Tag: Mahua Moitra

Mahua Moitra

  • Hindenburg: বিপাকে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, বাজারে কারসাজি ও সিকিউরিটিজ প্রতারণার অভিযোগ

    Hindenburg: বিপাকে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, বাজারে কারসাজি ও সিকিউরিটিজ প্রতারণার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়তি পর্যবেক্ষণের মুখে হেজ ফান্ড আনসন ফান্ডস ও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন (Hindenburg)। তাঁদের বিরুদ্ধে বাজারে কারসাজি এবং সিকিউরিটিজ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নথিপত্রে দেখা গেছে, আনসন ফান্ডস নাকি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে একত্রে কাজ করে লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক শর্ট-সেলিং ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। মার্কেট ফ্রডস ওয়েবসাইটে শেয়ার করা নথির স্ক্রিনশট থেকে জানা যায় যে, আনসন ফান্ডস হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের বিষয়বস্তু ঠিক করে দিত, যা প্রমাণ করে যে সংস্থাটি স্বাধীনভাবে গবেষণা পরিচালনা করেনি। এই ঘটনাগুলোর তদন্ত করছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (US SEC)-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি। তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভিযোগ আনার প্রক্রিয়া (Mahua Moitra) চলছে।

    চাঞ্চল্যকর তথ্য (Hindenburg)

    আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং আনসন ফান্ডসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোয়েজ কাসামের স্ত্রী মারিসা সিগাল কাসামের মধ্যে যোগাযোগের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দুজনেই আগে জেপি মর্গানে কাজ করেছেন। মহুয়া প্রায় ১২ বছর ধরে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। আর মারিসা লন্ডন, হংকং এবং নিউইয়র্কে জেপি মর্গানের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের এই যোগাযোগ আদানি গ্রুপের ওপর হামলার পেছনে উদ্দেশ্য এবং সম্পর্কগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ওপিইন্ডিয়া রিপোর্ট করেছিল, আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তোলার জন্য মহুয়া মৈত্র নাকি ঘুষ নিয়েছিলেন।

    নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ

    অ্যানসন ফান্ডসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির (Hindenburg) মধ্যে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যোগসূত্র এবং ম্যানিপুলেটেড স্টক মূল্য পতনের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আদালতের নথি এবং তদন্তমূলক প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওপিইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে অভিযুক্ত করেছেন যে তিনি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং উপহার গ্রহণ করেছিলেন। এর বিনিময়ে তিনি সংসদে এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন, যা হিরানন্দানির ব্যবসায়িক স্বার্থকে সুবিধা করে দিয়েছিল। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, মহুয়া লোকসভায় পারাদীপ পোর্ট এবং আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে যে প্রশ্নগুলো তুলেছিলেন, সেগুলো হিরানন্দানির প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশেষ উল্লেখযোগ্য প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল পোর্ট চুক্তি, টেলিকম পরিষেবা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বিতরণ সম্পর্কিত বিষয়।

    আরও পড়ুন: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    এও অভিযোগ উঠেছে যে আদানি পরিচালিত পোর্ট এবং জ্বালানি নীতির বিষয়ে তাঁর প্রশ্নগুলো হিরানন্দানির প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মহুয়া কোনও অন্যায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি তাঁর স্বাধীনতার কথা জানিয়েছিলেন। তবে, ওপিইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে সংসদীয় কার্যকলাপ এবং হিরানন্দানির ব্যবসায়িক স্বার্থের মধ্যে কিছু মিল পাওয়া গেছে, যা তার উদ্দেশ্য নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে। এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি অ্যানসন ফান্ডসের সহ-প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী মারিসা সিগেল কাসামের সঙ্গে মৈত্রের সম্ভাব্য সংযোগ, আদানি গ্রুপকে ঘিরে আর্থিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চে ঝাঁপ

    সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চে (Hindenburg) ঝাঁপ ফেলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সংস্থার তরফে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ন্যাথন অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, “আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে”। তিনি জানিয়েছিলেন, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাঁর জীবনের একটা অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। ভেবেচিন্তেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ন্যাথামের যুক্তি, কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারছিলেন না। জীবনে ভারসাম্য আনতেই আপাতত সংস্থা বন্ধ করছেন। কিন্তু তাঁর হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোনও প্রভাব কাজ করেছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

    আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এনেছিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এ নিয়ে কেন্দ্রকে ধারাবাহিকভাবে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিও উঠেছিল। শেয়ার বাজারে আদানিকাণ্ডের প্রভাব খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই তদন্তে আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

    জানা গিয়েছে, কানাডার আদালতে পেশ হওয়া একটি নথির জেরে চাপে পড়ে যান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা। অভিযোগ, ইচ্ছে করে ভুল রিপোর্ট তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দর (Mahua Moitra) কমাতো ন্যাথানের সংস্থা (Hindenburg)।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক তাঁর ছায়া সঙ্গী। আবারও অস্বস্তিকর মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরব হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন(NCW)। লোকসভার স্পিকারকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছে তারা। মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে।

    মহুয়ার মন্তব্য (Mahua Moitra)

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনাস্থল নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিডব্লিউ-র চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ৷ সেই ঘটনায় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া (Mahua Moitra) কটাক্ষ করে লেখেন, “তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরে রাখতেই ব্যস্ত ৷” তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয়েছে কমিশন (National Commission for Women)। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য একজন মহিলার মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে বলে জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগ। এমনকী চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা নিজে এবিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন ৷ পাশাপাশি দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরাকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি ৷

    কমিশনের অভিযোগ (National Commission for Women)

    শুক্রবার এনসিডব্লিউ তাদের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, “জাতীয় মহিলা কমিশন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করছে ৷ তিনি এনসিডব্লিউ চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ৷ বিকৃত মন্তব্যটি মহিলাদের সম্ভ্রম অধিকারকে খর্ব করে ৷ কমিশনের পর্যবেক্ষণ এই মন্তব্যটি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে ৷ এধরনের মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে এনসিডব্লিউ এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে ৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে কী হয়, সেই বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনের হাতে আসবে ৷” জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) চেয়ারপার্সনকে নিয়ে মহুয়ার (Mahua Moitra) মন্তব্যের নিন্দা করেছে বিজেপিও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মহুয়ার মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মহুয়ার এই মন্তব্য তৃণমূল ও ইন্ডিয়া জোটের আসল মুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    Nadia: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) তেহট্টে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করেন তিনি। রানিমাকে দেখতে এলাকায় ভিড়ও হয় প্রচুর।

    রানিমা-র সামনে এসে হাতজোড় করে প্রণাম করলেন অনেকেই (Nadia)

    এদিন নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের হাউলিয়া মোড়ের সবজি আড়ৎ থেকে শুরু করে একাধিক বাজারে জনসংযোগ যাত্রা করেন অমৃতা রায়। মূলত বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারদের সঙ্গে তিনি জনসংযোগ সারেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নদিয়া জেলার ওপর যে অবদান রয়েছে সেই অবদান তিনি তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চুরি করার যে প্রবণতা সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প চুরি করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তিনি বলেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের এই তেহট্টের অনেক অবদান রয়েছে। এখানে একটি পুরানো মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তেহট্টে সেই মন্দির এখন অনেকটাই জাগ্রত। এলাকায় জনসংযোগ করার সময় রানিমাকে সামনে পেয়ে অনেকে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়েছেন। তেহট্টবাসীর ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন রানিমা।

    আরও পড়ুন: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    বিজেপির জয় নিশ্চিত

    বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি তেহট্টের (Nadia) মানুষের সঙ্গে কথা বলে সাহস অনেকটাই বাড়ল। তার কারণ আমাকে প্রচার করতে দেখে সকলেই উৎসাহের সঙ্গে এসে আমাকে আশীর্বাদ করছেন। তেহটের মানুষের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার বিজেপির জয় নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে তেহট্ট এলাকায় কোনও কাজ করেনি প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এখানে গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখানকার ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, বিভিন্ন বাজারেও বেশ কিছু উন্নয়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। আমি সকলকে কথা দিয়েছি, আগামী পাঁচ বছর তাঁদের দাবি মতো প্রতিটি কাজ আমি করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishnanagar: প্রার্থীর সামনেই সম্মুখসমরে দুই গোষ্ঠী, চাপে মহুয়া

