Tag: Meghalaya

Meghalaya

  • Meghalaya Poll: মেঘালয়ে নির্বাচন, ৮ ঘণ্টা ট্রেক করে বুথে পোলিং টিম!

    Meghalaya Poll: মেঘালয়ে নির্বাচন, ৮ ঘণ্টা ট্রেক করে বুথে পোলিং টিম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচন (Meghalaya Poll)। সোমবার বিধানসভার ৫৯টি আসনে হতে চলেছে ভোট গ্রহণ। মোট আসন ৬০টি। ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এইচডিআর লিংডোর প্রয়াণের কারণে সোহিয়ং বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪১৯ পোলিং টিমকে (Polling Team) লাগানো হয়েছে ভোটের কাজে।

    দুর্গম…

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এফআর খাড়কোংগর সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ইতিমধ্যেই ৯৭৪টি পোলিং টিম ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিয়েছে। শনিবার রাত্রি সাড়ে ৯টার মধ্যে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে ৮৯৩টি পোলিং টিম। তিনি বলেন, পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেকিং করেছে অনেক পোলিং টিম, কর্দমাক্ত নদীও পার হয়েছে কোনও কোনও পোলিং টিম, কোনও কোনও এলাকায় পোলিং টিমকে যেতে হয়েছে রোপওয়ে দিয়ে। নির্বাচনী আধিকারিকদের নৌকায় করে যেতে হয়েছে আমলারেম বিধানসভার কামসিং ভোট কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন মাত্র ৩৫ জন। ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম নিয়ে যেতে কোনও কোনও পোলিং টিম খাসিদের ঝুড়ি কোহ-র সাহায্য নিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, কোনও ভোটার যেন বাদ না যান।

    আরও পড়ুুন: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    সাউথ গারো পাহাড়ের একটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে নির্বাচনী আধিকারিকদের ৮ ঘণ্টা ট্রেক করতে হয়েছে। কোনও কোনও টিমকে (Meghalaya Poll) গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেক করতে হয়েছে ঘণ্টা চারেক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, বাকি যে ২ হাজার ৪৪৫ পোলিং টিম তারা গন্তব্যের দিকে রওনা দিচ্ছে আজ, রবিবার। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪১৯ বুথের মধ্যে ৬৪০টি বুথকে অসুরক্ষিত বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩২৩টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। ৮৪টি বুথ অসুরক্ষিত এবং উত্তেজনাপ্রবণ।

    মোট প্রার্থী ৩৬৯ জন। তাঁদের মধ্যে মহিলা প্রার্থী ৩৬ জন। নির্দল হিসেবে লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনপিপি ১৯টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২টি আসন। ৬টি আসন পেয়েছিল ইউডিপি। কংগ্রেস ছিল একক বৃহত্তম দল। তবে ইউডিপি, বিজেপি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলের সমর্থনে সরকার গড়ে এনপিপি নেতৃত্বাধীন মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের ঘটনার আঁচ নিভতে না নিভতেই ফের এক নারকীয় খুনের ঘটনা সামনে এল। খুনের ধরণও সেই একরকমের। এবারে স্বামী, শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের এক মহিলা। শুধু টুকরো টুকরো করে খুনই করেনি, স্বামী এবং শাশুড়ির দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

    কী ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। এছাড়াও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তাঁর বন্ধু অরূপ দাসকে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার, তার জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করেছে বন্দনা কলিতা। এর পর সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

    কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগাস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এর পর শুক্রবার বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে যে, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর ধনজিৎ এবং অরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

  • Meghalaya: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Meghalaya: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। মোট ৬০টি আসনে  ৬জন মহিলা প্রার্থীও রয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাউরি, তিনজন প্রাক্তন বিধায়ক এমএম ডাঙ্গো, ডি জিনডিয়াং ও এডমান্ড কে সাংমা রয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস মারিয়াহোম খারক্রাং দাঁড়াচ্ছেন উত্তর শিলং থেকে। 

    মোদিকে সামনে রেখেই প্রচার

    বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় অনুমোদন দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিটি। মেঘালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, এবার বহু আসনে জিতবে দল। এদিন  প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ট্যুইট করেছে মেঘালয় বিজেপি।

