Tag: Mahakumbh

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) পৃথিবী জুড়ে একটি বড় ইভেন্ট হিসেবে প্রচুর মানুষের সমাগমই হতে চলেছে তা নয়, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনৈতিক ইভেন্টগুলির মধ্যেও অন্যতম হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে মহাকুম্ভে স্থাপিত হতে চলেছে মহাকীর্তি। অনুমান করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ কোটিরও বেশি ভক্ত পুণ্যস্নান সারবেন।

    ৬০ কোটির ডুব, ৩ লাখ কোটির ব্যবসার

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের অন্যতম কর্তা তথা চাঁদনী চকের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম মানব সমাবেশ হতে চলল এই মহাকুম্ভ। একইসঙ্গে এর অর্থনৈতিক দিকটির কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। প্রবীণ জানিয়েছেন, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগে তাঁরা অনুমান করেছিলেন যে প্রয়াগরাজে ৪০ কোটি ভক্তের আগমন ঘটবে এবং প্রায় দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন হতে পারে। কিন্তু মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পর থেকে যেভাবে ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করে, তারপরে সমস্ত হিসাব নিকাশ বদলে যায়। এখন আর চল্লিশ কোটি ভক্ত নয়। এখন মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন মহাকুম্ভে। একইসঙ্গে দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা ঠেকতে পারে তিন লক্ষ কোটি টাকাতে। প্রসঙ্গত, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। সেই সময়ের মধ্যে আশা করা হচ্ছে যে ৬০ কোটি মানুষ মহাকুম্ভের পুণ্য স্নানে অংশগ্রহণ করবেন। এর ফলেই তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ৫৩ কোটিরও বেশি ভক্ত মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভক্ত হিসেবে আসছেন।

    কোন কোন ব্যবসা বাড়ল (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশে অর্থনীতিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ছোটখাটো ব্যবসা ব্যাপক বেড়েছে। ক্যালেন্ডার, পাটের ব্যাগ, স্টেশনারি রাখার মতো বাক্স, ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হয়- এই সমস্ত পণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক প্রভাবকে তুলে ধরে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) এর মহাসচিব আরও বলেন,যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক ব্যবসা বড়েছে, সেগুলি হল-

    -আতিথেয়তা এবং আবাসন

    -খাদ্য ও পানীয় ক্ষেত্র

    -পরিবহন ও সরবরাহ

    -ধর্মীয় পোশাক, পূজা সমাগম এবং হস্তশিল্প

    -বস্ত্র, পোশাক এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্য

    -স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্থতা পরিষেবা

    -ধর্মীয় নৈবেদ্য এবং অন্যান্য পণ্য

    -মিডিয়া, বিজ্ঞাপন এবং বিনোদন

    -অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা

    -টেলিকম, মোবাইল, এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম

    ১৫০ কিলোমিটার আশেপাশে অর্থনীতির উন্নতি

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) আরও জানিয়েছে যে উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়েছে। মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) অর্থনৈতিক এমন সুবিধা শুধুমাত্র যে প্রয়াগরাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে, এমনটা নয় এই অর্থনৈতিক বিকাশ ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে। এর মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি শহর এবং জনপদেও ব্যবসা বেড়েছে যা স্থানীয় অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করেছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে পর্যটনও বেড়েছে। অযোধ্যা বারাণসী সমেত উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে বেড়েছে ভক্তদের ভিড়।

    অন্যান্য তীর্থস্থানেও ভিড়

    কারণ ভক্তরা যখন প্রয়াগরাজে আসছেন তখনই তাঁরা মনস্থির করছেন যে একইসঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ ধাম ও অযোধ্যার রাম মন্দিরও তাঁরা দর্শন করবেন। নিকটবর্তী আশেপাশে অঞ্চলে যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান আছে, সেগুলিতে তাঁরা যাবেন। এর ফলেই বাড়ছে ধর্মীয় পর্যটক (Maha Kumbh 2025)। এই অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ব্যাপক হচ্ছে। এই শিল্প সংস্থার কর্তা আরও জানিয়েছেন মহাকুম্ভ একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় সমাবেশে পরিণত হয়েছে এবং একটি প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমন এর অর্থনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বেড়েছে প্রচুর মানুষের। সমৃদ্ধ হয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় ব্যবসা।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিধানসভায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যে প্রবল নিন্দার ঝড় শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদ জানান সাধু-সন্তরাও। এবার এরই প্রতিবাদে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে মৃত্যুকুম্ভ শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন গেরুয়া ব্রিগেডের বিধায়করা। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘সনাতন ধর্ম যতদিন থাকবে ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি থাকবে।’’ একইসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটাই আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা।

