Tag: Mahakumbh

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। ইতিমধ্যেই সেখানে রচিত হয়েছে ইতিহাসও। পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে ৬০ কোটি মানুষ নিজেদের পুণ্যস্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেই প্রয়াগরাজেই এবার বাঙালিরা তুলছেন জয় শ্রী রাম ধ্বনি (Jai Shri Ram)। যা বর্তমান সময়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমবঙ্গ (Mahakumbh) থেকে আগত ভক্তরা দলে দলে প্রয়াগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছেন এবং মহা কুম্ভের বিভিন্ন সেক্টর পরিদর্শন করছেন- এই দৃশ্যই ধরা পড়ল। একইসঙ্গে হর হর গঙ্গে, ব্যোম বাম ভোলে ধ্বনিও উঠছে সেখানে।

    মমতার মন্তব্য মানতে পারেনি হিন্দু সমাজের বড় অংশ (Mahakumbh)

    কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের তীর্থযাত্রীদের মহাকুম্ভে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার পিছনে কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) মৃত্যুকুম্ভ বলে তোপ দেগেছেন। এতেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের বড় অংশ অসন্তুষ্ট বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার বাঙালিরা কুম্ভে গিয়ে ধ্বনি তুললেন জয় শ্রী রাম। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল রবিবার আসানসোল থেকেই দু হাজারেরও বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন ৪০টি বাসে করে পবিত্র প্রয়াগরাজে। কুম্ভ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় উন্মাদনা নজরে পড়ছে। এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সমাজমাধ্যমে কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন।’’

  • Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    Mahakumbh: ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ অমৃত স্নান, জোরকদমে প্রস্তুতি যোগী সরকারের, বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির দিন। যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার মহা শিবরাত্রির স্নানের জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Yogi Adityanath) নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং এবং পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার মহাকুম্ভ (Mahakumbh) নগর পরিদর্শন করেছেন। সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। অন্যদিকে, এই শেষ পুণ্যস্নানে যেন ভক্তদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে তাকিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতীয় রেলও।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের ডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা করছি যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। ট্রাফিক কন্ট্রোল কিভাবে করা হবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা হবে এবং তীর্থযাত্রীরা সহজেই কীভাবে পুণ্যস্নান করতে পারবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া চলছে। আমরা মনে করি, আমাদের এই চেষ্টায় ভক্তদের কোনও রকমের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না।’’

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের দিকেও কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব না ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) যা শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন সনাতন ধর্মের।’’

    বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল

    কুম্ভের শেষ পুন্যস্নান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করছে ভারতীয় রেলও। পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করল রেল। বিশেষ করে জংশনগুলিতে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উত্তর রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। প্রয়াগরাজ, বারাণসী, দীনদয়াল উপাধ্যায়-সহ একাধিক স্টেশনে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল।

  • Ganga: পৃথিবীর একমাত্র স্বচ্ছ নদী গঙ্গা, ৫০ গুণ দ্রুত দূষণ মুক্ত করে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ

    Ganga: পৃথিবীর একমাত্র স্বচ্ছ নদী গঙ্গা, ৫০ গুণ দ্রুত দূষণ মুক্ত করে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে গঙ্গা (Ganga) হল পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র নদী। যেখানে ১,১০০ ধরনের ব্যাকটেরিওফেজ স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার দূষণকে দূর করে। ওই রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, যে ওই ব্যাকটেরিওফেজগুলি তাদের যা সংখ্যা তার চেয়ে ৫০ গুণ বেশি জীবাণু দূর করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ওই জীবাণুগুলির আরএনএকে পরিবর্তন করেও জলকে বিশুদ্ধ করে ওই ব্যাকটেরিওফেজগুলি। এনিয়েই গবেষণা চালিয়েছেন পদ্মশ্রী প্রাপক ডক্টর অজয় সোনকারয তিনি মহা কুম্ভের গঙ্গাজল সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। শীর্ষস্থানীয় এই বিজ্ঞানী সেখানেই দেখিয়েছেন যে এই ব্যাকটেরিওফেজগুলি কীভাবে সদা গঙ্গা নদীর প্রহরায় নিযুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত ক্যান্সার, জেনেটিক কোড, কোষ- এই সমস্ত কিছু নিয়ে গবেষণা করেন ডঃ সোনকার।

