Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 103: “পুরাণে আছে বীরভক্ত হনুমানের জন্য তিনি রামরূপ ধরেছিলেন”

    Ramakrishna 103: “পুরাণে আছে বীরভক্ত হনুমানের জন্য তিনি রামরূপ ধরেছিলেন”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখা দেন—তিনি সগুণ, আবার তিনি নির্গুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে যে বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্য লোক কেবল তর্ক ঝগড়া করে কষ্ট পায়।  

    কবীর বলত (Kathamrita), নিরাকার আমার বাপ, সাকার আমার মা।

    ভক্ত যে রূপটি ভালবাসে, সেই রূপে তিনি দেখা দেন—তিনি যে ভক্তবৎসল।

    পুরাণে আছে, বীরভক্ত হনুমানের জন্য তিনি রামরূপ ধরেছিলেন।

    কালীরূপ ও শ্যামরূপের ব্যাখ্যা—অনন্তকে জানা যায় না

    বেদান্ত-বিচারের কাছে রূপ-টুপ উড়ে যায়। সে-বিচারের শেষ সিদ্ধান্ত এই—ব্রহ্ম সত্য, আর নামরূপযুক্ত জগৎ মিথ্যা। যতক্ষণ আমি ভক্ত এই অভিমান (Kathamrita) থাকে, ততক্ষণই ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ সম্ভব হয়। বিচারের চক্ষে দেখলে, ভক্তের আমি অভিমান, ভক্তকে একটু দূরে রেখেছেন।

    কালীরূপ (Ramakrishna) কি শ্যামরূপ চৌদ্দ পোয়া কেন? দূরে বলে সূর্য ছোট দেখায়। আছে যাও তখন এত বৃহৎ দেখাবে যে, ধারণা করতে পারবে না। আবার কালীরূপ কি শ্যামরূপ শ্যামবর্ণ কেন? সেও দূরে বলে। যেমন দীঘির জল দূরে থেকে সবুজ, নীল বা কালোবর্ণ দেখায়, কাছে গিয়ে হাতে করে জল তুলে দেখ, কোন রঙই নাই। আকাশ দূরে দেখলে নীলবর্ণ, কাছে দেখ, কোন রঙ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়! ঈশ্বরের স্বরূপ নিয়ে এত মত কেন? কেউ বলে সাকার—কেউ বলে নিরাকার—আবার সাকারবাদী নিকট নানারূপের কথা শুনতে (Kathamrita) পাই। এত গণ্ডগোল কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যে ভক্ত যেরূপ দেখে, সে সেইরূপ মনে করে। বাস্তবিক কোনও গণ্ডগোল নাই। তাঁকে কোনরকমে যদি একবার লাভ করতে পারা যায়, তাহলে তিনি সব বুঝিয়ে দেন। সে পাড়াতেই গেলে না—সব খবর পাবে কেমন করে?

    একটা গল্প শোনঃ

    একজন বাহ্যে গিছিল। সে দেখলে যে গাছের উপর একটি জানোয়ার রয়েছে। সে এসে আর একজনকে বললে, দেখ অমুক গাছে একটি সুন্দর লাল রঙের জানোয়ার দেখে এলাম। লোকটি উত্তর করলে, আমি যখন বাহ্যে গিছিলাম আমিও দেখেছি—তা সে লাল রঙ হতে যাবে কেন? সে জে সবুজ রঙ! আর-একজন বললে (Kathamrita), না না—আমি দেখেছি হলদে! এইরূপে আরও কেউ কেউ বললে, না জরদা, বগুনী, নীল ইত্যাদি। শেষে ঝগড়া। তখন তারা গাছতলায় গিয়ে দেখে, একজন লোক বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি এই গাছতলায় থাকি, আমি সে জানোয়ারটিকে বেশ জানি—তোমার যা যা বলছ, সব সত্য—সে কখন লাল, কখন সবুজ, কখন হলদে, কখন নীল আরও সব কত কী হয়! বহুরূপী। আবার কখন দেখি, কোন রঙই নাই। কখন সগুণ, কখন নির্গুণ।

    অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখা দেন—তিনি সগুণ, আবার তিনি নির্গুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে যে বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্য লোক কেবল তর্ক ঝগড়া করে কষ্ট পায়।

