Tag: Mahua Moitra

Mahua Moitra

  • Mahua Moitra: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

    Mahua Moitra: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)! কিছু দিন আগেই তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছে সংসদের এথিক্স কমিটির। টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়াকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। এবার তৃণমূলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরই প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দায়ের করা অভিযোগে দেহাদ্রাই জানান, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছিলেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ, ৫ ও ৬ নভেম্বর না জানিয়েই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই লিখেছেন, গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কাউকে কিছু না জানিয়েই আমার বাড়িতে আসেন। এভাবে (মহুয়া) মৈত্রর আমার বাড়িতে আসার কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে, তিনি আমার বিরুদ্ধে আবার কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখানোর অভিপ্রায় নিয়েই তাঁর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর সংযোজন, “মহুয়া মৈত্রর প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি। তবে তাঁর এই অনুপ্রবেশে ভয় পেয়েছেন আমার বাড়ির কর্মীরা। আর এই ঘটনা থেকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে কেন একজন দাবি করেছিলেন আমার সঙ্গে তাঁর একটি উত্তেজনাপূর্ণ অতীত রয়েছে। আমার বাসভবনে ইচ্ছাকৃতভাবে এসেছেন মহুয়া। তাও আবার দু’দিন।”

    আইনজীবীর ভয়ের কারণ

    সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, পিনাকি মিশ্রর গাড়িতে করে একদিন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন মহুয়া। পরের দিন এসেছিলেন বিধায়ক বিবেক গুপ্তর সাদা ইনোভা গাড়িতে চড়ে। তিনি লিখেছেন, “আমার ভয়ের কারণ হল মহুয়া আমার পোষ্য হেনরির অজুহাতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমার বাড়িতে চলে আসছে। বিষয়টি আমার কাছে ধাঁধার মতো লাগছে। কারণ কোনও আমন্ত্রণ ছাড়াই ওঁর এভাবে আমার বাড়িতে চলে আসাটা বেশ রহস্যজনক। মহুয়া মৈত্র ও তাঁর সহচর শারীরিকভাবে আমার ক্ষতি করার চক্রান্ত করছেন বলে মনে হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, দেহাদ্রাই তাঁকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতেই তিনি মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী-মেয়েকে ডাকবে ইডি! রেশন দুর্নীতির তদন্তে তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mahua Moitra: ‘‘মহুয়া উদ্ধত, এথিক্স কমিটির উদ্দেশে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন’’, অভিযোগ প্যানেল সদস্যার

    Mahua Moitra: ‘‘মহুয়া উদ্ধত, এথিক্স কমিটির উদ্দেশে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন’’, অভিযোগ প্যানেল সদস্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের এথিক্স কমিটির বৈঠকে শিষ্টাচারের সমস্ত মাত্রা লঙ্ঘন করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এমনই অভিযোগ করলেন কমিটির অন্যতম সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি। শুধু তাই নয় এথিক্স কমিটিকে উদ্দেশে এমন কিছু আপত্তিকর শব্দ মহুয়া প্রয়োগ করেন যা প্রকাশ্যে বলতে পারেননি অপরাজিতা সারেঙ্গি। প্রসঙ্গত, ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, এই অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়াকে তলব করে সংসদের এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির সেই বৈঠক থেকে হঠাৎই বেরিয়ে আসতে দেখা যায় মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra)। তখন সংবাদমাধ্যমকে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সংসদ জানান যে তাঁকে ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে।

    কী বলছেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি?

