Tag: madhyom news

madhyom news

  • Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিরাট থেকে সালাসর বালাজির দর্শন করে ফেরার সময় রাজস্থানের সিকর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় (Accident) ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সকলেই গাড়ির ভিতরে জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ও দুজন তাঁদের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই মিরাট ক্যান্টনমেন্টের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সত্যপ্রকাশ অগরওয়ালের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Accident)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাট রোড থেকে এই পরিবার সালাসর বালাজির দর্শন করতে গিয়েছিলেন। দর্শন করার পর পরিবারের সকলে একই গাড়িতে ফেরত আসার সময় সতীমাতার দর্শন করার জন্য হিসার যাচ্ছিলেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেই সময় সিকর এলাকায় উড়ালপুলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় তাঁদের গাড়ি ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপরই গাড়ির সিএনজি ট্যাঙ্ক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গাড়ির ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাতজন মারা (Accident) যান। মারা যাওয়া সকলেই শিবশংকর পুরীর বাসিন্দা। তাঁদের নাম নিলম গোয়েল, মুকেশ গোয়েল, মঞ্জু বিন্দাল, হার্দিক বিন্দাল, স্বাতী বিন্দাল, দিশা ও তাঁর দু বছরের বোন (নাম অজ্ঞাত) বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে হার্দিক বিন্দল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ আগরওয়ালের শ্যালক। তাঁরা সকলের প্রাক্তন বিধায়কের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য

    রবিবার দুপুরবেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী রামনিবাস সৈনি বলেছেন, “দুপুর বেলা ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজের পিকআপ গাড়ি সার্ভিস করানোর জন্য উড়ালপুলের পাশের একটি সার্ভিস সেন্টারে যাচ্ছিলাম। সেই সময় উড়ালপুলের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমার পাশ থেকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়ি ওভারটেক করার চেষ্টা করে। সেই সময় ট্রাকে ধাক্কা মারে গাড়ি। আমি নিজের গাড়ি সাইড করে দুর্ঘটনাস্থলের (Accident) দিকে দৌড়ে যাই। পিছনে বসে থাকা দুজন ব্যক্তি চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করছিলেন। সেই সময় গাড়ির পিছনের সিএনজির ট্যাংক থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। এর পরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তাতে পুড়ে মারা যান সকলে। আগুন এতটাই জোরালো ছিল যে গাড়ির দরজা খোলা যায়নি। পুলিশ এসে আগুন নেভায় এবং এরপর গাড়িটিকে ক্রেনের সাহায্যে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মোবাইল থেকে মৃতদেহ শনাক্ত

    ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর এবং সিম কার্ড থেকে মৃতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মোবাইলের সিম কার্ড থেকে পাওয়া তথ্য থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর এই দুর্ঘটনার (Accident) কথা জানানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুরে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay) । আর অভিষেক এলাকা ছাড়তেই সন্ধ্যা বেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির (Dhupguri) অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশচালা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বুথ সভাপতিও রয়েছেন। 

    অভিষেক চলে যেতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (BJP)

    লোকসভা ভোটের মুখে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিজেপি (bjp)। কারণ, শাসকদলের ঘরে সিঁধ কেটে তারা নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ধুপগুড়ির দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তেই তৃণমূলের কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখালেন। শুক্রবার রাতে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে তারা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নেন। বিজেপির ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিদায়ী সংসদ তথা এবারেরও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর হাত ধরেই কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জানান, “তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী প্রায় দেড়শো পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আগামী শুক্রবার। একেবারে প্রথম দফাতেই ভোট জলপাইগুড়িতে। হাতে বাকি আর এক সপ্তাহেরও কম। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার। তবে এই যোগদানের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা। নাম ভাস্কর মিত্র। তিনি আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় ওই নেতা অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, দলের বেশ কয়েকটি শাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আইএনটিটিউসিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের কোনও কার্যক্রম হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য দলগুলি শ্রমিক সংগঠনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাঁর নিজের বলে এই সংগঠন নাম কা ওয়াস্তে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাস্কর বাবুর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানতে নারাজ ওই নেতা। তিনি আরও লিখেছেন, “শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। বছরে একটা মিছিল করা ছাড়া দলের তরফে আর কোন বার্তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না। এরকম সংগঠনের সঙ্গী হয়ে কোন লাভ নেই।” যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলকে ভালবাসলে কোন পদের (Basirhat) প্রয়োজন হয় না।

