Tag: Manish Sisodia

Manish Sisodia

  • KCR-daughter K Kavitha arrested: তল্লাশির পর ইডির হাতেই গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা

    KCR-daughter K Kavitha arrested: তল্লাশির পর ইডির হাতেই গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন কেসিআর-কন্যা কে কবিতা (KCR-daughter K Kavitha arrested)। আয়কর দফতর এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আজ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী এবং তেলঙ্গনার বিধান পরিষদের সদস্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-কন্যাকে গ্রেফতার করেছে। হায়দ্রাবাদ থেকে দিল্লিতে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় দেশের রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।

    বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার (KCR-daughter K Kavitha arrested)

    আজ শুক্রবার আচমকাই কেসিআর-কন্যা কবিতার (KCR-daughter K Kavitha arrested) হায়দ্রাবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর এবং ইডি। এদিন তদন্ত করতে দুই সংস্থার অন্তত ১০ আধিকারিক বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন কএসিআর-কন্যা এবং তাঁর স্বামী ডি অনিল কুমার। তাঁদের উপস্থিতিতেই তল্লাশি চলে বলে জানা গিয়েছে। আবগারি মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন এই কবিতা। আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিকবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এমন কী তদন্তের মোকাবিলা যাতে না করতে হয়, তাই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। কবিতা ২০১৪ সাল থেকে দুইবার সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু তবু গ্রেফতার হতেই হল তাঁকে।

    গত ডিসেম্বর মাসে তদন্তে নাম উঠে আসে

    গত ডিসেম্বর মাসে যখন মণীশ সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি, সেই সময় সূত্রে ধরে তদন্তে নাম উঠে এসেছিল কবিতার (KCR-daughter K Kavitha arrested)। পরবর্তী কালে কবিতার মোবাইল পরিচিতি বদলানো হয়। কেজরীওয়াল সরকারের আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দক্ষিণ ভারতের আরও এক নেতা অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাই। এছাড়াও এই আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদ এম শ্রীনিবাসুলু রেড্ডি এবং হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী শরৎ রেড্ডি প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এবারে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপরদিকে গত বুধবার কেসিআরের তরফ থেকে দলের লোকসভা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও নিজের মেয়েকে এইবার টিকিট দেননি। পরিবারের প্রতি স্বজন পোষণের অভিযোগকে মুছে ফেলতে চাইছিলেন কেসিআর, এমনটা বলা হলেও গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিলই। আর এর মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন কে কবিতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Sisodia: মণীশকে ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আর্জির মামলার শুনানি ২১ মার্চ

    Manish Sisodia: মণীশকে ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, জামিনের আর্জির মামলার শুনানি ২১ মার্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে পাঠানো হল আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সাত দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার দিল্লি কোর্টে মণীশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ১০ দিনের পরিবর্তে তাঁকে ৭ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ইডির হেফাজতে মণীশ সিসোদিয়া

    আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে (Manish Sisodia) ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই হেফাজতে থাকার পর ৬ মার্চ জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন থেকেই তিনি তিহার জেলে ছিলেন। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি মামলায় এদিন সিবিআইয়ের স্পেশাল আদালতে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও সেই আবেদন এদিন শোনা হয়নি, আগামী ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন:গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    তবে অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এই একই মামলায় জেলে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। তারপরই বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ আদালতে মণীশের (Manish Sisodia) মামলার শুনানিতে ইডি জানায়, এই দুর্নীতিতে নতুন অনেক তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। আরও জানায়, প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ ঘটেছে এই দুর্নীতিতে। ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একাধিক অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছি। সিসোদিয়াকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি তাঁদের বসিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।” শুধু তাই নয়, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।

    যদিও এদিন আদালতে মণীশের পক্ষের আইনজীবী জানান, বেআইনিভাবে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে দু’পক্ষের জওয়াল জবাব শেষে বিচারক ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Manish Sisodia: জামিন পেলেন না সিসোদিয়া, আরও দুদিন বাড়ল সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি ১০ মার্চ

    Manish Sisodia: জামিন পেলেন না সিসোদিয়া, আরও দুদিন বাড়ল সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি ১০ মার্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিন পেলেন না মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। তাঁকে আরও দুদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আবগারি দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, এই অভিযোগে শনিবার দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার আরও তিন দিনের হেফাজতের দাবি জানান সিবিআই পক্ষের বিশেষ আইনজীবী। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত আরও দুদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    আবগারি কেলেঙ্কারিতে সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) গ্রেফতার করার পর আজই সিসোদিয়ার পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে হাজির করে সিবিআই।  সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, তদন্তে কোনও প্রকার সহযোগিতা করছেন না সিসোদিয়া। সিসোদিয়া আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “অসহযোগিতা হেফাজতের ভিত্তি হতে পারে না।”