    মহুয়ার এই দাবি যে সঠিক নয় এবং তিনি যে সত্য কথা বলছেন না তা বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘মহুয়া সব ধরনের শিষ্টাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমরা মহুয়াকে (Mahua Moitra) ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা ছিল। দর্শন হীরানন্দানি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাঁর উপর ভিত্তি করেই শুধু প্রশ্ন করেছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান। তাই সীমা ছাড়ানোর বা হলফনামার বাইরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    মহুয়ার ঔদ্ধত্য

    প্রসঙ্গত মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ, সংবাদমাধ্যমকে দু পয়সার সাংবাদিক বলে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন। এতে তাঁকে বয়কট করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। মহুয়ার ঔদ্ধত্য যে একেবারেই বদলায়নি তা ফের এথিক্স কমিটির কথাতেই পরিষ্কার হল। বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির মতে, ‘‘হাবেভাবে খুবই উদ্ধত ছিলেন তিনি। খুবই রুক্ষ ছিলেন। তিনি ভুয়ো বক্তব্য তৈরি করে দেশের মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে হেনস্থার শিকার হিসাবে তুলে ধরেছেন।’’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের (Cash For Query Case) মুখে পড়ে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের মাঝ পথে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা বাংলার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে ২ নভেম্বর তাঁকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন তিনি। প্রথম দফায় মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। কিছুক্ষণের বিরতির পর ফের শুরু হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

    দুটি প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, মহুয়ার কাছে মূলত দুটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়। এক, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি সংসদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন কিনা, আর দুই, বিদেশ থেকে মোট ৪৭ বার ওই আইডি-পাশওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করা হয়েছে কিনা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়ী হীরানন্দানির কাছে টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে (Cash For Query Case) সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, মহুয়া তাঁর সংসদের আইডি দিয়েছিলেন হীরানন্দানিকে। এ প্রসঙ্গে এথিক্স কমিটির প্রধান বিনোদ সোনকর বলেন, “সংসদের লগ-ইন আইডি সাংসদ বাদ দিয়ে অন্য কারও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। যে অভিযোগ উঠেছে, সংসদের ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।”

    ২ লাখি ব্যাগ মহুয়ার

    এদিন লাল শাড়ি, চোখে দামি সানগ্লাস এবং তিনটি ব্যাগ নিয়ে এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন মহুয়া। এগুলির মধ্যে একটি ছিল ‘লুই ভ্যুতো’র মতো নামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ। একটি ল্যাপটপ ব্যাগও ছিল। ‘লুই ভ্যুতো’র এই হাতব্যাগটির দাম ভারতীয় টাকায় ২ লক্ষেরও বেশি। এই ব্যাগটি নিয়ে একবার সংসদেও এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলেরই কাকলি ঘোষদস্তিদার, তখন দামী ওই হাতব্যাগটি লুকিয়ে ফেলেছিলেন মহুয়া। বিজেপির দাবি, সেদিন নামী ব্র্যান্ডের মূল্যবান ওই ব্যাগটি লজ্জায় লুকিয়ে ফেলেছিলেন সাংসদ।

    এদিকে, এথিক্স কমিটি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের (Cash For Query Case) দ্বিতীয়ার্ধে চেয়ারম্যানের প্রশ্নের মুখে পড়ে বেরিয়ে চলে যান মহুয়া। পড়ে যান সাংবাদিকদের সামনে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এভাবে এথিক্স কমিটির বৈঠকে ছেড়ে বেরিয়ে আসার ঘটনা নজিরবিহীন বলেও ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    নিশিকান্ত বলেন, “দর্শন হীরানন্দানি তাঁর হলফনামায় যে অভিযোগ এনেছেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই হত মহুয়াকে। অভিযোগের সব প্রমাণ আমি দিয়েছি। কোনও শক্তিই মহুয়াকে রক্ষা করতে পারবে না।” বৈঠক ছেড়ে মহুয়ার বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন অনগ্রসর নেতা এথিক্স কমিটির নেতৃত্ব দেওয়ায় বিরোধী সাংসদরা অসন্তুষ্ট। তাই এমনটা করেছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: হাওয়ালা যোগে দলের মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডি-র, কেজরিওয়াল ব্যস্ত ভোট-প্রচারে

    Enforcement Directorate: হাওয়ালা যোগে দলের মন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডি-র, কেজরিওয়াল ব্যস্ত ভোট-প্রচারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বিতর্কে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) নেতৃত্বাধীন দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। এবার নতুন অভিযোগকে কেন্দ্র করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) নিশানায় কেজরি সরকারের আরেক মন্ত্রী। 

