Tag: madhyom news

madhyom news

  • Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় (1984 Anti Sikh Riots) অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গতকাল শুক্রবার ৩০ অগাস্ট আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে। বিচারপতি রাকেশ সিয়াল বলেন যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো যায়।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন (Jagdish Tytler) 

    প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে চালু রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, সেই সময়ের আইন অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এভাবেই জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে লাগু হতে চলেছে আইপিসি-এর অনেকগুলি ধারা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারা (বেআইনি জমায়েত), ১৪৭ ধারা (দাঙ্গা), ১৫৩ এ ধারা (দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাধানো), ১৮৮ ধারা (সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দান), ২৯৫ ধারা (ধর্মস্থান অবমাননা), ৪৩৬ ধারা (অগ্নিসংযোগ), ৪৫১ ধারা (অবৈধভাবে বাড়িতে প্রবেশ ও লুট), ৩৮০ ধারা (চুরি), ১৪৯ ধারা (সাধারণ উদ্দেশে বেআইনি জমায়েত), ৩০২ ধারা (খুন) ১০৯ ধারা (অপরাধে উস্কানি) ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    কংগ্রেস নেতার (Jagdish Tytler) প্ররোচনা

    চলতি বছরের গোড়াতেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সিবিআই দাবি করেছিল যে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন, যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন জগদীশ টাইটলার একটি ভিড়কে উস্কানি দিচ্ছেন, দাঙ্গা করার প্ররোচনা দিচ্ছেন ১৯৮৪ সালে। জানা যায়, জগদীশ টাইটলারের এই উস্কানির ফলেই দিল্লির গুরুদুয়ারায় তিনজন মানুষকে খুন করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসেই সিবিআই তাদের চার্জশিটে জানিয়েছিল যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া, প্ররোচনা দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যা সংঘটিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লিতে। এরপরেই ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান জগদীশ টাইটলার ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে। প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা। এই দাঙ্গা চলে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অজস্র কংগ্রেসী নেতা এই দাঙ্গায় অভিযুক্ত হন। এই সময়ে ৩,৩৫০ জন সাধারণ শিখ নাগরিককে (1984 Anti Sikh Riots) নির্মমভাবে হত্যা করে কংগ্রেস সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ৩১ অগাস্ট কেরলের (kerala) পালক্কাড়ে শুরু হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তিন দিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে সমেত অন্যান্য নেতারা। যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাও। শনিবার বৈঠকে শুরুতেই কেরলের (Kerala) ওয়ানাড়ে ভূমিধসের বিশদ বিবরণ ও আরএসএস-এর (RSS) স্বয়ংসেবকদের উদ্যোগে প্রদত্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়ে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অবগত করা হয়।

    সুনীল আম্বেকরের সাংবাদিক সম্মেলন

    গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ৩২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অন্যান্য শাখা সংগঠন থেকে ২৩০ জন এবং জাতীয় স্তরের আরএসএসের ৯০ জন পদাধিকারী এই বৈঠকে হাজির থাকবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে তাঁদের কার্যকলাপ ও সমাজের কাজে তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন। এর পাশাপাশি এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি নিয়েও। আলোচনা চলবে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতেও। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, দেশের নিরাপত্তা, সামাজিক ইস্যু, বর্তমানের ঘটনা প্রবাহ, রাজ্যস্তরের বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।’’

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) পা দিচ্ছে ১০০ বছরে

    প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই সময়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটিস বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নারী নির্যাতনের মামলায় ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি’, বিচারপতিদের বার্তা মোদির

    PM Modi: নারী নির্যাতনের মামলায় ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি’, বিচারপতিদের বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে গোটা দেশকে। গত রবিবারই নারী সুরক্ষার ওপর মহারাষ্ট্রে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। শনিবার ফের একবার মহিলাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক কঠোর আইন রয়েছে। তবে নারী নির্যাতন রোধ করতে সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা। দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন, শিশুদের নিরাপত্তার (Women Safety) মতো বিষয়গুলি এখন সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে অনেক কঠোর আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। মহিলাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, নিরাপত্তার (Women Safety) ক্ষেত্রে তত বেশি নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।’’

