Tag: Maharashtra Political Crisis

Maharashtra Political Crisis

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চাপে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)! বৃহস্পতিবার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি দিলেন শিবসেনার (Shiv Sena) ৩৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। আসামের (Assam) গুয়াহাটির শিবির থেকে এই বিধায়করা মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালের কাছে লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে একনাথ শিন্ডেকেই বিধানসভায় তাঁদের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এর আগে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার অজয় চৌধুরীকে বিদ্রোহী মন্ত্রী শিন্ডের বদলে বিধানসভায় তাদের দলের নেতা হিসেবে অনুমোদন দেয় শিবসেনা। পরে শিন্ডে ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে একটি চিঠি দেন যাতে স্বাক্ষর রয়েছে বিদ্রোহী ৩৭ জন বিধায়কেরই। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই বিধায়করা আমার সঙ্গে গুয়াহাটিতে রয়েছেন। সুনীল প্রভুর বদলে শিবসেনা বিধায়ক ভারত গোগাওয়ালেকে বিধানসভায় দলের চিফ হুইপ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্রোহীদের চিঠিতে।

    এদিকে, বিধায়ক দলের বুধবারের বৈঠকে শিন্ডে সহ ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ডিস্কোয়ালিফিকেশন দাবি করে শিবসেনা। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে তারাও। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিন্ডে ট্যুইটারে লেখেন, ডিস্কোয়ালিফিকেশনের জন্যে ১২ জন বিধায়কের নাম দিয়ে আপনি আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমরা শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের অনুগামী। আমরা আইন জানি। তাই আমরা আপনার হুমকিতে কর্ণপাত করি না।

    আরও পড়ুন : দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    বিদ্রোহ দমন করতে আপাতত সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, আমার দল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট এমভিএ ত্যাগ করার কথা ভাবতে রাজি। তিনি বলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের মহারাষ্ট্রে ফিরে আসা উচিত। অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা করাও প্রয়োজন। শিবসেনা সাংসদ বলেন, যদি বিধায়করা মনে করেন যে জোট সরকার থেকে শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তাহলে মুম্বইতে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা বলা উচিত।

    প্রসঙ্গত, নরম হিন্দুত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে তিনি বর্তমানে রয়েছে বিজেপি শাসিত আসামের গুয়াহাটিতে। বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। দলবিরোধী আইন রুখতে প্রয়োজন ৩৭ জনের সমর্থন। এই ৩৭জনই বিদ্রোহী শিবিরে। শিন্ডের পেছনে যে বিজেপির সমর্থন রয়েছে, এদিন নাম না করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দল আমাদের পাশে রয়েছে। তারা আমাদের সব রকম সাহায্য করতে রাজি।

     

  • Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    Maharashtra Political Crisis: সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনার (Shivsena) দখল নিতে সক্রিয় একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনি। বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) তাঁর সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। গুয়াহাটিতে থাকা শিন্ডে-সহ ৩৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ বলে দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshiyari) এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। 

    মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব এদিন রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে পৈতৃক ভিটে ‘মাতোশ্রী’তে চলে গিয়েছেন। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) বলেন, ‘‘উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। তিনি ইস্তফা দেবেন না। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন।’’ যদিও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য উদ্ধবকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বলে শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অঘড়ি’র (Maha Vikas Aghadi)) একটি সূত্র জানিয়েছে। শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেস (Congress) এই জোটের শরিক।

    আরও পড়ুন: সঙ্কট আরও ঘনীভূত, বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    কয়েক দিন ধরেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে জেরবার উদ্ধবের সামনে মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস এবং এনসিপি। কিন্তু জোটে নারাজ একনাথ জানিয়ে দেন, শিবসেনাকে টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে দুই শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা জরুরি। 

