Tag: madhyom news

madhyom news

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 6: “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 6: “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে”

     

    সংসারর্ণবঘোরে যঃ কর্ণধারস্বরূপঃ।

    নমোহস্ত রামকৃষ্ণায় তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।

     

    ভক্তির উপায়

    মাষ্টার (বিনীতভাবে)-ঈশ্বরে কি করে মন হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরের (Sri Ramakrishna Kathamrita) নামগুণগান সর্বদা করতে হয়। আর সৎসঙ্গ-ঈশ্বরের ভক্ত বা সাধু, এঁদের কাছে মাঝে মাঝে যেতে হয়। সংসারের ভিতর ও বিষয়কাজের ভিতর রাতদিন থাকলে ঈশ্বরে মনে হয় না। মাঝেমাঝে নির্জনে গিয়ে তাঁর চিন্তা করা বড় দরকার। প্রথম অবস্থায় মাঝে মাঝে নির্জন না হলে ঈশ্বরে মনে রাখা বড়ই কঠিন।

    যখন চারাগাছ থাকে, তখন তার চারিদিকে বেড়া দিতে হয়। বেড়া না দিলে ছাগল-গরু খেয়ে ফেলে।

    “ধ্যান করবে মনে, কোণে ও বনে। আর সর্বদা সদসৎ বিচার করবে। ঈশ্বরই (Sri Ramakrishna Kathamrita) সৎ-কিনা নিত্যবস্তু, আর সব অসৎ-কিনা অনিত্য। এই বিচার করতে করতে অনিত্য বস্তু মন থেকে ত্যাগ করবে।”

    মাস্টার (বিনীতভাবে)–সংসারে কিরকম করে থাকতে হবে?

    গৃহস্থ সন্ন্যাস উপায় নির্জনে সাধন

    শ্রীরামকৃষ্ণ –সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে। স্ত্রী, পুত্র, বাপ, মা—সকলে নিয়ে থাকবে ও সেবা করবে। যেন কত আপনার লোক। কিন্তু মনে জানবে যে তারা তোমার কেউ নয়।

    “বড় মানুষের বাড়িতে দাসী সব কাজ কচ্ছে, কিন্তু দেশে নিজের বাড়ির দিকে মন পড়ে আছে। আবার সে মনিবের ছেলেদের আপনার ছেলে মতো মানুষ করে। বলে ‘আমার রাম’ ‘আমার হরি’, কিন্তু মনে বেশ জানে এরা আমার কেউ নয়।

    “কচ্ছপ জলে চরে বেড়ায়, কিন্তু তার মন কোথায় পড়ে আছে জানো?–আড়ায় পড়ে আছে। যেখানে তার ডিমগুলি আছে। সংসারের সব কর্ম করবে, কিন্তু ঈশ্বরে মন ফেলে রাখবে।

    “ঈশ্বরে ভক্তিলাভ না করে যদি সংসার করতে যাও তাহলে আরও জড়িয়ে পড়বে। বিপদ, শোক, তাপ–এসবে অবৈধ হয়ে যাবে। আর যত বিষয়- চিন্তা করবে ততই আসক্তি বাড়বে।

    “তেল হাতে মেখে তবে কাঁঠাল ভাঙতে হয়! তা না হলে হাতে আঠা জড়িয়ে যায়। ঈশ্বরে ভক্তিরূপ তেল লাভ করে তবে সংসারের কাজে হাত দিতে হয়।

    “কিন্তু এই ভক্তিলাভ করতে হলে নির্জন হাওয়া চাই। মাখন তুলতে গেলে নির্জনে দই পাততে হয়। দইকে নাড়ানাড়ি করলে দই বসে না। তারপর নির্জনে বসে, সব কাজ ফেলে দই মন্থন করতে হয়। তবে মাখন তোলা যায়।

    “আবার দেখ, এই মনে নির্জনে ঈশ্বরচিন্তা (Sri Ramakrishna Kathamrita) করলে জ্ঞান বৈরাগ্য ভক্তিলাভ হয়। কিন্তু সংসারে ফেলে রাখালে ওই মন নীচ হয়ে যায়। সংসারে কেবল কামিনী-কাঞ্চন চিন্তা।

    আরও পড়ুনঃ “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    আরও পড়ুনঃ “এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য, তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৫ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 4: “এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য, তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 4: “এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য, তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে”

     

    অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্

         তৎপদং দর্শিত যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।

     

      মাস্টারকে তিরস্কার ও তাঁহার অহঙ্কার চূর্ণকরণ

     

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)-তোমার কি বিবাহ হয়েছে?