    দলে গুরুত্ব নেই 

    দল ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিজেপির প্রোগ্রামে টোটো, অটো, বাস ইউনিয়নের কর্মীরা ফ্ল্যাগ বেঁধে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই শ্রমিক সংগঠনের পদে থাকার কোন মানে দাঁড়ায় না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকদের কোনও সমন্বয় সাধন নেই। তাই আমি পদ ছেড়েছি।” বিজেপির দাবি, প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। যদিও তৃণমূল টোটো, অটো ও বাস সংগঠন সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে রাখে। তবে এটা ঠিক যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (Basirhat) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না শুধু টাকা তোলার সময় নেতারা আছেন। শ্রমিকদের কথা ভাবার জন্য তারা কেউ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ramnavami 2024) সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে ঝামেলা না পাকানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির।

    পুলিশ বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে রেখেছেন বিজেপি রামনবমীর সময় ঝামেলা পাকাতে পারে। আগেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামনবমী (Ramnavami 2024) ও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। হামলার সময় নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে পুলিশ। এমনকি পুলিশও বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ 

    বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর এলাকায় চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ রামনবমীর প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির মত কোন ঝামেলা পাকাবেন না। আজ হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। রাম মন্দির হয়ে গিয়েছে। তাই চারখানা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের চমকাবেন না বা হিংসা করার জন্য পাঠাবেন না। তাহলে হিন্দু সমাজে জবাব দেবে।”

    ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা  

    এবছর চার দিন ধরে রাজ্য জুড়ে রামনবমী (Ramnavami 2024) পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া সমর্থকরা। ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তার আগে বর্ধমানের বড় নীলপুর বাজারে আয়োজিত পথসভা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    ২০২৩ সালের অশান্তি

    প্রসঙ্গত, শেষ বছর রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে হাওড়া, হুগলি, রিষড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর গোলমাল হয়। রামনবমীর শোভাযাত্রার উপরে পাথর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলার জেরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এবিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ বছর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আগেভাগেই পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন দিলীপবাবু।

    শাসক দলের মদত 

    বাংলায় বিভিন্ন সময় দেখা গেছে রামনবমীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়া হয়েছে আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে। এমনকি কয়েকটি ধর্মীয়স্থল থেকে উস্কানিমূলক মাইক প্রচার করে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য। মহরম, ঈদ, হোলী, বৈশাখী, ক্রিসমাস, নিউইয়ার শান্তিপূর্ণভাবে পালন হলেও রামনবমীর অশান্তির পিছে পিছনে শাসকদলের ভোট ব্যাংকের রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সব থেকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন (Power Plant) কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোন (Drone) ও ৮২টি মিসাইল সহযোগে ধ্বংস করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে হাইপারসনিক (Hypersonic) মিসাইলও। পাল্টা ইউক্রেনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার ফলে রাজধানী কিভে (kyiv) এখনও বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়নি।

    তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস

    সিএনএন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের কিভের খুব কাছে ট্রিপিলস্কায় অবস্থিত এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক হামলায়। সামাজিক মাধ্যমে এই হামলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সোভিয়েত যুগের ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দাউ দাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে শহরের আকাশে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তাঁদের জরুরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম না দেওয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন জরুরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আবেদন করেছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের তাপ ও জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ জ্বালানির ঠিকানাগুলিকে নিশানা করা শুরু করেছে। হামলা ব্যাপক তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের শক্তি ব্যবস্থা ধ্বংস দিতে চাইছে রাশিয়া এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি । রাশিয়ার যে হামলা চালিয়েছিল তার মধ্যে ১৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩৯ ড্রোনকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাদ বাকি মিসাইল ও হাইপারসনিক মিসাইল সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে দাবি ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এক আধিকারিকের। তাঁদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত কিভ, চেরকাসি ও ঝাইটেমির অঞ্চলের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল খুবই জরুরী।

    সেন্টারেনারগর সংস্থার বক্তব্য

    এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতো সেন্টারেনারগর নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের প্রধান এন্দ্রে গোটা বলেন, “সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংসের ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেবে। প্রসঙ্গত ইউক্রেনের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির ডিটেক সাম্প্রতিক হামলায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দুটি পাওয়ার স্টেশন রাশিয়ান আক্রমণের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ পাক-মাটিতে খতম হয়েছে ২০জনেরও বেশি জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে কারা?

