Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি বীরেনের  

    Manipur: মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি বীরেনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে হাত রয়েছে বহিরাগতদের। কিছুদিন আগেই এমন দাবি করেছিল মেইতেইদের সংগঠন। মেইতেইদের দাবি যে নেহাত অমূলক নয়, তা জানা গিয়েছিল একটি রিপোর্টেও। এবার মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহার করে নিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল মণিপুর (Manipur) সরকার।

    বিশেষ সুযোগ প্রত্যাহারের আর্জি

    মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, এই বিশেষ সুযোগ প্রত্যাহার করতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিআরওকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে মন্ত্রী এল হওকিপের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মণিপুরে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

    চালু ইন্টারনেট পরিষেবা

    ভারত-মানায়মার আন্তর্জাতিক সীমান্তের দু’ দিকে ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের মণিপুর (Manipur)-মায়ানপার যাতায়াত করতে ভিসা লাগে না। দু’ দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’ চুক্তি। অভিযোগ, এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে মণিপুরে অপরাধ করে দুর্বৃত্তরা গা ঢাকা দিচ্ছে মায়ানমারে। সেই কারণেই জানানো হয়েছে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিমে’র সুবিধা প্রত্যাহারের আর্জি। এদিকে প্রায় চার মাস পরে মণিপুরে চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুজব ঠেকাতে ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রুখতে হিংসা শুরুর পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এখন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই ফের চালু করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় নিজ্জর, ছক ভারতে হামলারও, চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের

    তিনি জানান, আফিম চাষের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার অভিযান তীব্রতর করবে। সেজন্য নর্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং নার্কোটিক্স অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স অফ বর্ডারকে নিয়ে যৌথ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে এম আনন্দ সিংহকে মণিপুর থেকে দিল্লিতে নিয়ে গেল এনআইএ। তার বিরুদ্ধে মণিপুরে (Manipur) অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: আফিম চাষ ধ্বংস করতেই ক্ষিপ্ত জঙ্গিরা! প্রয়োজনে বিমান ব্যবহারের আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: আফিম চাষ ধ্বংস করতেই ক্ষিপ্ত জঙ্গিরা! প্রয়োজনে বিমান ব্যবহারের আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর সরকার চাইলেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। মেইতেইদের এক সংগঠনের দাবি, সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল তারা। তখনই রাজনাথ এই আশ্বাস দেন।  

    সেনা জওয়ানের দেহ উদ্ধার 

    দু’ মাস হতে চলল। এখনও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা  ঘটছে উত্তর-পূ্র্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে। দিন কয়েক আগে বাড়ি থেকে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। অপহৃত ওই জওয়ানের নাম সর্থো থাংকাথং কোম। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার রাতে পশ্চিম ইম্ফল জেলার তারংয়ে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন উদ্ধার হয় দেহ। এহেন আবহে সম্প্রতি দিল্লি মেইতেই কো-অর্ডিনেটিং কমিটির এক প্রতিনিধিদল দেখা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের (Rajnath Singh) সঙ্গে।

    বায়ুসেনার বিমান ব্যবহারের আশ্বাস 

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সংঘর্ষের অন্যতম কারণ হিসেবে তারা জানায়, আফিম চাষ ধ্বংস করতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তৎপর হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কুকি জঙ্গিরা। এর পরেই রাজ্যে আফিম চাষ ধ্বংস করতে বায়ুসেনাকে ব্যবহারের অনুরোধ জানায় মেইতেইদের ওই সংগঠন। তাদের দাবি, মণিপুর সরকার প্রক্রিয়া মেনে চিঠি লিখলে বিমান ব্যবহার করা যেতে পারে বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    মণিপুরে হিংসা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সেই সেনা মেইতেইদের সঙ্গে একরকম এবং কুকিদের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করছে বলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Rajnath Singh) জানায় মেইতেইদের প্রতিনিধি দল। তারা জানায়, মেইতেইদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতে লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়, চালানো হয় রাবার বুলেটও। কোনও কোনও সময় গুলিও চালানো হয়। আর কুকিদের আন্দোলন রুখতে বাবা-বাছা করা হয়। এসব ব্যবহার করা হয় না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কুকিদের সঙ্গে সেনা জওয়ানদের এহেন আচরণ মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগের সঞ্চার করছে। প্রতিনিধিদলের বক্তব্য, জওয়ানরা মেইতেই এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেই একরূপ আচরণ করুক। প্রসঙ্গত, মণিপুরে হিংসার নেপথ্যে যে বহিঃশক্তির হাত রয়েছে, তা আগেই জানা গিয়েছিল একটি রিপোর্টে। মেইতেইরাও এমন দাবি করেছিলেন। স্থানীয় একটি সূত্রের খবর, সরকার আফিম চাষ বন্ধে উদ্যোগী হতেই হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    Manipur Violence: ফের হিংসা মণিপুরে, দিনের বেলায় গুলির লড়াই, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন চিত্রাঙ্গদার দেশে (Manipur Violence)। মঙ্গলবারই আলোচনা ও সাংবিধানিক উপায়ে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করেছে মণিপুর বিধানসভা। সেদিনই সংঘর্ষে উত্তাল হল উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যটি। এদিন সকালে কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামরক্ষী বাহিনীও। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’ জনের। সালাম জ্যোতি সিংহ নামে একজন জখম হয়েছেন। এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফের যাতে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে এলাকা, তাই তল্লাটে টহল দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    কুকি-জো অধ্যুষিত গ্রামে হামলা

    কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কুকি-জো অধ্যুষিত একটি গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের একজন হলেন জাংমিনলুন গাংতে। অন্যজনের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এদিকে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ (Manipur Violence)। পূর্ব ইম্ফল ও বিষ্ণুপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাড়িতে আগুন

    মঙ্গলবারের এই সংঘর্ষের আগে অশান্তি হয়েছিল রবিবারও। রাজধানী ইম্ফলে তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ওই দিন গভীর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ডিরেক্টর কে রাজোর বাড়ির নিরাপত্তরক্ষীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।

    ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত মণিপুরে (Manipur Violence)। রাজ্যের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো সহ কয়েকটি তফশিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে  প্রায় দু’শো জনের। ঘরছাড়া হয়েছেন কমবেশি ষাট হাজার মানুষ। পোড়ানো হয়েছে বহু বাড়ি। লুটপাট হয়েছে দোকান। জখম হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের অতিরিক্ত বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: আকসাই চিনে বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে চিন, যুদ্ধের প্রস্তুতি লালফৌজের?

    এদিকে, অশান্তি শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম বসে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন চলে মিনিট পনের। এর মধ্যেই পাশ করানো হয় আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব। এদিনের অধিবেশনে যোগ দেননি কুকি-জো গোষ্ঠীর দশ বিধায়ক (Manipur Violence)। নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেননি বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর হিংসায় (Manipur Violence) আরও ন’টি মামলার তদন্তভার বর্তাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান, সব মিলিয়ে ১৭টি মামলার তদন্তভার পেল সিবিআই। তবে এই ১৭টি মামলায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে না সিবিআই, আরও বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তভারও পেতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। মহিলাদের প্রতি অপরাধ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে সিবিআইকে। মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে যে আটটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আধিকারিকরা জানান, এর ওপর আরও ন’টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে তাঁদের হাতে।

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সিবিআই

    মণিপুরে (Manipur Violence) ঘটনার তদন্ত করাটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে খুবই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চিত্রাঙ্গদার দেশে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার শেকড় মূলত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গভীরে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, তাই তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকদের পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মহিলা সংক্রান্ত যেসব মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, সেগুলিতে মহিলা আধিকারিকদের কাজে লাগানো হয়েছে। নির্যাতিত মহিলাদের বয়ান রেকর্ড এবং প্রশ্ন করার জন্যও কাজে লাগানো হচ্ছে ওই মহিলা আধিকারিকদের।

    আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ৩ মে হিংসা শুরু হয় মণিপুরে (Manipur Violence)। মেইতেই এবং কুকিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্য। হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। জখমও হয়েছেন কয়েকশো। দীর্ঘদিন ধরে তফশিলি জাতির দাবি জানিয়ে আসছেন মেইতেইরা। এই নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে, দোরগোড়ায় স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল মণিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, উপদ্রুত অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদ। স্বাধীনতা দিবসে বনধের ডাক দিয়েছে উপত্যকার কয়েকটি সংগঠন। এক আধিকারিক বলেন, শনিবার চূড়াচাঁদপুরে পিস গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবসের রিহার্সাল হয়েছে। অংশ নিয়েছিল বিএসএফ, পুলিশ এবং অসম রাইফেলস।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    Manipur: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। তবে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের বিভিন্ন পকেটে বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলছে অশান্তির আগুন। গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্ট, চিত্রঙ্গদার দেশে অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের হাত। নেপালকে ভায়া করে মণিপুরে তারা নিত্য বুনছে অশান্তির বীজ।

    বৈঠকে বসছেন মোদি

    যার জেরে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ছবির মতো সাজানো এই রাজ্যটি। অশান্তির আগুনে জল ঢালতে আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে মণিপুর সহ উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি করে আসন নিয়ে ফিরতে ৩১ জুলাই থেকে বিভিন্ন রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তিনি বৈঠকে বসবেন অসম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সাংসদদের সঙ্গে।