    Krishnanagar: প্রার্থীর সামনেই সম্মুখসমরে দুই গোষ্ঠী, চাপে মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua moitra) নির্বাচনী প্রচারে ভরদুপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল নেতা (TMC) জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিল তৃণমূল কর্মীরা। এদিন কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্রের চাপড়া (Chapra)  থানার হাতিশালা (hatishala) জিদা এলাকায় চলছিল মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী প্রচার(Election campaign)। এরপরই তাঁর গাড়িতে দেখা যায় জেবের শেখকে। জেবের শেখ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করলেও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়াই করেছিলেন। জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়া নির্দল (Independent) জেবের শেখকে মহুয়া মৈত্র জেলা সভাপতি হওয়ার পর পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও দিশা নেই, সনাতন ধর্ম বিরোধী’, ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ

    তৃণমূল কর্মীকে হুমকি মহুয়ার

    এদিন মহুয়া মৈত্রের পাশে তাঁকে দেখতে পেয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা যায়, গাড়ি থেকে জেবের শেখকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তারা। যদিও ক্ষুব্ধ কর্মীদের থামাতে দেখা যায় মহুয়া মৈত্রকে। কর্মীদের থামানোর সময় মহুয়াকে ধমক দিতে দেখা যায়। সেই সময়কার ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। মহুয়া তাঁকে হুমকির সুরে বলেন, “ক্যামেরা বন্ধ কর। ছবি ডিলিট কর। নাহলে আমার কাছে খাবে এক।”

    সাংবাদিকদের  ‘দু-পয়সার’ বলেছিলেন মহুয়া 

    মহুয়া মৈত্রর উগ্র মেজাজের কথা সকলেরই জানা। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্তচলাকীন তদন্তকারীদের মেজাজ হারিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন তিনি। পরে দোষী সাব্যবস্ত হয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।  সাংবাদিকদের  ‘দু-পয়সার’ মন্তব্য করে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন তিনি। এবার তার এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নিজেদের দলের নেতাকেই তাড়ানো এবং ধমকের ঘটনায় তৃণমূলের নড়বড়ে সংগঠনের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আধিকারিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ মহুয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের ইডির

    Mahua Moitra: ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ মহুয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করল ইডি। জানা গিয়েছে, ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ দায়ের করা হয়েছে মামলাটি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহতেই ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি কিন্তু সে সময় সাড়া দেননি তিনি। না যাওয়ার কারণে হিসেবে ভোটের প্রচারকেই উল্লেখ করেন মহুয়া। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নতুন করে ফের সমন জারি করেছে মহুয়া এবং তাঁর পরিচিত দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে। জানা গিয়েছে, দুজনকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

    মহুয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই

    প্রসঙ্গত মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) এর আগে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি কিন্তু দুবারে সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। দিল্লি যাননি। সম্প্রতি, সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয় মহুয়ার বিরুদ্ধে। তাঁর সাংসদ পদও খারিজ হয়। এই মামলার তদন্তেই তাঁর কলকাতার বাড়ি এবং করিমপুরের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। পাশাপাশি এবার ইডিও মামলা করল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    নজরে বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই কারণেই  তাঁকে তৃতীয়বার সমন পাঠানো হয়েছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, দুবাই কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা সমেত অন্যান্য উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে এর কোনও সদুত্তর না দিতে পেয়ে মহুয়া আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ সামনে আনেন ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং একদা তাঁর প্রাক্তন বন্ধু তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন মামলায় দিল্লিতে তলব তৃণমূলের মহুয়াকে

    Mahua Moitra: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন মামলায় দিল্লিতে তলব তৃণমূলের মহুয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ফের তলব দিল্লিতে। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। ২৮ মার্চ ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেও একবার মহুয়াকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেত্রী। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও। তাঁকে আগেও দু’বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।

    বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (Mahua Moitra)

    বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের নজরে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল অ্যাকাউন্টের লেনদেনও নজরে রয়েছে তাঁদের। এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তলব করা হয়েছে মহুয়া ও হীরানন্দানিকে। সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। শনিবার সকালে মহুয়ার কলকাতার বাড়ি সহ চারটি ডেরায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ড

    ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। তার জেরে ডিসেম্বর মাসে লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করা হয় মহুয়ার। লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন মহুয়া। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। সেই মামলাটি এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

    জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটির রিপোর্টে তৃণমূল সাংসদের (মহুয়ার) লোকসভার লগইন আইডি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক আচরণ ও সংসদের অবমাননা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে মহুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এবারও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া। ৩১ মার্চ এই কেন্দ্র থেকেই প্রচার শুরু করার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মহুয়ার (Mahua Moitra) প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অমৃতা রায়, কৃষ্ণনগরে যিনি ‘রানি মা’ নামেই খ্যাত।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির রেখা পাত্রের পর এবার কৃষ্ণনগরের রানিমাকে ফোন মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সরকারি বাংলো খালি করতেই হবে! মহুয়ার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Mahua Moitra: সরকারি বাংলো খালি করতেই হবে! মহুয়ার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে আগেই মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাঁকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এরপর। দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ হয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

    বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)

    কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বহিষ্কৃত এই তৃণমূল সাংসদকে বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। বৃহস্পতিবারই সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। সেখানেই খারিজ হল তাঁর আবেদন। মামলায় আদালতের সাফ বক্তব্য, মহুয়াকে (Mahua Moitra) সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ফলে তিনি আর ওই বাংলোয় থাকতে পারেন না।

    গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়

    গত মঙ্গলবারই মহুয়াকে বাংলো খালি করতে বলে কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। নোটিশে এও লেখা হয়, বাংলো খালি না হলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। সেই সময়ই তাঁকে সময়সীমা দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করার। কিন্তু মহুয়া তার পরেও নির্দেশ মানেননি। গত ৮ জানুয়ারি, ফের নোটিশ আসে মহুয়ার (Mahua Moitra) কাছে। কেন এখনও বাংলো খালি করেননি, তিন দিনের মধ্যে তার কারণ জানাতে বলা হয় তাঁকে। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার আবার নোটিশ যায় মহুয়ার কাছে। মহুয়া হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার খারিজ হল তাঁর আবেদন।

     

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।” দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”

    পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)

    দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।”

    মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করবে সিবিআই। জানা গিয়েছে এমনই নির্দেশ রয়েছে লোকপালের। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট মিললেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা দায়ের করা হবে কিনা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যখন তদন্ত চলবে তখন সিবিআই মহুয়াকে গ্রেফতার করতে পারবে না কিন্তু তথ্য খোঁজা এবং বিভিন্ন নথি পরীক্ষা তথা জিজ্ঞাসাবাদের মতো কাজগুলি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা করতে পারবে। তদন্ত যেহেতু লোকপালের নির্দেশ অনুযায়ী হচ্ছে, তাই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে ‘অ্যান্টি কোরাপশন বডি’র কাছে।

    আরও পড়ুুন: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    দর্শন হিরানন্দানির হলফনামা

    প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ সামনে আনেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্ররি অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দেন। দুবাই কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে মোটা টাকা এবং অন্যান্য সুবিধার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র। শুধু তাই নয় তাঁর দিল্লির বাংলো সংস্কারের জন্য নগদ ২ কোটি টাকাও নিয়েছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। এর পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের জন্যও টাকা নেন তিনি। এ কথা নিজের দেওয়া হলফনামাতে স্বীকারও করেন দুবাই -কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা হিরানন্দানি।

    উচ্চাকাঙ্খী মহুয়া

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ এবং আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই সাজিয়ে দিয়েছিল দর্শন হিরানন্দনির সংস্থা। ওই হলফনামায় হিরানন্দানি আরও দাবি করেন যে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং খুব দ্রুত তিনি জাতীয় স্তরে বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন। সেজন্য শর্টকাট পদ্ধতি হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শুরু করেন। প্রসঙ্গত, মহুয়াকে পরবর্তীকালে এথিক্স কমিটি ডেকে পাঠালে, সেখানেও সাংসদের বিরুদ্ধে শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে প্যানেল।

    আরও পড়ুন: মরুরাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়ল ৬৮ শতাংশ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share