Tag: madhyom news

madhyom news

  • Governor CV Bose: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    Governor CV Bose: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুন (RG Kar Rape Murder) এবং তার পরে হামলাকাণ্ডের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Bose)। মমতা, যিনি একইধারে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে, তাঁকে ‘‌জেকিল এবং হাইডের’ সঙ্গে তুলনা করলেন।

    ‘দুর্নীতির আঁতুড়ঘর আরজি কর’

    আরজি কর (RG Kar Rape Murder) হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বলে শুক্রবারই তোপ দাগলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘দুর্নিতীর আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি ওই হাসপাতাল থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি।’’ রাজ্যপাল (Governor CV Bose) এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘জেকিল এবং হাইডের মতো আচরণ করছেন। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) ঘটনায় মুখ্য়মন্ত্রীকে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলাম। পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সংবিধানের ১৬৭ ধারায় রিপোর্টও চেয়েছিলাম। গত পাঁচ বছরে এমন ৩০ চিঠি পাঠিয়েছি। কোনও উত্তর পাইনি। এটা অসাংবিধানিক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অভিযুক্ত ফাঁসি দাও এবং তারপর বিচার চলুক। মুখ্যমন্ত্রী জেকিল এবং হাইডের মতো আচরণ করছেন।’’

    আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে কী বলছেন বোস (Governor CV Bose)

    অন্যদিকে, গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই ব্যাপক দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder)। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের একাধিক ওয়ার্ডে। জরুরি বিভাগও তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি। নার্স-ডাক্তারদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। পুলিশকে ভয়ে লুকোতে হয়। এনিয়েও মমতা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এর মোকাবিলা করতে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও রাজ্যপাল (Governor CV Bose) বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্য বলেন, ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। ওই তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টাও হয়েছে।’’

    পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল

    আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Rape-Murder) পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose)। তাঁর কথায়, ‘‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি আন্দোলনকারীরা সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকে তাঁদের পাশে আছে। আমাদের উচিত তাঁরা যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থা করা। এই মামলায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে। মানুষের মনে সন্দেহ জাগছে, কে পুলিশ আর কে চোর? পুলিশ যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট নই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan SG: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২, গ্রুপে মোহনবাগানের সামনে ইরান, কাতার ও তাজিকিস্তানের ক্লাব

    Mohun Bagan SG: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২, গ্রুপে মোহনবাগানের সামনে ইরান, কাতার ও তাজিকিস্তানের ক্লাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর (AFC Champions League 2) গ্রুপ বিন্যাস সম্পন্ন হল। দেখা যাচ্ছে ওই বিন্যাস অনুযায়ী, মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) রয়েছে গ্রুপ ‘এ’তে, তাদের সামনে রয়েছে ইরানের ট্র্যাক্টর এফসি, কাতারের আল ওয়াকরাহ এফসি এবং তাজিকিস্তানের এফসি রাভশান। প্রসঙ্গত, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে এবার ৩২টা দল অংশ নিচ্ছে। মোট আটটা গ্রুপে দলগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোম ও অ্যাওয়ে নিয়মে খেলা হবে।

    মোহনবাগানের (Mohun Bagan SG) গ্রুপের অন্যতম দল আল ওয়াকরাহকে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে

    গত মরসুমেই আইএসএল লিগ শিল্ড জেতে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড (Mohun Bagan SG)। এরপরেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ খেলার সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করে তারা। গ্রুপে থাকা কাতারের আল ওয়াকরাহ এফসির অধিকাংশ ফুটবলারই বিদেশি, তাদেরই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। মোহনবাগানের গ্রুপের অন্যতম দল আল ওয়াকরাহ ২০২৩-২৪ কাতার স্টার লিগে চতুর্থ স্থানে শেষ করে এবং তারা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ খেলার সুযোগ পায়। ২০০১-০২ মরশুমে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের পর এই প্রথমবার কাতারের এই ক্লাব এশিয়ার মঞ্চে খেলতে নামবে।

