Tag: madhyom news

madhyom news

  • SSC Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    SSC Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) বিরাট রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরিই বৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত নয়, সাফ জানাল আদালত। সোমবার হাইকোর্টে হয় রায়দানের প্রক্রিয়া। রায়দান হয় ৯টি ইস্যুতে। ২৮১ পাতার নির্দেশে রয়েছে ৩৭০টি অনুচ্ছেদ।

    নিয়োগ বাতিল (Calcutta High Court)

    আদালত জানিয়েছে, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সব নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। ২০১৬-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ওই প্যানেলে হওয়া চারটে নিয়োগ প্রক্রিয়া- গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ— সকলেরই প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁদের চাকরি হয়েছে, তাদের প্রাপ্ত বেতন ১২ শতাংশ সুদ সহ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে। বেতন ফেরত হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ডিআই-কে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা আদালতের কাছে জমা করবেন জেলাশাসক।

    হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই

    এই দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তের প্রয়োজনে যখন যাকে প্রয়োজন হবে, তখন তাঁকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। যাঁরা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করেছিলেন, তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। কেবল তাই নয়, ওএমআর শিটের সমস্ত কপি আপলোড করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ওএমআর শীট পুনঃমূল্যায়ন করে নতুন করে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে এসএসসিকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতেও বলেছে আদালত (Calcutta High Court)। ১৫ দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের কী হবে? ১৩ মার্চ শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্নের দুটি বিকল্পের উল্লেখ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। পর্যবেক্ষণে তিনি দু’টি বিকল্পের কথা বলেছিলেন। এক, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সম্পূর্ণ নিয়োগ বাতিল করা হতে পারে। দুই, গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল করা হতে পারে। ওই দিন বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের কেন নিয়োগ করা হবে? অযোগ্য ব্যক্তিরা কী শেখাবেন? যদি সবটা অবৈধ হয়, তাহলে যা পরিণতি, তাই হবে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত। 

    প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় (SSC Recruitment Scam) প্রায় পাঁচ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। মানবিক কারণে সোমা দাস নামক এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি বলেও জানাল আদালত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • World Earth Day 2024: আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস, দিনটির তাৎপর্য জানেন?

    World Earth Day 2024: আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস, দিনটির তাৎপর্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস (World Earth Day 2024)। এই গ্রহ থেকে যাতে প্রাণের অস্তিত্ব হারিয়ে না যায়, তাই ফি বছর ২২ এপ্রিল দিনটি পালিত হয় বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস হিসেবে। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, পরিবেশগত সমস্যা যেমন দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাস-গ্রহের হাজারো সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেয় বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস।

    বিশ্ব বসুন্ধরা দিবসের থিম (World Earth Day 2024)

    এই গ্রহ যাতে চিরকালের জন্য বাসযোগ্য থাকে, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তারও সুযোগ দেয় দিনটি। প্রকৃতিকে কীভাবে বাঁচানো যায়, জীববৈচিত্রকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, এই গ্রহের ভবিষ্যৎ কীভাবে উজ্জ্বলতর করা যায়, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তার সুযোগ দেয় বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস। ফি বছরই বিশ্ব বসুন্ধরা দিবসের (World Earth Day 2024) একটি থিম থাকে। এবার ছিল, ‘প্ল্যানেট বনাম প্লাস্টিক’। এহেন থিম বেছে নেওয়ার কারণ হল পরিবেশ ও এই গ্রহের বাসিন্দাদের ওপর প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্লাস্টিক নষ্ট হয় না। তাই তা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার পক্ষে খুবই ক্ষতিকর একটি বস্তু।

    প্লাস্টিকের উৎপাদন কমানোর পরামর্শ

    এই প্লাস্টিকের ব্যবহার কীভাবে কমানো যায়, উৎপাদনই বা কীভাবে কমানো যায়, মানুষ যাতে এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন, সেই কারণেই এবার বেছে নেওয়া হয়েছে অভিনব এই থিম। ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক উৎপাদন ৬০ শতাংশ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে অফিসিয়াল আর্থ ডে সংগঠক, আর্থডে ওআরজি। এ বিশ্বকে কীভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসযোগ্য করে তোলা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে ১৯৭০ সালে ঠিক হয়, ফি বছর ২২ এপ্রিল দিনটি পালন করা হবে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস হিসেবে। বসুন্ধরাকে বাঁচাতে যাতে আস্ত একটি দিন উৎসর্গ করা হয়, এই ভাবনা প্রথম মাথায় আসে মার্কিন সেনেটর গেলর্ড নেলসন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ডেনিস হেইসের।

