Tag: madhyom news

madhyom news

  • UPSC: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ইউপিএসসির, শীর্ষস্থানে আদিত্য শ্রীবাস্তব

    UPSC: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ইউপিএসসির, শীর্ষস্থানে আদিত্য শ্রীবাস্তব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফল প্রকাশ হল ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল সার্ভিস (Civil Services) পরীক্ষা ২০২৩ সালের। শীর্ষস্থান অর্জন করলেন আদিত্য শ্রীবাস্তব। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন অনিমেষ প্রধান। তৃতীয় হয়েছেন অনন্যা রেড্ডি। চূড়ান্ত পার্সোনালিটি টেস্ট ও সাক্ষাৎকার রাউন্ড শুরু হয়েছিল ২ জানুয়ারি থেকে। মঙ্গলবার ঘোষিত হয়েছ রেজাল্ট। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের মার্ক্স ইউপিএসসির ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।

    শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলাও (UPSC)

    আদিত্য ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছেন আইআইটি কানপুর (IIT Kanpur) থেকে। মঙ্গলবার ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল (civil services) সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩-এর যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সবার ওপরে রয়েছেন আদিত্য। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন অনিমেষ। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রাউরকেল্লা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেছেন। সমাজবিজ্ঞান তাঁর অপশনাল বিষয় ছিল। তৃতীয় স্থান অধিকারী অনন্যা রেড্ডি, কলা বিভাগে স্নাতক। তিনি দিল্লি ইউনিভার্সিটির মিরান্ডা হাউসের ছাত্রী। তাঁর ঐচ্ছিক বিষয় ছিল নৃবিজ্ঞান। শীর্ষ স্থানাধিকারী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। 

    আরও পড়ুনঃ এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    পরীক্ষায় সফল ২০১৬ জন 

    ২০২৩ এর ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় সফল হয়েছেন ২০১৬ জন। শীর্ষ ২০জনের তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার (৪র্থ র‌্যাঙ্ক), রুহানি (৫ম র‌্যাঙ্ক), সৃষ্টি দাবাস (৬ষ্ঠ র‌্যাঙ্ক), আনমোল রাঠোর (সপ্তম র‌্যাঙ্ক), আশিস কুমার (অষ্টম র‌্যাঙ্ক), নওশীন (নবম র‌্যাঙ্ক), ঐশ্বর্য, প্রজাপতি (১০ তম র‌্যাঙ্ক), কুশ মোটওয়ানি (১১ তম র‌্যাঙ্ক), অনিকেত শান্ডিল্য (১২ তম র‌্যাঙ্ক), মেধা আনন্দ (১৩ তম র‌্যাঙ্ক), শৌর্য অরোরা (১৪ তম র‌্যাঙ্ক), কুনাল রাস্তোগি (১৫ তম র‌্যাঙ্ক), অয়ন জৈন (১৬ তম র‌্যাঙ্ক), স্বাতী শর্মা (১৭ তম র‌্যাঙ্ক), ওয়ার্দা খান (১৮তম র‌্যাঙ্ক), শিবম কুমার (১৯তম র‌্যাঙ্ক), এবং আকাশ ভার্মা (২০তম র‌্যাঙ্ক)। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩ প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছিল ২৮ মে। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩ মেইন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৫, ১৬, ১৭, ২৩ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dubai: দুবাইয়ে ভারী বর্ষা, রাস্তায় জমল জল, ব্যাহত বিমান পরিষেবা

    Dubai: দুবাইয়ে ভারী বর্ষা, রাস্তায় জমল জল, ব্যাহত বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু-দিনের বর্ষায় ভেসে গেল দুবাই (Dubai)। আমিরাতে বর্ষা উপভোগ্য বিষয়, কিন্তু এখন তা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দুবাইয়ে (Dubai) ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ভারী বর্ষা (Heavy Rainfall) হয়। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সোমবার ২০ মিলিমিটার বর্ষা হয়েছে দুবাইয়ে। মঙ্গলবার সারাদিন ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়। দুবাইয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪২ মিলিমিটার বর্ষা হয়েছে। 

    বিমান ওঠা নামা ব্যাহত (Dubai)

