Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

    অরিন্দম বাগচির ট্যুইট-বার্তা

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”  

    পার্লামেন্টে পেশ করা প্রস্তাব

    ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।

    আরও পড়ুুন: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur: বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত হিংসার, মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ  

    Manipur: বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত হিংসার, মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। খোলা হয়েছে স্কুল। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই কারণেই ফের মেয়াদ বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার। নিষেধাজ্ঞা লাগু থাকবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মণিপুর রাজ্যে শান্তিভঙ্গে ও আইনশৃঙ্খলায় যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ জুলাই বেলা ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে পুলিশের ডিজির চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে, গুলি চলছে। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চতুর্থবার বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

    বিক্ষিপ্ত অশান্তি

    এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে থাউবাল জেলায় (Manipur) ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল লুণ্ঠনকারীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা রক্ষী ও দাঙ্গাকারীদের মধ্যে। প্রায় ৭০০ দাঙ্গাকারীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় মৃত্যু হয় সামারাম নামে বছর সাতাশের এক যুবকের। তার পরেই দাঙ্গাকারীরা ওয়াংবলে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের তিন নম্বর ক্যাম্পে চলে আসে। পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করে। বাধা দেন জওয়ানরা।

    চলল গুলি

    শূন্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে দাঙ্গাকারীরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। এর পরেই পিছু হটে দাঙ্গাকারীরা। পরে তারা পিছু নেয় অসম রাইফেলসের জওয়ানদের। আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁদের যানবাহনে। জওয়ানদের (Manipur) লক্ষ্য করে গুলিও চালাতে শুরু করে। গুলি লাগে এক জওয়ানের পায়ে। রোনাল্ডো নামের ওই জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ইম্ফল হাসপাতালে। ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও ১০জনও। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আরও পড়ুুন: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    এদিকে, মাস দুয়েক বন্ধ থাকার পর বুধবারই খুলেছে মণিপুরের ৪ হাজার ৫২১টি স্কুলের তালা। তবে উপস্থিতির হার ছিল কম। হিংসাদীর্ণ কাংপকপি ও চূড়াচাঁদপুরের স্কুলগুলির তালা অবশ্য খোলেনি। এই দুই জেলায় স্কুল রয়েছে ৯৬টির কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের দাবিতে সোচ্চার হন হিন্দু মেইতেইরা (Manipur)। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের সঙ্গে। সেই কারণেই মাস দুয়েক ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

     

  • Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে থৌবল জেলায় সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়ে, সেখান থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। যা বাধা দিলে, উন্মত্ত জনতার সঙ্গে সেনা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরই ফের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু অসম রাইফেলস ও সেনারা একযোগে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নাগালের মধ্যে বলে সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।

    অস্ত্র লুটের চেষ্টা

    একটু একটু করে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর (Manipur Violence) । উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য শান্ত হলে, বুধবার থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বুধবার থেকে যখন মণিপুরে স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়, তার আগেই ফের অশান্তি ছড়াল থৌবল জেলায়। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় ২৩ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন থৌবল জেলার ৩ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে চড়াও হয় কয়েকশো মানুষ। গুলি ও অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করে তারা।

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    কুকিদের মধ্যে মতানৈক্য

    এদিকে, অভিযোগ, জনজাতি যৌথ মঞ্চের মত ছাড়াই মণিপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অবরোধ রবিবার উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুকি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ কেএনও। এই ঘটনার পরে কুকিদের নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ ও মতানৈক্য বাড়ে। সোমবার রাতে কেএনওর মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপের লামকার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুড়েছে তাঁর গাড়িও। তবে কেউ হতাহত হননি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইউনিফায়েড কমান্ডের বৈঠকের পরে রাজ্যে থাকা সব অবৈধ বাঙ্কার ভেঙে (Manipur Violence) ফেলার যে ঘোষণা করেন তার বিরোধিতা করে জনজাতি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বলে, কুকিরা মেইতেইদের আক্রমণ করেনি কিন্তু মেইতেইরা বারবার হানা দিচ্ছে, তাই কুকিদের গ্রাম রক্ষা করতে বাঙ্কার জরুরি। বীরেন মেইতেইদের হামলার সুবিধা করে দিতেই বাঙ্কার ভাঙার ছক কষছেন। তা মানা হবে না। না হলে কুকিরা আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ কাপ (SAFF championships) জিতে মণিপুরের পতাকা জড়িয়ে পদক নেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় ফুটবলার জিকসন সিং। ফাইনালের পর তখন ভারতীয় ফুটবলাররা পদক গ্রহণ করছেন। জিকসনকে দেখা গেল জার্সির ওপর একটা রঙিন পতাকা জড়িয়ে নিয়েছেন। যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। পরে জিকসন জানান, ওটা মণিপুরের পতাকা। যা তিনি জার্সির ওপর পরেছেন রাজ্যে শান্তি ফেরানোর প্রত্যাশায়। কঠিন সময় সংহতির বার্তা দিয়ে। জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরের পতাকা। আমি ভারতের এবং মণিপুরের সকলকে বলতে চাই, লড়াই নয়। শান্তি চাই। আমি শান্তি চাই।’  

