Tag: mahakumbh 2025

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবারই মহাকুম্ভে স্নান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরে ফের একবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা (Mamata Banerjee) যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।’’ নিজের সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘১৪৪ বছর পরে মাহেন্দ্রক্ষণে আসা এই পূর্ণ মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সুবিশাল। মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার এক মহামিলন হল এই মহাকুম্ভ, যা জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক চেতনার দ্বারকে উন্মুক্ত করে দেয়।’’ শুক্রবার পুণ্যস্নান করে শুভেন্দু এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘মা গঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাব কারণ তাঁর আশীর্বাদেই আমি মহাকুম্ভে আসতে পারলাম। এরপর নিজের জীবদ্দশায় আর কোনও দিন মহাকুম্ভ চোখে দেখতে পারব না। এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’’

    প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘আমি যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, উত্তর প্রদেশের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ জি ও উত্তর প্রদেশের প্রশাসনকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সুন্দর, সু’ব্যবস্থার জন্য। মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন এই পবিত্র মহাকুম্ভের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’’ সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কুম্ভের জল অতিরিক্ত দূষিত। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন, সেই জল শুধু স্নান নয়, খাওয়ারও যোগ্য। শুভেন্দুকেও সেই জল পান করতে দেখা যায়।

    রাজ্যপালের মন্তব্যও উল্লেখ করেন শুভেন্দু

    রাজ্যপালের মন্তব্যের রেশ টেনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল নিজে বলেছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটা আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা। আর উনি বলছেন মৃত্যুকম্ভ। তাই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। সনাতন সমাজ যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিবাদ চলবে।’’

    ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন মমতার মন্তব্যে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মহাকুম্ভকে ‘অমৃতকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেন। বলেন, ‘‘এটা অমৃতকুম্ভ। মুখ্যমন্ত্রীর দলের কতজন গিয়েছেন। কিছুজন ছবি ছেড়েছেন, কিছুজন ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, তাঁরা পাড়া-প্রতিবেশী সকলে গিয়ে কুম্ভতে স্নান করে এসেছেন।’’ এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে মন্তব্য করেছেন তাতে ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন। ভারতের ইতিহাস, শাস্ত্র, সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন তিনি।’’

    মমতার মন্তব্য ক্ষমাহীন (Mamata Banerjee)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘মমতা যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমাহীন অপরাধ। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে নানা আলোচনা হচ্ছে, তাও পাত্তা দেননি শুভেন্দু। বরং তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ৬০ কোটি হিন্দু স্নান করেছেন, আরও ৫ কোটি ওখানে রয়েছে। অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে প্রয়াগরাজে।’’ শুক্রবার কুম্ভে পুণ্যস্নান সেরে সেদিনই কলকাতায় ফিরেছেন শুভেন্দু।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মতোই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) নিয়ে বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে নেপালেও। প্রসঙ্গত, নেপাল হল মাতা সীতার জন্মভূমি। রিপোর্ট বলছে ৫০ লাখেরও বেশি ভক্ত নেপাল থেকে পুণ্য স্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হওয়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে। নেপালি ভক্তদের এমন অংশগ্রহণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নেপালেও। এমনটাই বলছেন অনেকে।

    নেপালের ভক্তরা হাজির অক্ষত চাল নিয়ে (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে ভক্তদের মধ্যে অনেকে (Prayagraj) এসেছেন অক্ষত চাল নিয়ে। সেগুলি নিয়ে তাঁরা হাজির হচ্ছেন বড়ে হনুমানজির সামনে। একই সময়ে তাঁরা এখান থেকে গঙ্গাজল নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। এর পাশাপাশি ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র মাটি নেপালে নিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা (Mahakumbh 2025)। নেপালি ভক্তদের সঙ্গে বড়ে হনুমান মন্দিরের এবং অক্ষত চালের সম্পর্ক অনেক দিনের বলেই জানা যায়। পুণ্য স্নান করার পরে নেপালি ভক্তরা অযোধ্যার রাম মন্দিরের দর্শনও করেছেন। এর পাশাপাশি বারাণসীতে বাবা বিশ্বনাথ ধামেও তাঁরা যাচ্ছেন বলে খবর।

