Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    Supreme Court: সিঙ্গুর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার, মামলা শুনবে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে সালিশি আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার জন্য টাটা মোটরসকে ৭৬৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত যে বিষয়টি রয়েছে, তা কলকাতা হাই কোর্টেই শুনবে। চলতি মাসেই, আগামী ১২ অগাস্ট বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে, সিঙ্গুর সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে।

    ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় সালিশি আদালত

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানা না হওয়ার জন্য ৩ সদস্যের একটি সালিশি আদালত টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ — অর্থাৎ প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩ সদস্যের এই আদালত ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সালিশি আদালতের সেই নির্দেশ সামনে আসতেই ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি বিবৃতি দিয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। সেই বিবৃতিতে তারা বলেছিল, “২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের সালিশি আদালতে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মত ভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলা হয়েছে।”

    পর্যবেক্ষণে কী জানিয়েছিল হাইকোর্ট?

    পরবর্তীকালে এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার এবং সেই মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, সালিশি আদালতের সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভিএস শ্রীপুরকর আসলে টাটা মোটরসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। রাজ্যের আরও দাবি ছিল, সালিশি আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া আসলে পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। কিন্তু গত ১৯ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন (Singur Tata Case)। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলছে রাজ্য সরকার, আসলে তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই। এরপরে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা খারিজও করে দেন তারা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টেই হবে।

    ২০০৬ সালে টাটাকে জমি দেয় রাজ্য সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি কারখানা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেক্ষেত্রে টাটাকে এক হাজার একর জমি দেওয়া হয় (Singur Tata Case)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা করতে পারেনি টাটা। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই জমি টাটার কাছে ফেরত চায় তারা। টাটা গোষ্ঠী জমি ফেরাতে রাজি হয়। জমির দামের সঙ্গে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল টাটা, তাও যোগ করা হয়। কিন্তু টাটার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মমতা সরকার। তারপরেই লড়াই শুরু হয় আদালতে।

    ২০২৩ সালে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    ২০২৩ সালে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ও টাটা মোটরসের মধ্যে মামলায় সমস্যা মেটাতে আর্বিট্রেটর নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সালিশি আদালতের সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলে রাজ্য। পরে হাইকোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অন্যদিকে টাটার তরফ থেকে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সওয়াল-জবাব

    কপিল সিব্বল জানান যে, আর্বিট্রেটরের এক বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁকে নাকি টাটাদের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে। তীব্র আপত্তি জানান মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কিভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা যায়? এর পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতে তিনি আবেদন জানান যে এই মামলা খারিজ করে রাজ্যকে জরিমানা করা হোক। রাজ্যকে বড় জরিমানা করার দাবি ও করেন তিনি। এরপরই শীর্ষ আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায়, যদি কোনও ভাবে বোঝা যায় যে এই দাবি অনায্য, তবে রাজ্যকে বড় জরিমানা করা হবে। মুকুল রোহতগি বলেন, সবকিছুর সীমা থাকা উচিত। রাজ্যকে বড় জরিমানা হোক। এরপরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাদের হাতে তুলে দিতেই হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

  • NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    NRC: এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআরসি (NRC) নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এমন দাবি করতে শোনা গেল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এনআরসি নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালিদের মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (NRC)

    গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “হঠাৎ উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন, আমি এনআরসি মানব না। কে এনআরসি-র নির্দেশ দিয়েছে? বিগত পাঁচ বছরে উনি এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। হঠাৎ তিনি এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাঙালিদের মধ্যে ভয় তৈরি করা এবং তাদের ভোট আদায় করার কৌশল এটা। গত ৫ বছরে এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি। এখন নির্বাচন আসছে, তাই উনি এইসব কথা বলতে শুরু করেছেন।”

    এসআইআরের বিরোধিতা কেন করছেন মমতা?