    মাস্টার–আজ্ঞে হ্যাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (শিহরিয়া)-ওরে রামলাল! যাঃ, বিয়ে করে ফেলেছে!

    মাস্টার ঘোরতর অপরাধী ন্যায় অবাক হইয়া অবনতমস্তকে চুপ করিয়া বসিয়া রহিলেন। ভাবিতে লাগিলেন, বিয়ে করা কি এত দোষ!

    ঠাকুর আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কি ছেলে হয়েছে?

    মাস্টারের বুক ঢিপঢিপ করিতেছে। ভয়ে ভয়ে বলিলেন, আজ্ঞে ছেলে হয়েছে। ঠাকুর আবার আক্ষেপ করিয়া বলিতেছেন, যাঃ ছেলে হয়ে গেছে! তিরস্কৃত হইয়া তিনি স্তব্ধ হইয়া রহিলেন। তাঁহার অহঙ্কারচূর্ণ হইতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita) আবার কৃপাদৃষ্টি করিয়া সস্নেহে বলিতে লাগিলেন, ‘দেখ, তোমার লক্ষণ ভাল ছিল, আমি কপাল, চোখ -এসব বুঝতে পারি। আচ্ছা, তোমার পরিবার কেমন? বিদ্যাশক্তি না অবিদ্যাশক্তি?”

    জ্ঞান কাহাকে বলে? প্রতিমাপূজা

    মাস্টার-আজ্ঞা ভাল, কিন্তু অজ্ঞান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিরক্ত হইয়া)–আর তুমি জ্ঞানী?

    তিনি জ্ঞান কাহাকে বলে, অজ্ঞান কাহাকে বলে, এখনও জানেন না। এখনও পর্যন্ত জানিতেন যে, লেখাপড়া শিখিলে ও বই পড়িতে পারিলে জ্ঞান হয়। এই ভ্রম পরে দূর হইয়াছিল। তখন শুনিলেন যে, ঈশ্বরকে জানার নাম জ্ঞান, ঈশ্বরকে না জানার নামই অজ্ঞান। ঠাকুর বলিলেন, তুমি কি জ্ঞানী!” মাস্টারের অহঙ্কারে আবার বিশেষ আঘাত লাগিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)-আচ্ছা, তোমার ‘সাকারে’ বিশ্বাস, না ‘নিরাকার’?

    মাস্টার (অবাক হইয়া স্বগত)–সাকারে বিশ্বাস থাকলে কি নিরাকারে বিশ্বাস হয়? ঈশ্বর নিরাকার, এ-বিশ্বাস থাকিলে ঈশ্বর সাকার এ-বিশ্বাস কি হইতে পারে? বিরুদ্ধে অবস্থা দুটাই কি সত্য হইতে পারে? সাদা জিনিস-দুধ, কি আবার কালো হতে পরে?

    মাস্টার–আজ্ঞা, নিরাকার–আমার এইটি ভাল লাগে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ-তা বেশ। একটাতে বিশ্বাস থাকলেই হল। নিরাকার বিশ্বাস, ততো ভালোই। তবে এ-বুদ্ধি কারো না যে, এইটি কেবল সত্য আর সব মিথ্যা। এইটি জেনো যে, নিরাকারও সত্য। তোমার যেটি বিশ্বাস, সেইটিই ধরে থাকবে।

    মাস্টার দুইই সত্য এই কথা বারবার শুনিয়া অবাক্‌ হইয়া রহিলেন। এ-কথা তো তাঁহার পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে নেই।

    তাঁহার অহঙ্কার তৃতীয়বার চূর্ণ হইতে লাগিল। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়ে নাই। তাই আবার একটু তর্ক করিতে অগ্রসর হইলেন।

    মাস্টার–আজ্ঞা, তিনি সাকার, এ-বিশ্বাস যেন হল! কিন্তু মাটির প্রতিমা তিনি তো নন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ—মাটি কেন গো! চিন্ময়ী।

