Tag: Maoist Encounter

  • Maoist Encounter: অন্ধ্রের জঙ্গলে ফের তল্লাশি অভিযান, হিডমার পরে খতম আরও সাত মাওবাদী

    Maoist Encounter: অন্ধ্রের জঙ্গলে ফের তল্লাশি অভিযান, হিডমার পরে খতম আরও সাত মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের শীর্ষনেতা মাডবী হিডমার মৃত্যুর পর নিরাপত্তাবাহিনী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে (Maoist Encounter) আরও সাত মাওবাদীর মৃত্যু হল। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে আলুরি সীতারামারাজু জেলার মারেদুমিলির জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনী এবং মাওবাদীদের ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। অন্ধ্রের গোয়েন্দাকর্তা এডিজি মহেশচন্দ্র লাড্ডা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ছয় মাওবাদীর মৃত্যুর পর থেকে বাকি সদস্যদের খোঁজে জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। রাতভর তল্লাশি চালানো হয়। বুধবার ভোরে মাওবাদীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

    নিহতদের মধ্যে রয়েছে টেক শঙ্কর

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী (Maoist Encounter) পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত দশ বছরে গোটা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সাধারণ মানুষ মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন। আগামী দিনে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই লক্ষ্যেই চলছে অভিযান। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামারাজু জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিডমার মৃত্যুর একদিন পর অর্থাৎ আজ ওখানে আবার সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং তেলঙ্গানা- এই তিন রাজ্যের সীমানায় থাকা মারেদুমিলির জঙ্গলে আবার গুলির লড়াইয়ের ফলে ওই সাতজন মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মাওবাদীদের তিন মহিলা সদস্যও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এডিজি। এডিজি লাড্ডা আরও জানিয়েছেন, নিহতদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। তবে এক জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম মেটুরি জোখা রাও ওরফে ‘টেক শঙ্কর। তিনি শ্রীকাকুলামের বাসিন্দা।

    ৫০ জন মাওবাদী গ্রেফতার

    পুলিশ সূত্রে খবর, অন্ধ্র-ওড়িশা সীমানায় এরিয়া কমিটি মেম্বার (এসিএম) ছিলেন শঙ্কর। তিনি প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। অস্ত্র তৈরি, যোগাযোগ সংক্রান্ত সরঞ্জাম তৈরি করার বিষয়েও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন শঙ্কর। এডিজি আরও জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক টিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেবজি এবং আজাদ থাকতে পারেন বলে খবর। মৃতদেহগুলি শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এনটিআর, কৃষ্ণা, কাকিনাড়া, কোনাসীমা, এলুরুতে ৫০ জন মাওবাদীকে (Maoist Encounter) গ্রেফতার করা হয়েছে। যা অন্ধ্রপ্রদেশের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় গ্রেফতার। ৪৫টি অস্ত্র, ২৭২ রাউন্ড কার্তুজ, দু’টি ম্যাগাজিন, ৭৫০ গ্রাম তার এবং বিস্ফোরকের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এই দলের অন্য সদস্যদের খোঁজে এখনও তল্লাশি জারি। লাড্ডা বলেন, পুলিশ ছত্তিশগড় থেকে মাওবাদীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাদের কার্যকলাপ এবং থাকার জায়গা পর্যবেক্ষণ করার পর সর্বশেষ অভিযান শুরু করেছে।

  • Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাও নেত্রী। প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার ৫০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে। প্রশাসনের তরফে তখনই জানানো হয়েছিল, হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো। এবার সোমবার সকালেই এনরাউন্টারে খতম করা হল ওই মাও নেত্রীকে (Chhattisgarh)। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আজ ৩১ মার্চ একটি মহিলা মাওবাদী নেত্রী দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ইনসাস রাইফেল সমেত গোলা-বারুদ। এর পাশাপাশি প্রাত্যহিক ব্যবহারের অন্যান্য জিনিসপত্রও উদ্ধার (Chhattisgarh) করা হয়েছে।

    অনেক নাম নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন ওই মাওবাদী নেত্রী

    দান্তেরওয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া (Chhattisgarh) ওই মহিলা মাওবাদী নেত্রীর নাম রেনুকা ওরফে বানু ওরফে চৈতি ওরফে সরস্বতী। এই এতগুলি নাম নিয়ে তিনি ঘোরাফেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে কদভেন্দি জেলাতে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত আজ সকালেই এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এখানেই খতম করা হয় ওই মাওবাদী নেত্রীকে (Maoist)। জানা যাচ্ছে, রেনুকা মাওবাদীদের মিডিয়া ইনচার্জ ছিলেন। রেনুকা দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির একজন সদস্যও ছিলেন তিনি।

    রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে

    প্রসঙ্গত, রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে ছত্তিশগড়ে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

  • Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমন (Maoist Encounter in Bastar) অভিযানে বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে বিজাপুর এবং কাঁকের জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। ছত্তিসগড়় পুলিশ জানিয়েছে, পাল্টা হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর এক জন সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই। এখনও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে।

    কোথায় কোথায় অভিযান

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ছত্তিসগড় (Chhattisgarh Encounter) পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন সকালে গঙ্গালুর থানা এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে (Maoist Encounter in Bastar) নামেন। গঙ্গালুর থানা বিজাপুর জেলায়। প্রথম থেকে এলাকা ঘিরে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ দেখেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। তাদের গুলিতে মারা যান ছত্তিসগড় ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক পুলিশ কর্মী। এখনও পর্যন্ত বীজাপুরের জঙ্গল থেকে সংঘর্ষে নিহত ১৮ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মাওবাদীদের ব্যবহৃত রাইফেল ও বিস্ফোরক। এখনও গুলির লড়াই বন্ধ হয়নি। কাঙ্কেরের জঙ্গল থেকে পাওয়া গিয়েছে আরও চার মাওবাদীর দেহ। সূত্রের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের একটি দলকে বনাঞ্চলে ঘিরে ফেলেছে এবং দিনের শেষে মৃতদেহের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।

    মাওবাদী দমনে পরপর অভিযান

    বস্তার (Maoist Encounter in Bastar) ডিভিশনের অন্তর্গত বিজাপুর এবং কাঁকের জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে গত কয়েক মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

    মাওবাদী-মুক্ত দেশ গঠনের দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের (Maoist Encounter in Bastar) একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরে ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদকে নির্মূল করব। যাতে তাঁদের জন্য দেশের কোনও নাগরিককে প্রাণ হারাতে না হয়। এই জন্য আমি আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদী দমনে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এদিনের অভিযানও তারই অঙ্গ।

LinkedIn
Share