Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    Ramakrishna 70: “ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, তাহলে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ তিনি (মা) গুরু—আর ব্রহ্মময়ী স্বরূপা।

    মণিচুপ করিয়া আছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে আবার ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করিতেছেন—

    মণি—আজ্ঞা, নিরাকারে কিরকম দেখা যায়?—ও কি বর্ণনা করা যায় না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (একটু চিন্তা করিয়া)—ও কিরূপ জানো?—

    এই কথা বলিয়া ঠাকুর একটু চুপ করিলেন। তৎপরে সাকার-নিরাকার দর্শন কিরূপে অনুভূতি হয়, একটি কথা বলিয়া দিলেন। আবার ঠাকুর চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি জানো, এটি ঠিক বুঝতে সাধন চাই। ঘরের ভিতরের রত্ন যদি দেখতে চাও, আর নিতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করে চাবি এনে দরজার তালা খুলতে হয়। তারপর রত্ন বার করে আনতে হয়। তা না হলে তালা দেওয়া ঘর—দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ওই আমি দরজা খুললুম, সিন্দুকের তালা ভাঙলুম—ওই রত্ন বার করলুম। শুধু দাঁড়িয়ে ভাবলে তো হয় না। সাধন করা চাই।

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর অনন্ত ও অনন্ত ঈশ্বর—সকলই পন্থা—শ্রীবৃন্দাবন-দর্শন

    জ্ঞানীর মতে অসংখ্য অবতার-কুটীচক-তীর্থ কেন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞানীরা নিরাকার চিন্তা করে। তারা অবতার মানে না। অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে স্তব (Kathamrita) করেছেন, তুমি পূর্ণব্রহ্ম; কৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন আমি পূর্ণব্রহ্ম কিনা দেখবে এস। এই বলে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বললেন, তুমি কি দেখছ? অর্জুন বললেন, আমি এক বৃহৎ গাছ দেখছি,– তাতে থালো থালো কালো জামের মতো ফল ফলে রয়েছে। কৃষ্ণ বললেন, আরও কাছে এস দেখ দেখি ও থালো থালো ফল নয়—থালো থালো কৃষ্ণ অসংখ্য ফলে রয়েছে—আমার মতো। অর্থাৎ সেই পূর্ণব্রহ্মমরূপ থেকে অসংখ্য অবতার হচ্ছে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    Ramakrishna 69: “মা-দুর্গাকে হৃদয়মন্দিরে আনতে পারলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন”

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়াদিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —বল কি গো!

    মণি—দুর্গাপূজার বেশ ব্যাখ্যা শুনেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি বল দেখি।

    মণি—কেশব সেনের বাড়িতে রোজ সকালে উপাসনা হয়,– দশটা-এগারটা পর্যন্ত। সেই উপাসনার সময় তিনি দুর্গাপূজার ব্যাখা করেছিলেন। তিনি বললেন (Kathamrita), যদি মাকে পাওয়া যায়—যদি মা-দুর্গাকে কেউ হৃদয়মন্দিরে আনতে পারে—তাহলে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, আপনি আসেন। লক্ষ্মী অর্থাৎ ঐশ্বর্য, সরস্বতী অর্থাৎ জ্ঞান, কার্তিক অর্থাৎ বিক্রম, গণেশ অর্থাৎ সিদ্ধি—এ-সব আপনি হয়ে যায়—মা যদি আসেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ

    শ্রীযুক্ত ঠাকুর (Ramakrishna) সকল বিবরণ শুনিলেন ও মাঝে মাঝে কেশবের উপাসনা সমন্ধে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। অবশেষে বলিতেছেন (Kathamrita), তুমি এখানে ওখানে যেও না—এইখানেই আসবে।

    যারা অন্তরঙ্গ তারা কেবল এখানেই আসবে। নরেন্দ্র ভবনাথ রাখাল—এরা আমার অন্তরঙ্গ। এরা সামান্য নয়। তুমি এদের কদিন খাইও! নরেন্দ্রকে তোমার কিরূপ বোধ হয়?