    বিজ্ঞানীর আরও দাবি (Ganga)

    দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী পদ্মশ্রী ড. অজয়কুমার সোনকার (Ajay Sonkar)। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই তাঁর পরিচয়। এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ল্যাবরেটরিতে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন কেবল স্নানের (Ganga) উপযুক্তই নয়, এই জল একেবারেই খাঁটি। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, কুম্ভের জল আলকালাইন ওয়াটারের মতোই শুদ্ধ। জলের ph লেভেল ৮.৪-৮.৬. যা বিশুদ্ধতার সূচক। তাঁর দাবি, জলে জীবাণুর পরিমাণ বেশি হলে জলের এসিডিটি বেড়ে যায়। Ph লেভেল কমে যায়। কিন্তু কুম্ভের জলের ক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ

    আর নিজের এই দাবির সপক্ষে একেবারে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছেন ড. সোনকার। তাঁর দাবি, কারও মনে যদি এই নিয়ে সামান্যতম সন্দেহও থাকে তাহলে তিনি যেন তাঁর কাছে গঙ্গাজল নিয়ে হাজির হন। তিনি পরীক্ষা করে দেখিয়ে দেবেন জল (Ganga) কতটা বিশুদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি পৃথক ঘাট থেকে তিনি গঙ্গাজল সংগ্রহ করেছেন। যার মধ্যে সঙ্গম, আরেইলের জলও রয়েছে। আর সেই জল নিয়ে তিনমাস ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, গঙ্গা জল (Ganga) সবচেয়ে বিশুদ্ধ। এতে স্নান করলে স্বাস্থ্যের কোনও ঝুঁকি নেই। এমনটাই দাবি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর।

  • Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মনে করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যাবে ৬০ কোটি। এই আবহে আরও এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। মহাকুম্ভে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এদেশের মহিলারা। যাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। একটি সমীক্ষা বলছে ,মহাকুম্ভে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই হলেন মহিলা। সমীক্ষাটি চালিয়েছে গোবিন্দ বল্লভ সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট।

    মহিলারা নিজেরাই দল করে স্নান করতে আসছেন (Mahakumbh)

    এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন টিম প্রয়াগের (Women Devotees) স্নানের ঘাটগুলিতে প্রথম দিন থেকেই দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেক জায়গাতে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেছেন কত সংখ্যক মানুষ এসেছেন। তখনই তাঁরা জানতে পেরেছেন যে যাঁরা এসেছেন তাদের ৪০ শতাংশ হলেন মহিলা এবং এঁদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এটি একটি বড় সামাজিক পরিবর্তন (Mahakumbh) বলে মনে করা হচ্ছে। আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক মহিলাদের দল কুম্ভে হাজির হয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই আত্মনির্ভর হয়ে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেছেন। কোনও রকমের পরিবারের পুরষ সদস্য তাঁদের সঙ্গে আসেননি।

    কী জানালেন গবেষক দলের সদস্য

    রিসার্চ যাঁরা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অর্চনা সিং। তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে সারাদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিক্ষার হার বেড়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বেড়েছে মহিলাদের। তাই স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের সামাজিক নিয়মগুলিতে (Mahakumbh) পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতে মহিলারা সাধারণত ঘরের যে কোনও আচার অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু তাঁরা এখন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন মহাকুম্ভের মতো বড় এই অনুষ্ঠানগুলিতে।

    মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে।

  • Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে সম্পন্ন হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ এখন প্রয়াগরাজমুখী। মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত ছুঁয়ে যাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আবহে অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির দর্শনে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের ঢল। ভোর থেকে রাত লম্বা লাইন। সারা দেশ থেকেই ভক্তরা হাজির হচ্ছেন রামলালার (Ramlala) দর্শনে। লাইন শুরু হচ্ছে সকাল পাঁচটা থেকে এবং তা চলছে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেই প্রচুর ভক্ত আসছেন রামলালার দর্শনে। প্রতিদিন লাখেরও বেশি ভক্তের পা পড়ছে অযোধ্যার (Ayodhya) মাটিতে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    ভক্তদের ভিড়ে উন্নত হয়েছে অর্থনীতিও

