Tag: madhyom news

madhyom news

  • Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Loksabha election 2024) প্রথম দফায় নির্বাচন আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল। রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর জন্য বুধবার শেষ প্রচারের দিন। তার আগে রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ছ’টি আসনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের ছটি আসনে যে স্পর্শকাতর বুথে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মোট ১৮৬২টি বুথ স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনার গয়না সহ ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Loksabha election 2024)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফায় যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন (Loksabha election 2024) হবে তার মধ্যে কোচবিহার (Coochbehar) কেন্দ্রের ২০৪৩টি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৭টির মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রের ১৯০৪ টি নির্বাচনী বুথের মধ্যে ৩৯১টি স্পর্শকাতর বুথ তালিকায় রয়েছে। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক স্পর্শকাতর বুথের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০০টি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬২ টি।

    নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না উদ্ধার

    নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না সহ যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ভোটের আগে বাংলা থেকে এত পরিমাণ অর্থ সামগ্রীর একটা বড় অংশ নির্বাচনে (Loksabha election 2024) খরচ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দিনক্ষণ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও নির্বাচনে ঢের দেরি রয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো গন্ডগোল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। প্রথম কয়েক দিন সশস্ত্র বাহিনীকে (Central Forces) এলাকা চেনানো হলেও তারপর বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেও পুলিশ নিজে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে কী এবারও বাহিনীকে যথাসম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার ছক রয়েছে পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “নির্বাচনে (Loksabha election 2024) তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৭ মে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। প্রচারের ফাঁকেই মনোনয়ন দাখিলের কাজ চলছে। মালদা উত্তরে ৬টি, মালদা দক্ষিণ ৩টি, জঙ্গিপুরে ৫টি, মুর্শিদাবাদে ৪টি, ভগবানগোলা উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই দফায় ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে করা যায় তার জন্য ৪১ হাজারের বেশি লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ৬৪৯টি ফ্লাইয়িং স্কোয়াড ও নজরদারি দল কাজ করছে। এছাড়াও বহু জায়গায় বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের মধ্যে ঘুণ ধরেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। প্রার্থীর সঙ্গে থেকেও কাজ করছে না।” দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন ভরতপুরের (Bharatpur) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি দলীয় সভায় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan) সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, “কে কী লিখবে, কে কী বলবে জানি না। রাজ্য নেতৃত্বকে বলেছি, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ জেলা। আগামী দিনে ডিলিমেটশন হলে আরও গুরুত্ব বাড়বে। এক সময় এই জায়গা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে নেতৃত্ব দিত। কেউ দলের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করবেন না। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। অনেকের অনেক অহংকার।” দলের সভায় সোজাসাপটা ভাবে দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীকোন্দলের কথা জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের এই তৃণমূল বিধায়ক।

    ভোটের আগে থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোট ঘোষণার আগে থেকে দলের বিতর্কিত মুখ ছিলেন হুমায়ুন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন বহিরাগত প্রার্থী মানব না। প্রকাশ্যে বলেছেন, অন্য রাজ্য থেকে খেলোয়াড় কিংবা কলকাতা থেকে গায়ক এনে অধীর চৌধুরীকে হারানো যাবে না, এটা আগেও প্রমাণ হয়েছে। এমনকী দলের সিদ্ধান্তকে অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছিলেন মাস খানেক আগেও। এখন প্রার্থীর সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু কতটা আছেন তা নিয়ে দলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর জন্য বহরমপুরে কেউ কেউ আলাদা মিটিং-মিছিল শুরু করেছেন। এর বিরুদ্ধেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন হুমায়ুন।