    কী বলছেন জনৈক নেপালি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে এসেছিলেন এরকমই একজন ভক্ত, তাঁর নাম হচ্ছে রাম শিখদেল। ঘটনাক্রমে তিনি হলেন, নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্ট-এর সভাপতি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে জনকপুর থেকে আনা পবিত্র অক্ষত চাল বরে হনুমান মন্দিরে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গঙ্গা মৃত্তিকা এবং গঙ্গা জলের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নেপালিদের কাছে অনেক বেশি। একইসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ এর নেতৃত্বে হওয়া মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) ব্যাপক প্রশংসাও করেছেন তিনি। এখানে কোনও রকমের বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। নেপালের মাতা জানকি মন্দির নেপাল থেকে তাঁরা নতুন বস্ত্র, অলংকার, ফল, ধুতি, টাওয়েল ইত্যাদি এনেছিলেন। এইগুলি তাঁরা উপহার হিসেবে মহাকুম্ভে নিয়ে এসেছিলেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে তা বন্টনও করেছেন।

  • Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Mahakumbh) মেলাতে ভিড় জমিয়েছেন জমাচ্ছেন কোটি কোটি ভক্ত। কুম্ভকে (Kumbh Mela) স্বচ্ছ-পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগও নিতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে। জানা গিয়েছে, মেলা চত্বরে থাকা শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার করতে এক কোটি লিটারের পরিষ্কার করার তরল ব্যবহার করেছে যোগী প্রশাসন। একইসঙ্গে সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে বলে সূত্রের খবর।

    শৌচাগার পরিষ্কার করতে অক্সিডেশন পদ্ধতি (Mahakumbh)

    জানা গিয়েছে, এই কাজে এগিয়ে এসেছে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে তারা অক্সিডেশন টেকনোলজিকে ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) স্বচ্ছ করতে ব্যবহার করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ ব্লিচিং পাউডার, ৭৫ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল, ৪১ হাজার কেজির মেলাথিওন। ইতিমধ্যে মহাকুম্ভের মেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ রয়েছে এই মেলাকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে দল এবং তাঁরাই মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার কাজ করছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৫০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্যকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে

    সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে।

  • Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মমতার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগীর মতে, সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে অ্যাখ্যা দেন মমতা। এরপরই বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার প্রবল ঝড়। রাস্তায় নামে বিজেপি। এরপরেই গতকাল বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পাল্টা জবাব দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) অপমান তৃণমূলের

    মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন আলোচনা করছি, তখন কুম্ভে (Mahakumbh) ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। ভারতের আস্থা বা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করছেন, মিথ্যা ভিডিও দেখাচ্ছেন, তারা ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এই ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা যদি অপরাধ হয়, তবে সরকার এই অপরাধ করবে।’’

    মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘সরকার এঁদের পাশে রয়েছে। যথা সম্ভব সাহায্য করব আমরা। কিন্তু এটা নিয়ে কী রাজনীতি করা উচিত?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বিজেপি সরকারের সৌভাগ্য যে মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে, আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। আমরা নিজেদের দায়িত্ব জানি। গোটা দেশ ও বিশ্ব মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছে। এই সব মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না।’’

    ষড়যন্ত্র চলছে কুম্ভকে বদনাম করতে

    বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘এরা প্রথম দিন থেকেই কুম্ভের বিরোধিতা করছে। কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে। ওদের ভাষা সভ্য সমাজের ভাষা নয়। অনর্গল মিথ্যা প্রলাপ মানুষের আস্থার উপর আঘাত করছে। মানুষ ওদের অপপ্রচার মানছে না। কুম্ভের প্রচার করা অন্যায় নাকি!উত্তর প্রদেশ নিয়ে এখন মানুষের ধারণা বদলেছে। এরা আকবরের কেল্লার কথা জানে না। অক্ষয় বটের কথা জানত না। রেলের কাজ যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।’’

