Tag: madhyom news

madhyom news

  • RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    RG Kar Hospital: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রবিবারই এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দলীয় কর্মসূচির কথা বলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ‘তিলোত্তমা’ বা ‘অভয়া’-র খুন-ধর্ষণের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। একই দাবিতে এ সপ্তাহে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচিরও আয়োজন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন ঘুঘুর বাসা। আমরাও বিচার চাই। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। সিবিআইকে বলব, পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিতে।’’

    সিএম-এর পদত্যাগ চাই

    রবিবার বাংলা বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘সিএম-এর পদত্যাগ চাই। সোমবার আদালতে যাব। ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট লাগাতার ধর্নায় বসবে দলের বিভিন্ন সেল। স্বাস্থ্য ভবনেও অভিযান চালানো হবে।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘লকেট-সহ আমাদের যাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা লালবাজারে যাবেন না। অন্য কেউ যদি আমাদের তরফে আইনি সহায়তা চান আমরা দিতে প্রস্তুত। আরজিকর (RG Kar Hospital) ইস্যুতে লড়াই চালিয়ে যান।’’

    মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে

    সুকান্ত মজুমদার এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে। মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচির (RG Kar Hospital) প্রথম দিন উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় যোগ দেবেন দলের সাংসদেরা। বৃহস্পতিবার ধর্নামঞ্চে থাকবেন দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সদস্যেরা। শুক্রবার দলের মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ধর্না কর্মসূচি চলবে। সুকান্ত জানিয়েছেন, ধর্না কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের তরফে অনুমতি না মিললে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

    সোমবার রাখি বন্ধন কর্মসূচি (RG Kar Hospital)

    সোমবার রাখি পূর্ণিমার দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কলকাতার ১৫টি জায়গায় এবং প্রতিটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রাখিবন্ধন উৎসব’ পালন করবেন মহিলা মোর্চার সদস্যারা। প্রসঙ্গত, মহিলাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই কর্মসূচি বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    কী বললেন শুভেন্দু

    রবিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়ে এই সরকারকে এনেছিলেন, তাঁরা এবার বুঝুন। সময় এসেছে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার। যে কেউ নবান্ন চলোর ডাক দিন, আমি আছি। এই রাজ্যের সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে একটা খেলা যেখানে রাজনীতির সম্পর্ক নেই সেটাও আয়োজনে ব্যর্থ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি সোমবারেই ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে পুজো অর্পণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাদেবের (Mahadev) আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিঘ্ন। জীবনে নেমে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এমনিতে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো সব বারেই করা যায়, তবে সোমবার কেন বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, চন্দ্রদেবতা সোমবারে দেবাদিদেব মহাদেবকে পুজো করেন। খুশি হয়ে শিব (Shiva Puja) চন্দ্র দেবতাকে বরদান করেছিলেন। আবার শিবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী ১৬টি সোমবার ব্রত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাই সোমবার শিব পুজোর জন্য বিশেষ দিন হয়ে রয়েছে। সোমবারে (Mahadev) ভগবান শিবের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ক ও শুভ বলে মনে করা হয়।

    পূর্ণিমা অনুযায়ী আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার

    হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সনাতন ধর্মে এই মাসটি শিবকে (Shiva Puja) সমর্পিত করা হয়েছে। এই মাসে নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করলে মহাদেবের কৃপায় সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এ বছর শ্রাবণ মাসে দুর্লভ সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। দুটি পদ্ধতিতে শ্রাবণ মাসের গণনা করা হয়। সংক্রান্তি অনুযায়ী ও পূর্ণিমা অনুযায়ী। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী গত ২২ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছিল এবং শেষ হচ্ছে আজ সোমবার অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট। অন্য দিকে সংক্রান্তি অনুযায়ী ১৬ জুলাই সূর্য কর্কট রাশিতে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রান্তির পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাসের সূচনা ধরা হয় এবং তা শেষ হয় গত ১৭ অগাস্ট। অর্থাৎ পূর্ণিমা অনুযায়ী দেখলে এ বছর ৫টি সোমবার থাকছে। আবার সংক্রান্তি অনুযায়ী গণনা করলে ৪টি সোমবার পাওয়া যায়। পূর্ণিমা অনুযায়ী তাই আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনের সময় বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব (Mahadev), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েছে বিশেষ কিছু পুজোর পদ্ধতিও। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালন নিয়ে জ্যোতিষীরা বলছেন, যদি কারও কুণ্ডলীতে বিবাহের যোগ না থাকে বা বিবাহে বাধা আসে, তাহলে শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনে সে বাধা কেটে যায়।

