Tag: Manik saha

Manik saha

  • Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, বিভাজন ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির ওপর ভিত্তি করে করা রাজনীতি কখনই ফলপ্রসূ হবে না, এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।” শনিবার সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত (Threat Politics) বারাকাথল বাজারে একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কথাগুলি বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১০৭টি পরিবারের ৩১২ জন ভোটারকে স্বাগত জানান।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Threat Politics)

    সিমনা মণ্ডল আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়েক দিন আগে বলা হয়েছিল, ভারতীয় জনতা পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দলকে টিটিএএডিসি এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরা প্রায়ই হুমকি শুনি। যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব। আমি শুনেছি যে এখানে বারাকাথল বাজারে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, এবং বিজেপির কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু এই জায়গাটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি সবার সম্পত্তি। যে কোনও দল যে কোনও জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কখনওই শক্তি প্রয়োগ বা বিভিন্ন ধরনের চাপের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখানো সহ্য করবে না।”

    জম্মু ও কাশ্মীর

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী দেশটির অখণ্ডতা রক্ষা করতে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং পণ্ডিত দীন দয়ালও মুঘলসরাইয়ে নিহত হয়েছিলেন। বিজেপি সমগ্র ভারতের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক দল। আমাদের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। কিন্তু যে রাজনীতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা নানা উপায়ে বিভাজন ঘটায় এবং সাম্প্রদায়িক আবেগকে উস্কে দেয়, সেই রাজনীতি কোনওদিনই ফলপ্রসূ হবে না। অতীতেও তা প্রমাণিত হয়েছে। এমন রাজনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “তাই আবারও বলব, বিজেপির দরজা এখনও তাঁদের জন্য খোলা, যাঁরা এভাবে চিন্তা করেন কিন্তু অন্যদের ভুল ব্যাখ্যার কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি বিজেপির পতাকার তলে আসতে। কারণ বিজেপির জনপ্রিয়তার (Threat Politics) গ্রাফ ধীরে ধীরে ওপরে উঠছে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে অনেকেই উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়তেন, বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। কারণ তাঁরা বুঝতে পারতেন না তাঁদের প্রকৃত অভিভাবক কে। কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছিলেন। আজ উত্তর-পূর্বে প্রায় ১১-১২টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে শান্তি এসেছে। কিন্তু এখনও দেশের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।”

    জনজাতি সম্প্রদায়

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরলস প্রচেষ্টার ফলে রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগরতলা বিমানবন্দরকে আধুনিক ত্রিপুরার নির্মাতা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে (Threat Politics)। সাংগ্রাম্মা পূজার দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গরিয়া পূজার সরকারি ছুটি এক দিন থেকে বাড়িয়ে দু’দিন করা হয়েছে (Manik Saha)।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, পশ্চিম জেলা সদর গ্রামীণ সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জনজাতি মোর্চার সহ-সভাপতি মঙ্গল দেববর্মা, লেফুঙ্গা আরডি ব্লকের বিএসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা এবং অন্য শীর্ষ নেতা-কর্মীরা (Threat Politics)।

  • Biplab Deb: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    Biplab Deb: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। জানালেন, দলের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। এখন তিনি সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করবেন। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন মানিক সাহা। 

    শনিবার দুপুরে রাজ্যপাল এস এ আর্যর কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ত্রিপুরার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বিপ্লবের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা ঠিক করতে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসে বিজেপি নেতৃত্ব। পরে,  শনিবার সন্ধেয় বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি মানিক সাহার (Manik saha) নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

    পঁচিশ বছরের বাম জমানার অবসান অন্তে ২০১৮ সালে ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় তরুণ নেতা বিপ্লব দেবকে। বিপ্লবের তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কারণে কার্যত কোমর ভেঙে যায় বিরোধীদের। দলে দলে লোকজন বাম সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। যার জেরে ত্রিপুরা পুরনির্বাচনে জয়জয়কার হয় বিজেপির।

    [tw]


    [/tw]

    বছর ঘুরলেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটে বাম কিংবা তৃণমূল যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সংগঠনের কাজে নিয়ে আসা হচ্ছে বিপ্লবকে। অন্তত ত্রিপুরার একটি সূত্রের খবর এমনই। সূত্রের খবর, খোদ অমিত শাহের নির্দেশেই এদিন রাজ্যপালের কাছে ইস্তফপত্র দেন বিপ্লব। নয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে বৈঠকে বসেছে পদ্ম-নেতৃত্ব।

    এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর বিপ্লব দেব বলেন, ‘দল চায় আমি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করি। দল সবার ওপরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দলের জন্য কাজ করেছি। দলের রাজ্য ইউনিটের প্রধান এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ত্রিপুরার মানুষের জন্য ন্যায়বিচারের চেষ্টা করেছি। আমি শান্তি, উন্নয়ন ও কোভিড-সঙ্কট থেকে রাজ্যকে বের করে আনার চেষ্টা করেছি। সবকিছুর একটা সময় আছে। আমি সেই সময় মেনে কাজ করি। আমাকে যেখানেই পাঠানো হয়েছে, তা সে মুখ্যমন্ত্রী হোক বা অন্য কোনও পোস্ট- সব জায়গাতেই ফিট বিপ্লব দেব।’

    [tw]


    [/tw]

    কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি? তা নির্ধারণেই বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা বিনোদ তাওড়ে ও ভূপেন্দ্র যাদবের উপস্থিতিতে বৈঠক বসেছিলেন বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখানেই মানিক সাহাকে ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তাঁকে উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানান সদ্য প্রাক্তনী বিপ্লব দেব। মানিক সাহা বর্তমানে ত্রিপুরার সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথের ৬ মাসের মধ্যেই বিধানসভার সজস্য হয়ে আসতে হবে তাঁকে।

    [tw]


    [/tw]

     

LinkedIn
Share