Tag: medical news

medical news

  • Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা। মহারাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ওকহার্ট লিমিটেড প্রথম দেশীয়ভাবে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ‘নাফিথ্রোমাইসিন’ (বাণিজ্যিক নাম- মিকন্যাফ) তৈরি করেছে। এটি বহু-ওষুধ প্রতিরোধী (Drug Resistant Pneumonia) জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। এই নয়া অ্যান্টিবায়োটিকটি (Antibiotic) প্রাপ্তবয়স্কদের কমিউনিটি-অ্যাকোয়ার্ড ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া (CABP) চিকিৎসার কাজে লাগবে।

    ‘সফট লঞ্চ’ (Drug Resistant Pneumonia)

    চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল (BIRAC) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই ওষুধটির ‘সফট লঞ্চ’ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রাগ-প্রতিরোধী নিউমোনিয়া প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী  ২০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার মধ্যে ভারতের অংশ ২৩ শতাংশ। এখানে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো প্রচলিত ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কারণে চিকিৎসায় নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে (Drug Resistant Pneumonia)।

    কী বলছেন প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান?

    বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল ওকহার্টকে নাফিথ্রোমাইসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ৮ কোটি টাকা দিয়েছে। যদিও প্রকল্পের খরচ ৫০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ওকহার্টের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ডঃ হাবিল খোরাকিওয়ালা তাঁর বক্তব্যে মিকন্যাফের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এটি একটি ওরাল ড্রাগ, যা কমিউনিটি রেসপিরেটরি ইনফেকশন মোকাবিলার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। গত ৩০ বছরে এই সেগমেন্টে বিশ্বব্যাপী কোনও নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, ওষুধটি অ্যাজিথ্রোমাইসিনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি কার্যকর এবং ফুসফুসে ৮ গুণ বেশি এক্সপোজার দেয়। এটি প্রতিদিন একবার করে তিন দিন খেতে হবে। তিনি জানান, নাফিথ্রোমাইসিন উন্নততর নিরাপত্তা এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করে। এতে ক্লিনিক্যাল কিওর রেট রয়েছে ৯৬.৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাফিথ্রোমাইসিনের উন্নয়ন ১৪ বছরের টানা গবেষণা এবং ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের (Antibiotic) ফল, যেখানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে (Drug Resistant Pneumonia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA West Bengal) বৈঠকে ধুন্ধুমার। তার জেরে বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে। সামনেই আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচন (Doctors Expelled)। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল রবিবার। অভিযোগ, সেখানেই চিকিৎসকদের দুই লবির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তার পরেই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। একটি লবির তিন চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন। শেষমেশ ওই চিকিৎসকদের বৈঠক থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

    ঝামেলার সূত্রপাত (IMA West Bengal)

    জানা গিয়েছে, যে তিন চিকিৎসককে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, তাঁরা হলেন চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার এবং প্রিয়ঙ্কা রানা। এই চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অন্য চিকিৎসকরা। এদিন পার্ক সার্কাসে বৈঠক ছিল আইএমএ-র রাজ্য শাখার (IMA West Bengal)। এই সংগঠনের বিভিন্ন পদে কারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, মূলত তা নির্ধারণ করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। সেই বৈঠক শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবির তিন চিকিৎসককে দেখে খেপে যান অন্য চিকিৎসকরা। তাঁরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। বৈঠক থেকে তাঁদের বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    ‘থ্রেট কালচার’

    আরজি করকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারে’র কথা। প্রকাশ্যে আসে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগও। এই সব অভিযোগের নেপথ্যে ঘুরেফিরে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। তার পর থেকেই চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে কার্যত খেপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    উত্তরবঙ্গ লবির মাথায় রয়েছেন সুশান্ত রায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায়। সুশান্তকে ঘিরে রয়েছেন শান্তনুর অনুগামীরা। সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প’। শান্তনুর অনুগামীদের বলতে শোনা যায়, ‘কোনওটাই বানানো গল্প নয়’। সুশান্তর কাছে শান্তনুকে হাতজোড় করে থাকতেও দেখা যায়। তাঁকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাপসকে। স্বাস্থ্য দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন জয়া। তাঁকেও বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক (Doctors Expelled) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বন্ধু বলে পরিচিত প্রিয়ঙ্কাকেও (IMA West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    Health Update: বর্ষা আসতেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, জ্বর হলেই পরীক্ষার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই বর্ষাকাল। তবে জাঁকিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার (Dengue and malaria) প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে (Health Update) জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪১। মৃত্যুর কোনও খবর এখনও নেই। এপ্রিল মাসের শেষে এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা  ২ হাজার ১৬৪ জন। বাংলায় মৃত্যু হয়েছে এক ম্যালেরিয়া রোগীর। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ।

    বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে একশোর ঘর। গত ছ’মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার দেড়েক। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এখানে মশা-বাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোর কোঠা। মালদা, মুর্শিদাবাদ, আসানসোল এবং হুগলির ছবিটাও ভয় ধরায় মনে।

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে (Health Update)। মালদায়ও সংখ্যাটা প্রায় একই। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর ওপরে। হুগলিতে দেড়শোর কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ভেঙে দিয়েছিল গত এক যুগের রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘‘মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলই প্রকাশ করুন’’, টেটের ৪২০০০ নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এমতাবস্থায় জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। এজন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে।

    এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথা ছাড়াও, হালকা জ্বর এবং পেটে মোচড় দেওয়ার মতো উপসর্গও এবার দেখা যাচ্ছে। তাই পেট খারাপ ও অল্প জ্বর হলেও, ডেঙ্গির (Dengue and malaria) এনএস ওয়ান পরীক্ষা লিখতে হবে প্রেসক্রিপশনে (Health Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    AIIMS Study: যোগের বলে মুক্তি মিলবে আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা থেকে, বলছে এইমসের সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ বলে রোগ আরোগ্য। বাক্যটি যে নেহাৎ কথার কথা নয়, তা জানা গেল এইমসের সাম্প্রতিক এক গবেষণাও (AIIMS Study)। জানা গিয়েছে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ ও ব্যথা (Arthritis Pain) কমাতেও দারুণ কাজ করে যোগ ব্যায়াম। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হল একটি ক্রনিক অটোইমিউন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হয় প্রদাহ, গাঁটে গাঁটে হয় ব্যথা। ফুসফুস, হার্ট এবং মস্তিষ্কেও প্রভাব পড়ে এই ব্যথার। যার জেরে রোগী ক্রমেই অথর্ব হয়ে পড়েন।

    যোগ বলে রোগ আরোগ্য (AIIMS Study)

    এইমসের চিকিৎসকদের করা গবেষণা বলছে, এর থেকে মুক্তি দিতে পারে যোগ ব্যায়াম। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে এটি কাজ করে দারুণভাবে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাঁরা দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। অথর্ব বেদে যোগের গুণগান গাওয়া হলেও, সিংহভাগ ভারতীয়ই চর্চা করতেন না যোগের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম যোগের গুণাগুন তুলে ধরেন সারা বিশ্বের কাছে। তার পর থেকে ফি বছর ২১ জুন দিনটি পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে। সেই যোগেরই নয়া কার্যকারিতার কথা জানা গেল এইমসের সমীক্ষায় (AIIMS Study)।

    এইমসের গবেষণা

    সমীক্ষাটি করেছে এইমসের ল্যাব ফর মলিকিউলার রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড জেনেটিক্স, দ্য অ্যানাটমি ডিপার্টমেন্ট এবং রিউম্যাটোলজি ডিপার্টমেন্ট। তাদের সাহায্য করেছিল ডিএসটি। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, কীভাবে রিউমাটেড আর্থ্রাইটিসের রোগীদের কোষ এবং মলিকিউলার লেভেলে কাজ করে যোগ। কেবল যন্ত্রণামুক্তিই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু কাজ করে যোগ। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সেলুলার ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যোগ যে প্রদাহও হ্রাস করে, তা-ও জানা গিয়েছে ওই সমীক্ষায়। প্রো এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি সাইটকিনসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে যোগ।