    সনাতন ধর্মের অপমান মমতার স্বভাব তোপ শিবরাজের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকুম্ভ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের অপমান করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতি আজকের নয়। হাজারো বছর ধরে গঙ্গার জলের মতো ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবাহিত হয়ে আসছে। যাঁরা সনাতন ধর্মের দিকে আঙুল তোলেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের লোকসান করছেন। মানুষের আস্থা-ভরসা-ভাবনার উপর আঘাত করা অপরাধ সমান।’’

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে (Mahakumbh) ভক্ত সংখ্যা ৫৩ কোটি ছাড়িয়েছে, সোমবারই একথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রসঙ্গত ১৩ জানুয়ারি যে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিদিনই কোটি কোটি মানুষ পবিত্র স্নান সারছেন গঙ্গা-যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে। পরিসংখ্যান বলছে, গত রবিবারই মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ১.৩৬ কোটি ভক্ত। শুধুমাত্র ভারত নয়, বিদেশ থেকেও বিপুলসংখ্যক ভক্তরা (Mahakumbh) আসছেন।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’

    মহাকুম্ভে স্নান সারছেন শিখরাও

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বড় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি সেরেছেন পবিত্র স্নান। মহাকুম্ভে শিখ সম্প্রদায় মানুষদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাঁরাও সেখানে হাজির হয়েছেন পুণ্য অর্জনের আশায়। প্রচুর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁরা পবিত্র স্নান সারছেন। গত ২৯ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই সময় মৌনী অমাবস্যায় কোটি কোটি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন প্রয়াগ্ররাজে। সেদিনই পবিত্র স্নান সারে দমদামি তাকশাল নামের একটি শিখ সংগঠনের প্রধান হরনাম সিং ধুমমা। এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শিখ সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা এবং উদাসীন ও নির্মল আখড়া কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছে।

  • Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    Mahakumbh 2025: পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাফিক জ্যাম, মহাকুম্ভে গাড়ির লাইন ছাড়িয়েছে ৩০০ কিমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সমুদ্রে ডুবে রয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) যাওয়ার পথ! জানা গিয়েছে, গাড়ির লাইন ছাড়িয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৩০০ কিলোমিটার। এই প্রবল যানজটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে রাস্তার ওপরেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন ভক্তরা। হেঁটেই মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপক যানজটকে নেটিজেনরা বিশ্বের বৃহত্তম যানজট বলে অভিহিতও করেছেন। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার মারফত জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ হয়ে যে রাস্তা মহাকুম্ভ মেলার দিকে যাচ্ছে, সেই রাস্তায়ই ২০০-৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন। অন্যদিকে রবিবারই পুলিশ বিভিন্ন জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, এর ফলে বহু মানুষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

    কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা (Mahakumbh 2025)

    প্রত্যক্ষদর্শীরা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেন, রেওয়া জেলার চকঘাটে কাটনি থেকে মধ্যপ্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। এই সময়ই সামনে এসেছে বিভিন্ন ভিডিও। ভিড়ের ভিডিও পোস্ট করে এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “জবলপুরের আগে ১৫ কিলোমিটার যানজট। প্রয়াগরাজ এখনও ৪০০ কিলোমিটার দূরে। মহাকুম্ভে আসার আগে দয়া করে যানজট পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে আসুন!” সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে এক্স-এ একজন পোস্ট করে লিখেছেন, “কুম্ভে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্র্যাফিক জ্যামে (১৫-২০ কিমি) আটকে গিয়েছি। প্রয়াগরাজ সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ।”

    যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ (Mahakumbh 2025)