    নেতা কর্মীদের অহংকার

    দলীয় সভায় যা বলেছেন তার বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বলেন, “জেলায় (Murshidabad) দলের কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে অহংকার রয়েছে। ভাবছে এমনি এমনি হয়ে যাবে। ভোট অত সহজ জিনিস না। দলের কর্মীদের সতর্ক করছি। প্রার্থীর সঙ্গে হুড়োহুড়ি করছে কিন্তু মাঠে ময়দানের খাটবে না, এটা হবে না। দলের মধ্যে যদি কিছু খামতি থাকে সেটাকে সংশোধন করতে হবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    বহরমপুরে (Murshidabad) একদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মল সাহা। দুজনেই স্থানীয়। আর কথায় কথায় বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না বলা তৃণমূল কংগ্রেস সুদুর গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে দলের মধ্যেই কানাঘুষো আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এবিষয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “হুমায়ুন করবীরের বক্তব্য এখন ফাঁকা ঢোলের আওয়াজ। কখন কী বলে নিজের দল আর বাড়ির লোকেরাই জানে না। হুমায়ুন কবীর কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিরোধিতা করেছিল। বলেছিল বহিরাগত প্রার্থী মানছি না। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই ডেকে পাঠানোয় সোজা হয়ে গিয়েছেন। ইউসুফ পাঠান তিন হবে না চার সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

    আরও পড়ুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    হুমায়ুনের বক্তব্যে যে ফের জলঘোলা হচ্ছে তা টের পেয়েছে তৃণমূল। মান বাঁচাতে হুমায়ুনের সমর্থনে নামেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপুর্ব সরকার। তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিনের রাজনীতি করা মানুষ। আমার দাদা। ওঁর হয়ত কিছু মনে হয়েছে, সেটা বলেছেন। দলের ভালোর জন্যই বলেছে। আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও এনিয়ে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    Birbhum: কল আছে জল নেই! ভোটের প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা খারাপ, নেই জল! সাঁইথিয়ায় (saithiya) প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (satabdi ray)। যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, “কোথাও ক্ষোভ নেই। বীরভূমের (Birbhum) গ্রামবাসীরা শুধুমাত্র তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।” ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী (Birbhum) 

    বীরভূমে (Birbhum) ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কয়েকদিন যাবৎ যেখানেই যাচ্ছেন, গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে শতাব্দী রায়কে। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই যাচ্ছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগকে মোটেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হিসেবে দেখছেন না শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, “প্রার্থীকে সামনে পেয়ে আবদার করেছেন মাত্র।” এমনকী যাঁরা সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁদেরকে ধমক দিয়ে বসেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।

    গানে প্রচার শতাব্দীর

    বীরভূমে এখন চাঁদিফাটা রোদুর। দাবদাহ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার। প্রচার জোরালো করতে “জিতব আমি, জিতব আমরা” গানটি লিখেছেন নিজেই। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে গানের শুটিং সেরে ফেলেছেন তিনবারের সাংসদ শতাব্দী। হুডখোলা জিপে চলছে সেই গানে তালে তালে প্রচার। তবে গানের একটি পংক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গানের মধ্যে রয়েছে, “এই বাংলার মা বোনেরা মমতাকেই চায়। কেন না তারা সুখে আছে মমতার ভরসায়।”

    আরও পড়ুন: ‘রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল’, তোপ মোদির

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের দয়ায় রাজনীতিবিদরা জয়ী হন। নিজের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান। রাজনীতিবিদের ভরসায় মানুষের দিন চলে এটা ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। মনোবল তলানিতে নাকি ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ! বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধরের জবাব, “গান গেয়ে ভিডিও শুট করে মানুষের কাছে প্রচারে যেতে হচ্ছে এখন। কাজকর্ম ভালোভাবে করলে ভিডিও শুটিংয়ের দরকার পড়ত না। অহংকার বেড়ে গেলে মানুষ জবাব ভোট বাক্সে দিয়ে দেবে। বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, “যে কোনও সরকার মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করে। তাঁর একটা অংশ জনগণের মধ্যে প্রকল্প রূপে ফিরিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেছেন সেটাও জনগণের ট্যাক্সের টাকা। কোনও নেতা নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দিচ্ছে না। শতাব্দী হয়তো মনে করছেন তিনি বা তাঁর দলনেত্রী জনগণকে দয়া করেন।” উল্লেখ্য প্রচারের জন্য ভিডিও আগে কখনও করতে হয়নি শতাব্দীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    Malda: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বন্দে ভারত (Vande Bharat) কি এখন দুষ্কৃতীদের সফট টার্গেটে! প্রশ্ন উঠল নববর্ষের দিনেও। পশ্চিমবঙ্গে দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে ফের ভাঙল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কাচ। মালদায় (Malda) পাথরের আঘাতে ট্রেনের একটি জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে বলে রেল দফতর সূত্রের খবর। বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সুরক্ষা নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Malda)?

