Tag: medal

medal

  • Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    Sarwan Singh: খিদের জ্বালায় পদক বিক্রি সোনা জয়ী অ্যাথলিটের! গল্প শুনলে শিউরে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটে খিদের আগুনে জয়ের গৌরবও ছারখার হয়ে যায়। খিদের জ্বালায় সোনার পদক বিক্রি করলেন ভারতীয় অ্যাথলিট (Athlete)। নাম সারওয়ান সিং (Sarwan Singh), কিন্তু এই নামটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তিনি ১৯৫৪ সালে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের ১১০ মিটার হার্ডলসে ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে জীবন যুদ্ধে এখন অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কার্যত না খেয়ে এখন দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।

    প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন

    সারওয়ান সিং (Sarwan Singh) ১৯৫৪ সালে প্রথমবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার ১ লাখ সমর্থকের সামনে তিনি দৌড় প্রতিযগিতায় (Athlete) অংশ নেন। পথে দশটি হার্ডল তাঁকে টপকে যেতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সোনার পদক জয় করেছিলেন। গোটা খেলাকে ১৪.৭ সেকেন্ডে সমাপ্ত করেছিলেন। গলায় করে নিয়ে এসেছিলেন সোনার পদক। জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি কী আর থাকতে পারে। ওই দিন দেশের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। অপূর্ব সুন্দর মুহূর্ত ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু কালের প্রবাহে সেই সুখ স্থায়ী হয়নি। এই সোনার পদক পরবর্তী কালে অন্নসংস্থান করে দেয়নি। চাকরির জন্য সর্বত্র ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে। সামান্য মাইনের কোনও সরকারি চাকরিও জোটেনি তাঁর ভাগ্যে।

    ভাড়ার ট্যাক্সি চালিয়ে দিনপাত করতে হয়েছিল

    অনেক কষ্টে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপে একটি চাকরি জোটে সারওয়ান সিংয়ের। কিন্তু ১৯৭০ সালে অবসর গ্রহণের পর আবার সেই আর্থিক দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। নিজেকে পরিবার-বন্ধু-আত্মীয়দের থেকে দূরে রেখে ২০ বছর ধরে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন ধারণ করেন। বয়স বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী অ্যাথলিটের জন্য ১৫০০ টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন বৃদ্ধ বয়সে নিজে হাঁটার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই আর্থিক অভাবে বাধ্য হয়ে নিজের সোনার পদকটি বিক্রি করে দেন। তিনি (Sarwan Singh) ইতিহাসের পাতায় থাকলেও দারিদ্রের কারণে বর্তমান সমাজ তাঁকে ভুলে গিয়েছে। স্বাধীন দেশে এই ঘটনা চোখে জল আনে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) ৭৩ কেজি ভারোত্তলন (Weaight Lifting) বিভাগে সোনার পদক (gold) জিতেছেন বাংলার ভারোত্তোলক অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। তাঁকে নিয়ে সারা দেশে চর্চা চলছে। দারিদ্র্যকেদূরে ঠেলে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। আজ প্রচারের লাইমলাইটে হাওড়ার দেউলপুরের ছেলে। ছেলের সাফল্য মায়ের আনন্দ। কিন্তু গ্রামের ভাঙা বাড়িতে ছেলের অর্জিত পদক ও ট্রফি রাখার ভাল জায়গা নেই। তাই নিজের ছেঁড়া শাড়িতেই ছেলের মহামূল্যবান পদক ও ট্রফিগুলি রেখেছেন অচিন্ত্য শিউলির মা পূর্ণিমা শিউলি। বাড়িতে আলমারি নেই, ট্রফি সাজানোর মতো জায়গাও নেই। তাই মা ছেলেকে একটি আলমারি কিনতে বলেছেন। সেখানে তিনি ছেলের পদক ও ট্রফিগুলি রাখবেন। অচিন্ত্যর  বাড়ি কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। অচিন্ত্যর মা জানান, বাড়িতে খাটের নিচে শাড়িতে জড়িয়ে অচিন্ত্যর ট্রফি ও মেডেলগুলি রাখা আছে। সেখানেই ওগুলো সব থেকে বেশি নিরাপদ বলেও জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে! জানেন বাড়ি এসে কী করলেন অচিন্ত্য

    এখনও বাড়িতে ট্রফি রাখার আলাদা জায়গা করতে পারেননি সোনার ছেলে অচিন্ত্য। তবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই করবেন। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) সোনা জয়ের পর সেনাবাহিনীতেও এবার পদোন্নতির পথে বাংলার ভারোত্তোলক। সম্প্রতি দিল্লিতে সেনাবাহিনীতে কর্মরত পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। বাহিনীতে কর্মরত কমনওয়েলথে পদকজয়ীদের হাতে স্মারক ও নগদ পুরস্কারমূল্য তুলে দেন সেনাপ্রধান। সেখানে ছিলেন অচিন্ত্যও। কমনওয়েলথ গেমসে প্রত্যেকের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রথা মেনে সকলেরই পদোন্নতি হবে। তাই আপাতত দিনবদলের আশায় বাংলার ভারোত্তোলক। 

    আরও পড়ুন: জরিশিল্পীর কমনওয়েলথ সোনা উৎসর্গ দাদা ও কোচকে

    তবে যতদিন না পর্যন্ত ছেলে নিজের ঘর নতুন করে সাজাতে পারছে ততদিন তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ছেলের মূল্যবান জিনিসগুলিকে রেখেছেন নিজের জিম্মায়। পূর্ণিমা বলেছেন, “আমি জানতাম অচিন্ত্য যখন আসবে তখন সবাই বাড়িতে ভিড় করবে। সেই জন্য আমি এই মেডেল-ট্রফিগুলো একটা টুলের ওপর সাজিয়ে রাখি, যাতে সবাই বুঝতে পারে আমার ছেলে কতটা প্রতিভাবান। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ও দেশের জন্য  সোনার পদক জিতবে। ও স্বপ্ন পূরণ করেছে।”
LinkedIn
Share