    মণি—আজ্ঞা, খুব ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দেখ, নরেন্দ্রের কত গুণ—গাইতে, বাজাতে বিদ্যায়, আবার জিতেন্দ্রিয়, বলেছে বিয়ে করবে না—ছেলেবেলা থেকে ঈশ্বরেতে মন।

    ঠাকুর মণির সহিত আবার কথা কহিতেছেন।

    সাকার না নিরাকার—চিন্ময়ী মূর্তি ধ্যান—মাতৃধ্যান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার আজকাল ঈশ্বরচিন্তা কিরূপ (Kathamrita) হচ্ছে? তোমার সাকার ভাল লাগে—না নিরাকার?

    মণি—আজ্ঞা, সাকারে এখন মন যায়ে না। আবার নিরাকারে কিন্তু মন স্থির করতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখলে? নিরাকারে একেবারে মনস্থির হয় না। প্রথম প্রথম সাকার তো বেশ।

    মণি—মাটিতে এই সব মূর্তি চিন্তা করা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন? চিন্ময়ী মূর্তি।

    মণি—আজ্ঞা, তাহলেও তো হত-পা ভাবতে হবে? কিন্তু এও ভাবছি যে, প্রথমাবস্থায় রূপ চিন্তা না করলে মন স্থির হবে না—আপনি বলে দিয়েছেন। আচ্ছা তিনি তো নানারূপ ধরতে পারেন। নিজের মার রূপ কি ধ্যান করতে পারা যায়?

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 68: “চৈতন্যদেব বলেছিলেন, শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই”

    Ramakrishna 68: “চৈতন্যদেব বলেছিলেন, শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

     

    মণির চিন্তাগ্নিতে জল পড়িল। তিনি এতক্ষণ ভাবিতেছিলেন, আত্মহত্যা করে করুক, আমি কি করব?

    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—সংসারে বড় ভয়!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি ও নরেন্দ্রাদির প্রতি)—তাই চৈতন্যদেব বলেছিলেন (Kathamrita), শুন শুন নিত্যানন্দ ভাই সংসারী জীবের কভু গতি নাই।

    (মণির প্রতি একান্তে একদিন বলিয়াছিলেন)—ঈশ্বরেতে শুদ্ধাভক্তি যদি না হয়, তাহলে কোন গতি নাই। কেউ যদি ঈশ্বরলাভ করে সংসারে থাকে, তার কোন ভয় নাই। নির্জনে মাঝে মাঝে সাধন করে যদি শুদ্ধাভক্তিলাভ করতে পারে, সংসারের থাকলে তার কোন ভয় নাই! চৈতন্যদেবের সংসারী ভক্তও ছিল। তারা সংসারে নামমাত্র থাকত। অনাসক্ত হয়ে থাকত।

    ঠাকুরদের (Ramakrishna) ভোগারতি হইয়া গেল। অমনি নহবত বাজিতে লাগিল। এইবার তাঁহারা বিশ্রাম করিবেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আহারে বসিলেন। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ আজও ঠাকুরের কাছে প্রসাদ পাইবেন।

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ বিঁজয়দিবসে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে বিরাজ করিতেছেন। বেলা ৯টা হইবে—ছোট খাটটিতে বিশ্রাম করিতেছেন, মেঝেতে মণি বসিয়া আছেন। তাঁহার সহিত কথা (Kathamrita) কহিতেছেন।

    আজ বিজয়া, রবিবার, ২২শে অক্টোবর, ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ, আশ্বিন শুক্লা দশমী তিথি (৬ই কার্তিক, ১২৮৯)। আজকাল রাখাল ঠাকুরের কাছে আছেন। নরেন্দ্র, ভবনাথ মাঝে মাঝে যাতায়াত করেন। ঠাকুরের সঙ্গে তাঁহার ভাতৃস্পুত্র শ্রীযুক্ত রামলাল ও হাজরা মহাশয় বাস করিতেছেন। রাম, মনোমহন, সুরেশ, মাষ্টার, বলরাম ইঁহারাও প্রায় প্রতি সপ্তাহে—ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। বাবুরাম সবে দু-একবার দর্শন করিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তোমার পূজার ছুটি হয়েছে?

