Tag: Maharasthra Crisis

Maharasthra Crisis

  • Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে প্রকৃত শিবসেনা (Shiv Sena), তা নিয়ে লড়াই অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharasthra)। প্রকৃত শিবসেনা কে, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হাতে না যায়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধর ঠাকরে খাতায় কলমে শিবসেনার নেতা। তবে দলের মধ্যে বিদ্রোহ করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বর্তমানে তিনিই নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেছেন। তাঁর অনুগতদের দাবি, শিন্ডে শিবিরই আসল শিবসেনা। বিধানসভার সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদদেরও বেশিরভাগের সমর্থন একনাথের দিকে রয়েছে বলেও দাবি শিন্ডে শিবিরের। স্বীকৃতির জন্য শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। এর পরেই কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    এ সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছে যায় উদ্ধব ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরের কাছে। চিঠি পেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। তাঁদের যুক্তি, দলীয় বিধায়কদের একাংশকে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। এভাবে দলবিরোধী কাজ করেছেন তিনি। শিন্ডে নিজেকে নেতা ঘোষণার আগেই শিবসেনার কয়েকজন বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। সেই শাস্তিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনলে শিন্ডে আর নিজেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা বলতে পারেন না। উদ্ধব অনুগামী তথা শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন হওয়ায় কেউই নিজেকে আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে পারবেন না।  

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    এদিকে, বিধানসভার স্পিকারকে শিন্ডে শিবির জানিয়েছে, উদ্ধবের অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার করে দিতে। ১১ জুলাই শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত উদ্ধব শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন না নেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের দাবি, উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার হতেই হবে। কারণ আস্থাভোটের সময় দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার তরফে পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। একটি আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে শিন্ডে শিবিরের তরফে। আর পাঁচটি উদ্ধব শিবিরের তরফে।

     

  • Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    Maharasthra Crisis: বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে নিজে!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিকাশ আঘাড়ি (MVA) জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর খোদ শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে। একথা জানালেন শিবসেনা সাংসদ রাহুল শেওয়ালে (Rahul Shewale)। তাঁর দাবি, এমভিএ জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গেই জোট করার পক্ষপাতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপিকে নিয়ে গড়া মহাবিকাশ আঘাড়ির জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে চেয়েছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তাঁর। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে উড়ে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে চলে যান বিজেপি শাসিত অসমে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। পতন হয় উদ্ধব ঠাকরের সরকারের।

    রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    রাহুল শেওয়ালেও বর্তমানে শিন্ডে শিবিরের সৈনিক। এদিনই লোকসভায় রাহুলকে দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটান রাহুল। শিবসেনার এই বিদ্রোহী শিবিরের নেতার দাবি, আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট হয়নি কারণ শিবসেনার বেশ কিছু সদস্য এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই ঠাকরেও আর সাহসী হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

    তবে শিবসেনার সাংসদদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বলেও দাবি রাহুলের। তাঁর দাবি, ২০২১ সালে এবিষয়ে ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। রাহুলের দাবি, শিবসেনা সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠকে ঠাকরে স্বয়ং জানিয়েছিলেন, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন তিনি।

    রাহুল জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপির সঙ্গেই জোট গড়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন ঠাকরে। তাঁর দাবি, এর পরেই ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মনে হয়েছিল, ঠাকরে একদিকে তাঁদের সঙ্গে জোট চাইছেন, আবার অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর পর আর সেনার তরফে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে বিজেপিও মুখ ফিরিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রাহুলের।

    আরও পড়ুন : শিবসেনায় ভাঙন ঠেকাতেই দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন উদ্ধব ঠাকরের, বলছে সমীক্ষা

     

LinkedIn
Share