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক বাদ দেওয়ার যে প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশন চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, তাকেই এনআরসি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এসআইআর তো নতুন কিছু নয়, আগেও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। এভাবে ভোটার তালিকায় থাকা অবৈধ ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে বাধা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে কাদের সুরক্ষিত করতে চাইছেন — সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে (NRC)।অনেকের মতে, অবৈধ ভোটব্যাঙ্কই (NRC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটে জেতার বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। তাই তিনি এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে একাধিক সভায় বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হতে যাচ্ছে—এই নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চলতি অগাস্ট মাসেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘এসআইআর (Special Intensive Revision) হলে প্রায় ৯০ লাখ নাম বাদ পড়বে।’’ তাঁর মতে, ‘‘কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিহারে যদি ৩০ লাখ নাম বাদ যেতে পারে, তবে বাংলায় অন্তত ৯০ লাখ নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘নিবিড় সমীক্ষা শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ লাখ থেকে কমে ১ কোটি ৭৫ লাখে নেমে আসবে।’’

    কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না

    বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিএলও-দের ধমক দিয়েছিলেন (SIR)। আপনারা জেনে রাখুন এক্সটেনশনে থাকা স্তাবক মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ১৩ সিসি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই ৫ জুলাইয়ের পরে নিয়োগ করা একটাও বিএলও যুক্তিসঙ্গত কারণ ও সিইও অনুমোদন ছাড়া আপনি আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না। আমার বিশ্বাস সে বার্তা তিনি পেয়ে গিয়েছেন। কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না।”

    তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যে নির্বাচনের দিন যেভাবে সন্ত্রাস ও রিগিং দেখা যায়, তার মূলে রয়েছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক। অনেকের মতে, এই অবৈধ ভোটব্যাঙ্কের ওপর ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে আছে। সম্প্রতি বোলপুরে এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি কোনও নির্দেশ আসে, তবে তা সরাসরি মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে।’’ তিনি বলেন, “কোনও নির্দেশ এলে মুখ্যসচিবকে জানাবেন। আমাদের না জানিয়ে হুটপাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। কখনও এই জিনিস হয়নি। ভয় দেখালেই আপনারা ভয় পাবেন! তাহলে ঘরে বসে থাকুন।” এনিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিএলও বন্ধুদের বলব তাঁরা এ রাজ্যের সরকারের কর্মচারী। নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাঁরা কাজ করবেন। ইলেকশন কমিশন বললে আপনারা কাজ শুরু করুন। আপনারা আক্রান্ত হলে সংবিধান আক্রান্ত হবে। আমরা তো আওয়াজ তুলবই। বাকি তো ইলেকশন কমিশনকে বুঝে নিতে হবে।”

    দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন

    এরপরই এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “এসআইআর নতুন কিছু নয়। ২০০২ সালেও এই রাজ্যে হয়েছিল। ২০০৪ সালে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল, ২৬ লক্ষ নাম বাদ চলে গিয়েছিল। এবার এসআইআর হওয়ার পর আপনার ভোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৫ নেমে যাবে। কিছু করতে পারবেন না। দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন।”

    বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম সেখান থেকে বাদ যায়। মৃত বা নিখোঁজ ভোটারদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্বাচন কমিশন তারপর নতুনভাবে ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো  চিঠিতে কমিশন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—গোটা দেশেই এসআইআর হবে। তাই বিহারের মতো সব রাজ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত করা যায়।

    ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন

    জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে বিএল (BLO) নিয়োগ শুরু করারও কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি দফতরের কর্মীদেরই বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি থানায় একজন করে বিএলও নিয়োগ করা হবে। আর প্রতি ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার কথা বলা হয়েছে—বলে সূত্রের খবর।

    ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন

    প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নিবিড় সমীক্ষা হচ্ছে না এ রাজ্যে। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছিল নিবিড় সমীক্ষা। ইতিমধ্যে সেই সময় ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সেখানে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা স্বস্তি পেয়েছেন এসআইআর থেকে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া—এই জেলাগুলির নাম তালিকায় রয়েছে।