    ইডির রেডারে কেজরি মন্ত্রিসভার সদস্য

    বৃহস্পতিবার সকালে, কেজরি মন্ত্রিসভার শ্রমমন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়ি, দফতর-সহ বিভিন্ন ঠিকানায় শুরু করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের দাবি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে রাজকুমারের বিরুদ্ধে। হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে রাজ কুমার আনন্দের। অভিযোগ, এই আপ নেতা নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে আবগারি দুর্নীতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে অন্যত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজকুমারের সিভিল লাইন্‌স এলাকার সরকারি আবাসন-সহ মোট ন’টি ঠিকানায় হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)।

    ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না কেজরিওয়াল

    এদিকে, দিল্লি আবগারি মামলায় এদিন ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কিন্তু, আপ সুপ্রিমো যাননি। এদিন সকালেই বিবৃতি জারি করে তিনি সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আজ সিংরালিতে থাকবেন আপ প্রধান। সেখানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে এক রোড শোয়ে অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এই মামলায় ইডি-র (Enforcement Directorate) চার্জশিটে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম রয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। অন্যদিকে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্র জৈনকে। 

    তৃণমূল ও আপ-কে আক্রমণ বিজেপির

    এদিন রাজ কুমার আনন্দের ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা নিয়ে কেজরিওয়ালকে নিশানা করে বিজেপি। তৃণমূল ও আম আদমি পার্টিকে একাসনে বসিয়ে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, মহুয়া এবং কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দুজনেরই হাজিরা ২ তারিখে। দুজনেই দু’নম্বরি। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রর সংসদীয় অ্যাকাউন্ট দুবাই থেকে ৪৯ বার খোলা হয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়েই লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে আজ হাজিরা দিতে চলেছেন মহুয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রের মদতে তাঁদের আইফোন হ্যাক (iPhone Hacking) করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার অ্যাপেলের পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্কবার্তা পেয়েছেন বসলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী সাংসদ ও নেতার। সেই বার্তা কেন পাঠানো হল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের বক্তব্য 

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারত সরকার নাগরিকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এই বিজ্ঞপ্তিগুলির শেষ দেখতে তদন্ত করা হবে।” অ্যাপলের সতর্কবার্তা ভুয়ো বলেও দাবি মন্ত্রীর। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, অ্যাপল যে কেবল ভারতেই এই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, তা নয়। সব মিলিয়ে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫০টি দেশে জারি করা হয়েছে এই সতর্কবার্তা। তিনি বলেন, “কেন ওই সতর্কবার্তা এল, তা জানতে বিশদ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ওই সতর্কবার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন তদন্তে সহযোগিতা করেন।” 

    ধ্বংসাত্মক রাজনীতি

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা সমালোচনার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করার কোনও বড় কারণ না পেয়ে এখন হ্যাকিং নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।” তিনি বলেন, “অ্যাপলের পাঠানো ই-মেইল থেকে বোঝা যায়, তাদের কাছে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই। তারা অনুমানের ভিত্তিতে এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এটা ভুয়ো। অ্যাপল সাফ জানিয়েছে, সমালোচনার জন্য যারা সমালোচনা করছেন, তাঁদের অভিযোগ সত্য নয়। যাঁরা দেশের উন্নয়ন চান না, তাঁরাই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন।”

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “পুরোটা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব অ্যাপল সংস্থার পক্ষেই। বিরোধী নেতাদের কোনও সমস্যা হলে এফআইআর করা উচিত। ওঁদের তো কেউ আটকায়নি!” তিনি বলেন, “পেগাসাস বিতর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নিযুক্ত কমিটির সামনে তাঁর আইফোনটি জমা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আজকের অভিযোগ নিয়ে হইচই করার আগে ওই বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।”

