Tag: Makar Sankranti

Makar Sankranti

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    Maha Kumbh 2025: সংক্রান্তিতে মহাকুম্ভে ‘অমৃত স্নান’, যোগ দিল ১৩ আখড়া, পবিত্র ডুব দিলেন কোটির বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত উপেক্ষা করেই ভক্তদের ভিড় পূর্ণকুম্ভের প্রয়াগরাজে। উত্তরপ্রদেশের  প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকালে ১০টা পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ (Maha kumbh 2025) ‘পুণ্যস্নান’ করেছেন প্রয়াগরাজে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। তাই বেলা বাড়লে এই সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৩ কোটি ছুঁয়ে যেতে পারে সংখ্যা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সহ প্রায় ৯৮ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘অমৃত স্নান’ করেন।

    ১৩ আখড়ার অমৃত স্নান (Maha kumbh 2025) 

    মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির (Maha kumbh 2025) পবিত্র মুহূর্তে প্রথম অমৃত স্নানে ১৩টি আখড়া অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ১৩টি আখড়া তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত। এগুলি হল সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়ার মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চ দশনম জুনা আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া, নিরঞ্জনী, শ্রী শম্ভু পঞ্চায়েতি অটল আখড়া, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহানির্বাণী, শ্রী শম্ভু পঞ্চাগ্নি আখড়া, শ্রী পঞ্চদশনাম আবাহন আখড়া, এবং তপোনিধি আখড়া। বৈষ্ণব আখড়ায় রয়েছে শ্রী পঞ্চ নির্মোহি আনি আখড়া, শ্রী পঞ্চ দিগম্বর আনি আখড়া, এবং শ্রী পঞ্চ নির্বাণী আনি আখড়া নিয়ে গঠিত। এদিকে উদাসীন আখাদের মধ্যে রয়েছে শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া বড় উদাসীন, শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া নয়া উদাসীন এবং পঞ্চায়েতি আখড়া নির্মল।

    প্রথমে স্নান কোন আখড়ার (Maha kumbh 2025) 

    রবীন্দ্র পুরী আরও জানিয়েছেন, জুনা আখড়া প্রথম অমৃত স্নানে যাওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল, কারণ তাদের সদস্য সংখ্যা বিপুল ছিল। তবে, আখড়া পরিষদ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অমৃত স্নানের রীতি মেনেই প্রতিটি আখড়াকে পর পর পাঠানো হয়। রীতি অনুযায়ী সাতটি সন্ন্যাসী আখড়া পবিত্র স্নানের নেতৃত্ব দেয়। এরপরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তিনটি বৈরাগী আখড়া। সবশেষে যায়, তিনটি উদাসীন আখড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামেও বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলার, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে-পুলির উৎসব হয়। অন্দরে অন্দরে দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের গন্ধে ম-ম করে। হাড় কাঁপানো শীতে কম্বলের আরাম ছেড়ে জোরকদমে পিঠে-পুলি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মা-বউরা। পৌষ পার্বণ অথচ পিঠে হবে না তা আবার হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিনে এই মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে ভোলেন না বাংলার মানুষ। 

    কেন সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয় জানেন? (Makar Sankranti)

    পৌষ পার্বণের সঙ্গে পিঠে-পুলির যোগ নিয়ে পৌরাণিক গল্পগাথা রয়েছে। জানা যায়, এই দিনই পিতামহ ভীষ্ম স্বইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করেন। মূলত নতুন ফসলের উৎসব (Makar Sankranti) বলেই এই দিনটিকে পৌষ-পার্বণ হিসেবে উদযাপন করেন বাঙালিরা। এই সময়ে ঘরে ঘরে নতুন ফসল থাকে। সেই নতুন ফসল দিয়েই তৈরি করা হয় এই বিশেষ মিষ্টান্ন। এই নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতেই ঘরে ঘরে বানানো হয় এই অসাধারণ মিষ্টান্ন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এ দিন চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, ক্ষির দিয়ে তারি করা হয় রকমারি পিঠে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠে হল— ভাপা পিঠে। এ ছাড়াও রয়েছে চিতই পিঠে, দুধচিতই, ছিট পিঠে, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠে, মালাই পিঠে, মোলপোয়া, পাকন পিঠে, ঝাল পিঠে ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘পৌষপার্বণ’ নামের কবিতায় রয়েছে, ‘গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার, বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ কুটুম্বের মেলা, হায় হায় দেশাচার ধন্যি তোর খেলা।’ এই কবিতাতেই বাঙালির কাছে পিঠের আসল গুরুত্ব ধরা পড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য!