    সোমবার শিব (Mahadev) পুজোর পদ্ধতি

    সোমবার ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবাদিদেব মহাদেব অত্যন্ত ভক্তবৎসল এবং নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে পুজো করলেই তিনি তুষ্ট হয়ে যান। শাস্ত্র বিশারদরা বলেন, শুধু বেলপাতা, ফুল, ফল, জলেই তুষ্ট হন মহাদেব।  তবে তার সঙ্গে শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে ভগবান সহজেই প্রসন্ন হন। সোমবার শিবলিঙ্গে কী কী নিবেদন করলে তিনি তুষ্ট হবেন?

    শিবলিঙ্গের পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। শিবলিঙ্গে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি উৎসর্গ করুন। কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন, এরপর পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদি নিবেদন করুন এবং সব শেষে শিবের আরতি করুন।
            
    শিবের রুদ্রাভিষেক করলেও ভালো ফল মেলে। ভক্তরা নিজেদের ইচ্ছাপূরণের জন্য বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করেন।  ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে সন্তানের সুখ হয়। অন্যদিকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে দুঃখ ও পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। 
            
    অন্যদিকে, আখের রস দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে মহাদেব সহজেই খুশি হন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে।
            
    শিব মন্দিরে প্রদীপ দান করলেও দেবাদিদেব মহাদেব ভক্তদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। বিশ্বাস করা হয়, এদিন কাঁচা চালের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে দান করলে পিতৃদোষ দূর হয়। 
            
    শিবলিঙ্গে প্রিয় জিনিসগুলি অর্পণ করার পর ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা, এতে শুভ ফল পাওয়া যায়। আবার শিব মন্দিরে রুদ্রাক্ষ নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের হয় বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

    শিবপুজোর আরও খুঁটিনাটি

    অবশ্যই সকালে স্নান করে শিবলিঙ্গের পুজো করা উচিত। 
            
    শিবলিঙ্গে (Mahadev) জাফরান অর্পণ করলে ভক্তদের জীবনে সুখ-শান্তি আসে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
            
    ভোলেনাথ সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ হয় বলে ধারণা। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।

    শিব পুরাণ অনুসারে, শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় শিব পুজোর মাধ্যমে। শিবলিঙ্গ সম্পর্কে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে, কলিযুগে কুষমান্ড ঋষির পুত্রই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan 2024), হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ভাই-বোনের সম্পর্কের এই পবিত্র উৎসব পালিত হয় শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু-সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভাইয়েরা তাঁদের বোনদের সারা জীবন রক্ষা করার আশ্বাসও দেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ভাই বা দাদাকে রাখি বাঁধার আগে আরতি করা হয় এবং তারপর কপালে তিলক লাগানো হয়। এর পর ভাই দিদির পা স্পর্শ করেন অথবা বোন দাদার পা স্পর্শ করেন।

    কখন শুরু হল তিথি (Raksha Bandhan 2024)? 

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি আজ অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট সোমবার ভোর ৩:০৪ মিনিট থেকে শুরু গিয়েছে এবং রাত ১১:৫৫ মিনিটে শেষ হবে।

    রাখি বাঁধার শুভক্ষণ কখন

    এ বছর রাখি (Raksha Bandhan 2024) বাঁধার শুভ সময় হল দুপুর ১:৪৬ থেকে ৪:১৯ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ০৬:৫৬ মিনিট থেকে ০৯:০৭ মিনিট পর্যন্তও থাকবে শুভ সময়, প্রায় ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। এবার রাখি বন্ধনে (Hindu Festival) ভদ্রা থাকবে সকালে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে রাখি বাঁধতে বারণ করছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে, ভদ্রা যেখান থেকেই হোক না কেন, এটি অশুভ ফল দেয়। ভদ্রা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব 

    রাখি বন্ধনের (Raksha Bandhan 2024) হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে (Hindu Festival) ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনি

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন।

    মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ

    চলতি বছরে রাখি পূর্ণিমার দিন মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ রয়েছে, বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। যার ফলে রাখি পূর্ণিমার দিন অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। রাখির দিন রাজ পঞ্চক, শ্রাবণ সোমবার, শ্রাবণ পূর্ণিমার উপবাস ও স্নান, অন্যদিকে সবার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ ও শোভন যোগ গঠিত হতে চলেছে।