    সাফাই দিল অ্যাপল-ও

    হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে নিজেদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেজে বিবৃতি দিয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত হামলাকারীরা সাধারণত আর্থিকভাবে পুষ্ট ও অত্যাধুনিক হয়। গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারির ওপর নির্ভর করে এ ধরনের হামলা ধরতে গেলে দেখা যায়, তা অনেক সময়ই ত্রুটিযুক্ত ও অসম্পূর্ণ। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, কিছু নোটিফিকেশন অনেক সময়ই মিথ্যে সঙ্কেত হতে পারে। আবার অনেক হামলা ধরাই পড়ে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

    Mahua Moitra: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন বিতর্কে সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ফের তলব করল এথিক্স কমিটি। ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় সংসদের এথিক্স কমিটির ঘরে হাজিরা দিতে হবে বাংলার সাংসদকে। এর আগে যেদিন ডাকা হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় সেদিন তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মহুয়া। এথিক্স কমিটিকে তিনি জানিয়েছিলেন, ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন হাজিরা দিতে পারবেন তিনি। তবে পাঁচ নভেম্বরের আগেই তাঁকে তলব করল এথিক্স কমিটি। এবার মহুয়াকে তলব করা হল ২ নভেম্বর।

    মহুয়ার চিঠি

    এথিক্স কমিটিকে লেখা চিঠিতে মহুয়া জানিয়েছিলেন, ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বিজয়া সম্মেলন রয়েছে। সেগুলি আগে থেকে ঠিক করা। সেখানে তাঁকে উপস্থিত থাকতেই হবে। তাই তিনি ৩১ তারিখ দিল্লিতে এথিক্স কমিটিতে হাজিরা দিতে পারছেন না। ৫ নভেম্বরের পর কমিটির সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও দিন, যে কোনও সময় ডাকা হলে হাজির হবেন তিনি। তিনি যে নিজের বক্তব্য কমিটির সামনে বলতে আগ্রহী, তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

    রমেশ বিধুরির প্রসঙ্গ উল্লেখ

    এথিক্স কমিটিকে লেখা চিঠিতে মহুয়া রাজস্থানের সাংসদ বিজেপির রমেশ বিধুরির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, রমেশ রাজস্থানে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচির কথা জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে সময় চেয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে মঞ্জুরও করা হয়েছিল। বাংলার সাংসদের (Mahua Moitra) আবেদন, একইভাবে তাঁকেও যেন সময় মঞ্জুর করা হয়।

    চিঠিতে মহুয়া লিখেছেন, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও যেন তলব করে কমিটি। তাঁর বক্তব্যও এ ক্ষেত্রে শোনা জরুরি। কারণ হীরানন্দানি ইতিমধ্যেই একটি চ্যানেলে জানিয়েছেন, কমিটির সামনে হাজির হতে আপত্তি নেই তাঁর। কমিটির সামনে তাঁকে ও হীরানন্দানিকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করতে দেওয়া হোক। তিনি তথ্যপ্রমাণ সহকারে বলুন, কী কী উপহার তিনি দিয়েছেন (Mahua Moitra)।

    আরও পড়ুুন: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

                                

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mullick: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    Jyotipriya Mullick: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Distribution Scam) মামলায় শুক্রবার বিচারক ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশের পরই আদলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mullick) । বর্তমান বনমন্ত্রী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তবে, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হবে হাসপাতাল থেকে মন্ত্রীমশাই ছাড়া পাওয়ার পর থেকে। যে কারণে, জ্যোতিপ্রিয়র অসুস্থতা ও চিকিৎসার ওপর কড়া নজর রেখেছে ইডি।

    নির্দেশ শুনেই অসুস্থ বালু

    রেশন বণ্টন দুর্নীতির (Ration Distribution Scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mullick) ওরফে বালুর বাড়ির দুয়ারে হাজির হয়েছিল ইডি। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোর পৌনে তিনটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। পরে, শুক্রবার বেলায় শারীরিক পরীক্ষার পর দুপুরে মন্ত্রীমশাইকে পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। আদালত জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। তবে এর মধ্যেই আচমকা অসুস্থ বোধ করায় জ্যোতিপ্রিয়কে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় কিছুক্ষণের জন্য শুনানিতে ছেদ পড়ে। এদিকে, বিচারকের কাছে ইডি আবেদন করে যাতে হাসপাতালে মন্ত্রীর থাকার সময় যাতে হেফাজতের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তা মেনে, আদালত জানিয়ে দেয় যে, হাসপাতালে যতদিন মন্ত্রী থাকবেন, সেটা হেফাজতের মধ্যে ধরা হবে না। অর্থাৎ, হেফাজতের মেয়াদ শুরু হবে মন্ত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই।