    এই আবহে ভক্তদের ভিড়কে (Ayodhya) নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে রাম মন্দির চত্বরজুড়ে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ সালে যেখানে অযোধ্যাতে ভক্ত সংখ্যা ছিল ২.৩৫ লক্ষ সেখানে ২০২৪ সালে অযোধ্যায় ভক্ত সংখ্যা হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ কোটি এবং এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হয়েছে ব্যাপকভাবে।

    কী বললেন অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার?

    চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রচুর ভক্ত অযোধ্যায় আসছেন। ২৪ ঘণ্টাই আমাদেরকে ডিউটি করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টও করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ভক্ত একই উদ্দেশ্যে আসছেন। তাঁরা রামলালাকে দর্শন করতে চান। এখানে যে গাড়িগুলি ঢুকছে সেজন্য পার্কিংয়েরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রাফিকের জন্য অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। অযোধ্যার ছটি জায়গাতে আমরা কেন্দ্র তৈরি করেছি। যেখানে নিখোঁজ দর্শনার্থীদের সন্ধানের জন্য সাহায্য করা হবে।’’ অযোধ্যার (Ayodhya) আরেক পুলিশ কর্তা, মধুবন কুমার সিং জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে চলেছে মহাকুম্ভে। ভক্তরা কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান সেরে রামলালা (Ramlala) দর্শন করতে আসছেন। একই সঙ্গে তাঁরা হনুমানজীর মন্দিরও দর্শন করছেন ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন চলছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবারই মহাকুম্ভে স্নান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরে ফের একবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা (Mamata Banerjee) যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।’’ নিজের সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘১৪৪ বছর পরে মাহেন্দ্রক্ষণে আসা এই পূর্ণ মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সুবিশাল। মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার এক মহামিলন হল এই মহাকুম্ভ, যা জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক চেতনার দ্বারকে উন্মুক্ত করে দেয়।’’ শুক্রবার পুণ্যস্নান করে শুভেন্দু এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘মা গঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাব কারণ তাঁর আশীর্বাদেই আমি মহাকুম্ভে আসতে পারলাম। এরপর নিজের জীবদ্দশায় আর কোনও দিন মহাকুম্ভ চোখে দেখতে পারব না। এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’’

    প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘আমি যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, উত্তর প্রদেশের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ জি ও উত্তর প্রদেশের প্রশাসনকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সুন্দর, সু’ব্যবস্থার জন্য। মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন এই পবিত্র মহাকুম্ভের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’’ সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কুম্ভের জল অতিরিক্ত দূষিত। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন, সেই জল শুধু স্নান নয়, খাওয়ারও যোগ্য। শুভেন্দুকেও সেই জল পান করতে দেখা যায়।

    রাজ্যপালের মন্তব্যও উল্লেখ করেন শুভেন্দু

    রাজ্যপালের মন্তব্যের রেশ টেনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল নিজে বলেছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটা আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা। আর উনি বলছেন মৃত্যুকম্ভ। তাই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। সনাতন সমাজ যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিবাদ চলবে।’’

    ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন মমতার মন্তব্যে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মহাকুম্ভকে ‘অমৃতকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেন। বলেন, ‘‘এটা অমৃতকুম্ভ। মুখ্যমন্ত্রীর দলের কতজন গিয়েছেন। কিছুজন ছবি ছেড়েছেন, কিছুজন ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, তাঁরা পাড়া-প্রতিবেশী সকলে গিয়ে কুম্ভতে স্নান করে এসেছেন।’’ এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে মন্তব্য করেছেন তাতে ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন। ভারতের ইতিহাস, শাস্ত্র, সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন তিনি।’’