    মাস্টার ‘চিন্ময়ী প্রতিমা’ বুঝিতে পারিলেন না। বলিলেন, আচ্ছা যারা মাটিতে প্রতিমা পূজা করে তাদের তো বুঝিয়ে দেওয়া উচিত যে, মাটির প্রতিমা ঈশ্বর নয়, আর প্রতিমার সম্মুখে ঈশ্বরকে উদ্দেশ্য করে পূজা করা উচিত।    

    আরও পড়ুনঃ “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

    আরও পড়ুনঃ “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    আরও পড়ুনঃ “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৪র্থ পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও”

     

    অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্

          তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।

    গুরু শিষ্য-সংবাদ

    দ্বিতীয় দর্শন সকাল বেলা, আটটার সময়। ঠাকুর তখন কামাতে যাচ্ছেন। এখনও একটু শীত আছে। তাই তাঁহার গায়ে মেলেস্কিনের র‍্যাপার। র‍্যাপারের কিনারা শালু দিয়ে মোড়া। মাস্টারকে দেখিয়ে বলিলেন, তুমি এসেছ? আচ্ছা, এখানে বস।

    এ-কথা দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় হইতেছিল। নাপিত উপস্থিত। সেই বারান্দায় ঠাকুর কামাইতে বসিলেন ও মাঝে মাঝে মাস্টারের সহিত কথা কহিতে লাগিলেন। গায়ে ওইরূপ র‍্যাপার, পায়ে চটি জুতা, সহাস্যবদন। কথা কহিবার সময় কেবল একটু তোতলা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)–হ্যাঁগা, তোমার বাড়ি কোথায়?

    মাস্টার–আজ্ঞা, কলিকাতায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)–এখানে কোথায় এসেছে?

    মাস্টার-এখানে বরাহনগরে বড় দিদির বাড়ি আসিয়াছি। ঈশান কবিরাজের বাটী।

    শ্রীরামকৃষ্ণ–ওহ্‌ ঈশানের বাড়ি!

    শ্রীকেশবচন্দ্র সেন ও মার কাছে ঠাকুরের ক্রন্দন

    শ্রীরামকৃষ্ণ–হ্যাঁগা, কেশব আছে? বড় অসুখ হয়েছিল।

    মাস্টার–আমিও শুনেছিলাম বটে, এখন বোধ হয় ভাল আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)–আমি আবার কেশবের জন্য মার কাছে ডাব-চিনি মেনেছিলুম। শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে যেত আর মার কাছে কাঁদতুম, বলতুম, মা, কেশবের অসুখ ভালো করে দাও; কেশব না থাকলে আমি কলকাতায় গেলে কার সঙ্গে কথা কব? তাই-চিনি মেনেছিলুম।

    হ্যাঁগা, কুক্‌ সাহেব নাকি একজন এসেছে? সে নাকি লেকচার দিচ্ছে? আমাকে কেশব জাহাজে তুলে নিয়ে গিছিল। কুক্‌ সাহেবও ছিল।”

    মাস্টার–আজ্ঞা, এই রকম শুনেছিলুম বটে, কিন্তু আমি তাঁর লেকচার শুনি নাই। আমি তাঁর বিষয় বিশেষ জানি না।

    আরও পড়ুনঃ “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    গৃহস্থ ও পিতার কর্তব্য

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Sri Ramakrishna Kathamrita)-প্রতাপের ভাই এসেছিল। এখানে কয়দিন ছিল। কাজকর্ম নাই। বলে, আমি এখানে থাকব। শুনলাম, মাগছেলে সব শ্বশুরবাড়িতে রেখেছে। অনেকগুলি ছেলেপিলে। আমি বকলুম, দেখ দেখি ছেলেপিলে হয়েছে; তাঁদের কি আবার ও-পাড়ার লোক এসে খাওয়াবে-দাওয়াবে, মানুষ করবে? লজ্জা করে না যে, মাগছেলেদের আর একজন খাওয়াচ্ছে, আর তাদের শ্বশুরবাড়ি ফেলে রেখেছে। অনেক বকলুম, আর কর্মকাজ খুঁজে নিতে বললুম। তবে এখান থেকে যেতে চায়।    

     

    তথ্যসূত্রঃ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত চরিতামৃত, ৩য় পরিচ্ছেদ, দ্বিতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

     

