Tag: Mahendranath Gupta

  • Ramakrishna 266: “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না”

    Ramakrishna 266: “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    “হরিলীলা সব যোগমায়ার (Ramakrishna) সাহায্যে!

    “গোপীদের ভালবাসা—পরকীয়া রতি। কৃষ্ণের জন্য গোপীদের প্রেমোন্মাদ হয়েছিল। নিজের সোয়ামীর জন্য অত হয় না। যদি কেউ বলে, ওরে তোর সোয়ামী এসেছে! তা বলে, ‘এসেছে, তা আসুকগে,—ওই খাবে এখন! কিন্তু যদি পর পুরুষের কথা শুনে,— রসিক, সুন্দর, রসপণ্ডিত,— ছুটে দেখতে যাবে,— আর আড়াল থেকে উঁকি মেরে—দেখবে (Kathamrita)।

    “যদি খোঁচ ধর যে, তাঁকে দেখি নাই, তাঁর উপর কেমন করে গোপীদের মতো টান হবে? তা শুনলেও সে টান হয় —

    “না জেনে নাম শুনে কানে মন গিয়ে তায় লিপ্ত হলো।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা, বস্ত্রহরণের মানে কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—অষ্টপাশ,—গোপীদের সব পাশই গিয়েছিল, কেবল লজ্জা বাকী ছিল। তাই তিনি ও পাশটাও ঘুচিয়ে দিলেন। ঈশ্বরলাভ হলে সব পাশ চলে যায়।

    যোগভ্রষ্টের ভোগান্তে ঈশ্বরলাভ

    (মহেন্দ্র মুখুজ্জে প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—“ঈশ্বরের উপর টান সকলের হয় না, আধার বিশেষ হয়। সংস্কার থাকলে হয়। তা না হলে বাগবাজারে এত লোক ছিল কেবল তোমরাই এখানে এলে কেন? আদাড়েগুলোর হয় না।

    “মলয় পর্বতের হাওয়া লাগলে সব গাছ চন্দন হয়; কেবল শিমূল, অশ্বত্থ, বট আর কয়েকটা গাছ চন্দন হয় না।

    “তোমাদের টাকা-কড়ির অভাব নাই। যোগভ্রষ্ট হলে ভাগ্যবানের ঘরে জন্ম হয়,—তারপর আবার ঈশ্বরের (Kathamrita) জন্য সাধনা করে।”

    মহেন্দ্র মুখুজ্জে—কেন যোগভ্রষ্ট হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—পূর্বজন্মে ঈশ্বরচিন্তা করতে করতে হয়তো হঠাৎ ভোগ করবার লালসা হয়েছে। এরূপ হলে যোগভ্রষ্ট হয়। আর পরজন্মে ওইরূপ জন্ম হয়।

    মহেন্দ্র — তারপর, উপায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কামনা থাকতে—ভোগ লালসা থাকতে—মুক্তি নাই। তাই খাওয়া-পরা, রমণ-ফমন সব করে নেবে। (সহাস্যে) তুমি কি বল? স্বদারায় না পরদারায়? (মাস্টার, মুখুজ্জে, এঁরা হাসিতেছেন)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    Ramakrishna 267: “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত — ঠাকুরের নানা সাধ

    পূর্বকথা—প্রথম কলিকাতায় নাথের বাগানে—গঙ্গাস্নান 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভোগ লালসা থাকা ভাল নয়। আমি তাই জন্য যা যা মনে উঠতো আমনি করে নিতাম।

    “বড়বাজারের রঙকরা সন্দেশ দেখে খেতে ইচ্ছা হল। এরা আনিয়া দিলে। খুব খেলুম,— তারপর অসুখ।

    “ছেলেবেলা গঙ্গা নাইবার সময় (Kathamrita), তখন নাথের বাগানে, একটি ছেলের কোমরে সোনার গোট দেখেছিলাম। এই অবস্থার পর সেই গোট পরতে সাধ হল। তা বেশিক্ষণ রাখবার জো নাই,— গোট পরে ভিতর দিয়ে সিড়সিড় করে উপরে বায়ু উঠতে লাগল — সোনা গায়ে ঠেকেছে কি না? একটু রেখেই খুলে ফেলতে হল। তা না হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে।

