Tag: Malaria

Malaria

  • Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করতে জিনতত্ত্বের নতুন প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বার্কিনা ফাসো ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেও নাকি সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। ‘নেচার’ জার্নালেরই একটি বিভাগ ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ এই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে ধ্বংস করবে ম্যালেরিয়ার মশার বংশ? (Malaria)

    এমনিতেই হাজার চেষ্টা করেও ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করা যায়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা যে রক্ষাকবচ তৈরি করেছেন, তা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস মশারা দিনে দিনে তাদের চরিত্র বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। রাসায়নিক স্প্রে, কীটনাশক প্রয়োগ করে সাময়িক ভাবে তাদের রুখে দেওয়া হয়তো সম্ভব, কিন্তু তাতে সুদূরপ্রসারী ফল মেলে না। রাসায়নিকের প্রভাব কেটে গেলে ফের স্বমহিমায় ফিরে আসে তারা। তাই মশা মারতে আর কামান না দেগে বরং জিনবিদ্যাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর নতুন পদ্ধতিটি আগের পদ্ধতিগুলির চেয়ে অনেকটাই আলাদা। জানা গিয়েছে, এমন কিছু ছত্রাক আছে, যারা মাটিতে বা জলে জন্মায় এবং কীটপতঙ্গের শরীরে ঢুকলে বিষক্রিয়া করতে পারে। এদের বলে ‘এন্টোমোপ্যাথোজেনিক ফাঙ্গাস’। এই প্রজাতির কিছু ছত্রাককে নিয়েই গবেষণাটি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছত্রাকগুলিকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। এর পর সেগুলিতে জিনগত বদল ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যাতে সেগুলি প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করতে পারে। পুরুষ মশার শরীরে এই ছত্রাকের রেণু ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে! ‘জেনেটিক মিউটেশন’-এর কারণে ছত্রাক কেবল বিষই তৈরি করবে না, পুরুষ মশার শরীরে ঢুকে তাদের চরিত্রও বদলে দেবে। পুরুষ মশার শরীরে ঢুকবে মারণ ছত্রাকের রেণু। তাই বয়ে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী মশাদের আকৃষ্ট করে প্রেমের জালে ফাঁসাবে পুরুষেরা। মিলন হলেই সর্বনাশ। সঙ্গমের পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্ত্রী মশারা।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন গবেষকরা?

    গবেষকরা বলেন, “ছত্রাক পুরুষ মশার শরীরে তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ, পুরুষ অ্যানোফিলিস মশা বাহকের (Malaria) কাজ করবে। ছত্রাক বয়ে নিয়ে গিয়ে তারা স্ত্রীদের আকৃষ্ট করবে। সঙ্গমের পরেই স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার শরীরে ঢুকে যাবে সেই ছত্রাকের রেণু। আর এর পরেই রোগ ছড়াবে দ্রুত। ছত্রাক শরীরে ঢোকার ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হবে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার।” আমেরিকা ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এই পরীক্ষা করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতি সম্পর্কে চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের মত, “জিনগত রূপান্তর ঘটিয়ে মশার বদল আগেও করা হয়েছে। যদিও সার্বিকভাবে সব জায়গায় এর প্রয়োগ হয়নি। মারণ ছত্রাক ঢুকিয়ে মশার সঙ্গম ঘটানোর প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে তা হল প্রথম বিষয়, দ্বিতীয়ত সেই মশা কামড়ালে মানুষের শরীরে কী প্রভাব পড়তে পারে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। গবেষণাটি পরীক্ষার স্তরেই আছে। সেটির বাস্তব প্রয়োগ শুরু না হলে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    এর আগেও পরীক্ষায় কী ফল মিলেছিল?