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপি একাই পেতে পারে ৩৫০টি আসন’, দাবি শীর্ষ অর্থনীতিবিদের

    বায়ু দূষণ এবং জল দূষণের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে আন্দোলনও করেছিলেন তাঁরা। তার পরেই ঠিক করেন ২২ এপ্রিল দিনটিকে গ্রহণ করা হবে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস হিসেবে। কারণ এই সময় স্কুল-কলেজে বার্ষিক পরীক্ষা থাকে না। থাকে স্প্রিং ব্রেক। সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয় ২২ এপ্রিলকে। প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো থাকলে যে আমরা ভালো থাকব, প্রকৃতি বাঁচলে যে আমরা বাঁচব, এই ভাবনা মানুষের মনে সঞ্চারিত করতেই আজও ঘটা করে পালিত হয় বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস (World Earth Day 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিশেষ বেঞ্চের রায় ঘোষণা সম্ভবত আজই

    Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিশেষ বেঞ্চের রায় ঘোষণা সম্ভবত আজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর সময়কালীন শিক্ষা দফতরের একটা বড় অংশ এবং তৃণমূলের অনেক নেতা-বিধায়ক জেলে রয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বঞ্চিত চাকরীপ্রার্থীরা। আজ সোমবার স্কুল সার্ভিস (SSC) সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

    টানা শুনানি চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Recruitment Scam)

    শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি (Recruitment Scam) ও বেনিয়মের অভিযোগে জেলে রয়েছেন (Partha Chattopadhyay) পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা। সুবিচার পাননি বহু যোগ্য প্রার্থী। প্রায় ২৫ হাজার প্রার্থী এবার এই মামলায় আশার আলো দেখছেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের উপরে। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta Highcourt) বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল। নিষ্পত্তি করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬ মাস। নভেম্বর মাসে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও সাব্বির রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয়েছিল শুনানি। কয়েক মাস ধরে টানা শুনানি চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৬ মাস পার হওয়ার আগেই রায় ঘোষণা হতে চলেছে আজ সোমবার। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

    ওএমআর শিটে (OMR Sheet) শূন্য পেয়েও চাকরি!

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এসএসসি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম, দশম ও দ্বাদশ-একাদশে নিয়োগ সংক্রান্ত (Recruitment Scam) শুনানি চলছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “এই সব কটি ক্ষেত্রে ২৪,৬৪০ টি পদ ফাঁকা ছিল। দেখা যায় ২৫,৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল বহু ক্ষেত্রে। ছিল একাধিক অভিযোগ। ওএমআর শিটে (OMR Sheet) শূন্য অথবা এক পাওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মেধা তালিকার নীচে প্রার্থীদের চাকরি দিয়ে উপরের প্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ সহ নানান অভিযোগ ছিল শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। সেই সব বিষয়ই শোনার পর রায় দিতে চলেছে আদালত।”

