শক্তি ও সৌন্দর্যের বর্ণনা রয়েছে পুরো শিব তাণ্ডব স্তোত্রে। ইউটিউবে গেলে বিভিন্ন খ্যাতনামা গায়কের কণ্ঠে শিব তাণ্ডব স্তোত্রের ছন্দময় উচ্চারণ শুনতে পাওয়া যায়। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার রীতিও পাবেন এখানে। মনে করা হয়, কোনও ব্যক্তি যদি শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়মিত পাঠ করেন, তাহলে তিনি অভাবনীয় লাভবান হন। তাঁর জীবন থেকে সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায় এবং সংসার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। 

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের পদ্ধতি

    সকালে বা সন্ধ্যায় পাঠ করতে হবে।

    পরিচ্ছন্ন হয়ে পরিষ্কার কাপড় পরে তবেই পাঠ করবেন।

    ভগবান শিবের ছবি বা মূর্তির সামনে প্রণাম করার পর ভগবান শিবের আরাধনা করবেন।

    বসবেন কুশের আসনে। পরনে সাদা কুর্তা ও ধুতি থাকলে ভালো।

    আপনি উচ্চস্বরে এবং শুদ্ধ উচ্চারণেও এই পাঠটি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি শব্দগুলো ভালো করে বুঝে নিন, তারপর সঠিকভাবে উচ্চারণ করে পাঠ করুন।

    পাঠ শেষ হওয়ার পরে, ভগবান শিবের ধ্যান করুন, তারপর দেবাদিদেবের পুজো করার পরে আরতি করুন।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের উপকারিতা

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। মনে করা হয়, প্রতিদিন শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে বাকসিদ্ধ হয় ব্যক্তি।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে কখনই সম্পদের অভাব হয় না। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠে শিব প্রসন্ন হন এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এই স্তোত্র পাঠ করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে শনি, রাহু ও কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি নিয়মিত পাঠ করলে ব্যক্তি রাশিতে সর্প যোগ, কালসর্প যোগ দোষ থেকে মুক্তি পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) রবিবারই নয়া দিল্লিতে আয়োজিত ৪৪ তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ (OCA General Assembly) সভায় বক্তব্য রাখেন। এখানে তিনি নিজের ভাষণে বলেন যে দেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করার জন্য বাজেটে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলি রূপায়ণের জন্যই এই বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সভাপতি। এর পাশাপাশি ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

    ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে পরিকল্পনা অর্থাৎ ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্সের আয়োজন, সে নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং ২০৩৬ সালে অলিম্পিক্সের আয়োজন করতে চেয়েছেন দেশের মাটিতে। আমি বিশ্বাস করি যে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়া, নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছাকে পূরণ করতে কাজ করবে।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের ক্রীড়া ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন কাল থেকেই দেখা যায়। ভারতবর্ষে দাবা খেলার রীতি দেখা যেত। সেই ধারা বর্তমানেও বজায় রয়েছে, আধুনিক ভারতেও বিভিন্ন খেলা দেখা যায়।’’ প্রসঙ্গত ৪৪তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে, ভারতের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রীড়াবিরা হাজির রয়েছেন এখানে। প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার (OCA General Assembly) ভারতীয় শাখার প্রথম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

    বাজেটে তিনগুণ বেশি বরাদ্দ

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলিকেকে রূপায়ণ করতে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যেমন এর মধ্যে নেওয়া হয়েছে, ‘টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং কোচিং সবটাই দেওয়া হচ্ছে। নিজের বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন যে ৫ হাজারেরও বেশি পুরুষ এবং ৩ হাজারেরও বেশি মহিলা বর্তমানে ৩৪টি স্পোর্টস কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’’ নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘খেলার মাধ্যমে শুধুমাত্র যে আমাদের শারীরিক বিকাশ হয় এমনটাই নয়। এর ফলে আমাদের মানসিক উন্নতিও ঘটে এবং সামাজিক সম্প্রীতিও বাড়ে।’’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ভারতে আয়োজিত হচ্ছে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা। এই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং। নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা ধন্যবাদ জানান রণধীর সিংকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

    Manipur: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। এই আবহে শনিবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে ছ’জন মানুষের ফের মৃত্যু হয়েছে অশান্ত মণিপুরে। শনিবারও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছড়ায় স্থানীয় জিরিবান জেলাতে। অন্যদিকে গতকাল শনিবারই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। শুক্রবারে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক প্রবীণের। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই এই হামলার অভিযোগ তুলেছে প্রশাসন (Manipur Violence)। প্রসঙ্গত, ওই বোমা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবামের বাড়ি লক্ষ্য করেই ছোড়া হয়। এই ঘটনায় নিহত হন ওই প্রবীণ ও আহত হন ৬ জন।