    মমতার মন্তব্য ক্ষমাহীন (Mamata Banerjee)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘মমতা যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমাহীন অপরাধ। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে নানা আলোচনা হচ্ছে, তাও পাত্তা দেননি শুভেন্দু। বরং তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ৬০ কোটি হিন্দু স্নান করেছেন, আরও ৫ কোটি ওখানে রয়েছে। অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে প্রয়াগরাজে।’’ শুক্রবার কুম্ভে পুণ্যস্নান সেরে সেদিনই কলকাতায় ফিরেছেন শুভেন্দু।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভে হাজির ৫০ লাখেরও বেশি নেপালি ভক্ত, তীর্থযাত্রীদের মুখে যোগীর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মতোই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) নিয়ে বিপুল উন্মাদনা তৈরি হয়েছে নেপালেও। প্রসঙ্গত, নেপাল হল মাতা সীতার জন্মভূমি। রিপোর্ট বলছে ৫০ লাখেরও বেশি ভক্ত নেপাল থেকে পুণ্য স্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হওয়া পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে। নেপালি ভক্তদের এমন অংশগ্রহণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে নেপালেও। এমনটাই বলছেন অনেকে।

    নেপালের ভক্তরা হাজির অক্ষত চাল নিয়ে (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে ভক্তদের মধ্যে অনেকে (Prayagraj) এসেছেন অক্ষত চাল নিয়ে। সেগুলি নিয়ে তাঁরা হাজির হচ্ছেন বড়ে হনুমানজির সামনে। একই সময়ে তাঁরা এখান থেকে গঙ্গাজল নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। এর পাশাপাশি ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র মাটি নেপালে নিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা (Mahakumbh 2025)। নেপালি ভক্তদের সঙ্গে বড়ে হনুমান মন্দিরের এবং অক্ষত চালের সম্পর্ক অনেক দিনের বলেই জানা যায়। পুণ্য স্নান করার পরে নেপালি ভক্তরা অযোধ্যার রাম মন্দিরের দর্শনও করেছেন। এর পাশাপাশি বারাণসীতে বাবা বিশ্বনাথ ধামেও তাঁরা যাচ্ছেন বলে খবর।

    কী বলছেন জনৈক নেপালি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    নেপাল থেকে এসেছিলেন এরকমই একজন ভক্ত, তাঁর নাম হচ্ছে রাম শিখদেল। ঘটনাক্রমে তিনি হলেন, নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্ট-এর সভাপতি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে জনকপুর থেকে আনা পবিত্র অক্ষত চাল বরে হনুমান মন্দিরে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গঙ্গা মৃত্তিকা এবং গঙ্গা জলের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নেপালিদের কাছে অনেক বেশি। একইসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ এর নেতৃত্বে হওয়া মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) ব্যাপক প্রশংসাও করেছেন তিনি। এখানে কোনও রকমের বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। নেপালের মাতা জানকি মন্দির নেপাল থেকে তাঁরা নতুন বস্ত্র, অলংকার, ফল, ধুতি, টাওয়েল ইত্যাদি এনেছিলেন। এইগুলি তাঁরা উপহার হিসেবে মহাকুম্ভে নিয়ে এসেছিলেন এবং বিভিন্ন জনের কাছে তা বন্টনও করেছেন।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে মহাকীর্তি! ৬০ কোটি ভক্তের ডুব, সঙ্গে ৩ লাখ কোটির ব্যবসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) পৃথিবী জুড়ে একটি বড় ইভেন্ট হিসেবে প্রচুর মানুষের সমাগমই হতে চলেছে তা নয়, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনৈতিক ইভেন্টগুলির মধ্যেও অন্যতম হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে মহাকুম্ভে স্থাপিত হতে চলেছে মহাকীর্তি। অনুমান করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬০ কোটিরও বেশি ভক্ত পুণ্যস্নান সারবেন।