    ২০১৮ সালে বিজেপি ৪৭টি আসনে লড়াই করেছিল। সেবার মাত্র দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ৭টি আসনে বিজেপি ছিল দ্বিতীয়। ১২টি আসনে বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে। বিজেপির ন্যাশানাল সেক্রেটারি ঋতুরাজ সিনহা জানিয়েছেন, এবার মেঘালয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। তার জন্য এবার জোরদার লড়াই করতে হবে দলকে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে বিজেপির প্রচারের ট্যাগ লাইন এম পাওয়ার মেঘালয়। এম মানে মোদি পাওয়ারড মেঘালয়। কিছুদিন আগেই, গত ডিসেম্বর মাসে মেঘালয় সফরে এসেছিলেন মোদি। তখনই এই রাজ্যের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত কীভাবে নিজের জায়গা তৈরি করছে সেকথাও এবার প্রচারে তুলে আনা হচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে মেঘালয়ে। আগামী ২ মার্চ মেঘালয় ভোটের ফলাফল বের হবে। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে বর্তমানে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার (West Bengal) মতো মেঘালয়েও (Meghalaya) ভোট ‘কেনা’র পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষমতায় এলে এখানেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল বাংলার শাসক দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে খাসো এবং গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

    তৃণমূল…

    বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এজন্য বড় রাজ্যগুলির পরিবর্তে তারা পাখির চোখ করে ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে। সেই মতো গোয়ায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সেখানে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে মমতার দল। তার আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘রাম’ধাক্কা খেয়েছিল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সেখানে প্রচারে যান দলের হেভিওয়েট নেতারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত বার পাঁচেক প্রচারে যান ত্রিপুরায়। তার পরেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির কাছে গোহারা হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটি মাত্র আসনে যিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিও পরে যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    উত্তর পূর্বের আরও একটি রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেটি মেঘালয় (Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে পায়ের নীচে মাটি পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে তৃণমূল। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। এ রাজ্যে বিজেপি বেশ শক্তশালী। তাই বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে নগদ অর্থের ‘টোপ’ দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এখানেও ফি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইস্তেহারে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।  

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করতে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোটে জয়ী হওয়ার পরে সে টাকা দেওয়াও হয়। তবে সেজন্য আগে থেকে কোনও ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, মিড-ডে মিল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘সরিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে ‘ভাণ্ডারে’। এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তার পরেও শিক্ষা হয়নি এ রাজ্যের শাসক দলের। যার জেরে ফের টাকার টোপ। রাজ্যটা অবশ্য বাংলা নয়, উপজাতি অধ্যুষিত মেঘালয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    Kirti Azad: প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন এই ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক। তা নিয়ে দেশজুড়ে বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। শেষমেশ এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের কীর্তি। ট্যুইটবার্তায় এই তৃণমূল নেতা লিখেছেন, আমি ভারতের বৈচিত্রের সংস্কৃতিকে সমর্থন করি। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছিল। যাঁদের সেন্টিমেন্টকে আমার কথা আঘাত করেছে, আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

    ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক…

    প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার ট্র্যাডিশনাল খাসি পোশাক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কীর্তি আজাদ সেই ছবির পাশে অনলাইনে বিক্রি হওয়া একই রকম পোশাক পরিহিত এক মহিলার ছবি পোস্ট করেন। তার পরেই লেখেন, ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারি!’ তার জেরে বিজেপির নিশানায় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। দেশজুড়েও শুরু হয় প্রবল সমালোচনা।

    প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) নিজেকে তৃণমূলের সৈনিক বলে দাবি করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি সব সময় সংবিধানের পথ অনুসরণ করেন। যে সংবিধান ভারতের বৈচিত্রকে সম্মান করতে শেখায়। সেই আজাদের মুখেই প্রধানমন্ত্রীর পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে তাঁর পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় তৃণমূলও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চান ক্রিকেটার রাজনীতিক কীর্তি আজাদ।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহার! ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র

    এদিকে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা কীর্তির মন্তব্য নিয়ে সিডিউল ট্রাইব কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, মেঘালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরেছিলেন সেই পোশাক ট্রাইবাল সম্প্রদায়ের বড় গর্বের। বিশেষত মেঘালয় এবং উত্তর-পূর্বে। একে উপহাস করছেন, কারণ আপনি একজনকে ঘৃণা করছেন, আপনি গোটা উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতে শুরু করেছেন, ঘৃণা করতে শুরু করেছেন উত্তর-পূ্র্বের সমগ্র ট্রাইবাল সম্প্রদায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Meghalaya Rainfall: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন?