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি (Raksha Bandhan 2024) পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর 

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর। ভক্তি ভরে এদিন পুজো ও দান করলে ব্যাপক পুণ্যলাভ হয় বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। এদিন নিয়ম মেনে বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে কলকাতার (Kolkata News) রাস্তায় হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার সাহা (Singer Durnibar) ও তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর। প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। জানা গিয়েছে, রাস্তাতেই দুর্নিবার-মোহরের ওপর চড়াও হয় একদল লোক। অভিযোগ, দুর্নিবারের গলা চেপে ধরে তারা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে সরব হন গায়ক।

    কী বলেছেন দুর্নিবার? (Kolkata News)

    নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও পোস্ট করেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। তাঁকে সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দুর্নিবার, আমার সঙ্গে আছে মোহর। আমাদের সঙ্গে ঠিক এক ঘণ্টা আগে কলকাতার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে, নাকতলার ভিতরে একটা রাস্তার মোড়ে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে।’’ গায়কের অভিযোগ, কোনও রকমের রোড ব্লকেজের নোটিশ না থাকা সত্ত্বেও একদল লোক রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছিলেন। তখন গায়ক ৫-৬বার হর্ন দিয়ে বলেন, ‘‘এটা দুপুরবেলা, রাস্তা ঠিক করার সময় নয়। সরে যান গাড়িটা যেতে দিন। তখনই তাঁরা (লোকগুলি) তেড়ে আসেন।’’

    ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে 

    এরপরেই তাঁর ওপর হামলা করার অভিযোগ করেন গায়ক (Singer Durnibar)। তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন ওঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে (গলার দাগ দেখিয়ে)। আমার গলায় ভীষণ ব্যাথা, এখনও ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতেও দাগ দেখতে পাবেন। নিজে বাঁচতে আমিও হামলাকারীদের একজনের গলা ধরি। তখন ওঁরা ৩-৪জন মিলে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উল্টোদিকে নিয়ে যান।’’ মোহর তখনও নামেনি, ও বেগতিক দেখে (Kolkata News) নামে। ও যখন নামে তখনও আমার একজন গলা চেপে ধরে আছে, হাত ধরে আছে। যাতে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।’’ সব শেষে দুর্নিবার জানান, যাঁরা রাস্তায় কাজ করছিলেন, তাঁরা কিন্তু কোনও মিস্ত্রী নন, স্থানীয় বাসিন্দা।

    কী বললেন মোহর?

    ফেসবুকের (Kolkata News) ওই ভিডিওতে দুর্নিবারের সঙ্গে মোহরও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এত কিছুর পরে বলব, কিছু ভালো মানুষ হয়ত আছেন। এক ভদ্রলোক আমাকে দেখে কাঁদতে শুরু করেছিলেন। বলেন, মা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো, চতুর্দিকে যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না কেন হচ্ছে, তুমি প্লিজ গাড়িতে বসো। আমিও এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারছি না। ভর দুপুর বেলা! কী বলব লোককে? কেউ কখনও বাইরে বের হবেন না!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুরে নিজের হিন্দু সহপাঠীকেই ছুরি মারে দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। এর পরেই সেখানে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ (Udaipur Police)। শুক্রবারের এই ঘটনার পরে, ১৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বেআইনি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে শনিবারই গুঁড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনবিভাগ অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবারকে একটি নোটিশ পাঠায় শনিবার সকালেই এবং সেই নোটিশের ভিত্তিতে বাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবার বাড়ির মালিকানার কোনও রকমের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

    কী বলছেন উচ্ছপদস্থ পুলিশ আধিকারিক? 

