Tag: madhyom news

madhyom news

  • Rahul Gandhi: “কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বদলে দেবে রাম মন্দিরের রায়” দাবি আচার্যের

    Rahul Gandhi: “কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বদলে দেবে রাম মন্দিরের রায়” দাবি আচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram mandir Ayodhya) রায় বদলে ফেলতে চান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ। আচার্য প্রমোদ (Acharya Pramod Krishnam) আগে কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর দাবি তাঁর কাছে রাহুলের হাড়ির খবর আছে। বহিষ্কৃত এই কংগ্রেস (Congress) নেতার দাবি, “রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দিরের রায় বাতিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তিনি একটি সুপার পাওয়ার কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাম মন্দিরের রায় বদলে ফেলতে চান। ঠিক যেমন তাঁর পিতা শাহ বানো মামলার রায় বদলে দিয়েছিলেন।”

     রাম মন্দিরের রায়কে উল্টে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা

    সংবাদ সংস্থা এনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ বলেন, “কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দিরের রায়কে বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” আচার্যের দাবি, “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং তাঁর আমেরিকায় বসবাসরত ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা সুপার পাওয়ার কমিশন গঠন করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণের রায়কে উল্টে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।  ঠিক যেভাবে তার পিতা প্রয়াত রাজীব গান্ধি শাহবানো মামলার শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে উল্টে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই পরিকল্পনা করেছেন রাহুল। কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে রাম মন্দিরকে সুপার পাওয়ার কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রথমে অবৈধ ঘোষণা ও পরে ধ্বংস করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে।”

    “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ 

    প্রসঙ্গত ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ইন্দোরের একজন মুসলিম মহিলা শাহবানোর পক্ষে রায় দিয়েছিল, যিনি বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ভরণ-পোষণ চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার মুসলিম ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখে একটি আইনের মাধ্যমে সেই রায়কে বাতিল করে দেন। বিজেপি বরাবর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ এনেছে। এদিন সাক্ষাৎকার পর্বে চলাকালীন রাধিকা খেড়ার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ দাবি করেন, “৪ জুনের মধ্যে অনেক রাম ভক্ত, সনাতনী এবং দেশপ্রেমিক মানুষ কংগ্রেস ত্যাগ করবেন। কারণ তাঁরা ওই দলে থাকতে পারবেন না। এই মুহূর্তে একটি দীর্ঘতালিকা রয়েছে, যারা ৪ জুনের মধ্যে দল ছাড়তে প্রস্তুত। কারণ যারা দেশের কথা বলে তাঁরা কংগ্রেসে থাকতে পারবে না। যারা পাকিস্তানের গান গায়, তাঁরাই কংগ্রেসে থাকবে, এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)  প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ইমরান খানের সরকারের ক্যাবিনেটে থাকা পাকিস্তানি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: “প্রথম ১০০ দিনেই ধামাকা”! তৃতীয় বারের রোড ম্যাপ ঘোষণা মোদির

    Narendra Modi: “প্রথম ১০০ দিনেই ধামাকা”! তৃতীয় বারের রোড ম্যাপ ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪ জুন জানা যাবে ভারতের মসনদে কে বসবে। যদিও এখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। তাই আগামী ১০০ দিনের রোড ম্যাপ তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। মোদি জানিয়েছেন তার তৃতীয় টার্মে প্রথম ১০০ দিনের রোড ম্যাপে রয়েছে একাধিক বড় ও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

    মোদির সাক্ষাৎকার

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “আমি এখনই আগামী টার্মের প্রথম ১০০ দিনের কী কী কাজ করব তা ঠিক করে ফেলেছি। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় সিদ্ধান্ত। আমি চাই না দেশ সিদ্ধান্তহীনতার কাছে কারণে পিছিয়ে পড়ুক। অতীতের সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে দোটানার ফলে  দেশের মানুষ অনেক ভুগেছে রাজনীতি। রাজনীতি রাজনীতির জায়গা থাকবে। কিন্তু দেশ যেন সব সময় এগিয়ে যায়।” ৪ জুনের জনের পর সরকার কী করবে তা এখন থেকেই ঠিক করা হয়ে গিয়েছে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির স্মৃতিচারণ (Narendra Modi)