    জিনগত প্রযুক্তি (Malaria) ব্যবহার করে এর আগেও মশা (Mosquito) ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল ব্রাজ়িল সরকার। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল অবধি চলেছিল ওই পরীক্ষা। একটি ব্রিটিশ সংস্থা ব্রাজ়িল সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ওই শহরে সাড়ে চার লক্ষ পুরুষ মশা ছাড়ত, যাদের জিনগত রূপান্তর ঘটানো হয়েছিল। ফলে, ওই পুরুষ মশার সঙ্গে সঙ্গম করলে স্ত্রী মশা বংশবিস্তারের ক্ষমতা হারাবে। যদি বা অপত্যের জন্ম দিতে পারে, তা বেশি দিন বাঁচবে না। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হয়নি। প্রথম প্রথম স্ত্রী মশারা ফাঁদে পড়লেও পরে নাকি সতর্ক হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানান, জিনগত ভাবে রূপান্তরিত পুরুষ মশাদের এড়িয়ে চলত স্ত্রী মশারা। তবে এ বার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পূর্বের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের এই উপায় এবার সফল হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন কয়েক ধরে গরমে জেরবার হচ্ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ! শরতের রোদে প্রায় পুড়েছে সকলে! আবার চলতি সপ্তাহে শুরু প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের অনুমান, আগামী ছ’দিন একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহে আবার রোদের দেখা মিলবে! তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে-কমছে! আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা স্বাস্থ্যের বিপদ (Children Diseases) বাড়াচ্ছে! বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। তাই সতর্কতা জারি না রাখলে আরও সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর (Children Diseases)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার এই রকমফের বাতাসে একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়াচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে একাধিক রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু। আর তার জেরেই নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহে শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বরের প্রকোপ কয়েক গুণ বেড়েছে। গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর! এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ গরম আবার তারপরেই লাগাতার বৃষ্টি-সব মিলিয়েই এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    আবার দিন কয়েক আগে তাপমাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় (Strange weather) বহু শিশু ‘হিট বার্ন’-এর মতো সমস্যায় ভুগছে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও ভাইরাসঘটিত রোগের কবলে না পড়লেও বহু শিশুর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে মাপলে মনে হবে শিশুর জ্বর হয়েছে। দূর্বলতাও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়ার জেরে শিশুর দেহ এই হঠাৎ বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তাদের দেহ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। তাই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    পেটের অসুখ

    জ্বরের পাশপাশি পেটের অসুখের সমস্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় জল জমে রয়েছে। বন্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুরা মারাত্মক পেটের অসুখে ভুগছে। অনেক জায়গায় পরিশ্রুত জল নেই। ফলে সমস্যা (Children Diseases) আরও বাড়ছে‌। এই আবহাওয়ায় আরেকটি সমস্যা হচ্ছে ছত্রাক সংক্রমণ। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শুষ্ক আর ভিজে আবহাওয়ার এই ঘনঘন পরিবর্তনের জেরে শিশুদের ত্বকে নানান ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে! ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া আবার হালকা একটা আস্তরণ দেখা দিচ্ছে!

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Children Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষায় রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তাই জ্বর হলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা চলবে না।‌ দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ভাইরাস ঘটিত অসুখ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। পাশপাশি নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও লেবু জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ধরনের ফল বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল পড়ুয়াদের টিফিনে নিয়মিত কিউই জাতীয় ফল দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে ভাইরাস ঘটিত অসুখের (Children Diseases) প্রকোপ কমবে‌। 
    ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে শিশুকে নিয়মিত স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি কমে। 
    জলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার জেরে বহু জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে‌। পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জলঘটিত অসুখ যেমন কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    Dengue Fever: বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গি‌ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ! কোন জেলার পরিস্থিতি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে এ বছরেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি (Dengue Fever) সংক্রমণ উদ্বেগজনক। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই এবছরেও রাজ্যবাসীর ভোগান্তির কারণ হবে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    কোন জেলা চিন্তা বাড়াচ্ছে? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি বছরে ডেঙ্গি নিয়ে সব চেয়ে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরভর কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছিল। কিন্তু জুন মাস থেকে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কলকাতায় চলতি মাসে শতাধিক মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন। ২০২৩ সালে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল ভয়ানক। এই দুই জেলার প্রায় পনেরো হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরেও সংক্রমণ যথেষ্ট ছিল। তবে গত দেড় মাসে এই দুই জেলায় সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক‌ভাবে‌ বেড়েছে।