    আরও পড়ুন: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    রোগীর শরীরে বাড়িয়ে দেয় এনডর্ফিনের স্তর, হ্রাস করে কর্টিসল এবং সিআরপির মাত্রা। মেলাটনিন রিদমও বজায় রাখে যোগ। প্রদাহ চক্রকে ভেঙে এটা করে যোগ। গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। মলিকিউলার লেভেলে যোগ টেলোমের্স এনজাইম এবং জিনের অ্যাক্টিভিটি বাড়িয়ে দেয়। এই জিন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ডিএনএ এবং কোষ চক্র রেগুলেশন করতে। এগুলোই রোধ করে কোষের বয়স বেড়ে যাওয়াকে। যার জেরে রোগী থাকেন চনমনে। রিউমাটোলজি বিভাগের প্রধান উমা কুমার বলেন, “যোগ যে কেবল রোগীর (Arthritis Pain) জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করে তাই নয়, রোগীদের মধ্যে থাকা চাপ এবং উদ্বেগও কমায় (AIIMS Study)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Cataract Surgery: ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে অসুস্থ আরও ৪, অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন

    Cataract Surgery: ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে অসুস্থ আরও ৪, অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেটিয়াবুরুজে (Metiaburuz) ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে ক্রমেই অস্বস্তি বেড়ে চলেছে স্বাস্থ্য ভবনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন আরও চার রোগী। সব মিলিয়ে সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশন (Cataract Surgery) করিয়ে এ পর্যন্ত সংক্রমণের শিকার হলেন ২০ জন। শনিবার আরও দুই রোগী সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে গিয়েছেন আরআইওতে। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ছানি অপারেশন থিয়েটারের প্রোটোকল। মেটিয়াবুরুজের ওই হাসপাতালে ওটির প্রোটোকল মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ওষুধের গুণমান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আতশ কাচের তলায় অপারেশন থিয়েটারের নিয়মিত স্যানিটাইজেশন, গজ এবং তুলোও।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? (Cataract Surgery)

    রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি (আরআইও)-র প্রাক্তন (Cataract Surgery) অধিকর্তা গৌতম ভাদুড়ি বলেন, “ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হলে রাতারাতি তা ছড়িয়ে পড়ে। এখানে তো অনেকে দু’দিন পরে আসছেন। হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন।” তিনি বলেন, “ফ্লুইডের বোতল থেকে ফ্লুইড নিয়েই ছানি অপারেশন করা হয়। সেই সময় পরিষ্কার করা, ছানি বের করতে জলের একটা বড় ভূমিকা থাকে। সেই জল যদি স্বচ্ছ না থাকে, তাতে যদি ছত্রাক থাকে, তা দেখা সম্ভব নয় যে চিকিৎসক অপারেশন করছেন, তাঁর পক্ষে। কারণ এই জল আসে সিলড বোতলে।”

    ফ্লুইডের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন

    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ছানি অস্ত্রোপচারকাণ্ডে যে ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়েছিল তার গুণমানেই সমস্যা রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, গত ছ’মাস ধরে একাধিক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল এই ফ্লুইডের গুণমান নিয়ে সরব হয়েছে। গত ২৫ জুন এনআরএসে ফ্লুইডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অর্থো-ওটিতে স্থগিত রাখা হয়েছিল অস্ত্রোপচার। ঘটনাচক্রে এদিনই ঘটেছিল মেটিয়াবুরুজের হাসপাতালে ছানি অপারেশনকাণ্ড। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের তরফে ছানি অপারেশনে ব্যবহৃত ফ্লুইডের গুণমান যাচাই করতে পাঠানো হয়েছে ব্যাচের নমুনা।

    আর পড়ুন: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    জানা গিয়েছে, এই নমুনা পাঠানো হয়েছে এনএবিএল, রাজ্য ড্রাগ রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং পূর্ব ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে (Metiaburuz)। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার ফ্লুইডের গুণমান নিয়েই যাবতীয় অভিযোগ উঠেছে (Cataract Surgery)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    Cancer In Indians: চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে, সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারণ ব্যাধি ক্যান্সার (Cancer In Indians)। নামটা শুনলেই আঁতকে ওঠেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। ফি বছর তামাম বিশ্বে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভারতেও ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিম্নমানের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেহিসেবি জীবনযাপনের কারণে চল্লিশের নীচে ভারতীয়দের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

    ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ (Cancer In Indians)

