Tag: Manik Bhattacharya

Manik Bhattacharya

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik hattacharya) বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে লেখা চিঠি। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিকের বাড়ি থেকে একটি চিঠি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। চিঠিতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। মানিকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতেই এই চিঠির কথা জানান ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, এই টাকা যুব তৃণমূলের কোনও একজন সাধারণ সম্পাদক সংগ্রহ করছিলেন। ইডির হাতে পাওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মানিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।  

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি,মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনুমান এই মোবাইল থেকেই মিলতে পারে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির নানান তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এই ‘RK’ ও ‘DD’কে তা জানতে চায় ইডি। এর উত্তর মিললেই অনেক প্রশ্নের জট খুলে যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআই সূত্রে খবর, মানিককে গতকাল রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কোথায় মানিক ভট্টাচার্য? এরপর তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি রয়েছে, তাই তিনি দিল্লিতে।

    গতকাল রাত ৮ টা পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায়নি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত মনিক ভট্টাচার্যকে। তবে সেখানে উপস্থিত হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেখানে দুই পাতার চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। চিঠিতে মানিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আজ দুপুর ২টোয় শুনানি আছে। তাই তিনি দিল্লিতে আছেন। আর এই শুনানির ফলেই হাজিরা দিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে বলেও চিঠিতে সিবিআই-কে জানান মানিক ভট্টাচার্য। তাই আজ পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। ফলে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচই এখন মানিক ভট্টাচার্যের ঢাল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের শুনানি রয়েছে। সেই মামলার জন্যই তিনি সরাসরি আইনি পরামর্শ নিতে দিল্লিতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তিনি আরও নির্দেশ দিয়ে বলেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যদি তদন্তে সাহায্য না করেন, তবে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিস নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতেও গিয়েছিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর থানার পাঁচ জন আধিকারিক ও পুলিশকর্মী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, তিনি কোথায়, তা বাড়ির লোকেরাও জানে না। তিনি গতকাল সকালেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। ফলে এরপরে যাদবপুর থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরি করে কলকাতা পুলিশের তরফে এসি জানান, তাঁরা মানিকবাবুর সন্ধান পাননি এবং এই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হবে। আগামী ১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) আরও জড়িয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পার্থ এবং মানিকের মেসেজ চালাচালির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। তার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল!

    পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি মেসেজের। তার একটি হল, এক ব্যক্তি পার্থকে লিখেছেন, দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময় প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্র পিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্ররা দিতে না পারলে কলেজকে ধমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউয়ের কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ। ইডির দাবি, পরে এই মেসেজটি পার্থ রি-ফরোয়ার্ড করেন।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। মানিককে গ্রেফতার করা না হলেও, তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই উঠে আসছে পার্থ-মানিক মেসেজ চালাচালির কথা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এরকম কয়েকটি মেসেজের উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি মেসেজ পাঠান মানিক। পলাশিপাড়ার বিধায়ক লেখেন, দশ মিনিট দিস, কাল বাড়ি যাব। মেসেজ পেয়ে পার্থ লেখেন ওকে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে অন্য একটি মেসেজে মানিক লেখেন, ইন্টারভিড স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট। পার্থ লেখেন টিকেএস। তদন্তকারীদের দাবি, টিকেএস লিখে মানিককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পার্থ।

    জনৈক ব্যক্তি মানিক সম্পর্কে পার্থকে সতর্ক করে দিলেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তিনি মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন বলে ইডির দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয় চার্জশিট। এক্ষেত্রে গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। ব্যাংকশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে মেসেজের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ দেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির    

    প্রাথমিক টেট মামলায় সময়ের আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন চেয়্যারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে, প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।  

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করায় অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, তা জানতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যকে কেন ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, কী ভাবে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা আদালতে ওঠার পরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মানিককে। তদন্তের স্বার্থে বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।   

    এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ১ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতি এ দিন মন্তব্য করেন, “সিবিআই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে এটা শুধু আদালতই চায় না, নাগরিক সমাজও তাদের ওপরে ভরসা রাখবে বলে আশা করি।” 

    ইডি (Enforcement Directorate) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। গত বুধবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিকবাবুকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জেরা চলে। তবে মানিক ভট্টাচার্যের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। আর আজ মানিকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Primary TET Scam: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    Primary TET Scam: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Teacher Recruitment scam) পাশাপাশি প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতেও (primary teacher recruitment scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম উঠে আসায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। 

    আজ, বুধবার, মানিককে বেলা ১২ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি (ED) দফতরে হাজির হতে বলা হলেও তিনি সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। এর আগে গত শুক্রবার, পার্থর বাড়িতে যে সময় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, সেই একই সময় মানিকের বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি। ইডি হানার তালিকায় ছিল মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িও। 

    সেদিন মানিককে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও সিডি উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়েছে বুধবার। 

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    সূত্রের খবর, পার্থর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে মানিক ভট্টাচার্যের নোট ছিল। এদিন, মানিককে বেশ কিছু নির্দিষ্ট নথি, ব্যাঙ্কের নথিও আনতে বলা হয়েছে ইডি-র তরফে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। 

    কিন্তু, কেন এখন তলব করা হল মানিককে? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্য যাচাই করার জন্য মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করেছেন তদন্তকারী। এমনকী, প্রয়োজনে পার্থ ও মানিককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে হতে পারে। 

    এখানে বলে দেওয়া দরকার, মানিক ভট্টাচার্য হলেন নদিয়া জেলার পলাসীপাড়ার বিধায়ক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের (West Bengal Primary Education Board)  প্রাক্তন সভাপতি। আদালতের নির্দেশেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সভাপতির পদ থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সূত্রের খবর তিনিও মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। একটা সময় হাজরা ল কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • TET Scam: মাণিকের দুটি বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি! কী পেলেন তদন্তকারীরা

    TET Scam: মাণিকের দুটি বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি! কী পেলেন তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় শহর (Kolkata) জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সচিব, অপসারিত সভাপতির বাড়িতে চলল সিবিআই তল্লাশি। টেট-দুর্নীতি মামলার তদন্তে শহরের অন্তত ৬টি জায়গায় ৫০-৬০ জন অফিসার মিলে অভিযান চালায়। অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। ৫ ঘণ্টা ধরে যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বাড়িতে চলে সিবিআই তল্লাশি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই। সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে সল্টলেকে (Saltlake) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে অভিযান চালানো হয়। 

    আরও পড়ুন: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বাড়িতে বৃহস্পতিবার  ১০ জনের একটি দল তল্লাশি চালায়। মানিকের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। আদালত নির্দেশে আরও জানিয়েছিল যে, প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মানিক। তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। গত ২১ জুন টেট দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন মানিককে দু’সপ্তাহের মধ্যে গোটা পরিবারের সম্পত্তির হিসাব দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন মানিক। এখন সেই মামলার শুনানি চলছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও
     
    এদিন বাগদার (Bagda) তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। TET দুর্নীতির তদন্তেই  অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mandal) বাড়িতে আসে CBI-এর ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল। যদিও সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতেই প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। যদিও তল্লাশিতে কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে গোয়েন্দা আধিকারিকদের ফোনে কথা হয়েছে এবং তিনি যথা সময়ে CBI দফতরে গিয়ে হাজিরা দেবেন বলে জানান চন্দন মণ্ডলের মেয়ে চৈতালী মণ্ডল।

LinkedIn
Share