    বাড়তি দুশ্চিন্তা ম্যালেরিয়া?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে নাজেহাল রাজ্য প্রশাসন। প্রত্যেক বছরেই সংক্রমণ, আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। এবছরে তার সঙ্গে বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ ম্যালেরিয়া। কারণ, বর্ষার মরশুম (Rainy Season) শুরু হওয়ার আগেই কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট জারি ছিল। প্রত্যেক মাসে শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্ষার মরশুমে সেই সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়েছে। 
    একদিকে ডেঙ্গি, আরেক দিকে ম্যালেরিয়া, মশাবাহিত এই দুই জোড়া সংক্রমণ রুখতে আরও সক্রিয়তা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক এলাকা পরিষ্কারের দিকে এই সময়ে বাড়তি নজর দিতে হবে। স্কুল, কলেজ, পার্ক এই সব জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, আগাছা না জন্মায় সেটা দেখা জরুরি। বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে পারলেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমবে। তবে সাধারণ মানুষকেও‌ সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

    পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন? (Dengue Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সমস্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। পুরসভা, পঞ্চায়েত, পুর্ত দফতর সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রত করতে হয়, এটা এখন সকলেই জানেন। শুধু সক্রিয়তা বাড়াতে হবে। পুরসভা আর পঞ্চায়েতকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর স্বাস্থ্য দফতরেও ঠিকমতো রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নিজেদের মতো যা খুশি করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ মুশকিল (Rainy Season)।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Malaria: চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া! পুরুলিয়াতেই ১৬৬ জন আক্রান্ত, আতঙ্ক

    Malaria: চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া! পুরুলিয়াতেই ১৬৬ জন আক্রান্ত, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা আসতেই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ডেঙ্গিতে ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরই পাশাপাশি এবার পুরুলিয়া জেলায় ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ফলে, জেলাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও উদ্বিগ্ন।

    জেলায় ১৬৬ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত (Malaria)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় (Purulia) আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৬ জন। এর মধ্যে বলরামপুর ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে। ম্যালেরিয়া (Malaria) আক্রান্তের খবর পেয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে যান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস। শনিবার পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের বাঁশগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন তিনি। সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রায় ৫০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন। একইসঙ্গে আশাকর্মী এবং স্বাস্থ্য দফতরের টিম গ্রামে গ্রামে গিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষের রক্ত পরীক্ষা শুরু করেছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের লক্ষণ ধরা পড়লেই প্রাথমিক চিকিৎসা করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতরের ওই দল। বলরামপুর শহরের বেশ কয়েকজন ছাত্রী মাথা ব্যাথা জ্বর নিয়ে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করাতে। রক্ত পরীক্ষা করার পর ম্যালেরিয়ার রিপোর্ট ধরা পড়ছে।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বলরামপুর ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের সেভাবে নজর নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য প্রথম থেকে স্বাস্থ্য দফতরের যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়নি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই এখন স্বাস্থ্য দফতরের হুঁশ ফিরেছে।

    গতবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে

    জেলা (Purulia) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলরামপুর, বাগমুন্ডি, ঝালদা সহ একাধিক ব্লকে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেড সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে অস্থায়ী শিবির করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই বর্ষাকাল। তবে জাঁকিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার (Dengue and malaria) প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে (Health Update) জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪১। মৃত্যুর কোনও খবর এখনও নেই। এপ্রিল মাসের শেষে এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা  ২ হাজার ১৬৪ জন। বাংলায় মৃত্যু হয়েছে এক ম্যালেরিয়া রোগীর। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ।

    বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে একশোর ঘর। গত ছ’মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এখানে মশা-বাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোর কোঠা। মালদা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং হুগলির ছবিটাও ভয় ধরায় মনে।