    Meghalaya Rainfall: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে জলের নিচে আসামসহ উত্তর-পূর্ব (North-East) ভারতের একাধিক রাজ্য। বৃষ্টিপাত (Rainfall) থামার নামই নেই সেখানে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে আসাম (Assam) ও মেঘালয়ে (Meghalaya)। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মেঘালয়ের দুই জায়গাতেই। এমনিতেই চেরাপুঞ্জি (Cherrapunji) এবং মৌসিনরামে (Mawsynram) দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এই বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারে ১৯৯৫ সালের পরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চেরাপুঞ্জির সহরা এলাকায়। আর ১৯৬৬ সালের পরে সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌসিনরামে। আধিকারিকরা জানান, সহরায় একদিনে ৯১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার, চেরাপুঞ্জিতে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮১১.৬ মিলিমিটার।    

    গত এক সপ্তাহে চেরাপুঞ্জিতে ৩৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। পরিমাণ ছিল ১৫৬৩ মিলিমিটার। বিগত ১২২ বছরের বৃষ্টিপাতের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চলতি বর্ষা।

    আরও পড়ুন: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ 

    আবহাওয়া দফতরের মতে, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করেছে। তার জেরেই এই বৃষ্টিপাত। বায়ুর গতিপথের দিকে চেরাপুঞ্জির অবস্থান হওয়ায় এই এলাকায় আদ্রতার পরিমাণ ভীষণ বেড়ে যায়। যদিও আবহাওয়া দফতরের মতে, প্রবল বর্ষার সময় যেতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে এবার বৃষ্টির পরিমাণও কমবে।

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪   

    এছাড়াও এই প্রবল বৃষ্টিপাতের আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। উত্তরের সমভূমি থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত একটি খাদ রয়েছে। সেখান থেকেও প্রচুর জলীয় বাষ্প উত্তর-পূর্বে ঢুকেছে। ভৌগলিক কারণেই জলীয় বাষ্পকে ধরে রাখতে পারার মতো ক্ষমতা নেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলির। তাই অন্যান্য জায়গার থেকে এমনিতেই এখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া দফতরের মতে, ধীরে এই মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের দিকে অগ্রসর হবে।   

     

  • Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের তলায় আসাম (Assam), মেঘালয় (Meghalaya)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য দুটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪। আসামের ২৮টি জেলায় বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ২৯৩০টি গ্রাম জলমগ্ন। জল ঢুকতে শুরু করেছে অন্যান্য জেলাতেও। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে ১৮ জন মারা গিয়েছেন আসামে।  

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আসাম ও মেঘালয় ছাড়াও আগামী পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। আসামে শুক্রবার ৭ জন মারা যান। এ নিয়ে গত তিন দিনে রাজ্যটিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮-তে। গুয়াহাটিতে ভূমিধসে আরও তিনজন আহত হন।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৫, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  

    ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর জল অনেক জায়গাতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় প্রায় ৭০ হাজার লোক গৃহহীন হয়েছেন। ১৯৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে আসাম প্রশাসন। মেঘালয়ে শুক্রবার বন্যার কারনে ৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছেন বাঘমারায় এবং একজন সিজুতে।

    আরও পড়ুন: বন্যার কবলে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, মৃত ৯

    আসামের বিজলী, বক্সা, বরাপেটা, বিশ্বনাথ, বঙ্গাইগাঁও, চিরাঙ্গ, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসো, গোয়ালপাড়া, হোডাই, কামরূপ,কার্বি আংলং পশ্চিম, কোকড়াঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মোরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তমুলপুর, তিনসুকিয়া, উডালগুড়ি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

    আসামের ২৮টি জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়। অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। নলবাড়ি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েক হাজার বাড়ি ভেঙেছে। ৩৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) আজ সকালে ফোন করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Himant Bishwasharma)। রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

  • Assam-Meghalaya Rainfall: ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    Assam-Meghalaya Rainfall: ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। কিন্তু এই বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘ ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৬ সালে ৭৮৯.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল এরপরেই ২০২২-এ ৮৫৮.১ মিমি বৃষ্টি হয়ে এক রেকর্ড গড়ে তুলেছে। এই বছরেই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে আসাম ও মেঘালয়ে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।