    অনেকেই দাবি করছেন, যানবাহনের সারি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ। অর্থাৎ ৩০০ কিলোমিটারের যানজট (Mahakumbh 2025) পেরিয়ে তবেই পৌঁছানো যাচ্ছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। পুলিশকর্মীদেরই দাবি, ২০০-৩০০ কিলোমিটার যানজট (Traffic Jam) রয়েছে। আবার কারও দাবি, কোনও কোনও গাড়িকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে। মাত্র ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবু ভিড়ের কমতি নেই। লাখে লাখে ভক্ত হেঁটেই চলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে। অমৃতস্নান করার জন্য ছুটে আসছেন দেশ-বিদেশ থেকে অগুনতি ভক্ত। সেই কারণে তৈরি হয়েছে মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যাম, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

  • Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই জানানো হয়েছিল যে প্রথম ২৪ দিনেই মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। মাঘী পূর্ণিমার আগেই তা ৪০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ঠিক তেমনটাই হল। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমা। তার আগেই চল্লিশ কোটি ভক্ত স্নান সেরে ফেললেন মহাকুম্ভে, গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে (Triveni Sangam)। রিপোর্ট বলছে গতকাল অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭৮.৭৮ লক্ষ ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং এভাবেই ভক্ত সংখ্যা পার করল ৪০ কোটি। মহাকুম্ভের এখনও বাকি রয়েছে ১৮ দিন। মনে করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ৫০ কোটিরও বেশি ভক্ত সংখ্যা স্নান করবেন মহাকুম্ভে।

    মৌনী অমাবস্যায় হাজির ৮ কোটি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। কিন্তু প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভক্ত সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান, অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানে এর পরেও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যাতে সবথেকে বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন এবং সেই দিন পবিত্র স্নান সেরেছেন ৮ কোটি ভক্ত।

    বসন্ত পঞ্চমীতে স্নান ২.৫৭ কোটি ভক্তের (Mahakumbh 2025)

    অন্যদিকে মকর সংক্রান্তির দিনে হাজির হয়েছিলেন সাড়ে তিন কোটি ভক্ত এবং গত ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়েছিলেন ২ কোটি ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে হাজির হয়েছিলেন ২.৫৭ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভ যেন সব কিছুর মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে, বলিউড থেকে রাজনীতি। সবাই স্নান করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বলিউডের হেমা মালিনী, অনুপম খের, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাইনা নেহওয়াল, ক্রিকেটার সুরেশ রায়না- প্রত্যেকেই হাজির হয়েছেন কুম্ভে।

  • PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    PM Modi: ‘‘সনাতন ধর্মের প্রসারে আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী মোদি’’, মত মহাকুম্ভের সন্ন্যাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম প্রচার ও পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীতা মণিষী মহামণ্ডলেশ্বরের স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পবিত্র স্নান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে এই স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সনাতন ধর্মের প্রচার এবং পালন করছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ প্রয়াগরাজের পবিত্র কুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর স্নান (Modi Kumbh Holy Dip) ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর পবিত্র স্নানে (MahaKumbh Holy Dip) সনাতন ধর্ম ধর্মাবলম্বীরা গর্বিত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বার্তাও দিয়েছেন যে সনাতন ধর্মের প্রচারে এবং প্রসারে তিনি ঠিক কতটা আন্তরিক। পবিত্র স্নান করতে তিনি আলাদা কোনও সুযোগ নেননি। তাঁর এই পবিত্র স্নানে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে হয়ে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের।’’

    সনাতন ধর্মের সকল গুণ রয়েছে মোদির (PM Modi) মধ্যে

    স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ, এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আন্তরিকতা, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভক্তিরও প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সেই সমস্ত গুণগুলি আছে যেগুলি একজন সনাতনীর মধ্যে থাকা প্রয়োজন। স্বামী জ্ঞাননন্দজি মহারাজ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করতে হাজির হয়েছেন, অন্তরের গভীর ভক্তির সঙ্গে। সাধারণ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে তিনি স্নান করেছেন। এত বড় উচ্চপদে অধিষ্ট যিনি, তাঁর মধ্যেও সনাতন ধর্মের প্রতি এমন গভীর আস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে।’’