    স্থিতিশীল জ্যোতিপ্রিয়

    বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mullick)। সিসিইউ-তে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। হাসপাতালে ভর্তির পরই জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ইন্টারনাল মেডিসিন, নিউরোলজি, কার্ডিওলজি এবং নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁর সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং রক্তের বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর তাঁর সিটি স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে। তবে, এখনও কিছুদিন সেখানে থাকতে হবে মন্ত্রীকে। 

    ইডি-র পছন্দ কমান্ড হাসপাতাল

    গতকাল আদালতে শুনানির সময় জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mullick) কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানোর আবেদন করেছিল ইডি। পরিবারের তরফে পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার আবেদন জানানো হয়। পরিবারের আবেদনই মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে, আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর অভিযুক্ত সুস্থ বোধ করলে তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাবে ইডি। সেই মুহূর্তেই কমান্ড হাসপাতালকে জ্যোতিপ্রিয়র জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। ঠিক এই কারণে, জ্যোতিপ্রিয়র অসুস্থতা ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ওপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মন্ত্রী একটু সুস্থ হলেই তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চাইছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Mahua Moitra: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    Mahua Moitra: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভার সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইল লোকসভার এথিক্স কমিটি। অভিযুক্ত সাংসদের বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের কাছে চাওয়া হয়েছে কমিটির তরফে। একইসঙ্গে মহুয়াকে ঘুষ দেওয়ায় অভিযুক্ত দুবাইবাসী ভারতীয় শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির বিভিন্ন দেশে যাওয়ার তথ্যও চেয়েছে ওই কমিটি। প্রসঙ্গত, এই শিল্পপতির কাছ থেকেই অর্থ ও উপহার নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় মহুয়া।

    এথিক্স কমিটির তৎপরতা

    তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগকারী দু’জন। একজন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে এবং অন্যজন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। এই দু’জনকেই তলব করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে এথিক্স কমিটি। ৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মহুয়াকে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরাও দিতে বলা হয়েছে। মহুয়া এথিক্স কমিটির সামনে আসার আগেই তাঁর বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত তথ্য হাতে পেতে মরিয়া কমিটি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কোন কোন তারিখে কোথা থেকে মহুয়ার সংসদের অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করা হয়েছিল।

    হীরানন্দানির হলফনামা

    মহুয়াকে (Mahua Moitra) ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন যে তিনি তুলেছেন, হলফনামায় তা স্বীকার করে নিয়েছেন শিল্পপতি হীরানন্দানি। মহুয়া যে সংসদের লগ-ইন আইডি তাঁকে দিয়েছিলেন, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন হীরানন্দানি। গত সপ্তাহেই স্বাক্ষর করা হলফনামায় হীরানন্দানি মেনে নিয়েছেন যে তিনি মোদি সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে ব্যবহার করেছেন। দর্শন হিরানন্দানি জানান, অর্থ ও দামি উপহারের বিনিময়ে তৃণমূল সাংসদ তাঁর সংসদীয় ই-মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন। সেখানেই যাবতীয় প্রশ্ন লিখে পাঠাতেন তিনি। আদানি গোষ্ঠী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চাপে ফেলতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ, তা প্রায় মেনে নিয়েছেন সেই ব্যবসায়ী। 

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি!

