Tag: Manipur

Manipur

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাস হতে চলল। এখনও নেভেনি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের (Manipur) অশান্তির আগুন। এই অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢেলে চলেছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই দুই দেশ নেপালের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, জোগাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও।

    মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র, অর্থ

    মায়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারও নিয়ন্ত্রণ করছে ওই দুই দেশের ‘এজেন্ট’রা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, অশান্তির আগুনে ইন্ধন জোগাতে নেপালি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে চিন। এজন্য শি জিনপিংয়ের দেশ নিয়োগ করেছে সে দেশের সিক্রেট সার্ভিসকে। এরাই জোগাচ্ছে অর্থ। মণিপুরে সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্র অনুপ্রবেশের কাজটিও সুচারুভাবে করতে পাকিস্তান ও চিন ব্যবহার করছে নেপালকে।

    ‘আর একটা কাশ্মীর’

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর (Manipur) থেকে উদ্ধার হয়েছে চিনা অস্ত্র। যার অর্থ, বেশ কিছুদিন ধরে মায়ানমারকে ভায়া করে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেজিং। ২৬ জুলাই মোর্চ এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। এই ঘটনায় মায়ানমারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। এই এলাকায় মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই চিনে তৈরি। মণিপুরকে ‘আর একটা কাশ্মীর’ বানাতে চেয়েছে ভারতের চির শত্রু ওই দুই দেশ।

    মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখার পিছনে চিন ও পাকিস্তানের অতি-সক্রিয়তার কারণ এই মণিপুর দিয়েই সাউথ এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। নিত্য অশান্তি লেগে থাকলে ভারত সরকার যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও উন্নয়ন করেনি, তা ফলাও করে বলতে পারবে। যদিও তথ্য বলছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে যে চিনের হাত রয়েছে, তা দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানেও। তিনি বলেন, “অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় জড়িত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই অস্থিরতা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” নারাভানে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে আসছে চিন। এখনও জারি রেখেছে সেই সাহায্য।” শান্তি ফেরাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Manipur: ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব, আলোচনা ৮ অগাস্ট, ১০ তারিখে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে পরাজয় নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মণিপুর (Manipur) নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপি বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে ৮ অগাস্ট। তার দু দিন পরে জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, মঙ্গলবার বৈঠক ছিল লোকসভার অ্যাডভাইসারি কমিটির। সেখানেই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনার দিনক্ষণ স্থির করার কথা ছিল।

    প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ

    বৈঠকে জানানো হয়, এদিন দুপুর দুটোয় লোকসভায় দিল্লি সার্ভিসেস বিল পেশ করা হবে এবং বুধবার এ বিষয়ে আলোচনা চায় সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করেন বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতারা। প্রতিবাদে মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। বিরোধীরা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সরকার পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা (Manipur) হয় অধ্যক্ষের। তার পরেই স্থির করা হয় অনাস্থা প্রস্তাবের দিনক্ষণ। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণ দেবেন ১০ অগাস্ট। তার পরের দিনই শেষ হওয়ার কথা বাদল অধিবেশনের।

    অনাস্থা প্রস্তাব কী?

    অনাস্থা প্রস্তাব একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী পক্ষ। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের যে কোনও সদস্যই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন। তবে তাঁর সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন থাকতে হবে অন্তত ৫০জন সাংসদের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৮টি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে লোকসভায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল ২০১৮ সালে। লোকসভায় শাসক জোট এনডিএর হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। ‘ইন্ডিয়া’র (Manipur) সাংসদ রয়েছেন ১৪৪ জন। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে অনাস্থায় গোহারা হারবে ইন্ডিয়া।

    আরও পড়ুুন: ২৪ কোটির দুর্নীতি! অভিযোগ, নুসরতের ‘কীর্তি’ জানত গড়িয়াহাট থানা

    মেইতেই ও কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর (Manipur)। তফশিলি জাতির দাবিতে সোচ্চার হন মেইতেইরা। তার জেরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি ঘি পড়ে  সেই আগুনেই। ৪ মে মণিপুরের এক গ্রামে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয় দুই তরুণীকে। পরে তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরেই তোলপাড় দেশ। যার আঁচ লেগেছে সংসদের গায়েও। এহেন আবহেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    Manipur: “মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি বিজেপি, কথা হোক বাংলা নিয়েও”, দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সরগরম দেশ। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নষ্ট হয়েছে সংসদের বেশ কয়েকটা মূল্যবান দিন। মণিপুর ইস্যুতে হইচই হয়েছে রাজ্যের বিধানসভায়ও। আজ, সোমবার এনিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মালদহ-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাইলেও, তাতে রাজি হননি তিনি। স্পিকারের ‘দ্বিচারিতা’র বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিমিত্রা 