    একনাথ টুইটারে লেখেন, “গত আড়াই বছরের জোট সরকারে লাভবান হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি। যেখানে অন্যান্য দল শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে সেনা শুধুমাত্র দুর্বল হয়েছে। যা দেখে শিব সৈনিকরা অবাক হয়েছেন।” তিনি আরও লেখেন, “দল এবং শিব সৈনিকদের বেঁচে থাকার জন্য অস্বাভাবিক জোট থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। মহারাষ্ট্রের স্বার্থে এখনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।”

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে লেখা চিঠিতে শিন্ডেকেই ‘শিবসেনা পরিষদীয় দলের নেতা’ পদে বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কেরা। শিন্ডে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দল আর দলের কর্মীদের বাঁচাতে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে অস্বাভাবিক জোট ছেড়ে বেরোনো শিবসেনার জন্য অপরিহার্য ছিল।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় এত দিন পর্যন্ত বিধানসভায় শিবসেনার দলনেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন শিন্ডে।

    প্রসঙ্গত, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Assembly) শিবসেনার বিধায়ক ৫৫। যাঁদের মধ্যে ৩৬ জনই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁরা যদি ইস্তফা দেন, তা হলে শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসতে পারে ১৯-য়। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে আরও অন্তত ৭ নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে জোট সরকার। যা মোটেই কাম্য নয় সরকারের আর দুই শরিক এনসিপি এবং কংগ্রেসের।

  • Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thackrey)। শিবসেনার (Shibsena) মুখপাত্র প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) জানান, মহা বিকাশ আগাড়ি অর্থাত্‍ শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট (Alliance) ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বিধায়কদের মুম্বই (Mumbai) ফিরে আসতে হবে।

    মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রধান দাবিই হল, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে উদ্ধবকে। তাঁরা চান উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ফিরুক পুরনো জোটে। অর্থাত্‍ বিজেপির সমর্থনে সরকার চালান উদ্ধব। সম্পর্ক ছিন্ন করুন কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে। তবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে তাঁর ভরসা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তার পরেই সমঝোতার প্রশ্ন।

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানান, একনাথকে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মুম্বই ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জোট ছাড়তে উদ্ধব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কিন্তু গুয়াহাটি (Guwahati) বসে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে মুম্বই এসে করতে হবে, বলে দাবি উদ্ধবের।

    তবে এর পাল্টা হিসেবে শিন্ডে জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে  সমস্ত ধরনের সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিন্ডে বলেন, “৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। কে বলছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গাড়ি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়। সবার মতামত চাওয়া হবে তারপর আমরা এগোব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, সবার সিদ্ধান্ত।”

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    শিবসেনার জোট ছাড়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি দায়ী। তারা পিছন থেকে এই কাজ করাচ্ছে। এভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করাবে বিজেপি।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন,”শিবসেনার তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও কথা এখনও জানানো হয়নি। তারা সরকারিভাবে কিছু জানালে তবেই ভাবনা-চিন্তা করা হবে।” এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন,”যে কোনও দল নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জোট ছাড়লে শিবসেনা তা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে জানাত। এখনও সেরকম কোনও খবর নেই।”

  • Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীর ছেড়ে তাপী নদীর ধার। সেখান থেকে সটান ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়করা! পশ্চিমের বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujrat) ছেড়ে কেনই বা তাঁরা উড়ে গেলেন উত্তর-পূর্বের আসামে (Assam)?  বিশেষত রাজ্যটি যখন বন্যা কবলিত। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে কেন দলবল নিয়ে হাজির হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানকার এক রাজকীয় হোটেলে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার অন্য বিধায়করা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। বুধবার সকালে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা পৌঁছানোর আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় পূর্ব নির্ধারিত হোটেলে। প্রশ্ন হল, কেন গুজরাট ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিলেন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা? বিশেষ করে, দুটি রাজ্য যখন দেশের দুপ্রান্তে অবস্থিত?

