Tag: Malegaon Blast

  • Malegaon Blast: হিন্দু সন্ত্রাসের মিথ্যা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এটিএস আধিকারিক, তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

    Malegaon Blast: হিন্দু সন্ত্রাসের মিথ্যা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন এটিএস আধিকারিক, তদন্তের নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত প্রসাদ পুরোহিতসহ ৭ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, তৎকালীন মহারাষ্ট্র এটিএস-এর আধিকারিক শেখর বাঘদে-র (বর্তমানে মুম্বইয়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার) বিরুদ্ধে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যে প্রমাণ প্রতিস্থাপনের অভিযোগে (Malegaon Blast) তদন্তের সুপারিশ করেছেন এনআইএ আদালতের বিশেষ বিচারক একে লাহোটি।

    আরডিএক্সের প্রমাণ রেখে আসেন এটিএস কর্তা (Malegaon Blast)

    প্রসঙ্গত, মালেগাঁও বিস্ফোরণ (Malegaon Blast) মামলার তদন্তভার ২০১১ সালে মহারাষ্ট্র এটিএস-এর হাত থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) গ্রহণ করে। NIA-এর তদন্ত অনুসারে, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন এটিএস কর্তা শেখর বাঘদে সুধাকর চতুর্বেদীর বাড়িতে যান। চতুর্বেদী একজন মিলিটারি ইনফর্মার হিসেবে কাজ করতেন এবং তাঁর সঙ্গে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিতের যোগাযোগ ছিল। এনআইএ চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে শেখর বাঘদে অবৈধভাবে সুধাকর চতুর্বেদীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে RDX-এর ছাপ রেখে আসেন, যাতে তাঁকে মামলায় ফাঁসানো যায়। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দুই সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারক নিজেও এই সাক্ষ্যের গুরুত্ব স্বীকার করেছেন (Malegaon Blast Case)।

    ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করার প্রচেষ্টা (Malegaon Blast Case)

    তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, সুধাকর চতুর্বেদী যখন বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন, সেই সময়েই শেখর বাঘদে চুপি চুপি তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে বিস্ফোরকের প্রমাণ রেখে আসেন। আদালত জানিয়েছে, শেখর বাঘদের কার্যকলাপ অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করার প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছে (Malegaon Blast)। বিচারকের হাজার পাতার রায়ে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা এটিএস বা এনআইএ—কোনও পক্ষই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরালো ও নিরপেক্ষ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। আদালত আরও জানিয়েছে, এটিএস যে দাবি করেছিল, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি প্রজ্ঞ ঠাকুরের। সেই দাবিরও কোনও প্রমাণ তারা আদালতে পেশ করতে পারেনি। এ দিনের রায়ের একটি অনুলিপি মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজিপি, এটিএস প্রধান এবং এনআইএ ডিজির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক একে লাহোটি।

  • Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় ১৭ বছর পর বেকসুর খালাস সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya)। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-কে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। এই ঘটনায় তাঁর উপর বছরের পর বছর ধরে চলে নির্মম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। দীর্ঘ নয় বছর কারাবন্দি অবস্থায় থাকতে হয় তাঁকে। ২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের এটিএস (ATS) সাধ্বী প্রজ্ঞাকে গ্রেফতার করে (Malegaon Blast)।
    তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকেই তাঁকে কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই নির্যাতন করা হয়।

    সাধ্বী প্রজ্ঞা কী বলেছিলেন অত্যাচার নিয়ে?

    জবানবন্দিতে সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya) বলেন: “সেই দিনগুলি ছিল আমার জীবনের এক বিভীষিকা। ১৩ দিন ধরে আমাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছিল।
    প্রথমেই কোনও প্রশ্ন না করেই চওড়া বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, আমাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং নগ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলেছিল। একজন নারী হিসেবে (Malegaon Blast) এমন অভিজ্ঞতা যেন আর কোনো নারীর না হয়।”

    তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না, হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো

    তিনি (Sadhvi Pragya) আরও জানান, তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না। হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো, পরে তা লবণ জলে ডুবিয়ে রাখা হতো। তাঁকে জোর করে অশ্লীল সিডি শুনতে বাধ্য করা হতো। বারবার তাঁকে বলা হতো শীর্ষস্থানীয় আরএসএস নেতাদের নাম করে স্বীকারোক্তি দিতে। তাঁর ওপর চালানো হয় নার্কো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট-সহ নানা বৈজ্ঞানিক নির্যাতনমূলক প্রক্রিয়া।

    এই নির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল তথাকথিত “গেরুয়া সন্ত্রাস” প্রমাণ করা এবং হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা। তবে, দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে, ২০২৫ সালে আদালত তাঁকে সম্পূর্ণভাবে বেকসুর খালাস দেয়। সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, “হিন্দুত্ব জয়ী হয়েছে, ভগবান জয়ী হয়েছেন। আমি আশাবাদী, ঈশ্বরই একদিন দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেবেন।” ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোপাল কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং সেই থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ঘটে।

LinkedIn
Share