    “আমি আগে পরিকল্পনা করি। তাঁর পর কাজ করতে পছন্দ করি। কোন কাজ কীভাবে করব তা আগে থেকে ভেবে নেওয়া আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে গেছে। কাজ করার সময় ভাবনাচিন্তা আমার অভ্যাসে নেই। এটা ঈশ্বর প্রদত্ত আমার প্রবৃত্তি। যখন গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখনও এভাবেই কাজ করেছি। ২০১৪ তেও আমার কাছে পরিকল্পনা ছিল। ২০১৯ এও ছিল। আপনারা যদি আমার অতীতের সিদ্ধান্ত গুলি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন। তিন তালাক তুলে দেওয়া হোক কিংবা ৩৭০ ধারা মুছে ফেলা। বড় বড় সমস্যা নিয়ে কাজ করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে সমস্যার সমাধান করা এটাই আমার কর্মপদ্ধতি।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার চলাকালীন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    ১০০ দিনের রোড ম্যাপ

    পর পর দুবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আরও জানান তিনি খুব ভেবে চিন্তে কিন্তু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন। ৪ জুনের পরও ১০০ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি তৈরি আছেন। কারণ তিনি চান না ভোটের কারণে সরকারের কাজকর্মে যেটুকু প্রতিবন্ধকতা এসেছে তা ৪ জুনের পর যেন না আসে। অতীতে জোট সরকারের সময় দেখা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার ফলে সরকারের কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। বহু সিদ্ধান্ত দেশের পক্ষে হলেও আটকেছে জোট রাজনীতির বেড়াজালে। বহু দেশের পক্ষে ভাল এমন সিদ্ধান্ত নিতেও সরকার পিছপা হয়েছে। অটল বিহারি বাজপেয়ীর সময় বিজেপি দেশের ও দশের কথা ভেবে বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জোট সরকার থাকাকালীন তখনও বহু সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারেনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় অটল বিহারী বাজপেয়ী জোট সরকারের প্রতিবন্ধকতার কথা তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব বহুবার বলেছেন। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, একদিন এমন সরকার আসবে যে রামমন্দির করবে। ৩৭০ (Article 370) ধারা তুলে দিতে ভয় পাবে না। সঙ্খ্যাগরিষ্ঠতা বেড়াজালে আটকে থাকার চিন্তা না করে দেশের পক্ষে কাজ করবে ওই সরকার। ঠিক সেই কাজ করে দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    অতীতের সরকার থেকে শিক্ষা

    ২০১৪ এবং ২০১৯ এ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করেছে। যার ফল পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর সরকার পিছপা হয়নি। এর মাঝে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের জুটি যেভাবে দেশের কথা ভেবে বহু বিল নিজের রাজনৈতিক দক্ষতায় পাস করিয়ে নিয়েছেন। তা যথেষ্ট বাহবা পাওয়ার যোগ্য। বিশেষ করে ৩৭০ ধারা বিলোপ রাজ্য সভায় প্রথমে এনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই পাস করিয়ে নিয়ে কামাল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দোসর অমিত শাহ (Amit Shah) । যদিও তৃতীয়বার সরকারে এসে সমান নাগরিক সংহিতা লাগু (Uniform Civil Code) করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না সেই বিষয়টি সতর্কভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন সমান নাগরিক সংহিতা (UCC) বিজেপি কিংবা মোদি (Narendra Modi) কারও এজেন্ডায় নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hybrid Pitch: ধর্মশালায় তৈরি হল দেশের প্রথম হাইব্রিড ক্রিকেট পিচ! নয়া প্রযুক্তিতে কার লাভ?

    Hybrid Pitch: ধর্মশালায় তৈরি হল দেশের প্রথম হাইব্রিড ক্রিকেট পিচ! নয়া প্রযুক্তিতে কার লাভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মশালা মাঠে বসল হাইব্রিড পিচ। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল জাঁকজমক করে। হাইব্রিড পিচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমল, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা আইসিসি কর্তা পল টেলার সহ ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের একাধিক নামি ব্যক্তিত্ব।

    হাইব্রিড পিচ আসলে কী?