    ইস্টবেঙ্গল কেন খেলতে পারল না

    ‘এ’ থেকে ‘ডি’ গ্রুপে রাখা হয়েছে পশ্চিম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ক্লাবগুলিকে। অন্য দিকে ‘ই’ থেকে ‘এইচ’ গ্রুপে রাখা হয়েছে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির ক্লাবগুলিকে। প্রতি গ্রুপের সেরা দু’টি দল উঠবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর থেকেই শুরু হবে নকআউট। প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতায় (AFC Champions League 2) খেলার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলেরও। কিন্তু প্লে-অফে তুর্কমেনিস্তানের অলটিন আসির কাছে ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায় তারা। এরপরেই হাতছাড়া হয়ে যায় এই সুযোগ। ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। এই প্রতিযোগিতার গ্রুপ বিন্যাস হতে পারে আগামী ২২ অগাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘‘টাকা নয়, বিচার চাই’’, মমতা সরকারের আর্থিক সাহায্য ফিরিয়ে দিলেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Case: ‘‘টাকা নয়, বিচার চাই’’, মমতা সরকারের আর্থিক সাহায্য ফিরিয়ে দিলেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারকে ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল মমতা সরকার। সরকারের সেই সাহায্য ফিরিয়ে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আগে মেয়ের বিচার চাই। মেয়ের জীবনের বিনিময়ে টাকা নিলে মেয়েটা খুবই দুঃখ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে (West Bengal Government) বলেছি, বিচার পেলে তখন নিশ্চয়ই নবান্নে গিয়ে টাকা নিয়ে আসব।’’

    পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই (RG Kar Case)

    আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে তদন্তকারী অফিসাররা নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেছেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার টানা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিখিতভাবেও তাঁদের বয়ান নেওয়া হয়। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে তাঁদের কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি মৃতা চিকিৎসকের বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এটা আইনত উচিত নয়, সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনা। এই মামলার সঙ্গে জড়িত কোনও প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে পারব না।’’

    সিবিআইয়ের আশ্বাস  

    সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের (RG Kar Case) তরফ থেকে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ঘটনার পরে ময়নাতদন্ত ছাড়া ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে যে তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছিল, তাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে জানিয়েছে ওই পরিবার। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার বাবা-মা প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশি তদন্ত (West Bengal Government) ঠিকভাবে এগোচ্ছে না। তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে।

    প্রতিবাদে ভরসা পাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    নৃশংসভাবে এমন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে যেভাবে সারাদেশ এবং বিদেশের মানুষও রাস্তায় নেমেছেন, তাতে ভরসা পাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই ব্যাপারে নিহত ছাত্রীর বাবা-মা বলেন, ‘‘এত লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী, এমনকী বিদেশেও মানুষ যেভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তাতে তাঁদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সবাইকে আমার নিজের ছেলেমেয়ের মতো মনে করছি। ভরসাও পাচ্ছি এভাবে পাশে থাকার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    Ramakrishna 109: “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হ্যাঁ, আমি শুনেছি জন্মান্তর আছে। ঈশ্বরের কার্য আমরা ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে কি বুঝব? অনেকে বলে গেছে, তাই অবিশ্বাস করতে পারি না। ভীস্মদেব দেহত্যাগ করবেন, শরশয্যায় শুয়ে আছেন, পাণ্ডবেরা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সব দাঁড়িয়ে। তাঁরা দেখলেন যে, ভীস্মদেবের চক্ষু দিয়ে জল পড়ছে। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে বললেন, ভাই, কি আশ্চর্য! পিতামহ, যিনি স্বয়ং ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, অষ্টবসুর এক বসু, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন। শ্রীকৃষ্ণ ভীস্মদেবকে এ-কথা বলাতে (Kathamrita) তিনি বললেন, কৃষ্ণ, তুমি বেশ জানো, আমি সেজন্য কাঁদছি না! যখন ভাবছি যে, যে পাণ্ডবদের স্বয়ং ভগবান নিজে সারথি, তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই, তখন এই মনে করে কাঁদছি যে, ভগবানের কার্য কিছু বুঝতে পারলাম না।