    ৬০ কোটির ডুব, ৩ লাখ কোটির ব্যবসার

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের অন্যতম কর্তা তথা চাঁদনী চকের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম মানব সমাবেশ হতে চলল এই মহাকুম্ভ। একইসঙ্গে এর অর্থনৈতিক দিকটির কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। প্রবীণ জানিয়েছেন, মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগে তাঁরা অনুমান করেছিলেন যে প্রয়াগরাজে ৪০ কোটি ভক্তের আগমন ঘটবে এবং প্রায় দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন হতে পারে। কিন্তু মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার পর থেকে যেভাবে ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করে, তারপরে সমস্ত হিসাব নিকাশ বদলে যায়। এখন আর চল্লিশ কোটি ভক্ত নয়। এখন মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন মহাকুম্ভে। একইসঙ্গে দু লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা ঠেকতে পারে তিন লক্ষ কোটি টাকাতে। প্রসঙ্গত, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। সেই সময়ের মধ্যে আশা করা হচ্ছে যে ৬০ কোটি মানুষ মহাকুম্ভের পুণ্য স্নানে অংশগ্রহণ করবেন। এর ফলেই তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে ৫৩ কোটিরও বেশি ভক্ত মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভক্ত হিসেবে আসছেন।

    কোন কোন ব্যবসা বাড়ল (Maha Kumbh 2025)

    মহাকুম্ভকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশে অর্থনীতিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ছোটখাটো ব্যবসা ব্যাপক বেড়েছে। ক্যালেন্ডার, পাটের ব্যাগ, স্টেশনারি রাখার মতো বাক্স, ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হয়- এই সমস্ত পণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক প্রভাবকে তুলে ধরে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) এর মহাসচিব আরও বলেন,যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক ব্যবসা বড়েছে, সেগুলি হল-

    -আতিথেয়তা এবং আবাসন

    -খাদ্য ও পানীয় ক্ষেত্র

    -পরিবহন ও সরবরাহ

    -ধর্মীয় পোশাক, পূজা সমাগম এবং হস্তশিল্প

    -বস্ত্র, পোশাক এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্য

    -স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্থতা পরিষেবা

    -ধর্মীয় নৈবেদ্য এবং অন্যান্য পণ্য

    -মিডিয়া, বিজ্ঞাপন এবং বিনোদন

    -অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা

    -টেলিকম, মোবাইল, এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম

    ১৫০ কিলোমিটার আশেপাশে অর্থনীতির উন্নতি

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) আরও জানিয়েছে যে উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়েছে। মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) অর্থনৈতিক এমন সুবিধা শুধুমাত্র যে প্রয়াগরাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে, এমনটা নয় এই অর্থনৈতিক বিকাশ ১৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে। এর মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি শহর এবং জনপদেও ব্যবসা বেড়েছে যা স্থানীয় অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করেছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে পর্যটনও বেড়েছে। অযোধ্যা বারাণসী সমেত উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে বেড়েছে ভক্তদের ভিড়।

    অন্যান্য তীর্থস্থানেও ভিড়

    কারণ ভক্তরা যখন প্রয়াগরাজে আসছেন তখনই তাঁরা মনস্থির করছেন যে একইসঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ ধাম ও অযোধ্যার রাম মন্দিরও তাঁরা দর্শন করবেন। নিকটবর্তী আশেপাশে অঞ্চলে যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান আছে, সেগুলিতে তাঁরা যাবেন। এর ফলেই বাড়ছে ধর্মীয় পর্যটক (Maha Kumbh 2025)। এই অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ব্যাপক হচ্ছে। এই শিল্প সংস্থার কর্তা আরও জানিয়েছেন মহাকুম্ভ একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় সমাবেশে পরিণত হয়েছে এবং একটি প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমন এর অর্থনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বেড়েছে প্রচুর মানুষের। সমৃদ্ধ হয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় ব্যবসা।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিধানসভায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যে প্রবল নিন্দার ঝড় শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদ জানান সাধু-সন্তরাও। এবার এরই প্রতিবাদে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে মৃত্যুকুম্ভ শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন গেরুয়া ব্রিগেডের বিধায়করা। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘সনাতন ধর্ম যতদিন থাকবে ততদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি থাকবে।’’ একইসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটাই আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা।