    মন্তব্যের পরেও কোনও অনুশোচনা নেই, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠলেও এখনও নির্বিকার রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাপক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় এই ধরনের শব্দ রেকর্ডে থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। কোনও অনুশোচনা নেই। রাজ্যপাল স্পিকারকে বলুন এক্সপাঞ্জ করতে। আমরা চাই না রেকর্ডে থাকুক। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় এই শব্দ রেকর্ডে থাকুক আমরা চাই না।’’

    মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগ

    একইসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে মুসলিমদের নিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল নিজে বলেছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটা আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা। আর উনি বলছেন মৃত্যুকম্ভ। তাই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। সনাতন সমাজ যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিবাদ চলবে। আমরা আমাদের ধর্মের সঙ্গে তঞ্চকতা বিগত দিনে করিনি। আমরা রেড রোডে অন্য ধর্মের প্রার্থনায় চলে যান। সেখানে বিরক্ত হন লোকেরা। কিন্তু আপনি চলে যান ভোটের জন্য। আপনার মতলব সবাই জানে।’’

    হিন্দু ভোটে জিতেছে বিজেপি!

    এদিন সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার স্পষ্ট ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান যে বিজেপি জিতেছে হিন্দুদের ভোটে, জনজাতিদের ভোটে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমাকে ইঙ্গিত করে অনেক কথা বলেছিলেন। নতুন হিন্দু নেতা বলেছিলেন। আমি হিন্দু ধর্মীয় নেতা নই। হিন্দু নেতা শঙ্করাচার্যরা। আখড়ার যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। আমাদের রাজ্যে যেমন কার্তিক মহারাজরা রয়েছেন। এরা ধর্মীয় নেতা। আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত করছেন। শুভেন্দুর সাফ দাবি, মুসলিমদের ভোটে জেতেনি বিজেপি। জয় এসেছিল সনতনীদের ভোট, জনজাতিদের ভোটে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণ

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও টেনে আনেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আপনি কতটা সাম্প্রদায়িক সেটা আমি নন্দীগ্রামে দেখেছি। তখন আমি নন্দীগ্রামে তাঁদের ভোট নিয়ে আপনাকে হারিয়েছি। তাই যাঁদের ভোট নিয়ে জিতেছি তাঁদের ধর্মীয় আঘাত, তাঁদের শাস্ত্রে যদি সরকার, সরকারি দল দেয় প্রতিবাদ আমরা করব। আমি তো বারেবারে বলেছি আমরা বিজেপির বিধায়করা মুসলিমদের ভোটে কেউ জিতিনি। হিন্দুদের ভোটে জিতেছি। জনজাতিরাও আমাদের ভোট দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা দায়বদ্ধ সনাতনী এবং জনজাতিদের কাছে। এটা নিয়ে সাজাসাজির বিষয় নেই।’’

    হিন্দুদের কাছে মমতা কোয়েশ্চেন মার্ক, দাবি শুভেন্দুর

    রাজ্যের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু-বিরোধী বলে তোপ দাগেন বিজেপি বিধায়করা। এই আবহে বিধানসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেনিয়েই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় দীর্ঘ ভাষণ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘এক ঘণ্টা বাইশ মিনিট ধরে যা খুশি বলে গেলেন। আমি ব্যানার্জি, আমি ব্রাহ্মণ, খুব ভালো লাগছে দেখে! আসলে হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন। তাই আপনাকে বলতে হচ্ছে আমি হিন্দু। তাই বলতে হচ্ছে আমি ব্যানার্জি পরিবার। বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে আমি শিবঠাকুরের দিকে মাথা করে ঘুমাই। খুব ভালো লাগছে। আপনি লাইনে এসে গিয়েছেন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বলেছিলেন?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ আমি নাই বা বললাম ৷ ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে ৷ মৃত্যুকূপের মতো ৷’’ এর পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় হিন্দু সমাজের একাংশে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন সাধু-সন্ত ও বিজেপি নেতারা। জেলায়-জেলায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলল গেরুয়া শিবির।