    “ধনেখালির খইচুর, খানাকুল কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তাও খেতে সাধ হয়েছিল।” (সকলের হাস্য)

    পূর্বকথা—শম্ভুর ও রাজনারায়ণের চন্ডী শ্রবণ—ঠাকুরের সাধুসেবা

    “শম্ভুর চন্ডীর গান (Ramakrishna) শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল! সে গান শোনার পর আবার রাজনারায়ণের চন্ডী শুনতে ইচ্ছা হয়েছিল। তাও শোনা হল।

    “অনেক সাধুরা সে সময়ে আসত। তা সাধ হল, তাদের সেবার জন্য আলাদা একটি ভাঁড়ার হয়। সেজোবাবু তাই করে দিলে। সেই ভাঁড়ার থেকে সাধুদের সিদে কাঠ, এ-সব দেওয়া হত।

    “একবার মনে উঠল যে খুব ভাল জরির সাজ পরব। আর রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাব। সেজোবাবু নূতন সাজ, গুড়গুড়ি, সব পাঠিয়ে দিলে। সাজ পরা হল। গুড়গুড়ি নানারকম করে টানতে লাগলুম। একবার এপাশ থেকে, একবার ওপাশ থেকে,—উঁচু থেকে নিচু থেকে। তখন বললাম, মন এর নাম রূপার গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া! এই বলে গুড়গুড়ি ত্যাগ হয়ে গেল। সাজগুলো খানিক পরে খুলে ফেললাম,—পা দিয়ে মাড়াতে লাগলাম—আর তার উপর থু থু করতে লাগলাম—বললাম (Kathamrita), এর নাম সাজ! এই সাজে রজোগুণ হয়!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    Ramakrishna 265: “ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব, খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    “কাপ্তেনের পরিবার—তার আবার আলাদা ঠাকুর (Ramakrishna), গোপাল। এবার তত কৃপণ দেখলাম না। সেও গীতা-টীতা জানে। ওদের কি ভক্তি!—আমি যেখানে খাব সেইখানেই আঁচাব। খড়কে কাঠিটি পর্যন্ত।

    “পাঁঠার চচ্চড়ি করে,— কাপ্তেন বলে পনর দিন থাকে,— কিন্তু কাপ্তেনের পরিবার বললে (Kathamrita)— ‘নাহি নাহি, সাত রোজ’। কিন্তু  বেশ লাগল। ব্যঞ্জন সব একটু একটু। আমি বেশ খাই বলে, আজকাল আমায় বেশি দেয়।

    “তারপর খাবার পর, হয় কাপ্তেন, নয় তার পরিবার বাতাস করবে।”

    Jung Bahadur-এর ছেলেদের কাপ্তেনের সঙ্গে আগমন ১৮৭৫-৭৬— নেপালী ব্রহ্মচারিণীর
    গীতগোবিন্দ গান—“আমি ঈশ্বরের দাসী”

    “ওদের কিন্তু ভারী ভক্তি,—সাধুদের বড় সম্মান। পশ্চিমে লোকেদের সাধুভক্তি বেশি। জাঙ্‌-বাহাদুরের ছেলেরা আর ভাইপো কর্ণেল এখানে এসেছিল। যখন এলো পেন্টুলুণ খুলে যেন কত ভয়ে।