    ভারী বৃষ্টির ফলে দুবাই বিমানবন্দরের জল জমে (Waterlogging) যায়। বিমানবন্দরে বিমান ওঠা নামা ব্যাহত হয়। বিমানবন্দরের আশেপাশে এবং দুবাই (Dubai) শহরের নানান প্রান্তে জল জমেছে। বুধবারেও শহরের আনাচে-কানাচে জল জমে ছিল। এই দৃশ্য দুবাইয়ে দুর্লভ। দুবাইয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর বুধবারও জল জমার কারণে যানবাহন কমে গেছে। শহরে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন কম চলছে। এতটাই বৃষ্টি হয়েছে যে বিমানবন্দরের কর্মীদের রানওয়ে (Runway) ও ট্যাক্সি-তে পর্যন্ত পৌঁছতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এমিরেটস যাত্রীদের চেক ইন সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষে তরফের সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়, যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে অবস্থার স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। যাত্রীদের কাছে ধৈর্য রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে বৃষ্টি!

    দুবাইয়ে (Dubai) বৃষ্টি হওয়া কিংবা রাস্তায় জল জমার ঘটনা সাধারণ ব্যাপার নয়। সারা বছর এতটা কম বর্ষা হয় যে শহরের বছরের অধিকাংশ সময় শুষ্ক থাকে এখানকার আবহাওয়া। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে সারা বিশ্বে আবহাওয়ায় বদল এসেছে। আরবের মরু অঞ্চলও বৃষ্টির সাক্ষী থাকছে। দুবাইয়ের মানুষ এখন প্রায় সময়ই বর্ষার আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত বর্ষা বয়ে নিয়ে আসছে নানান ধরনের সমস্যা। এবার বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে বজ্রপাত লক্ষ্য করা গেছে। এমনকী বুর্জ খলিফার চূড়ায়ও বেশ কয়েকবার বজ্রপাত হয়েছে বলে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    পাম্প লাগিয়ে রাস্তার জল বের করা হচ্ছে

    দুবাই (Dubai) পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাজকর্মেও খুবই অসুবিধে হচ্ছে। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। ইউনাইটেড আরব আমিরাত সাতটি রাজশাহী মিলিয়ে তৈরি। দেশের সাতটি প্রান্তেই ঝড়ঝঞ্ঝার জেরে সরকারি কাজকর্মে বাধা এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ সরকারি কর্মীরা দূরদূরান্ত থেকে কাজে যোগ দিয়ে থাকেন। অনেকেই বজ্রপাত সহ বৃষ্টির কারণে কাজে আসতে পারেননি। সরকারি কাজকর্মের বহু বিভাগে অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকেই কাজে আসার চেষ্টা করলেও রাস্তার জমা জল গাড়িতে ঢুকে যাওয়ায় কাজকর্মে যোগ দিতে পারেননি। দুবাই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাম্প লাগিয়ে রাস্তার জল নিকাশি প্রণালীতে ফেলার কাজ চলছে। দু-একদিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Loksabha election 2024) প্রথম দফায় নির্বাচন আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল। রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর জন্য বুধবার শেষ প্রচারের দিন। তার আগে রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ছ’টি আসনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের ছটি আসনে যে স্পর্শকাতর বুথে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মোট ১৮৬২টি বুথ স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনার গয়না সহ ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Loksabha election 2024)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফায় যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন (Loksabha election 2024) হবে তার মধ্যে কোচবিহার (Coochbehar) কেন্দ্রের ২০৪৩টি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৭টির মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রের ১৯০৪ টি নির্বাচনী বুথের মধ্যে ৩৯১টি স্পর্শকাতর বুথ তালিকায় রয়েছে। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক স্পর্শকাতর বুথের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০০টি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬২ টি।

    নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না উদ্ধার

    নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না সহ যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ভোটের আগে বাংলা থেকে এত পরিমাণ অর্থ সামগ্রীর একটা বড় অংশ নির্বাচনে (Loksabha election 2024) খরচ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দিনক্ষণ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও নির্বাচনে ঢের দেরি রয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো গন্ডগোল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। প্রথম কয়েক দিন সশস্ত্র বাহিনীকে (Central Forces) এলাকা চেনানো হলেও তারপর বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেও পুলিশ নিজে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে কী এবারও বাহিনীকে যথাসম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার ছক রয়েছে পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “নির্বাচনে (Loksabha election 2024) তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৭ মে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। প্রচারের ফাঁকেই মনোনয়ন দাখিলের কাজ চলছে। মালদা উত্তরে ৬টি, মালদা দক্ষিণ ৩টি, জঙ্গিপুরে ৫টি, মুর্শিদাবাদে ৪টি, ভগবানগোলা উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই দফায় ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে করা যায় তার জন্য ৪১ হাজারের বেশি লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ৬৪৯টি ফ্লাইয়িং স্কোয়াড ও নজরদারি দল কাজ করছে। এছাড়াও বহু জায়গায় বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের মধ্যে ঘুণ ধরেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। প্রার্থীর সঙ্গে থেকেও কাজ করছে না।” দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন ভরতপুরের (Bharatpur) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি দলীয় সভায় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan) সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, “কে কী লিখবে, কে কী বলবে জানি না। রাজ্য নেতৃত্বকে বলেছি, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ জেলা। আগামী দিনে ডিলিমেটশন হলে আরও গুরুত্ব বাড়বে। এক সময় এই জায়গা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে নেতৃত্ব দিত। কেউ দলের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করবেন না। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। অনেকের অনেক অহংকার।” দলের সভায় সোজাসাপটা ভাবে দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীকোন্দলের কথা জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের এই তৃণমূল বিধায়ক।

    ভোটের আগে থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোট ঘোষণার আগে থেকে দলের বিতর্কিত মুখ ছিলেন হুমায়ুন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন বহিরাগত প্রার্থী মানব না। প্রকাশ্যে বলেছেন, অন্য রাজ্য থেকে খেলোয়াড় কিংবা কলকাতা থেকে গায়ক এনে অধীর চৌধুরীকে হারানো যাবে না, এটা আগেও প্রমাণ হয়েছে। এমনকী দলের সিদ্ধান্তকে অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছিলেন মাস খানেক আগেও। এখন প্রার্থীর সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু কতটা আছেন তা নিয়ে দলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর জন্য বহরমপুরে কেউ কেউ আলাদা মিটিং-মিছিল শুরু করেছেন। এর বিরুদ্ধেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন হুমায়ুন।

    নেতা কর্মীদের অহংকার

    দলীয় সভায় যা বলেছেন তার বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বলেন, “জেলায় (Murshidabad) দলের কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে অহংকার রয়েছে। ভাবছে এমনি এমনি হয়ে যাবে। ভোট অত সহজ জিনিস না। দলের কর্মীদের সতর্ক করছি। প্রার্থীর সঙ্গে হুড়োহুড়ি করছে কিন্তু মাঠে ময়দানের খাটবে না, এটা হবে না। দলের মধ্যে যদি কিছু খামতি থাকে সেটাকে সংশোধন করতে হবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    বহরমপুরে (Murshidabad) একদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মল সাহা। দুজনেই স্থানীয়। আর কথায় কথায় বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না বলা তৃণমূল কংগ্রেস সুদুর গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে দলের মধ্যেই কানাঘুষো আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এবিষয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “হুমায়ুন করবীরের বক্তব্য এখন ফাঁকা ঢোলের আওয়াজ। কখন কী বলে নিজের দল আর বাড়ির লোকেরাই জানে না। হুমায়ুন কবীর কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিরোধিতা করেছিল। বলেছিল বহিরাগত প্রার্থী মানছি না। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই ডেকে পাঠানোয় সোজা হয়ে গিয়েছেন। ইউসুফ পাঠান তিন হবে না চার সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

    আরও পড়ুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    হুমায়ুনের বক্তব্যে যে ফের জলঘোলা হচ্ছে তা টের পেয়েছে তৃণমূল। মান বাঁচাতে হুমায়ুনের সমর্থনে নামেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপুর্ব সরকার। তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিনের রাজনীতি করা মানুষ। আমার দাদা। ওঁর হয়ত কিছু মনে হয়েছে, সেটা বলেছেন। দলের ভালোর জন্যই বলেছে। আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও এনিয়ে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা খারাপ, নেই জল! সাঁইথিয়ায় (saithiya) প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (satabdi ray)। যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, “কোথাও ক্ষোভ নেই। বীরভূমের (Birbhum) গ্রামবাসীরা শুধুমাত্র তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।” ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী (Birbhum) 