    ৫ শতাংশ সিন্থেটিক ফাইবারের সঙ্গে আসল ঘাস মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পিচ। এর উদ্দেশ্য, টানা বর্ষা কিংবা টানা খেলা হলে যাতে পিচের চরিত্র বদলে না যায়। আইসিসির অনুমোদন নিয়েই এই ধরনের পিচ ব্যবহার হচ্ছে। ধর্মশালা স্টেডিয়াম প্রসঙ্গ পাঞ্জাব কিংসের হোম গ্রাউন্ড। ৯ মে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এই মাঠেই খেলা রয়েছে। সেদিন হাইব্রিড পিচে খেলায় কী তফাৎ তা বোঝা যাবে।

    ক্রিকেট প্রশাসকের বক্তব্য

    আইপিএল চেয়ারম্যান আনন্দ ধুমল জানিয়েছেন, “ইংল্যান্ডে  লর্ডস এবং ওভাল স্টেডিয়ামে হাইব্রিড পিচে আগেও খেলা হয়েছে। এবং কোন সমস্যা আসেনি। এই দুটি মাঠে সাফল্যের পর এবার ভারতেও হাইব্রিড পিচের ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। প্রাকৃতিক টার্ফ এবং কৃত্রিম ফাইবার মিশিয়ে হাইব্রিড পিচ তৈরি করা হয়। এর ফলে যারা মাঠ তৈরি করেন তাদের উপর চাপ কমবে। একই সঙ্গে খেলার পরিস্থিতি বৃষ্টি হওয়ার পরেও অনেকটাই সমান থাকবে। ফলে বৃষ্টির পর পিচের চরিত্র কম বদলাবে। বৃষ্টির পর পিচ স্লো হওয়ার সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। বর্তমানে বৃষ্টির পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিচে বোলার ও ব্যাটসম্যান উভয়ের কিছু অসুবিধা হয়। সাধারণত বোলিং টিম অতিরিক্ত সুবিধা পায়। অনেক ক্ষেত্রেই একটি টিম বাড়তি অসুবিধা কিংবা সুবিধা পেয়ে যায় এই ধরনের অভিযোগ ওঠে।  হাইব্রিড পিচে এই অভিযোগ কমবে।

    কবে থেকে এই পিচের ব্যবহার শুরু

    জানা গিয়েছে ২০১৭ সালে এসআইএস গ্রাস এবং ইউনিভার্সাল মেশিন সংস্থার মাধ্যমে এই ধরনের পিচ তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের মাঠগুলিতে এই পিচ ব্যবহার করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচে হাইব্রিড পিচ ব্যবহার করার স্বীকৃতি দিয়েছে। চার দিনের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপেও এই পিচ ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা নতুন প্রযুক্তি এবং নতুনত্বের ব্যবহারে কখনওই বাধা হয়নি। রিভিউ প্রথা ফুটবলে ব্যবহারের অনেক আগে থেকে ক্রিকেটে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে এই হাইব্রিড পিচের ব্যবহারেও ক্রিকেট সংস্থাগুলির তরফে কোন ধরনের রক্ষণশীলতা নেই।

    কারা তৈরি করে হাইব্রিড পিচ

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে অবস্থিত এসআইএস গ্রাস নামে একটি সংস্থা এই ধরনের পিচ তৈরি করে থাকে। তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে বহু মাঠে এই পিচ তৈরি করেছে। হাইব্রিড পিচে আর্দ্রতা এবং ঘাসজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আয়োজক যে ধরনের পিচ চাইবেন ঠিক সেই ধরনের পিচ তৈরি করা সম্ভব।

    টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    হাইব্রিড পিচে অতিরিক্ত স্পিন ও বাউন্স পাওয়া যাবে

    হাইব্রিড পিচে অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া যায় যা বোলারদের সাহায্য করবে। বর্তমানে যে ধরনের বল ব্যবহার হয় তাতে ভারতীয় পরিস্থিতিতেও স্পিন কম হয়। কিন্তু হাইব্রিড স্পিন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবে না। স্পিনারদের সোনালি দিন ফিরে আসবে হাইব্রিডের পিচের সৌজন্যে। সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে তিন জন রেগুলার এবং আরো দুই থেকে তিনজন পার্ট টাইম স্পিনার খেলানোর চল ছিল। হাইব্রিড পিচে স্পিনারদের গুরুত্ব বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাইব্রিড পিচে গ্রাউন্ড স্টাফদের নিজের মত পিচ তৈরি করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    Mosquito Bites: মশা তাড়াতে আর দাগতে হবে না কামান, এই নিয়ম মেনে চললেই কেল্লা ফতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে প্রচণ্ড গরম। ঘন ঘন লোডশেডিং। রাতে ঘুমের দেখা নেই। তার উপর মশার বাড়াবাড়ি। অনেকেই মশার ধুপ কিংবা স্প্রে (Mosquito Repellent) ব্যবহার করেন। কিন্তু রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অনেকেরই এসবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এই সকল রাসায়নিক দেওয়া মশা তাড়ানোর উপায়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আগে অনেকেই ধুপ ব্যবহার করতেন। কিন্তু তাতেও বহু মানুষের নিঃশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়। তাহলে মশা তাড়াবার বিকল্প উপায় কী?