    এটি রাসমণির দেবালয়

    সিধুর সঙ্গে ঘরের বাহিরে আসিতে না আসিতে আরতির মধুর শব্দ হইতে লাগিল। এককালে কাঁসর, ঘণ্টা, খোল, করতালি বাজিয়ে উঠল। বাগানের দক্ষিণসীমান্ত হইতে নহবতের মধুর শব্দ আসিতে লাগিল। সেই শব্দ ভাগীরথীবক্ষে যেন ভ্রমণ করিতে করিতে অতিদূরে গিয়া কোথায় মিশিয়া যাইতে লাগিল। মন্দ মন্দ কুসুমগন্ধবাহী বসন্তানিল! সবে জ্যোৎস্না উঠিতেছে। ঠাকুরদের আরতির যেন চতুর্দিকে আয়োজন হইতেছে! মাস্টার দ্বাদশ শিবমন্দিরে, শ্রীশ্রী রাধাকান্তের মন্দিরে ও শ্রীশ্রীভবতারিণীর মন্দিরে আরতি দর্শন করিয়া পরম প্রীতিলাভ করিলেন। সিধু বলিলেন, “এটি রাসমণির দেবালয়। এখানে নিত্যসেবা। অনেক অতিথি, কাঙাল আসে।”

    কথা কহিতে কহিতে ভবতারিণীর মন্দির হইতে বৃহৎ পাকা উঠানের মধ্য দিয়া পাদচারণ করিতে করিতে দুইজনে আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের সম্মুখে আসিয়া পড়িলেন। এবার দেখিলেন, ঘরের দ্বার দেওয়া (Sri Ramakrishna Kathamrita)। 

    এইমাত্র ধুনা দেওয়া হইয়াছে। মাস্টার ইংরেজী পড়িয়াছেন, ঘরে হঠাৎ প্রবেশ করিতে পারিলেন না। দ্বারদেশে বৃন্দে (ঝি) দাঁড়াইয়াছিল। জিজ্ঞাসা করিলেন, “হ্যাঁ গা, সাধুটি কি এখন এর ভিতর আছেন?”

    বৃন্দে– হ্যাঁ এই ঘরের ভিতর আছেন।

    মাস্টার– ইনি এখানে কত দিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্চা, ইনি এখানে কতদিন আছেন?

    বৃন্দে—তা অনেকদিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি কি খুব বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে– আর বাবা বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে—আর বাবা বই-টই! সব ওঁর মুখে!

    মাস্টার সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আর অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আরও অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি বুঝি এখন সন্ধ্যা করবেন?—আমরা কি এ-ঘরের ভিতর যেতে পারি?—তুমি একবার খবর কিবে?

    বৃন্দে—তোমার যাও না বাবা। গিয়ে ঘরে বস।

    তখন তাঁহার ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, ঘরে আর অন্য কেহ নাই। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে একাকী তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে ধুনা দেওয়া হইয়াছে ও সমস্ত দরজা বন্ধ। মাস্টার প্রবেশ করিয়াই বদ্ধাঞ্জলি হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিতে অনুজ্ঞা করিলেন তিনি ও সিধু মেঝেতে বসিলেন। ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় থাক, কি কর, বরাহনগরে কি করতে এসেছ” ইত্যাদি। মাস্টার সমস্ত পরিচয় দিলেন। কিন্তু দেখিতে লাগিলেন যে, ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন (Sri Ramakrishna Kathamrita)। পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব। যেমন কেহ ছিপ হাতে করিয়া মাছ ধরিয়া মাছ ধরিতে বসিয়াছে। মাছ আসিয়া টোপ খাইতে থাকিলে ফাতনা যখন নড়ে, সে ব্যক্তি যেমন শশব্যস্ত হইয়া ছিপ হাতে করিয়া ফাতনার দিকে একদৃষ্টে একমনে চাহিয়া থাকে, কাহারও সহিত কথা কয় না; এ- ঠিক সেইরূপ ভাব। পরে শুনিলেন ও দেখিলেন, ঠাকুর সন্ধ্যারপর এই রূপ ভাবান্তর হয়, কখন কখন তিনি একেবারে বাহ্যশূন্য হন!