    ভারতীয় ফুটবলে সাপ্লাই লাইন মণিপুর

    কুয়েতকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF championships) জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারতীয় ফুটবলাররা। সাফ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তিন সদস্য জিকসন সিং (Jeakson Singh), মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ও উদান্তা সিং (Udanta Singh) মণিপুরের বাসিন্দা। গত ২ মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয়ে আছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। এই অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন মানুষ। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। 

    আরও পড়ুন: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    শান্তির বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য

    জাতীয় পতাকার বদলে বিশেষ জনগোষ্ঠীর পতাকা গায়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন জিকসন। কিন্তু তাঁর দাবি, কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং গত দু’মাস ধরে মণিপুরে যে হিংসা চলছে, তা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর বেঙ্গালুরুর মাঠে মেইতেই পতাকা নিয়ে পদক নিতে যান। 

    মঙ্গলবার ম্যাচের পর মিক্সড জোনে জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরি পতাকা ছিল। আমি মণিপুর এবং পুরো ভারতকে স্রেফ এটা বলতে চাইছিলাম শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং মণিপুরকে বাঁচাতে হবে। আমি শান্তির পক্ষে সওয়াল করছি। দু’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও লড়াই চলছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি স্রেফ সরকার এবং বাকি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। (আমার) পরিবার সুরক্ষিত আছে। কিন্তু প্রচুর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছে।’

    পরে গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যাকসন লেখেন, ‘প্রিয় সমর্থকরা, এই পতাকা নিয়ে (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ আমি কারও ভাবাবেগে করতে চাইনি। আমার রাজ্য মণিপুরে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে (সকলের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। এই জয়টা প্রত্যেক ভারতীয়কে উৎসর্গ করছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে আমার রাজ্য মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। দু’মাস পর আগামী কাল, ৫ জুলাই থেকে স্কুল খুলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানান, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ৫ তারিখ থেকে স্কুলে যেতে পারবে। একইসঙ্গে  সরকারের কাছে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশদ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ তারিখে মণিপুরের মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগেই ওই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

    মণিপুরে স্কুল খোলার ঘোষণা

    গত দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বিশেষ করে রাজধানী ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, চূড়াচন্দ্রপুর একাধিক জায়গায় সরাসরি সংঘর্ষে্ জড়িয়ে পড়ে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠী। পরবর্তী সময়ে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে সেনা। সরকারি হিসেবে ১১৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসার জেরে ঘর বন্দি সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বুধবার থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন বীরেন। তবে মণিপুরে এর আগেও স্কুল খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে স্কুল খোলার দিন ঘোষণা হওয়ার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিছিয়ে দিতে হয় স্কুল খোলার দিন।

    শান্তির পথে মণিপুর

    মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সোমবার জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের কৃষকদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় এবং উপত্যকা এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। মণিপুরের (Manipur Violence) এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক থেকে দু’মাসব্যাপী অবরোধ তুলে নিয়েছে কুকিরা। তারা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি স্থাপনের আর্জি জানানোর পর অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে আবার স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা অন্তত দু ডজন বাঙ্কারও ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে মণিপুরে। এবার মেইতেই এবং কুকি উপজাতির লোকজন যে বাঙ্কার তৈরি করেছে সেগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। 

    আরও পড়ুন: সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা! অনিলের পর এবার ইডির দফতরে টিনা আম্বানি

    সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট তলব

    অন্যদিকে, সোমবারই একটি মামলার শুনানির সময়ে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশেষ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে ‘আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মণিপুর সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার মণিপুর মামলা নিয়ে শুনানি হবে। ৭ তারিখের মধ্যেই ওই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আবেদনের পর মণিপুরের জাতীয় সড়কে দু’মাস পর অবরোধ তুলে নিল কুকি সংগঠনগুলি। গত মে মাসে মণিপুরে (Manipur Violence) অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। এই অবরোধ উঠে যাওয়ায় মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মণিপুর (Manipur Violence) রাজ্যে মোট দু’টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। একটি ইম্ফল-ডিমাপুর এবং অন্যটি ইম্ফল-জিরিবাম (এনএইচ-৩৭)। দু’নম্বর জাতীয় সড়কটি কাংপোকপি জেলার কাছে মে মাস থেকে অবরুদ্ধ। অবশেষে সেই অবরোধ উঠল। ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এই দুই কুকি উপজাতি সংগঠনের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, জাতীয় সড়কের অবরোধ অবিলম্বে তুলে নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই দুই সংগঠন এমন একটি গোষ্ঠী যারা আগে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিসাবে প্রমাণিত হলেও পরে তারা সরকারের সঙ্গে সন্ধির রাস্তা নেয়। তারাই জানিয়েছে যে, মণিপুরের কাংপোকপিতে তারা ন্যাশনাল হাইওয়ের রাস্তা বনধ তুলে নিচ্ছে। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত গোষ্ঠীকে বনধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি সমস্ত পক্ষকে শান্তির রাস্তা অবলম্বনের বার্তা দেন। এরপরই এই পদক্ষেপ। সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে “শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার যে বার্তা দিয়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে”।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ফের হিংসা চুরাচাঁদপুরে

    জাতীয় সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও, অশান্তি যেন সম্পূর্ণ থামছে না উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। নতুন করে ফের হিংসা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে। চুরাচাঁদপুরের সীমান্তে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেইতি সম্প্রদায়ের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার চুরাচাঁদপুর (Manipur Violence) জেলায় ছড়িয়ে পড়া হিংসায় প্রাণ গিয়েছে আরও এক জনের। মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার খোইজুমন্তবি গ্রামে নতুন করে হিংসার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজন “গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক” অস্থায়ী বাঙ্কারে এলাকা পাহারা দিচ্ছিলেন সেই সময় যখন অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে তিন জন নিহত হন। পাশাপাশি শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ইম্ফলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    Manipur Violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! এক পুলিশ কনস্টেবল সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। শুক্রবার সকাল অবধিও অশান্তির খবর মেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার উপর কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas) প্রয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের অশান্তিতে এক পুলিশ কন্সটেবল সহ তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ কাংপোকপি ও ইম্ফলে অশান্তি-উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা

    বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার ট্যুইটার হ্যান্ডল ‘স্পিয়ার কোর’-এর তরফে জানানো হয়, মণিপুরের হারাওথেল গ্রামে টহল দেওয়ার সময়ে হঠাৎই ভোরের দিকে সেনা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি’ এড়াতে পাল্টা গুলি চালায় তারাও। সেনার তরফে এ-ও জানানো হয়, বিপুল সংখ্যক উন্মত্ত জনতা ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। প্রায় রাত আটটা অবধি গুলি চলে। পরে সন্ধ্যার দিকে উন্মত্ত জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা।

    অন্যদিকে, রাতে ইম্ফলের খাওয়াইকানবন্দ বাজারে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করে এবং কফিন নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখায়। জানা গিয়েছে, গতকাল এক নৌসেনা কর্তার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে ইম্ফলে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অবধিও মিছিল করার হুমকি দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ও র‌্যাফ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ক্ষিপ্ত জনতার কাছ থেকে দেহ উদ্ধার করে জওহরলাল নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির একটি কার্যালয়েও হামলা চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    মণিপুরে রাহুল

    এদিকে গতকালই দুদিনের সফরে মণিপুরে (Manipur) গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শান্তির (Peace) বার্তা নিয়ে তাঁর এই মণিপুর যাত্রা। রাহুলের সফর মণিপুরে শান্তি ফেরানোর পথে সহায়তা করবে না বলে মন্তব্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক নেতারই হিংসা থেকে ফয়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয়। সাধারণত প্রচারে থাকার জন্যই এমন সফর হয়।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা মুখ্যমন্ত্রীর!