    এর পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুলডোজার অ্যাকশনের পরে উদয়পুর রেঞ্জের আইজি অজয় লাম্বা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বাবাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে শনিবার প্রথমে বুলডোজারের মাধ্যমে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙার আগে এলাকাটি খালি করতে বলে পুলিশ। কিন্তু তখনই এলাকার মানুষজন পুলিশকে বাধা দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতিও তৈরি হয়। উদয়পুর জেলার (Rajasthan News) মধুবন এলাকায় ছুরি চালানোর ঘটনার পরেই সম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে যায় শুক্রবারে। সেখানকারই একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ওই অভিযুক্ত।

    অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ হেফাজতে (Rajasthan News) 

    জানা গিয়েছে, আপাতত ওই অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ (Udaipur Police) হেফাজতেই রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা শহরে এবং তার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই পুলিশ গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং যে কোনও ধরনের জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্রবারই রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুর শহরের জেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, কারণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানালেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, এতেই তদন্ত স্বচ্ছ হবে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ তদন্তের নামে তিলোত্তমার ভিসেরা পরিবর্তন করেছে। যেখানে এই অপরাধ ঘটেছে, সেখানে বেশ কয়েক জনের যুক্ত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রক্তাক্ত কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলি নিশ্চিত করা যায়।’’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিজিপি রাজীব কুমার ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর কল রেকর্ড এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

    অন্য জায়গায় নারকীয় ঘটনা ঘটার পর সেমিনার হলে সেই দেহ নিয়ে আসা হয় (RG Kar) 

    নন্দীগ্রামের এক অনুষ্ঠান (RG Kar)  থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখুন। আমি অনেক কিছু সামনে আনব। সব আমার কাছে আছে।’’  শুভেন্দু অধিকারী এমনও বিস্ফোরক দাবি করেছেন যে ঘটনাস্থলের ওয়াশ বেসিন বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন বেসিন লাগানো হয়েছে সেখানে। শুভেন্দু আরও একটি বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, ‘‘অন্য জায়গায় নারকীয় ঘটনা ঘটার পর সেমিনার হলে সেই দেহ নিয়ে আসা হয়।’’

    সন্দীপ ঘোষের গুণের শেষ নেই

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরজি কর (RG Kar)  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘যোগসূত্র’ নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, মমতাকে খাম দিতেন সন্দীপ। শুক্রবারই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘এই সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা’টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন উনি। সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ আছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে একুশ সালে টুপি পরিয়েছেন। ভালো পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে হুইলচেয়ার চিহ্নে ভোট দিন বলে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে বেরিয়েছেন। সেই অপকর্মটা করেছেন সন্দীপ ঘোষ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar) পরেই নিরাপত্তার দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-কর্মবিরতির ডাক দেন ডাক্তাররা। বর্তমান সময়ে বারবার উঠেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। ঠিক এই আবহে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে একদা বাতিল হওয়া ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হচ্ছে মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা এবং হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সম্পত্তি ভাঙচুরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই বিলের ওপর খসড়া তৈরি করা হয়। সে সময় কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহম্মদ সৈয়দ নামের এক রোগীর আত্মীয় দুই চিকিৎসকের ওপর ভয়ঙ্কর হামলা ঘটায়। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে (Violence Aganist Doctors) নামেন ডাক্তাররা, তখনই এই আইনটিকে প্রস্তাব করা হয়েছিল (RG Kar)।

    হামলাকারীদের কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে

    এই বিলে হামলাকারীদের (Violence Aganist Doctors) কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারবেন না অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও সম্পত্তিরও ক্ষতি করতে পারবেন না।’’ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ কেউ ঘটালে তার জন্য এই বিল অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে যা বেড়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোনও চিকিৎসককে গুরুতর আঘাত করলে সাজার মেয়াদ থাকছে তিন বছর যা সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর বিধান রয়েছে। এছাড়াও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনও ব্যক্তি করে থাকলে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করারও বিধান রয়েছে ওই বিলে। যদি গুরুতরভাবে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আঘাত করা হয়, সেক্ষেত্রে অপরাধীর জরিমানা দুই লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়ে সম্পত্তির ক্ষতি করা- এ সমস্ত কিছুকেই এই বিলের আওতায় জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর হামলা বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পত্তি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার অফিসার বা তার ঊর্ধ্বে কোনও অফিসারই করতে পারবেন কিন্তু এর নিচের পদমর্যাদাযুক্ত অফিসার করতে পারবেন না।

    জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ ধার্য

    স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যে কোনও হামলার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে অবহিত করাবেন বাধ্যতামূলকভাবে, এমন কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবিত বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর আঘাত করলেই এক লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে এবং গুরুতর আঘাতের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ভাঙচুর হামলাকারীরা করবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের তাঁদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে বলেও বিধান রয়েছে বিলে। ওই বিলে আরও বলা হয়েছে যদি কোনও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এই বিলের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর ক্ষতিপূরণের অর্থটি রাজস্ব পুনরুদ্ধার আইন (১৮৯০) অনুযায়ী, বকেয়া হিসেবে আদায় করা হবে।