    এদিন সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) আইনজীবী আরও জানান, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অদক্ষতা কখনওই জামিন না পাওয়ার কারণ হতে পারে না।’’ শেষ পর্যন্ত সিবিআই- এর আবেদনই আংশিক মেনে নেন বিচারক। দুদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় সিসোদিয়াকে।

    আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের বিকাশে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’- এ জোর মোদি সরকারের

    প্রসঙ্গত, আবগারী দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গত রবিবার মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পরে মঙ্গলবার জেল থেকেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। পাঁচ দিনের হেফাজতের সময়সীমা শেষ হওয়ায় শনিবার তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। 

    আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি নীতির প্রথম খসড়ার অন্তত ৬টি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সিসোদিয়া।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর গত ২ মে দিল্লির আবগারি নীতি সংশোধন করে নয়া নীতি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ৩০ জুলাই নতুন মদ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি করা যাবে।

    কী নিয়ে বিতর্ক?

    আবগারি নয়া নীতিতে মদের হোম ডেলিভারি, ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতাদের সীমাহীন ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই ২০২২ সালে তা বাতিল করা হয়। আপ সরকারের দাবি ছিল এই নতুন আবগারি নীতির ফলে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করতেই আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।

    আরও পড়ুন: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    নতুন মদ নীতিতে অনিয়মের কারণেই দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সিবিআই। ফলে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এর পর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। এর পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্য সচিবকে নতুন মদ নীতির ‘অবৈধ প্রণয়ন, সংশোধনী এবং বাস্তবায়নে অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা’ নিয়ে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর এই মামলায় তদন্তে নেমেই গতকাল গ্রেফতার করা হল আবগারি দফতরের দায়িত্বে থাকা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

  • Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার দিল্লির আপ মন্ত্রী (Manish Sisodia)। মাত্র ৯ মাসের ব্যবধান। এর আগে গত মে মাসে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। আর এবারে ২৬ ফেব্রুয়ারি অন্য এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আবগারি নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    দিল্লির মন্ত্রীর গ্রেফতারে বিপাকে আপ শিবির

    সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পর এবারে দলের প্রধান কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিসোদিয়ার গ্রেফতারিতে ফের ‘অস্বস্তি’তে আপ শিবির। গত বছরের ৩০ মে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল ইডি। মানি লন্ডারিং কেসে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তদন্তে উঠে এসেছিল যে, ২০১৫-১৬ সালে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে যুক্ত ছিলেন তিনি। ৪.৮১ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছিল। মনে করা হচ্ছে যে এই টাকা সরাসরি জমি কেনার জন্য বা দিল্লি এবং তার আশেপাশে কৃষি জমি কেনার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। সত্যেন্দ্র কেজরিওয়ালের খুব ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতা বলে পরিচিত। আর সেই কারণেই কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভাতেও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারিতে বড় ধাক্কা খেয়েছিল আম আদমি পার্টি।

    আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    এবার সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের গ্রেফতার আরও এক আপ মন্ত্রী, যিনি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীও। মণীশ সিসোদিয়াও ঘনিষ্ঠ নেতা কেজরিওয়ালের। আবগারি নীতি মামলায় গত বছরেই সিসোদিয়ার বাড়ি-সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। এর পর তাঁর ব্যাঙ্ক লকারও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। গত অগাস্টেই সিসোদিয়া এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পর একাধিকবার তাঁকে তলব করে জেরা করার পর গতকাল অবেশেষে গ্রেফতার করে সিবিআই।

  • Manish Sisodia:  আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    Manish Sisodia: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ আশঙ্কাই সত্যি হল। গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আবগারি নীতি মামলা…

    আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সেই মতো এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। তখনই বুঝে যান এদিনই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। সেই কারণে সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৭-৮ মাসের জন্য জেলে যাচ্ছি।

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন সিসোদিয়া। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো করেন। পরে যান সিবিআই দফতরে। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Manish Sisodia) বলেন, আমি ৭-৮ মাস জেলে থাকব। আমার জন্য দুঃখ করবেন না, গর্বিত হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি আমাকে একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই করা উচিত। আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি এখন অসুস্থ এবং বাড়িতে একা। তাঁর যত্ন নেবেন। আর আমি দিল্লির ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, কষ্ট করে পড়াশোনা কর। বাবা-মায়ের কথা শোনো।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    শনিবার একটি সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে, রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এটা খুবই দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। সিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বারবার তাঁদের ফোন বদলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দিতেই এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাদের এও দাবি, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত গত বছরের মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, সেখানে তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Manish Sisodia: সিবিআই দফতরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী, গ্রেফতারির আশঙ্কা