    রায় প্রকাশে অস্বস্তিতে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার রায় এলে তা শাসকপক্ষের (TMC) মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। ভোটের মরশুমে রায় ঘোষণাার প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা নির্বাচনে। রায় ঘোষণার পর বিরোধীরা সুর চড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে আগে থেকেই বেসামাল শাসক শিবির। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে একাধিক নেতার নাম জড়ানো থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে বেসামাল তৃণমূল নেতারা। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তালিকা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানা স্তরে দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর সরাসরি যোগের বিষয়ে সামনে আসছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধীদের নিশানায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত শাসকদলের নেতানেত্রী ও তাঁদের বন্ধু-বান্ধবীর ঘর থেকে টাকা পয়সা, সোনা, গহনা উদ্ধারের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ ধরা পড়লেই দায় ঝেড়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ বলা হয় শাসকের মুখপাত্রদের তরফে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই মামলার (Recruitment Scam) রায় অবশ্যই রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শাসকদলের ছোট, বড়, মাঝারি, অনেকেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আশা করব কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর যোগ্যরা চাকরি পাবেন এবং বঙ্গে যোগ্যদের চাকরি পাওয়ার জন্য আর লক্ষ লক্ষ টাকা কাউকে ঘুষ দিতে হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এই মামলায় (Recruitment Scam) তৃণমূল কংগ্রেসকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল। এর মধ্যে রাজনীতিও ছিল। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টিকেই রাজ্য গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য প্রার্থীদের জন্য যথেষ্ট সহানুভূতিশীল।” প্রসঙ্গত যোগ্যদের চাকরি হোক, এই দাবি নিয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে একাধিক দফায় বৈঠক করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতির কথাও বলেছেন। কিন্তু যোগ্য ও বঞ্চিতদের চাকরি মিলছে কোথায়, প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    Ram Navami 2024: রাম নবমীতে অশান্তি, এনআইএ তদন্ত দাবি শুভেন্দু-দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে হামলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ঘটনায় দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুজনেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। এই মর্মে রাজ্যপালকে চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    বিমানবন্দরে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিনই দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, ‘শক্তিপুরে পারমিশন পাওয়া মিছিলের ওপর ইট বর্ষণ হয়েছে। পুলিশের উপরেও হয়েছে। প্রায় ২০ জনের বেশি আহত, মাইনর সহ। কাল রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতেও মিছিলের ওপর হামলা করা হয়েছে। এর জন্য দায়ী মমতা ব্যানার্জি। আমি কাল রাতেই রাজ্যপালকে মেইল করেছি। বলেছি আপনি এই দুটো জায়গা ভিজিট করুন এবং এনআইএ তদন্তের জন্য সরকারকে অ্যাডভাইস করুন’।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন বিরোধী দলনেতা?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বুধবার ব্যাহত হয় রামনবমীর একাধিক শোভাযাত্রা। এই সব মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তৃতার কারণেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেই আশ্বস্ত হয়েছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না। রামনবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান হল-এটি একটি দাঙ্গার দিন।’

    দিলীপের দাবি এনআইএ তদন্তের

    এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত দাবি করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের অফিসার্স কলোনির মাঠে প্রাতর্ভ্রমণ করেন এদিন বিজেপি নেতা। তারপর বীরহাটা বাজারের সামনে চা চক্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর, বোমা মারার চেষ্টা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যারা এই ধরনের বদমায়েশি করত, তারা আর করবে না এটা। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “দাঙ্গা দাঙ্গা” বলে, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কাবার চেষ্টা করেছেন। অনেকবার করিয়েছেন। তার প্ররোচনায় পা দিয়ে বদনাম হয়েছে। আমি বলছি মুসলমান সমাজের দাঙ্গা করার দরকার নাই। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন ভারতবর্ষে মোদির রাজত্বে মিলেমিশে থাকতে হবে, উন্নয়ন করতে হবে, সুখে থাকতে হবে। তাঁরাও উন্নয়নের সব সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি হল হিন্দু-মুসলিম ভাগাভাগি করে ইলেকশন জেতা।’’

    শক্তিপুরে অশান্তি

    প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমস্ত ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শান্তিপূর্ণ মিছিলে আশপাশের বাড়ি থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শক্তিপুর হাইস্কুল মোড়ের কাছে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাম নবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। ঘটনার জেরে উত্তেজনা বাড়তে দেখে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় পুলিশকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPSC: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ইউপিএসসির, শীর্ষস্থানে আদিত্য শ্রীবাস্তব

    UPSC: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ইউপিএসসির, শীর্ষস্থানে আদিত্য শ্রীবাস্তব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফল প্রকাশ হল ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল সার্ভিস (Civil Services) পরীক্ষা ২০২৩ সালের। শীর্ষস্থান অর্জন করলেন আদিত্য শ্রীবাস্তব। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন অনিমেষ প্রধান। তৃতীয় হয়েছেন অনন্যা রেড্ডি। চূড়ান্ত পার্সোনালিটি টেস্ট ও সাক্ষাৎকার রাউন্ড শুরু হয়েছিল ২ জানুয়ারি থেকে। মঙ্গলবার ঘোষিত হয়েছ রেজাল্ট। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের মার্ক্স ইউপিএসসির ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।