    কর্পূর

    কর্পূর (Camphor) একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান। মশার ধুপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তাঁরা বিকল্প হিসেবে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়া হয় না। যাঁদের নিঃশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কর্পূর একেবারে নিরাপদ। বর্তমানে ভেষজ তেল মিশ্রিত কর্পূরের মশা তাড়ানোর তরল পাওয়া যায়। সেগুলি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করতে পারেন।

    পোশাক

    হাত পা ঢাকা পোশাক পড়লে মশা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায় শরীরের অনাবৃত অংশে মশা বেশি কামড়ায়। তাই খোলামেলা পোশাকের পরিবর্তে শরীরের যতটা অংশ ঢেকে রাখা যায় ততটাই ভাল।

    মশারি

    রাতে শোওয়ার সময় মশারির ব্যবহার করলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয় না। মশারি (Mosquito Net) ব্যবহার করলে শুধু সাধারণ মশা নয় ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মশা থেকেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

    বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখা

    বাড়ির আশেপাশে আগাছা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন অন্তর বাড়ির আশেপাশে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। বাড়ির আশেপাশে যাতে জল না জমে এবং মশা যাতে বংশবিস্তার না করে সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে নর্দমার যে সকল জায়গায় জল জমা হয় সেখানে কেরোসিন তেল ছড়ালে বসার লার্ভা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মশা বংশবিস্তার করতে পারে না।

    আরও পড়ুন: গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি ঘরে! সাময়িক আরাম কি শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে?

    সঠিক আলোর ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হলুদ আলো মশার বড়ই প্রিয়। তাই ঘরে হলদেটে আলো কিংবা চড়া আলো থেকে বিরত থাকা উচিত। এর পরিবর্তে সাদা আলোতে মশার দাপট অনেকটাই কমে।

    প্রাকৃতিক উপায়

    নিম, সিনামন, ল্যাভেন্ডার ও ইউক্লিপ্টাস ও থাইমের তেল জাতীয় বেশ কিছু প্রাকৃতিক তেলের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। এই তেল তুলোয় মিশিয়ে ঘরের চারকোণে রেখে দিলে মশা পালিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি’র (SSC) বক্তব্যে চাকরি হারাদের মধ্যে ফুটল আশার আলো। একই সঙ্গে তৈরি হল বিতর্ক। এসএসসি’র বক্তব্য, “অভিযোগহীন চাকরি প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।”

    যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের (SSC) সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কমিশন আদালতে জমা দিবে কি না সেই প্রশ্ন আপাতত এড়িয়ে গিয়েছেন সিদ্ধার্থ বাবু। কমিশনের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (SC) কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আন্দোলনকারীদের মনে। একই সঙ্গে সিদ্ধার্থ বাবুর বক্তব্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা থাকে অর্থাৎ কমিশন যদি যোগ্য এববগ অযোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে সক্ষম হয় তাহলে এতদিন সে বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? এমনকি সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি কেন?

    কমিশনের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত শুক্রবার চাকরিহারা শিক্ষকরা এসএসসি দফতরের (Acharya sadan) সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় চাকরিপ্রার্থীদের। কমিশনের দপ্তরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনই কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালতে (Calcutta Highcourt) সাম্প্রতিক একটা রায়কে কেন্দ্র করে এসএসসি দফতরের সামনে একটা বড় জমায়েত হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে আদালত। তাদের একটা অংশ যাদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই তাঁরা আজ জমায়েত হয়েছেন এবং আমার সঙ্গে ওদের আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা যোগ্য তাদের পাশে রয়েছে কমিশন (Recruitment Scam)।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সকলের জন্য চাকরি তৈরি রয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ২ লক্ষ চাকরি তৈরি রয়েছে। একইসঙ্গে প্যানেল বাতিলের জন্য আদালত ও বিজেপিকে (BJP) দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওএমআর শিট কেন খোয়া গেল এনিয়ে কমিশন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কেউ রা কাটেনি। কমিশনের সভাপতি দাবি করেন, তাঁরা সুপ্রিমকোর্টকে আশ্বস্ত করতে একটি তালিকা প্রকাশ করবেন। যেই তালিকাতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব (Recruitment Scam)। কিন্তু সেই যোগ্য অযোগ্য বিচারের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবং এই বাছাই পর্ব কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি।