    আরও পড়ুনঃ “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 101: “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    Ramakrishna 101: “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ/)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    আমি কিন্তু যায় না

    আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল (হাস্য)। হাজার বিচার কর, আমি যায় না। তোমার পক্ষে ভক্ত আমি এ-অভিমান ভাল।

    ভক্তের (Ramakrishna) পক্ষে সগুণ ব্রহ্ম। অর্থাৎ তিনি সগুণ—একজন ব্যক্তি হয়ে, রূপ হয়ে দেখা দেন। তিনি প্রার্থনা শুনেন। তোমরা যে প্রার্থনা কর, তাঁকেই কর (Kathamrita)। তোমরা বেদান্তবাদী নও, জ্ঞানী নও—তোমরা ভক্ত। সাকাররূপ মনো আর না মানো, এসে যায় না। ঈশ্বর একজন ব্যক্তি বলে বোধ থাকলেই হল—যে ব্যক্তি প্রার্থনা শুনেন, সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করেন, যে ব্যক্তি অনন্তশক্তি।

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার?

    একজন ব্রাহ্মভক্ত জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিলেন, মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?

    রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, অবশ্য দেখা যায়—সাকাররূপ দেখা যায়, আবার অরূপ দেখা যায়। তা তোমায় বুঝাব কেমন করে?

    ব্রাহ্মভক্ত—কি উপায়ে দেখা যেতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ব্যাকুল হয়ে তাঁর জন্য কাঁদতে পার?

    লোকে ছেলের জন্য, স্ত্রীর জন্য টাকার জন্য একঘটি কাঁদে। কিন্তু ঈশ্বরের জন্য কে কাঁদছে? যতক্ষণ ছেলে চুষি নিয়ে ভুলে থাকে, মা রান্নাবান্না বাড়ির কাজ সব করে। ছেলের যখন চুষি আর ভাল লাগে না—চুষি ফেলে চিৎকার করে কাঁদে, তখন, মা ভাতের হাঁড়ি নামিয়ে দুড়দুড় করে এসে ছেলেকে কোলে লয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    Ramakrishna 100: “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল…যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল”

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ/)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    কিরকম জান? যেন সচ্চিদান্নদ-সমুদ্র-কুল-কিনারা নাই—ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল বরফ হয়ে যায়-বরফ আকারে জমাট বাঁধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে, কখন কখন সাকার রূপ ধরে থাকেন। জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না।–তাঁর রূপও দর্শন হয় না। কি তিনি মুখে বলা (Kathamrita) যায় না। কে বলবে? তিনিই নাই। তাঁর আমি আর খুঁজে পান না।

    বিচার করতে করতে আমি-টামি আর কিছুই থাকে না। পেঁয়াজের প্রথমে লাল খোসা। তুমি ছাড়ালে, তারপর সাদা পুরু খোসা। এইরূপ বরাবর ছাড়াতে ছাড়াতে ভিতরে কিছু খুঁজে পান না।

    সেখানে নিজের আমি খুঁজে পাওয়া যায় না—আর খুঁজেই বাঁ কে?—সেখানে ব্রহ্মের স্বরূপ (Ramakrishna) বোধে বোধ কিরূপ হয়, কে বলবে!

    একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল। সমুদ্রে যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল। তখন খবর কে দিবেক?

    পর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ—পূর্ণ জ্ঞান হলে মানুষ চুপ হয়ে যায়। তখন আমি রূপ লুনের পুতুল সচ্চিদানন্দরূপ সাগরে গলে এক হয়ে যায়, আর একটুও ভেদবুদ্ধি থাকে না।

    বিচার করা যতক্ষণ না শেষ হয়, লোকে ফড়ফড় করে তর্ক করে। শেষ হলে চুপ হয়ে যায়। কলসী পূর্ণ হলে, কলসীর জল পুকুরের জল এক হলে আর শব্দ থাকে না। যতক্ষণ না কলসী পূর্ণ হয় ততক্ষণ শব্দ। আগেকার লোকে বলত (Kathamrita), কালাপানিতে জাহাজ গেলে ফেরে না।