    ৩১ তারিখ যাবেন না মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ৩১ তারিখে তাঁর পক্ষে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া জানিয়েছেন, ওই দিন তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। তবে ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন দিল্লিতে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিতে পারবেন তিনি। মহুয়া লিখেছেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি, যেখানে দুর্গাপুজো সব থেকে বড় উৎসব। আমার আগে থেকেই একাধিক বিজয়া দশমী সম্মেলনে (সরকারি ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে) যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর অবধি আমার কেন্দ্রে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে, সেই কারণে আমি ৩১ অক্টোবর দিল্লিতে যেতে পারব না।” মহুয়া (Mahua Moitra) বলেন, “ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিরও কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়া উচিত এবং আমায় যে বিভিন্ন দামি দামি উপহার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, তার বিস্তারিত তালিকা পেশ করা উচিত। হিরানন্দানির মৌখিক বয়ান ছাড়া এই তদন্ত অসম্পূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট হবে। এটা ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসানোর সমার্থক হয়ে যাবে। কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে হিরানন্দানিকেও তলব করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Cash For Query: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়াকে তলব এথিক্স কমিটির, কবে হাজিরা?

    Cash For Query: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়াকে তলব এথিক্স কমিটির, কবে হাজিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় (Cash for query) তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তলব করল লোকসভার এথিক্স কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার, দুপুর সাড়ে ১২টায় সংসদের এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। প্রথম পর্যায়ে আজ মূল অভিযোগকারী নিশিকান্তের পাশাপাশি আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে তলব করেছিল কমিটি। তাঁদের বয়ানও এদিন রেকর্ড করা হয়। পরের পর্যায়ে ৩১ তারিখ ডাকা হয়েছে মহুয়াকে। 

    কী এই এথিক্স কমিটি

    বিভিন্ন দলের ১৫ সদস্যের এক কমিটি এখন বিষয়টির তদন্ত করবে। বর্তমানে লোকসভার এথিক্স কমিটির সভাপতি বিজেপি সাংসদ বিনোদ কুমার সোনকর। তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটি এবার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। কমিটির অনান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডাঃ সুভাষ রামরাও ভামরে- বিজেপি, সুনীতা দুগ্গল-বিজেপি, হেমন্ত তুকারাম গডসে-শিবসেনা, প্রনীত কৌর-কংগ্রেস, কুনওয়ার দানিশ আলি-বিএসপি, পি আর নটরাজন-সিপিএম, উত্তম কুমার নালমাদা রেড্ডি-কংগ্রেস, ডঃ রাজদীপ রায়-কংগ্রেস, অপরাজিতা সারঙ্গি-বিজেপি, সুমেদানন্দ সরস্বতী-বিজেপি, বিষ্ণু দত্ত শর্মা-বিজেপি, বালাশৌরি বল্লভানেনি-ওয়াইএসআর কংগ্রেস, বৈথিলিঙ্গম ওয়ে-কংগ্রেস, গিরিধারী যাদব-আরজেডি।

    কী বলল কমিটি

    এদিন কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা আইনজীবী এবং দুবের কথা শুনেছি। অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে আগামী মঙ্গলবার মহুয়াকে তলবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপস্থিত হয়ে তাঁর নিজের বক্তব্য তুলে ধরা উচিত।’’ সোনকার আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও চিঠি পাঠিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এটা কমিটির বিশেষ অধিকারের মধ্যে পড়ে। সব দিক খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে এথিক্স কমিটি।

    বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এথিক্স কমিটি থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘সব স্বাভাবিক প্রশ্ন করা হয়েছিল আমায়। সকল সাংসদরাই উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। আমায় আবার ডেকে পাঠালে আমি আসব। সংসদের ঐতিহ্য এবং মর্যাদা রক্ষার বিষয় এটি। এথিক্স কমিটি আমার থেকেও বেশি চিন্তিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Bengal Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা ইডির, একযোগে তল্লাশি ৮ জায়গায়