    কোন কোন ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে বিলে

    স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারদের ওপরে ঠিক কী ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে এই বিলে? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চিকিৎসায় গাফিলতির মিথ্যা অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা অথবা ডাক্তারদেরকেও নিগৃহীত করা হয়। এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা, স্বাস্থ্যকর্মীদের যেকোনও ধরনের ক্ষতি, আঘাত, গুরুতর আঘাত, হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, জীবনহানির হুমকি প্রদর্শন করা বা এমন কোনও আঘাত করা যাতে স্বাস্থ্যকর্মী জীবনহানি হতে পারে, সরকারি চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, যেকোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সম্পত্তি ভাঙচুর করা, গুরুত্বপূর্ণ নথির ক্ষতি করা, নথি জ্বালিয়ে দেওয়া বা চুরি করা -এই সমস্ত কিছুই এই বিলের আওতায় পড়বে।

    করোনা অতিমারির সময় আনা আইন

    প্রসঙ্গত করোনা অতিমারি চলাকালীন লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার অতিমারি রোগ (সংশোধন) আইন-২০২০ পাশ করেছিল এবং এই আইনেও স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যেকোনও ধরনের হামলা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি রিপোর্ট সামনে আসে যেখানে দেখা যায় যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত ওই ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে বাতিল করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছিলেন যে, ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য আলাদা কোনও আইন তৈরি করা হচ্ছে না।

    আরজি করকাণ্ডের জের (RG Kar)

    কিন্তু ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপরেই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন। ঠিক এই আবহে গত ১২ অগাস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ)-এই আইনের অন্তর্ভুক্তি। সেই সময়ে আইএমএ-এর প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে চিকিৎসকদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার (RG Kar)। এরপরে ২০১৯ সালের বাতিল হওয়া ওই বিলটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নতুন ওই প্যানেলে ডাক্তার, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও একাধিক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Attack 2008: ২৬/১১ ষড়যন্ত্রী তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণে নেই বাধা, রায় মার্কিন আদালতের

    Mumbai Attack 2008: ২৬/১১ ষড়যন্ত্রী তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণে নেই বাধা, রায় মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবাদী (Mumbai Attack 2008) হামলার অন্যতম যড়যন্ত্রী। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অফ আপিল জানিয়েছে যে, এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ষড়যন্ত্রীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে তার মাধ্যমেই এটা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে ভারত-মার্কিন চুক্তির মাধ্যমে এদেশে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে বলে ১৫ অগাস্ট রায় দিয়েছে মার্কিন আদালত। শনিবার এই তথ্য সামনে এসেছে।

    রানার পরিচয়  (Mumbai Attack 2008)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রে (Tahawwur Rana) যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে রানার বিরুদ্ধে। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে বসেই তিনি মুম্বই হামলার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো, হত্যা, প্রতারণা, জালিয়াতি সমেত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা মোতাবেক একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের একজন সেনা চিকিৎসক ছিলেন তাহাউর হোসেন রানা। পরে তিনি কানাডাতে চলে যান এবং সেখানেই ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, তাঁর ব্যবসা শিকাগো সমেত অন্যান্য বহু জায়গাতেই চলত। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৩ বছর (Mumbai Attack 2008), মুম্বই হামলায় যুক্ত থাকার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।

    হেডলির বন্ধু রানা

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গেও রীতিমতো যোগাযোগ ছিল রানার। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল রানার। শুধু তাই নয়, রানা ও ডেভিড হেডলি মুম্বই হামলাকে বাস্তবায়িত করতে একাধিকবার পাকিস্তান থেকে নিউইয়র্ক, দুবাই সহ অন্যান্য শহরে ভ্রমণ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, রানা ও হেডলি দুইজনেই স্কুলের সহপাঠী ছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করে। এর জন্য বর্তমানে তাঁর ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

    মুম্বই হামলা  (Mumbai Attack 2008)

    ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর — দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকে মুম্বই। মোট ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ওই হামলা চালিয়েছিল। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, তাজ হোটেল, ট্রাইডেন্ট হোটেল, নরিমান হাউস, কামা হাসপাতাল সহ মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহিত স্থানে ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চলেছিল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালায় সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনেরও বেশি মানুষের। একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসভকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পরবর্তীকালে ফাঁসি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘ব্যাটাকে সবার আগে ধরা উচিত’’, আরজি কর কাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর, নিশানায় কে?