    বিক্ষিপ্ত অশান্তি 

    এদিকে, রবিবারই মণিপুরের (Manipur) বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের প্রশাসনে এই দলের দুই বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকেকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স। মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে অশান্ত হয়ে ছিল মণিপুর। পরে অশান্তি দমনে কোমর কষে নামে কেন্দ্র। তার পরেও অবশ্য বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির। শুক্র ও শনিবার দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে অন্তত ছ জনকে। এমতাবস্থায় এদিন উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের এনডিএর সদস্য দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সাংসদরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরেন রিজিজু এবং নীতিন গড়করিরও।

    আরও পড়ুুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    এদিকে, মণিপুরে (Manipur) বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে রাশ টানতে আরও ৯০০ কোম্পানি আধাসামরিক জওয়ান পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই মণিপুরে ৪০ হাজারেরও বেশি সেনা ও আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এবার ফের পাঠানো হয়েছে আরও ৯০০ কোম্পানি। অন্যদিকে, গত ৪ মে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানো ও গণধর্ষণের ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে নঙ্গপোক সেকমেই থানার ইনচার্জ সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে (Manipur)। বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুরের পর এবার অশান্তির আগুনে পুড়ল ইম্ফল পশ্চিম জেলার লাংগল গ্রাম। এলাকার ১৫টি বাড়িতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা। ছোড়া হল এলোপাথাড়ি গুলিও। গুলির ঘায়ে জখম হন এক যুবক। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। হিংসার এই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি। এদিকে, শনিবারই চেকন এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। রবিবারও কারফিউ জারি রয়েছে পশ্চিম ইম্ফলে। আধাসেনার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশও।

    বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মণিপুরের (Manipur) বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। এঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর একজন গ্রামরক্ষী। একাধিক বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংঘর্ষ চলেছিল শনিবার ভোর পর্যন্ত। সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীও। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত কিংবা আহত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।

    অশান্তির শুরু 

    রাজধানী ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর (Manipur) জেলা। জেলাটি মেইতেই অধ্যুষিত। ৩ মে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালায় কুকিরা। আবার চূড়াচাঁদপুর জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে মেইতেইরা। কোয়াকতা হল এই দুই জেলার মাঝামাঝি এলাকা। প্রশাসন জায়গাটিকে বাফার জোন হিসেবে আগলে রেখে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এখানেই।

    আরও পড়ুুন: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে বাফার জোন (Manipur) টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকজন। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেইতেইরা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তাঁরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জ্বলল অশান্তির আগুন। প্রসঙ্গত, ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। মেইতেইরা তফশিলি জাতির দাবি জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিবাদ জানায় কুকি সহ বিভিন্ন জনজাতি। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি  

    Manipur: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় শুরু হয়েছে নতুন করে সংঘর্ষ। মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের। এঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর একজন গ্রামরক্ষী। একাধিক বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। সংঘর্ষ চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। জখম হন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত কিংবা আহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

    বাফার জোন

    রাজধানী ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর (Manipur) জেলা। জেলাটি মেইতেই অধ্যুষিত। ৩ মে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে কুকিরা। আবার চূড়াইচাঁদপুর জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখান থেকে পালিয়েছে মেইতেইরা। কোয়াকতা হল এই দুই জেলার মাঝামাঝি এলাকা। প্রশাসন জায়গাটিকে বাফার জোন হিসেবে আগলে রেখে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এখানেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে বাফার জোন টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকজন। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেইতেইরা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তাঁরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর।

    রাতভর গুলির লড়াই

    গুলির লড়াই চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। কোয়াকতা থেকে দু কিলোমিটার আগে যে বাফার জোন রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় পৌঁছায় তারা। চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনীও। তার পরেই আয়ত্ত্বে আসে পরিস্থিতি। বিষ্ণুপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছিল দিন দুই আগেও। সেদিন সংঘর্ষ (Manipur) হয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে মেইতেইদের। জখম হয়েছিলেন অন্তত ১৭ জন।

    আরও পড়ুুন: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর

    বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার জেরে পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলে ফের জারি করা হয় কারফিউ। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। অবৈধভাবে গড়ে তোলা সাতটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। মেইতেইরা তফশিলি জাতির দাবি জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিবাদ জানায় কুকি সহ বিভিন্ন জনজাতি। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের 

    Manipur violence: ফের উত্তপ্ত মণিপুর! পুলিশকর্তার হত্যা, অস্ত্রাগার লুঠ বিক্ষোভকারীদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিংসা ছড়াল মণিপুরে (Manipur violence)। তবে তা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে নয়। বৃহস্পতিবার অসম পুলিশের সঙ্গে মেইতেই সম্প্রদায়ের মহিলাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৭ জন মহিলা আহত হয়েছেন। ইম্ফল পশ্চিম জেলায় জনতা সঙ্গে সংঘর্ষে আরও এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর খবর এসেছে। পাশাপাশি, বিষ্ণুপুরে জেলায় কমপক্ষে দুটি নিরাপত্তা চৌকি থেকে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে উন্মত্ত জনতা। 

    নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ

    পুলিশ জানিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার কেইরেনফাবি এবং থাঙ্গালাওয়াইয়ে অবস্থিত মণিপুর (Manipur violence) সশস্ত্র পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের দুটি ফাঁড়ি থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুঠ করা হয়েছে। হেইনগাং এবং সিংজামেই থানা থেকেও অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুঠ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কাউতরুক, হারাওথেল এবং সেনজাম চিরাং এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন এক পুলিশ অফিসার। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুইজন। নিহত পুলিশ অফিসারের মাথায় গুলি লেগেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিকটবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে স্নাইপার রাইফেলে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। কাউতরুক এবং সেনজাম চিরাং-এ গুলিযুদ্ধে একজন গ্রাম স্বেচ্ছাসেবকও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    কার্ফু জারি বিভিন্ন অঞ্চলে 

    পুলিশ সূত্রে খবর, মেইতেই সম্প্রদায়ের মহিলারা জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়েন। জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় এবং শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ওই এলাকায় ফের কার্ফু জারি করেছে। উপদ্রুত এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরাতে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাউওতরু পাহাড়ি এলাকায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সাতটি অবৈধ বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। মণিপুরের (Manipur violence) পার্বত্য ও উপত্যকা এলাকার জেলাগুলিতে মোট ১২৯টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইনভঙ্গের দায়ে প্রায় ১,০৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা

    অন্যদিকে সংসদীয় সূত্রের দাবি, বিরোধীদের আর্জি, মণিপুর নিয়ে রুল ১৬৭ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করুক কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীদের দাবি, সরকারের তরফে আলোচনায় মণিপুর (Manipur violence) নিয়ে বক্তব্য রাখুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ রাজ্যসভায় আলোচনা চলাকালীন কোনও একটা সময়ে প্রধানমন্ত্রী সভায় এলেই চলবে৷ সূত্রের দাবি, বিরোধীদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সরকারপক্ষ৷ আলোচনা হবে সংসদের শেষ দিন, ১১ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর নিয়ে প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন। বুধবার এ নিয়ে বিরোধীদের তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বিরোধী নেতারা মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নন। তাঁরা সংসদের আলোচনায় (Parliament Adjourned) অংশগ্রহণ করছেন না। তাঁরা কেবল পালিয়ে যাচ্ছেন, সংসদকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না।”

    বিরোধীদের তোপ অনুরাগের

    তিনি বলেন, “তাঁরা (বিরোধীরা) মণিপুরে যেতে পারেন, কিন্তু বাংলা ও রাজস্থানে যেতে পারেন না। তাঁরা কেবল রাজনীতি করছেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে অনুরাগ বলেন, “সংসদে বিল পেশ করতে বাধা দিলে কিছুই হবে না। তাই তাঁদের সংসদে আসা এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। তাঁরা এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।” এদিকে, সংসদীয় কাজে (Parliament Adjourned) ব্যাঘাত ঘটায় শাসক ও বিরোধী দু পক্ষের সাংসদদের ওপরই ক্ষুব্ধ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। যতদিন না সংসদরা উপযুক্ত আচরণ করছেন, ততদিন তিনি আর লোকসভায় আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

    হট্টগোলে বিরক্ত স্পিকার

    মঙ্গলবার লোকসভায় দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ পেশ করেছে সরকার। এই বিল পেশের সময় ব্যাপক হট্টগোল হয় সংসদে (Parliament Adjourned)। তার জেরে বিরক্ত বোধ করেন স্পিকার। জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে সংসদের মর্যাদা রক্ষাই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। সংসদীয় কার্যক্রম চলার সময় সাংসদরা সংসদের মর্যাদা ও শালীনতা বজায় রাখবেন, এমনটাই আশা করেন তিনি। কিন্তু, ২০ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও ট্রেজারি বেঞ্চের বাধায় যেভাবে বারংবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজকর্ম, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্পিকার। সেই কারণেই অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    আজ, বুধবার স্পিকারের আসনে ছিলেন নাম ওম বিড়লা। এদিন দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ এর ওপর আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিনও সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। যেহেতু লোকসভার ডেপুটি পদে কেউ এখন নেই, তাই সংসদ পরিচালনা করেন সাংসদ বিজেপির কিরিৎ সোলাঙ্কি। তিনি একাধিকবার বিরোধীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানালেও, কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয় সংসদের দুই কক্ষের কার্যক্রম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share