    দেশের প্রয়োজন মোদির (PM Modi) মতো নেতা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের এখন সত্যিই প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতা। যাঁর মধ্যে এমন মানবতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। তার সঙ্গে সঙ্গে যার মধ্যে থাকবে আধ্যাত্মিকতা এবং বিশেষত ভারতবর্ষের সনাতন ঐতিহ্য-পরম্পরার প্রতি আস্থা (Mahakumbh 2025)। এর পাশাপাশি জয়া বচ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যেরও উত্তর দিয়েছেন জ্ঞাননন্দজি মহারাজ। জয়া বচ্চন সম্প্রীতি মন্তব্য করেন যে কুম্ভে পদপৃষ্টের ঘটনায় বহু দেহকে গঙ্গা জলে ফেলে গায়েব করা হয়েছে। এ নিয়ে জ্ঞাননন্দজি মহারাজ বলেন, ‘‘পদপিষ্টের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সত্যিই গভীর দুঃখ পেয়েছি। যে সমস্ত ভক্তরা নিহত হয়েছেন তাঁদের জন্য। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’

  • Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    Mahakumbh 2025: “সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকলে ভারতও নিরাপদে থাকবে”, বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদে থাকে, তবে ভারতও নিরাপদে থাকবে।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এর আগে সনাতন ধর্মকে বটবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি (Mahakumbh 2025)। বলেছিলেন, “সারা বিশ্বে অসংখ্য সম্প্রদায় থাকতে পারে, তাঁদের উপাসনাবিধিও আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই। সেটা হল সনাতন ধর্ম। ভারতে নিষ্ঠা ও আস্থার দিক দিয়ে সকলেই সনাতন ধর্মের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে।”

    সুরক্ষিত ভারত (Mahakumbh 2025)

    তিনি এও বলেছিলেন, “মনে রাখবেন, ভারত যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আমরা সকলে সুরক্ষিত থাকব। দেশের ওপর কোনও সংকট এলে, তা সনাতন ধর্মের ওপর পড়বে। তা যদি হয়, তবে কোনও সম্প্রদায় নিজেদের সুরক্ষিত ভাববেন না। বিপদ সবার ওপর আসবে। ফলে সকলে একজোট হয়ে থাকুন।” এদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মহাকুম্ভের সেক্টর ৬-এ জগৎগুরু রামানন্দাচার্য স্বামী রাম ভদ্রাচার্যের শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কিছু লোক সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তবে কোনো মারীচ বা সুবাহু সনাতন ধর্মের এক বিন্দুও ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম লাখ লাখ সাধুদের দ্বারা সুরক্ষিত এবং একে শত্রুদের দ্বারা কখনওই টলানো সম্ভব নয়।”

    অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞ

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ১৫১ কুণ্ডি অখণ্ড ভারত সংকল্প মহাযজ্ঞে অংশ নেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৮ কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ সারা বিশ্বের ভক্তদের জন্য এক ডিভাইন অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। তাদের সামনে সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক মহিমার এক ঝলক তুলে ধরেছে।” যোগী বলেন, “এরা সেই একই মানুষ, যারা রাম জন্মভূমির বিরোধিতা করেছিল এবং কুম্ভ মেলার তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারা কোভিড-১৯ অতিমারির সময় পরীক্ষার, চিকিৎসার এবং টিকাকরণেরও বিরোধিতা করেছিল।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “যদি সনাতন ধর্ম নিরাপদ থাকে, তবে ভারত নিরাপদ থাকবে। যদি ভারত নিরাপদ থাকে, তবে মানবতাও নিরাপদ থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “এই অনুষ্ঠান (মহাকুম্ভ স্নান) মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই তিনটি অমৃতস্নান হয়েছে। সকল আখড়া ও ধর্মীয় নেতারা ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান (Mahakumbh 2025) করেছেন।”

LinkedIn
Share