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে (Health Update)। মালদায়ও সংখ্যাটা প্রায় একই। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর ওপরে। হুগলিতে দেড়শোর কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দিয়েছিল গত এক যুগের রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এমতাবস্থায় জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। এজন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।

    এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা ছাড়াও, হালকা জ্বর এবং পেটে মোচড় দেওয়ার মতো উপসর্গও এবার দেখা যাচ্ছে। তাই পেট খারাপ ও অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গির (Dengue and malaria) এনএস ওয়ান পরীক্ষা লিখতে হবে প্রেসক্রিপশনে (Health Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malaria Vaccine: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    Malaria Vaccine: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও প্রতিষেধকই বাগে আনতে পারছে না প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপরামকে (ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া)। সারা পৃথিবীতেই দাপট দেখাচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria Vaccine)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ফলাও করে জানিয়েছিল, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক এসে গিয়েছে। এ বার মারণ অসুখের প্রকোপ কমে যাবে। আদতে তা হয়নি। তবে, এবার দিশা দেখাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা নাশ করবে ম্যালেরিয়ার জীবানুকে। তবে এনিয়ে গবেষণা চলছে। 

    জেএনইউ গবেষকদের দাবি

    দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন, এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা ম্যালেরিয়ার জীবাণুকে সমূলে নাশ করবে। আইসায়েন্স বিজ্ঞান পত্রিকায় এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। জেএনইউ-এর মলিকিউলার মেডিসিন বিভাগের দুই অধ্যাপক শৈলজা সিং এবং আনন্দ রঙ্গনাথন এমন এক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীকে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে বাধা দেবে। গোড়া থেকেই রুখে দেবে সংক্রমণ। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) কোপে বিশ্বে চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে আফ্রিকায় মহামারীর চেহারা নিয়েছে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষের। এত মানুষের মৃত্য়ুতে চিন্তিত আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহল। ভারতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম নয়। বর্ষা এলেই ম্যালেরিয়া বিভিন্ন রাজ্য়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করে। 

    আরও পড়ুন: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    কীভাবে রোখা যাবে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ

    অধ্যাপক শৈলজা সিং, অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং তাঁদের দল এমন এক রিসেপটর প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার পরজীবীকে মানুষের শরীরে ঢুকে বংশবিস্তার করতে সাহায্য করে। সাধারণত, ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবী মশার লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তারপর তা রক্তস্রোতে বয়ে গিয়ে যকৃতে সোজা পৌঁছে যায়। যকৃতে বংশবিস্তার করে পৌঁছয় মেরোজয়েট দশায়। তারপর সরাসরি লোহিত রক্তকণিকাকে ধাক্কা দেয়। সেখানেও ম্যালেরিয়ার জীবাণুর একটা জীবনচক্র শুরু হয়। সংখ্য়ায় তারা দ্রুত বাড়তে থাকে তারা। একটা সময় লোহিত রক্তকণিকার দেওয়াল ফাটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে রক্তে। যে নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাহায্যে এই জীবাণুরা মানুষের শরীরের সুস্থ কোষগুলিকে সংক্রমিত করে সেই প্রোটিনটিকে আলাদা করে জেএনইউ-এর গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন। এর উদ্দেশ্য হল, ওই প্রোটিন দিয়েই ভ্যাকসিন তৈরি করে ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীদের মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দিতে পারবে।গবেষকরা (JNU Scientists) বলছেন, গবেষণা চলছে ওই প্রোটিন নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলা যাবে আরও উন্নত মানের ম্যালেরিয়ার টিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় হাওড়া (Howrah) শহরের বুকে রীতিমতো ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পরিস্থিতি যখন এতটাই ভয়াবহ, তখন তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যান বললেন, “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে”। আর এই মন্তব্যেরই বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। এলাকায় পুরসভার জীর্ণ স্বাস্থ্য কাঠামোর বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই বহিরাগত মানুষের কথা তুলে ধরছেন তৃণমূলের এই নেতা। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। কিন্তু বহিরাগত মানুষের কারণে কীভাবে ম্যালেরিয়া ছড়াবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় মাত্র। বর্তমানে মশাবাহিত রোগের প্রকোপে অতিষ্ঠ হাওড়াবাসী। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্নও।