    শীর্ষ পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলাও (UPSC)

    আদিত্য ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছেন আইআইটি কানপুর (IIT Kanpur) থেকে। মঙ্গলবার ইউপিএসসি (UPSC) সিভিল (civil services) সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩-এর যে ফল প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সবার ওপরে রয়েছেন আদিত্য। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন অনিমেষ। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রাউরকেল্লা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক করেছেন। সমাজবিজ্ঞান তাঁর অপশনাল বিষয় ছিল। তৃতীয় স্থান অধিকারী অনন্যা রেড্ডি, কলা বিভাগে স্নাতক। তিনি দিল্লি ইউনিভার্সিটির মিরান্ডা হাউসের ছাত্রী। তাঁর ঐচ্ছিক বিষয় ছিল নৃবিজ্ঞান। শীর্ষ স্থানাধিকারী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। 

    আরও পড়ুনঃ এখনই সতর্ক হোন, হিমোফিলিয়ার সমস্যা গুরুতর আকার নিতে পারে!

    পরীক্ষায় সফল ২০১৬ জন 

    ২০২৩ এর ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় সফল হয়েছেন ২০১৬ জন। শীর্ষ ২০জনের তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন পিকে সিদ্ধার্থ রামকুমার (৪র্থ র‌্যাঙ্ক), রুহানি (৫ম র‌্যাঙ্ক), সৃষ্টি দাবাস (৬ষ্ঠ র‌্যাঙ্ক), আনমোল রাঠোর (সপ্তম র‌্যাঙ্ক), আশিস কুমার (অষ্টম র‌্যাঙ্ক), নওশীন (নবম র‌্যাঙ্ক), ঐশ্বর্য, প্রজাপতি (১০ তম র‌্যাঙ্ক), কুশ মোটওয়ানি (১১ তম র‌্যাঙ্ক), অনিকেত শান্ডিল্য (১২ তম র‌্যাঙ্ক), মেধা আনন্দ (১৩ তম র‌্যাঙ্ক), শৌর্য অরোরা (১৪ তম র‌্যাঙ্ক), কুনাল রাস্তোগি (১৫ তম র‌্যাঙ্ক), অয়ন জৈন (১৬ তম র‌্যাঙ্ক), স্বাতী শর্মা (১৭ তম র‌্যাঙ্ক), ওয়ার্দা খান (১৮তম র‌্যাঙ্ক), শিবম কুমার (১৯তম র‌্যাঙ্ক), এবং আকাশ ভার্মা (২০তম র‌্যাঙ্ক)। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩ প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছিল ২৮ মে। ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ২০২৩ মেইন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৫, ১৬, ১৭, ২৩ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dubai: দুবাইয়ে ভারী বর্ষা, রাস্তায় জমল জল, ব্যাহত বিমান পরিষেবা

    Dubai: দুবাইয়ে ভারী বর্ষা, রাস্তায় জমল জল, ব্যাহত বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু-দিনের বর্ষায় ভেসে গেল দুবাই (Dubai)। আমিরাতে বর্ষা উপভোগ্য বিষয়, কিন্তু এখন তা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দুবাইয়ে (Dubai) ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ভারী বর্ষা (Heavy Rainfall) হয়। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সোমবার ২০ মিলিমিটার বর্ষা হয়েছে দুবাইয়ে। মঙ্গলবার সারাদিন ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়। দুবাইয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪২ মিলিমিটার বর্ষা হয়েছে। 

    বিমান ওঠা নামা ব্যাহত (Dubai)

    ভারী বৃষ্টির ফলে দুবাই বিমানবন্দরের জল জমে (Waterlogging) যায়। বিমানবন্দরে বিমান ওঠা নামা ব্যাহত হয়। বিমানবন্দরের আশেপাশে এবং দুবাই (Dubai) শহরের নানান প্রান্তে জল জমেছে। বুধবারেও শহরের আনাচে-কানাচে জল জমে ছিল। এই দৃশ্য দুবাইয়ে দুর্লভ। দুবাইয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর বুধবারও জল জমার কারণে যানবাহন কমে গেছে। শহরে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন কম চলছে। এতটাই বৃষ্টি হয়েছে যে বিমানবন্দরের কর্মীদের রানওয়ে (Runway) ও ট্যাক্সি-তে পর্যন্ত পৌঁছতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এমিরেটস যাত্রীদের চেক ইন সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষে তরফের সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়, যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে অবস্থার স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। যাত্রীদের কাছে ধৈর্য রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে বৃষ্টি!