    ভারতে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসকরা মূল কারণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিম্নমানের খাবার এবং জীবনযাপনের ধরনকেই। চিকিৎসকদের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রসেসড (Cancer In Indians) ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে তামাক এবং মদ্যপানের প্রবণতাও। স্থূলত্ব, স্ট্রেস এবং বেহিসেবি জীবনযাপনও তাঁদের ক্যান্সারের কারণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পরিবেশ দূষণ। ভারতীয় শহরগুলিতে দূষণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের মতে, এ থেকেও হচ্ছে নানা ধরনের ক্যান্সার। বায়ু দূষণ এবং জল দূষণও ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ভারতীয় জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশিষ্ট চিকিৎসক রাহুল ভার্গব বলেন, “আল্টা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং বেহিসেবি জীবনযাপন কম বয়সী ভারতীয়দের জীবনে কারণ হচ্ছে ক্যান্সারের। প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা এবং এই দুইয়ের সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম না করা ভারতীয় তরুণদের স্বাস্থ্যে সৃষ্টি করছে নানা সমস্যা।” তাঁর মতে, এসব খাবার থেকে দূরে থাকা এবং জীবনযাপনের ধরন বদলালেই থাকা যাবে সুস্থ।

    আর পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    ‘ক্যান্সার মুক্ত ভারত ফাউন্ডেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, প্রতি একশো জনের মধ্যে ২০ জন ভারতীয় তরুণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন চল্লিশের নীচেই। এঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ৪০ শতাংশ নারী। প্রবীণ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক আশিস গুপ্ত বলেন, “আমাদের দেশে স্থূলত্বের হার বাড়ছে। বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়ার চলও বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বেহিসেবি জীবনযাপন। এসবের কারণেই বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি।” জীবন যাপনের ধরনে বদল আনলেই যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “দূষণমুক্ত পরিবেশ, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে বদলও কমিয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer In Indians)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি আর কেউ নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। শনিবার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্টের ন্যাশনাল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ও খেলো ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগাসনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন…

    সম্প্রতি চিকিৎসা ব্যবস্থার এই ক্ষেত্রকে পেশার সম্মান দিয়েছে কেন্দ্র। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হচ্ছে। কোনও চোট, ব্যাথার ক্ষেত্রে যুব থেকে বৃদ্ধ, খেলোয়াড় সকলের যাবতীয় সমস্যা দূর করেন ফিজিওথেরাপিস্টরা। তিনি বলেন, কঠিন সময়ে আশার আলো, সুস্থ হয়ে ওঠার আশা হয়ে উঠছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কোনও ব্যক্তি হঠাৎ আঘাত পান বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন, তখন শুধুমাত্র শারীরিক চোটই নয়, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হয়। ফিজিওথেরাপি শুধু শারীরিকভাবে সুস্থই করে না, মানসিক শক্তিও জোগায়। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। তিনি বলেন, আপনাদের পেশা থেকে পেশাদারিত্ব থেকে প্রেরণা পাওয়া যায়। নিজেদের ক্ষেত্রে আপনারা নিশ্চয়ই এটা শিখেছেন যে চ্যালেঞ্জের থেকে অনেক বেশি মজবুত হয় আপনাদের ভিতরের ক্ষমতা। সামান্য উৎসাহ ও সাহায্যেই কঠিন থেকে কঠিনতর প্রতিবন্ধকতাকে হার মানানো সম্ভব।

    আরও পড়ুুন: ‘জঙ্গি’কে নিয়ে তথ্যচিত্র, এবার আঁতুড়ঘরেই ‘বয়কটে’র হুমকি বিবিসিকে

    মোদি (PM Modi) বলেন, সব থেকে ভাল ফিজিওথেরাপি তিনিই, যিনি রোগীর সমস্যা বুঝে চিকিৎসা করেন। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে আপনার পেশাই আপনাকে আত্মনির্ভরতা শেখায়। মানুষকে আত্মনির্ভর করাই আপনাদের লক্ষ্য। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এটাও জানেন যে যখন চিকিৎসক ও রোগী মিলিতভাবে চেষ্টা করেন, তখনই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। একইভাবে সরকারের কাজও পরিচালিত হয়। জনগণের সমর্থনেই সরকারের সাফল্য সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তিতে আজাদির অমৃত মহোৎসব পালন করছে। আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার ফিজিওথেরাপিকে পেশার স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতে, ফিজিওথেরাপির সঙ্গে যদি যোগাসন যুক্ত হয়, তাহলে তা আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে। টেলিমেডিসিনেরও ব্যবহার করা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share