    রবিবার এ ব্যাপারে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “ওরা এ প্রসঙ্গে আগামিকাল (আজ, সোমবার) আলোচনা চালাবে এবং আমরাও আলোচনা করতে রাজি আছি। তবে আমরা এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়েও আলোচনা করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আমাদের উচিত প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বলা, তারপর মণিপুর (Manipur)। আমরা দুটো রাজ্য নিয়েই আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

    তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিধানসভায় আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের আনা নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে শুক্রবার। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি ওই রাজ্যের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠারও।

    বিবৃতি জারি বিধানসভার

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনায় মহিলাদের ওপর সব থেকে বেশি আক্রমণ হচ্ছে। তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। গোটা রাজ্য জ্বলছে। রাজ্যে লুটপাট, অরাজকতা চলছে। মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হিংসাশ্রয়ী এই সংঘর্ষের ছবি শুধু মণিপুরের (Manipur) নয়, গোটা দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। অমানবিক পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা করে রাজ্য বিধানসভা দাবি করেছে, কেন্দ্র অবিলম্বে মণিপুরকে শান্ত করুক।

    আরও পড়ুুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা যে নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়েও অবশ্যই আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এটা (নিন্দা প্রস্তাব) কেবল মণিপুর নিয়েই নয়, বাংলা নিয়েও হওয়া প্রয়োজন। এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। তার পরেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তিনি নিশানা করেন টিম ইন্ডিয়াকেও।

    ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে নিশানা মমতাকে 

    শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠে যাওয়ার কথা রয়েছে অনুরাগের। তারপর খানাকুলে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা। মমতার নির্দেশে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য ৮-৯ বছর ধরে সমাজবিরোধী ও অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি। এর জবাব মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে। বিজেপির আসন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।”

    অনুরাগের নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’, অধীর

    এদিন রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিমানবন্দরে নেমেই নিশানা করেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের মণিপুরে যাওয়া লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।” অধীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, নির্বাচনে মানুষের রক্ত ঝরেছে, মৃত্যুও হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা কি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে আসবেন? কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় তাদের নেতার উদ্দেশে আমার এই প্রশ্ন। নিজের রাজ্যেও কি আপনাদের জোটের বাকি সাংসদদের নিয়ে আসবেন আপনি? যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেও নিয়ে যাবেন তো?”

    মণিপুরে ‘ইন্ডিয়া’

    এদিকে, শনিবারই মণিপুরে গিয়েছে টিম ‘ইন্ডিয়া’। ‘ইন্ডিয়া’র ২১ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল গিয়েছে মণিপুরে। এই দলে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের সু্স্মিতা দেবও। রাজ্যে তৃণমূলের ঘোর শত্রু কংগ্রেস। তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের সঙ্গে সেই কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী মণিপুর যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। 

    “সভ্য সমাজের লজ্জা”

    ৪ মে মণিপুরের কঙ্গপোকপি জেলায় দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে এলাকায় ঘোরানো হয়। গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। অভিযুক্তদের পাশাপাশি যিনি ভিডিও করেছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেন, “এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।” এই ঘটনায় শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। 

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) এবার আক্রান্ত খোদ নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। বুধবার সকালে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলিও। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলের। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    গুলির লড়াই

    এদিন সকাল (Manipur) সাড়ে ন’টা নাগাদ সশস্ত্র দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মৃত্যু হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। গুলির ওই লড়াইয়ের জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার আগেই অবশ্য এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি মেইতেইদের। হিংসার কারণে অবশ্য বাড়িগুলিতে এখন কেউ ছিলেন না। বাড়িগুলির পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বন বিভাগের অফিসেও।

    বাসে আগুন 

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে (Manipur) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি বাস। তখনই বাস দুটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ৩ মে। এদিনই হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের। মেইতেইরা দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জাতি মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল করে। এর পরেই শুরু হয় দু পক্ষে সংঘর্ষ। যার জেরে ইতিমধ্যেই বলি হয়েছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    হিংসা থামাতে একাধিক (Manipur) পদক্ষেপ করা হয়। তার পরেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। মণিপুরবাসীর জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহের হাতে। তার পরেও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। যার মাশুল গুণছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অস্ত্রেই রাজ্য সরকারকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)! মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অথচ বুধবার মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।