    যুদ্ধ এখনও থামার লক্ষণ নেই

    প্রথমদিকে আমেরিকা ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেও পরবর্তীকালে ইউক্রেনের দাবি মতো যুদ্ধাস্ত্র আর দেয়নি আমেরিকা এমনটাই অভিযোগ জ়েলেনস্কি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মানি যে যুদ্ধাস্ত্র দিচ্ছে তাও দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। একদিকে যুদ্ধাস্ত্রের অভাব অন্যদিকে রাশিয়ার আক্রমণে ব্যাপক বৃদ্ধি। সবমিলিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ইউক্রেন। আরব দুনিয়ায় হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ বিরতির দিকে এগোলেও দুই বছর পার হলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রথমদিকে রাশিয়াকে অনেকটা প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও এখন দেশের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে ইউক্রেনের। তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অপারগ হলেও রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। প্রথম দিকের বেগতিক অবস্থা কাটিয়ে এখন যুদ্ধের ময়দানে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পুতিনের বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Automobile Sales: আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভারতে রেকর্ড ছুঁল গাড়ির বিক্রি, বিক্রিবাট্টা পৌঁছাল ডাবল ডিজিটে

    Automobile Sales: আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভারতে রেকর্ড ছুঁল গাড়ির বিক্রি, বিক্রিবাট্টা পৌঁছাল ডাবল ডিজিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সর্বত্র তেলের দামের উঠানামা চলতেই থাকে। তার প্রভাব পড়েনি অটোমোবাইল শিল্পে। শেষ আর্থিকবর্ষে দেশজুড়ে সামগ্রিকভাবে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির (Automobile Sales) বিপণন বেড়েছে ১২.৫%। বিক্রিবাট্টা ডাবল ডিজিটে পৌঁছালে খুশির হাওয়া অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংস্থায়। চলতে আর্থিক বর্ষে ঘরোয়া বিক্রি ২.১২ মিলিয়ন ইউনিট থেকে বেড়ে ২.৩৮ মিলিয়ন ইউনিট হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস (SIAM)।

    গাড়ি বিক্রির পরিমাণ কত?

    অটোমোবাইল শিল্পে বিভাগ অনুযায়ী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৮.৪ %। তিনচাকা গাড়ির বিক্রি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৪১.৫%। দুচাকা গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৩.৩%। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক যানবাহনের বিক্রি (Automobile Sales) বেড়েছে সবচেয়ে কম 0.6%। এই বিভাগে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউনিট যার মধ্যে ৪.২ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে ঘরোয়া ভাবে এবং বহির্বিশ্বে বিক্রি হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউনিট। মধ্যবিত্তের পছন্দের দুই চাকা যানবাহনের বিক্রি ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই ভাল দিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ১৮ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির দুই চাকা যানবাহন। তবে ২০১৮-১৯ সালে ২১ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছিল যা দুই চাকা যানবাহনের বিক্রির সবচেয়ে সুসময় ছিল। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক যানবাহন এবছর ৯.৭ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে। এই বৃদ্ধি খুব একটা খারাপ নয়। শুধু বিক্রি কমেছে সিএনজি যানবাহনের। বিক্রি বেড়েছে ব্যাটারি চালিত গাড়ির।

    দুই চাকা যানবাহনের রপ্তানি অনেকটাই বেড়েছে

    ব্যাটারি চালিত গাড়ির বিক্রি শুরু হওয়ার পরেও ধাক্কা খায়নি ডিজেল ও পেট্রলের বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি। তিন চাকা বাহন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই বেশি প্রয়োজন হয়। ২০১৮-১৯ সাল সবচেয়ে সুসময় ছিল এই সেগমেন্টে। চলতি বছরও তার অনেকটাই ধারে কাছেই রয়েছে তিন চাকা গাড়ির বিক্রি। ঘরোয়া বাজারে বাণিজ্যিক সহ বিভিন্ন গাড়ির বিক্রি (Automobile Sales) ভাল হলেও রপ্তানির ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো সময় এখনও আসেনি। রপ্তানির ক্ষেত্রে শেষ তিন মাসে বিক্রিবাট্টা অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে দুই চাকা যানবাহনের রপ্তানি অনেকটাই বেড়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছিলেন নির্বাচনের মরসুমে গাড়ির বিক্রিবাট্টা উপরে প্রভাব পড়বে। কিন্তু সে সবকিছুই হয়নি উল্টে গাড়ির বিক্রি ভালই বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পেট্রলে ইথানলের মেশানোর পরিমাণ বৃদ্ধির পরেই ব্যাটারি চালিত দুই চাকা ও যাত্রীবাহী যানবাহনের বিক্রি বাট্টা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

    আরও পড়ুনঃঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে মাও দমনে বিরাট সাফল্য, গ্রেফতার এক, আত্মসমর্পণ ১৫

    ভবিষ্যতেও আশাবাদী

    সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের সভাপতি বিনোদ আগরওয়াল বলেন, “অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি চাই। যে উন্নতি হচ্ছে তাতে আমরা আগামী দিনে আরও ভাল করার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের ক্ষেত্রে যে সঠিক দিশায় রয়েছে তা বেশ কয়েক বছরের রিপোর্ট বলে দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bhupatinagar Blast) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস-এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।

    ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল? (Bhupatinagar Blast)

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল, এমন একাধিক প্রমাণ (Bhupatinagar Blast) এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেই কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল, সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

    পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল (Bhupatinagar Blast) 

    প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এ-র উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (Bhupatinagar Blast)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএ-র (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর, পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপাল সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।

    সেদিন কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।

    ৩ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি।

    মানহানির মামলার হুমকি জিতেন্দ্রর

    এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন, “হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা-পলা পড়ে বসে থাকবে?” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন, ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিং-এর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বামেদের পক্ষে। তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাল পতাকাধারীদের। একদিকে জোট নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে কর্মীরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এবার এসএফআইয়ের (SFI) প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সিপিআইএমের (CPIM) জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ সরকার দলবল সহ যোগ দিলেন বিজেপিতে। বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব আয়োজিত হয়।

    সুকান্তের উন্নয়নেই আকৃষ্ট হয়ে দলত্যাগ (Balurghat)

    দল ছাড়ার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, সুরজিৎ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের রেওয়াজ রয়েছে সিপিএমে। দলের তরফে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। প্রসঙ্গত এই লোকসভা আসনে বালুরঘাট থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিই এলাকার বর্তমান সাংসদ। যোগদানকারীদের দাবি, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে বালুরঘাট জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই আকৃষ্ট হয়েছেন সুরজিৎ সরকার।

    বিজেপির সংগঠন মজবুত হল (Balurghat)

    সুরজিৎ যোগদানপর্ব শেষে বলেন, “সুকান্তবাবু বিরোধী দলে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখেননি। রাজ্যের শাসকের শত বাধা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত এদিনের যোগদানের ফলে এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হল। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূল ও সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খেল। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে এই জেলার চিত্রটা যে অনেকটাই বিজেপির অনুকূলে চলে এল, তা বলাই যায়। যদিও বামেদের দাবি, এতে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    Modi Shah in Bengal: লক্ষ্য ৪০০ পার, ঝড় তুলতে মোদির পর বঙ্গে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে (Dhupguri) সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। উনিশে এপ্রিল লোকসভার (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি আসন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও কোচবিহারে (Coochbehar) ভোটে রয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিনি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সভা করে নতুন করে ঝড় তুলে দিয়ে যাবেন।

    প্রচার কর্মসূচি তৈরি (Modi Shah in Bengal)

    বিজেপি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও ঝড় তোলার জন্য প্রচার কর্মসূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী এলেও দ্বিতীয় দফায় তাঁর দোসর হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল উত্তরবঙ্গের অপর তিনটি আসন দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ(Rayganj) ও বালুরঘাটে (Balurghat) ভোট রয়েছে। যার জন্য দুটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একটি সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল দিনাজপুরে (South Dinajpur) দুটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। একটি সভা হবে রায়গঞ্জে ও অন্যটি বালুরঘাটে। শাহের সভা হবে বুনিয়াদপুরে। ১৬ই এপ্রিল বালুরঘাটের রেল স্টেশন মাঠে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সভা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে রায়গঞ্জের সভা কখন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই বিজেপির সূত্রের দাবি।

    শাহের সভা কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    শাহের সভা বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মাঠে দুপুর বারোটা নাগাদ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুধু অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়, এই সভাগুলিতে রাজ্য বিজেপির তারকা প্রচারকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তব্য রাখার জন্য। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার ভোটে বেশ কিছু মেগা র‍্যালির কথাও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ বিজেপির গড়। উত্তরবঙ্গ থেকেই সব থেকে বেশি সাংসদ, বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি। সে কারণেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চায় না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফলাফল হবে, এমনটাই ধারণা করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের গড় যাতে বেদখল না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ শক্তিতে ময়দানে নামছে বিজেপি।

    তৃণমূলে তারকা প্রচারক কোথায়? (Modi Shah in Bengal)

    একদিকে উত্তরবঙ্গে যেখানে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ প্রচারে নামছেন, তখন তৃণমূলের প্রচার অনেকটাই ফিকে মনে হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া অন্য কোনও নেতার সেই প্রভাব নেই। তৃণমূলের নম্বর দুই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) উত্তরবঙ্গে ময়দানে নামালেও তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাকে প্রচারে নামালে অনেকটাই ব্যাকফুটে যাওয়া্র সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেক্ষত্রে  দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াবে বিজেপি। এমনিতেও মমতা ও অভিষেক ছাড়া তৃণমূলের তারকা প্রচারক বলতে আর কাউকেই উত্তরবঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির হাতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো তারকা প্রচারক রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার নিজে বালুরঘাট আসন থেকে লড়লেও তিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আসনে প্রচারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share