    “কাপ্তেনের সঙ্গে একটি ওদের দেশের মেয়ে এসেছিল। ভারী ভক্ত,— বিবাহ হয় নাই। গীতগোবিন্দ গান কণ্ঠস্থ। তার গান শুনতে দ্বারিকবাবুরা এসে বসেছিল। আমি বললাম, এরা শুনতে চাচ্ছে, লোক ভাল। যখন গীতগোবিন্দ গান গাইলে তখন দ্বারিকবাবু রুমালে চক্ষের জল পুছতে লাগল। বিয়ে কর নাই কেন, জিজ্ঞাসা করাতে বলে, ‘ঈশ্বরের দাসী, আবার কার দাসী হব?’ আর সব্বাই তাকে দেবী বলে (Kathamrita) খুব মানে—যেমন পুঁথিতে (শাস্ত্রে) আছে।

    (মহেন্দ্রাদির প্রতি)—“আপনারা যে আসছো, তাতে কিছু কি উপকার হচ্ছে? শুনলে মনটা বড় ভাল থাকে। (মাস্টারের প্রতি) এখানে লোক আসে কেন? তেমন লেখাপড়া জানি না —”

    মাস্টার (Ramakrishna)—আজ্ঞা, কৃষ্ণ যখন নিজে সব রাখাল গরুটরু হলেন (ব্রহ্মা হরণ করবার পর) তখন রাখালদের মা’রা নূতন রাখালদের পেয়ে যশোদার বাড়িতে আর আসেন না। গাভীরাও হাম্বা রবে ওই নূতন বাছুরদের পিছে পিছে গিয়ে পড়তে লাগল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—তাতে কি হলো?

    মাস্টার—ঈশ্বর নিজেই সব হয়েছেন কি না, তাই এত আকর্ষণ (Kathamrita)। ঈশ্বর বস্তু থাকলেই মন টানে।

    কৃষ্ণলীলার ব্যাখ্যা—গোপীপ্রেম—বস্ত্রহরণের মানে

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এ যোগমায়ার আকর্ষণ—ভেলকি লাগিয়ে দেয়। রাধিকা সুবোল বেশে বাছুর কোলে—জটিলার ভয়ে যাচ্ছে; যখন যোগমায়ার শরণাগত হলো তখন জটিলা আবার আশীর্বাদ করে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    Ramakrishna 264: “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মহেন্দ্র, রাখাল, রাধিকা গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    মহেন্দ্রাদির প্রতি উপদেশ—কাপ্তেনের ভক্তি ও পিতামাতার সেবা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-কালীমন্দিরে সেই পূর্বপরিচিত ঘরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। শরৎকাল। শুক্রবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪; ৪ঠা আশ্বিন, ১২৯১; বেলা দুইটা। আজ ভাদ্র অমাবস্যা। মহালয়া। শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁহার ভ্রাতা শ্রীযুক্ত প্রিয় মুখোপাধ্যায়, মাস্টার, বাবুরাম, হরিশ, কিশোরী, লাটু, মেঝেতে কেহ বসিয়া কেহ দাঁড়াইয়া আছেন,—কেহ বা ঘরে যাতায়াত করিতেছেন। শ্রীযুক্ত হাজরা বারান্দায় বসিয়া আছেন। রাখাল বলরামের সহিত বৃন্দাবনে আছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna মহেন্দ্রাদি ভক্তদের প্রতি)—কলিকাতায় কাপ্তেনের বাড়িতে গিছলাম। ফিরে আসতে অনেক রাত হয়েছিল।

    “কাপ্তেনের কি স্বভাব! কি ভক্তি! ছোট কাপড়খানি পরে আরতি করে। একবার তিন বাতিওয়ালা প্রদীপে আরতি করে,—তারপর আবার এক বাতিওলা প্রদীপে। আবার কর্পূরের আরতি।

    “সে সময়ে কথা হয় না। আমায় ইশারা করে আসনে বসতে বললে (Kathamrita)।

    “পূজা করবার সময় চোখের ভাব—ঠিক যেন বোলতা কামড়েছে!