    ১০ বছরে মোদি সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে

    দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে গত ১০ বছরে তাঁর সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে, এমনটা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তারও খতিয়ান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার বিলম্ব দূর করতে গত এক দশকে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার ১০ বছরে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য গত ২৫ বছরে যে অর্থ খরচ করা হয়েছিল, তার ৭৫ শতাংশ ১০ বছরেই খরচ করেছে বিজেপি সরকার।’’

    দেশের শীর্ষ আদালতের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

    দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’ থেকেই বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশে এই বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। দেশের শীর্ষ আদালতের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর। এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা নয়, এ হল ভারতের সংবিধানের এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অগ্রগতি। এটি গণতন্ত্র হিসাবে ভারতের আরও পরিণত হওয়ার যাত্রা।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। আদালতের নির্দেশ মতো ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারের দাবিতে দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এমন মন্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    প্রথম অধ্যায়

    ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বাঽভবিতা বা ন ভূয়ঃ ৷
    অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঽয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥
                                                                                    (গীতা— ২।২০)

    মুক্তপুরুষের শরীরত্যাগ কি আত্মহত্যা?

    দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে আসিয়াছেন। সঙ্গে তিন-চারটি ব্রাহ্মভক্ত। ২৯শে অগ্রহায়ণ, শুক্লা চতুর্থী তিথি। বৃহস্পতিবার, ইংরেজী ১৪ ডিসেম্বর ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ। পরমহংসদেবের পরমভক্ত শ্রীযুক্ত বলরামের সহিত ইঁহারা নৌকা করিয়া কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ মধ্যাহ্নকালে সবে মাত্র একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রবিবারেই বেশি লোক সমাগম হয়। যে-সকল ভক্তেরা একান্তে তাঁহার সহিত কথোপকথন (Kathamrita) করিতে চান, তাঁহারা প্রায় অন্য দিনেই আসেন।

    পরমহংসদেব (Ramakrishna) তক্তপোশের উপর উপবিষ্ট। বিজয়, বলরাম, মাস্টার ও অন্যান্য ভক্তেরা পশ্চিমাস্য হইয়া, তাঁহার দিকে মুখ করিয়া কেহ মাদুরের উপর। কেহ শুধু মেঝের উপর বসিয়া আছেন। ঘরের পশ্চিমদিকের দ্বারমধ্য দিয়া ভাগীরথী দেখা যাইতেছিল। শীতকালের স্থিরা স্বচ্ছলসলিলা ভাগীরথী। দ্বারের পরই পশ্চিমের অর্ধমণ্ডলাকার বারান্দা, তৎপরেই পুষ্পোদ্যান, তারপর পোস্তা। পোস্তার পশ্চিমগায়ে পুণ্যসলিলা কলুষহারিণী গঙ্গা, যেন ঈশ্বর মন্দিরের পাদমূল আনন্দে ধৌত করিতে করিতে যাইতেছিলেন।

    শীতকাল, তাই সকলের গায়ে গরম কাপড়। বিজয় শূলবেদনায় দারুণ যন্ত্রণা পান; তাই সঙ্গে শিশি করিয়া ঔষধ আনিয়াছেন—ঔষধ সেবনের সময় হইলে খাইবেন। বিজয় এখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের একজন বেতনভোগী আচার্য। সমাজের বেদীর উপর বসিয়া তাঁহাকে উপদেশ দিতে হয়। তবে এখন সমাজের সহিত নানা বিষয়ে মতভেদ হইতেছে। কর্ম স্বীকার করিয়াছেন, কি করেন, স্বাধীনভাবে কথাবার্তা (Kathamrita) বা কার্য করিতে পারেন না। বিজয় অতি পবিত্র বংশে—অদ্বৈত গোস্বামীর বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। অদ্বৈত গোস্বামী জ্ঞানী ছিলেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করিতেন, আবার ভক্তির পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া গিয়াছেন! তিনি ভগবান চৈতন্যদেবের একজন প্রধান পার্ষদ—হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতে করিতে পরিধানবস্ত্র খসিয়া যাইত। বিজয়ও ব্রাহ্মসমাজে আসিয়াছেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করেন; কিন্তু মহাভক্ত পূর্বপুরুষ শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত হইতেছিল, শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ—কেবল কাল প্রতীক্ষা করিতেছে! তাই তিনি ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দেবদুর্লভ হরিপ্রেমে “গরগর মতোয়ারা” অবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন। মন্ত্রমুগ্ধ সর্প যেমন ফণা ধরিয়া সাপুড়ের কাছে বসিয়া থাকে, বিজয়ও পরমহংসদেবের শ্রীমুখনিঃসৃত ভাগবত শুনিতে শুনিতে (Kathamrita) মুগ্ধ হইয়া তাঁহার নিকটে বসিয়া থাকেন। আবার যখন তিনি হরিপ্রেমে বালকের ন্যায় নৃত্য করিতে থাকেন, বিজয়ও তাঁহার সঙ্গে নৃত্য করিতে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Issue: টেলিমেডিসিন পরিষবা দেবেন আন্দোলনকারীরা, চালু হচ্ছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    RG Kar Issue: টেলিমেডিসিন পরিষবা দেবেন আন্দোলনকারীরা, চালু হচ্ছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Issue) মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। এরই মধ্যে তাঁরা ঘোষণা করলেন, আজ শনিবার অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট থেকে ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই পরিষেবার জন্য কয়েকটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে। ৮৭৭৭৫৬৫২৫১, ৮৭৭৭৫৬৯৩৯৯, ৮৭৭৭৫৭৯৫১৭, ৬২৯০৩২৬০৭৯ এই নম্বরগুলিতে হোয়াটস্‌অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে পরিষেবা। এ ছাড়াও ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামক একটি কর্মসূচিরও আয়োজন করেছে। শনিবার থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করতে চলেছেন তাঁরা।

