Tag: madhyom panchayat election 2023

madhyom panchayat election 2023

  • Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিনগর (Murshidabad) ১ নম্বর ব্লকের টেকা হাড়িভাঙ্গা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের অত্যাচারের ঘটনায় সরব সাধারণ এক দোকানদার। সন্ধ্যা হলেই দোকান বন্ধের ফতোয়া দিচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। এলাকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ওই দোকানে চা খেতে আসেন বলেই নাকি দোকান বন্ধের নির্দেশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    এলাকায় (Murshidabad) চায়ের দোকান চালিয়ে নিজেদের সংসার চলে। এমনটাই জানালেন দোকানের মালিক এবং তাঁর স্ত্রী। স্ত্রী বলেন, একজন পুলিশ এবং সঙ্গে সাত-আট জন সিভিক দোকানে এসে গতকাল সন্ধ্যার পর হুমকি দেয়। হুমকি দিয়ে বলে, এখানে এত রাত পর্যন্ত কেন দোকান খোলা? অথচ আমরা দোকানের বাইরে বসে ছিলাম! দোকানদারের স্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রাতের আশ্রয় এই দোকানেই। অথচ সিভিকরা হুমকি দেয়, দোকান ভাঙচুর করে দেবে! আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করে। ‘এখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এসে চা খান। সেই কারণেই দোকান খোলা যাবে না’-ঠিক এই ভাবেই দোকানদারের স্ত্রী দোকানে সিভিকের দৌরাত্ম্যের কারণ ব্যাখ্যা করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি দুলাল মণ্ডল বলেন, সিভিকরা কোন আইনের বলে নির্বাচনের সময় এমন অভব্যতা করল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন সিভিকদের ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন? এছাড়াও তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কমিশনের কাছে যাবেন এবং প্রয়োজন পড়লে হাইকোর্টে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

    দোকানদারের বক্তব্য

    দোকানদার (Murshidabad) নান্টু শেখ বলেন, গত দু’দিন ধরে সিভিকরা রাত ৮ টার সময় এসে দোকান বন্ধ করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল রাতে আমরা রাতের খাবার খেয়ে দোকানের বাইরে বসেছিলাম। বাইরে তেমন লাইট ছিল না। সে জন্য ঠিক কারা কারা এসেছিল, তাদের চিনতে পারিনি। তবে ওরা যে সিভিক ছিল, সেটা বুঝতে পেরেছি। একটাই কথা বলছিল তারা, ‘দেখবি সব ভাঙচুর করব? চিনিস আমাদের! জানিস আমরা কারা?’ এই ঘটনায় নান্টু শেখ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই অত্যন্ত আতঙ্কিত। নান্টু শেখ বলেন, হয়তো ভোটের সময় বলে এমন আচরণ করছে সিভিক। কিন্তু আমি তো কোনও রাজনীতি করি না। সিপিএম, তৃণমূল কোনওটাই করি না। তাহলে আমার সঙ্গে এমন করল কেন! তিনি আরও বলেন, পাশেই তৃণমূল করে এমন ব্যক্তির চায়ের দোকান রয়েছে। তাঁকে তো কোনও সিভিক গিয়ে দোকান বন্ধের ফরমান দিচ্ছে না। তাহলে আমার দোকানেই কেন? এরপর বলেন, আমার দোকানে যাঁরা চা খেতে আসেন, তাঁদের মধ্যে হয়তো অনেকে বিরোধী রাজনীতি করেন। আর তাই আমার দোকানকে টার্গেট করেছে সিভিক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বারাসতে জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    North 24 Parganas: বারাসতে জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত (North 24 Parganas) ১ নম্বর ব্লকের কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়ানই গ্রাম। এখানকারই কবরস্থানের ভূমি উন্নয়ন ও গাছ লাগানোর জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে এসেছে। মূল অভিযোগ তৃণমূলের নেতা এবং সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।

    কী ঘটেছে (North 24 Parganas)?

    মূল অভিযোগ হল, কালিয়ানই (North 24 Parganas) গ্রামের কবরস্থান সংস্কারের জন্য মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে ভূমি উন্নয়ন ও গাছ লাগানোর জন্য ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ২০৮ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, কবরস্থানের কোনও কাজই হয়নি। বরং সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে এলাকার তৃণমূল নেতা এবং কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের নেতানেত্রীদের মুখে বারবার কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের জব কার্ডের টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা শোনা যায়। অথচ মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের বোর্ড যে কাজের স্থানে বসানোর কথা ছিল, সেখানে না হয়ে, কবরস্থান থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া গেল। ফলে স্থানীয় মানুষ দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন। স্থানীয় মানুষের আরও অভিযোগ, ওই ব্যক্তির বাড়িতে বোর্ড বসানোর জন্য প্রকল্পের সুপারভাইজার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময় বাড়ির সদস্যদের বোর্ডের সামনে বসিয়ে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন পঞ্চায়েত প্রধান এবং সরকারি আধিকারিকরা। কাজ না করে কাজ দেখানোর অভিযোগ প্রশাসন এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোটরা (North 24 Parganas) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কামরুন নাহার। তৃণমূলের এই প্রধান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ভাবে কালিমালিপ্ত করতেই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য

    কোটরা (North 24 Parganas) গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক শান্তনু বসাক বলেন, সবটাই মিথ্যে অভিযোগ। যে বোর্ডের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অর্থ ব্যয়ের কোনও পরিমাণ লেখা নেই। ফলে সেখানে কাজও হয়নি। যদিও গোটা ঘটনায় শাসক দলকে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্যরকম ভোট প্রচারের দেওয়াল লিখন। ‘নির্দল, আরএসপি, বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ।’ শাসকদল তৃণমূলের এমন দেওয়াল লিখনে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই বর্ধমানের ভাতারে এক জায়গায় দেওয়াল লিখনে এমনই ঘটনা চোখে পড়েছিল। সেখানেও লেখা ছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার মিলবে না। এই নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবার একই দেওয়াল লিখনের চিত্র মিলল তপনে।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?