    “এদিকে গান গাইতে পারে না। কিন্তু সুন্দর স্তব পাঠ করে।

    “তার মার কাছে নিচে বসে। মা—আসনের উপর বসবে।

    “বাপ ইংরাজের হাওয়ালদার। যুদ্ধক্ষেত্রে একহাতে বন্দুক আর-এক হাতে শিবপূজা করে। খানসামা শিব গড়ে গড়ে দিচ্ছে। শিবপূজা না করে জল খাবে না। ছয় হাজার টাকা মাহিনা বছরে।

    “মাকে কাশীতে মাঝে মাঝে পাঠায়। সেখানে বার-তেরো জন মার সেবায় থাকে। অনেক খরচা। বেদান্ত, গীতা, ভাগবত—কাপ্তেনের কণ্ঠস্থ (Ramakrishna)!

    “সে বলে, কলিকাতার বাবুরা ম্লেচ্ছাচার (Kathamrita)।

    “আগে হঠযোগ করেছিল—তাই আমার সমাধি কি ভাবাবস্থা হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 263: “ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন, নারায়ণ! নারায়ণ!—এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন”

    Ramakrishna 263: “ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন, নারায়ণ! নারায়ণ!—এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই সেপ্টেম্বর

    শ্রীযুক্ত রাখালের জন্য চিন্তা—যদু মল্লিক—ভোলানাথের এজাহার

    গান সমাপ্ত হইলে মুখুজ্জেরা গাত্রোত্থান করিলেন। ঠাকুরও সঙ্গে সঙ্গে উঠিলেন। কিন্তু ভাবাবিষ্ট। ঘরের বারান্দায় আসিয়া একেবারে সমাধিস্থ হইয়া দণ্ডায়মান। বারান্দায় অনেকগুলি আলো জ্বলিতেছে। বাগানের দ্বারবান ভক্ত লোক। ঠাকুরকে মাঝে মাঝে নিমন্ত্রণ করিয়া সেবা করান। ঠাকুর সমাধিস্থ হইয়া দাঁড়াইয়া আছেন। দ্বারবানটি আসিয়া ঠাকুরকে পাখার হাওয়া করিতেছেন; বড় হাত পাখা।

    বাগানের সরকার শ্রীযুক্ত রতন আসিয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন। নারায়ণ! নারায়ণ! — এই নাম উচ্চারণ করিয়া তাহাদের সম্ভাষণ করিলেন।

    ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে ঠাকুরবাড়ির সদর ফটকের কাছে আসিয়াছেন। ইতিমধ্যে মুখুজ্জেরা ফটকের কাছে অপেক্ষা করিতেছেন।

    অধর ঠাকুরকে খুঁজিতেছিলেন।

    মুখুজ্জে (সহাস্যে)—মহেন্দ্রবাবু পালিয়ে এসেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে, মুখুজ্জের প্রতি)—এর সঙ্গে তোমরা সর্বদা দেখা করো, আর কথাবার্তা কয়ো।

    প্রিয় মুখুজ্জে (সহাস্যে)—ইনি এখন আমাদের মাস্টারি করবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গাঁজাখোরের স্বভাব গাঁজাখোর দেখলে আনন্দ করে। আমির এলে কথা কয় না। কিন্তু যদি একজন লক্ষ্মীছাড়া গাঁজাখোর আসে, তবে হয়তো কোলাকুলি করবে। (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর উদ্যান-পথ দিয়া পশ্চিমাস্য হইয়া নিজের ঘরের অভিমুখে আসিতেছেন। পথে বলিতেছেন—“যদু খুব হিঁদু। ভাগবত থেকে অনেক কথা বলে।”

    মণি কালীমন্দিরে আসিয়া প্রণামাদি করিয়া চরণামৃতপান করিতেছেন। ঠাকুর আসিয়া উপস্থিত-মাকে দর্শন করিবেন।

    রাত প্রায় নয়টা হইল। মুখুজ্জেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন। অধর ও মাস্টার মেঝেতে বসিয়া আছেন। ঠাকুর অধরের সহিত শ্রীযুক্ত রাখালের কথা কহিতেছেন।

