Tag: manipur situation

manipur situation

  • Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    Manipur Situation: অশান্ত মণিপুরে আরও ৫০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠাচ্ছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Situation) শান্তি ফেরাতেই পাঠানো হচ্ছে বাহিনী। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শাহ।

    মণিপুরের পরিস্থিতি (Manipur Situation)

    সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় মণিপুরে পাঠানো হবে অতিরিক্ত বাহিনী। (এক একটি কোম্পানিতে থাকেন প্রায় ১০০ জন জওয়ান।) মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও চিত্রাঙ্গদার দেশে জ্বলছে অশান্তির আগুন। সেই কারণেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি দল মণিপুরে পাঠানো হতে পারে বলেও খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে।

    উত্তপ্ত মণিপুর

    ছ’জনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে মেইতেইদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত মণিপুর। তাই মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Manipur Situation)। সোমবার বসেন বৈঠকে। এদিনই সকালে মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে কোন মামলাগুলি এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। কেবল জানা গিয়েছে, হিংসা, প্রাণহানি সংক্রান্ত তিন মামলার তদন্ত করছিল মণিপুর পুলিশ। সেই মামলাগুলিই তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    এদিকে, এদিনই (Manipur Situation) সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে বিজেপি ও শরিক দলগুলির বিধায়কদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে ওই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: কমিশন মামলায় কর্নাটকের পূর্বতন বিজেপি সরকারকে ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। এতদিন এই সংঘাতের আঁচ পড়ছিল না জিরিবাম জেলায়। দিন কয়েক আগে সেখানে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। সেই সময়ই মেইতেই পরিবারের তিন মহিলা ও তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তদের।

    এদিন জিরি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’জনের দেহ। মেইতেইদের দাবি, দেহগুলি অপহৃতদের। বস্তুত, তার পর থেকেই উত্তপ্ত জিরিবাম জেলা। অশান্তির আঁচ এসে পড়েছে ইম্ফল উপত্যকায়ও। মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইম্ফল পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী (Amit Shah)। এবার পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী (Manipur Situation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    Manipur Situation: মণিপুরে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার বাহিনীর, নতুন হিংসায় বলি ৪, পৌঁছলেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরের (Manipur Situation) শান্তি রক্ষা অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সফরে গিয়েছেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। 

    রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেনাকর্তার

    বৃহস্পতিবার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের অশান্ত কাংপোকপি, সেনাপতি, জ্বলামুখি ও চূড়াচাঁদপুরে অবস্থিত অসম রাইফেলসের ফরমেশনে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি প্রচেষ্টায় জওয়ানদের নিরন্তর প্রচেষ্টাকে বাহবা দিয়ে তাঁদের মনোবল বাড়ান। এছাড়া, রাজ্যের পরিস্থিতি (Manipur Situation) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেণ সিং এবং রাজ্যপাল অনুসিয়া উইকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জিওসি-ইন-সি। রাজ্যে শান্তি ও স্থিবাবস্থা ফেরানোর জন্য সকল সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান করেন।

    গত বছর মে মাস থেকে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির (Manipur Situation) জেরে জ্বলছে মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবচেয়ে হিংসা-কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল চূড়াচাঁদপুর। বুধবার সেখান থেকেই বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী। একইসঙ্গে, তেঙ্গনুপল থেকেও অস্ত্র উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একে-৫৬ রাইফেল থেকে শুরু করে গ্রেনেড, কার্বাইন উদ্ধার হয়। 

    উদ্ধার বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ

    বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চূড়াচাঁদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— ১টি কার্বাইন, ম্যাগাজিন ও বুলেট সমেত ১টি দেশি ৯এমএম পিস্তল, ৫টি একনলা বন্দুক, ৬টি শেল সমেত ১টি কাঁদানে গ্যাসের বন্দুক, ৮টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৬টি রবার বুলেট, ১টি এসএলআর ম্যাগাজিন, ৫.৫৬ রাইফেলের বুলেট, ২০টি .৩০ এমএম এম১ কার্বাইনের গুলি। 

    অন্যদিকে, তেঙ্গনুপল থেকে উদ্ধার হয়েছে— ১১টি গুলি সমেত ১টি একে-৫৬ রাইফেল, গুলি সমেত ৫টি দেশি শটগান, ৪টি এইচই-৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, ৫.৫৬ রাইফেলের গুলি, ম্যাগাজিন সমেত ১টি ৯এমএম পিস্তল, দেশি ম্যাগাজিন সমেত .৩০৩ রাইফেল, দেশি গোলা, ৫টি দেশি বোমা, ৪টি আইইডি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ২টি এম১৬ ম্যাগাজিন, ১টি ছুরি, একটি মটোরোলা ওয়ারলেস সেট, ব্যাটারি চার্জার সেট, একে-৪৭ ম্যাগাজিন।

    নতুন হিংসার বলি ৪

    এরই মধ্যে, বুধবার সেখানে নতুন করে হিংসা (Manipur Situation) ছড়িয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানা এলাকার কুমবি বিধানসভা কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। তাতে নিখোঁজ হন চার জন। বুধবার তাঁধের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সেখানে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই চারজন জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) গত মঙ্গলবার শহিদ হন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত পেশার তাগিদে মণিপুরে শান্তি রক্ষায় গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার হিংসায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কাকচিং জেলার সুগনুতে মোতায়েন ছিলেন রঞ্জিত। সেখানে বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের যোথ বাহিনী একটি চিরুনি-তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছিল। সেরু প্র্যাকটিকাল হাইস্কুলের কাছে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় বাহিনীর। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া একটি গুলি আচমকা এসে লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

    হামলায় ব্যবহার হয়েছে ‘স্নাইপার’?