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলা, শিশু-সহ মোট ১৮ জনের। এনিয়েই মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। রবিবার পদপিষ্টের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের লালু (Lalu Yadav) বলেন, ‘‘কুম্ভের (Mahakumbh) কি কোনও অর্থ আছে? সবটাই অর্থহীন, ফালতু।’’ এর পাশাপাশি লালু প্রসাদ যাদব আরও বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার ভোট

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহারের ভোট। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাপক ভাবে সেখানে আসন নিয়ে জিততে চলেছে এনডিএ জোট। এই আবহে লালুর এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি তোষণের রাজনীতি করছেন বলেই মত অনেকের। তাঁর এই মন্তব্যে আসলে প্রতিফলিত হয়েছে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

    তোষণের রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির

    লালুপ্রসাদের (Lalu Yadav) এহেন মন্তব্যে রাজনীতির পারদও চড়ছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিও লালু-সহ আরজেডিকে হিন্দু বিদ্বেষী তোপ দেগেছে। বিহার বিজেপির মুখপাত্র মনোজ শর্মার দাবি, এটাই হিন্দু ধর্মের প্রতি আরজেডির মানসিকতা প্রকাশ করেছে। মনোজ বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতির কারণে এই ধরনের মন্তব্য করছেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। আরজেডি নেতারা সর্বদা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করেছেন। লালুপ্রসাদের মহাকুম্ভকে অর্থহীন বলে সর্বশেষ বিবৃতি হিন্দু ধর্মের প্রতি দলের মানসিকতাকে তুলে ধরছে।’’ লালু বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মনোজ শর্মা আরও বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক রুটি সেঁকতেই এমন কথা বলছেন তিনি। এটা প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার হিন্দুদের অপমান করেছেন তিনি।’’

  • Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে (New Delhi Railway Station) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কুম্ভযাত্রীদের ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কির কবলে পড়ে তিন শিশু, ১৪ মহিলা-সহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশপাশি অজস্র মানুষ আহত হয়েছেন (Kumbh Devotees) বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর পরে দিল্লি পুলিশ ১৮ জনের প্রাণ হারানোর খবর নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণাও করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    হঠাৎ রটে গুজব?

    সূত্রের খবর, শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলার ভক্তদের (Kumbh Devotees) ব্যাপক ভিড় ছিল। ওই দুই প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন আসতেও দেরি করছিল। এমন সময় গুজব রটে যায় দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে ব্যাপক দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, একেবারে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে । রেল জানিয়েছে, এই সবই গুজব ছিল।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, “পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।” একইসঙ্গে শোক বার্তা এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছ থেকেও।

    শোক প্রকাশ করেছেন (Kumbh Devotees) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “স্টেশনে পদপিষ্টের ফলে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।” পাশাপাশি, তিনি মৃত পরিবারদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

    নিজের এক্স মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আহতদের সবরকমের সাহায্য করা হবে। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শোক প্রকাশ (Kumbh Devotees)

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রেল পুলিশের ডিসি বলেন, “প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”

  • Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সমুদ্রে ডুবে রয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) যাওয়ার পথ! জানা গিয়েছে, গাড়ির লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৩০০ কিলোমিটার। এই প্রবল যানজটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে রাস্তার ওপরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন ভক্তরা। হেঁটেই মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপক যানজটকে নেটিজেনরা বিশ্বের বৃহত্তম যানজট বলে অভিহিতও করেছেন। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার মারফত জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ হয়ে যে রাস্তা মহাকুম্ভ মেলার দিকে যাচ্ছে, সেই রাস্তায়ই ২০০-৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন। অন্যদিকে রবিবারই পুলিশ বিভিন্ন জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, এর ফলে বহু মানুষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

    কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা (Mahakumbh 2025)