    দেওয়াল লিখন নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তপনের ব্লক করদহে। তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ করদহ গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের তরফে বেশ কিছু দেওয়াল লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দেওয়ালে প্রার্থীদের নাম লিখে ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি লেখা হয়েছে নির্দল, আরএসপি ও বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। এই নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভোটারদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায়, আপাত ভাবে শাসক দল নিজেদের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    এক গ্রামবাসী (Dakshin Dinajpur) বলেন, ‘আমার যে প্রার্থীকে পছন্দ হবে, আমি তাঁকেই ভোট দেব। কিন্তু বিরোধীদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর  ভান্ডার বন্ধ! এমন দেওয়াল লিখন দেখে অবাক হচ্ছি। মনে হচ্ছে, এমন দেওয়াল লিখে কি গ্রামের মানুষকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে তৃণমূল?’

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘শাসকদল আসলে বোঝে না সরকার আর দল কী। সরকার তো জনগণের জন্য। কিন্তু ভোট না দিলে সরকারি সুযোগসুবিধা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো গণতন্ত্রের অবমাননা হয়। বিষয়টি তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনবেন বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এই ধরনের প্রচারকে তৃণমূল কখনও মান্যতা দেয় না। যদি জেলার কোথাও এই ধরনের প্রচার কেউ করে থাকেন, তবে তাঁদের আমরা নিষেধ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টারের ছবিতে লেখা ‘চোর চোর’। কিন্তু কে বা কারা লিখে দিল ‘চোর চোর’? যা নিয়ে রবিবার সকালে হাওড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে চোর লেখা ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থীর ছবির মুখে লাগানো হয়েছে কালো কালি। নির্বাচনী প্রচারে এলাকা বেশ সরগরম।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৮ ও ১৯২ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সামসুল আলম তরফদারের ছবিতে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তলায় লেখা হয়েছে চোর চোর চোর শব্দ। আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্য হাওড়া জেলার রাজনীতিতে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কারা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিশ তদন্ত করছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অন্যদিকে যার ছবিতে ‘চোর’ লেখা হয়েছে, তিনি অবশ্য বিষটিতে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

    ফেস্টুনে কী লেখা ছিল?

    তৃণমূল প্রার্থীদের (Howrah) প্রচারে লাগানো হয় ফেস্টুন। তাতে লেখা ছিল রুপালি বেগম, নাজিয়া খাতুন ও সামসুল আলম তরফদারের নাম। গ্রাম সভায় দাঁড়িয়েছেন রুপালি। নাজিয়া লড়ছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। আর জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন সামসুল আলম তরফদার। ফেস্টুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের ছবিও ছিল। কিন্তু সামসুল আলম তরফদারের নাম এবং ছবির সামনে লেখা ‘চোর চোর চোর চোর’।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে সামসুল আলম তরফদার বলছেন, ‘প্রচার তুঙ্গে আছে। পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে প্রচার কী ভাবে চলছে! কোনও অসুবিধা নেই। কিছু নিন্দুক থাকে, যাদের ভালোটা সহ্য হয় না। আসলে আমরা চোরই! আমি ক্যামেরাতে স্বীকার করে নিচ্ছি যে আমরা চোর, আমরা মানুষের মন চুরি করতে বের হয়েছি। এখানে বিরোধী শূন্য এলাকা। তারপরেও কিছু লোক আছে, যাদের ২০২১-সালে দল বাদ দিয়েছে। এবারে তারা পঞ্চায়েতে দাঁড়াতে পারেনি। হয়তো এইরকম কোনও ব্যক্তি এই কাজ করেছ।’ অন্যদিকে হাওড়া (Howrah) জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘কোনও দুষ্কৃতী হয়তো রাত্রিবেলা এই রমক কাজ করেছে। বিরোধী দলের তরফ থেকে হয়ত এইরকম করে থাকলেও থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, যা উপযুক্ত ব্যবস্থা হয় তারা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই হুমকির অভিযোগ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। হুমকির অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এমনকি ক্যামেরার সামনেও তুলে আনার হুমকি দিলেন বিদায়ী তৃণমূল প্রধান। প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বিজেপি প্রার্থী।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে। কোথাও মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি, আবার কোথাও মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য বিরোধী প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধেই। এবার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিল ওই অঞ্চলেরই বিদায়ী তৃণমূল প্রধান দীপক মন্ডল। সেই অডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Nadia) গোবিন্দ রাজবংশী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে, তাঁকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য একাধিকবার শাসানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে সমিতিতে লড়াই করছেন। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আপাতত পুলিশকে জানিয়েছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায় তৃণমূল প্রধান (Nadia) দীপক মন্ডল বলেন, আমি ওই এলাকায় পুনরায় পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল হয়ে লড়াই করছি। কিন্তু বিজেপির সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশী আমার এলাকায় এসে আমার নামে কুপ্রচার করছেন। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। সেই কারণেই আমি বারংবার তাঁকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দেখা করছে না! এরপরেই তিনি আবার হুমকির সুরে বলেন,“দেখা করতেই হবে! না করলে প্রয়োজনের তুলে আনবো!” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share