    আমি কিন্তু যায় না

    আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল (হাস্য)। হাজার বিচার কর, আমি যায় না। তোমার পক্ষে ভক্ত আমি এ-অভিমান ভাল।

    আরও পড়ুনঃ “জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    RG Kar Hospital: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি-বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, আঁচ দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape-Murder Incident) ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের (State Government Hospital) জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, খাস কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে দিল্লিতেও। এই ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।

    অন্যদিকে, চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও এমন ঘটনায় (RG Kar Hospital) উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।  এর পাশাপাশি, মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে এমন দাবিও করেছে তারা। এরই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন’ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে এবং চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

    নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস ঘটনা (RG Kar Hospital)

    পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মধ্যে কলকাতা সমেত জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এদিন দিনভর প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে। আন্দোলনকারী (Doctor Rape-Murder Incident) ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদর সাফ কথা, ‘‘আমরা রাত জেগে রোগীদের জীবন রক্ষা করব, অথচ আমাদের নিজেদের জীবনের কোনও সুরক্ষা থাকবে না? আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার।’’

    কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি (Doctor Rape-Murder Incident)

    নৃশংস এই ঘটনায় (RG Kar Hospital) ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না তাঁরা। কলকাতা থেকে জেলা সর্বস্তরে চিকিৎসকদের হাতে এদিন রয়েছে পোস্টার, তাতে লেখা ‘বিচার চাই’। কলকাতা মেডিকেল কলেজেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Doctor Rape-Murder Incident)। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, শিশু মঙ্গল হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও নীলরতন সরকার হাসপাতালেও। সর্বত্র প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে।

    নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা

    কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর পরিবার-পরিজনদের এদিন সাফ জানিয়ে দেন যে, তাঁরা কোনও রকমের চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন না। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে রাতে, সেই সঙ্গে মৃত তরুণীর (RG Kar Hospital) জন্য উপযুক্ত তদন্ত ও অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও হাতে পোস্টার হাতে বসে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    অন্যদিকে, শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ-কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন (Doctor Rape-Murder Incident)। তাঁদের হাতেও রয়েছে পোস্টার। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নিয়ম আরও কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন শিশুমঙ্গল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি, তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দোষী বা দোষীদের। এছাড়া,  সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এনআরএস-এর জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি-বিক্ষোভ অবস্থানে (RG Kar Hospital) নিজেদের নিরাপত্তা ও ঘটনার দোষী বা দোষীদের কঠোর সাজা দাবি করছেন।

    জেলাগুলিতেও চলছে প্রতিবাদ-কর্মবিরতি 

    অন্যদিকে জেলার হাসপাতালগুলিতেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। প্রতিবাদ-কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সর্বত্র। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বহির্বিভাগও বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কমবেশি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের বক্তব্য একই, দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে এবং কঠোর সাজা (RG Kar Incident) দিতে হবে। একইসঙ্গে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    কী বলছেন জেলার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘ডাক্তারদের মারধর, অসম্মান এত দিন আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, বহির্বিভাগের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা খোলা আছে। আমরা বিচার চাই।’’ তবে এমন আন্দোলনের প্রভাব দেখা গিয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাতেও। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে কোথাও জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি।

    কী বলছেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসরা? 

    আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের কথায়, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই এখানে। গত দিনের ঘটনার পর আমরা ভয়ে আছি। আমাদের পরিবার চিন্তায় আছেন। আমাদের এক জনকে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলে দেওয়া হল। তার পরেও কীভাবে আমরা এই হাসপাতালে কাজ করব?’’ অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে যা হয়েছে, আগামী দিনে তা আমার সঙ্গেও হতে পারে। আমরা এখানে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে, দোষীদের কঠোর শাস্তি না হলে আমরা কাজে ফিরব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    Jhulan Yatra 2024: এ বছর ঝুলনযাত্রা কবে? কেন পালিত হয় এই উৎসব? জানুন কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের (Hindu Dharma) অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব হল ঝুলন যাত্রা (Jhulan Yatra 2024)। এই উৎসব প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে পালিত হয়। ইংরেজি মাস হিসেবে দেখলে জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই পড়ে ঝুলন যাত্রা। কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণবদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব মনে করা হয় ঝুলন যাত্রাকে। ঝুলন উৎসব পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয় তাই একে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের একাদশী তিথি থেকে রাখিপূর্ণিমা — এই পাঁচ দিন ধরে ঝুলনযাত্রা পালন করা হয়। দোলযাত্রা এবং জন্মাষ্টমীর মতোই কৃষ্ণ ভক্তরা এই উৎসবে প্রভুর বন্দনায় মেতে ওঠেন। ২০২৪ সালের ঝুলন যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শ্রাবণ শুক্রবার। ইংরেজি তারিখ হিসেবে ১৬ অগাস্ট।