    মাস্টার – আপনি এখন সন্ধ্যা করবেন, তবে এখন আমরা আসি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবস্থ)– না – সন্ধ্যা — তা এমন কিছু নয়।

    আর কিছু কথাবার্তার পর মাস্টার প্রণাম করিয়া বিদয় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর বলিলেন, “আবার এস”।

    মাস্টার ফিরিবার সময় ভাবিতে লাগিলেন, “এ সৌম্য কে? যাঁহার কাছে ফিরিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছে। বই না পড়িলে কি মানুষ মহৎ হয়?—কি আশ্চর্য, আবার আসিতে ইচ্ছা হইতেছে। ইনি বলিয়াছেন, “আবার এস! কাল কি পরশু সকালে আসিব (Sri Ramakrishna Kathamrita)।”  

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “মাস্টার দেখিলেন, একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত পান করিতেছেন”

    তব কথামৃতং তপ্তজীবনং, কবিভিরীড়িতং কল্মষা পহম্‌।

    শ্রবণমঙ্গলং শ্রীমদাততং, ভুবি গৃণান্তি যে ভূরিদা জনাঃ।।

    গঙ্গাতীরে দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ি। মা-কালীর মন্দির। বসন্তকাল, ইংরেজী ১৮৮২ খ্রীস্টাব্দের মার্চ মাস। ঠাকুর জন্মোৎসবের কয়েক দিন পরে। শ্রীযুক্ত কেশব সেন ও শ্রীযুক্ত জোসেফ্‌ কুক সঙ্গে ২৩শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার (১২ই ফাল্গুন, ১২৮৮, শুক্লাষষ্ঠী) ঠাকুরের স্টীমারের বেড়াইয়াছিলেন—তাহারই কয়েকদিন পরে। সন্ধ্যা হয় হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে মাস্টার আসিয়া উপস্থিত। এই প্রথম দর্শন। দেখিলেন একঘর লোক নিস্তব্ধ হইয়া তাঁহার কথামৃত (Sri Ramakrishna Kathamrita) পান করিতেছেন। ঠাকুর তক্তপোশে বসিয়া পুর্বাস্য হইয়া সহাস্যবদনে হরি কথা কহিতেছেন। ভক্তেরা মেঝেয় বসিয়া আছেন।

    মাস্টার দাঁড়াইয়া অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন। তাঁহার বোধ হইল যেন সাক্ষাৎ শুকদেব ভগবৎ-কথা কহিতেছেন, আর সর্বতীর্থের সমাগম হইয়াছে। অথবা যেন শ্রীচৈতন্য পুরীক্ষেত্রে রামানন্দ স্বরূপাদি ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন ও ভগবানের নামগুণকীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর (Sri Ramakrishna Kathamrita) বলিতেছেন, “যখন একবার হরি বা একবার রামনাম করলে রোমাঞ্চ হয়, অশ্রুপাত হয়, তখন নিশ্চয়ই জেনো যে সন্ধ্যাদি কর্ম—আর করতে হবে না। তখন কর্মত্যাগের অধিকার হয়েছে—কর্ম আপনা আপানি ত্যাগ হয়ে যাচ্ছে। তখন কেবল রামনাম, কি হরিনাম, কি শুদ্ধ ওঁকার জপলেই হল।” আবার বলিলেন, “সন্ধ্যা গায়ত্রীতে লয় হয়। গায়েত্রী আবার ওঁকারে লয় হয়।”

    মাস্টার সিধুর সঙ্গে বরাহনগরের এ-বাগান ও-বাগান বেড়াইতে বেড়াইতে এখানে আসিয়া পড়িয়াছেন। আজ রবিবার অবসর আছে, তাই বেড়াইতে আসিয়াছেন; শ্রীযুক্ত প্রসন্ন বাঁড়ুজ্যের বাগানে কিয়ৎক্ষণ পূর্বে বেড়াইতেছিলেন। তখন সাধু বলিয়াছিলেন, “গঙ্গার ধারে একটি চমৎকার বাগান আছে, সে-বাগানটি কি দেখতে যাবেন? সেখানে একজন পরমহংস (Sri Ramakrishna Kathamrita) আছেন।”

     

    বাগানে সদর ফটক দিয়া ঢুকিয়াই মাস্টার ও সিধু বরাবর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আসিলেন। মাষ্টার অবাক্‌ হইয়া দেখিতে দেখিতে ভাবিতেছেন, আহা কি সুন্দর স্থান! কি সুন্দর মানুষ! কি সুন্দর কথা! এখান থেকে নড়তে ইচ্ছা করছে না।” কিয়ৎক্ষণ পরে মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “একবার দেখি কোথায় এসেছি। তারপর এখানে বসব।” (Sri Ramakrishna Kathamrita)

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Taxi: ভারতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা! কবে থেকে, কোথায় চলবে জানেন?