    কীর্তনানন্দে—ভক্তসঙ্গে

    সমাজগৃহে এইবার সন্ধ্যাকালীন উপসনা হইল। রাত্রি প্রায় সাড়ে আটটা। সন্ধ্যার চারপাঁচ দণ্ডের পর রাত্রী জ্যোৎস্নাময়ী হইল। উদ্যানের বৃক্ষরাজি লতাপল্লব শরচ্চন্দ্রের বিমলকিরণের যেন ভাসিতে লাগিল। এদিকে সমাজগৃহে সংকীর্তন আরম্ভ হইয়াছে। ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নাচিতেছেন। সকলেই ভাবে (Kathamrita) মত্ত, যেন শ্রীভগবানের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছেন! হরিনামের রোল উত্তোরত্তর উঠিতেছে। চারিদিকে গ্রামবাসীরা হরিনাম শুনিতেছেন, আর মনে মনে উদ্যানস্বামী ভক্ত বেণীমাধবকে কতই ধন্যবাদ দিতেছেন।      

    কীর্তনান্তে শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভূমিষ্ঠ হইয়া জন্মগতাকে প্রণাম করিতেছেন। প্রণাম করিতে করিতে বলিতেছেন, ভগবত-ভক্ত-ভগবান, জ্ঞানীর চরণে প্রণাম, সাকারবাদী ভক্তের চরণে, নিরাকারবাদী ভক্তের চরণে প্রণাম; আগেকার ব্রহ্মজ্ঞানীদের ইদানিং ব্রহ্মজ্ঞানীদের চরণে প্রণাম।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    Ramakrishna 110: রাম! একি বলুন দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার প্রাণের ভয়!

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ 

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    তবে দর্শনের পর ভক্তের সাধ হয় তাঁর লীলা কি, দেখি। রামচন্দ্র রাবণবধের পর রাক্ষসপুরী প্রবেশ করলেন; বুড়ী নিকষা দৌড়ে পালাতে লাগল। লক্ষ্মণ বললেন, রাম! একি বলুন (Kathamrita) দেখি, এই নিকষা এত বুড়ী, কত পুত্রশোক পেয়েছে, তার এত প্রাণের ভয়, পালাচ্ছে! রামচন্দ্র (Ramakrishna) নিকষাকে অভয় দান করে সম্মুখে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে নিকষা বললে, রাম এতদিন বেঁচে আছি বলে তোমার এত লীলা দেখলাম। তাই আরও বাঁচার সাধ আছে। তোমার আরো কত লীলা দেখব। (সকলের হাস্য)

    (শিবনাথের প্রতি)—তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করে। শুদ্ধাত্মাদের না দেখলে কি নিয়ে থাকব? শুদ্ধাত্মাদের পূর্বজন্মের বন্ধু বলে বোধ হয়।

    একজন ব্রহ্মভক্ত (Ramakrishna) জিজ্ঞাসা করলেন, মহাশয়! আপনি জন্মান্তর মানেন?

    জন্মান্তর—বহুনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন

    আরও পড়ুনঃ “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    Ramakrishna 108: “এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণন

     যখন রাধাকান্তের গয়না চুরি গেল, সেজোবাবু (রাসমণির জামাই) রাধাকান্তের মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরকে (Ramakrishna) বলতে লাগল, ছি! ঠাকুর! তোমার গয়না রক্ষা করতে পারলে না! আমি সেজোবাবুকে বললাম, “ও তোমার কি বুদ্ধি! স্বয়ং লক্ষ্মী যাঁর দাসী, পদসেবা করেন, তাঁর কি ঐশ্বর্যের অভাব! এ গয়না তোমার পক্ষেই ভারী একটা জিনিস, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে কতগুলো মাটির ড্যালা! ছি! অমন হীনবুদ্ধির কথা বলতে নেই; কি ঐশ্চর্য তুমি তাঁকে দিতে পার? তাই বলি, যাঁকে নিয়ে আনন্দ হয়, তাঁকেই লোকে চায়, তার বাড়ি কোথায়, কখানা বাড়ি, কটা বাগান, কত ধন-জন, দাস-দাসী এ খবরে কাজ কি? নরেন্দ্রকে যখন দেখি, তখন আমি সব ভুলে যাই। তার কোথা বাড়ি, তার বাবা কি করে, তার কটি ভাই এ-সব কথা একদিন ভুলেও জিজ্ঞাসা করি নাই। ঈশ্বরের (Ramakrishna) মাধুর্যরসে ডুবে যাও! তাঁর অনন্ত সৃষ্টি, অনন্ত ঐশ্বর্য! অত খবরে আমাদের কাজ কি।  