    ম্যালেরিয়ায় উদ্বেগ (Howrah)

    হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা। তার মধ্যে আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাসিন্দাদের। যদিও হাওড়া পুরসভার দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ

    হাওড়া পুরসভার নাগরিকরা বলেছেন, ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ছোট থেকে বড়, সকলে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারি টাঙিয়ে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, যাঁরা জ্বর নিয়ে আসছেন তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ডেঙ্গি, কেউ বা আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে কিছু রোগীকে ভর্তি করতে হচ্ছে।

    কমলেশ রাম নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, “আমার দিদির ম্যালেরিয়া হয়েছিল। জ্বর কমছিল না। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়”। অপর দিকে মিঠু মুখার্জি নামে আরও এক রোগীর এক আত্মীয় জানান, নাতনির বারবার জ্বর আসছিল। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার যেভাবে হচ্ছে, তাই ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা চলছে। হাওড়া হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল মশার কামড় রুখতে রোগীদের শয্যায় মশারি খাটানো হয়েছে।

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কত?

    হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮ জন। বর্তমানে ৪, ২৩ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। হাওড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। এই বছরের অগাস্ট মাস পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮।

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন যে ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিছু মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “এই দুই রোগের প্রকোপ দেখা দিলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। কারণ ওই ওয়ার্ডে মঙ্গলাহাট এবং লরি পার্কিং জোন থাকায় প্রচুর বাইরের মানুষ নিয়মিত আসেন। সেখান থেকেই এই ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে”। ফুটপাতের বাসিন্দাদের জন্য মশারি বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচার করা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি সকলকে ঘুমের সময় মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর কি নিপার (Nipah Virus) কবলে পড়তে চলেছে রাজ্যবাসী! সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকার এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশি, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকেই চিকিৎসকদের আশঙ্কা হয়, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপসর্গ দেখে সেখানেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তিনি নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে তবেই নিশ্চিন্ত হতে পারবে চিকিৎসক মহল।

    কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল? 

    কেরলে ইতিমধ্যেই নিপা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে শুরু করেছে। কোঝিকোড় সহ কয়েকটি জায়গায় আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রোগ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু দিন কয়েক আগেই, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানিয়েছিল, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যগুলোয় নিপা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে জানান দেয় নিপা? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন থেকে চার দিন জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের জানান দেয়। তাই এই উপসর্গ দেখা দিলে আর দেরি করা উচিত নয়। দ্রুত আলাদা ঘরে থাকা উচিত। যাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রোগ (Nipah Virus)  না ছড়িয়ে পড়ে। পাশপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। তবে, চলতি মরশুমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো একাধিক রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা। আবার সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দু থেকে তিনদিন জ্বর আর মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে আর অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষার। কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তা দ্রুত নিশ্চিত করা জরুরি। তবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হবে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার মতো মহামারি হোক, বা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত সংক্রামক রোগ, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যবাসী। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগ (Chickenpox) হাজির! বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, বছরের শেষে নতুন উদ্বেগ বিপদ বাড়াতে পারে! তাই আগাম সতর্কতা জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, বছরের শেষে হানা দিতে পারে চিকেন পক্স (Chickenpox)। শীতের শুরুতে প্রত্যেক বছরেই চিকেন পক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর উদ্বেগ বেশি। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি বছরে চিকেন পক্সের প্রকোপ বেশি। বিশেষত শিশুদের চিকেন পক্স বেশি হচ্ছে। তবে, বাড়তি উদ্বেগের কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের দেহে নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত ভারতে যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, তার থেকে ভিন্ন। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, ভারতীয় শিশুদের অধিকাংশের চলতি বছরে সেই প্রজাতির চিকেন পক্স হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয়, নতুন প্রজাতি নয়া রূপে হাজির হলে চিকিৎসায় সমস্যা হবে না তো!

    নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ কেন? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, একই রোগ (Chickenpox) নতুন প্রজাতি নিয়ে হাজির হলে অনেক সময়েই প্রচলিত চিকিৎসা কাজ করে না। তাই বিপদ বাড়ে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। যে ওষুধ ও টিকা চিকেন পক্স রুখতে ব্যবহার করা হয়, তারা নতুন প্রজাতির দাপট কমাতে কতখানি কার্যকর হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। চিকেন পক্সের সংক্রমণ শক্তি প্রবল। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, চিকেন পক্সের (Chickenpox) টিকা নেওয়া আবশ্যক। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের এই টিকা অবশ্যই দেওয়া দরকার। এতে বড় বিপদ এড়ানো যায়। নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স রুখতে প্রচলিত টিকা সক্ষম নয়, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই টিকা অবশ্যই নিতে হবে। এতে পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ না হলেও বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকেন পক্স হলে অনেক ক্ষেত্রে লিভার, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের বড় বিপদের ঝুঁকি কমে। তাই শিশুদের শীতের আগেই এই টিকা নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তার পাশপাশি, বড়দের জন্যও টিকাকরণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের হার খুব কম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড়দের থেকেই সংক্রামক রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই বড়দের সুস্থ থাকার দিকে বেশি নজরদারি জরুরি। টিকাকরণ হলে তবেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাই চিকেন পক্সের দাপট রুখতে জরুরি টিকাকরণ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির দাপটে নাজেহাল হয় বঙ্গবাসী। এবার তার সঙ্গে শক্তি বাড়িয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মশার এই জোড়া আক্রমণ সামলাতে পারবে কি রাজ্য প্রশাসন? নাকি ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে? উদ্বিগ্ন রাজ্যবাসী!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Malaria)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেই ম্যালেরিয়া (Malaria) সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্বিগুণ। তাই উদ্বেগ বাড়ছে। ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৯০ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, শিয়ালদহ, কসবা, খিদিরপুরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তবে, কলকাতার পাশপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং হাওড়া। এই তিন জেলাতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে ম্যালেরিয়ার (Malaria) প্রকোপ? 

    পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য বাড়ছে ম্যালেরিয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার (Malaria) সংক্রমণ বহন করে স্ত্রী অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। এই মশার প্রজাতি জমা জলে বংশ বিস্তার করে। বিশেষত, বড় জায়গার জমা জল, যেখানে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেই ম্যালেরিয়ার রোগ বহনকারী মশার আঁতুড় ঘর। আর শহরের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হলেই জল জমে। বৃষ্টি কমলেও, শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল সরতে কয়েক দিন সময় লাগে। আর জমা জল থেকেই বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। শহরের রাস্তায় জল জমা বন্ধ করতে না পারলে কিংবা নর্দমা অপরিচ্ছন্ন থাকলে ম্যালেরিয়া থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন পতঙ্গবিদরা।

    ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে কী করবেন সাধারণ মানুষ? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দিক এলাকাবাসী। ছাদে কিংবা বাগানে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হোক। পাশপাশি, নিকাশির সমস্যা হলে পুরসভাকেও জানাতে হবে। কারণ, পরিষ্কার পরিবেশ না থাকলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ মুশকিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, জ্বর হলে মোটেও অবহেলা করা চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে, অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়।

    ম্যালেরিয়া রুখতে কী পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী অবশ্য জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে পারেন সাধারণ মানুষ। তিনি জানান, মানুষের সচেতনতা না থাকলে এই সমস্যা আটকানো যাবে না। তবে, ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়া ভয়াবহ হবে না। কারণ, তার চিকিৎসা রয়েছে। 
    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুধুই সাধারণ মানুষের সচেতনতা গড়ার কাজ কি যথেষ্ট? ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের আরও তৎপরতার কি প্রয়োজন নেই? সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share