Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    Manipur Violence: গ্রামের নাম বদলালেই কড়া শাস্তি, বিল পাশ মণিপুর বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের নাম। হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরবাসীর (Manipur Violence) এহেন প্রবণতায় রাশ টানল মণিপুর সরকার। সাফ জানিয়ে দিল, জাতিগত সমীকরণের কথা ভেবে কোনও জায়গার নাম বদলানোর চেষ্টা হলে কারাদণ্ড হতে পারে তিন বছর পর্যন্ত। দু লাখ টাকা জরিমানাও হতে পারে।

    বিধানসভায় পাশ নয়া বিল 

    এই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার। রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। বিলটির নাম ‘মণিপুর নেম অফ প্লেসেস বিল ২০২৪’। বিলটিতে (Manipur Violence) বলা হয়েছে, জাতিগত সমীকরণের প্রেক্ষিতে কোনও জায়গার সরকারি নাম বদলের চেষ্টা হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

    অশান্ত মণিপুর

    গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত বছর আচমকাই অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মণিপুরে একাধিক উপজাতির বাস। এর মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব মেইতেইদের সঙ্গে কুকিদের। এ রাজ্যের জনসংখ্যার সিংহভাগই মেইতেই সম্প্রদায়ের। আর জো-কুকিরা রয়েছেন ৪০ শতাংশ। মেইতেইরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন জো-কুকি সহ অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষ। গত বছর ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের মিছিলকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা।

    আরও পড়ুুন: ‘পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কথা শোনে না’, দলীয় সভায় সুব্রত বক্সির কাছে নালিশ জেলা তৃণমূল নেতার

    তার পরে রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে খুন হন বহু মানুষ। জখমও হন বহু মানুষ। ভিটে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান লোকজন। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও নামানো হয়। তার পরেও মণিপুরে নেভেনি অশান্তির আগুন। জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পরে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে শান্তি ফেরে চিত্রাঙ্গদার দেশে। তার পরেই জাতিগত সমীকরণের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বদলে ফেলা হচ্ছে গ্রামের নাম। মণিপুরবাসীর এই প্রবণতা রুখতেই নয়া বিল পাশ করল মণিপুর সরকার (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

    পুরানো সেই দিনের কথা

    অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

    আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

    জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Clash)। এক হেড কনস্টেবলের সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে এবারের অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনায় এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার জেরে চূড়াচাঁদপুর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    তাণ্ডব জনতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে চূড়াচাঁদপুরে এসপি এবং ডিসির অফিসে হামলা চালায় ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের একটি দল (Manipur Clash)। সরকারি সম্পত্তি তছনছ করার পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। তার পরেই পাঁচ দিনের জন্য এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

    সংঘর্ষে মৃত ২

    একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা (Manipur Clash) যায়, চূড়াচাঁদপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনাটি নজরে পড়ে পুলিশের বড় কর্তাদের। এর পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। ওই হেড কনস্টেবলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। সেই দাবি জানিয়েই ওই রাতে এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকটি বাস, ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। দু পক্ষের সংঘর্ষে কুকি-জো অধ্যুষিত এই এলাকায় মৃত্যু হয় দু জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    আরও পড়ুুন: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিন-চারশো জনের একটি দল এসপি অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। তারা পাথর ছুড়তে থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। চূড়াচাঁদপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিও তৈরি করছেন। সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এদিকে, ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এসপি শিবাবনন্দকেই। ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না। আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসি এলাকায় থাকতে দেব না। এখনই ওই কনস্টেবলের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন (Manipur Clash)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur: ১৯৬১-র পরে আসা শরণার্থীদের ‘নির্বাসিত’ করা হবে, ঘোষণা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ বসবাস ঠেকানোর উদ্দেশে বড় ঘোষণা করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।  মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৯৬১ সালের পর যাঁরা মণিপুরে এসে থাকছেন, তাঁদের রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। তিনি জানান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং মাদক মাফিয়ারাই মণিপুরের চলমান অশান্তির জন্য দায়ী। তাই অনুপ্রবেশ রুখতে, যাঁরা অবৈধ ভাবে রাজ্যে বসবাস করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ‘নির্বাসিত’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    লোকসভা ভোটের আগে সিএএ চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা সিএএ-কে সমর্থনের একটা ধাপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত সোমবার ‘প্রোজেক্ট বুনিয়াদ’ প্রকল্পের উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৬১ সালের পর রাজ্যে অনেক মানুষ এসে বসবাস শুরু করেছেন। জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। মণিপুরের ‘ইনার লাইন পারমিট সিস্টেম’কে কার্যকরী করতেই ১৯৬১ সালকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওই সালের পর যাঁরা রাজ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে নির্বাসিত করা হবে।’’