    জানা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী (New Jalpaiguri) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন মালদা (Malda) স্টেশন ছাড়ার পর শ্রীপুর থেকে সামসি স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় ট্রেনের সি৮ কোচ লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। কেন বারবার আক্রমণের মুখে পড়ছে  এই প্রশ্ন এখন বন্দে ভারতের যাত্রীদের। ঘটনায় সকল যাত্রীরা সুরক্ষার অভাব বোধ করছেন।

    তদন্তে আরপিএফ

    এদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার সময় রবিবার বিকেলে মালদা টাউন স্টেশনের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসার পর মালদার (Malda) আরপিএফ (RPF) কর্মীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তাঁরা রেল যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর আগে বন্দে ভারত ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবারও সেই আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু

    যাত্রীর বক্তব্য

    বন্দে ভারতের এক যাত্রী এদিন বলেন, “আগে এই ধরনের পাথর ছোড়ার ঘটনা শুনেছিলাম। এবার মালদায় (Malda) নিজের চোখে দেখলাম। বিষয়টি বন্ধ করা উচিত। না হলে এত টাকা খরচ করে এই ট্রেনে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়ার কোনও মানেই হয় না। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিরাট থেকে সালাসর বালাজির দর্শন করে ফেরার সময় রাজস্থানের সিকর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় (Accident) ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সকলেই গাড়ির ভিতরে জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ও দুজন তাঁদের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই মিরাট ক্যান্টনমেন্টের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সত্যপ্রকাশ অগরওয়ালের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Accident)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাট রোড থেকে এই পরিবার সালাসর বালাজির দর্শন করতে গিয়েছিলেন। দর্শন করার পর পরিবারের সকলে একই গাড়িতে ফেরত আসার সময় সতীমাতার দর্শন করার জন্য হিসার যাচ্ছিলেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেই সময় সিকর এলাকায় উড়ালপুলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় তাঁদের গাড়ি ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপরই গাড়ির সিএনজি ট্যাঙ্ক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গাড়ির ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাতজন মারা (Accident) যান। মারা যাওয়া সকলেই শিবশংকর পুরীর বাসিন্দা। তাঁদের নাম নিলম গোয়েল, মুকেশ গোয়েল, মঞ্জু বিন্দাল, হার্দিক বিন্দাল, স্বাতী বিন্দাল, দিশা ও তাঁর দু বছরের বোন (নাম অজ্ঞাত) বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে হার্দিক বিন্দল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ আগরওয়ালের শ্যালক। তাঁরা সকলের প্রাক্তন বিধায়কের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য

    রবিবার দুপুরবেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী রামনিবাস সৈনি বলেছেন, “দুপুর বেলা ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজের পিকআপ গাড়ি সার্ভিস করানোর জন্য উড়ালপুলের পাশের একটি সার্ভিস সেন্টারে যাচ্ছিলাম। সেই সময় উড়ালপুলের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমার পাশ থেকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়ি ওভারটেক করার চেষ্টা করে। সেই সময় ট্রাকে ধাক্কা মারে গাড়ি। আমি নিজের গাড়ি সাইড করে দুর্ঘটনাস্থলের (Accident) দিকে দৌড়ে যাই। পিছনে বসে থাকা দুজন ব্যক্তি চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করছিলেন। সেই সময় গাড়ির পিছনের সিএনজির ট্যাংক থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। এর পরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তাতে পুড়ে মারা যান সকলে। আগুন এতটাই জোরালো ছিল যে গাড়ির দরজা খোলা যায়নি। পুলিশ এসে আগুন নেভায় এবং এরপর গাড়িটিকে ক্রেনের সাহায্যে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মোবাইল থেকে মৃতদেহ শনাক্ত

    ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর এবং সিম কার্ড থেকে মৃতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মোবাইলের সিম কার্ড থেকে পাওয়া তথ্য থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর এই দুর্ঘটনার (Accident) কথা জানানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুরে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay) । আর অভিষেক এলাকা ছাড়তেই সন্ধ্যা বেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির (Dhupguri) অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশচালা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বুথ সভাপতিও রয়েছেন। 