    Air Taxi: ভারতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা! কবে থেকে, কোথায় চলবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শুধু রাস্তায় নয়, আকাশে উড়বে ট্যাক্সি (Air Taxi)। অভাবনীয় চিন্তাভাবনা ইন্ডিগোর। রাজধানীর রাস্তার যানজট এড়িয়ে মাত্র সাত মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে কনট প্লেস থেকে গুরুগ্রাম। এই পরিষেবা আনতে আমেরিকার আর্চার অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে ইন্টারগ্লোব। ইন্ডিগোর (Indigo) মূল সংস্থা ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজ এবং ইউএস-ভিত্তিক আর্চার এভিয়েশন ভারতে একটি ইলেকট্রিক এয়ার ট্যাক্সি পরিষেবা (Air Taxi) চালু করতে চলেছে।

    কোন কোন রাজ্যে চালু হবে এই পরিষেবা (Air Taxi)?

    সংস্থার তরফে জানা গেছে, দিল্লির পাশাপাশি প্রথম দফায় এই একই পরিষেবা (Air Taxi) চালু করা হবে মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে। এই উড়ানগুলির বিশেষত্ব হল, এগুলি একেবারে ভার্টিক্যালি অর্থাৎ উল্লম্বভাবে টেক অফ ও ল্যান্ডিং করতে পারে। ঠিক যেমনটা হেলিকপ্টার ওঠানামা করে। শুধু আওয়াজ অনেকটা কম। পাইলট-সহ পাঁচ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রাখবে এই উড়ানগুলি। কোম্পানির অন্য একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে এই বিমানটিতে ছয়টি ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে। এক মিনিট চার্জ হবে মোটামুটি এক মিনিটের ফ্লাইটের সমান। আর্চার এভিয়েশন আপাতত ২০০ টি উড়ন্ত ট্যাক্সি (Air Taxi) সরবরাহ করবে। এমন ২০০টি এয়ারক্র্যাফ্টের জন্য খরচ হচ্ছে ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। জানা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারতে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি (Electric Air Taxi) পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজ। সংস্থা সূত্রে খবর, ডিজিসিএ এই পরিষেবায় ছাড়পত্র দিলেই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ভোট শুরু হতেই অশান্ত রায়গঞ্জ, দলের কর্মীকেই মারধর তৃণমূল কোঅর্ডিনেটরের

    আকাশপথে ট্যাক্সি যাত্রায় খরচ কত?

    তবে আকাশপথে ট্যাক্সি (Air Taxi) যাত্রায় খরচ কিন্তু নাগালের মধ্যেই থাকছে। আর্চার অ্যাভিয়েশন সূত্রের খবর, দিল্লির (Delhi) কনট প্লেস থেকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম পর্যন্ত সাত মিনিটের যাত্রাপথে খরচ পড়বে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ সাধ্যের মধ্যেই হবে এই পরিষেবা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সোমবার বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেল। চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

    কী হবে চাকরি খোয়ানোদের নিয়ে? (SSC Recruitment Scam)

    এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার। পরের দফার নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এই দফায় যাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন, তাঁদের ট্রেনিং হয়ে গিয়েছে। ভোট নিতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, তাও নিয়েছেন তাঁরা। তবে হাইকোর্টের এদিনের রায়ে চাকরি গিয়েছে এঁদের অনেকেরই। এমতাবস্থায় তাঁরা ভোটের ডিউটিতে (SSC Recruitment Scam) যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চাকরি খোয়ানো অযোগ্য শিক্ষকরা ভোটের ডিউটিতে যেতে পারবেন কিনা, চাকরি না থাকায় তাঁরা আদৌ যেতে রাজি হবেন কিনা, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে তাঁরা আর সরকারি কর্মী নন, তাই তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করানো যাবে কিনা, এসব হাজারো প্রশ্ন উঠছে।

    কী বলছে কমিশন?