    মণি—আজ্ঞা হাঁ। আমি সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার দিনে কেশব সেনের বাড়িতে প্রত্যহ গিছলাম।

    আরও পড়ুনঃ “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 67: “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    Ramakrishna 67: “সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    যদি হৃদয়মন্দিরে মাধব প্রতিষ্ঠা করতে চাও, যদি ভগবানলাভ (Ramakrishna) করতে চাও, শুধু ভোঁ ভোঁ করে শাঁখ ফুঁকলে কি হবে! আগে চিত্তশুদ্ধি। মন শুদ্ধ হলে ভগবান পবিত্র আসনে এসে বসবেন। চামচিকার বিষ্ঠা থাকলে মাধবকে আনা যায় না। এগার জন চামচিকে একাদশ ইন্দ্রিয়—পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পাঁচ কর্মেন্দ্রিয় আর মন। আগে মাধব প্রতিষ্ঠা, তারপর ইচ্ছা হয় বক্তৃতা লেকচার দিও!

    আগে ডুব দাও। ডুব দিয়ে রত্ন তোল, তারপর অন্য কাজ।

    কেউ ডুব দিতে চায় না। সাধন নাই, ভজন নাই, বিবেক-বৈরাগ্য নাই, দু-চারটে কথা শিখেই অমনি লেকচার!

    লোকশিক্ষা দেওয়া কঠিন।… ভগবানকে দর্শনের পর যদি কেউ তাঁর আদেশ পায়, তাহলে লোকশিক্ষা দিতে পারে।

    অবিদ্যা স্ত্রী—আন্তরিক ভক্তি হলে সকলে বশে আসে।

    কথা (Kathamrita) কহিতে কহিতে ঠাকুর উত্তরের বারান্দার পশ্চিমাংশে আসিয়া দাঁড়াইলেন। মণি কাছে দাঁড়াইয়া। ঠাকুর বারবার বলিতেছেন, বিবেক-বৈরাগ্য না হলে ভগবানকে পাওয়া যায় না। মণি বিবাহ করিয়াছেন, তাই ব্যাকুল হইয়া ভাবিতেছেন, কি হইবে! বয়েস ২৮, কলেজে পড়িয়া ইংরেজী লেখাপড়া কিছু শিখিয়াছেন। ভাবিতেছেন, বিবেক-বৈরাগ্য মানে কি কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ?

    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—স্ত্রী যদি বলে, আমায় দেখছ না, আমি আত্মহত্যা করব, তাহলে কি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (গম্ভীরস্বরে)—অমন স্ত্রী ত্যাগ করবে, যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন করে। আত্মহত্যাই করুক, আর যাই করুক।

    যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন দেয়, সে অবিদ্যা স্ত্রী।

    গভীর চিন্তামগ্ন হইয়া মণি দেওয়ালে ঠেসান দিয়া একপাশে দাঁড়াইয়া রহিলেন। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণও ক্ষণকাল অবাক হইয়া রহিলেন।

    ঠাকুর তাঁহাদের সহিত একটু কথা কহিতেছেন (Kathamrita), হঠাৎ মণির কাছে আসিয়া একান্তে আস্তে আস্তে বলিতেছেন, কিন্তু যার ঈশ্বরে আন্তরিক ভক্তি আছে, তার সকলেই বশে আসে—রাজা, দুষ্ট লোক স্ত্রী। নিজের আন্তরিক ভক্তি থাকলে স্ত্রীও ক্রমে ঈশ্বরের পথে যেতে পারে। নিজে ভাল হলে ঈশ্বরের ইচ্ছাতে সেও ভাল হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 66: “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    Ramakrishna 66: “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধুগণ পঞ্চবটীর চাতাল হইতে অবতরণ করিলেন ও ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে আসিয়া দাঁড়াইলেন। ঠাকুর দক্ষিণাস্য হইয়া নিজের ঘরের দিকে তাঁহাদের সহিত কথা কহিতে কহিতে আসিতেছেন।