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের জন্যই আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জুন মাসে ১৯৬১ সালের পর মণিপুরে বসবাসকারীদের বিদেশি শরণার্থীদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বিধানসভায় গ্রহণ করা হয়েছিল। ইনার লাইন পারমিট কার্যকর করার জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের নেটিভ স্টেটাস নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে কিছু জানাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর মে মাস থেকে মণিপুরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। রাজ্যে জাতি সংঘর্ষ আটকানো সরকারের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    Manipur Violence: ফের অশান্তির আগুন, গুলি চলল মণিপুরে, উদ্ধার ১৩ লাশ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Violence)। হিংসার শিকার কমপক্ষে ১৩ জন। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে টেংনুপাল জেলার সাইবোলের কাছে লেইথু গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে সংঘর্ষ বাঁধে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এলোপাথাড়ি চলে গুলি। ঘটনাস্থল থেকে তখন নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন ১০ কিলোমিটার দূরে।

    হিংসার বলি ১৩

    খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন রক্ষীরা। ততক্ষণে পড়ে গিয়েছে ১৩টি লাশ। জানা গিয়েছে, যাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা কেউই লেইথু কিংবা আশপাশ এলাকার নন। সম্ভবত অন্য জায়গা থেকে এসেছিলেন। মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কোন সম্প্রদায়ের, তাও জানা যায়নি। মণিপুর পুলিশের এক কর্তার কথায়, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারাই তদন্ত করবে বিষয়টি।” নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে (Manipur Violence) খবর, যে এলাকায় এদিন দেহ উদ্ধার হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে সেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তাই ঠিক কী কারণে এখানে জ্বলল অশান্তির আগুন, তা নিয়ে ধন্দে বাহিনীর একাংশও। মাত্র এক দিন আগেই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছিল মণিপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। তার পরেই ফের জ্বলল হিংসার আগুন। যার বলি হলেন অন্তত ১৩ জন।

    ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার

    দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রবিবারই মণিপুরের কয়েকটি জায়গা বাদে সর্বত্র ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল সরকার। পরিষেবা চালু থাকার কথা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসব কথা বিবেচনা করেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।” 

    আরও পড়ুুন: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    গত ৩ মে সংঘর্ষ শুরু হয় মণিপুরে। হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকিদের সংঘর্ষ বাঁধে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের বলি হয়েছেন ১৮০ জন। মেইতেইদের তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। প্রসঙ্গত, মাত্র চারদিন আগেই কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মণিপুরে সশস্ত্র সংগঠন ইউএনএলএফের। তার ঠিক চারদিন পরেই ফের সংঘর্ষ বাঁধায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিত্রাঙ্গদার দেশের বাসিন্দারা (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UFO: ইম্ফলের আকাশে ভিনগ্রহের যান? হদিশ পেতে নামল বায়ুসেনার রাফাল বিমান

    UFO: ইম্ফলের আকাশে ভিনগ্রহের যান? হদিশ পেতে নামল বায়ুসেনার রাফাল বিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইম্ফলের আকাশে কি এলিয়েনদের যান দেখা গেল? মণিপুরের আকাশে ভিনগ্রহীদের যান (UFO) খুঁজে বের করতে নামাল দুটি রাফাল বিমান। ইম্ফলের স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে রবিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ হঠাৎই বিমানবন্দরের উপর ভিনগ্রহীদের যানের মতো একটি উড়ন্ত চাকতিকে উড়তে দেখা যায়। এর ফলে বেশ কয়েকটি বিমানের উড়ান বাতিলও করতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আচমকাই যানটি (UFO) ভ্যানিশ হয়ে যায়। ইম্ফলের স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে ভেবেছিল উড়ন্ত চাকতিটি আসলে ড্রোন। তবে পরে জানা যায় যে অত উঁচুতে কোনও ড্রোনের পক্ষেই ওড়া সম্ভব নয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ভিনগ্রহীদের যান নিয়ে জল্পনা। কেউ কেউ সত্যি করেই মনে করছেন যে ওই উড়ন্ত চাকতি আসলে ছিল ইউএফও বা ভিনগ্রহীদের যান (UFO)।

    কী জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

    রহস্যময় ওই বস্তুকে (UFO) খুঁজে বের করতে তৎপরতাও দেখাল ভারতীয় বায়ুসেনা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর লাগিয়ে কম উচ্চতাতে জোড়া রাফাল বিমান নামানো হল ইউএফও-এর সন্ধানে। প্রথমে একটি রাফাল বিমান পাঠানো হয় পরে আরও একটি পাঠানো হয়। তবে জোড়া বিমানে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র বলছে, ‘‘ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে ইউএফও সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে পরেই, কাছের একটি বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানকে অনুসন্ধান অভিযানের জন্য পাঠানো হয়। উন্নত সেন্সর যুক্ত রাফাল জেটটি সন্দেহভাজন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কিছুই খুঁজে পায়নি।’’

    কী জানাল বায়ুসেনা?