    প্রশাসনের সাংবাদিক সম্মেলন (Manipur)

    উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের (Manipur) পুলিশ ইন্টেলিজেন্স-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল কে কাবিল সাংবাদিক বৈঠকে মণিপুরের অবস্থা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সকলকে অবগত করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন, ৯টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২১টি বোমা, বেশ কিছু গ্রেনেড, ওয়্যারলেস উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি মণিপুরে (Manipur) কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর। এ নিয়ে কে কাবির জানিয়েছেন, ড্রোন ধ্বংসকারী ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আর্মির হেলিকপ্টারে করে এলাকায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাবিব। কে কাবিব আরও জানিয়েছেন, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা একেবারে বিষ্ণুপুর, জিরিভাম, ইম্ফল প্রভৃতি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে টহল দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে (Manipur Violence) বলেও তিনি জানিয়েছেন। কারণ বিভিন্ন রকমের উস্কানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করছে জঙ্গিরা।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    PM Modi: প্রতি বছর ৬০ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে মোদির স্বচ্ছ ভারত মিশন, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সূচনা করেন স্বচ্ছ ভারত মিশন। সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদির শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন বছরে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষাটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) অধীনে টয়লেট নির্মাণ এবং ভারতে শিশু মৃত্যু’। এই সমীক্ষাটি করেছেন সুমন চক্রবর্তী, সোয়ার্জ গুনে, টিএমএ ব্রুকনার, জুলি স্ট্রোমিগার এবং পার্বতী সিংরা। এখানেই দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুরু করা এই কর্মসূচি অত্যন্ত সফল এবং তা শিশুদের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

    ব্যতিক্রমী কর্মসূচি বলছে গবেষণা

    নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় স্বচ্ছ ভারতকে একটি ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘এমন মিশনের মাধ্যমে শুধুমাত্র যে মোদি (PM Modi) সরকার টয়লেট নির্মাণ করেছে তাই নয়, এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষাদানও করা হয়েছে এবং খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করলে তা নানা রোগ জীবাণুকে বহন করে- একথাও সচেতনতা মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।’’ সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের জীবনধারাকে পরিবর্তন করতেও বলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সম্মত জীবন পেতে নীরোগভাবে বাঁচতে কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তাও বলা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে।’’ সাম্প্রতিক যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতবর্ষের জেলাগুলিতে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ৩০ শতাংশ পরিবার টয়লেট পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রতি হাজার জন জীবিত শিশুতে মৃত্যুর হার ৫.৩ শতাংশ কমেছে এবং কম বয়সিদের মৃত্যুর হার কমেছে ৬.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করার ফলে নানা রকমের রোগ ছড়াতে পারে। ডায়রিয়ার মত সংক্রমণও দেখা যায় এরফলে, যা মারাত্মক ক্ষতি করে শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।

    ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে মোদি সরকার (PM Modi)

    উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি এদেশে শিশু এবং পাঁচ বছর বয়সের কম বাচ্চাদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। কারণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের (Swachh Bharat Mission) আওতায় দেশজুড়ে গ্রামগুলিতে টয়লেট নির্মাণ শুরু করে মোদি সরকার। ২০১৪ সালের ক্ষমতা আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করতে পেরেছে বলে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষায়। এভাবেই খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করার যে প্রবণতা তা বহু অংশে কমে গিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ৬৪০টি জেলায় স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে।

    সফল স্বচ্ছ ভারত মিশন

    প্রসঙ্গত, প্রতিটি দেশই স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়, কারণ এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে জনস্বাস্থ্যের। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের নানা দিক, স্যানিটেশন নিয়ে অবহেলা করতে দেখা গিয়েছে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর নতুন দিল্লির রাজঘাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, ‘‘২০১৯ সালে যখন ভারত মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে, তখন স্বচ্ছ ভারতই হবে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’ তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। তৃতীয়বার মোদি সরকার তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালে। ১০ বছর আগে তাঁর শুরু করা স্বচ্ছ ভারত মিশন যে সম্পূর্ণ সফল তাতেই সিলমোহর দিল নেচার প্রত্রিকায় প্রকাশিত এই সাম্প্রতিক গবেষণা।