    RG Kar Incident: ‘‘ব্যাটাকে সবার আগে ধরা উচিত’’, আরজি কর কাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর, নিশানায় কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকা নিয়ে আরজি করে (R G kar Case) হামলা চালিয়েছে বিজেপি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁচাছোলা ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন নিশানা করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। 

    সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই

    আরজি কর কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁকেই আরজি করের একাধিক দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বলে তোপ দেগেছে চিকিৎসক মহলের বড় অংশ। শুক্রবার তাঁকে রাস্তা থেকে পাকড়াও করে সিবিআই। এদিন, সন্দীপ ঘোষকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন ওঁ। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ তো রয়েছে তাঁর।’’

    গোলমাল করেছে অতীন ঘোষের লোকজন!

    মধ্যরাতে আরজি করে হামলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গোলমালটা অতীন ঘোষের লোকরা ওখানে ঘটাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এটা বিজেপি বা সিপিএমের ছেলেরা করেছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাকে একশোটা নাম ছবি দিয়ে দিতে পারি। অশোকনগর থেকে গুন্ডা এনেছে। নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে ছবি আছে। অতীন ঘোষের মিছিলে এরা লিড করছে।’’

    শুভেন্দুর নিশানায় বিনীত গোয়েল (RG Kar Incident)

    এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েল ব্যাটাকে (RG Kar Case) সবার আগে ধরা উচিত। সব হয়ে যাওয়ার পর রাত দেড়টায় বিনীত গোয়েল এসেছেন। বেরিয়ে গিয়েছেন চারটের পর। ওই বোনটির (নির্যাতিতা) গাড়ি হাওয়া করার কাজ করেছেন বিনীত গোয়েল। বিনীত গোয়েলকে যদি সিবিআই তুলতে পারে এবং চাপ দিতে পারে, সবটা সামনে চলে আসবে।’’

    আরজি কর কাণ্ড (R G kar Case) নিয়ে কী বলছেন স্মৃতি ইরানি?

    আরজি কর কাণ্ডের আঁচ জাতীয় স্তরেও পৌঁছেছে। এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনিও। স্মৃতি বলেন, ‘‘এই ঘটনার আর কারা জড়িত পুলিশের কাছে যদি তথ্য থাকে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে কী তদন্ত করেছে? আর কতজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ? এই বিষয়ের তথ্য তো চিকিৎসকদের কাছে রয়েছে, সাংবাদিকদের কাছেও রয়েছে, নিগৃহীতার বাবা-মা, এমনকি এখন আদালতের কাছেও রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Indian Economy) হার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি! এমন কথাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ হলেন গীতা গোপীনাথ। শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘‘২০২৭ সালের মধ্যেই ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হবে।’’ প্রসঙ্গত, গীতা গোপীনাথ হলেন আইএমএফ-এর প্রথম মহিলা মুখ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, তিন বছরের মধ্যেই আমেরিকা এবং চিনের পরে ঠাঁই হবে ভারতের। অর্থাৎ মোদি জমানায় দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যে লক্ষ্যমাত্রা ও প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে, তাতেই এবার সিলমোহর দিতে দেখা গেল আইএমএফ-কে।

    ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার আবার বেড়ে গিয়েছে (Indian Economy)

    গীতা গোপীনাথ শুক্রবার আরও বলেন, ‘‘ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার গত অর্থবর্ষে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। সেই প্রভাবগুলি এই অর্থবর্ষের জন্য আমাদের পূর্বাভাসকে (Third Largest Economy) প্রভাবিত করছে। অন্য কারণটি হল, আমরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি, ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার (ভোগ্যপণ্য কেনার নিরিখে) আবার বেড়ে গিয়েছে।’’ তবে শুধু আইএমএফ নয়, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের একটি অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে জাপান এবং জার্মানিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত।

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কথাতেও বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা। গত বছর ২০২৩ সালেই লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘‘২০২৭-এর মধ্যেই জাপান এবং জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তিতে (Indian Economy) পরিণত হবে ভারত। আমাদের লক্ষ্য, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে পদার্পনের আগে ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে আইএমএফ (Third Largest Economy) প্রকাশ করে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share