    অভিষেক চলে যেতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (BJP)

    লোকসভা ভোটের মুখে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিজেপি (bjp)। কারণ, শাসকদলের ঘরে সিঁধ কেটে তারা নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ধুপগুড়ির দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তেই তৃণমূলের কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখালেন। শুক্রবার রাতে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে তারা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নেন। বিজেপির ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিদায়ী সংসদ তথা এবারেরও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর হাত ধরেই কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জানান, “তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী প্রায় দেড়শো পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আগামী শুক্রবার। একেবারে প্রথম দফাতেই ভোট জলপাইগুড়িতে। হাতে বাকি আর এক সপ্তাহেরও কম। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার। তবে এই যোগদানের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা। নাম ভাস্কর মিত্র। তিনি আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় ওই নেতা অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, দলের বেশ কয়েকটি শাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আইএনটিটিউসিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের কোনও কার্যক্রম হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য দলগুলি শ্রমিক সংগঠনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাঁর নিজের বলে এই সংগঠন নাম কা ওয়াস্তে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাস্কর বাবুর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানতে নারাজ ওই নেতা। তিনি আরও লিখেছেন, “শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। বছরে একটা মিছিল করা ছাড়া দলের তরফে আর কোন বার্তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না। এরকম সংগঠনের সঙ্গী হয়ে কোন লাভ নেই।” যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলকে ভালবাসলে কোন পদের (Basirhat) প্রয়োজন হয় না।

    দলে গুরুত্ব নেই 

    দল ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিজেপির প্রোগ্রামে টোটো, অটো, বাস ইউনিয়নের কর্মীরা ফ্ল্যাগ বেঁধে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই শ্রমিক সংগঠনের পদে থাকার কোন মানে দাঁড়ায় না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকদের কোনও সমন্বয় সাধন নেই। তাই আমি পদ ছেড়েছি।” বিজেপির দাবি, প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। যদিও তৃণমূল টোটো, অটো ও বাস সংগঠন সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে রাখে। তবে এটা ঠিক যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (Basirhat) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না শুধু টাকা তোলার সময় নেতারা আছেন। শ্রমিকদের কথা ভাবার জন্য তারা কেউ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ramnavami 2024) সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে ঝামেলা না পাকানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির।

    পুলিশ বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে রেখেছেন বিজেপি রামনবমীর সময় ঝামেলা পাকাতে পারে। আগেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামনবমী (Ramnavami 2024) ও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। হামলার সময় নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে পুলিশ। এমনকি পুলিশও বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ 

    বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর এলাকায় চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ রামনবমীর প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির মত কোন ঝামেলা পাকাবেন না। আজ হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। রাম মন্দির হয়ে গিয়েছে। তাই চারখানা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের চমকাবেন না বা হিংসা করার জন্য পাঠাবেন না। তাহলে হিন্দু সমাজে জবাব দেবে।”

    ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা  

    এবছর চার দিন ধরে রাজ্য জুড়ে রামনবমী (Ramnavami 2024) পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া সমর্থকরা। ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তার আগে বর্ধমানের বড় নীলপুর বাজারে আয়োজিত পথসভা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    ২০২৩ সালের অশান্তি

    প্রসঙ্গত, শেষ বছর রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে হাওড়া, হুগলি, রিষড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর গোলমাল হয়। রামনবমীর শোভাযাত্রার উপরে পাথর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলার জেরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এবিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ বছর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আগেভাগেই পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন দিলীপবাবু।

    শাসক দলের মদত 

    বাংলায় বিভিন্ন সময় দেখা গেছে রামনবমীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়া হয়েছে আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে। এমনকি কয়েকটি ধর্মীয়স্থল থেকে উস্কানিমূলক মাইক প্রচার করে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য। মহরম, ঈদ, হোলী, বৈশাখী, ক্রিসমাস, নিউইয়ার শান্তিপূর্ণভাবে পালন হলেও রামনবমীর অশান্তির পিছে পিছনে শাসকদলের ভোট ব্যাংকের রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share