    স্বচ্ছ ভারত মিশনের সূচনা

    ২০১৪ সালের পর থেকে পরিচ্ছন্নতার গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং দিল্লির মন্দির মার্গ থানা এলাকায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আবর্জনা পরিস্কার করতে হাতে ঝাড়ু তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন – ‘‘নোংরা করবেন না, করতে দেবেন না।” তিনি মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করেন – “না গন্দগি করেঙ্গে, না করনে দেঙ্গে।’’ বলিউডের খ্যাতনামা চিত্রতারকা থেকে শুরু করে টেলিভিশনের অভিনেতারা এগিয়ে এসে সেসময় সামিল হন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে। অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, কৈলাশ খের, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা স্বচ্ছ ভারতের প্রচার শুরু করেন। সচিন তেন্ডুলকর, সাইনা নেহওয়াল এবং মেরি কমের মতো বহু বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদও সামিল হন এই মিশনের প্রচারে। ১০ বছরে এই মিশন যে সফল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্ত মণিপুর, গত দু’দিনে নিহত ৬

    Manipur Violence: শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্ত মণিপুর, গত দু’দিনে নিহত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শুক্রবারের পরে শনিবারও ছড়াল হিংসা। গত ২ দিনে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬। শুক্রবারই সে রাজ্যের বিষ্ণুপুরের মইরাং এলাকা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা, এতেই প্রাণ হারান এক প্রবীণ ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বোমা ছোড়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবামের বাড়ি লক্ষ্য করে। অন্যদিকে, এই ঘটনার জেনে শনিবারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করে সরকার। শনিবার সকাল থেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সম্ভাব্য জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়। ধ্বংস করা হয় ৩ জঙ্গি ঘাঁটি। এরই মাঝে ফের অশান্তির খবর আসে। মণিপুরের (Manipur Violence) জিরিবান জেলায় দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে এই খবর মিলেছে।

    গত ১ ও ২ সেপ্টেম্বর ড্রোন হামলায় ২ জন নিহত হন, অভিযোগ কুকিদের বিরুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, গত  ১ এবং ২ সেপ্টেম্বর কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলে জেলায় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হামলায় নিহত হন দু’জন। আহত হত সাত জন। মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায় (Manipur Violence) এই হামলা কুকি জঙ্গিরাই চালায় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বিষ্ণুপুর জেলার মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি এবং চুরাচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলি কুকি জঙ্গিদের ডেরা বলেই দাবি পুলিশের। শনিবার বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর তল্লাশি অভিযানের বিরোধিতা করে কুকি জনগোষ্ঠীর (Manipur Violence) দাবি, পুলিশ এবং মেইতেই জঙ্গিরা সংগঠিত ভাবে এলাকা দখলের অভিযানে নেমেছে।

    অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indonesia: অগ্নুৎপাত থেকে তাঁদের রক্ষা করেন, প্রাচীন গণেশ মূর্তিতে বিশ্বাস এই দেশের ভক্তদের

    Indonesia: অগ্নুৎপাত থেকে তাঁদের রক্ষা করেন, প্রাচীন গণেশ মূর্তিতে বিশ্বাস এই দেশের ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) ব্রোমো পাহাড়ের ওপরে রয়েছে ৭০০ বছরেরও প্রাচীন একটি গণেশ মূর্তি (Ancient Ganesh Murti)। প্রসঙ্গত, ব্রোমো পাহাড় হল ইন্দোনেশিয়ার একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। সেদেশে হিন্দু উৎসবগুলিও অত্যন্ত ভক্তি সহকারে পালন হতে দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়াতে একাধিক গণেশ মন্দিরও দেখা যায়। যেখানে ভক্তরা গণপতি বাপ্পার উদ্দেশে পুজো করেন। তবে ব্রোমো পাহাড়ের (Indonesia) গণেশ মূর্তি (Ancient Ganesh Murti) একেবারেই ব্যতিক্রম। ঠিক আগ্নেয়গিরির পাশেই অবস্থিত এই গণেশ মূর্তি ভক্তদের অগ্নুৎপাতের বিপদ থেকে রক্ষা করেন বলে বিশ্বাস। মাউন্ট ব্রোমোর এই গণেশ মূর্তির অসামান্য শক্তি রয়েছে বলেও ভক্তদের বিশ্বাস।

    টেঞ্জার ম্যাসিফ রাজার বংশধররা অধিষ্ঠিত করেন এই মূর্তি (Indonesia)