    আজ, শুক্রবারই রাজ্যপাল অনসূয়া উইকির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। মণিপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের খবর, জাতি দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবশেষে সরতে হতে পারে বীরেনকে। তবে একটি মহলের বক্তব্য, পদত্যাগ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আসলে রাজ্যপালের নেতৃত্বে গঠিত শান্তি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে রাজভবন যাবেন। সেখানে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা করে কথা বলবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী। শনিবার সর্বদল বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে এক সপ্তাহের মধ্যে সব দলের প্রতিনিধিদের পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রস্তাব ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন শাহ। বৈঠকও করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

    ধীরে ধীরে ফিরছে শান্তি 

    এদিন বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে একটি ভিডিও দেখানো হয়। তা থেকে স্পষ্ট মণিপুরের এই হিংসা ঐতিহাসিক সংঘাতের ফল। যা রাতারাতি মেটানো সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে বলেও দাবি করা হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের ইস্তফা দাবি করে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি। রাজ্যে মহিলা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ডিএমকে। কংগ্রেসের (Manipur) প্রস্তাব, মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস ফিরবে এমন কাজ করতে হবে। বিজেপির তরফে মণিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিত পাত্র জানান, মোদির নির্দেশেই মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রের তরফে সব রকম চেষ্টা চলছে।

    বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি

    এদিকে, রাজ্যে শান্তি ফেরাতে যখন কেন্দ্রের উদ্যোগে চলছে সর্বদলীয় বৈঠক, তখনই সেনাবাহিনীকে ঘিরে ধরে ১২ জন বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল কয়েকজন মহিলা। সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মণিপুরের কাঙ্গলেই ইয়াওল কান্না লুপ দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদিন আচমকাই সেনার ওপর চড়াও হয় ১৫০০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বাহিনীর ওপর। ১২ জন বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ফের অশান্তি এড়াতে মানবিক ভূমিকা পালন করে সেনা। ছেড়ে দেওয়া হয় ১২ জন বন্দিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’! মিশরে মোদিকে অভ্যর্থনায় হিন্দি গান

    সেনার (Manipur) তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু বিপুল সংখ্যক জনতা চড়াও হয়েছিল, এবং তাদের কাছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল, তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এলাকা ছাড়ার আগে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে যাবতীয় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে সেনাবাহিনী। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মণিপুরবাসীর কাছে জানানো হয় অনুরোধও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: নতুন করে ছড়াল হিংসা! মণিপুর নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Manipur Violence: নতুন করে ছড়াল হিংসা! মণিপুর নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত মনিপুর (Manipur violence)। উত্তর বোলজাংয়ে তল্লাশির সময় অসম রাইফেলস জওয়ানদের ওপর গুলি বৃষ্টি শুরু হয়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। তিন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শুধু পশ্চিম ইম্ফল নয় মনিপুরের অন্য অংশেও নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চলছে রাত দিন টহলদারি, মানুষের আস্থা ফেরানোর কাজও। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৪ শে জুন মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন। পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে শান্তি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অমিত শাহর এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মণিপুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি (Manipur violence) ফেরাতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সাউথ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসেই ৩টে নাগাদ বৈঠকটি হবে। মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কেন্দ্রকে মণিপুর নিয়ে চিঠি লিখেছেন। এদিকে মণিপুরেরও ৯ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন। এই আবহে অবশেষে বৈঠক ডাকছেন শাহ।

    নতুন করে হিংসা মণিপুরে

    জনজাতি গোষ্ঠীর অশান্তির আগুনে পড়ুছে মণিপুর (Manipur)। গোষ্ঠীহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।  সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিস্থিতি তারপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে হিংসার ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। তার বড় উদাহরণ বলজাংয়ে অসম রাইফেলসের জওয়ানদের ওপর গুলি বর্ষণ। চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় ঘটনাটি ঘটে। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অনেকের মনে হচ্ছে মনিপুরের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতেই এই পদক্ষেপ। 

    আরও পড়ুন: সবুজ হিরে-চন্দনকাঠের বাক্স, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে উপহার দিলেন মোদি

    বুধবার উত্তর-পূর্বের এই অশান্ত রাজ্যে (Manipur violence) পাঁচটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কাউক্তয় একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালক গাড়ি বন্ধ করে বেরিয়ে আসার পরেই ঘটনাটি ঘটে। এতে তিন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। গত ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share