    প্রসঙ্গ মণিপুর

    মঙ্গলবারই এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মুলতুবি ঘোষণা করা হয় বিধানসভা। তাই এদিন আর কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওঠেনি মণিপুর প্রসঙ্গও। তাই বুধবার এনিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভার কক্ষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, মণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপি বিধায়করা যে তা হতে দেবেন না, তা স্পষ্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়ই।

    শুভেন্দুর হাতিয়ার

    তিনি বলেন, “মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনতে পারে না। কারণ এডুকেশন স্ক্যাম নিয়ে আমরা আগে যখন বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল সাব জুডিস ম্যাটার। আলোচনা করা যাবে না। মণিপুরও সাব জুডিস ম্যাটার। সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। ফলে একই যুক্তিতে এটাও আলোচনা করা যায় না।” শুভেন্দু বলেন, “তবুও জোর করে আনলে আলোচনা হবে। আমাদের মহিলা সদস্যরা অংশ নেবেন। আমরা হাউস (বিধানসভা) বন্ধ করে নয়, সচল রেখেই প্রতিবাদ জানাব।”

    তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এদিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ডেঙ্গি রোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই থেকে মালদহ, গোটা রাজ্যে নারী নির্যাতন চলছেই। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বাড়ছে বেকারত্ব। বর্ষার শুরুতেই মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। এরই প্রতিবাদে সরব হবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।”

    আরও পড়ুুন: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে তিনি করেন পরিষদীয় দলের বৈঠক। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চাইব। না হলে প্রতিবাদে শামিল হব।” বুধবারই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা। শ্যামবাজারে অবস্থানও করবেন। রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় দাবি করবেন এনআইএ তদন্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের ঘটনা নিয়ে পরে কথা বলবেন। আগে মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কী হচ্ছে দেখুন!” সোমবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কোচবিহারে গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার প্রসঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    বাংলায় ঘটনার ঘনঘটা

    তিনি বলেন, “কোচবিহারে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ছ’ দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছে। হাসপাতালে সে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। বাংলায় ঘটে যাওয়া একের পর এক কাণ্ড কেন বিরোধীদের চোখে পড়ছে না?” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের বিরোধীরা একপেশে। তাঁরা মণিপুর দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু মালদা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন না।”

    সুকান্তর হুমকি 

    বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস মনে রাখবে সারা জীবন।” তিনি বলেন, “বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতে বলা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা। এটা বিজেপি কোনওভাবেই মেনে নেবে না।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “ওদের যা করার, করুক। কিছু মানুষের প্রাণ যদি যায়, কেউ যদি আহত হয়, কোনও মায়ের কোল যদি খালি হয়, তাহলে আমরাও তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড়ব না। পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা ঠিক সময় ঘোষণা করব।”

    এর পরেই তিনি বলেন, “এমন প্রত্যুত্তর দেব, যা তৃণমূল কংগ্রেস সারা জীবন মনে রাখবে।” সুকান্ত বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীরা এফআইআর করেছেন। এটা প্ররোচনামূলক কথা। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্বনামধন্য কয়লা ভাইপো যেভাবে হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে, তা ভারতের ইতিহাসে কেউ কখনও দেখেনি।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের ওই কর্মসূচি নিয়ে আমার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথা হয়েছে। আমি বিষয়টি ওঁকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে বিষয়টি জানাবে। কারণ সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের কর্মসূচির মোকাবিলায় বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে। তার পাল্টায় কী হবে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেবে রাখতে বলবেন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ২৬৭ না ১৭৬! মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে কোন ধারায়? 

    Manipur Violence: ২৬৭ না ১৭৬! মণিপুর নিয়ে আলোচনা হবে কোন ধারায়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session of Parliament) দ্বিতীয় দিনও মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা। ২৬৭ না কি ১৭৬? কোন ধারায় মণিপুর হিংসা (Manipur Violence) নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে তরজা শুরু হয় বিরোধী এবং সরকারপক্ষের। আর সেই হট্টগোলের জেরে আবার মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশন।

    কোন ধারায় আলোচনা

    ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ‘ঘটনা’-সহ মণিপুরের (Manipur Violence) সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সরকার। কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ২৬৭ ধারার পরিবর্তে ১৭৬ ধারায় আলোচনা চেয়েছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৭৬ ধারায় কেবলমাত্র তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘স্বল্পকালীন আলোচনা’ হয় সংসদে। এতে সংসদের সাধারণ কার্যকলাপ বন্ধ রাখারও প্রয়োজন হয় না। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ২৬৭ ধারায় আলোচনার দাবিতে সায় না দেওয়ায় বিরোধী সাংসদেরা প্রতিবাদ শুরু করেন। 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতামত

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। মণিপুরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে মণিপুরের ঘটনা গোটা দেশকে লজ্জিত করেছে। আমি সর্বদলীয় বৈঠকেও বলেছিলাম, এখনও বলছি আমরা চাই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। কিন্তু বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নয়। বেশ কিছু বিরোধী দল ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদে অশান্তি করছেন যাতে আলোচনা না হতে পারে। আমি অভিযোগ জানিয়েই বলছি, মণিপুরের পরিস্থিতিকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, বিরোধীরা তা করছে না।”

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারে জনপ্রিয়তার নিরিখে বাইডেন-সুনককে পিছনে ফেললেন মোদি

    বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “দেশের মানুষ আশা নিয়ে সংসদের অধিবেশন (Monsoon Session of Parliament) দেখতে বসেন, অথচ বিরোধীরা অধিবেশন চালাতে দেন না, আলোচনায় অংশ নেন না। তখন এঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।” বিরোধীদের সরকারের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই তাঁরা আলোচনা থেকে পালাতে চান বলেও কটাক্ষ করেছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “আমরা সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল, আলোচনায় অংশ নিতে চাই। আর বিরোধীরা দায়িত্ব থেকে পালাতে চায় এবং আলোচনা থেকেও পালাতে চায়।” এভাবে দিনের পর দিন সংসদ অচল থাকলে দেশের ক্ষতি বলে মনে করে সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “আলোচনা থেকে পালাবেন না”, মণিপুরকাণ্ডে বিরোধীদের অনুরোধ অনুরাগের  

    Manipur: “আলোচনা থেকে পালাবেন না”, মণিপুরকাণ্ডে বিরোধীদের অনুরোধ অনুরাগের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। নষ্ট হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনের মূল্যবান দুটি দিন। অধিবেশন শুরুর পরপরই স্থগিত করে দিতে হয়েছে অধিবেশন। সোমবার, মণিপুরকাণ্ডে ফের একবার উত্তাল হতে পারে সংসদের উভয় কক্ষই। তাই এদিন আলোচনা থেকে বিরোধীদের পালিয়ে না যাওয়ার আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    অনুরাগের আবেদন

    তিনি বলেন, “যে কোনও রাজ্যেই মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনা হৃদয় বিদারক। মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যগুলির দায়িত্ব। আমার মতে, সরকারের সঙ্গে সঙ্গে পুরো সমাজকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংসদের ভিতরে আলোচনা হওয়া দরকার। সব দলের সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। কারওর এই আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমি বিরোধীদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আলোচনা থেকে পালাবেন না। আসুন, আলোচনায় অংশ নিন। রাজস্থান হোক, বিহার হোক, মণিপুর (Manipur) হোক – যে যে রাজ্যে এই ধরনের সমস্যা আছে, বুঝতে হবে নির্যাতিতারা আমাদেরই দেশেরই মা-মেয়ে। কেউ কীভাবে এরকম কাজ করতে পারে? এই জন্যই সবার প্রতি আমার অনুরোধ, আসুন সোমবার সংসদে এই বিষয়ে গুরুতর আলোচনা করি। বিরোধীদের এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়, বরং আলোচনা করা উচিত। বিরোধীরা আলোচনার দাবি জানান, আলোচনায় অংশ নেন না।”

    উত্তপ্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে। তার পরের দিনই কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটতে বাধ্য করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ১৯ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা কড়া শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহও জানান, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির প্রগতি ময়দানের নয়া কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur: মণিপুরকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন উত্তেজিত জনতার

    Manipur: মণিপুরকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন উত্তেজিত জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মূল অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি প্রথমে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে লাগিয়ে দেয় আগুন। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বছর বত্রিশের ওই যুবককে। তাঁকে জেরা করে এদিন সন্ধ্যায়ই গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট চারজনকে।

    অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস

    মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, তদন্ত চলছে। যাঁরা এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলছি না। জানা গিয়েছে, মণিপুরের (Manipur) থৌবাল জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানোর সময় তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। এর পরেই উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর বাড়িতে।

    লজ্জাজনক সেই ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরের কাংপোকপি জেলার। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে আতঙ্কে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    পরে বছর ছাপান্নর এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। পরে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় দুই মহিলাকে। বছর একুশের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। ২১ জুন ওই মহিলারা দায়ের করেন এফআইআর।প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share