    ঠাকুর বলিতেছেন, ডুব দিলে কুমির ধরতে পারে, কিন্তু হলুদ মাখলে কুমির ছোঁয় না। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে কামাদি ছয়টি কুমির আছে। কিন্তু বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না।

    পাণ্ডিত্য কি লেকচার কি হবে যদি বিবেক-বৈরাগ্য না আসে। ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য; তিনিই বস্তু আর সব অবস্তু; এর নাম বিবেক।

    তাঁকে হৃদয়মন্দিরে আগে প্রতিষ্ঠা কর। বক্তৃতা, লেকচার, তারপর ইচ্ছে হয়তো করো। শুধু ব্রহ্ম ব্রহ্ম বললে (Kathamrita) কি হবে, যদি বিবেক-বৈরাগ্য না থাকে? ও তো ফাঁকা শঙ্খধ্বনি?

    এক গ্রামে পদ্মলোচন বলে একটি ছোকরা ছিল। লোকে তাকে পোদো পোদো বলে ডাকত। গ্রামে একটি পোড়ো মন্দির ছিল, ভিতরে ঠাকুর-বিগ্রহ নাই—মন্দিরের গায়ে অশ্বত্থগাছ, অন্যান্য গাছপালা হয়েছে। মন্দিরের ভিতরে চামচিকা বাসা করেছে। মেঝেতে ধুলা ও চামচিকার বিষ্ঠা। মন্দিরে লোকজনের আর যাতায়াত নাই।

    একদিন সন্ধ্যার কিছু পরে গ্রামের লোকেরা শঙ্খধ্বনি শুনতে পেলে। মন্দিরের দিক থেকে শাঁখ বাজছে ভোঁ ভোঁ করে। গ্রামের লোকেরা মনে করলে, হয়তো ঠাকুর প্রতিষ্ঠা কেউ করেছে, সন্ধ্যার পর আরতি হচ্ছে। ছেলে, বুড়ো, পুরুষ, মেয়ে—সকলে দৌড়ে দৌড়ে মন্দিরের সম্মুখে গিয়ে উপস্থিত। ঠাকুরদর্শন (Ramakrishna) করবে আর আরতি দেখবে। তাদের মধ্যে একজন মন্দিরের দ্বার আস্তে আস্তে খুলে দেখে, পদ্মলোচন একপাশে দাঁড়িয়ে ভোঁ ভোঁ শাঁখ বাজাচ্ছে। ঠাকুর প্রতিষ্ঠা হয় নাই—মন্দির মার্জনা হয় নাই—চামচিকার বিষ্ঠা রয়েছে। তখন সে চেঁচিয়ে বলছে (Kathamrita);

    মন্দিরে তোর নাহিক মাধব!

    পোদো, শাঁখ ফুঁকে তুই করলি গোল!

    তায় চামচিকে এগার জনা, দিবানিশি দিচ্ছে হানা-

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 65: “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    Ramakrishna 65: “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    বেলা প্রায় নয়টা। ঠাকুর নিজের ঘরে বসিয়া আছেন। মনোমহন কোন্নগর হইতে সপরিবারে আসিয়াছেন। মনোমহন প্রণাম করিয়া বলিলেন, এদের কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি। ঠাকুর কুশল প্রশ্ন করিয়া বলিলেন, আজ ১লা, অগস্ত্য, কলকাতায় যাচ্ছ, কে জানে বাপু! এই বালিয়া একটু হাসিয়া অন্য কথা কহিতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্রকে মগ্ন হইয়া ধ্যানের উপদেশ

    নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধুরা স্নান করিয়া আসিলেন। ঠাকুর ব্যগ্র হইয়া নরেন্দ্রকে বলিলেন (Kathamrita), যাও বটতলায় ধ্যান কর গে, আসন দেব?

