Tag: market

market

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share