    দুবাইয়ে (Dubai) বৃষ্টি হওয়া কিংবা রাস্তায় জল জমার ঘটনা সাধারণ ব্যাপার নয়। সারা বছর এতটা কম বর্ষা হয় যে শহরের বছরের অধিকাংশ সময় শুষ্ক থাকে এখানকার আবহাওয়া। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে সারা বিশ্বে আবহাওয়ায় বদল এসেছে। আরবের মরু অঞ্চলও বৃষ্টির সাক্ষী থাকছে। দুবাইয়ের মানুষ এখন প্রায় সময়ই বর্ষার আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত বর্ষা বয়ে নিয়ে আসছে নানান ধরনের সমস্যা। এবার বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে বজ্রপাত লক্ষ্য করা গেছে। এমনকী বুর্জ খলিফার চূড়ায়ও বেশ কয়েকবার বজ্রপাত হয়েছে বলে সেখানকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    পাম্প লাগিয়ে রাস্তার জল বের করা হচ্ছে

    দুবাই (Dubai) পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাজকর্মেও খুবই অসুবিধে হচ্ছে। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। ইউনাইটেড আরব আমিরাত সাতটি রাজশাহী মিলিয়ে তৈরি। দেশের সাতটি প্রান্তেই ঝড়ঝঞ্ঝার জেরে সরকারি কাজকর্মে বাধা এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ সরকারি কর্মীরা দূরদূরান্ত থেকে কাজে যোগ দিয়ে থাকেন। অনেকেই বজ্রপাত সহ বৃষ্টির কারণে কাজে আসতে পারেননি। সরকারি কাজকর্মের বহু বিভাগে অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকেই কাজে আসার চেষ্টা করলেও রাস্তার জমা জল গাড়িতে ঢুকে যাওয়ায় কাজকর্মে যোগ দিতে পারেননি। দুবাই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাম্প লাগিয়ে রাস্তার জল নিকাশি প্রণালীতে ফেলার কাজ চলছে। দু-একদিনের মধ্যে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Loksabha election 2024) প্রথম দফায় নির্বাচন আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল। রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর জন্য বুধবার শেষ প্রচারের দিন। তার আগে রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ছ’টি আসনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের ছটি আসনে যে স্পর্শকাতর বুথে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মোট ১৮৬২টি বুথ স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনার গয়না সহ ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Loksabha election 2024)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফায় যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন (Loksabha election 2024) হবে তার মধ্যে কোচবিহার (Coochbehar) কেন্দ্রের ২০৪৩টি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৭টির মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রের ১৯০৪ টি নির্বাচনী বুথের মধ্যে ৩৯১টি স্পর্শকাতর বুথ তালিকায় রয়েছে। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক স্পর্শকাতর বুথের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০০টি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬২ টি।

    নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না উদ্ধার

    নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না সহ যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ভোটের আগে বাংলা থেকে এত পরিমাণ অর্থ সামগ্রীর একটা বড় অংশ নির্বাচনে (Loksabha election 2024) খরচ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দিনক্ষণ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও নির্বাচনে ঢের দেরি রয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো গন্ডগোল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। প্রথম কয়েক দিন সশস্ত্র বাহিনীকে (Central Forces) এলাকা চেনানো হলেও তারপর বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেও পুলিশ নিজে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে কী এবারও বাহিনীকে যথাসম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার ছক রয়েছে পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “নির্বাচনে (Loksabha election 2024) তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৭ মে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। প্রচারের ফাঁকেই মনোনয়ন দাখিলের কাজ চলছে। মালদা উত্তরে ৬টি, মালদা দক্ষিণ ৩টি, জঙ্গিপুরে ৫টি, মুর্শিদাবাদে ৪টি, ভগবানগোলা উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই দফায় ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে করা যায় তার জন্য ৪১ হাজারের বেশি লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ৬৪৯টি ফ্লাইয়িং স্কোয়াড ও নজরদারি দল কাজ করছে। এছাড়াও বহু জায়গায় বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: “দলে ঘুণ ধরেছে” ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের মধ্যে ঘুণ ধরেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। প্রার্থীর সঙ্গে থেকেও কাজ করছে না।” দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন ভরতপুরের (Bharatpur) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি দলীয় সভায় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan) সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে বলেন, “কে কী লিখবে, কে কী বলবে জানি না। রাজ্য নেতৃত্বকে বলেছি, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ জেলা। আগামী দিনে ডিলিমেটশন হলে আরও গুরুত্ব বাড়বে। এক সময় এই জায়গা বাংলা-বিহার-ওড়িশাকে নেতৃত্ব দিত। কেউ দলের বাইরে আলাদা কর্মসূচি করবেন না। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। অনেকের অনেক অহংকার।” দলের সভায় সোজাসাপটা ভাবে দলের মধ্যে থাকা গোষ্ঠীকোন্দলের কথা জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের এই তৃণমূল বিধায়ক।

    ভোটের আগে থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোট ঘোষণার আগে থেকে দলের বিতর্কিত মুখ ছিলেন হুমায়ুন। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন বহিরাগত প্রার্থী মানব না। প্রকাশ্যে বলেছেন, অন্য রাজ্য থেকে খেলোয়াড় কিংবা কলকাতা থেকে গায়ক এনে অধীর চৌধুরীকে হারানো যাবে না, এটা আগেও প্রমাণ হয়েছে। এমনকী দলের সিদ্ধান্তকে অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছিলেন মাস খানেক আগেও। এখন প্রার্থীর সঙ্গে আছেন ঠিকই কিন্তু কতটা আছেন তা নিয়ে দলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এর জন্য বহরমপুরে কেউ কেউ আলাদা মিটিং-মিছিল শুরু করেছেন। এর বিরুদ্ধেই এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন হুমায়ুন।

    নেতা কর্মীদের অহংকার

    দলীয় সভায় যা বলেছেন তার বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বলেন, “জেলায় (Murshidabad) দলের কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে অহংকার রয়েছে। ভাবছে এমনি এমনি হয়ে যাবে। ভোট অত সহজ জিনিস না। দলের কর্মীদের সতর্ক করছি। প্রার্থীর সঙ্গে হুড়োহুড়ি করছে কিন্তু মাঠে ময়দানের খাটবে না, এটা হবে না। দলের মধ্যে যদি কিছু খামতি থাকে সেটাকে সংশোধন করতে হবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    বহরমপুরে (Murshidabad) একদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নির্মল সাহা। দুজনেই স্থানীয়। আর কথায় কথায় বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না বলা তৃণমূল কংগ্রেস সুদুর গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে দলের মধ্যেই কানাঘুষো আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এবিষয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “হুমায়ুন করবীরের বক্তব্য এখন ফাঁকা ঢোলের আওয়াজ। কখন কী বলে নিজের দল আর বাড়ির লোকেরাই জানে না। হুমায়ুন কবীর কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিরোধিতা করেছিল। বলেছিল বহিরাগত প্রার্থী মানছি না। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই ডেকে পাঠানোয় সোজা হয়ে গিয়েছেন। ইউসুফ পাঠান তিন হবে না চার সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

    আরও পড়ুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    হুমায়ুনের বক্তব্যে যে ফের জলঘোলা হচ্ছে তা টের পেয়েছে তৃণমূল। মান বাঁচাতে হুমায়ুনের সমর্থনে নামেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপুর্ব সরকার। তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিনের রাজনীতি করা মানুষ। আমার দাদা। ওঁর হয়ত কিছু মনে হয়েছে, সেটা বলেছেন। দলের ভালোর জন্যই বলেছে। আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও এনিয়ে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share