    ভারতীয় বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের মতে, ‘‘ভারতীয় বায়ুসেনা ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে ভিডিয়ো সংগ্রহ করেছে। তার উপর ভিত্তি করে তার ‘এয়ার ডিফেন্স রেসপন্স মেকানিজম’ সক্রিয় করা হয়েছে। তবে যানটিকে দেখা যায়নি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অদূরে চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur Violence)। রাজধানী ইম্ফলের পরিস্থিতি হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বুধবার সন্ধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের দফতরের অদূরে চলল গুলি। খবর, এদিন এক দল জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি থানা ঘেরাও করে নেয়। থানা ঘিরে ফেলার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র, গুলিগোলা দাবি করতে থাকে। স্থানীয় আরামবাই তেঙ্গল গ্রুপ এই ঘেরাও করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। 

    অশান্ত ইম্ফল

    মঙ্গলবার মায়ানমার-মণিপুর (Manipur Violence) সীমান্তের টেঙ্গনৌপলে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মোরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিওপি) চিংথাম আনন্দ। আদিবাসীদের চালানো গুলিতেই ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও লাভ হয়নি। এই ঘটনার পরই মণিপুরে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। সেই বাহিনী মোরেহ শহরে পৌঁছতেই কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা গেছে, মণিপুরের ইন্দো–মায়ানমার জাতীয় সড়কের উপরে দুই জায়গায় পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথম হামলাটি চলে বংগ্যাং গ্রামে। এরপর কে সিনাম গ্রামে ফের পুলিশের কনভয়ের উপরে হামলা হয়। 

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    সেই ঘটনার প্রতিবাদে মেইতেই যুব সংগঠন বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে। সেই আন্দোলন থেকেই ইম্ফলে (Manipur Violence) অশান্তি ছড়ায় রাতে। গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মাঝে মাঝেই অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থানা লুট করার উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে থানাকে লুট হওয়া থেকে বাঁচাতে শূন্যে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। এর পর জনতাকে হঠাতে শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে ইম্ফলে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    Manipur Governor: মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন মণিপুরের রাজ্যপাল, পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর। গত পরশুদিন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার ছক করেছিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবার মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor)। জুলাই মাসে দুই ছাত্রছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ইম্ফল। উল্লেখ্য এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র শোরগোল পড়ে যায় ইম্ফলে।

    মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে রাজ্যপাল (Manipur Governor)

    শুক্রবার মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে সন্তান হারা দুই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পশ্চিম ইম্ফলের জেলায় এই দুই মৃত পড়ুয়ার পরিবার থাকেন। রাজ্যপাল পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজভবন সূত্রে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “জুলাইতে অপহরণ হাওয়া পড়ুয়াদের ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ফের উত্তেজনা ছাড়ায়। রাজ্যপাল স্বয়ং মৃত দুই পড়ুয়ার পরিবারের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাবা-মা অনেক দিন ধরে অনশন করছিলেন, তাঁদের জল দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।”

    রাজ্যপালের আশ্বাস

    মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারকে রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি, গত মঙ্গলবারে ২ পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে যেসকল ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের মারে জখম হন, তাঁদেরকেও শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।

    রাজভবন থেকে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল বলেন, “অবিভাবকরা ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য পরামর্শ দিন, আইন যেন হাতে তুলে না নেন তাঁরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে নিলে ছাত্রজীবনে দীর্ঘ স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে।” এদিন রাজ্যপাল লাঙ্গোলের শিজা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আহত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখতে যান। তাঁদের বাবা-মায়ের হাতে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে শান্তির বার্তা দেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: অশান্ত মণিপুরে হামলা বিজেপি দফতরে, ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরানো হল আগুন

    Manipur: অশান্ত মণিপুরে হামলা বিজেপি দফতরে, ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরানো হল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে আক্রান্ত বিজেপির অফিস। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অশান্তির আগুনে ফের জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। বুধবার সন্ধ্যায় সেই আঁচ পরল থৌবলের বিজেপি দফতরে। অভিযোগ বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা। জেলা বিজেপি দফতরে রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।

    মণিপুরে (Manipur) যেন হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সেখানে আফস্পার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও ভাঙচুর, লুট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অপহরণের মতো ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। মঙ্গলবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধেছে। এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে মণিপুরে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তদন্তভার সামলাচ্ছে সিবিআই। বুধবারই সিবিআই-এর ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর ইম্ফলে পৌঁছেছেন। 

    অপহরণ করে ২ পড়ুয়াকে খুন

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই দুই জন পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে কুকি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে একজন হলেন ফিজাম হেমজিদ তাঁর বয়স ২০ এবং অপরজন হিজাম লিনথোইগাম্ভি এই নাবালিকার বয়স ১৭। সোশ্যাল মিডিয়াতে হঠাৎ করে ভাইরাল হয় এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি যা নিয়ে ফের জ্বলে ওঠে মণিপুর। মনিপুরের তুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, অমিত শাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, যারা এই অপহরণ এবং হত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

    হিংসা চলছে ৫ মাস ধরে 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও হিংসা বন্ধের কোনও লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সরকারি হিসেবে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিংসার ঘটনায় ঘর ছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share