    আরও পড়ুন: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মোট ৩১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ৭২ জন আহত হয়েছেন ও ৫০ জন নিখোঁজ। এছাড়াও অনেকই বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যেমন- অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে ও এই রাজ্যেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বজ্রপাতের ফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। প্রবল বর্ষণের ফলে অসম ও মেঘালয়ার বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসও হয়েছে, এর ফলে জুন মাসে ১৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

    আবহওয়াবিদ রক্সি ম্যাথিউ কোল (Roxy Mathew Koll) জানিয়েছেন, অসম, মেঘালয়, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি জায়গায় ১৯৫০ সাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলেছন গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। অর্থাৎ আবহাওয়ায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন আসতে দেখা গিয়েছে। ফলে ভারত মহাসাগর  বিশেষ করে আরব সাগরের জল বেশি গরম হতে শুরু করেছে। ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

    এছাড়াও আধুনিকীকরণ (Modernization), মাটির ব্যবহারে পরিবর্তন এসবও বন্যা, ভূমিধসের (Landslide) ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাপমাত্রাতেও বিপুল পরিমাণে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ১৯৮১- ২০১০ সাল পর্যন্ত যেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তেমনি ২০২২-এ তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৩৪.১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও আরব সাগরের (Arabian Sea) ওপর নিম্নচাপের (Depression) সৃষ্টি হওয়ায় জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে সমুদ্রের জলস্তরও (sea level) বাড়তে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন? 

  • NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    NFHS: ভারতের এই রাজ্যে ছেলেরা যায় শ্বশুরবাড়ি! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! বিয়ের পর মেয়েরা বাড়িতেই থেকে যায়। আর ছেলেদের যেতে হয় শ্বশুরবাড়ি। এমন রাজ্যও আছে আমাদের দেশে।  উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে (Meghalaya) ঘটে এমনই বিচিত্র ঘটনা। পাহাড় ঘেরা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি নানা দিক থেকে আশ্চর্যজনক। আর তার অন্যতম কারণ এখানে খাসি ও গারো (Khasi, Garo) নামে দুটি মাতৃতান্ত্রিক উপজাতির উপস্থিতি। সারা পৃথিবীতে যখন কন্যাভ্রূণ হত্যা এক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, তখনও এই দুই উপজাতিতে কন্যা সন্তান জন্মালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেক সন্তান থাকলে মেয়েটির অধিকার থাকে সবার আগে। এমনকী এখানে বিয়ের পর ছেলেদেরই শ্বশুরবাড়িতে আসতে হয়।

    সারা দেশে পুত্রসন্তানের চাহিদা বেশি থাকলেও মেঘালয়ের মায়েরা কিন্তু চায় মেয়ে হোক, এই তথ্যই উঠে এসেছে সর্বশেষ জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (National Family and Health Survey)। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, মণিপুর, বিহার-সহ উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে কন্যাসন্তানের তুলনায় পুত্রসন্তান কাম্য। কিন্তু মেঘালয়ের ছবিটা পুরোপুরি অন্যরকম।

    মেঘালয়ের মাতৃপ্রধান সমাজে মেয়ের ভূমিকা প্রধান। পরিবারের সব সম্পত্তির অধিকারও পান বাড়ির ছোট মেয়ে। সন্তানেরাও মায়ের উপাধি নেয়। কোনও পরিবারে কন্যা সন্তান না হলে তাঁরা একজন মহিলাকে দত্তক নেয় এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার তাকে হস্তান্তর করেন। কন্যা সন্তানের জন্ম হলে উৎসবও পালন করা হয়। ছোট-বড় সব ব্যবসায়ের দায়িত্বই নেন মহিলারা।

    এনএফএইচএস-এর পঞ্চম নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্য়ায় এখন ‘পুরুষ-নারী অনুপাত’ (লিঙ্গ অনুপাত বা ‘সেক্স রেশিও’) ১০০০ : ১০২০। অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১,০২০ জন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৭০৭ টি জেলার ৬,৫০,০০০টি বাড়িতে চালানো হয়েছিল ওই নমুনা সমীক্ষা। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে সংখ্যার হিসেবে পুরুষদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলারা। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বার। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য বেছে নিয়ে করা ওই নমুনা সমীক্ষার ফল সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

LinkedIn
Share