    অভয়া ক্লিনিক (RG Kar Issue)

    অন্যদিকে রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) স্বাস্থ্য শিবির করবেন, এর নাম দেওয়া হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে তাঁকেই যে এই লড়াই উৎসর্গ করা হচ্ছে, ক্লিনিকের নামেই তার প্রমাণ। শুক্রবার নিজেদের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। আন্দোলনকারীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের ৫ দফা দাবির একটাও পূরণ হয়নি। সেকারণেই তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবারও তাঁরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রয়োজনে তাঁকেও তদন্তের আওতায় (RG Kar Issue) আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

    ৪ সেপ্টেম্বর বিচার পেতে আলোর পথে কর্মসূচি পালন

    লালবাজার অভিযানেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। সুবিচারের আশায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিচার পেতে আলোর পথে কর্মসূচি পালন করতেও নাগরিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ১০টা অবধি ঘরের আলো বন্ধ রেখে মোমবাতি বা প্রদীপ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে আবেদন (RG Kar Issue) করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান হয়। তারপরে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে সংগঠনের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে (Sayan Lahiri)। এবার গ্রেফতার হওয়া ছাত্র নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যে ছাত্র নেতাকে ছাড়তে হবে। এর পাশাপাশি আদালতে নির্দেশ ছাড়া সায়ন লাহিড়ির বিরুদ্ধে কোনও রকমের পদক্ষেপও নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘সম্মানীয় আদালতের হস্তক্ষেপে রাজ্যের যুবকদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি সায়ন লাহিড়ির মুক্তির নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। অবৈধভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই সময়টাকে যুবকদের জয় বলে পালিত করা হোক।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘লড়াই চালিয়ে যাও, আওয়াজ ওঠাও।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলে শুনানি (Calcutta High Court)

    ছাত্রনেতা সায়নের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়। এই মামলাটির শুনানি ছিল শুক্রবার, বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেখানে বিচারপতি সিনহা সায়ন লাহিড়িকে ছেড়ে দেওয়া নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি বিচারপতি আরও জানিয়েছেন যে আদালতের অনুমতি ছাড়া আগামী দিনে কোনও বড় পদক্ষেপ করা যাবে না সায়নের বিরুদ্ধে। শুধু নবান্ন অভিযান নয়, এর পাশাপাশি অন্য যেকোনও কিছুতে যদি এফআইআর থাকে সেক্ষেত্রে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবারে সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে অনেক প্রশ্নই তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে যে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? বিচারপতি অমৃতা সিনহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন এদিন। তিনি জানান, আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হলে ওই ঘটনার জন্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। তাঁকে কি হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে?