    প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া

    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, “ওদের কাছে যদি যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থাকে, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে কেন ওরা জমা দেয়নি। সেই তালিকা ডিভিশন বেঞ্চ বারংবার জমা দিতে বলেছিল। অযোগ্যদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্যদের বিপদের মুখে ঠেলেছে রাজ্য সরকার (Recruitment Scam)। এখন বিপদ বুঝে একটা তালিকা দেওয়ার কথা বলছেন” মন্তব্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল যেহেতু ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে তাই কী উপায়ে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব।  আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালতে কী বক্তব্য পেশ করে কমিশন সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 10: “দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার!”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 10: “দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার!”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    {গৃহস্থ তমোগুণ}

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)–লোকের সঙ্গে বাস করতে গেলেই দুষ্ট লোকের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবার জন্য একটু তমোগুণ দেখানো দরকার! কিন্তু সে অনিষ্ট করবে বলে উলটে তার অনিষ্ট করা উচিত নয়।

    “এক মাঠে এক রাখাল গরু চরাত। সেই মাঠে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ ছিল। সকলেই সেই সাপের ভয়ে অত্যন্ত সাবধানে থাকত। একদিন একটি ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) সেই মাঠের পথ দিয়ে আসছিল। রাখালেরা দৌড়ে এসে বললে, ঠাকুর মহাশয়! ওদিক দিয়ে যাবেন না। ওদিকে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ আছে। ব্রহ্মচারী বলেলে, বাবা তা হোক; আমার তাতে ভয় নাই, আমি মন্ত্র জানি! এই কথা বলে ব্রহ্মচারী সেইদিকে চলে গেল। রাখালেরা ভয়ে কেউ সঙ্গে গেল না। এদিকে সাপটা ফণা তুলে দৌড়ে আসছে, কিন্তু কাছে না আসতে আসতে ব্রহ্মচারী যেই একটি মন্ত্র পড়লে, আমনি সাপটা কেঁচোর মতন কাছে পড়ে রইল। ব্রহ্মচারী বললে, ওরে তুই কেন পরের হিংসা করে বেড়াস; আয় তোকে মন্ত্র দিব। এই মন্ত্র জপলে তোর ভগবানলাভ হবে, আর হিংসা প্রবৃত্তি থাকবে না।’ এই বলে সে সাপকে মন্ত্র দিল। সাপটা মন্ত্র পেয়ে গুরুকে প্রণাম করলে আর জিজ্ঞাসা করলে ঠাকুর! কি করে সাধনা করব, বলুন? গুরু বললেন, এই মন্ত্র জপ কর, কারও হিংসা করো না। ব্রহ্মচারী যাবার সময়ে বললে, আমি আবার আসব।’

    এই রকম কিছুদিন যায়। রাখালেরা দেখে যে, সাপটা আর কামড়াতে আসে না! ঢ্যালা মারে তবুও রাগ হয় না, যেন কেঁচোর মতন হয়ে গেছে। একদিন একজন রাখাল কাছে গিয়ে ল্যাজ ধরে খুব ঘুরপাক দিয়ে তাকে আছড়ে ফেলে দিলো। সাপটার মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে লাগল, আর সে অতেচন হয়ে পড়ল। নড়ে না চড়ে না। রাখালেরা (Sri Ramakrishna Kathamrita) মনে করলে যে, সাপটা মরে গেছে। এই মনে করে তারা সব চলে গেল।

    অনেক রাত্রে সাপের চেতনা হল। সে আস্তে আস্তে (Sri Ramakrishna Kathamrita) অতি কষ্টে তার গর্তের ভিতর চলে গেল। শরীর চূর্ণ—নড়বার শক্তি নাই। অনেকদিন পরে যখন অস্থিচর্মসার তখন বাহিরে আহারের চেষ্টায় রাত্রে এক-একবার চরতে আসত; ভয়ে দিনের বেলা আসত না, মন্ত্র লওয়া অবধি আর হিংসা করে না। মাটি, পাতা, গাছ থেকে পড়ে গেছে এমন ফল খেয়ে প্রাণধারণ করত।