    প্রত্যক্ষদর্শীরা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেন, রেওয়া জেলার চকঘাটে কাটনি থেকে মধ্যপ্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। এই সময়ই সামনে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও। ভিড়ের ভিডিও পোস্ট করে এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “জবলপুরের আগে ১৫ কিলোমিটার যানজট। প্রয়াগরাজ এখনও ৪০০ কিলোমিটার দূরে। মহাকুম্ভে আসার আগে দয়া করে যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে আসুন!” সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে এক্স-এ একজন পোস্ট করে লিখেছেন, “কুম্ভে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্র্যাফিক জ্যামে (১৫-২০ কিমি) আটকে গিয়েছি। প্রয়াগরাজ সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ।”

    যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ (Mahakumbh 2025)

    অনেকেই দাবি করছেন, যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। অর্থাৎ ৩০০ কিলোমিটারের যানজট (Mahakumbh 2025) পেরিয়ে তবেই পৌঁছানো যাচ্ছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। পুলিশকর্মীদেরই দাবি, ২০০-৩০০ কিলোমিটার যানজট (Traffic Jam) রয়েছে। আবার কারও দাবি, কোনও কোনও গাড়িকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে। মাত্র ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবু ভিড়ের কমতি নেই। লাখে লাখে ভক্ত হেঁটেই চলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে। অমৃতস্নান করার জন্য ছুটে আসছেন দেশ-বিদেশ থেকে অগুনতি ভক্ত। সেই কারণে তৈরি হয়েছে মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যাম, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

  • VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    VHP: হিন্দু বাড়াতে সনাতনীদের ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করার আহ্বান ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেভাবে বাড়ছে না হিন্দু জনসংখ্যা (Hindu)। এর কারণ হিসেবে হিন্দু যুবকদের দেরি করে বিয়ে করার সিদ্ধান্তকেই দায়ী করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে এই সংগঠন দেশজুড়ে আহ্বান জানিয়েছে, তরুণ হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই যেন ২৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন। কারণ আজকের দিনে এটি খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছে ভিএইচপি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে গত শুক্রবার মহাকুম্ভের ১৮ নম্বর সেক্টরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় বোর্ডের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায়ই প্রস্তাব পাস করা হয়েছে, এ বিষয়ে।

    কী লেখা হল প্রস্তাবে?

    ওই প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, ‘‘বৈদিক নিয়ম অনুসারে ২৫ বছর হল গৃহস্থ আশ্রমে প্রবেশ করার সঠিক বয়স। তাই হিন্দু যুবকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে যে তাঁরা পুরুষ হোক বা মহিলা যেন এই বয়সে বিয়ে করেন।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) আরও জানিয়েছে, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেশের হিন্দু তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে আসা দরকার। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, জনসংখ্যার যে ভারসাম্যহীনতা দেখা যাচ্ছে এখানে হিন্দু সমাজ ক্রমশ অস্তিত্বের জন্য সংকটে ভুগছে।”

    আমেরিকায় দ্রুত বাড়ছে হিন্দু ধর্ম

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, আমেরিকায় হিন্দুধর্ম দ্রুত জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত অ-হিন্দুরা এই ধর্মকে গ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, হিন্দু মূল্যবোধের অভাবের কারণেই পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। একইসঙ্গে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, আর্বান নকশাল, বিনোদন, বিজ্ঞাপন এগুলো হিন্দু যুবক-যুবতীদেরকে বিভ্রান্ত করছে। এর ফলে হিন্দু সমাজে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং লিভহীন সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩০০ দেশের সংগঠনের প্রতিনিধিরা মহাকুম্ভে হওয়া এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের নিয়েই পাস করা হয় এই প্রস্তাব।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মিলন মেলা, পবিত্র প্রয়াগে পুণ্য-স্নান পাকিস্তানের ৬৮ পুণ্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-ভারত দুই দেশের রাজনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও, ওয়াঘার ওপার আর এপারে রয়েছে আত্মার টান। পাকিস্তান (Pakistani Hindus) থেকে দেবভূমি ভারতের মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) যোগ দিলেন সিন্ধু প্রদেশের ৬৮ জন হিন্দু ভক্তের একটি দল। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছে সঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিলেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন সূত্রের খবর ভক্তরা গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর পবিত্র সঙ্গমস্থলে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্য প্রার্থনা করে আচার অনুষ্ঠান করেন।