    হিন্দু বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024) পালন করেন

    দেশজুড়েই পালিত হয় এই উৎসব (Jhulan Yatra 2024)। এর মধ্যে মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী ও মায়াপুর- ঝুলন যাত্রার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। ঝুলন যাত্রাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের পা পড়ে মথুরা-বৃন্দাবন-পুরী-মায়াপুরে। বৃন্দাবনের মধ্যে শ্রী রূপ-সনাতন গৌড়ীয় মঠ, বাঁকেবিহারী মন্দির এবং রাধারমণ মন্দির, মথুরার দ্বারকাধীশ মন্দির, পুরীর গৌড়ীয় মঠ, ইস্কন মন্দির, গোবর্ধন পীঠ, শ্রী রাধা কান্ত মঠ, শ্রী জগন্নাথ বল্লভ মঠ এবং মায়াপুরের ইসকন প্রভৃতি স্থানে এই উৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। দোলনায় অধিষ্ঠিত করা হয় রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। ভক্তরা কৃষ্ণ বন্দনায় মেতে ওঠেন। তবে শুধুমাত্র মন্দিরেই নয়, এর পাশাপাশি হিন্দু (Hindu Dharma) বাড়িগুলিতেও রাধাকৃষ্ণের ভক্তরা, এই উৎসব পালন করেন। দুই মূর্তিকে সাজিয়ে পুজো করা হয়। প্রতি পাড়াতেই হিন্দু বালক-বালিকারা এদিন রাধাকৃষ্ণের বেশে সেজে ওঠে।

    শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরালে মিলবে শুভ ফল

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শুধুমাত্র মায়াপুরই নয়, এর পাশাপাশি নবদ্বীপ ও শান্তিপুরেও ঝুলনযাত্রা বড় করেই পালিত হয়। ঝুলন যাত্রায় (Jhulan Yatra 2024) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে কিশোর বয়স পর্যন্ত পৌরাণিক ঘটনাগুলিকে পুতুল দিয়ে সাজানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, ঝুলন উৎসবে রাধার সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণকে দোলনায় অধিষ্ঠিত করলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কলকাতার বরানগরের পাটবাড়ি আশ্রম ও বউ বাজারের বিখ্যাত রামকানাই অধিকারীর বাড়িতে ঝুলনযাত্রা উৎসব দেখার জন্য প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, ঝুলন যাত্রার বিশেষ দিনে শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ রঙের বস্ত্র পরিয়ে, হলুদ মিষ্টি, হলুদ ফল, হলুদ ফুল সহযোগে পুজো করলে বিশেষ সুফল মেলে। এর পাশাপাশি ঝুলন যাত্রার উৎসবে ময়ূরের পালক কিনে তা ভগবানের পাশে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি শুভ ফল পাওয়া যায়।

    ঝুলন যাত্রার কেন পালিত হয়? বৈষ্ণব শাস্ত্রের কাহিনী জানুন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন, যুগ যুগ ধরেই ঝুলন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে আবির্ভূত হয়েছিলেন। বৃন্দাবনে থাকাকালীন তিনি নানা লীলা করেন। কিশোর শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারানির প্রেমের অংশই হল ঝুলন যাত্রা উৎসব।