    রাখাল বৃন্দাবনে আছেন—বলরামের সঙ্গে। পত্রে সংবাদ আসিয়াছিল তাঁহার অসুখ হইয়াছে। দুই-তিনদিন হইল ঠাকুর রাখালের অসুখ শুনিয়া এত চিন্তিত হইয়াছিলেন যে, মধ্যাহ্নের সেবায় সময় ‘কি হবে!’ বলিয়া (Kathamrita) হাজরার কাছে বালকের ন্যায় কেঁদেছিলেন। অধর রাখালকে রেজিস্টারি করিয়া চিঠি লিখিয়াছিলেন, কিন্তু এ পর্যন্ত চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পান নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—নারাণ চিঠি পেলে আর তুমি চিঠির জবাব পেলে না?

    অধর—আজ্ঞা, এখনও পাই নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আর মাস্টারকে লিখেছে।

    ঠাকুরের চৈতন্যলীলা দেখিতে যাইবার কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে, ভক্তদের প্রতি)—যদু বলছিল, এক টাকার জায়গা হতে বেশ দেখা যায়—সস্তা।

    “একবার আমাদের পেনেটী নিয়ে যাবার কথা হয়েছিল—যদু আমাদের চলতি নৌকায় চড়তে বলেছিল (Kathamrita)। (সকলের হাস্য)

    “আগে ঈশ্বরের কথা একটু একটু শুনত। একটি ভক্ত ওর কাছে যাতায়াত করত—এখন আর তাকে দেখতে পাই না। কতকগুলি মোসাহেব ওর কাছে সর্বদা থাকে—তারাই আরও গোল করেছে।

    “ভারী হিসাবী—জেতে মাত্রই বলে কত ভাড়া—আমি বলি তোমার আর শুনে কাজ নেই। তুমি আড়াই টাকা দিয়ো—তাইতে চুপ করে থাকে আড়াই টাকাই দেয়।” (সকলের হাস্য)

    ঠাকুরবাড়ির দক্ষিণপ্রান্তে পাইখানা প্রস্তুত হইয়াছে। তাই লইয়া যদু মল্লিকের সহিত বিবাদ চলিতেছে। পাইখানার পাশে যদুর বাগান।

    বাগানের মুহুরী শ্রীযুক্ত ভোলানাথ বিচারপতির কাছে এজাহার দিয়াছেন। এজাহার দেওয়ার পর হইতে তাঁহার বড় ভয় হইয়াছে। তিনি ঠাকুরকে জানাইয়াছিলেন। ঠাকুর বলিয়াছেন—অধর ডেপুটি ম্যাহিস্ট্রেট, সে আসিলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করো। শ্রীযুক্ত রাম চক্রবর্তী ভোলানাথকে সঙ্গে করিয়া ঠাকুরের কাছে আনিয়াছেন ও সমস্ত বলিতেছেন (Kathamrita)—‘এর এজাহার দিয়ে ভয় হয়েছে’ ইত্যাদি।

    ঠাকুর চিন্তিতপ্রায় হইয়া উঠিয়া বসিলেন ও অধরকে সব কথা বলিতে বলিলেন। অধর সমস্ত শুনিয়া বলিতেছেন—ও কিছুই না, একটু কষ্ট হবে। ঠাকুরের যেন গুরুতর চিন্তা দূর হইল।

    রাত হইয়াছে। অধর বিদায় গ্রহণ করিবেন, প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—নারাণকে এনো।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 262: “নাচে সংকীর্তনে শ্রীবাস-অঙ্গনে ভক্তগণসঙ্গে, গৌর আপনার পায় আপনি ধরে, যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর”

    Ramakrishna 262: “নাচে সংকীর্তনে শ্রীবাস-অঙ্গনে ভক্তগণসঙ্গে, গৌর আপনার পায় আপনি ধরে, যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই সেপ্টেম্বর

    নরেন্দ্রের ভক্তি—যদু মল্লিকের বাগানে ভক্তসঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গের ভাব