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    প্রায় এক বৎসর পরে ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) সেইপথে আবার এলো। এসেই সাপের সন্ধান করলে। রাখালেরা বললে, সে সাপটা মরে গেছে। ব্রহ্মচারীর কিন্তু ও-কথা বিশ্বাস হল না! সে জানে, যে মন্ত্র ও নিয়েছে তা সাধন না হলে দেহত্যাগ হবে না। খুঁজে খুঁজে সেই দিকে তার নাম ধরে ডাকতে লাগল। সে গুরুদেবের আওয়াজ শুনে গর্ত থেকে বেড়িয়ে এল ও খুব ভক্তিভাবে প্রণাম করলে। ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করলে, তুই কেমন আছিস? সে বললে, আজ্ঞে ভালো আছি। ব্রহ্মচারী বললে, তবে তুই এত রোগা হয়ে গিছিস কেন? সাপ বললে, ঠাকুর আপনি আদেশ করেছেন—কারও হিংসা করো না, তাই পাতাটা ফলটা খাই বলে বোধ হয় রোগা হয়ে গিছি! ওর সত্ত্বগুণ হয়েছে কি না, তাই কারু উপর ক্রোধ নাই। সে ভুলেই গিয়েছিল যে, রাখালেরা মেরে ফেলবার যোগাড় করেছিল। ব্রহ্মচারী বলেন, শুধু না খাওয়ার দরুন এরূপ অবস্থা হয় না। অবশ্য আরও কারণ আছে ভাবে দেখে। সাপটার মনে পড়ল যে, রাখালেরা আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তারা অজ্ঞান, জানে না যে আমার মনের কি অবস্থা; আমি যে কাহাকেও কামড়াব না বা কোনরূপ অনিষ্ট করব না, কেমন করে জানবে? ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) বললে, ছি! তুই এত বোকা, আপনাকে রক্ষা করতে জানিস না; আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?

    দুষ্টু লোকের কাছে ফোঁস করতে হয়, ভয় দেখাতে হয়, পাছে অনিষ্ঠ করে। তাদের গায়ে বিষ ঢালতে নাই, অনিষ্ট করতে নাই। 

    ঈশ্বরের (Sri Ramakrishna Kathamrita) সৃষ্টিতে নানারকম জীবন্ত, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃত ন্যায় ফল হয় এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে; অসাধুও আছে; সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ভিন্ন প্রকৃতি–Are all men equal?)

    ঈশ্বরের সৃষ্টিতে নানারকম জীবজন্তু, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃতের ন্যায় ফল হয়, এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে, সাধু আছে, অসাধুও আছে, সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    জীব চারপ্রকারঃ বদ্ধজীব, মুমুক্ষজীব, মুক্তজীব ও নিত্যজীব

    নিত্যজীবঃ যেমন নারদাদি। এরা সংসারে থাকে জীবের মঙ্গলের জন্য – জীবদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য।

    বদ্ধজীবঃ বিষয়ে আসক্ত হয়ে থাকে, আর ভগবানকে ভুলে থাকে – ভুলেও ভগবানের চিন্তা করে না।

    মুমুক্ষজীবঃ যারা মুক্ত হবার ইচ্ছা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ মুক্ত হতে পারে, কেউ বা পারে না।

    মুক্তজীবঃ যারা সংসার কামিনী-কাঞ্চন আবদ্ধ নয় – যেমন সাধু মহাত্মারা, যাদের মনে বিষয়বুদ্ধি নাই, আর যারা সর্বদা হরিপাদপদ্ম (Sri Ramakrishna Kathamrita) চিন্তা করে।

    “যেমন জাল ফেলা হয়েছে পুকুরে। দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না – এরা নিত্যজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছই জালে পড়ে। এদের মধ্যে কতকগুলি পালাবার চেষ্টা করে। এরা মুমুক্ষজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছ পালাতে পারে না। দু-চারটে ধপাঙ ধপাঙ করে জাল থেকে পালিয়ে যায়, তখন জেলে বলে, ওই একটা মস্ত মাছ পালিয়ে গেল! কিন্তু যারা জালে পড়েছে, অধিকাংশই পালাতে পারে না; আর পালাবার চেষ্টাও করে না। বরং জাল মুখে করে, পুকুরের পাঁকের ভিতরে গিয়ে চুপ করে মুখ গুঁজরে শুয়ে থাকে – মনে করে, আর কোন ভয় নাই, আমরা বেশ আছি। কিন্তু জানে না যে জেলে হড় হড় করে টেনে আড়ায় তুলবে। এরাই বদ্ধজীবের উপমাস্থল।”