    নরেন্দ্র ও তাঁহার কয়টি ব্রাহ্মবন্ধু পঞ্চবটীরমূলে ধ্যান করিতেছিলেন। বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিয়ৎক্ষণ পরে সেইখানে উপস্থিত; মাস্টারও আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি)—ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়। উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?

    এই বালিয়া ঠাকুর মধুর স্বরে গান গাহিতে লাগিলেন;

    ডুব দে মন কালী বলে। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে।

    রত্নাকর নয় শূন্য কখন, দু-চার ডুবে ধন না পেলে,

    তুমি দম-সামর্থ্যে এক ডুবে যাও, কুলকুণ্ডলিনীর কুলে।

    জ্ঞান-সমুদ্রের মাঝে রে মন, শান্তিরূপা মুক্তা ফলে,

    তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে, শিবযুক্তি মতো চাইলে।

    কামাদি ছয় কুম্ভীর আছে, আহার-লোভে সদাই চলে,

    তুমি বিবেক-হলদি গায়ে মেখে যাও, ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে।

    রতন-মাণিক্য কত, পড়ে আছে সেই জলে,

    রামপ্রসাদ (Ramakrishna) বলে ঝম্প দিলে, মিলবে রতন ফলে ফলে।

    ব্রাহ্মসমাজ, বক্তৃতা (Kathamrita) ও সমাজ সংস্কার (Social Reforms)-আগে ঈশ্বরলাভ, পরে লোকশিক্ষা প্রদান

    আরও পড়ুনঃ “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 64: “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    Ramakrishna 64: “ভক্তিই সার, তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

     

    এদিকে কাঁলীমন্দিরে ও রাঁধাকান্তের মন্দিরে মঙ্গল আরতি হইতেছে ও শাঁখঘন্টা বাজিতেছে। ভক্তেরা উঠিয়া দেখিতেছেন কালীবাড়ির পুষ্পোদ্যানে ঠাকুরদের পূজার্থ পুষ্পচয়ন আরম্ভ হইয়াছে ও প্রভাতী রাগের লহরী উঠাইয়া নহবত বাজিতেছে।

    নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিয়া ঠাকুরের কাছে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। ঠাকুর হাস্যমুখ, উত্তর-পূর্ব বারান্দার পশ্চিমাংশে দাঁড়াইয়া আছেন।

    নরেন্দ্র—পঞ্চবটীতে কয়েকজন নানাকপন্থী সাধু বসে আছে দেখলুম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, তারা কাল এসেছিল! (নরেন্দ্রকে) তোমরা সকলে একসঙ্গে মাদুরে বস, আমি দেখি।

    ভক্তেরা সকলে মাদুরে বসিলে ঠাকুর আনন্দে দেখিতে লাগিলেন ও তাঁহাদের সহিত গল্প করিতে লাগিলেন। নরেন্দ্র সাধনের কথা (Kathamrita) তুলিলেন।

    নরেন্দ্রাদিকে স্ত্রীলোক নিয়ে সাধন নিষেধ—সন্তানভাব অতি শুদ্ধ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নরেন্দ্রাদির প্রতি)—ভক্তিই সার। তাঁকে ভালবাসলে বিবেক বৈরাগ্য আপনি আসে।

    নরেন্দ্র—আচ্ছা, স্ত্রীলোক নিয়ে সাধন তন্ত্রে আছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ও-সব ভাল পথ নয়, বড় কঠিন, আর পতন প্রায়ই হয়। বীরভাবে সাধন, দাসীভাবে সাধন, আর মাতৃভাবে সাধন! আমার মাতৃভাব। দাসীভাবও ভাল। বীরভাবে সাধন বড় কঠিন। সন্তানভাব বড় শুদ্ধভাব।

