মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে চরবৃত্তির (Spy) অভিযোগে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার বছর বত্রিশের মঙ্গত সিং। তদন্তের পর ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় তাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি। মঙ্গত আলওয়ারের গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা। আলওয়ারের সেনানিবাস এলাকার ওপর নজরদারির সময় প্রথম মঙ্গতের কার্যকলাপ সন্দেহজনক বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন, সে দীর্ঘদিন ধরে কিছু সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত। এর পরেই কর্তৃপক্ষ তার ওপর নজরদারি করতে শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গত নিয়মিতভাবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।
ঈশা শর্মার ফাঁদে মঙ্গত (ISI)
তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঈশা শর্মা নামে এক মহিলার পরিচয়ে কাজ করত পাক গুপ্তচর সংস্থার এক কর্মী। তারই ফাঁদে পড়েছিল মঙ্গত। বিপুল টাকার টোপও দেওয়া হয় তাকে। রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মঙ্গত আলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্ট ও তার আশপাশের এলাকার ছবি এবং সামরিক তথ্য নিয়মিত তুলে দিত পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে। অপারেশন সিঁদুরের সময় থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলির পাশে নজরদারি শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ।
মঙ্গতের ওপর নজরদারি
সেই সময়ই মঙ্গতের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। নজরদারি শুরু করে পুলিশ। মঙ্গতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই অভিযানে নামে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ডিআইজি (ইন্টেলিজেন্স) রাজেশ মিল বলেন, “গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্তও পাক হ্যান্ডলারদের ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে মঙ্গত (Spy)। পাকিস্তানের দুটো নম্বরে নিয়মিত ফোন করত। সামরিক তথ্য পাচার করে প্রচুর টাকাও পেয়েছে। তার লেনদেনের উৎস খুঁজে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, জয়পুরের সেন্ট্রাল ইন্টারোগেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে মঙ্গতকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে (ISI)।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে পাক চর সন্দেহে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন ইঞ্জিনিয়র, তেমনই ছিলেন নেটপ্রভাবী, সিআরপিএফ জওয়ান-সহ নানা পেশার মানুষ (ISI)।