    আবার সেই গন্ধর্বনিন্দিত কণ্ঠে সেই মধুরিমাপূর্ণ (Kathamrita) গানঃ

    ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন।

    তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেম রত্নধন।।

    খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজ্‌ খুঁজলে পাবি হৃদয়মাঝে বৃন্দাবন।

    দীপ্‌ দীপ্‌ দীপ্‌ জ্ঞানের বাতি, জ্বলবে হৃদে অনুক্ষণ।।

    ড্যাং ড্যাং ড্যাং ডাঙায় ডিঙে, চালায় আবার সে কোন্‌ জন।

    কুবীর বলে (Kathamrita) শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ ভাব গুরুর শ্রীচরণ।।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    Ramakrishna 107: “কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

                                                                 যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণসপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    অবতারাদি শরীর সমাধি পর—লোকশিক্ষা জন্য

    সমাধিস্থ হবার পর প্রায় শরীর থাকে না। কারু কারু লোকশিক্ষার জন্য শরীর থাকে—যেমন নারদাদির আর চৈতন্যদেবের মতো অবতারদের। কূপ খোঁড়া হয়ে গেলে, কেহ কেহ ঝুড়ি-কোদাল বিদায় করে দেয়। কেউ কেউ রেখে দেয়—ভাবে, যদি পাড়ায় কারুর দরকার হয়। এরূপ মহাপুরুষ জীবের দুঃখে কাতর। এরা স্বার্থপর নয় যে, আপনাদের জ্ঞান হলেই হল। স্বার্থপর লোকের কথা তো জানো। এখানে মোত বললে (Kathamrita) মুতবে না, পাছে তোমার উপকার হয়। এক পয়সার সন্দেশ দোকান থেকে আনতে দিলে চুষে চুষে এনে দেয়। (সকলের হাস্য)

    কিন্তু শক্তিবিশেষ। সামান্য আধার লোকশিক্ষা দিতে ভয় করে। হাবাতে কাঠ নিজে এরকম করে ভেসে যায়, কিন্তু একটা পাখি এসে বসলে ডুবে যায়। কিন্তু নারদাদি (Ramakrishna) বাহাদুরী কাঠ। এ-কাঠ নিজেও ভেসে যায়, আবার উপরে কত মানুষ, গরু, হাতি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

                                                                                                                                                      সপ্তম পরিচ্ছেদ

                                                                                                                      অদৃষ্টপূর্বং হৃষিতোহস্মি দৃষ্টা, ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে।

    তদেব মে দর্শয় দেব রূপং, প্রসীদ দেবশ জগন্নিবাস।।

    গীতা—১১/৪৫/

    ব্রাহ্মসামজের প্রার্থনাপদ্ধতি ও ঈশ্বরের ঐশ্বর্য-বর্ণনা

    পূর্বকথা—দক্ষিণেশ্বরে রাধাকান্তের ঘরে গয়না চুরি—১৮৬৯

    শ্রীরামকৃষ্ণ (শিববাথের প্রতি)হ্যাঁগা, তোমার ঈশ্বরের (Ramakrishna) ঈশ্বর্য অত বর্ণনা কর কেন? আমি কেশব সেনকে ওই কথা বলেছিলাম। এদিন তারা সব ওখানে (কালীবাড়িতে) গিছিল। আমি বললুম, তোমার কিরকম লেকচার দাও, আমি শুনব। তা গঙ্গার ঘাটের চাঁদনিতে সভা হল, আর কেশব বলতে লাগল। বেশ বলল, আমার ভাব হয়ে গিছিল। পরে কেশবকে আমি বললুম, তুমি এগুলো এত বল কেন?—হে ঈশ্বর, তুমি কি সুন্দর ফুল করিয়াছ, তুমি আকাশ করিয়াছ, তুমি সমুদ্র করিয়াছ, এই সব? যারা নিজে ঐশ্বর্য ভালবাসে তারা ঈশ্বরের ঐশ্বর্য বর্ণনা করতে (Kathamrita) ভালবাসে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    Ramakrishna 106: “ঈশ্বরের পথে যত এগুবে ততই কর্ম কমবে, শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    আমার এই অবস্থার পর গঙ্গাজলে তর্পণ করতে গিয়ে দেখি যে, হাতের আঙুলের ভিতর দিয়ে জলে গলে পড়ে যাচ্ছে। তখন হলধারীকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলাম, দাদা, একি হল! হলধারী বললে একে গলিতহস্ত বলে। ঈশ্বরদর্শনের (Ramakrishna) পর তর্পণাদি কর্ম থাকে না।