  • Mamata Govt Fake Voter Card: মমতা সরকার বিপাকে, পলাশ নামে মালদার ভোটার কার্ড নিয়ে বাংলাদেশি শেখ মঈনুদ্দিন গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশে

    Mamata Govt Fake Voter Card: মমতা সরকার বিপাকে, পলাশ নামে মালদার ভোটার কার্ড নিয়ে বাংলাদেশি শেখ মঈনুদ্দিন গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহারের মতো বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। মোট নাম বাদ পড়ছে ৬৫ লক্ষ ২০ হাজার। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন হলে প্রায় এক কোটি নাম বাদ পড়তে পারে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি যে খুব একটা মিথ্যে নয় তার প্রমাণ মিলল ফের। বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা শেখ মঈনুদ্দিন দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘পলাশ অধিকারী’ নামে ভারতের নাগরিক হিসেবে জীবন কাটাচ্ছেন। হিন্দু পরিচয়ে, মালদার এক স্থানীয় পরিবারের সদস্য হিসেবে দিন গুজরান করছেন পলাশ। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় পলাশ গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    রমেশের ছেলে পলাশ

    মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে সম্প্রতি ধরা হয় পলাশ অধিকারীকে। অভিযোগ তিনি বাংলাদেশি। কিন্তু পলাশের কাছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ছিল সে সঙ্গে সঙ্গে ইত্যাদি দেখিয়ে প্রমাণ করল সে খাঁটি ভারতীয় এবং একজন হিন্দু। সে কোনমতেই বাংলাদেশি নয়। তখনো পুলিশের সন্দেহ সে বাংলাদেশি। শেষ পর্যন্ত তাকে আদালতে তোলা হল। আদালত জিজ্ঞাসা করল- আপনার নাম? অভিযুক্ত উত্তর দিলেন পলাশ অধিকারী। বয়স? ৪২। বাবার নাম? রমেশ অধিকারী। ঠিকানা? কাশিমপুর, মালদা, পশ্চিমবঙ্গ। ভোটার লিস্ট এবং আধার কার্ড মিলিয়ে দেখা গেল পলাশ যা যা বলছে সবই সত্যি। রমেশ অধিকারীর চার ছেলে পলাশ, সুব্রত, মিহির, সৌমেন ও রাহুল। কিন্তু পুলিশ তখনও অভিযোগ করে যাচ্ছে সে বাংলাদেশি। কিন্তু তা কি করে হয়? রমেশ অধিকারী ভারতীয়। তার জন্ম ১৯৬২ সালে মালদায়। ১৯৮৪ সাল থেকে সে নিয়মিত ভোট দিচ্ছে এবং তার পরিবারের একজন স্ত্রী ও চার পুত্র সবাই এখন ভোটার তালিকায় যুক্ত। তাহলে কি পুলিশ ভুল বলছে? খোলা হলো নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা। সেখানেও একই ছবি। রমেশ বাবু ভারতীয় ও হিন্দু অতএব তাঁর স্ত্রী সহ চার ছেলেও ভারতীয়। তাহলে পলাশ অধিকারীকে ছেড়ে দেওয়া হোক।