    বীরভূমে (Birbhum) ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কয়েকদিন যাবৎ যেখানেই যাচ্ছেন, গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে শতাব্দী রায়কে। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই যাচ্ছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগকে মোটেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হিসেবে দেখছেন না শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, “প্রার্থীকে সামনে পেয়ে আবদার করেছেন মাত্র।” এমনকী যাঁরা সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁদেরকে ধমক দিয়ে বসেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।

    গানে প্রচার শতাব্দীর

    বীরভূমে এখন চাঁদিফাটা রোদুর। দাবদাহ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার। প্রচার জোরালো করতে “জিতব আমি, জিতব আমরা” গানটি লিখেছেন নিজেই। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে গানের শুটিং সেরে ফেলেছেন তিনবারের সাংসদ শতাব্দী। হুডখোলা জিপে চলছে সেই গানে তালে তালে প্রচার। তবে গানের একটি পংক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গানের মধ্যে রয়েছে, “এই বাংলার মা বোনেরা মমতাকেই চায়। কেন না তারা সুখে আছে মমতার ভরসায়।”

    আরও পড়ুন: ‘রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল’, তোপ মোদির

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের দয়ায় রাজনীতিবিদরা জয়ী হন। নিজের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান। রাজনীতিবিদের ভরসায় মানুষের দিন চলে এটা ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। মনোবল তলানিতে নাকি ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ! বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধরের জবাব, “গান গেয়ে ভিডিও শুট করে মানুষের কাছে প্রচারে যেতে হচ্ছে এখন। কাজকর্ম ভালোভাবে করলে ভিডিও শুটিংয়ের দরকার পড়ত না। অহংকার বেড়ে গেলে মানুষ জবাব ভোট বাক্সে দিয়ে দেবে। বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, “যে কোনও সরকার মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করে। তাঁর একটা অংশ জনগণের মধ্যে প্রকল্প রূপে ফিরিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেছেন সেটাও জনগণের ট্যাক্সের টাকা। কোনও নেতা নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দিচ্ছে না। শতাব্দী হয়তো মনে করছেন তিনি বা তাঁর দলনেত্রী জনগণকে দয়া করেন।” উল্লেখ্য প্রচারের জন্য ভিডিও আগে কখনও করতে হয়নি শতাব্দীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    Malda: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বন্দে ভারত (Vande Bharat) কি এখন দুষ্কৃতীদের সফট টার্গেটে! প্রশ্ন উঠল নববর্ষের দিনেও। পশ্চিমবঙ্গে দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে ফের ভাঙল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কাচ। মালদায় (Malda) পাথরের আঘাতে ট্রেনের একটি জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে বলে রেল দফতর সূত্রের খবর। বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সুরক্ষা নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Malda)?

    জানা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী (New Jalpaiguri) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন মালদা (Malda) স্টেশন ছাড়ার পর শ্রীপুর থেকে সামসি স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় ট্রেনের সি৮ কোচ লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। কেন বারবার আক্রমণের মুখে পড়ছে  এই প্রশ্ন এখন বন্দে ভারতের যাত্রীদের। ঘটনায় সকল যাত্রীরা সুরক্ষার অভাব বোধ করছেন।

    তদন্তে আরপিএফ

    এদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার সময় রবিবার বিকেলে মালদা টাউন স্টেশনের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসার পর মালদার (Malda) আরপিএফ (RPF) কর্মীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তাঁরা রেল যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর আগে বন্দে ভারত ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবারও সেই আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু

    যাত্রীর বক্তব্য

    বন্দে ভারতের এক যাত্রী এদিন বলেন, “আগে এই ধরনের পাথর ছোড়ার ঘটনা শুনেছিলাম। এবার মালদায় (Malda) নিজের চোখে দেখলাম। বিষয়টি বন্ধ করা উচিত। না হলে এত টাকা খরচ করে এই ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়ার কোনও মানেই হয় না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share