    নানাকপন্থী সাধুরা ঠাকুরকে অভিবাদন করিয়া বলিলেন (Kathamrita), নমো নারায়ণায়। ঠাকুর তাঁহাদের আসন গ্রহণ করিতে বলিলেন।

    ঈশ্বরে সব সম্ভব

    ঠাকুর বলিতেছেন, ঈশ্বরের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তাঁর স্বরূপ কেউ মুখে বলতে পারে না। সকলেই সম্ভব। দুজন যোগী ছিল, ঈশ্বরের সাধনা করে। নারদ ঋষি যাচ্ছিলেন। একজন পরিচয় পেয়ে বললেন, তুমি নারায়ণের কাছ থেকে আসছ, তিনি কি করছেন? নারদ বললেন, দেখে এলাম, তিনি ছুচের ভেতর দিয়ে উট হাতি প্রবেশ করাচ্ছেন, আবার বার করছেন। একজন বললে, তার আর আশ্চর্য কি! তার পক্ষে সবই সম্ভব। কিন্তু অপরটি বললে, তাও কি হতে পারে! তুমি কখনও সেখানে যাও নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 63: “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    Ramakrishna 63: “ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দে নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    কীর্তনান্তে ঠাকুর উত্তর-পূর্ব বারান্দায় বেড়াইতেছেন। হাজরা মহাশয় বারান্দার উত্তরাংশে বসিয়া আছেন। ঠাকুর সেখানে গিয়া বসিলেন; মাস্টার সেইখানে বসিয়াছেন ও হাজরার সঙ্গে কথা কহিতেছেন। ঠাকুর একটি ভক্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি স্বপ্ন-টপ্ন দেখ?

    ভক্ত—একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেছি; এই জগৎ জলে জল। অনন্ত জলরাশি! কয়েকখানা নৌকা ভাসিতেছিল; হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেল। আমি আর কয়টি লোক জাহাজে উঠেছি; এমন সময়ে সেই অকূল সমুদ্রের উপর দিয়ে এক ব্রাহ্মণ চলে যাচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কেমন করে যাচ্ছেন? ব্রাহ্মণটি একটু হেসে বললেন, এখানে কোন কষ্ট নাই; জলের নিচে বরাবর সাঁকো আছে। জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন (Kathamrita), ভবানীপুর যাচ্ছি। আমি বললাম, একটু দাঁড়ান; আমিও আপনার সঙ্গে যাব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার এ-কথা শুনে রোমাঞ্চ হচ্ছে!

    ভক্ত—ব্রাহ্মণটি বললেন, আমার এখন তাড়াতাড়ি; তোমার নামেতে দেরি! এখন আসি। এই পথ দেখে রাখ, তুমি তারপর এস।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে! তুমি শীঘ্র মন্ত্র লও।

    রাত এগারটা হইয়াছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তগণ ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে বিছানা করিয়া শয়ন করিলেন।

    নিদ্রাভঙ্গের পর ভক্তেরা কেউ কেউ দেখিতেছেন যে, প্রভাত হইয়াছে (১৭ই অক্টোবর, ১৮৮২; মঙ্গলবার, ১ লা কার্তিক, শুক্লা পঞ্চমী)। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বালকের ন্যায় দিগম্বর, ঠাকুরদের নাম করিতে করিতে ঘরে বেড়াইতেছেন। কখন গঙ্গাদর্শন, কখন ঠাকুরদের ছবির কাছে গিয়া প্রণাম, কখন বা মধুর স্বরে নামকীর্তন। কখন বলিতেছেন, বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, গীতা, গায়েত্রী, ভগবত-ভক্ত-ভগবান। গীতা উদ্দেশ করিয়া অনেকবার বলিতেছেন, ত্যাগী ত্যাগী ত্যাগী ত্যাগী। কখন বা—তুমিই ব্রহ্ম, তুমিই শক্তি; তুমিই পুরুষ, তুমিই প্রকৃতি, তুমিই বিরাট, তুমিই স্বরাট; তুমিই নিত্য, তুমিই লীলাময়ী; তুমিই চতুর্বিংশতি তত্ত্ব।

    আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    Ramakrishna 61: “আজ ঠাকুরের হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    আজ ঠাকুরের (Ramakrishna) হৃদয়মধ্যস্থ প্রেমের উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়াছে। রাত প্রায় আটটা। তথাপি প্রেমোন্মত্ত হইয়া একাকী বারান্দায় বিচরণ করিতেছেন। উত্তরের লম্বা বারান্দায় আসিয়াছেন ও দ্রুতপদে বারান্দায় এক সীমা হইতে অন্য সীমা পর্যন্ত পদাচারণ করিতেছেন। মাঝে মাঝে সঙ্গে কি কথা কহিতেছেন। হঠাৎ উন্মমত্তের ন্যায় বলিয়া উঠিলেন, তুই আমার কি করবি?

    মা যার সহায় তার মায়া কি করিতে পারে। এই কথা কি বলিতেছেন?

    নরেন্দ্র, মাস্টার, প্রিয় রাত্রে থাকিবেন। নরেন্দ্র থাকিবেন; ঠাকুরের (Ramakrishna) আনন্দের সীমা নাই। রাত্রিকালীন আহার প্রস্তুত। শ্রীশ্রীমা নহবতে আছেন। রুটি ছোলার ডাল ইত্যাদি প্রস্তুত করিয়া ভক্তেরা খাইবেন বলিয়া পাঠাইয়াছেন। ভক্তের মাঝে মাঝে থাকেন; সুরেন্দ্র মাসে মাসে কিছু খরচ দেন।

    আহার প্রস্তুত। ঠাকুর ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় জায়গা হইতেছে।

    নরেন্দ্র প্রভৃতিকে স্কুল ও অন্যান্য বিষয়কথা কহিতে নিষেধ

    ঘরের পূর্বদিকের দরজায় কাছে নরেন্দ্রাদি গল্প করিতেছেন।

    নরেন্দ্র—আজকাল ছোকরারা কি রকম দেখছেন?

    মাস্টার—মন্দ নয়, তবে ধর্মোপদেশ কিছু হয় না।

    নরেন্দ্র—নিজে যা দেখছি, তাতে বোধ হয় সব অধঃপাতে যাচ্ছে। বার্ডসাই, ইয়ার্কি, বাবুয়ানা, স্কুল পালানো-এসব সর্বদা দেখা যায়। এমন কি দেখেছি যে, কুস্থানেও যায়।

    মাস্টার—যখন পড়াশুনা করতাম, আমরা তো এরূপ দেখি নাই, শুনি নাই।

    নরেন্দ্র—আপনি বোধহয় তত মিশিতেন না। এমন দেখেছি যে, খারাপ লোকে নাম ধরে ডাকে, কখন আলাপ করেছে কে জানে!

    মাস্টার—কি আশ্চর্য!

    নরেন্দ্র—আমি জানি, অনেকের চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে। স্কুলের কর্তৃপক্ষীয়েরা ও ছেলেদের অভিভাবকেরা এ-সব বিষয়ে দেখেন তো ভাল হয়।

    আরও পড়ুনঃ”হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,  দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    Ramakrishna 60: “হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ, দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    কীর্তনানন্দ নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে—নরেন্দ্রকে প্রেমালিঙ্গন

    বৈকাল হইয়াছে—নরেন্দ্র (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন—রাখাল, লাটু, মাস্টার, নরেন্দ্র ব্রাহ্মবন্ধু প্রিয়, হাজরা—সকলে আছেন।

    নরেন্দ্র কীর্তন গাহিলেন, খোল বাজিতে লাগিলঃ

    চিন্তয় মম মানস হরি চিদঘন নিরঞ্জন;