    আরও পড়ুন : সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাটের দূরত্ব আসামের চেয়ে ঢের কম। তাই বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুজরাটে ছিলেন, তখন শিবসেনার তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। এই বিদ্রোহীদের টোপ দিয়ে দলের মূল স্রোতে ফেরাতে পারলেই শিন্ডের বিদ্রোহে জল ঢালা হয়ে যেত। তা এড়াতেই মধ্যরাতের বিমানে গুজরাট ছাড়েন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। 

    দ্বিতীয়ত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দক্ষ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। তাই তাঁর ওপরই ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমন্তের চালে শিবসেনা-বিরোধীদের মাত দেওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন পদ্ম নেতারা। সেই কারণেই হিমন্তের রাজ্যের হোটেলে ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। কড়া নিরাপত্তার বলয় ভেঙে যে হোটেলে ঢুকতে পারবে না কাকপক্ষীও। 

    সর্বোপরি, রয়েছে হিমন্তের ওপর বিজেপির অশেষ আস্থা। কংগ্রেস ভেঙে আসা হিমন্ত আসামের একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয় এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং নির্বাচনেও বিরোধীদের দুরমুশ করে দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন উত্তর-পূর্বের এই নেতা। তাই মধ্যরাতের বিমানে হিমন্তের ডেরায় পাঠানো হয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

  • Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    Maharashtra Crisis: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডে (Shinde) বিদ্রোহ ঘোষণা করে গুজরাট (Gujarat) চলে যাওয়ার দিনই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা (Shivsena) সূত্রে খবর, দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান উদ্ধব। তবে দু’বারই উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে আটকান এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। 

    গত ২১ জুন একনাথ শিন্ডে-সহ ২১ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করে সুরাট (Surat) চলে যান। সে দিনই ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান। কারণ, উদ্ধব নাকি বুঝেছিলেন ২১ নয়, শিন্ডের হাত ধরে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু সে দিন উদ্ধবকে আটকেছিলেন মহাবিকাশ আগাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের ‘প্রবীণ’ নেতা পাওয়ার। পরের দিন আবারও ইস্তফা দিতে চান উদ্ধব। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন এ বিষয়ে। তখনই পাওয়ার ঠাকরেকে পরামর্শ দেন, এ ভাবে সরে না গিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। উদ্ধবের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পাওয়ারের কথাতেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বালাসাহেব-পুত্র।

    আরও পড়ুন: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উদ্ধব সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের পর্যটন মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) সোমবার দাবি করেন যে, একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহী শিবিরে থাকা বিধায়কদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদেরকে গুয়াহাটি (Guwahati) থেকে মুম্বইতে ফিরিয়ে আনার জন্য দলকে অনুরোধও করেছেন তাঁরা। 

    ঠাকরের দাবি, ওই বিধায়কদের বন্দির মতো হোটেলে রাখা হয়েছে। তাঁরা ফিরে আসতে চান। কিন্তু তাঁদের উপর জোর করা হচ্ছে। তাঁরা গোপনে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানানো হয়েছে। মুম্বইয়ের (Mumbai) উপকণ্ঠে কারজাতে শিবসেনা কর্মীদের ঠাকরে বলেছেন প্রতিটি শিব সৈনিক বর্তমান পরিস্থিতিকে সমস্যা নয়, একটি সুযোগ হিসাবে দেখছে।

    নয়জন মন্ত্রী সহ বেশিরভাগ শিবসেনা বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। একনাথ শিন্ডে মোট ৫৫ জনের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ঠাকরে বলেন যে কিছু নেতাকে বিশ্বাস করা হয়েছিল এই ধরনের মানুষকে সংগঠনে ক্রমাগত পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যা ঠিক নয়। 