    সংকীর্তনে প্রথমে বলে নিতাই আমার মাতা হাতি! নিতাই আমার মাতা হাতি! ভাব গাঢ় হলে শুধু বলে হাতি! হাতি তারপর কেবল হাতি এই কথাটি মুখে থাকে। শেষে হা বলতে বলতে ভাবসমাধি হয়। তখন সে ব্যক্তি, এতক্ষণ কীর্তন করছিল, চুপ হয়ে যায়।

    যেমন ব্রাহ্মণভোজনে—প্রথমে খুব হৈ-চৈ। যখন সকলে পাতা সম্মুখে করে বসলে, তখন অনেক হৈ-চৈ কমে গেল, কেবল লুচি আন লুচি আন শব্দ হতে থাকে। তারপর যখন লুচি তরকারি খেতে আরম্ভ করে, তখন আনা শব্দ কমে গেছে। যখন দই এল তখন সুপসুপ (সকলের হাস্য)—শব্দ নাই বললেও হয়। খাবার পর নিদ্রা। তখন সব চুপ।

    তাই বলছি (Kathamrita), প্রথম প্রথম কর্মের খুব হৈ-চৈ থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) পথে যত এগুবে ততই কর্ম  কমবে। শেষে কর্মত্যাগ আর সমাধি।

    গৃহস্থের বউ অন্তঃসত্ত্বা হলে শাশুড়ি কর্ম কমিয়ে দেয়, দশমাসে কর্ম প্রায় করতে হয় না। ছেলে হলে একেবারে কর্মত্যাগ। মা ছেলেটি নিয়ে কেবল নাড়াচাড়া করে। ঘরকন্নার কাজ শাশুড়ী, ননদ, জা—এরা সব করে।

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    Ramakrishna 105: “সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়, পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

    আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা—৩/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    মনের পঞ্চভূমি—কণ্ঠ। মন যার কণ্ঠে উঠছে, তার অবিদ্যা অজ্ঞান সব দিয়ে, ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) কথা বই অন্য কোন কথা শুনতে বা বলতে ভাল লাগে না। যদি কেউ অন্য কথা বলে, সেখান থেকে উঠে যায়।

    মনের ষষ্ঠভূমি—কপাল। মন সেখানে গেলে অহর্নিশ ঈশ্বরীয় দর্শন হয়। তখনও একটু আমি থাকে। সে ব্যক্তি সেই নিরুপম রূপদর্শন করে, উন্মত্ত হয়ে সেই রূপকে স্পর্শ আর আলিঙ্গন করতে যায়, কিন্তু পারে না। যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো আছে, মনে হয় এই আলো ছুঁলাম ছুঁলাম, কিন্তু কাচ ব্যবধান আছে বলে (Kathamrita) ছুঁতে পাড়া যায় না।

    শিরোদেশ—সপ্তভূমি—সেখানে মন গেলে সমাধি হয় ও ব্রহ্মের (Ramakrishna) প্রত্যক্ষ দর্শন হয়। কিন্তু সে-অবস্থায় শরীর অধিক দিন থাকে না। সর্বদা বেহুঁশ, কিছু খেতে পারে না, মুখে দুধ দিলে গড়িয়ে যায়। এই ভূমিতে একুশ দিনে মৃত্যু। এই ব্রহ্মজ্ঞানীর অবস্থা। তোমাদের ভক্তিপথ। ভক্তিপথ খুব ভাল আর সহজ।