    অনেক রাজনৈতিক নেতাও তো প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, সায়ন কোন রাজনৈতিক দলের নেতা? রাজ্য জানায়, তিনি ছাত্রনেতা। যা শুনে বিচারপতি সিংহের প্রশ্ন, ওই ছাত্রনেতাকে কী ভাবে এত প্রভাবশালী বলা হচ্ছে? তিনি কি এতই জনপ্রিয় যে ডাক দিলেন আর হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে গেল? তাঁর কী অতীত রয়েছে? সায়ন কি সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন? না কি গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল! পাল্টা বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘অনেক রাজনৈতিক নেতাও তো প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? তা ছাড়া ওই ছাত্রনেতা সরাসরি নবান্ন অভিযানের অশান্তিতে জড়িত, এমন কোনও তথ্য নেই।’’ এ ছাড়া সায়নকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার আরজি কর (RG Kar) কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই নিয়ে রাজভবনের সূত্রে জানানো হয় যে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন রাজ্যপাল (West Bengal Governor)। আরজি কর কাণ্ডের আবহে সারা বাংলা যেভাবে উত্তাল হয়েছে, সেই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ব্যাখা করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগে গত ২০ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তখনও আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যে আন্দোলন, সে সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে।

    তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা (RG Kar) ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে

    এদিন রাজ্যভবনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের (West Bengal Governor) তরফে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, আরজি করের নিহত তরুণীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে হৃদয় বিদারক চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানান। এছাড়া, বাংলার পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিল ও জনরোষ প্রসঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির প্রতিনিধিরা আগেই রাজভবনে যান

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তারপরে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর অনেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বুধবার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছিলেন। মমতার মন্তব্য ‘বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে’, বলে অভিমত সুকান্তর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন সুকান্ত। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত মনোমোহন ও শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    সুরেন্দ্র দাদা ও সদরওয়ালার পদ—জাতিভেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এইবার সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিয়াছেন। আসিয়া দোতালা বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্রের মোজোভাই সদরওয়ালা, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অনেক ভক্ত ঘরে সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর সুরেন্দ্রের দাদাকে বলিতেছেন (Kathamrita), আপনি জজ, তা বেশ, এটি জানবেন সবই ঈশ্বরের শক্তি। বড় পদ তিনিই দিয়েছেন, তাই হয়েছে। লোকে মনে করে আমরা বড়লোক; ছাদের জল সিংহটা মুখওয়ালা নল দিয়ে পড়ে, মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার কচ্ছে। কিন্তু দেখ কোথাকার জল। কোথা আকাশে মেঘ হয়, সেই জল ছাদে পড়েছে, তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে।

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা—মহাশয়, ব্রাহ্ম সমাজের বলে স্ত্রী-স্বাধীনতা; জাতিভেদ উঠিয়ে দাও; এ-সব আপনার কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের উপর নূতন অনুরাগ হলে ওইরকম হয়। ঝড় এলে ধুলো ওড়ে, কোনটা আমড়া, আর কোনটা তেঁতুলগাছ, কোনটা আমগাছ বোঝা যায় না। ঝড় থেকে গেলে, তখন বোঝা যায়। নবানুরাগের ঝড় থেকে গেলে ক্রমে বোঝা যায় যে, ঈশ্বরই শ্রেয়ঃ নিত্যপদার্থ আর সব অনিত্য। সাধুসঙ্গ তপস্যা না করলে এ-সব ধারণা হয় না! পাখোইয়াজের বোল মুখে বললে (Kathamrita) কি হবে; হাতে আনা বড় কঠিন। শুধু লেকচার দিলে কি হবে; তপস্যা চাই, তবে ধারণা হবে।

    জাতিভেদ? কেবল এক উপায় জাতিভেদ উঠিতে পারে। সেটি ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই। অস্পৃশ্য জাত শুদ্ধ হয়—চণ্ডাল ভক্ত হলে আর চণ্ডাল থাকে না! চৈতন্যদেব আচণ্ডালে কোল দিয়েছিলেন।

    ব্রহ্মজ্ঞানীরা হরিনাম করে, খুব ভাল। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে (Kathamrita) তাঁর কৃপা হবে, ঈশ্বরলাভ হবে।

    সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। এক ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকে। যেমন একঘাটের জল হিন্দুরা খায়; বলে জল; আর-একঘাটে খ্রীষ্টানরা খায়, বলে ওয়াটার; আর-একঘাটে মুসলমানেরা খায়, বলে পানি।”