    কীভাবে হলেন ভারতীয়

    পলাশের উচ্চারণ, স্থানীয় ভাষা ও পারিবারিক তথ্য নিয়ে কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে পুলিশের। সব কিছু দেখে বিচারকের সন্দেহ হয়। তিনি বলেন ২০০২ সালের এসআইআর এর রেকর্ড খোলা হোক। রেকর্ড দেখে সামনে এল আসল সত্য। রমেশবাবুর দুই ছেলে সুব্রত ও সৌমেন। একজনের বয়স ২৮ একজনের ৩০। তাহলে পলাশ ও রাহুল কার ছেলে? ২০১০ সালের রেকর্ড খোলা হল সেখানেও রমেশ বাবুর দুই ছেলে সুব্রত ও সৌমেন। সেখানেও পলাশ ও রাহুলের নাম নেই। খোলা হল ২০১৫ সালের রেকর্ড সেখানে রমেশ বাবুর চার ছেলে হয়ে গেল। চলে এলো পলাশ ও রাহুলের নাম। সঙ্গে সঙ্গে পলাশের অভিযোগ ২০১৫ সালে তার নাম ভোটার লিস্টে উঠেছে। বেশ ভালো কথা। এবার চেক করা হলো রমেশ বাবুর রেকর্ড। দেখা গেল রমেশবাবু বিবাহ করেছেন ১৯৯৩ সালে। প্রথম সন্তান সুব্রত জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালে তার বয়স বর্তমানে ৩০, দ্বিতীয় সন্তান সৌমেন জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৭ সালে তার বয়স বর্তমানে ২৮। তাহলে ৪২ বছর বয়সী পলাশ কিভাবে রমেশ বাবুর পুত্র হন? কোনভাবেই যখন কিছু মেলানো গেল না তখন বেরিয়ে এলো আসল সত্য। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে ধরা পড়ে পলাশ অধিকারী আসলে শেখ মইনুদ্দিন। বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা, আহমেদপুরে। আরও আশ্চর্যের বিষয়ে রমেশ অধিকারী এই শেখ মইনুদ্দীনকে চেনেন না। জিজ্ঞাসা করা হল রাহুল অধিকারীর কথা। রমেশ তাঁর নামই শোনেননি। আদালতে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন রমেশ।

    কীভাবে ভারতীয় নথি পেল মঈনুদ্দিন?

    তদন্তে উঠে এসেছে যে, মঈনুদ্দিন ২০১২ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পৌঁছে যায় মধ্যপ্রদেশে। এই সময়েই স্থানীয় দালালদের সহায়তায় সে জোগাড় করে, জাল পশ্চিমবঙ্গের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট। ভোটার আইডি, যেখানে রমেশ অধিকারীর ছেলের নাম হিসেবে নিজেকে নিবন্ধন করে মঈনুদ্দিন। নাম নেয় পলাশ। আধার কার্ড, ভোটার আইডির ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

    ‘রাহুল অধিকারী’ কে? আরও একজন অনুপ্রবেশকারী?

    ২০১৫ সালের তালিকায় থাকা অপরিচিত নাম ‘রাহুল অধিকারী’ নিয়েও চলছে তদন্ত। অনুমান করা হচ্ছে, তিনিও শেখ মঈনুদ্দিনের মতোই আরেক বাংলাদেশি, যিনি একই চক্রের মাধ্যমে ভারতের বৈধ নথি পেয়েছেন। মালদার স্থানীয় কিছু সচেতন নাগরিক অভিযোগ করছেন, পঞ্চায়েত ও রাজনৈতিক নেতারা বহু বছর ধরেই এই অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিষয়ে অবগত। ভোট ব্যাংক বজায় রাখতে এসব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

    সন্ত্রাসবাদ সংযোগের আশঙ্কা

    গোপন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, শেখ মঈনুদ্দিন পূর্ব ভারতে সক্রিয় কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। যদিও এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোনো সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তদন্তকারী সংস্থা ধারণা করছে সে একটি রিক্রুটার ও কুরিয়ার হিসেবে কাজ করত। এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তির জালিয়াতির গল্প নয়, এটি একটি সিস্টেমের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি এবং একটি গভীর নিরাপত্তাজনিত সংকেত। প্রশাসনের দুর্বলতা, রাজনৈতিক স্বার্থ এবং সীমান্ত এলাকায় নথিপত্র জালিয়াতির সহজলভ্যতা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ কথা বারবার বলছে কেন্দ্র। তাই ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রয়োজন। কিন্তু ভোট-ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উদাসীন।

     

     

     

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

LinkedIn
Share