    সমাধি হলে কর্মত্যাগ-পূর্বকথা-ঠাকুরের তর্পণাদি কর্মত্যাগ

    আমায় একজন বলেছিলেন (Kathamrita), মহাশয়! আমাকে সমাধিটা শিখিয়ে দিতে পারেন? (সকলের হাস্য)

    সমাধি হলে সব কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়। পূজা-জপাদি কর্ম, বিষয়কর্ম সব ত্যাগ হয়। প্রথমে কর্মের বড় হৈ-চৈ থাকে। যত ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে এগুবে ততই কর্মের আড়ম্বর কমে। এমন কি তাঁর নামগুণগান পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। (শিবনাথের প্রতি) যতক্ষণ তুমি সভায় আসনি তোমার নাম, গুণকথা অনেক হয়েছে। যাই তুমি এসে পড়েছ, অমনি সে-সব কথা বন্ধ হয়ে গেল। তখন তোমার দর্শনেতেই আনন্দ। তখন লোকে বলে, এই যে শিবনাথ বাবু এসেছেন। তোমার বিষয়ে অন্য সব কথা বন্ধ হয়ে যায়।  

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 104: “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    Ramakrishna 104: “যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, মাপবার কি দরকার?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪

    তাই বলছি (Kathamrita), বেদান্ত-দর্শনের বিচারে ব্রহ্ম নির্গুণ। তাঁর কি স্বরূপ, তা মুখে বলা যায় না? কিন্তু যতক্ষুণ তুমি নিজে সত্য, ততক্ষণ জগৎও সত্য। ঈশ্বরের নানারূপও সত্য, ঈশ্বরকে ব্যক্তিবোধও সত্য।

    ভক্তিপথ তোমাদের পথ। এ খুব ভাল—এ সহজ পথ। অনন্ত ঈশ্বরকে (Ramakrishna) কি জানা যায়? আর  তাঁকে জানবারই বা কি দরকার? এই দুর্লভ মানুষ জনম পেয়ে আমার দরকার তাঁর পাদপদ্মে যেন ভক্তি হয়।

    যদি আমার একঘটি জলে তৃষ্ণা যায়, পুকুরে কত জল আছে, এ মাপবার আমার কি দরকার? আমি আধ বোতল মদে মাতাল হয়ে যাই—শুঁড়ি দোকানে কত মন মদ আছে, এ হিসেবে আমার কি দরকার? অনন্তকে জানার দরকারই বা কি?

                     ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    যস্ত্বাত্মরতিরেব স্যাদাত্মতৃপ্তশ্চ মানবঃ।

                 আত্মন্যেব চ সন্তুষ্টস্তস্য কার্যং ন বিদ্যতে।। গীতা/১৭/

    ঈশ্বরলাভের লক্ষণ—সপ্তভূমি ও ব্রহ্মজ্ঞান

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বেদে ব্রহ্মজ্ঞানীর নানারকম অবস্থা বর্ণনা আছে। জ্ঞানপথ—বড় কঠিন পথ। বিষয়বুদ্ধির (Kathamrita)—কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তির লেশমাত্র থাকলে জ্ঞান হয় না। এ-পথ কলিযুগের পক্ষে নয়।

    এই সমন্ধে বেদে সপ্তভূমির (Seven Planes) কথা আছে। এই সাতভূমি মনের স্থান। যখন সংসারের মন থাকে, তখন লিঙ্গ, গুহ্য, নাভি মনের বাসস্থান। মনের তখন ঊর্ধবদৃষ্টি থাকে না—কেবল কামিনী-কাঞ্চনে মন থাকে। মনের চতুর্থভূমি—হৃদয়। তখন প্রথম চৈতন্য (Ramakrishna) হয়েছে। আর চারদিকে জ্যোতিঃ দর্শন হয়। তখন সে ব্যক্তি ঐশ্বরিক জ্যোতিঃ দেখে অবাক্‌ হয়ে বকে, একি! একি! তখন আর নিচের দিকে (সংসারের দিকে) মন যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “পুরাণে আছে বীরভক্ত হনুমানের জন্য তিনি রামরূপ ধরেছিলেন”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share