    চৈতন্যলীলা ও অধরের কর্মের কথা যদু মল্লিকের সঙ্গে 

    ঠাকুর (Ramakrishna) যদু মল্লিকের বৈঠকখানায় আসিয়াছেন (Kathamrita)। সুসজ্জিত বৈঠকখানা। ঘর বারান্দায় দ্যালগিরি জ্বলিতেছে। শ্রীযুক্ত যদুলাল ছোট ছোট ছেলেদের লইয়া আনন্দে দু-একটি বন্ধুসঙ্গে বসিয়া আছেন। খানসামারা কেহ অপেক্ষা করিতেছে, কেহ হাতপাখা লইয়া পাখা করিতেছে। যদু হাসিতে হাসিতে বসিয়া বসিয়া ঠাকুরকে সম্ভাষণ করিলেন ও অনেকদিনের পরিচিতের ন্যায় ব্যবহার করিতে লাগিলেন।

    যদু গৌরাঙ্গভক্ত। তিনি স্টার থিয়েটারে চৈতন্যলীলা দেখিয়া আসিয়াছেন। ঠাকুরের কাছে গল্প করিতেছেন। বলিলেন, চৈতন্যলীলা নূতন অভিনয় হইতেছে। বড় চমৎকার হইয়াছে।

    ঠাকুর আনন্দের সহিত চৈতন্যলীলা-কথা শুনিতেছেন। মাঝে মাঝে যদুর একটি ছোট ছেলের হাত লইয়া খেলা করিতেছেন। মাস্টার ও মুখুজ্জে-ভ্রাতারা তাঁহার কাছে বসিয়া আছেন।

    শ্রীযুক্ত অধর সেন কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস-চেয়ারম্যান-এর কর্মের জন্যে চেষ্টা করিয়াছিলেন। সে কর্মের মাহিনা হাজার টাকা। অধর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট—তিনশ টাকা মাইনে পান। অধরের বয়স ত্রিশ বৎসর।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna যদুর প্রতি)—কই অধরের কর্ম হল না?

    যদু ও তাঁহার বন্ধুরা বলিলেন(Kathamrita), অধরের কর্মের বয়স যায় নাই।

    কিয়ৎক্ষণ পরে যদু বলিতেছেন—“তুমি একটু তাঁর নাম করো।”

    ঠাকুর গৌরাঙ্গের ভাব গানের ছলে বলিতেছেন (Kathamrita):

    গান   —   আমার গৌর নাচে।
    নাচে সংকীর্তনে, শ্রীবাস-অঙ্গনে, ভক্তগণসঙ্গে ॥

    গান   —   আমার গৌর রতন।

    গান   —   গৌর চাহে বৃন্দাবনপানে, আর ধারা বহে দুনয়নে।
    (ভাব হবে বইকি রে) (ভাবনিধি শ্রীগৌরাঙ্গের)
    (ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়) (বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে)
    (সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে) (গৌর আপনার পায় আপনি ধরে)
    (যার অন্তঃ কৃষ্ণ বহিঃ গৌর)

    গান   —   আমার অঙ্গ কেন গৌর (Ramakrishna), (ও গৌর হল রে!)

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 261: “চিতাভস্ম মেখে অঙ্গে, জামাই বেড়ায় মহারঙ্গে, তুই নাকি মা তারই সঙ্গে..”

    Ramakrishna 261: “চিতাভস্ম মেখে অঙ্গে, জামাই বেড়ায় মহারঙ্গে, তুই নাকি মা তারই সঙ্গে..”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই সেপ্টেম্বর

    নরেন্দ্রের ভক্তি—যদু মল্লিকের বাগানে ভক্তসঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গের ভাব

    অপরাহ্ন হইয়াছে। বেলা ৫টা হইবে। ঠাকুর গাত্রোত্থান করিলেন। ভক্তেরা বাগানে বেড়াইতেছেন। অনেকে শীঘ্র বিদায় লইবেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) উত্তরের বারান্দায় হাজরার সহিত কথা কহিতেছেন। নরেন্দ্র আজকাল গুহদের বড়ছেলে অন্নদার কাছে প্রায় যান।

    হাজরা—গুহদের ছেলে অন্নদা, শুনলাম বেশ কঠোর করছে। সামান্য সামান্য কিছু খেয়ে থাকে। চারদিন অন্তর অন্ন খায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বল (Kathamrita) কি? ‘কে জানে কোন্‌ ভেক্‌সে নারায়ণ মিল্‌ যায়।’

    হাজরা—নরেন্দ্র আগমনী গাইলে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্যস্ত হইয়া)—কিরকম?