    Bengal Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা ইডির, একযোগে তল্লাশি ৮ জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো মিটতেই ফের রাজ্যের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Bengal Ration Scam) তদন্তে সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বৃহস্পতিবার সাতসকালে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (TMC Minister Jyotipriya Mallick) সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিল ইডি। তদন্তকারী দল হানা দিয়েছে মন্ত্রীমশাইয়ের আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও। একযোগে রাজ্যের ৮টি জায়গায় চলছে ইডি তল্লাশি।

    ভোর ৬টায় মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা

    রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Bengal Ration Scam) মামলার তদন্তে উঠে এসেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের  (TMC Minister Jyotipriya Mallick) নাম। এই মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর তার থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে মন্ত্রীমশাইয়ের নাম উঠে এসেছে। সেই যোগসূত্রে এদিন ভোর ছ’টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি অফিসারদের বিশাল দল। সল্টলেকের বিসি ব্লকে পাশাপাশি দুটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটেই আছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী।

    মন্ত্রীর আপ্ত-সহায়কের জোড়া ফ্ল্যাট নাগেরবাজারে

    ইডি-র আরেকটি দল পৌঁছে গিয়েছে নাগেরবাজারে। সেখানে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতে চলছে তল্লাশি। সূত্রে খবর, নাগেরবাজারে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে অমিতের। একটি ভগবতী পার্ক এলাকায়, দ্বিতীয়টি স্বামী বিবেকানন্দ রোডে। যদিও, দুটিই বর্তমানে তালাবন্ধ অবস্থায়। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পিএ-এর কোনও খোঁজ মিলছে না। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সপরিবারে কোনও এক সৈকত শহরে ঘুরতে গিয়েছেন অমিত দে।

    বাকিবুরকে জেরা করেই মন্ত্রী-যোগসূত্রের হদিশ!

    ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Bengal Ration Scam) গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি করে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি পায় ইডি। এছাড়া বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই বেশ কিছু তথ্য পায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে। ইডি সূত্রে দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে বাকিবুর। সূত্রের খবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (TMC Minister Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফলেই খাদ্য দফতরে কয়েক জন অফিসারকে হাতে নিয়ে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরি হস্তগত করে বাকিবুর। কাকতালীয়ভাবে, ২০১১ সাল থেকেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন অমিত দে।

    বাকিবুরের ফ্ল্যাট থেকে কী মিলেছে?

    গত বুধবার সকাল থেকে বাকিবুরের কলকাতার কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান শুরু চালিয়েছিল ইডি। বাকিবুরের ফ্ল্যাট থেকে ১০০-র বেশি সরকারি দফতরের সিলমোহর (স্ট্যাম্প) মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০৯টি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। এর পর ম্যারাথন জেরার পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় (Bengal Ration Scam) গ্রেফতার অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তাঁর ৯৫ জায়গায় ১০০ কোটির সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। দুবাইতে জোড়া ফ্ল্যাটের হদিশও মিলেছে। বাকিবুরের পাশাপাশি, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচরের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। বাকিবুরের ওই ঘনিষ্ঠের নাম অভিষেক বিশ্বাস। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পর্কে বাকিবুরের শ্যালক হন অভিষেক। তাঁর বাড়ি চিনার পার্কে।

    রকেট গতিতে উত্থান বাকিবুরের

    ইডি সূত্রে দাবি, বাকিবুর তার মামা সিরাজ বাবুর হাত ধরে ২০০৪ সালে খাদ্য দফতরের কাজ করা শুরু করে। প্রথমে চারটি শক্তিমান গাড়ি নিয়ে শুরু করেছিল তার ব্যবসা। তবে, আচমকাই রকেটের গতিতে উত্থান হয় তার। কোনও এক জাদুবলে সেখান থেকে অল্প সময়ের মধ্যে রাইস মিল থেকে ফ্লাওয়ার মিল, হোটেল-রিসর্ট থেকে বিদেশে সম্পত্তি তৈরি হয় বাকিবুরের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, একাধিক হোটেল, রিসর্ট, পানশালা রয়েছে বাকিবুরের। বাকিবুরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ যে নথিগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে বাকিবুরের বিভিন্ন সংস্থায় ৫০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ঢুকেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share