    Manish Sisodia: সিবিআই দফতরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী, গ্রেফতারির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। সেই মতো এদিন সকালে সিবিআই দফতরে গেলেন সিসোদিয়া। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে তিনি বলেন, ৭-৮ মাসের জন্য জেলে যাচ্ছি। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো-ও করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী।

    সিসোদিয়া…

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন সিসোদিয়া। এর আগেও একবার তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তবে বাজেট সংক্রান্ত কাজের জন্য সিবিআইয়ের কাছে বাড়তি সময় চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই। পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। সিবিআই অফিসে ঢোকার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Manish Sisodia) বলেন, আমি ৭-৮ মাস জেলে থাকব। আমার জন্য দুঃখ করবেন না, গর্বিত হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি আমাকে একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই করা উচিত। আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি এখন অসুস্থ এবং বাড়িতে একা। তাঁর যত্ন নেবেন। আর আমি দিল্লির ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, কষ্ট করে পড়াশোনা কর। বাবা-মায়ের কথা শোনো।

    আরও পড়ুুন: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি শুভেন্দুর

    শনিবার একটি সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে, রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এটা খুবই দুঃখজনক। ইডির দাবি, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। সিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বারবার তাঁদের ফোন বদলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দিতেই এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইডি-র এও দাবি, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত গত বছরের মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, সেখানে তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ ইডি-র। এদিকে, সিবিআই দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোয় আপ নেতৃত্বের কয়েকজনকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manish Sisodia: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে হাজিরা এড়িয়ে সময় চেয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া, আবেদন মঞ্জুর সিবিআইয়ের

    Manish Sisodia: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে হাজিরা এড়িয়ে সময় চেয়েছিলেন মণীশ সিসোদিয়া, আবেদন মঞ্জুর সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের একবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে তলব করেছে সিবিআই। আজ, রবিবারই সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জেরার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন সিসোদিয়া। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সিসোদিয়ার দাবি মেনে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়, আগামীতে ফের তলবের নয়া তারিখ জারি করা হবে।

    সময় চেয়েছিলেন আপ নেতা

    দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে চাপানউতোর চলছে রাজধানীর রাজনীতিতে। দিল্লির উপরাজ্যপাল বিকে সাক্সেনার নির্দেশে সিবিআই রাজ্যের আম আদমি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও একই মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। এই দুর্নীতির তদন্তে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই ও ইডির দাবি, এই দুর্নীতির শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মণীশের বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় সিবিআই, জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। আজ আবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল।

    মণীশ সিসোদিয়া কী বলেন?

    শনিবারই মণীশ সিসোদিয়া নিজে ট্যুইট করে জানান, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ফের একবার তাঁকে তলব করেছে। রবিবার তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনি ট্যুইটে লেখেন, “সিবিআই আগামিকাল আমায় আবার ডেকেছে। আমার বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডির সমস্ত ক্ষমতা ব্যবস্থা করেছে। আমার বাড়ি তল্লাশি করেছে, ব্যাঙ্কের লকার তল্লাশি করেছে, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই মেলেনি। আমি দিল্লির শিশুদের জন্য সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি শুধু। ওরা আমাকে থামাতে চায়। আমি সর্বদাই তদন্তে সহযোগিতা করেছি এবং আগামী দিনেও তা করব।”

    তবে এদিন সকালে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, দিল্লি সরকারের অর্থমন্ত্রী তিনি। বর্তমানে তিনি আসন্ন ২০২৩-২৪ সালের রাজ্য বাজেট প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আস্থা দিতেই তিনি বলেন, “এটা দিল্লির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। যদি সিবিআই এক সপ্তাহের সময় দেয় হাজিরার জন্য, তবে ভাল হয়। ফেব্রুয়ারির শেষের মধ্যেই আমি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেব।”

    মণীশের আবেদন মঞ্জুর সিবিআইয়ের

    আজ, রবিবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের কাছে একটি চিঠি আসে। মণীশ সিসোদিয়ার তরফেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর এই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে যে, হাজিরার জন্য এক সপ্তাহ চান তিনি। শেষপর্যন্ত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে কিছু সময় দিয়ে দেয় সিবিআই।

    আপ নেতা তথা দিল্লির অর্থমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র হরিশ খুরানা এক বিবৃতি জারি করে মণীশ সিসোদিয়াকে কটাক্ষ করেছেন। সিসোদিয়ার অনুরোধকে একটি “অজুহাত” বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তাঁকে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি ‘ভীত’। বাজেট একটি অজুহাত, আসল উদ্দেশ্য হল, এর থেকে পালানো। গতকাল পর্যন্ত তিনি দাবি করছিলেন যে কোনও কেলেঙ্কারি নেই, কিন্তু আজ তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে, তিনি ভয় পাচ্ছেন।

  • Manish Sisodia: সোমবারই কি গ্রেফতার হচ্ছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া?