    বিশ্বাস করা হয়, এই গণেশ মূর্তিকে আগ্নেয়গিরির ঠিক পাশেই অধিষ্ঠিত করেছিলেন (Ancient Ganesh Murti) টেঞ্জার ম্যাসিফ রাজার বংশধররা, আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছর আগে। এরপর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা মূর্তির পুজো (Indonesia) করতে থাকেন কারণ তাদের বিশ্বাস আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে স্বয়ং ভগবান গণেশ তাঁদেরকে রক্ষা করেন। ফুল-ফল সহযোগে ভক্তরা এই পুজো করেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে মুসলিম প্রধান দেশ হলেও পূর্বে এই ভূমিতে বেশ জনপ্রিয় হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্ম। যা ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণে গিয়ে দেশটির রাস্তাঘাটে ঘুরলেই অনুমান করা যায়।  এগুলো আদতে ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন ইতিহাসেরই সাক্ষীস্বরূপ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    এখনও ১৩০টি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে (Anicient Ganesh Murti)

    প্রসঙ্গত ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) হল এমন একটি দেশ যেখানে ১৪১টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে ১৩০টি এখনও জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এর মধ্যে অন্যতম মাউন্ট ব্রোমো। এখানে এখনও মাঝেমধ্যেই অগ্নুৎপাতের ঘটনা দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ব্রোমো শব্দের জাপানি উচ্চারণ হয়, ব্রহ্মা। মাউন্ট ব্রোমো সিমারু জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের এই জাতীয় উদ্যানে ইন্দোনেশিয়ার অন্য়তম বৃহৎ উদ্যান বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ঘটনার ভোরেই কুচকাওয়াজের মহড়া! দোষীদের আড়াল করতেই কি? প্রশ্ন আইএমএ-র

    RG Kar: ঘটনার ভোরেই কুচকাওয়াজের মহড়া! দোষীদের আড়াল করতেই কি? প্রশ্ন আইএমএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে গত ৯ অগাস্ট উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ, সেইদিনই ভোর সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া শুরু নিয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর! সেই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখা। চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগ, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার ‘অ্যালিবাই’ (অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় অভিযুক্তের অন্যত্র থাকার দাবি) খুঁজে দিতেই কি প্রকাশ্যে আনা হল সেই নির্দেশিকা? ওই নির্দেশিকায় যে তিন জন চিকিৎসকের মহড়ায় উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন সন্দীপ ঘোষ-‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসক অভীক দে। প্রবল চাপে পড়ে যাঁকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য।

    একাধিক প্রশ্ন আইএমএ-র (IMA)

    দেখা যাচ্ছে, গত ৬ অগাস্ট ওই নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশিকায় ৯, ১০, ১৩ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর (RG Kar) থেকে এসএসকেএম পর্যন্ত কুচকাওয়াজের মহড়ার কথা বলা হয়। সেখানেই অভীক, চিকিৎসক সৌত্রিক রায় এবং চিকিৎসক সৌরভ পালের উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে আইএমএ এই নির্দেশিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে (RG Kar)। আইএমএ-র প্রশ্ন, কীভাবে আরজি কর হাসপাতাল থেকে মহড়া শুরু করার কথা বলা হয়েছিল? তা-ও আবার ওই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ দিনের ভোরে? নির্দেশিকায় মেমোর নম্বর এবং তারিখ ছাপা অক্ষরে কেন লেখা নেই? কেন তা পেন দিয়ে লেখা হল?- এরকম একাধিক প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠন। আইএমএ-র আরও দাবি, এই একই মর্মে একটি নির্দেশিকাও সামনে এসেছে। সেটায় সই রয়েছে অন্য ব্যক্তির। সেখানে মহড়ার দায়িত্বও অন্য ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি আইএমএ-র। তারা প্রশ্ন তুলেছে, দু’টি নির্দেশিকার মধ্যে কোনটি আসল?

    সিবিআইকে সত্য আবিষ্কারের অনুরোধ

    আইএমএ-র আরও প্রশ্ন, কেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পরেই প্রকাশ্যে এল সেই নির্দেশিকা? চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, সন্দীপ জেরায় কারও নাম বললে, তাঁর মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। আইএমএ সিবিআইয়ের কাছে এই নিয়ে সত্য আবিষ্কারের জন্য অনুরোধও জানিয়েছে। সংগঠনের আরও দাবি, ৯ অগাস্ট ঘটনার সময় সৌত্রিক এবং সৌরভ — এই দুই চিকিৎসকের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থানও খতিয়ে দেখুক সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশ। সমাজমাধ্যমে আইএমএ লিখেছে, ‘‘আশা করি, আপনারা সত্য উদ্‌ঘাটন করবেন, যা কলকাতা পুলিশ করেনি। অভীক দে যে ঘটনাস্থলে ছিলেন, তা নিয়ে আমাদের দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি কলকাতা পুলিশ। জবাব দেওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে গিয়েছে। এর আগে, সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তারা অভীককে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share