  • Maharastra crisis: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    Maharastra crisis: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujarat) ছেড়ে এবার আর এক পদ্ম-শাসিত রাজ্য আসামে (Assam) পৌঁছলেন শিবসেনার (Shivsena) বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার মধ্যরাতের বিমানে সঙ্গী বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটি উড়ে যান তিনি। একনাথের দাবি, তাঁর সঙ্গে শিবসেনার আরও চল্লিশ জন বিধায়কের পাশাপাশি ছ’জন নির্দলেরও সমর্থন রয়েছে। ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেও, তিনি যে আপাতত শিবসেনা ছাড়ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই নেতা।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে সংকটে উদ্ধব-সরকার! নিখোঁজ মন্ত্রী সহ ২৭ বিধায়ক

    একনাথের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দ্বন্দ্বের মূল কারণ কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে জোট বাঁধার জেরে নরম হিন্দুত্বের পথ নেয় শিবসেনা। যা না-পসন্দ একনাথের।  উদ্ধবের বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার পরিকল্পনা করায় গ্রেফতার করা হয় বিজেপি সাংসদ নবনীত রাণা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রাণাকে। তার পরেই উদ্ধব ও একনাথের পথ আলাদা হয়ে যায় বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর দু’দশকের বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে শিবসেনা জোট বাঁধে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে। মহা বিকাশ অঘোরি (Maha Vikas Aghari) জোট নামের এই জোটই আপাতত সরকার চালাচ্ছে। শিবসেনারই দুই নেতার বিদ্রোহের নেপথ্যে রয়েছে এই কারণটিও। 

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একনাথের দাবি, এনসিপি ও কংগ্রেস সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালাতে হবে। এদিন গুয়াহাটিতে একনাথ ও সঙ্গী বিধায়কদের স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সুশান্ত বরগোহাঁই ও পল্লব লোচন দাস। গুয়াহাটি পৌঁছে একনাথ বলেন, আমরা বালা সাহেব ঠাকরের (Balasaheb Thackeray) আদর্শ থেকে সরে আসছি না, শিবসেনাও ছাড়ছি না। আমরা বালাসাহেবের আদর্শকেই এগিয়ে নিয়ে যাব।

    আসামে যাওয়ার আগে সুরাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘আত্মগোপন’ করেছিলেন একনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানেই ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় বিদ্রোহী এই শিবসেনা নেতার। তার পরেই শিন্ডে ও তাঁর সঙ্গী বিধায়কদের আসামে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন : কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    একনাথ যখন আসামে, তখন ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে তৎপর শিবসেনার অন্য একটি অংশও। তাঁরাও বাকি বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রেখেছেন মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে। ইতিমধ্যেই একনাথকে দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা নেতৃত্ব।

    মহারাষ্ট্রের এই জোট সরকারে শিবসেনার হাতে রয়েছে ৫৫ জন বিধায়ক। পাওয়ারের (Sharad Pawar) দলের হাতে রয়েছেন ৫৩ জন। আর কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ৪৪। অন্যদিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভায় আপাতত বিধায়কের সংখ্যা ২৮৫। এনসিপি এবং কংগ্রেস বিষয়টি শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করলেও, তারা যে জোট সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই দলই। তবে এনসিপি যে কোনওভাবেই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাওয়ার। তাই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি যে ক্রমেই জটিল হচ্ছে, তা জলের মতো পরিষ্কার।

     

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ও ওই দলেরই নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) আনা বিভিন্ন মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ওই বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে ১ অগাস্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে ১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেল শিন্ডে ও উদ্ধব দুই শিবিরই। এই সময়সীমার মধ্যে দু’পক্ষের কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

    শিবসেনা কার? উদ্ধব ঠাকরে না একনাথ শিন্ডের, এনিয়ে মোট ছটি আবেদন জমা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে। আর একটি মাত্র আবেদন করা হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের তরফে। এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের পক্ষে সওয়াল করতে হাজির হন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। আর শিন্ডে শিবিরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে সিবাল বলেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্র ঘোর বিপদে। ওই রাজ্যে যা ঘটছে তাতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তামাশায় পরিণত হয়েছে। পাল্টা সওয়াল জবাবে সালভে বলেন, এই তর্ক এখানে একেবারেই যথাযথ নয়, যেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তাঁরই দলের সদস্যরা।  

    দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ১ অগাস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে যাবতীয় নথি এবং জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে বিধায়কদের অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না বলেন, আমার মনে হয়, বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য একে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো উচিত।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে দলেরেই নেতা উদ্ধব ঠাকরের। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব সরকারের। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দু’পক্ষই।

     

  • Maharashtra Political Crisis: যুদ্ধ চলছে! বিধায়কদের পর কাউন্সিলর, উদ্ধবের হাতছাড়া ঠাণে পুরসভা

    Maharashtra Political Crisis: যুদ্ধ চলছে! বিধায়কদের পর কাউন্সিলর, উদ্ধবের হাতছাড়া ঠাণে পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ অব্যাহত মহারাষ্ট্রে! শিন্ডে-সেনা (Shiv Sena)ও উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) শিব সেনার (Shiv Sena) লড়াই চলছেই। মহারাষ্ট্র সরকারের পর এ বার ঠাণে পুরসভার দখল হাতছাড়া হল উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার ওই পুরসভার ৬৭ জন শিবসেনা কাউন্সিলরের ( মহারাষ্ট্রে যাঁদের কর্পোরেটর বলা হয়) ৬৬ জনই যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিবিরে। শিন্ডেদের দাবি,দ্রুত মুম্বই-সহ বিভিন্ন পুরসভার আরও কিছু শিবসেনা কর্পোরেটর তাঁদের সঙ্গী হতে চলেছেন। 

    উল্লেখ্য,সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের আগে এক সময়ে ঠাণে শহরেই অটো চালিয়েছেন শিন্ডে। থাকতেন শহরে টালির চালের একটি ছোট্ট ঘরে। এই এলাকা থেকেই অটোচালক থেকে নেতা হিসেবে উত্থান হয়েছিল একনাথের। আশির দশকে আনন্দ দীঘের হাত ধরে বাল সাহেব ঠাকরের দলে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই প্রথমবার ভোটে জিতে কাউন্সিলরও হন তিনি। পরবর্তীকালে এলাকার চারবারের বিধায়ক শিন্ডে। ফলে ওই শহরে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত। ঠাণে পুরসভার দখল নিয়ে এবার রাজ্য রাজনীতির নীচের তলাতেও ছড়ি ঘোরানোর কাজ শুরু করে দিলেন একনাথ। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে এবার ‘অটো-মার্সিডিজ’ লড়াই! উদ্ধব-শিন্ডে বাকযুদ্ধে সরগরম শিবাজির দেশ

    প্রসঙ্গত, শিন্ডে-সেনার বিরোধিতায় গত ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন উদ্ধব ঠাকরে। এর একদিন পরেই ৪০ জন বিক্ষুব্ধ শিব সেনা বিধায়কের সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Maharashtra) হন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Debendra Farnabish)। এখন শুধুই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব। তাঁর দলে প্রতিদিনই চলছে ভাঙনের পালা। বুধবারই শিবসেনার সংসদীয় দলে ভাঙনের আঁচ পেয়েছিলেন উদ্ধব। তাই তড়িঘড়ি শিন্ডে শিবিরের ঘনিষ্ঠ ভাবনা গওলীকে সরিয়ে লোকসভার চিফ হুইপ হিসেবে মনোনীত করেন রাজন বিচারেকে। ঠাণের সাংসদ রাজন শিন্ডে-বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। এরপরই শিবসেনার হাতছাড়া হল ঠাণে পুরসভা। শিবসেনার দখলে থাকা পুরসভাগুলির মধ্যে ঠাণে ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। বৃহন্মুম্বই পুরসভার পরেই। ঠাণের ঘটনাতেই পরিষ্কার বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর সবক্ষেত্রেই নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন শিব সেনা প্রধান।

LinkedIn
Share