    এই নিয়ে একটি কাহিনীও বৈষ্ণবদের শাস্ত্র অনুযায়ী প্রচলিত রয়েছে। একবার ব্রজের গোপীরা সেজেগুজে কুঞ্জবনে এসেছিলেন, সেখানে তাঁরা রাধা ও কৃষ্ণকে দোলনায় দোল খাওয়াবেন বলে সমবেত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সেদিন রাধাকে নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। বৈষ্ণব শাস্ত্র অনুযায়ী, ঐদিন গোপীরা কোনওভাবেই বুঝতে পারছিলেন না, কোনটা রাধা আর কোনটা কৃষ্ণ! দুজনকেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলেন আবার কখনও দুজনকেই রাধা হিসেবে দেখছিলেন। এভাবেই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণকে রাধা মনে করে তাঁকেই দোলনার কাছে নিয়ে যান। রাধা ভেবে গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন যে, তাঁর চেহারা এমন পুরুষের মতো কীভাবে হল? কথিত আছে, সেসময় শ্রীকৃষ্ণ রাধার কণ্ঠে জবাব দিয়েছিলেন যে, তাঁর ওপর মন্ত্রপূত জল ফেলে শ্রীকৃষ্ণ এরকম পুরুষালী চেহারা করে দিয়েছেন, তিনি আসলে রাধা। বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে, এরপরেই গোপীদের একে একে আড়ালে নিয়ে যেতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁদের বোঝাতে থাকেন, তিনি রাধা নন। আবার যোগমায়া বলে গোপীদের সেসব কথা তিনি ভুলিয়েও দেন। এরপরে জানা যায়, রাধা গোপীদের শ্রীকৃষ্ণের (Jhulan Yatra 2024) ছলনা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। গোপীদের ভুল ভেঙেছিল এর ফলে। তারপর একে একে সমস্ত সখীরা, রাধাকৃষ্ণকে দোলনায় বসিয়ে দোল খাইয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু ঝুলনযাত্রা। সাধারণভাবে ঝুলনে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে দোল খাওয়ানোর রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Railway Projects: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    Railway Projects: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটটি বড় রেল প্রকল্পের (Railway Projects) অনুমোদন দিল মোদি সরকার (Modi Government)। জানা গিয়েছে, প্রকল্পগুলি দেশের সাতটি রাজ্যের ১৪টি জেলাতে বাস্তবায়িত হবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক (Modi Cabinet) এবং সেখানেই আটটি বড় রেল প্রকল্পকে (Railway Projects) অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পগুলিতে মোট খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি টাকা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক বিবৃতিতে সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন। অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান, এর ফলে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণের কাজও যেমন হবে, তেমনই যাত্রী পরিষেবা আরও উন্নত হবে।

    কোন কোন রাজ্যে হবে এই প্রকল্প (Railway Projects)? 

    জানা গিয়েছে, এই রেলওয়ে প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলি হল— ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, তেলঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গ। এর ফলে ভারতের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক আরও ৯০০ কিলোমিটার বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। আটটি এই বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৬৪টি নতুন স্টেশনে গড়ে উঠবে এবং এর ফলে যুক্ত হতে পারবেন ৫১০টি গ্রামের প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ, একথা জানিয়েছে কেন্দ্র (Modi Cabinet)। ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অজন্তা গুহা যা কিনা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পেয়েছে, তাও এবার জুড়বে রেলওয়ে প্রকল্পের (Railway Projects) মাধ্যমে।

    প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩২.২০ কোটি লিটার জ্বালানি বেঁচে যাবে

    মোদি সরকারের (Modi Government) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে রাজ্যগুলিতে এই প্রকল্প শুরু হতে চলেছে সেগুলি পণ্য সামগ্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে এবং কৃষিভিত্তিক পণ্যের সরবরাহের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, এই সমস্ত রাজ্যগুলি দিয়েই কয়লা, সার, লোহা, স্টিল, সিমেন্ট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার সরবরাহ হয়। এর পাশাপাশি, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় রেল (Railway Projects) হল পরিবেশবান্ধব একটি যোগাযোগের মাধ্যম। এর পাশাপাশি, উন্নত ও দ্রুতগামী যাতায়তের মাধ্যমও বটে। রেলের এই প্রকল্পগুলির (Railway Projects)  মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা যেমন সহজ হবে তেমনই পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র (Modi Cabinet)। আরও জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ৩২.২০ কোটি লিটার জ্বালানি বেঁচে যাবে এবং এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন ০.৮৭ মিলিয়ন টন কমবে, যা সাড়ে তিন কোটি বৃক্ষরোপণের সমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Aman Sehrawat: অলিম্পিক্স থেকে এল আরও একটি পদক, কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতলেন আমন