    রঞ্জিত একা নন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের ঠিক আগে মোরে জেলায় গত ২৮ মে গুলিতে আরেক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল (Manipur Violence) । বিএসএফ জানিয়েছে, এই দুই মৃত্যুর ধরন ও ভঙ্গি অনেকটাই এক। যা দেখে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সন্দেহ, উভয় ক্ষেত্রেই দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছে। বিএসএফ-এর অনুমান, দুই জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করায় সম্ভবত কোনও ‘স্নাইপার’-কে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    গুলি লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে

    যে অভিযানে (Manipur Violence) গিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছিল, সেই একই অভিযানে গিয়ে গুলিতে জখম হন অসম রাইফেলসের ২ জওয়ানও। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ডিউটি করছিলেন রঞ্জিত। তাঁর শরীরে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ছিল। মাথায় ছিল হেলমেট। কিন্তু, গুলি এসে লাগে তাঁর ঘাড়ে। বিএসএফ সূত্রে খবর, গুলি করা হয় সম্ভবত কাছের পাহাড় থেকে। এটা কোনও অপ্রশিক্ষিত হাতের কাজ হতে পারে না বলে নিশ্চিত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    উঁকি মারছে একাধিক প্রশ্ন

    আর এই বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বিএসএফ সূত্রের খবর, অতীতে কুকি জঙ্গিদের (Manipur Violence) স্নাইপার ব্যবহারের কোনও ইতিহাস নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নাইপার-রাইফেলের ধরন আর পাঁচটা সাধারণ রাইফেলের মতো নয়। এর গোত্র আলাদা। একে চালানোর জন্য বিশেষ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন উঠছে, কী করে জঙ্গিরা স্নাইপার-অস্ত্র জোগাড় করল? কে তাদের এধরনের অস্ত্র সরবরাহ করল? এবং কোথা থেকেই বা তারা এই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিল?

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    নেপথ্যে বিদেশি হাত?

    মণিপুরবাসীদের একাংশের দাবি, রাজ্যের বহমান হিংসাত্মক ঘটনায় ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাঁদের মতে, কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে মায়ানমারের জঙ্গিদের একটা যোগসূত্র রয়েছে। বহু জঙ্গি মায়ানমার থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে। তার ওপর, এই হিংসার আবহে, বহু বিদেশি জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানে স্থানীয় জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। লক্ষ্য, শান্তি বিঘ্নিত করে অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

    বিএসএফ-এর সঙ্গে দ্বিমত সেনার

    যদিও, বিএসএফ-এর এই স্নাইপার তত্ত্বে সিলমোহর দিতে নারাজ সেনা। এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, যে হামলাগুলি হয়েছে, সেগুলি মূলত ৩০০ থেকে ৪০০ গজের মধ্যে। ফলত, এক্ষেত্রে এসএলআর বা অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়েই এধরনের হামলা করা সম্ভব। স্নাইপার সাধারণত ব্যবহার হয় দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে, যা মূলত ১০০০ গজ দূরত্বের আশপাশে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে হিংসার কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। রাজধানী ইম্ফলে এই ঘোষণা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি৷

    গত এক মাস ধরে জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। আহত শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারদিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঘোষণা করেন বিশেষ সহায়তা প্যাকেজেরও। বৃহস্পতিবার, তার চারদিনের সফরের শেষ দিনে মণিপুর হিংসার তদন্ত নিয়ে বিশেষ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।

    হিংসা তদন্তে বহুমুখী পদক্ষেপ

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন প্যানেল গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। এছাড়া, হিংসার সঙ্গে জড়িত ৬টি মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, রাজ্য ও জেলাস্তরে সরকারের উদ্যোগে শান্তি কমিটিও গঠন করা হবে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতে সব সম্প্রদায়ের স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও সরকারি পদাধিকারীরা থাকবেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এমন ৬টি হিংসাত্মক ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের সিবিআই তদন্ত হবে। কেন্দ্রের নজরদারিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে৷ আমি সকলকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিংসার শিকড় সন্ধানে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে এই তদন্ত করা হবে৷’’

    একাধিক সহায়তার ঘোষণা

    এর আগে, হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, প্রতিটি পরিবারকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা অর্থনৈতিক সাহায্য করা হবে৷ এছাড়া, মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘রাজ্যের উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হবে কেন্দ্রের তরফে৷ রাজ্যে আরও চিকিৎসক পাঠানো হবে৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷’’