    মহাকুম্ভে মোক্ষলাভ

    পাকিস্তানের (Pakistani Hindus) করাচিতে অবস্থিত শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির সমিতির অধ্যক্ষ শ্রীরামনাথ মিশ্র মহারাজের নেতৃত্বে ওই দলটি পাকিস্তান থেকে কলসবন্দি করে নিয়ে এসেছেন ৪০০ হিন্দুর অস্থি। উদ্দেশ্য, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) পুণ্যলগ্নে মা গঙ্গায় মোক্ষের সন্ধান। গত ৮ বছর ধরে প্রিয়জনের অস্থি রাখা হচ্ছিল পাকিস্তানের শ্মশানেই। প্রিয়জনের অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিতেই এত বছরের অপেক্ষা। মহাকুম্ভের পুণ্যলগ্নে এই সব অস্থি ভারতে আনার জন্য বিশেষ ভিসা দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে। ভিসা পেয়েই গত সোমবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ৪০০ পাকিস্তানি হিন্দুর কলসবন্দি অস্থি নিয়ে আসা হয় ভারতে।

    মহাকুম্ভে অভিভূত পুণ্যার্থীরা

    মহন্ত রামনাথ জানান, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) আসার আগে তাঁরা প্রথমে হরিদ্বার যান। সেখানে তাঁদের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে ভস্ম বিসর্জন দেন। তার পর ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন সকলে। গত বছর এপ্রিল মাসে পাকিস্তান থেকে ২৫০ জন প্রয়াগরাজে গিয়ে গঙ্গায় স্নান করেছিলেন। এ বার সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি, সুক্কুর, খাইরপুর, শিকারপুর, কারকোট এবং জটাবল জেলা থেকে ৬৮ জন পুণ্যার্থী এসেছেন। যার মধ্যে ৫০ জন প্রথমবার কুম্ভে এলেন। ওই দলের এক সদস্যা সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের অনুভূতি। প্রকাশ করার মতো কোনও ভাষা আমার কাছে নেই। আগামিকাল আমরা ফের পুণ্যস্নান করব। এখানে থাকা আমাদের সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত।’’ সিন্ধু থেকে আসা এক গৃহবধূ বলেন, ‘‘ভারতে এবং মহাকুম্ভে এলাম আমার প্রথমবার। এখানে আমাদের সনাতন সংস্কৃতি উপলব্ধি করাটা এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আমরা সিন্ধুতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং বেড়ে উঠেছি। সেখানে হিন্দুদের প্রতি খুব বেশি বৈষম্য নেই। তবে ভারতে আমাদের ঐতিহ্য প্রত্যক্ষ করা এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা।’’

  • VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    VHP: ‘মহাকুম্ভের সঙ্গে কোনও তুলনাতেই আসে না হজ’, পরিসংখ্যান তুলে দাবি ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যায় পদদলিত হয়ে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) বেশ কয়েকজন ভক্তের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরেই বেশ কিছু হিন্দু বিরোধী শক্তি কুম্ভ মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ তোলে, এমনটাই দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। এর পরে গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), সেই সমস্ত হিন্দু বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যারা মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করেছিল। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি ভক্ত হাজির হচ্ছেন পুণ্যস্নান করতে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এমন নিঁখুত ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। একইসঙ্গে সমাজ মাধ্যমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের একাধিক পার্থক্যও সামনে আনেন। বিবৃতি জারি করে ভিএইপি বলে, গতবারের হজে ১,৩০০-এর বেশি মৃত্যু ঘটে।