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা — মহাশয়, থিওজফি কিরূপ বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— শুনেছি নাকি ওতে অলৌকিক শক্তি (Miracles) হয়। দেব মোড়লের বাড়িতে দেখেছিলাম একজন পিশাচসিদ্ধ। পিশাচ কত কি জিনিস এনে দিত। অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়? ঈশ্বর যদি না লাভ হল তাহলে সকলই মিথ্যা!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করার কারণে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনা করল মমতার সরকারকে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘‘যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না, সেখানে আপনারা বাঁ হাত ব্যবহার করেন। আপনাদের পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।’’

    শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধর্মতলাতে ধর্না অবস্থান করার অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মামলাতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল বিজেপির ধর্নার পক্ষেই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরোধিতায় বিরক্তি প্রকাশ করে। শাসক দল কর্মসূচি নিলে তখন অসুবিধা হয় না, এমন ইঙ্গিতও বৃহস্পতিবার করা হয়েছে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন যে শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে।

    শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস! বুধবারের কর্মসূচিতে কেন আপত্তি করেনি রাজ্য, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির 

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং সেদিনই শহরে কর্মসূচি পালন করে শাসক দল। বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়েই সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বুধবার শহরে চারটি বড় কর্মসূচি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কর্মসূচি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপত্তি আসেনি। এক পক্ষ বিচার করলে তো হবে না। উভয় পক্ষই কর্মসূচি করছে।’’ আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গেও রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘একটি ঘটনা নিয়ে মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন। নতুন করে আঘাত দেবেন না, যাতে তা আরও বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার বড় উপহার দিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাজ্যের জন্য নতুন তিনটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করে। এগুলি হল জামশেদপুর-পুরুলিয়া- আসানসোল (চান্ডিল- আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প, বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প ও সরডেগা-ভালুমুডা ডবল লাইন প্রকল্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্পগুলি (Rail Projects) বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

    এ নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এর ফলে যেমন একদিকে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা হবে, তেমনি সার্বিকভাবে হাওড়া-মুম্বই এবং হাওড়া-দিল্লি করিডরকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যাবে।’’ পাশাপাশি রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ কমবে। সেটা যদি সবুজায়নের নিরিখে বিবেচনা করা যায়, তাহলে তিন কোটি নতুন গাছ বসানোর সমান।’’ এবিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন প্রধানমন্ত্রী (Rail Projects)। লেখেন, এর ফলে উপকৃত হবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য ও সহজ হবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ।

    জামশেদপুর-পুরুলিয়া-আসানসোল (চান্ডিল-আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প

    এই প্রকল্পের (Rail Projects) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া এবং বর্ধমানে তৃতীয় লাইন তৈরির কাজ চলবে। এর পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলাতেও এই প্রকল্পের কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১২১ কিলোমিটার লাইন তৈরি হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যও লাভবান হবে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২,১৭০ কোটি টাকা।

    রেলমন্ত্রীর মতে, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে যাত্রীদের যেমন যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে, তেমনি পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সুবিধা হতে চলেছে। যেহেতু দুর্গাপুর-আসানসোল-বার্নপুরে শিল্প হাব রয়েছে, তাই সহজে সেখান থেকে পণ্য নিয়ে আসা যাবে। এছাড়া পর্যটকরাও যথেষ্ট লাভবান হবেন। কারণ ওই অংশের মধ্যেই চুরুলিয়া, মাইথন বাঁধ প্রকল্প এবং কল্যানেশ্বরী মন্দিরের মতো জায়গা রয়েছে।’’

    বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প (Rail Projects)

    ওড়িশার ধানের ভান্ডার বলেই পরিচিত বারগড়। রেলমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই নতুন লাইন তৈরি হওয়ার পরে পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে সহজেই চাল পাঠানো সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে ২৯২৬ কোটি টাকা।’’

    সরডেগা-ভালুমুডা ডাবল লাইন প্রকল্প

    এই প্রকল্প নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওড়িশার সরডেগা এবং ছত্তিশগড়ের ভালুমুডার মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১,৩৬০ কোটি টাকা খরচ হবে। ২৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে। হাওড়া-মুম্বই করিডরের ক্ষেত্রে ঝারসুগুড়া থেকে বিলাসপুর সেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সেকশনে (Rail Projects) এই নতুন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share