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ

    একইসঙ্গে, ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য আমি মণিপুরের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করছি। যদি কেউ সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র বহনকারীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আগামিকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু হবে এবং কারও কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মণিপুর গিয়ে সেখানে শান্তি-প্রস্তাব রাখলেন অমিত শাহ।

    বৈঠকে দেওয়া হল প্রস্তাব

    সোমবার রাতে চারদিনের সফরে মণিপুর পৌঁছন শাহ। রাজধানী ইম্ফলে নেমেই তিনি দফায় দফায় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন সেনা কর্তা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এর পাশাপাশি, তিনি বিবাদমান জনজাতি গোষ্ঠী প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মিলিত হন (Manipur Violence)। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমস্যার মূলে পৌঁছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুকি জনজাতি প্রতিনিধিদলের তরফে তাঁর সামনে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। শাহ সবকিছু ধৈর্য সহকারে শুনে কথা দেন, সব দাবি বিবেচনা করা হবে। এর সঙ্গেই বিবাদমান দুই জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলের সামনে অমিত শাহ অনুরোধ করেন, ১৫ দিনের জন্য হিংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। শাহের মতে, হিংসা দিয়ে নয়, যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে শান্তির পরিবেশেই।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আজ বুধবার, মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন কাঙ্গপোকপি জেলায় যান শাহ। মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি (Manipur Violence) ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্যুষিত হলেও, সেখানে মৈতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) নিহতদের পরিবারের জন্য গতকাল যৌথ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এছাড়া, নিহতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    Manipur Violence: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ। এই মর্মে যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করল কেন্দ্র ও মণিপুর সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের ১ জনের জন্য চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।

    পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুরে অমিত শাহ

    জাতিগত হিংসায় প্রায় এক মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এখনও পর্যন্ত এই হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। আহত বহু। ঘরছাড়া শতাধিক। এই পরিস্থিতিতেই চারদিনের সফরে মণিপুর গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা এবং আইবির ডিরেক্টর তপনকুমার ডেকা। সোমবার রাতে ইম্ফলে পা রেখেই পর পর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং, মণিপুরের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, নিরাপত্তা আধিকারিক এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গেও। 

    আরও পড়ুন: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

    অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মণিপুরে দ্রুত শান্তি (Manipur Violence) এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হবে। এই জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে। এর পরই, এই প্যাকেজের সিদ্ধান্ত করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে, বাকি ৫ লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংঘর্ষে মৃতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। 

    পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য চাল, ডাল, রান্নার গ্যাসের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত রাখার নির্দেশ সরকারকে দিয়েছেন অমিত শাহ। শাহের বৈঠকে এ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পেট্রল, রান্নার গ্যাস, চাল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের জোগান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে অভাবজনিত মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি ঠেকানো যায় (Manipur Violence)।

  • Amit Shah: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    Amit Shah: শান্তির লক্ষ্যে! অগ্নিগর্ভ মণিপুরে পৌঁছেই পর পর বৈঠক অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপজাতি সংঘর্ষের আগুনে এখনও জ্বলছে মণিপুর। তার মধ্যেই অশান্ত রাজ্যে চারদিনের সফরে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। আগামী ক’দিন গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার মণিপুরে পা রেখেই পর পর বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একটা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে। পাশাপাশি বৈঠক করেন মন্ত্রিসভার সকল সদস্যদের সঙ্গেও। এছাড়া, সোমবারই অমিত শাহ পরিস্থিতি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গেও। পৃথক বৈঠক করেন মণিপুর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তপন ডেকার সঙ্গে। একইসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংয়ের সঙ্গেও।

    লক্ষ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা

    সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার, সেনার সঙ্গে বৈঠক করার কথা অমিত শাহের (Amit Shah)। পাশাপাশি, জনজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা হতে পারে। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার তিনি এ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল ছেড়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর। অমিত শাহের এই সফরে তাঁর সঙ্গী রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। অশান্ত মণিপুরে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন চিফ অফ ডিফেন্স জেনারেল অনিল চৌহানও। প্রতিনিয়ত সামরিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সম্প্রতি, মণিপুরে এসেছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এখনও অগ্নিগর্ভ মণিপুর

    মে মাসের শুরু থেকেই অগ্নিগর্ভ মণিপুর। দুই জনজাতি সংগঠন— মৈতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘাত থেকে ভয়াবহ হিংসা বাঁধে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। তার জেরে ইতিমধ্যেই ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। ঘরছাড়া অনেকে। এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, জঙ্গিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। এর পরই সেনা অভিযানে নামে। প্রায় বিগত ৪ দিনে ৪০ জন সশস্ত্র কুকি জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর এরপরই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই রাজ্যে। শনিবার থেকে সেই রাজ্যে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। অমিত শাহের (Amit Shah) সফরের ঠিক আগে রবিবার নতুন করে হিংসার আগুনে জ্বলে মণিপুর। এক পুলিশকর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। সোমবারও দিনভর গুলির লড়াই এবং অশান্তি হয় মণিপুরের একাধিক এলাকায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share