    হজের সঙ্গে তুলনা চলে না কুম্ভের (VHP)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সেই সমস্ত মন্তব্যকে চূড়ান্তভাবে নিন্দা করে যেগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছিল শুধুমাত্র মহাকুম্ভের বিরোধ করার জন্য। প্রসঙ্গত, এই বিতর্ক তখনই শুরু হয়েছিল, যখন সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু হিন্দু-বিরোধী শক্তি তুলনা টানে মহাকুম্ভের সঙ্গে হজের। সেখানে হজের ব্যবস্থাপনাকে নিঁখুত বলা হয়। তখনই সরব হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এরপরই ঘোষণা করে যে হজ হল একটি ছোটখাটো তীর্থ অনুষ্ঠান। মহাকুম্ভের সঙ্গে এর কোনওভাবেই তুলনা চলে না।

    মহাকুম্ভে বার্তা দেওয়া হয় মানব কল্যাণের (VHP)

    ভিএইচপি জানিয়েছে, মহাকুম্ভে এই কয়েকদিনেই কোটি কোটি ভক্ত হাজির হয়েছেন। প্রয়াগরাজের পবিত্র সঙ্গমে তাঁরা ডুব দিয়েছেন, অমৃত স্নান করেছেন। এর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে মহাকুম্ভ হল মানব কল্যাণের জন্য অনুষ্ঠিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের পরে একজন ব্যক্তি মানব কল্যাণের জন্য সংকল্প নেয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়, এর সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে হজের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, মহাকুম্ভে যে ধরনের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার, তার সঙ্গে কোনওভাবেই তুলনা চলে না হজের তীর্থযাত্রীদের।

    দূর্দান্ত ব্যবস্থাপনা মহাকুম্ভে (VHP)

    এনিয়ে পরিসংখ্যানও সামনে এনেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা জানিয়েছে যে, গত হজযাত্রাতে ১,৩০০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখানেই প্রশ্ন তোলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের মতে, মহাকুম্ভে কি একজন ব্যক্তি আছেন? যিনি ক্ষুধায় নিহত হয়েছেন? যিনি তৃষ্ণায় নিহত হয়েছেন? যিনি সঠিক সময় ওষুধ পাননি বলে নিহত হয়েছেন? এমন এ কজনও নেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে যে কতটা সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কী বলছেন সংগঠনের জাতীয় মুখপাত্র

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বিনোদ বনসল। তিনি উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মহাকুম্ভের অভূতপূর্ব আয়োজনের জন্য। যেভাবে কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রেখেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার, সে কথাও তুলে ধরেন বিনোদ বানসল। শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথের ব্যবস্থাপনার জন্যই কোটি কোটি ভক্ত পবিত্র সঙ্গমস্থলে ডুব দিয়ে আবার তাঁরা পুণ্য অর্জন করে নিজেরা নিজেদের বাড়ি নিরাপদে ফিরে যেতে পারছেন। এমনটাই দাবি বিনোদের।

    প্রতিদিন চারশো ট্রেন ঢুকছে প্রয়াগরাজে

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, চারশোর ওপরে ট্রেন প্রতিদিন ঢুকছে প্রয়াগরাজে। এই প্রত্যেকটা ট্রেন ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা। এছাড়াও বাসে করে, গাড়িতে করে ভক্তরা ঢুকছেন এবং সমস্ত কিছু ব্যবস্থাপনা অভূতপূর্বভাবে তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেই সমস্ত ভক্তদের প্রশংসাও করেন বিনোদ বানসল যাঁরা নিজেদের ব্যস্ততার মধ্যেও মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন। এতেই বোঝাই যাচ্ছে যে ত্রিবেণী সঙ্গমের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্ব ঠিক কতটা!

    কেন এক নয় হজ ও কুম্ভ?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওই মুখপাত্রের মতে, মহাকুম্ভ এবং হজ- এই দুটো কখনও এক নয় এবং এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যের কারণ হল, সেবা, ব্যবস্থাপনা ও মানবকল্যাণের উদ্দেশ্য, যা কুম্ভে আছে, হজে নেই। এমনটাই মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্রের। হজে যেখানে মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, সেখানে মহাকুম্ভে ৪০ কোটি জনসমাগম হচ্ছে। তাহলে, কী করে তা এক হতে পারে? প্রশ্ন ভিএইচপির। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সরকার মৌনী অমাবস্যায় যে দুর্ঘটনা ঘটে তারপর থেকে যথেষ্ট তৎপর হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করে। এই ঘটনার জন্য ৩ জন সদস্যের একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন তদন্ত করবে যে পদদলিত হয়ে মানুষগুলির মৃত্যুর কারণ ঠিক কী? তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করবে তারা।

  • Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ জানুয়ারির এই পুণ্য দিনে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান (Mauni Amavasya) করবেন (Mahakumbh 2025) ১০ কোটিরও বেশি ভক্ত। যেহেতু এদিন কয়েক কোটি ভক্তের সমাগম হবে, তাই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। ভিড় ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পথ ও স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেন, “সবচেয়ে বড় স্নান উৎসবের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যে সেক্টর বা অঞ্চলে স্নান করেছেন, সেখান থেকেই ফিরে যাবেন, এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    সুরক্ষা ব্যবস্থা

    ভিড় কমাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে স্নান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন সংঘম নোজ ঘাটে। লখনউ ও অযোধ্যার তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন দশাশ্বমেধ ঘাটে। ভিড়ের পরিমাণ বাড়লে পুণ্যার্থীদের পাঠানো হবে নাগবাসুকি, রাসূলাবাদ এবং ফাফামাউ ঘাটে। বারাণসী, জৌনপুর, আজমগড় এবং গোরখপুরের তীর্থযাত্রীরা অমৃতস্নান করবেন ঐরাবত ও ত্রিবেণী ঘাটে। মির্জাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের তীর্থযাত্রীরা ডুব দেবেন আরাইল ত্রিবেণী পুষ্পের কাছাকাছি ঘাটে। এখানে সংঘমের দিকে যাওয়ার জন্য গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে। স্নান শেষে ভক্তরা (Mauni Amavasya) যাতে তাদের নির্ধারিত অঞ্চলে ফিরে যেতে পারেন, তাই সংঘম নোজের কাছাকাছি আন্তঃঅঞ্চল ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে (Mahakumbh 2025)।

    আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য ব্যবস্থা

    কেবল পুণ্যার্থী নন, মহাকুম্ভের বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে স্নানের ঘাট। ১৩টি আখড়ার অমৃতস্নানের পথও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী ত্রিবেণী পন্টুন ব্রিজ অতিক্রম করবে আখড়াগুলি। আখড়াগুলির সাধুসন্তরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করতে পারেন, তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পুলিশ, এনডিআরএফ, এবং এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযানের নৌকা ছাড়া অন্য কোনও নৌকার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষায় বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। নিরাপত্তা জাল সহ মজবুত ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী আবাসন এবং হোল্ডিং এরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কাউশাম্বী, প্রতাপগড় বা ভদোহিতে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হতে পারে (Mauni Amavasya)।

    উন্নত পরিকাঠামো

    তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২ কিমি দীর্ঘ স্নানের ঘাট উন্নত আলো, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার জন্য খড় ও চটের বস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নানের ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানির্বাণী এবং অতল আখড়াগুলি প্রথমে স্নান প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রতিটি আখড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্নান করবে। এই ক্রমটি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে স্নান করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে। এই সময়সূচির জন্য সমস্ত আখড়ার সদস্যরা পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় এবং জায়গা পাবেন। বৃহত্তর ভক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা এবং সুবিধাও বজায় রাখা হবে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ একটি সুসজ্জিত এবং সুসংগঠিত মহাকুম্ভ স্নান উৎসব আয়োজন করতে প্রস্তুত (Mahakumbh 2025)।

    পূর্ণকুম্ভের যোগ

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। অর্থাৎ মহাকুম্ভের এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। সেই কারণেই এবার কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি মানুষ। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে। এবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের যোগ মোট ৬টি। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে তিনটি স্নান। বুধবার হবে মৌনী অমাবস্যার স্নান। ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। আর এবারের মতো শেষ স্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি পুণ্যার্থী সেরে নিয়েছেন পুণ্যস্নান। বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীও ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mauni Amavasya)। হিন্দু ভোট কুড়োতে দেরিতে হলেও দিন দুই আগে কুম্ভস্নান করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ৫ ফেব্রুয়ারি কুম্ভে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ১০ ফেব্রুয়ারি অমৃতস্নান (Mahakumbh 2025) করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

     

LinkedIn
Share