    সংসারী লোক – বদ্ধজীব (Sri Ramakrishna Kathamrita)

    বদ্ধজীবেরা সংসারে কামিনী-কাঞ্চনে বদ্ধ হয়েছে, হাত-পা বাঁধা। আবার মনে করে যে, সংসারের ওই কামিনী ও কাঞ্চনেতেই সুখ হবে, আর নির্ভয়ে থাকবে। জানে না যে ওতেই মৃত্যু হবে। বদ্ধজীব যখন মরে, তার পরিবার বলে, তুমি তো চললে, আমার কি করে গেলে? আবার এমনি মায়া যে, প্রদীপটাতে বেশি সলতে জ্বললে বদ্ধজীব বলে, তেল পুড়ে যাবে সলতে কমিয়ে দাও। এদিকে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে রয়েছে!

    বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা (Sri Ramakrishna Kathamrita) করে না। যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল-তাবোল ফালতু গল্প করে, নয় মিছে কাজ করে। জিজ্ঞাসা করলে বলে, আমি চুপ করে থাকতে পারিনা, তাই বেড়া বাঁধছি। হয়তো সময় কাটে না দেশে, তাস খেলতে আরম্ভ করে।” (সকলে স্তব্ধ)

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 8: “সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন, কিন্তু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 8: “সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন, কিন্তু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে না”

     

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    একটা গল্প শোন্‌। কোন এক বনে একটি সাধু থাকেন। তাঁর অনেকগুলি শিষ্য। তিনি একদিন শিষ্যদের উপদেশ (Sri Ramakrishna Kathamrita) দিলেন যে, সর্বভূতে নারায়ণ আছেন, এইটি জেনে সকলকে নমস্কার করবে। একদিন একটি শিষ্য হোমের জন্য কাঠ আনতে বনে গিছল। এমন সময়ে একটা রব উঠল, ‘কে কোথায় আছ পালাও-একটা পাগলা হাতি যাচ্ছে।’ সবাই পালিয়ে গেল, কিন্তু শিষ্যটি পালাল না! সে জানে যে হাতিও যে নারায়ণ তবে কেন পালাবে? এই বলিয়া দাঁড়িয়ে রইল। নমস্কার করে স্তবস্তুতি করতে লাগল। এদিকে মাহুত চেঁচিয়ে বলছে, ‘পালাও পালাও’; শিষ্যটি তবুও নড়ল না। শেষে হাতিটা শুঁড়ে করে তুলে নিয়ে তাকে একাধারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল। শিষ্য ক্ষতবিক্ষত হয়ে ও অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইল।

    “এই সংবাদ পেয়ে গুরু ও অন্যান্য শিষ্যেরা তাকে আশ্রমে ধরাধরি করে নিয়ে গেল। আর ঔষধ দিতে লাগল। খনিকক্ষণ পরে চেতনা হলে ওকে কেঊ জিজ্ঞাসা করলে, ‘তুমি হাতি আসছে শুনেও কেন চলে গেলে না?’ সে বললে, গুরুদেব (Sri Ramakrishna Kathamrita)  আমায় বলে দিয়েছিলেন যে, নারায়ণই মানুষ, জীবজন্তু সব হয়েছেন। তাই আমি হাতি নারায়ণ আসছে দেখে সেখান থেকে সরে যাই নাই।’ গুরু তখন বললেন, ‘বাবা, হাতি নারায়ণ আসছিলেন বটে, তা সত্য; কিন্তু বাবা, মাহুত নারায়ণ তো তোমায় বারণ করেছিলেন। যদি সবই নারায়ণ তবে তার কথা বিশ্বাস করলে না কেন? মাহুত নারায়ণের কথাও শুনতে হয়।’ (সকলের হাস্য)           

    শাস্ত্রে আছে অপো নারায়ণঃ জল নারায়ণ। কিন্তু কোন জল ঠাকুর সেবায় চলে; আবার কোন জলে আঁচানো, বাসনমাজা, কাপড়কাচা কেবল চলে; কিন্তু খাওয়া বা ঠাকুরসেবা (Sri Ramakrishna Kathamrita) চলে না। তেমনি সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত-সকলেরই হৃদয়ে নারায়ণ আছেন। কিন্তু অসাধু, অভক্ত, দুষ্টু লোকের সঙ্গে ব্যবহার চলে না। মাখামাখি চলে না। কারও সঙ্গে কেবল মুখের আলাপ পর্যন্ত চলে, আবার কারও সঙ্গে তাও চলে না। ওইরূপ লোকের কাছ থেকে তফাতে থাকতে হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, যদি দুষ্টু লোকে অনিষ্ট করতে আসে বা অনিষ্ট করে, তাহলে কি চুপ করে থাকা উচিত?