    Manish Sisodia: সোমবারই কি গ্রেফতার হচ্ছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সোমবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিতর্কিত দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রবীণ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, আগামিকালই গ্রেফতার হবেন সিসোদিয়া। সৌরভ বলেন, সিসোদিয়াকে সিবিআই (CBI) তলবের সঙ্গে গুজরাট নির্বাচনের সম্পর্ক রয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপির (BJP) সরাসরি লড়াই হবে আপের (AAP) সঙ্গে। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও দোষ নেই, পবিত্র। সিসোদিয়া বলেন, এর আগে যে রেইড হয়েছিল, তাতে কিছুই পায়নি সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিবিআই ১৪ ঘণ্টা ধরে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালাল। কিছুই পায়নি। তারা আমার ব্যাঙ্কের লকার খুঁজেছে, সেখানেও কিছুই পায়নি। বস্তুত, আমার গ্রামেও কিছু খুঁজে পায়নি তারা। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় তারা আমাকে সিবিআইয়ের সদর দফতরে ডেকেছে। আমি যাব এবং পূর্ণ সহযোগিতা করব।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মনীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ট্যুইটবার্তায় তিনি সিসোদিয়াকে স্বাধীনতা যোদ্ধা ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি লেখেন, জেলের গারদ এবং ফাঁসির দড়ি কোনওটাই ভগৎ সিংকে তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থেকে সরাতে পারেনি। এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। মনীশ আর সত্যেন্দ্র (জৈন) আজকের ভগৎ সিং।

    গত বছর নয়া আবগারি নীতি আনে দিল্লির আপ সরকার। নয়া ওই আবগারি নীতির মাধ্যমে আপ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তদন্তের নির্দেশ দিতেই প্রত্যাহার করা হয় নয়া আবগারি নীতি। ফের চালু হয় পুরানো আবগারি নীতি। পরে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গত মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা গ্রেফতার করে আপ কমিউনিকেশন চিফ তথা সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) ঘনিষ্ঠ নেতা বিজয় নায়ারকে। এবার তলব করা হল স্বয়ং সিসোদিয়াকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    Manish Sisodia: সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি, সিবিআইয়ের জেরা ৩ অভিযুক্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবগারি নীতি মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তার পর রবিবার জারি করা হল লুকআউট নোটিশ (Look Out Notice)। তদন্ত চলাকালীন সিসোদিয়া যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কেন্দ্রকে নিশানা করে দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রীর তোপ, সিবিআইয়ের রাজনীতিকরণ হয়েছে। লুকআউট নোটিশ জারির ঘটনাটিকে তিনি নাটক বলেও অভিহিত করেন।

    সিবিআইয়ের তরফে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাতে সবার ওপরের নামটি সিসোদিয়ার। তিনি ছাড়াও ওই তালিকায় নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের। অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই নয়া আবগারি নীতি আনা হয়েছিল। এই নীতি তৈরিতে সরকারের অংশ নন, এমন ব্যক্তিদেরও মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। বেআইনিভাবে অনেককে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, সিসোদিয়া কমপক্ষে দু বার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাত থেকে। বেআইনিভাবে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছিল ওই টাকা।

    আরও পড়ুন : দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সিবিআই। তিনি বলেন, গেরুয়া পার্টি আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা শঙ্কিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই চ্যালেঞ্জ জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। সরকারকে আক্রমণ করে সিসোদিয়ার ট্যুইট বার্তা, মোদিজি এটা কি গিমিক। আমি দিল্লিতে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছি। বলুন, আমার কোথায় আসা উচিত। এদিন অন্য একটি ট্যুইট বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, সোমবার থেকেই সিসোদিয়াকে নিয়ে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। 

    এদিকে, ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে সিবিআই। রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের বয়ানও। তল্লাশিতে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং বৈদ্যুতিন পণ্যগুলিও পরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই বাকি অভিযুক্তদেরও তলব করা হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, শনিবার একটি মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া এবং পূর্বতন আপ প্রধান যোগেন্দ্র যাদবকে রেহাই দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। মামলাটি করেছিলেন সুরেন্দর শর্মা নামে এক আইনজীবী।

     

LinkedIn
Share