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আমাদের ভোটকর্মীদের মধ্যে একটা অংশ শিক্ষক। তবে ভোট কর্মীদের ২০-২৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। তাই তাঁদের দিয়েই ভোট করিয়ে নিতে পারব।” তিনি বলেন, “রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোট কর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৬ জন সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৫৬ জন। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৭ জনকে। আর গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৫৫০ জন (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arvind Kejriwal: সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি নাম নিতে পারে আপ-কেজরি-কবিতার

    Arvind Kejriwal: সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি নাম নিতে পারে আপ-কেজরি-কবিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সূত্রের খবর, ইডি যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে চলেছে, তাতে কেজরির পাশাপাশি নাম থাকতে পারে বিআরএস নেতা কে কবিতার এবং আম আদমি পার্টির।

    কবে পেশ চার্জশিট?

    ১৫ মে-র মধ্যেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হতে পারে। এর ঠিক ৬০ দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কবিতাকে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, “আইন অনুযায়ী, কাউকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মধ্যেই পেশ করতে হবে চার্জশিট।” কবিতাকে ইডি হেফাজতে নিয়েছিল ১৫ মার্চ। সেই হিসেবে ১৫ মে-র মধ্যেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছর (Arvind Kejriwal) অক্টোবরেই আপের নাম নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ইডি। কেজরিওয়ালের পাশাপাশি কবিতার নামও মূল চক্রী হিসেবে থাকতে পারে অতিরিক্ত চার্জশিটে। এই চার্জশিটে নাম থাকতে পারে আপের গোয়া অ্যাসোসিয়েট চরণপ্রীত সিংহেরও।

    বিস্ফোরক দাবি ইডির

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ‘সাউথ গ্রুপ’ নামের ব্যবসায়ীরা ঘুষ হিসেবে যে টাকা দিয়েছিল, সেই টাকা নির্বাচনী ফান্ডিং খাতের টাকা দেখিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আপের গোয়া ইউনিটে। হাওয়ালার মাধ্যমে অন্ততপক্ষে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম থাকতে পারে চ্যারিয়ট প্রোডাকশনস মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডেরও। গোয়ায় এই সংস্থাই আপের হয়ে দায়িত্বে ছিল প্রচারের। ইডির অভিযোগ, ২০২১ সালের অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে অঙ্গদিয়াদের মাধ্যমে চরণপ্রীত সংগ্রহ করেছিল ১৭ কোটিরও বেশি টাকা। এই টাকা দেওয়া হয়েছে ইলেকশন ভেন্ডরদের। এর কিছুটা অংশ আবার ভেন্ডরদের দেওয়া হয়েছে নগদে।

    আরও পড়ুন: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আপের নাম থাকতে পারে বেনিফিশিয়ারি অফ ক্রাইম হিসেবে। পার্টির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি ইডি অ্যাটাচও করতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই হইচই জুড়ে দেয় আপ। তাদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার থেকে কেজরিওয়ালকে দূরে সরিয়ে রাখতেই ভোটের আগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। একই অভিযোগ করেছিল কংগ্রেসও (Arvind Kejriwal)।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    Recruitment News: বড় খবর! তিন বছরে ভারতে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যাপল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আওয়াজ তুলেছেন। দেশ ক্রমেই এগোচ্ছে ডিজিটাল যুগের দিকে। প্রত্যাশিতভাবেই চাহিদা বাড়ছে স্মার্ট ফোনেই (Recruitment News)। হাতের মুঠোয় একটা স্মার্ট ফোন থাকলে বাড়িতে বসেই সেরে ফেলা যাবে দুনিয়ার সব কাজ। এহেন আবহে ভারতে চাহিদা বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের।