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 7: “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 7: “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

    সর্বভূতস্থমাত্মানং সর্বভূতানি চাত্মনি।

    ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সর্বত্র সমদর্শনঃ।।

    নরেন্দ্র, ভবানাথ, মাস্টার

    মাস্টার তখন বরাহনগরে ভগিনীর বাড়িতে ছিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Sri Ramakrishna Kathamrita) দর্শন করা অবধি সর্বক্ষণ তাহারই চিন্তা। সর্বদাই যেন সেই আনন্দময় মূর্তি দেখিতেছেন ও তাঁহার সেই অমৃতময়ী কথা শুনিতেছেন। ভাবিতে লাগিলেন, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ কিরূপে এই সব গভীর তত্ত্ব অনুসন্ধান করিলেন ও জানিলেন? আর এত সহজে এই সকল কথা বুঝাইতে তিনি এ–পর্যন্ত কাহাকেও কখনও দেখেন নাই। কখন তাঁহার কাছে যাইবেন ও আবার তাঁহাকে দর্শন করিবেন এই কথা রাত্রিদিন ভাবিতেছেন।

    দেখিতে দেখিতে রবিবার আসিয়া পড়িল। বরাহনগরের নেপালবাবুর সঙ্গে বেলা ৩টা-৪টার সময় তিনি দক্ষিণেশ্বরের বাগানে আসিয়া পৌঁছিলেন। দেখিলেন, সেই পূর্বপরিচিত ঘরের মধ্যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছোট তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে একঘর লোক। রবিবারে অবসর হইয়াছে, তাই ভক্তেরা দর্শন করিতে আসিয়াছেন। এখনও মাস্টারের সঙ্গে কাহার আলাপ হয় নাই। তিনি সভামধ্যে একপার্শ্বে আসন গ্রহণ করিলেন। দেখিলেন, ভক্তসঙ্গে সহাস্যবদনে ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    একটি ঊনবিংশতিবর্ষ বয়স্ক ছোকরাকে উদ্দেশ করিয়া ও তাঁহার দিকে তাকাইয়া ঠাকুর যেন কত আনন্দিত হইয়া অনেক কথা বলিতেছেন। ছেলেটির নাম নরেন্দ্র (Sri Ramakrishna Kathamrita)। কলেজে পড়েন ও সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত করেন। কথাগুলি তেজঃপরিপূর্ণ। চক্ষু দুটি উজ্জ্বল, ভক্তের চেহারা।

    মাস্টার অনুমানে বুঝিলেন যে, কথাটি বিষয়াসক্ত সংসারী ব্যক্তির সমন্ধে হইতেছিল। যারা কেবল ঈশ্বর ঈশ্বর করে, ধর্ম ধর্ম করে তাদের ওই সকল ব্যক্তিরা নিন্দা করে। আর সংসারে কত দুষ্টু লোক আছে, তাদের সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার করা উচিত–এ সব কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি) – নরেন্দ্র তুই কি বলিস? সংসারী লোকেরা কত কি বলে! কিন্তু দেখ, হাতি যখন চলে যায়, পেছনে কত জানোয়ার কত রকম চিৎকার করে। কিন্তু হাতি ফিরেও চায় না। তোকে যদি কেউ নিন্দা করে, তুই কি মনে করবি?

    নরেন্দ্র – আমি মনে করব কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – না রে, অতদূর নয়। (সকলের হাস্য) ঈশ্বর সর্বভূতে (Sri Ramakrishna Kathamrita) আছেন। তবে ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়। বাঘের ভিতরেও নারায়ণ আছেন; তা বলে বাঘকে আলিঙ্গন করা চলে না। (সকলের হাস্য) যদি বল বাঘ তো নারায়ণ, তবে কেন পালাব। তার উত্তর – যারা বলেছে “পালিয়ে এস” তারাও নারায়ণ, তাদের কথা কেন না শুনি?

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “টাকায় কি হয়? ভাত হয়, ডাল হয়, থাকবার জায়গা হয়–এই পর্যন্ত, ভগবানলাভ হয় না”

        

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share