Tag: Maha Shasthi

Maha Shasthi

  • Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (Mahashasthi)। শারোৎসবে মেতে উঠেছে পুরো বিশ্ববাসী, বিশেষ করে বাংলার মানুষ। আর এরই মধ্যে বেলুড় মঠেও শুরু হয়ে গেল দুর্গা পুজো (Belur Math Durga Puja)। মহাষষ্ঠীর পুণ্য লগ্নে ভোরবেলায় মণ্ডপে শুরু হয় নারায়ণ পুজো এবং ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ। ভোরবেলায় গঙ্গাজলে দেবীর ঘট ধুয়ে তা স্থাপন করা হয়। দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান হবে সন্ধ্যাবেলায়। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিটে মহাষষ্ঠীর পুজো।

    বিগত দুবছর তেমন জাঁকজমকভাবে পুজো করা হয়নি। দর্শনার্থীদের প্রবেশেও বাধা ছিল বেলুড় মঠে (Belur Math)। তবে এবার আর প্রবেশে নিষেধ না থাকায় ফের আগের ছন্দে ফিরে এসেছে বাংলার মানুষ। ফলে এবছরের পুজোর উন্মাদনাই এক অন্য পর্যায়ে। তাই আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণতি দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। আর এর ফলেই মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বেলুড় মঠে।

    আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী কী রীতি পালিত হয় দুর্গা পুজোয়? রইল পুরো তালিকা

    বেলুড় মঠে রীতিমতো জন্মাষ্টমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। কারণ প্রথা মেনে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর তিথিতে কাঠামো পুজো হয় বেলুড় মঠে। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে রাখা হয় এবং পরের বছর পুজো শুরুর আগে সেই কাঠামোই পুজো করা হয়। আর ওই দিন থেকেই মঠে দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকেই মঠ প্রাঙ্গণে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। ফলে এবারও তেমনটাই হয়েছিল।

    তবে এবারে করোনার (Corona) জন্য অত বিধি-নিষেধ না থাকলেও বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আবার এর পাশাপাশি রয়েছে ডেঙ্গিরও (Dengue) আতঙ্ক। ফলে বেলা যত বাড়বে, দর্শনার্থীদের ভিড়ও তত বাড়বে। আগের দুবছর করোনার প্রকোপের জন্য দুর্গাপুজোর সময় মঠে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে এবার পুজোয় দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠ। তাই ভিড় বাড়লে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাই উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকমহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    Durga Puja: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (Maha Shasthi)। দেবীর বোধন (Bodhan)। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা তাঁর চার সন্তান— সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন। ফলে আজ থেকে ঢাক ও কাঁসরের আওয়াজে চারিদিক যেন গমগম করে। মা দুর্গার আগমণে সবাই যোন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গা পুজো। দুর্গা পুজো শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বহু রাজ্যে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশেও বাঙালিরা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে পুজোর দিনগুলি।

    পুজোর পাঁচটি দিন- মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী, মহাদশমীর কিছু তাৎপর্য রয়েছে। যেমন আজ মহাষষ্ঠী, আর আজকের দিনেই দুর্গাপুজোর প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। এই ‘বোধন’ শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এই দিনে। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে এই নিয়মটি।

    বোধনের তাৎপর্য

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবীপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন করে পুজো করেন শ্রীরামচন্দ্র। এদিন মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পদার্পণ করেন ও দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ। এই দিন কল্পারম্ভ-এর মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর। তারপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে মা-কে বরণ করে নেওয়া হয়। অকাল বোধনের মাধ্যমেই উন্মোচন করা হয় মায়ের মুখ। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। এরপরই মহা সমারোহে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

    অকাল বোধনের কাহিনী

    বোধন কে আবার অকাল-বোধনও বলা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাস দেবতাদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রায় যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। আর পুরাণ মতে, এই কাজটি সর্বপ্রথম করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই তিথিতেই দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই ষষ্ঠীর বোধনে বা  অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই এই বোধনকে অকাল-বোধনও বলা হয়ে থাকে।

LinkedIn
Share