    মন্তব্যের পরেও কোনও অনুশোচনা নেই, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠলেও এখনও নির্বিকার রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাপক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় এই ধরনের শব্দ রেকর্ডে থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। কোনও অনুশোচনা নেই। রাজ্যপাল স্পিকারকে বলুন এক্সপাঞ্জ করতে। আমরা চাই না রেকর্ডে থাকুক। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলায় এই শব্দ রেকর্ডে থাকুক আমরা চাই না।’’

    মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগ

    একইসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে মুসলিমদের নিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল নিজে বলেছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটা আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা। আর উনি বলছেন মৃত্যুকম্ভ। তাই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। সনাতন সমাজ যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিবাদ চলবে। আমরা আমাদের ধর্মের সঙ্গে তঞ্চকতা বিগত দিনে করিনি। আমরা রেড রোডে অন্য ধর্মের প্রার্থনায় চলে যান। সেখানে বিরক্ত হন লোকেরা। কিন্তু আপনি চলে যান ভোটের জন্য। আপনার মতলব সবাই জানে।’’

    হিন্দু ভোটে জিতেছে বিজেপি!

    এদিন সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার স্পষ্ট ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান যে বিজেপি জিতেছে হিন্দুদের ভোটে, জনজাতিদের ভোটে। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমাকে ইঙ্গিত করে অনেক কথা বলেছিলেন। নতুন হিন্দু নেতা বলেছিলেন। আমি হিন্দু ধর্মীয় নেতা নই। হিন্দু নেতা শঙ্করাচার্যরা। আখড়ার যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। আমাদের রাজ্যে যেমন কার্তিক মহারাজরা রয়েছেন। এরা ধর্মীয় নেতা। আধ্যাত্মিক চেতনা জাগ্রত করছেন। শুভেন্দুর সাফ দাবি, মুসলিমদের ভোটে জেতেনি বিজেপি। জয় এসেছিল সনতনীদের ভোট, জনজাতিদের ভোটে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণ

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও টেনে আনেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আপনি কতটা সাম্প্রদায়িক সেটা আমি নন্দীগ্রামে দেখেছি। তখন আমি নন্দীগ্রামে তাঁদের ভোট নিয়ে আপনাকে হারিয়েছি। তাই যাঁদের ভোট নিয়ে জিতেছি তাঁদের ধর্মীয় আঘাত, তাঁদের শাস্ত্রে যদি সরকার, সরকারি দল দেয় প্রতিবাদ আমরা করব। আমি তো বারেবারে বলেছি আমরা বিজেপির বিধায়করা মুসলিমদের ভোটে কেউ জিতিনি। হিন্দুদের ভোটে জিতেছি। জনজাতিরাও আমাদের ভোট দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা দায়বদ্ধ সনাতনী এবং জনজাতিদের কাছে। এটা নিয়ে সাজাসাজির বিষয় নেই।’’

    হিন্দুদের কাছে মমতা কোয়েশ্চেন মার্ক, দাবি শুভেন্দুর

    রাজ্যের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু-বিরোধী বলে তোপ দাগেন বিজেপি বিধায়করা। এই আবহে বিধানসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেনিয়েই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় দীর্ঘ ভাষণ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘এক ঘণ্টা বাইশ মিনিট ধরে যা খুশি বলে গেলেন। আমি ব্যানার্জি, আমি ব্রাহ্মণ, খুব ভালো লাগছে দেখে! আসলে হিন্দুদের কাছে আপনি কোয়েশ্চেন মার্ক হয়ে গিয়েছেন। তাই আপনাকে বলতে হচ্ছে আমি হিন্দু। তাই বলতে হচ্ছে আমি ব্যানার্জি পরিবার। বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে আমি শিবঠাকুরের দিকে মাথা করে ঘুমাই। খুব ভালো লাগছে। আপনি লাইনে এসে গিয়েছেন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বলেছিলেন?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ আমি নাই বা বললাম ৷ ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে ৷ মৃত্যুকূপের মতো ৷’’ এর পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় হিন্দু সমাজের একাংশে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন সাধু-সন্ত ও বিজেপি নেতারা। জেলায়-জেলায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলল গেরুয়া শিবির।

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

LinkedIn
Share