    পাঁচ লাখ কর্মী নিয়োগ

    এই চাহিদা সামাল দিতেই মোদির দেশে এই ফোনের উৎপাদন বাড়াতে চাইছে সংস্থা। ভেন্ডরদের দিয়েই বাড়নো হবে উৎপাদন। আশা করা যাচ্ছে, তার জেরে আগামী তিন বছরের মধ্যেই ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। রবিবার সরকারি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ভারতে বর্তমানে (Recruitment News) অ্যাপলের কর্মী রয়েছেন দেড় লাখের কাছাকাছি। এঁরা কর্মরত টাটা ইলেকট্রনিক্সের দুটি প্ল্যান্টে। প্রবীণ এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অ্যাপল ভারতে কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে।” জানা গিয়েছে, মোটামুটিভাবে আগামী তিন বছরের মধ্যে এ দেশে তারা নিয়োগ করবে পাঁচ লাখ কর্মী। মূলত তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমেই নিয়োগ করা হবে এঁদের।

    কত ফোন উৎপাদন

    মার্কিন এই ফোন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে টাটা ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে। কোম্পানির এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ভারতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি দ্রুত কাজ করতে চাইছে।” যদিও অ্যাপলের তরফে অফিসিয়ালি এনিয়ে মুখ খোলা হয়নি। ক্রমেই ভারতে বাড়ছে অ্যাপল আইফোনের উৎপাদন। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থা ভারতে উৎপাদন পাঁচ গুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার পরিমাণ প্রায় ৩.৩২ লাখ কোটি।

    আরও পড়ুন: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি অ্যাপল কর্মীদের জন্য বাড়িও বানিয়ে দিতে চলেছে। এ দেশে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এর সিংহভাগই হবে তামিলনাড়ুতে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এর সংখ্যা ৫৮ হাজার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় তৈরি হবে ওই বাড়ি। বাড়ি তৈরির খরচের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি টাকা দেবে রাজ্য সরকার ও অ্যাপল (Recruitment News)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটে যে ফাটল ধরেছে, তার প্রমাণ মিলছিল ঢের আগেই। ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে সাম্প্রতিক এক ঘটনার উল্লেখ করে রবিবার জোটকে একহাত নিল (Lok sabha elections 2024) বিজেপি। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে সমাবেশ হচ্ছিল ইন্ডি জোটের। সেখানে আচমকাই হাতাহাতি শুরু হয় লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে।

    রবিশঙ্করের নিশানায় ‘ইন্ডি’ (Lok sabha elections 2024)

    ‘ঘরোয়া এই দ্বন্দ্বে’র উল্লেখ করে ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “ওঁরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন।” ‘ইন্ডি’ জোটকে তিনি ‘ঝগড়ুটে জোট’ বলেও দেগে দিয়েছেন। রবিশঙ্কর বলেন, “আজ রাঁচিতে ইন্ডি জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আরজেডি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন। আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম যে এই জোট ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে গঠন করা হয়েছে। ওদের মধ্যে (আরজেডি এবং কংগ্রেস) মাঝে-মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছে। লোকজন জখম হচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে ঐক্য কোথায়? ওঁরা নিজেরাই যখন ঐক্যবদ্ধ নন, তখন কীভাবে দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখবেন?”

    ‘মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে দেশ’

    ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ওঁদের অনেকেই জেলবন্দি। দেশ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে। তারা চাইছে একটা স্থায়ী সরকার। এই যখন দেশবাসীর ইচ্ছে, তখন কী এহেন ঝগড়ুটে একটা জোট দেশ চালাতে পারবে?”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি বলেন, “‘ঘমণ্ডিয়া’ (উদ্ধত) পার্টিগুলোর নেতারা হয় জেলে নয় বেলে(জামিনে) রয়েছে।” তিনি বলেন, “বিজেপিই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের প্রতি যার শ্রদ্ধা রয়েছে। এই দলই সাধারণ পরিবার থেকে লোকজন আনে, তাঁদের নেতা বানায়।” নাড্ডা বলেন, “অন্য দিকে, ইন্ডিয়া নামে রয়েছে ঘমণ্ডিয়া জোট। আর বিজেপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এই দল সাধারণ পরিবার থেকে নেতা তুলে আনে।”

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “ফারুক আবদুল্লা-ওমর আবদুল্লা, মুফতি মহম্মদ সঈদ-মেহবুবা মুফতি, চৌটালা পরিবার, মূলায়ম-অখিলেশ-ডিম্পল যাদব পরিবার, লালু-রাবড়ি-তেজস্বী-তেজপ্রতাপ যাদবের পরিবার – এসবই পরিবার সর্বস্ব রাজনীতির উদাহরণ (Lok sabha elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share