    তবে, এখন শহুরে বাঙালিদের হেঁশেলে পিঠে-পুলি তৈরি করার রেওয়াজ ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। ফলে, রসিক বাঙালি পিঠে (Makar Sankranti) খেতে আস্তানা গেড়েছে মেলায় বা মিষ্টির দোকানে। তাই আজ আর আগের মতো হেঁশেলে ঢুকলেই হাঁড়ির ভেতরে যবুথবু হয়ে থাকে না ক্ষিরে ভরা পাটিসাপটা। আগে তাও যৌথ পরিবার থাকায় মা, দিদিমারা মিলে বা বাড়ির বড় কোনও সদস্যা পিঠে বানানোর উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু, এখন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই মা, দিদিমারাও। পরিবার ভেঙেছে। যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। তাই বাড়িতে বাড়িতে কমে এসেছে পিঠে বানানোর হিড়িকও। কর্মব্যস্ততার যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    PM Modi: লোহরি-মকর সংক্রান্তি-পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলেন মোদি, জানালেন দেশবাসীকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। মেতে ওঠেন উৎসবে। বারবার এমন চিত্র দেখা গিয়েছে। সোমবারও সেই ছবিই দেখা গেল দিল্লিতে। দিল্লির নারাইনা গ্রামে লোহরি (Lohri) উৎসবে সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে। দুই উৎসবে সামিল হয়ে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান

    বুধবার সন্ধ্যায় নারাইনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দেখে ‘মোদি, মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের গ্রামে আসায়, ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও কারও চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়। এক নাবালকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর লোহরি উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকলকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তর ভারত-সহ বহু জায়গার মানুষের কাছে লোহরির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা আশার প্রতীক। কৃষি ও কৃষকদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই উৎসবের।’’ সবাইকে লোহরির শুভেচ্ছা জানান মোদি।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে সামিল হন পোঙ্গল উৎসবে

    নারাইনা গ্রামে যাওয়ার আগে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির দিল্লির বাড়িতে পোঙ্গল এবং সংক্রান্তি পালনেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়েই তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘পোঙ্গল উৎসবে সামিল হলাম মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জি কিষাণ রেড্ডির বাড়িতে। এখানে সাক্ষী থাকলাম দূর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সারা দেশে আজকে (সোমবার) পালিত হচ্ছে সংক্রান্তি ও পোঙ্গল উৎসব।’’ সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, তিনি প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। পোঙ্গল উৎসবে সামিল হয়ে রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি ভোগী অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেন। শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলেই মানা হয় লোহরিকে। এটি মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই পালন করা হয়। শীতের শেষের দিকে রবিশস্য কাটার সময় তা পালিত হয়। অন্যদিকে, পোঙ্গল উৎসব সূর্যকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীত! বুধবার থেকে ফের নামবে তাপমাত্রা, ইঙ্গিত আলিপুরের

    Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীত! বুধবার থেকে ফের নামবে তাপমাত্রা, ইঙ্গিত আলিপুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তিতেও কনকনে শীতের পূর্বাভাস দিল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বরং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি আরামদায়ক তাপমাত্রাতেই কাটছে পৌষ সংক্রান্তি। সোমবার কলকাতার (Weather Update) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.২ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি। তবে, আগামী বুধবার থেকে ফের কিছুটা পারদপতন হতে পারে।

    কুয়াশার দাপট কোন কোন জেলায়? (Weather Update)

    দক্ষিণবঙ্গে শীতের (Weather Update) দাপট কম হলেও উত্তরবঙ্গ শীতে কাঁপছে। দার্জিলিঙে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘন কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় জেলায়। ঘন কুয়াশা থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা সহ বাকি জেলাগুলিতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রাতেও বড় একটা হেরফের হবে না।। বুধবার থেকে আবার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে পারদ।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    দার্জিলিং ৪.৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়া ১০.১

    দার্জিলিঙে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে। এর ফলে উত্তরে হাওয়া ফের বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শীতেও বাধা পড়তে পারে। রবিবার রাজ্যের শীতলতম জেলা ছিল দার্জিলিং। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৮। কালিম্পঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ এবং পুরুলিয়ায় ১০.১। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা নামবে ৫০ মিটারের কাছাকাছি। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে ঘন কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে । বেশিরভাগ জেলাতেই দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারে নিচে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    Weather Update: মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয়, জানাল আলিপুর, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার আমেজ থাকবে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৪ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ১৩.২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবারও তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, রবিবার থেকে পারদ চড়তে পারে। সোমবারও আরও তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

    মকর সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত নয় (Weather Update)

    রবিবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) যথাক্রমে ২৬ ডিগ্রি ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এরপর সোমবার ১৩ জানুয়ারি আরও একটু বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সোমবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭ ডিগ্রি ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তারপর ফের মঙ্গল থেকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে, কনকনে শীত এখনই ফিরে আসবে না বলেই পূর্বাভাস। রবিবার থেকে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন করে রাজ্যে প্রবেশ করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ ও অসম সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরের উপর এবং উত্তর তামিলনাড়ু সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে পৌষ সংক্রান্তিতে শীতের পথে রয়েছে একাধিক বাধা। মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) (১৪ জানুয়ারি) জাঁকিয়ে শীত থাকবে না।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়?