    কিবা অনুপম ভাতি, মোহন মূরতি, ভকত-হৃদ্য-রঞ্জন

    নবরাগে রঞ্জিত, কোটি শশী-বিনিন্দিত,

    (কিবা) বিজলি চমকে, সেরূপ আলোকে, পুলকে শিহরে জীবন।

    হৃদি-কমলাসনে ভাব তাঁর চরণ,

    দেখ শান্ত মনে, প্রেমনয়নে, অপরূপ প্রিয়দর্শন।

    চিদানন্দরসে, ভক্তিযোগাবেশে, হও রে চিরগমন।

    নরেন্দ্র আবার গাহিলেনঃ

    সত্যং শিব সুন্দর ভাতি হৃদি মন্দিরে।

    নিরখি নিরখি অনুদিন মোর ডুবিব রূপসাগরে।

    (সেদিন কবে হবে) (দীনজনের ভাগ্যে নাথ)।

    জ্ঞান-অনন্তরূপে পশিবে নাম মম হৃদে,

    অবাক্‌ হইয়ে অধীর মন শরণ লইবে শ্রীপদে।

    আনন্দ-অমৃতরূপে উদিবে হৃদয়-আকাশে,

    চন্দ উদিলে চকোর যেমন ক্রীড়য়ে মন হরষে,

    আমরাও নাথ, তেমনি করে মাতিব তব প্রকাশে।

    শান্তং শিব অদ্বিতীয় রাজ-রাজ চরণে,

    বিকাইব ওহে প্রাণসখা, সকল করিব জীবন।

    এমন অধিকার, কোথা পাব আর, স্বর্গভোগ জীবনে (সশরীরে)

    শুদ্ধমপাপবিদ্ধিবং রূপ, হেরিয়ে নাথ তোমার,

    আলোক দেখিলে আঁধার যেমন যায় পলাইয়ে সত্ত্বর;

    তেমনি নাথ তোমার প্রকাশে পালাইবে পাপা-আঁধার।

    ওহে ধ্রুবতারা সম হৃদে জলন্ত বিশ্বাস হে;

    জ্বলি দিয়ে দীনবন্ধু পুরাও মনের আশ;

    আমি নিশিদিন প্রমানন্দে মগন হইয়ে হে;

    আপনার ভুলে যাব, তোমারে পাইয়ে হে।

    (সেদিন কবে হবে হে)

    আনন্দবনে মল মধুর ব্রহ্মনাম (Ramakrishna)।

    নামে উথলিবে সুধাসিন্ধু পিয় অবিরাম। (পান কর আর দান কর হে)।

    যদি হয় কখন শুদ্ধ হৃদয়, কর নামগান।

    (বিষয়-মরীচিকায় পড়ে হে) (প্রেমে হৃদয়, সরস হবে হে)

    (দেখ যেন ভুল না রে সেই মহামন্ত্র)

    সবে হুঙ্কারিয়ে ছিন্ন কর পাপের বন্ধন। (জয় ব্রহ্ম জয় বল হে)

    এস ব্রহ্মানন্দ বাতি সবে হই পূর্ণকাম।(প্রেমযোগে যোগী হয়ে হে)

    খোল করতাল লইয়া কীর্তন হইতেছে। নরেন্দ্রাদি ভক্তেরা ঠাকুরকে বেড়িয়া বেড়িয়া কীর্তন করিতেছেন। কখন গাহিতেছেন, প্রেমানন্দ রসে হও রে চিরগমন! আবার কখন গাহিতেছেন, সত্যং শিব সুন্দররূপ ভাতি হৃদিমন্দিরে।

    কীর্তনান্তে নরেন্দ্রকে ঠাকুর অনেকক্ষণ (Ramakrishna) করিয়া বারবার আলিঙ্গন করিলেন! বলিতেছেন, তুমি আজ আমায় আনন্দ দিলে !!!

    আরও পড়ুনঃ “মা, কোথায় আনলে! আমি যে রাসমণির মন্দিরে খুব ভাল ছিলাম”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share