    Aman Sehrawat: অলিম্পিক্স থেকে এল আরও একটি পদক, কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতলেন আমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) থেকে ভারত আরও একটি ব্রোঞ্জ নিয়ে এল। শুক্রবার কুস্তিতে দেশকে প্রথম পদক এনে দিলেন আমন শেরাওয়াত (Aman Sehrawat)। পুরুষদের ৫৭ কেজির ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে আমন পরাস্ত করেন পুয়ের্তো রিকোর দারিয়ান তোই ক্রুজকে। ১৩-৫ পয়েন্টে জেতেন আমন।

    শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী (Aman Sehrawat)

    আমনের (Aman Sehrawat) এমন সাফল্যে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘আমনের এমন সাফল্য পুরো দেশ উদযাপন করছে।’’

    অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিনিও এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘ পুরো দেশ তোমার সাফল্যে গর্বিত।’’

    মাত্র ১১ বছর বয়সেই নিজের বাবা-মাকে হারান আমন

    জানা যায়, হরিয়ানার প্রত্যন্ত বিরহার গ্রামে জন্ম আমনের। ছোট থেকেই তিনি স্থানীয় আখড়াতে কুস্তি লড়তেন। ২০১২ সালে সুশীল কুমারকে তিনি লন্ডন অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) পদক জিততে দেখেন। এরপরেই প্রথমবার কুস্তির ম্যাটে নামার ইচ্ছা হয় আমনের। আজও পর্যন্ত সুশীল কুমারকেই তিনি নিজের গুরু বলে মানেন। জানা যায়, মাত্র ১০ বছর বয়সেই আমন দিল্লির ছত্রসল স্টেডিয়ামে ভর্তি হয়ে যান। তবে আমনের ব্যক্তিগত জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই তিনি তাঁর বাবা-মাকে হারান। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১১।

    কুস্তিই হয়ে ওঠে ধ্যান-জ্ঞান

    নিজের দাদুর কাছেই আমন (Aman Sehrawat) এর পরবর্তীকালে বড় হন। আঁকড়ে ধরেন কুস্তিকে। সাফল্য মিলতে শুরু করে ২০২১ সাল থেকেই। প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন তিনি। ২০২২ সালেও অনূর্ধ-২৩ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন আমন। এরপর ২০২৩ সালে এশিয়া কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেন আমন। আবার চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া জাগ্রেভ ওপেন কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জেতেন (Paris Olympics 2024) তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 99: “জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না”

    Ramakrishna 99: “জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতিৎ ত্বয্যুপপদ্যতে

         ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।

    গীতা—২/৩/

    বৈদ্যের মতো আচার্যও (Ramakrishna) তিনপ্রকার। ধর্মোপদেশ দিয়ে শিষ্যদের আর কোন খবর লয় না–সে আচার্য অধম। যিনি শিষ্যদের মঙ্গলের জন্য তাদের বরাবর বুঝান, যাতে তারা উপদেশগুলি (Kathamrita) ধারণা করতে পারে, অনেক অনুনয়-বিনয় করেন, ভালোবাসা দেখান– তিনি মধ্যম থাকের আচার্য। আর যখন শিষ্যেরা কোনও মতে শুনছে না দেখে কোন আচার্য জোর পর্যন্ত করেন, তাঁরে বলি উত্তম আচার্য।

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    যতো বাচো নিবর্তন্তে। অপ্রাপ্য মনসা সহ।

    (তৈত্তিরীয় উপনিষদ—২/৪)

    ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না

    একজন ব্রাহ্মভক্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, ঈশ্বর সাকার না নিরাকার?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁর ইতি করা যায় না। তিনি নিরাকার আবার সাকার। ভক্তের জন্য তিনি সাকার। যারা জ্ঞানী অর্থাৎ জগৎকে যাদের স্বপ্নবৎ মনে হয়েছে, তাঁদের পক্ষে তিনি নিরাকার। ভক্ত জানে আমি একটি জিনিস, জগৎ একটি জিনিস। তাই ভক্তের কাছে ঈশ্বর ব্যক্তি হয়ে দেখা দেন। জ্ঞানী—যেমন বেদান্তবাদী—কেবল নেতি নেতি বিচার করে। বিচার করে জ্ঞানীর বোধে বোধে হয় যে, আমি মিথ্যা, জগৎও মিথ্যা—স্বপ্নবৎ। জ্ঞানী ব্রহ্মকে বোধ বোধ করে। তিনি যে কি, মুখে বলতে পারে না।

    কিরকম জান? যেন সচ্চিদানন্দ-সমুদ্র-কুল-কিনারা নাই—ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল বরফ হয়ে যায়-বরফ আকারে জমাট বাঁধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে, কখন কখন সাকার রূপ ধরে থাকেন। জ্ঞান সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না।–তাঁর রূপও দর্শন হয় না। কি তিনি মুখে বলা (Kathamrita) যায় না। কে বলবে? তিনিই নাই। তাঁর আমি আর খুঁজে পান না।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    Ramakrishna 98: “তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতিৎ ত্বয্যুপপদ্যতে

      ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।

    গীতা—২/৩/

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তির তমঃ যার হয়, তার বিশ্বাস জ্বলন্ত। ঈশ্বরের কাছে সে রূপ ভক্ত জোর করে। যেন ডাকাতি করে ধন কেড়ে লওয়া। মারো কাটো বাঁধো! এইরূপ ডাকাত-পড়া ভাব।

    ঠাকুর ঊর্ধব দৃষ্টি, তাঁহার প্রেমরসাভিসিক্ত কণ্ঠে গাহিতেছেনঃ (Kathamrita)

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায়।

    কালী কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায়।।

    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়।

    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফেরে, কভু সন্ধি নাহি পায়।।

    দয়া ব্রত দান আদি, আর কিছু না মনে লয়।

    মদনের যাগযজ্ঞ, ব্রহ্মময়ীর রাঙা পায়।।

    কালীনামের এত গুণ, কেবা জানতে পারে তায়।

    দেবাদিদেব মহাদেব, যাঁর পঞ্চমুখে গুণ গায়।।

    ঠাকুর ভাবোন্মত্ত, যেন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া গাহিতেছেনঃ

    নামমাহাত্ম্য ও পাপ—তিন প্রকার আচার্য

    আমি দুর্গা দুর্গা বলে মা যদি মরি।

    আখেরে এ-দীনে, না তারো কেমনে, জানা (Kathamrita) যাবে গো শঙ্করী।

    কি! আমি তাঁর না করেছি—আমার আবার পাপ! আমি তাঁর ছেলে। তাঁর ঐশ্বর্যের অধিকারী! এমন রোখ হওয়া চাই!

    তমোগুণকে মোড় ফিরিয়ে দিলে ঈশ্বরলাভ (Ramakrishna) হয়। তাঁর কাছে জোর কর, তিনি তো পর নন, তিনি আপনার লোক। আবার দেখ, এই তমোগুণকে পরের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা যায়। বৈদ্য তিনপ্রকার। উত্তম বৈদ্য, মধ্যম বৈদ্য, অধম বৈদ্য। যে বৈদ্য এসে নাড়ী টিপে ঔষধ খেও হে এই কথা বলে চলে যায়, সে-অধম বৈদ্য—রোগী খেলে কিনা এ-খবর সে লয় না। যে বৈদ্য রোগীকে ঔষধ খেতে অনেক করে বুঝায়—যে মিষ্ট কথাতে বলে, ওহে ঔষধ না খেলে কেমন করে ভাল হবে। লক্ষ্মীটি খাও, আমি নিজে ঔষধ মেড়ে দিচ্ছি খাও—সে মধ্যম বৈদ্য। আর যে বৈদ্য, রোগী কোনও মতে খেলে না দেখে বুকে হাঁটু দিয়ে, জোর করে ঔষুধ খাইয়ে দেয়—সে উত্তম বৈদ্য। এই বৈদ্যের তমোগুণ, এ-গুণে রোগীর মঙ্গল হয়, অপকার হয় না।

     

    আরও পড়ুনঃ “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share