    পৌষ সংক্রান্তিতে (Weather Update) হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি দার্জিলিং ও কালিম্পঙের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিঙেও। উত্তরবঙ্গেও আগামী ২ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তারপর বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আপাতত শুষ্ক আবহাওয়াই বিরাজ করবে রাজ্যজুড়ে। ভোরের দিকে কুয়াশার দাপটও বজায় থাকবে আপাতত। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট কমে যাবে। উত্তরবঙ্গে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলায়। মাঝারি কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। এদিকে উত্তর ভারতজুড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ও সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রির কাছে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti 2025: ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, জানুন দিনটির মাহাত্ম্য

    Makar Sankranti 2025: ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, জানুন দিনটির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই মকর সংক্রান্তি। হিন্দু ধর্মে (Hindu Dharma) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল এই উৎসব। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) পালিত হবে ১৪ জানুয়ারি। জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, ওই দিনে সূর্যদেব দুপুর ২টো ৫৮ মিনিট নাগাদ মকর রাশিতে গমন করবেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2025) দিন সকালে উঠে যে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করা খুবই শুভ বলে মানা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, মকর সংক্রান্তির বিশেষ দিনেই সূর্যদেব ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে গমন করেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিনে পবিত্র রীতিতে স্নান ও দান করলে ব্যক্তি জীবনের সমস্ত অশান্তি ঝামেলা দূর হয় এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ। সেই রীতি অনুযায়ী, পৌষ মাসের শেষ দিনে পালিত হওয়ার জন্য এদিনটিকে পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়।

    পৌরাণিক আখ্যান (Makar Sankranti 2025)

    প্রতি হিন্দু ঘরেই পালন করা হয় মকর সংক্রান্তি উৎসব। এদিন নানা নিয়মকানুন পালন করা হয়। কিন্তু আমাদের জানতে হবে পৌষ সংক্রান্তির উদ্ভব কিভাবে? কেনই বা পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মকর সংক্রান্তির দিনে পিতা সূর্য, তাঁর পুত্র শনিদেবকে নিয়ে নিজের বাড়িতে গমন করেন। এছাড়াও কথিত রয়েছে, এই দিনই মহাভারতের ভীষ্ম পিতামহ ভীষ্ম ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেছিলেন। দেবতাদের সঙ্গে অসুরদের দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তিও হয়েছিল মকর সংক্রান্তির দিনে। এই দিনেই অসুরদেরকে বধ করে শুভ শক্তির বিস্তার ঘটেছিল। তাই যেকোনও শুভ কাজ এই দিনে শুরু করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

    সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ

    হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ। সেইমতো শেষ দিনে পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি পালন করা হয়। প্রতি বাঙালি প্রতি হিন্দু বাড়িতেই এদিন পিঠেপুলি তৈরি করা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হচ্ছে গমন করা। প্রতিবেদনের প্রথমে যেমনটা বলা হয়েছে যে এই দিন সূর্যদেব ধনু রাশি থেকে গমন করেন মকর রাশিতে। বহু হিন্দু বাড়িতে এই দিন নানারকমের মিষ্টি ও গুড়ের পদ তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি মকর সংক্রান্তির আগের দিন থেকে ঘরদুয়ার পরিষ্কার করা হয়। গ্রামবাংলায় এখনও বাড়িগুলিতে আলপনা দেওয়ার রীতিও দেখা যায়। আবার এই দিন বহু জায়গায় ঘুড়ি ওড়ানোর রীতিও দেখা যায়। প্রচলিত নিয়ম বলছে, মকর সংক্রান্তির রাতে অন্যত্র বাস করা উচিত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    Makar Sankranti: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: আজ মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন শাস্ত্রে এই দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে লেখা রয়েছে। যেমন জ্যোতিষশাস্ত্রে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) হল এক বিশেষ দিন যে দিন সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারী মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে এই বছর সূর্য ১৪ জানুয়ারী রাত ৮.২১ টায় মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। এদিন বাঙলার ঘরে ঘরে পিঠে পুলি খাওয়ার রীতি রয়েছে। গ্রাম বাংলায় পৌষবুড়িও করে শিশুরা।

    দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিন নানা উৎসব

    শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, মকর সংক্রান্তিকে (Makar Sankranti) কেন্দ্র করে সারা দেশ জুড়ে পালিত হয় নানা উৎসব। যেমন তামিলনাড়ুতে হয় পোঙ্গল, মূলত এই উৎসব হল দেবরাজ ইন্দ্রের পূজা। আবার পাঞ্জাব হরিয়ানাতে হয় লোহরি, আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে এদিন মহিলারা গান গাইতে গাইতে ঘোরেন এবং আগুনে চিড়ে, মুড়ি ইত্যাদি আহুতি দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে এই উৎসব খিচড়ি উৎসব নামে পরিচিত। এদিন ভক্তরা গঙ্গাস্নান করেন। মাঘ মেলার শুরু হয় সেখানে। গুজরাটে এদিন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি দেখা যায়, বড়রা ছোটদের উপহার দেয়। গুজরাটে এই উৎসব উত্তরায়ণ নামে প্রসিদ্ধ। আসামে, মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উৎসব মাঘ বিহু এবং ভোগালী বিহু নামে পরিচিত।

    এদিন থেকেই বসন্তের আগমন হয় বলে বিশ্বাস

    মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয় এবং এদিনই বসন্তের আগমন ঘটে। এমনটাই জানা যায় বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী। মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) পরথেকেই দিনের দৈর্ঘ্য বড় হতে থাকে এবং রাত ছোট হতে থাকে। 

    মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) অন্য গুরুত্ব

    মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) সূর্য দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণে যায়। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে দক্ষিণায়ণ হল দেবতাদের রাত এবং উত্তরায়ণ হল দেবতাদের দিন। এই দিনে পূজা ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, এই দিনে দান করলে এর ফল বহুগুণ হয়।

    এদিনই দেহত্যাগ করেন পিতামহ ভীষ্ম

    পুরাণ মতে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকালে নিজের প্রাণত্যাগ করার জন্য মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) তিথিকেই নির্বাচন করেছিলেন পিতামহ ভীষ্ম। 

    কপিল মুনির আশ্রম হয়ে গঙ্গা এদিন সাগরে মিশেছিল 

    পুরাণ মতে, এই তিথিতেই ভগীরথের পিছু চলতে চলতে কপিল মুনির আশ্রম হয়ে সাগরে মিশে যান গঙ্গা। তাই এই উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়। কপিল মুনির আশ্রমে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের ভিড় দেখা যায় এদিন। মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) পূণ্য স্নান করেন ভক্তরা।

    অন্য পৌরাণিক মতে এদিন পুত্র শনির গৃহে প্রবেশ করেন সূর্য

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, শনিদেব কালো তিল দিয়ে সূর্য পুজো করেন। শনির পুজোয় প্রসন্ন সূর্য আশীর্বাদ করেন তাঁকে। আশীর্বাদে তিনি বলেন, শনির অপর ঘর মকরে যখন তিনি প্রবেশ করবেন সেদিন মর্ত্য লোক ধন-ধান্যে ভরে যাবে। সূর্যের মকরে প্রবেশ করার তিথিই মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) নামে পরিচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যেন এক টুকরো ভারতে পরিণত হয়েছে। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির মানুষ এসেছেন সাগরে। নিজেরা নিজেদের মতো করে ভক্তি ভরে সাগরে স্নান করার পাশাপাশি প্রাণ ভরে ভক্তি নিবেদন করে চলছে তর্পন। আবার কেউ কেউ প্রদীপ জ্বালিয়ে করছেন প্রার্থনা। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সংসারের পাপ থেকে মুক্ত হতে কেউ সাগরে দিচ্ছেন ডুব আবার কেউ বাছুরের লেজ ধরে হতে চাইছেন বৈতরণী পার। দূরদূরান্ত থেকে আগত সাধু-সন্তরা জটা ধরে সাগরের জলে দিচ্ছেন ডুব। এই পুণ্যস্নানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে।

    শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ কখন(Gangasagar)?

    মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)। সাগরের জলে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরের পুজো দিয়ে ঠাকুরের কাছে মঙ্গল কামনা এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা জানালেন পুণ্যার্থীরা। রবিবার রাত ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছে এবং চলবে আজ দুপুর ১২ টা ১৩ পর্যন্ত। আর এই পুণ্যলগ্নে স্নান সারছেন দেশ-বিদেশ থেকে আশা পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নানের রীতি মেনেই  সাগরে ডুব দেওয়ার পর কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তীর্থ যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্য লাভের আশায় সাগরে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। একই ভাবে দেশের বাইরে নেপাল থেকেও এসেছেন অনেক ভক্ত। সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তৎপর প্রশাসন

    গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে সবদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাখা হয়েছে সিসিটিভি। রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে আকাশ পথেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। প্রবল কুয়াশার জন্য ফেরি চলালচল ব্যাহত হয়েছে। কচুবেড়িয়ায় করা হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। একাধিক এলাকায় রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। এনডিআরএফ, অসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি এদিন পুণ্যস্নান সারেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। এবারের মকরসংক্রান্তিতে নানা ভাষা নানা পরিধান নানান সংস্কৃতির মানুষের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত। প্রশাসনের দাবি এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের মাত্রা অতিক্রম করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

LinkedIn
Share