    কিশোরী কাছে দাঁড়াইয়া। ঠাকুর বলছেন, তুই ভাল আছিস?

    ঠাকুর (Ramakrishna) পশ্চিমের গোল বারান্দায়। শরৎকাল। গেরুয়া রঙে ছোপানো একটি ফ্লানেলের জামা পরিতেছেন ও নরেন্দ্রকে বলছেন, “তুই আগমনী গেয়েছিস?” গোল বারান্দা হইতে নামিয়া নরেন্দ্রের সঙ্গে গঙ্গার পোস্তার উপর আসিলেন। সঙ্গে মাস্টার। নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন:

    কেমন করে পরের ঘরে, ছিলি উমা বল মা তাই।
    কত লোকে কত বলে, শুনে প্রাণে মরে যাই ॥
    চিতাভস্ম মেখে অঙ্গে, জামাই বেড়ায় মহারঙ্গে।
    তুই নাকি মা তারই সঙ্গে, সোনার অঙ্গে মাখিস ছাই ॥
    কেমন মা ধৈর্য ধরে, জামাই নাকি ভিক্ষা করে।
    এবার নিতে এলে পরে, বলব উমা ঘরে নাই ॥

    ঠাকুর দাঁড়াইয়া শুনিতেছেন (Kathamrita)। শুনিতে শুনিতে ভাবাবিষ্ট।

    এখনও একটু বেলা আছে। সূর্যদেব পশ্চিম গগনে দেখা যাইতেছেন। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট। তাঁহার একদিকে উত্তরবাহিনী গঙ্গা—কিয়ৎক্ষণ হইল জোয়ার আসিয়াছে। পশ্চাতে পুষ্পোদ্যান। ডানদিকে নবত ও পঞ্চবটী দেখা যাইতেছে। কাছে নরেন্দ্র দাঁড়াইয়া গান গাহিতেছেন।

    সন্ধ্যা হইল। নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তেরা প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিয়াছেন। ঘরে ঠাকুর আসিয়াছেন ও জগন্মাতার নাম ও চিন্তা করিতেছেন।

    শ্রীযুক্ত যদু মল্লিক পার্শ্বের বাগানে আজ আসিয়াছেন। বাগানে আসিলে প্রায় ঠাকুরকে লোক পাঠাইয়া লইয়া যান—আজ লোক পাঠাইয়াছেন—ঠাকুরের যাইতে হইবে। শ্রীযুক্ত অধর সেন কলিকাতা হইতে আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    ভক্তসঙ্গে শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাগানে—শ্রীগৌরাঙ্গ ভাব 

    ঠাকুর (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাগানে যাইবেন। লাটুকে বলিতেছেন, লণ্ঠটা জ্বাল্‌, একবার চল্‌।

    ঠাকুর লাটুর সঙ্গে একাকী যাইতেছেন। মাস্টার সঙ্গে আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি নারাণকে আনলে না কেন?

    মাস্টার বলিতেছেন—আমি কি সঙ্গে যাব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—যাবে? অধর-টধর সব রয়েছে—আচ্ছা, এসো।

    মুখুজ্জেরা পথে দাঁড়াইয়াছিলেন। ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন (Kathamrita)—ওঁরা কেউ যাবেন? (মুখুজ্জেদের প্রতি)—আচ্ছা, বেশ চলো। তাহলে শীঘ্র উঠে আসতে পারব।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share