Tag: medical termination of pregnancy

medical termination of pregnancy

  • Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital rape) ও গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গর্ভপাত নিয়ে এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়েছে, বিবাহিত বা অ-বিবাহিত, দেশের সকল মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার আছে। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে বলার আগে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিনা সম্মতিতে যৌন সংসর্গও ধর্ষণ। আর এর ফলেই মহিলারা জোর করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

    সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, একজন মহিলা বিবাহিত না অ-বিবাহিত এর সঙ্গে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে কোনও আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এমনকি অবিবাহিত মহিলাদেরও ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার অধিকার রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত, এমনও বলেছে যে, কোনও অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অধিকার না দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সমান।

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইন সংক্রান্ত মামলায় এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, “এমটিপি আইনে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। কিন্তু দেশের গর্ভপাত আইনের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতের কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।” আবার এই প্রসঙ্গে বলার পাশাপাশি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, বিবাহিত মহিলারাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। সম্মতি ছাড়া স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে এক জন মহিলা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়তে পারেন।

    প্রসঙ্গত, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া ধর্ষণের শিকার, বিশেষভাবে সক্ষম বা নাবালিকা, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সহবাসের পর কোনও অবিবাহিত মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে-এইসব বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করা যেত। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে যে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এমন কেন ভেদাভেদ করা হবে? এরপরেই আজ, বৃহস্পতিবারে এই নিয়েই এই দৃষ্টান্তমূলক ও যুগান্তকারী রায়টি দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

LinkedIn
Share